নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত এখন ও অর্জন হয়নি কিছুই। তবে একটা অর্জন হয়েগেছে!! অন্যায় আর অন্যায়কারীর প্রতিবাদ করতে শিখেগেছি!!! সে যেই হোক।।

মি্রাজ

তানভীরুল হাকিম মিরাজের ব্লগ

মি্রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাতে ইসলামীর ভবিষ্যত রাজনীতি ও একটি পর্যালোচনা

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩



গনতান্ত্রিক দল হিসেবে যে কোন দলের সমালোচনা করার চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করাটা কনেক কঠিন। এর কারন হল এদলের কর্মী সমর্থকরা এখনও সমালোচনা হজম করার জন্য যোগ্য হয়ে উঠেনি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা হল অনেকটা ইরাক যুদ্ধ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মত- হয় তুমি আমার পক্ষের লোক না হয় আমার বিপক্ষের লোক। এর মাঝখানেও যে একটা গ্রুপ আছে তা তারা সম্পূর্ন ইগনর করছে।

"বার্ড’স আই ভিউ" নামে ইংলিশে একটা টার্ম আছে। মানে হল, এমন একটা সম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সম্পূর্ন ব্যাপারটা অবলোকন করা মনে হবে আপনি আকাশ থেকে নিচের সম্পূর্ন দৃশ্যটা দেখতে পাচ্ছেন। অর্থাৎ নিজেকে ঘটনার বাহিরে রেখে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে যে কোন ঘটনার বিচার করা।

আর এই "বার্ড’স আই ভিউ" বা এ দৃষ্টিভঙ্গির খুব অভাব আছে এই দলের লোকদের মাঝে। তারা সবসময় তার পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত হয়ে থাকে। নেতার কথাকে যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে মনে করে।

যখন ড. জাফর ইকবাল এদের সমালোচনা করে কোন আর্টিকেল লিখেন তখন তাকে এমন নগ্নভাবে আক্রমণ করে যে সেটা আর পড়ার বস্তু থাকেনা। আবার আজ যদি সেই জাফর ইকবালই তাদের কোন কাজ ভালো লাগার কারনে তার পক্ষে কোন কলাম লিখেন তাহলে তার পক্ষে তারা এমন বাড়াবাড়ি রকমের সাফাই গাইবে, মনে হবে জাফর ইকবাল স্যার জামাত করা শুরু করেছেন!

এর ভালো উদাহরণ হতে পারেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং গোলাম মাওলা রণি।

আমার মতে এর কারন হল, দলটি তার দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিটা কর্মীদের মাঝে পুস করে। অনেকটা পীরের মুরিদের মত দলীয় মুরিদ বানায়। যারা হয় বুদ্ধি ও যুক্তি প্রতিবন্ধি ।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী হল বনসাই! বয়স হয়েছে কিন্তু সে তুলনায় বুদ্ধি ও শরীর কোন দিক থেকেই বাড়েনি। সেই ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে ন্যশনাল এ্যাসেম্বলীতে পূর্ব পাকিস্তানে কোন আসন না পেলেও ৬% ভোট পেয়েছিল এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫১ প্রার্থী দিয়েছিল দলটি। প্রাদেশিক নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে একটি আসনও জিতে নেয়।এত দীর্ঘ রাজনীতির পরও তাদের সে পার্সেন্টেজ খুব একটা বাড়েনি বরং ক্ষেত্র বিশেষে কমেছে।

আজ আসলে আলোচনা করতে চাই তাদের ভবিষ্যত নিয়ে।

“শীর্ষ নেতাদের ফাসিঁর পর রাজনৈতিক ময়দানে জামাতের নীতি ও সিদ্ধান্ত কি হবে? এবং তরুণ নেতৃত্ব কি ভাবে এটি মোকাবেলা করবেন?” - বর্তমান সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।কারণ জামাত তাদের ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে যতটা না ভাবছে তার চেয়ে অনেক বেশী ভাবছে অন্যদল গুলো।

জামাত একটি দলীয় ক্যাডার ভিত্তিক দল হওয়ার কারণে কখনই হারিয়ে যাবেনা। রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ হলেও তাদের কার্যক্রম মোটেই থামবেনা। কিন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হল-শীর্ষনেতাদের ফাসিঁর পর তাদের রাজনৈতিক ভাবনাতে কার্যত কোন পরিবর্তণ ঘটবে কি? বিচারের পর একাত্তর ইস্যুতে তাদের অবস্থান কি হবে?

