নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত এখন ও অর্জন হয়নি কিছুই। তবে একটা অর্জন হয়েগেছে!! অন্যায় আর অন্যায়কারীর প্রতিবাদ করতে শিখেগেছি!!! সে যেই হোক।।

মি্রাজ

তানভীরুল হাকিম মিরাজের ব্লগ

মি্রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্চ এসেছে ফিরে

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬



মার্চ আসলেই শরীরের ভেতর রক্তাকনা গুলোর গতিপ্রবাহ বেড়ে যায়। অদ্ভুত কোণ উষ্ণতার খেলা চলে মনে। মার্চের শুরু থেকেই আন্দোলনটা ফুঁসে উঠে খুব। গোপন শলাপরামর্শ চলতে থাকে এখানে সেখানে।

সবাই অপেক্ষায় ছিল একটি মুহূর্তটির জন্য, কখন বঙ্গবন্ধু ভরাট কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা করবেন। কত ৭ই মার্চ ঢাকায় কাটিয়েছি কিন্তু সে ৭ই মার্চে যদি ঢাকায় থাকতে পারতাম! হেডফোন কানে লাগিয়ে ভাষণটা শুনলে মনেই হয়না কম্পিউটারের সামনে বসে আছি! মনেহয় রেসকোর্সের জনসমুদ্রেই আছি !!

অনেকের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার অনেকের মতে স্বাধীনতার ঘোষণাই দেন নাই। আমি ভাষণটিকে একটু ডিপ্লোম্যাটিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। বহুবার ভাষণটি শুনে কখন মনে হয়নি তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। কারন স্বাধীনতার ঘোষণা হতে হয় সুনির্দিষ্ট (specific ) । কিন্ত আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর সেদিনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

এটা সত্য যে সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার একটা বিশাল প্রেশার বঙ্গবন্ধুর উপর ছিল। তবু তিনি এক দক্ষ্য রাজনৈতিকের ভূমিকা পালন করেন। সবাইকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেন। সতর্ক করেন। তাঁর অবর্তমানে কি করতে হবে সে ব্যাপারেও দিকনির্দেশনা দেন। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাটাই দেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি একটা সমাধান চেয়ে ছিলেন, যাতে করে অধিক রক্তপাত ও হত্যা এড়ানো যেত।

এটাও সত্য যে বাঙালীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল স্বায়ত্তশাসন ( Autonomous)। ছয় দফা দাবীর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসন অর্জন। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার না তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলো, না তাঁর ছয় দফা মেনে নিল। এটা স্পষ্ট হয়েগেল যে তারা বাঙালীদের দাবিও মেনে নিবেনা, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধীদের কাছে ক্ষমতাও হস্তান্তর করবেনা। উপর্যুপরি ২৫ই মার্চ বঙ্গবন্ধু কে গ্রেফতার করলো ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালো।

সমাধানের সব পথ বন্ধ হয়ে গেল। পাল্টে গেল প্রেক্ষাপট। শুরু হল মুক্তির যুদ্ধ!

আর যারা তখন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তাদের জন্য থাকলো ধিক্কার আর আপসোস। বাঙালীজাতির সাথে এতো গুলো অন্যায় করার পরও যারা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি তারা নিশ্চিত ভাবেই ন্যায় আর অন্যায় কে চিনতে ভুল করেছে।

যেটা অন্যায় সেটা আপনি করলে যেমন অন্যায় আমি করলেও অন্যায়। নিজ ধর্ম বা দলের লোক করলে তাকে যদি অন্যায় বলতে না পারেন তবে বুজতে হবে আপনি ন্যায় অন্যায় চিনতে ভুল করছেন।

এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, পাকিস্তান রাষ্ট্রটির গঠন প্রক্রিয়া একটি ভুল ভৌগলিক কাঠামোর মধ্যে দিয়ে গঠিত হয়েছিল। ২৫শ মাইল দূরের দুটি ভিন্ন ভূখণ্ড কে একই রাষ্ট্র ব্যবস্থায় টিকিয়ে রাখা কোন সহজ ব্যাপার ছিলনা। তদুপরি পশ্চিম পাকিস্থানের শাষক গোষ্ঠী কোন ভাবেই বাঙালীদের রাষ্ট্র পরিচালনায় মেনে নিতে পারেনি। বাঙালীদের সাথে পশ্চিম পাকিস্থানের না ছিল ভাষার মিল, না ছিল সংস্কৃতিক মিল, না ছিল গোত্র, বর্ণ ও জাতের মিল। শুধু ধর্মীয় মিলটি অভিন্ন ছিল।

জলুম নির্যাতনের সাথে এই ভিন্নতা গুলোও স্বাধীনতা সংগ্রামের সিদ্ধান্ত নিতে বাঙালীদের সহযোগিতা করেছিল।

৪৫ বছর পেরুলেও ৭১ আমাদের কাছে অতীত হয়নি! পুরোঘটিত বর্তমান হয়ে এখনও আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.