![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসাম্প্রদায়িক মনভাবাপন্ন।
কলা:
অনেকদিন আগের কথা। বিটিভির একটা এড।
একজন কলা বিক্রেতা মনের সুখে বাগান থেকে সদ্য কিনে আনা কলাতে কেমিক্যাল মিছাচ্ছে। পাশে বউ তাকে সাহায্য করছে। ২/৩ দিন পর এসব কলা নিয়ে আড়তে যাবে বিক্রি করতে।
যেইনা আড়তে ভ্যান গাড়িতে করে কলা নিয়ে যাচ্ছিল তখন বউয়ের ফোন। আমাদের আড়তি (তাদের বাচ্চার নাম) যেন কেমন করছে। বাচ্চার শরীরের রং নীল হয়ে যাচ্ছে। বল কি? তাইলে হাসপাতালে নিয়ে যাও। আমি আসছি। কোনরকমে তড়িঘড়ি করে আড়তে কলা বুজিয়ে দিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিলেন কলা বিক্রেতা। ডাক্তাররা জানতে চাইল আপনার বাচ্চাকে সকাল থেকে কি কি খাইয়েছেন? তখনই হাউ মাউ করলে কাদতে লাগল কলা বিক্রেতা। সকালে আড়তে যাওয়ার সময় বাচ্চা খুব কাদতে ছিল। আমি কান্না থামাতে তার হাতে একটা কলা দেই...বলে হাউমাউ করে কেদে উঠল লোকটা। ডাক্তার জানতে চাইল কলা ত ভালো জিনিস। নারে ভাই আমি কলাতে কেমিক্যাল মিশাইছিলাম, সেই কলা আমি আমার মেয়ে দিয়েছিলাম কান্না থামাতে।
দূনীতিচক্র:
আমি আমার বোনকে সাথে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যাই। বোনের জন্য পাসপোর্ট দরকার। যথারীতি ব্যাংক ড্রাফট ও ফর্মসহ। বিশাল লাইন। লাইনে দাড়াই। ২/৩ ঘন্টা পার হয়ে যায়। লাইন এক চুল সামনে আগায় না। এমন সময় এলাকার পরিচিত একজনের সাথে দেখা। বোনকে লাইনে রেখে তার সাথে চায়ের নিমন্ত্রনে যাই। বলে এভাবে কাজ হবে না। আপনি কন্টাকে আসেন। মাথায় ত আমার আকাশ ভেঙ্গে পরাব মত অবস্থা। বলে কি? আমি আমার বোনের সাথে কথা বলি। কন্টাকে যাই। ৩০০০ টাকায়। বাস সবকিছু করতে লাগল ৩০ মিনিট। ডেলিভারি স্লিপও পেয়ে গেলাম। ৩০ দিন পর সেই পরিচিত ছেলেটি বাসায় এসে পাসপোর্ট দিয়ে যায়।
অর্থাৎ আমরা কোন না কোনভাবে দূর্নীতি নয় দূনীতি চক্রের স্বীকার।
পানি চক্রের মত। আমি দূর্নীতি করি মানে আমি নিজেই দূনীতির স্বীকার।
ঐশী:
সে কি দূনীতি চক্রের বাইরের কেউ? সৌরচক্রের লাহান দূনীতি চক্রের মধ্যে আবর্তিত হওয়া কোন এক মানব সন্তান...তাই নয় কি?
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
সরদার হারুন বলেছেন: বাস্তব সত্য