দলের অভ্যন্তরের অনেক নেতাই মনে করছেন শীর্ষনেতাদের এ ত্যাগ তাদের জন্য ভবিষ্যতের কল্যাণ বয়ে আনবে। তারা মনে করেন একাত্তর ইস্যুতে তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই, তাদের নেতাদের শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে হত্যা করা হয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়াটি বিস্তর ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তারা বিচার প্রক্রিয়াটি কে কোন ভাবেই মানতে রাজী নয়। অতএব, এ অন্যায় বিচারের কারণে তারা জনগনের সহানুভুতী অর্জন করতে সমর্থ হবে।

এক্ষেত্রে তারা মিশরের ব্রাদারহুডের উদাহরণ দিয়ে থাকে এবং হয়তো এ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বর্তমান কর্মীদের উদবুদ্ধ করা যাবে, কিছু সহানুভূতীর ভোটও পাওয়া যাবে কিন্ত এতে করে কি তাদের পূর্বের দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তণ ঘটবে? ব্যাপক বিতর্কীত একাত্তর ইস্যুতে তাদের অবস্থানের পরিবর্তণ হবে? কারণ তাদের অধিকাংশ কর্মীই মনে করে স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাত বা তাদের নেতারা কোন অন্যায় করেনি।

আজথেকে দশ বছর পর, পরবর্তী প্রজন্ম জানবেনা বিচার প্রক্রিয়াটি কতটা ত্রুটিপূর্ণ্ ছিল। তারা শুধু জানতে পারবে, একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের কারণে জামাতের শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদন্ড দিয়ে ছিল আদালত। এই ব্যাপারটি জানার পরও পরবর্তী প্রজন্ম নিজেদেরকে এ দলটি তে যুক্তহতে কতটা সাচ্ছন্দ্যবোধ করবে তা দলটির জন্য ভাবার বিষয় বলে মনেকরি।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ এই ইস্যুটিকে কি ভবিষ্যত রাজনীতিতে টিকিয়ে রাখবে নাকি বিচারের পর জামাতের ব্যাপারে তাদের মনোভাবে পরিবর্তন ঘটবে? এটাও একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন হতে পারে ভবিষ্যত জামাতে ইসলামীর জন্য।

আমার মতে, আওয়ামী লীগ ইস্যুটি থেকে সর্বচ্চ রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করার চেষ্টা করবে। এতোদিনের পরিশ্রমের ফসল তারা ঘরে তুলবে।জাতীয় রাজনীতিতে ইস্যুটির গুরুত্ব কমলেও জামাত দমনে তারা এটি ব্যবহার করে যাবে। ভবিষ্যতে জেলা পর্যায়ের প্রবিণ নেতাদের জড়ানো হবে।

“যেহেতু জামাতে ইসলামীর নেতাদের বিচার হয়ে গেছে এবং তারা এখন দায়মুক্ত তাই তাদের সাথে এখন ঐক্য করাই যায়” - ভবিষ্যতে যদি আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে এমন বক্তব্য দিতে দেখা যায় এবং জামাতের নেতাদেরও তাদের সাথে একই মঞ্চে ভাষণদিতে দেখা যায় তাতেও অবাক হবার কিছুনেই! যদিও নিকট ভবিষ্যতে সে আশা খুব ক্ষীন! তার জন্য হয়তো আমাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

