![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তানভীরুল হাকিম মিরাজের ব্লগ
তপুকে আবার ফিরে পাবো, একথা ভুলেও ভাবিনি কোনদিন। তবু সে আবার ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। ভাবতে অবাক লাগে চার অছর আগে যাকে হাইকোর্টের মোড়ে শেষবারের মতো দেখেছিলাম, যাকে জীবনে আর দেখবো বলে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি- সেই তপু ফিরে এসেছে।
এভাবেই শুরু করেছিলেন গল্পটি। গল্পের নায়ক তপু বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে কপালে গুলি খেয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়ে। পাকিস্তানি মিলিটারিরা লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এই শেষ।
তপু ৪ বছর পর স্কাল হয়ে ফিরে এলো তার রুমে! তপুর বাঁ পা ছিল ২ ইঞ্চি ছোট। কপালের ফুটো আর বাঁ পা মেপে রুমমেটরা নিশ্চিত হয় এ তপু!!
সেই তপুর স্রষ্টা জহির রায়হানও নিজেই যে এভাবে তপুর মত একদিন হাওয়া হয়ে যাবেন কে জানতো। লেখক যেন ঠিকই জানতেন একদিন তিনিও তপুর মত শহীদ হয়ে অন্তর্ধান হবেন! তপু ফিরে এসেছিল অস্থি হয়ে আর জহিরের অস্থির সন্ধানে আজও সবাই ঘুরে ফিরছে। কি জানি! হয়তো একদিন তিনিও ফিরবেন !
৩০শে জানুয়ারী জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস। ১৯৭২ সালের ৩০শে জানুয়ারি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর কেটে গেছে বহু বছর তবু জহির রায়হানের অস্থির সন্ধান মিললো না। তাঁর অন্তর্ধান নিয়ে বহু কাহিনী, বহু গালগল্প প্রচলিত আছে। এতো এতো গালগল্পের আড়ালেই হারিয়ে রইলো তাঁর নিখোঁজের ইতিহাস। আমরা গালগল্প বলতে পছন্দ করি, যে যার মত করে নিজের স্বার্থমত গল্প বানিয়েছি। তবু কেউ এর অনুসন্ধান করিনি। তদন্ত করিনি।
স্বাধীনতার ঠিক আগমুহূর্তে তাঁর বড় ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের সাথে অপহরণ করা হয় ও হত্যা করা হয়। সেই হত্যা রহস্যও আমারা জানতে পারিনি। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ পাওয়া গেলেও শহীদুল্লাহ কায়সারের লাশ পাওয়া যায়নি। শহীদুল্লাহ কায়সারকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সময় একজনকে চিনে ফেলে তাঁর স্ত্রী ও বোন। পরে তিনি ধৃত হন এবং তাঁর বিচারও হয় অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার, পুলিশ বের করতে পারলোনা শহীদুল্লাহ কায়সারকে কোথায় নেয়া হয়েছে অথবা তাঁর লাশ কোথায়!! সেই অপহরণ কারি ছিলেন তৎকালীন জামায়াত নেতা খালেক মজুমদার। বেঁচে যাওয়া একজন আর বুদ্ধিজীবীদের স্বজনদের বর্ণনা থেকে জানাজায়, হত্যা কারিরাও বাঙালী ছিল। কাঁদা মাখা কোন এক মাইক্রোবাসে করে প্রায় সবাইকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যা ঘটনায়ও আমাদের এইসব তথ্যের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। সরকারী ভাবে কোন তথ্য অনুসন্ধান বা তদন্ত হয়নি!