শীর্ষনেতাদের রায় কার্যকরের পর খুব দ্রুতই জামাতে ইসলামীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের নিতীমালা প্রনয়ণে ও গ্রহনে অনেক বেশী কৌশুলী ও বাস্তববাদী হওয়া উচিত হবে। ধর্ম ও স্বাধীনতা ইস্যুতে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা উচিত বলে মনে করি।সাংগঠনিক প্রচারনাটা MLM কোম্পানির মত না করে মেইন ষ্ট্রিমে নিয়ে আসা উচিত। ব্রেনওয়াশ ছেড়ে পাবলিক এডভারটাইজমেন্ট দিয়ে পলিটিক্স করা উচিত।

মনে রাখতে হবে, নির্বাচনে জয়লাভ, ক্ষমতা গ্রহন ও রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য শুধু জনগনের ভোটই যথেষ্ট নয়। আপনার মতাদর্শ, রাষ্ট্রের প্রতি কমিটমেন্ট, ভবিষ্যত কল্পনা ও সর্বসমাজে গ্রহনযোগ্যতা অনেক বড় ফ্যাক্ট। এ রকম বহু ডিপেন্ডেন্ট ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে রাজনৈতিক ভবিষ্যত। ভুলে যাবেন না, জামাত এখনও এমন কোন অবদান জাতীর জন্য আনতে পারেনি যাতে করে জনগন মনে করতে পারে, দলটি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হবেনা। বরং একাত্তর এটাই প্রমাণ করে যে, আপনারা বাঙ্গালী জাতীর কেউ নন।

তাই প্রতিশোধ গ্রহনের চিন্তা বাদ দিয়ে জাতির জন্য এমন কিছু করুন জাতে একাত্তরের প্রায়শ্চিত্ব হয়। জাতি আপনাদের বিশ্বাস করতে পারে, আস্থা রাখতে পারে। সেটাই হবে সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।

অর্থাৎ বাংলাদেশকে "বার্ড’স আই ভিউ" থেকে দেখুন! আপনি কি চান সেটা না দেখে জনগন কি চায় তা দেখুন!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




জামাতের রাজনৈতিক অর্জন: গণ-হত্যা পরিচালনা ও আমির থেকে জামির সবার ফাঁসী; আগামী সব আমীরের ফাঁসী হবে। ওরা মানুষকে পাথরের যুগে টেনে ধরে রাখার দল, ওরা আরবদের মত হিংস্র ও পেছনে-পড়া কিছু মানুষ

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্ব চেস্টা করছে আধুনিক পলিটিক্যাল, সোস্যাল সায়েন্স, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের উপর ভিত্তি করে মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন করতে; জামাত মানুষকে প্রতারিত করে দলে এনে, ক্ষমতা দখল করে পাথরের যুগে ফিরে যেতে চায়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

মি্রাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই। এটা অস্বিকার করতে পারবেন না যে দেশের ৪-৫ % লোক এদের সমর্থন করে। এবং সংখ্যা টা নিতান্তই কম নয়। তাদের সমর্থকগন অন্যদলের মত নয়। কিন্ত এরাও বাংলাদেশের নাগরিক ! এদের মেরে ফেলতে পারেননা। রাজনীতি করার অধিকার তাদের ও আছে কিন্ত সেটা অবশ্যই প্রথাগত হতে হবে।

তাই তাদের কে মেইন ষ্ট্রিমে নিয়ে আসার দায়িত্ব সকলের। এ ধরনের বিচারের পর কোন ট্রমা যেন কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে হতে জাতিকে । তা না হলে এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা কোনদিন থামবেনা ।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার রাজনৈতিক বিশ্লেশন। এখন সংশ্লিষ্ট সকলে বুঝে সেমত কাজ করলে হয় । কামনা করি দেশের ১৭ কোটি মানুষ ঝাপিয়ে পড়ুক দেশের উন্নয়ন কাজে ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