ইন্ডিয়া থেকে ফিরে এসে জহির রায়হান তাঁর সক্রিয় প্রচেষ্টায় নিজেই আহ্বায়ক হয়ে এনায়েতউল্লাহ খান, সৈয়দ হাসান ইমাম, এহতেশাম হায়দার চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে বেসরকারিভাবে গঠন করেন ‘বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটি’।
অথচ কি অবাক ব্যাপার, অপহৃতদের খুনের রহস্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই অন্তর্ধানে চলে গেলেন। দুই সহোদরের কোন খোঁজ মিললোনা এই স্বাধীন দেশে। সরকারি ভাবে কোন কার্যকর অনুসন্ধান ও হলো না। মুক্তিযুদ্ধে ও বাংলা চলচ্চিত্র সৃজনশীল এ মানুষটির অবদানের কথা আজকের প্রজন্ম প্রায় ভুলতে বসেছে।
কিছু ব্যক্তিপর্যায়ের অনুসন্ধান হয়েছে। তাঁর মধ্যে জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হানের লেখা “পিতার অস্তির সন্ধানে” পড়ে মনে হবে তিনি হয়তো ভাই কে খুঁজতে গিয়ে মিরপুরে শহীদ হয়েছেন। সেদিনের অপারেশনে বেঁচে যাওয়া একজন ছিলেন পুলিশ অফিসার নবী চৌধুরী। মাসিক ২০০০ তার সাক্ষাৎকার গ্রহন করেছিল। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন, সেই অপারেশনে জহির রায়হান ছিলেন। কিন্তু তিনি গুলি খেয়ে ছিলেন কিনা বা শহীদ হয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি। ঐ যুদ্ধের বেঁচে যাওয়া আরেক জন ছিলেন করিম দারোগা। তার ভাষ্য মতে, অনেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও কিছু যোদ্ধা অনেকক্ষণ যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও জহির রায়হানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পারেন নি। যদিও এ ঘটনা সরাসরি করিম দারোগার কাছ থেকে জানা সম্ভব হয়নি। সেই যুদ্ধের আরেক শহীদ মিরপুর থানার দারোগা কাজী আব্দুল আলীমের শালা এম এ হাছান এ বর্ণনা প্রতিবেদক কে জানিয়ে ছিলেন। তিনি নাকি করিম দারোগার কাছ থেকে শুনেছিলেন। কিন্তু সেই করিম দারোগার কোন সন্ধান আর পাওয়া যায়নি!
শহিদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার তাঁর লিখিত বই "মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে” তে উল্লেখ করেন- “৩০ শে জানুয়ারী,সকাল। একটা ফোন এলো। ফোনটা আমার ঘরে ছিল বলে আমি ধরলাম। জহির রায়হানকে চাইলো, মেজদাকে (জহির রায়হান) ডেকে দিলাম। কথা শেষ করে আমার পাশে এসে দাঁড়াল। তাকিয়ে দেখলাম উনার মুখটা উজ্জল দেখাচ্ছে।-----কে ফোন করেছে? ভাবী বড়দার খোঁজ পাওয়া গেসে। মিরপুরের ১২ নাম্বারের একটি বাড়িতে বন্দি হয়ে আছে। আমি এখনি বের হব।বড়দাকে নিয়ে আসব। তাঁর সঙ্গে ছোড়দা, শাহরিয়ার কবির, বাবলু ও পান্নার দুই ভাই ছিল। তারা তাঁর সাথে মিরপুর থানা পর্যন্ত গিয়েছিল”
এতে করে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি সেই অভিজানে ছিলেন। কিন্তু যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাওয়া যায়নি তা হল- ৩০ শে জানুয়ারী এ আক্রমণটা কেন করা হল? কার নির্দেশে করা হয়েছিল। আক্রমণ করা হবে বলেই কি জহির রায়হানকে ফোন করে নিয়ে আসা হয়েছিল? এমনতো নয় যে, অপারেশন হবে শুনে জহির ছুটে গিয়েছিলেন। কোন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ অপারেশন হল?
আনুমানিক প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সেদিনের যুদ্ধে নিখোজ হয়েছিলেন। পরদিন থেকে সেনাবাহিনী ব্যাপক তল্লাশি ও অনুসন্ধান চালিয়েও কারও লাশ খুঁজে পায়নি! শত্রু সংখ্যাও নিশ্চয়ই অনেক ছিল। তবু কোন সুনির্দিষ্ট বর্ণনা জানা সম্ভব হয়নি। যতটুকু জানাজায়, অল্প দিনের মধ্যেই মিরপুরের নিয়ন্ত্রণ বাঙালীদের হাতে চলে আসে। তবু এক অজানা কারনে এ ঘটনা গুলোর কোন তদন্ত হয়নি। সরকারী ভাবে কোন কার্যকর অনুসন্ধান পরিচালনা হয়নি!
বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ২৫ জানুয়ারি প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জহির রায়হান বলেছিলেন, “বুদ্ধিজীবী হত্যার অনেক রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। আমাদের কাছে এমন অনেক তথ্য ও প্রমাণ আছে, যা প্রকাশ করলে অনেকের মুখোশ খুলে যাবে। সময় বুঝে আমি একেক করে সব প্রকাশ করব” অনেকের মতে এ ঘোষণাই তাঁর জন্য কাল হল। আবার অনেকে মনে করেন অন্তর্ধানের পরও অনেকদিন জহির রায়হানকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল!
প্রকৃত অর্থে কি ঘটেছিল তা শুধু অনুসন্ধান আর তদন্ত সাপেক্ষেই বলা সম্ভব। তবে নিঃসংকোচে এটা বলা যায় তৎকালীন সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যার তদন্তে যথাযত পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি। তখন এ রহস্য উদ্ঘাটন অনেক সহজ ছিল। তখন তা করা হয়নি, পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি বরং জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার পর বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্তও সেখানেই থেমে যায়।
আমারা আজ জহির রায়হান অন্তর্ধান দিবস পালন করছি, তাকে বিক্রি করছি। জাতি হিসেবে তাঁর দাঁয় শোধ করতে পারিনি। অনেকেই নিখোঁজ হয়েছিলেন, কিন্তু স্বাধীনতার পর একটা স্বাধীন রাষ্ট্র থেকে তিনি হারিয়ে গেলেন নিজের ভাইকে খুঁজতে গিয়ে? তাঁর মৃত্যুতে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি হল – বুদ্ধিজীবী হত্যা অনুসন্ধান থেমে যাওয়া। বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত ও জহির রায়হানের অন্তর্ধান ঘটনা দুটি গভীর ভাবে জড়িত। কারন তিনি শুধু তাঁর হারিয়ে যাওয়া ভাইকেই খুঁজছিলেন না, তাদের অন্তর্ধানের ও হত্যার রহস্যও খুঁজে ফিরছিলেন এবং এটা বিশ্বাস করাই যায় যে- তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তবে এ হত্যা রহস্যের কারন বাঙালী জাতি জানতে পারতেন।
আমরা শুধু এ নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী একদল সশস্ত্র বাঙালী যুবকে দায়ি করতে পারছি যাদের নিহত ব্যক্তিদের পরিবার আলবদর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং সে তথ্যের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট দলকে ঢালাও ভাবে দায়ি করে যাচ্ছি।
কিন্তু এ ঘটনাগুলো নির্দিষ্ট ভাবে আমাদের জানা প্রয়োজন। কারা কিডন্যাপ করেছিল, কোথায় নেয়া হয়েছিল এবং কে ট্রিগার চেপে ছিলেন? সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন হল কেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল? কারন ৩রা ডিসেম্বরের সার্বিক যৌথ আক্রমণের পর ৭ ডিসেম্বরই কার্যত পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরাজয় মেনে নিয়েছিল। তারা শুধু সেফ এক্সিট খুঁজছিল। মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর কাছে প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়া ঢাকায় পাকিস্তান বাহিনী অথবা তাঁর দোসর বাহিনী আলবদর কেন এই ঝুঁকি নিতে গেলেন?
জাতি হিসেবে আমাদের জন্য সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল- আমারা সুনির্দিষ্ট ভাবে আমাদের শহীদদের সংখ্যা জানতে পারিনি! শহীদদের হত্যাকারীদের সুনির্দিষ্ট ভাবে চিনতে পারিনি। আজকের বাংলাদেশে যুদ্ধবিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সরকারি সুবিধা ভোগ করলেও জহির রায়হানের মত নিখোঁজ ব্যাক্তিদের ও শহীদ পরিবার গুলো কোন সরকারি সুবিধা পাচ্ছে না!
জানিনা জহির কোনদিন ফিরবেন কিনা? আমাদের প্রজন্মের দাবি হল এ ঘটনাগুলোর সঠিক ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আমরা আমাদের অতীত কে ভুলে যেতে চাই না। কারন জহিররা মৃত্যুর পর নতুন করে ফিরে আসে! তাদের অস্থিতে নতুন প্রান আসে!