মি্রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। সেই অপেক্ষায় আমরাও

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: জামাত সম্পর্কে আপনার প্রথম মূল্যায়নটির সাথে একমত। এদের কর্মীদের মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে প্রকারান্তরে নিরুৎসাহিত করা হয়। জাফর ইকবালের "তোমরা যারা শিবির কর" লিখাটি ততটা খারাপ ছিল না, কিন্তু তা বেশীর ভাগ জামাত শিবির ভালভাবে নেয় নি। দলের ভেতরে যদি অন্ধ আনুগত্যের সিলসিলা না থাকতো, তবে জামাত হয়ত আজ যুদ্ধাপরাধীর কাঠগড়ায় দাড়াত না। সেক্ষেত্রে সাধারন মানুষের আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্ব দেয়াটাকে কর্তব্য মনে করত। অন্ধ আনুগত্যের এই সিলসিলাই দলটিকে পেছনে টেনে ধরছে।

"অন্যায়" বিচারের কারনে জনগনের সহানুভূতি তখনই অর্জন করতে পারবে যখন তারা প্রমান করতে পারবে যে বিচার প্রক্রিয়া আসলে অন্যায় ছিল। সে দায়িত্ব জামাতের ঘাড়ে রইল। কিন্তু প্রমান ব্যতিরেকে যতই গলা ফাটানো হোক, তা বরং দলের জন্য ক্ষতিকর হবে। মীর কাশেম আলীর বিচারে ডালিম হোটেলের কুখ্যাতিকে ডিফেন্স অস্বীকার করে নি। ডিফেন্স অস্বীকার করেনি মীর কাশেম আলীর ডালিম হোটেল সংযুক্তিকে। ডিফেন্স শুধু অস্বীকার করেছে তার সক্রিয় অংশগ্রহনকে। সুতরাং সাধারন মানুষ এই ইস্যুতে জামাতের পাশে দাড়াবে - এই আশা করা বোকামী হবে।

দলটিকে সাধারনের কাছে পৌছুতে হলে অতীতের কালো ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিএনপি/আওয়ামী লীগের মত তাদের নেতাদের রাজনৈতিক সফলতা/ব্যর্থতা নিয়ে মুক্ত আলোচনার সুযোগ থাকতে হবে। ভুল স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। নতুবা শত নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে গেলেও দলটি জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারবে না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২২

মি্রাজ বলেছেন: আপনার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি । তাদের কে আগে প্রমাণ করতে হবে তারা বাঙ্গালীদের জন্য কাজ করে, তারা এ দেশটা কে ভালবাসে !

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৪

রাসেল সরকার বলেছেন: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জামাত-শিবিরকে পবিত্র কলেমার তথা দ্বীন-মিল্লাতের শত্রু হিসেবেই গণ্য করে, প্রখ্যাত পীর-মাশায়েকগণ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংঘঠন গুলো ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

মি্রাজ বলেছেন: আমি জামাত শিবির কে নিচক একটি রাজনৈতিক দলের বাহিরে কিছুই মনে করি না। ধর্মটা তারা শুধু ব্যাবহার করছে। যেভাবে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা কে আর বিএনপি জাতীয়তা বাদ কে করছে।

ধন্যবাদ

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

বিলুনী বলেছেন: একটা বিষয় খেয়াল করেন নাই । জামাতী শিবিরেরা এখন কৌশল পাল্টিয়েছে । মাঠে ময়দানে দাবরানী খেয়ে এখন কবিতার বেশ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখে শেখ ফরিদ বগলমে ইট ( কিছু কথা শেখ মুজবের নামে নামকা ওয়াস্তে স্তুতি গেয়ে স্বাধীনতা পেয়ে কি দুর্গতি হল দেশে , থাকে তার পাতা ভরা ফিরিস্তি, টেনে আনে প্রতি কথায় কাটা তারে ঝুলে ফেলানীর ছবি , তনিমা ও ভারতীয় হাতীর কথা ) জাতীয় লিখা লিখে মুক্তি যুদ্ধের চেতনাধারীদের সম্পর্কে একটি নেতি বাচক ধারা সৃজনে সচেন্ট । বুঝে গেছে নিকট ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার নেই কোন সম্ভাবনা, তাই পার্টির নির্দেশে লম্বামেয়াদী লক্ষ নিয়ে বর্ণ চোরাদের মত লিখে যাচ্ছে গল্প কবিতা অবিরত , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নীক নেমের আড়ালে প্রকাশিত হয় তা নিয়মিত অবারিত । লিখা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই সতীর্থরা আসেন দলবেধে মহুর্তে যায় লাইকের বন্যায় ভেসে । অনেকে বিষয়টা ভালভাবে অনুধাবন না করে সেখানে বলে আসেন অসাধারণ । মুক্তিযুদ্ধা চেতনাধারীদেরকে উনারা নাম দিয়েছেন রাণীর পাচাটা দল কিংবা চামচালী , তাই দেখে সতীর্থরা অাল্হাদে হন আটখানা । কোন কোন ক্ষেত্রে বলা হয় এখন সাময়িক সময় বড় খারাপ, তবে সময় এলে মিলে যাবে সেদিনের মত খাপে খাপ । কি সাংঘাতিক কথারে বাপরে বাপ, তার পরেও সেখানেই দেখা যায় কিছু মানুষের দৌড়ঝাপ ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

মি্রাজ বলেছেন: যদি তাই হয় তবে বলবো তাদের জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু ভবিষ্যতে ও অপেক্ষা করছে না ! তাদের এই দূর্দশা দূর হবে না

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেকটাই একমত

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

মি্রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়া কোন সাধারণ ঘটনা নয়।
এর প্রভাব খুব সহজে মিটে যাবে বলে মনে হয় না।
জন মানুষের মাঝে এর প্রতিকৃয়া কী হয়েছে তা বলারমত অবস্থাও দেশে নাই।
দেশে যাদি স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ থাকত, স্থানীয় সরকার বা জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারত - তাহলে হয়ত পরিমাপ করা যেত জনগন বিষয়টা কিভাবে নিয়েছে।

আমাদের একটা বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত - মীর কাশেম আলী বা অন্যান্য যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা গত ৪০ বছর এই দেশেই ছিল। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে তারা কাজ করেছে, হাজার হাজার মানুষের সাথে তাদের ওঠা-বসা, লেদ-দেন তথা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। মানুষ আদালত বা রাস্ট্রীয় বিচারের চেয়ে নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশেরমত সরকার প্রভাবিত বিচার ব্যাবস্থার উপর মানুষের আস্থা খুবই কম। কাজেই এইসব লোকের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে পরিচত কয়েক লক্ষ মানুষ ( রাজনৈতিক কর্মী ছাড়াও ) যদি তাদের ফাঁসিতে মর্মাহত হয় তাহলে তার প্রভাব খুব সহজে মিলিয়ে যাবে, কোন সুদুর প্রসারী প্রতিকৃয়া সৃস্টি করবে না - এটা ভাবা মনে হয় ঠিক হবে না।

আমাদের চিন্তা করা উচিত সেই প্রতিকৃয়া থেকে দেশ ও জাতিকে কিভাবে রক্ষা করা যাবে। আর জামাত নেতাদেরও ভাবা উচিত প্রতিকৃয়াকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে গঠনমুল কাজে কীভাবে ব্যাবহার করা যায়। প্রতিশোধ কেবল নতুন প্রতিহিংসাই জন্ম দেয় - যা কার জন্যই কল্যানকর হয় না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

মি্রাজ বলেছেন: এ ধরনের বিচারের পর সব দেশে বিচার পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হয় যেন কোন ট্রমা তৈরী না হয় । কিন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে সেটা নেই। আর তাতেই করে ভিক্টিম প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে !

সেটাতো চলতে দেয়া যায় না। তাই প্রতিক্রিয়া যেন প্রতিহিংসা না হয় তা নিশ্চত করতে হবে সবার !

সে জন্য হলেও তাদের মেইন ষ্ট্রিমে ফেরত আনা উচিত

আপানার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.