উল্লেখ্য, জহির রায়হান একাধারে কবি, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক, রাজনৈতিক কর্মী, চিত্রপরিচালক ছিলেন। প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামে। রচনা করেন স্টপ জেনোসাইড, জীবন থেকে নেয়া সহ বহু আলোচিত চলচ্চিত্র।
তিনি ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ওদের জানিয়ে দাও
ওরা আমার ভাইবোনকে
কুকুর বিড়ালের মত মেরেছে।
ওদের ষ্টীম রোলারের নীচে...
ওদের জানিয়ে দাও।
ওরা দেখেও যদি না দেখে
বুঝেও যদি না বুঝে
আগুনের গরম শলাকা দু’চোখে দিয়ে
ওদের জানিয়ে দাও,
মরা মানুষগুলোতে কেমন জীবন এসেছে।
-জহির রায়হান
লেখকঃ তানভীরুল হাকিম মিরাজ
ফ্রিলান্স সাংবাদিক, ব্লগার
এমবিএ (অধ্যয়নরত),
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি)
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৭
মি্রাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দীপু !!
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫
ভুমিসংকর বলেছেন: মনডা খারাপ হয়ে গেল ভাই।
রাজাকার খালেক মজুমদারের কি খবর ? বাইচা আছে এহনও শুয়রটা ?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
মি্রাজ বলেছেন: অনেক আগে শুনেছিলাম ইউএসএ থাকে! এখন ও বেঁচে আছে কিনা জানিনা। তবে তৎকালীন আওয়ামী সরকারই তাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে ছেঁড়ে দিয়েছিল!!
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জনাব ভুমিসংকর
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১
আল ইফরান বলেছেন: ওনার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিন্তু একটা কন্সপিরেসি থিওরি আছে যেটা অনেকেই সময়ের সাথে সাথে চেপে গেছেন।
৭১'এ কোলকাতায় থাকা বাংলাদেশী অনেক নেতার ভোগ-বিলাসী জীবন ও অপকর্মের স্বাক্ষ্য (ডকুমেন্টস+পিকটোরিয়াল) তার কাছে ছিলো।
এবং এই জন্য তাকে হুমকিও দেয়া হয়েছিলো।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
মি্রাজ বলেছেন: ২৫ জানুয়ারি প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জহির রায়হান বলেছিলেন, “বুদ্ধিজীবী হত্যার অনেক রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। আমাদের কাছে এমন অনেক তথ্য ও প্রমাণ আছে, যা প্রকাশ করলে অনেকের মুখোশ খুলে যাবে। মন্ত্রীসভায় ঠাই পাওয়া অনেকের মুখোশ ও খুলে যাবে। সময় বুঝে আমি একেক করে সব প্রকাশ করব” অনেকের মতে এ ঘোষণাই তাঁর জন্য কাল হল। আবার অনেকে মনে করেন অন্তর্ধানের পরও অনেকদিন জহির রায়হানকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল!
আসল কথা হল- এই সবই তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত অর্থে কি ঘটেছিল তা শুধু তদন্তসাপেক্ষেই বলা সম্ভব।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আল ইফরান
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
খোলা মনের কথা বলেছেন: জাতি হিসেবে আসলে আমরা লজ্জিত যে, আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে পারলাম না। এতো মার প্যাচের ভিতর যে সকল ইতিহাস রচনা হয়েছে তার ২০% সঠিক। সত্যটা অদও জানা যাবে বলে মনে হয় না।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১
মি্রাজ বলেছেন: আমাদের দাবী এটাই যে এ ঘটনা গুলোর সঠিক তদন্ত চাই। সঠিক ইতিহাস চাই। এটা নির্দিষ্ট করে জানা উচিত যে অপরাধ গুলো কারদ্বারা সংগঠিত হয়েছিল। ডালাও ভাবে কোন দলকে দোষ দিলে সঠিক ইতিহাস আর জানা সম্ভব হবে না !
খোলা মনের কথা, আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২১
-দীপু বলেছেন: ওদের জানিয়ে দাও
ওরা আমার ভাইবোনকে
কুকুর বিড়ালের মত মেরেছে।
ওদের ষ্টীম রোলারের নীচে...
ওদের জানিয়ে দাও।
ওরা দেখেও যদি না দেখে
বুঝেও যদি না বুঝে
আগুনের গরম শলাকা দু’চোখে দিয়ে
ওদের জানিয়ে দাও,
মরা মানুষগুলোতে কেমন জীবন এসেছে।
-জহির রায়হান