নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যুক্তি দিয়ে বুঝতে অনেক পছন্দ করি।

প্রন্তিক বাঙ্গালী

আমি আমার মাতৃভূমিকে অনেক ভাল বাসি। আমি সত্য বলতে নিভীর্ক। প্রত্যেকটা মানুষই দেশের সম্পদ, সবাই দেশকে সুন্দর করে গড়ার জন্য কাজ করা উচিত, সব কিছুর উদ্ধে উঠে।আমার মাতৃভূমিকে অনেক ভাল বাসি। আমি সত্য বলতে নিভীর্ক। প্রত্যেকটা মানুষই দেশের সম্পদ, সবাই দশকে সুন্দর করে গড়ার জন্য কাজ করা উচিত, সব কিছুর উদ্ধে উঠে।

প্রন্তিক বাঙ্গালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দর্শন ও বিজ্ঞান।

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি সামগ্রিক আর বিজ্ঞান কোন একটি বিশেষ বিভাগ নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু দর্শনের দৃষ্টি প্রকৃিতর কোন বিশেষ দিকের উপর নয় জগতের স্বরূপ ও সামগ্রিক প্রকৃতির উপর নিবদ্ধ। বিজ্ঞান তথ্যজ্ঞাপক বিজ্ঞানীর কাজ পর্যবেক্ষনও পরীক্ষনের সাহায্যে নতুন নতুন তথ্য আবিস্কার। প্রক্ষান্তরে দর্শনের কাজ কোন কিছুর আবিস্কার নয়, প্রচলিত ধারনা ও বিশ্বাসের ভিক্তিও যৌক্তিকতার বিচার বিশ্লষন ও মূল্যায়ন।বিজ্ঞানী চান প্রকৃিতর নিয়মের সাহায্যে তথ্যও ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা দিতে, আর দার্শনিক চান ধারনা ও বিশ্বাসের মূল্য নিরূপন করতে। যেমনঃ বিজ্ঞান পারমানবিক বোমা আবিস্কার করেছে, কিন্তু এর ব্যবহার জনিত সামাজিকও নৈতিক সমস্যার মীমাংসা দেয় নি, দেয়া বিজ্ঞানের কাজও নয়। বিজ্ঞানের কাজ তথ্য আবিস্কারে উদ্দেশ্য সাধনের উপায় নির্দেশই মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। একাদিক বিকল্প উদ্দেশ্যের মধ্যে কোনটির নির্বাচন ও প্রয়োগ নৈতিক দিক থেকে বাঞ্ছনীয় তা জানতেও মানুষ সমানবে আগ্রহী। মূল্যবোধ সংক্রান্ত এ ধরনের জিজ্ঞাসার সদুত্তরের সন্ধান করা হয় দর্শনে। প্রাচীন ধর্মীয় নির্দেশাবলী কের দিননের পরিবর্তিত পরিবেশে প্রযোজ্যন কি না এ নিয়ে যথেষ্ট তর্ক ও মতবিরোধ রয়েছে। ধর্ম সমর্থকদের নিজেদের মধ্যেও ধর্মীয় নির্দেশাবলী প্রয়োগ পদ্ধতি সম্ভন্ধে যথেষ্ট মতবিরোধ দেখা যায়। এ পরিস্থিতিতে স্বাধীন দার্শনিক চিন্তার ভূমিকা সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র দর্শনই সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের নিরপেক্ষ পর্যালোচনা সমীক্ষার অবকাশ রয়েছে। এ কথা অবশ্যই মনে রাখতে হববে যে, জগৎ ও জীবনের যেসব মৌল প্রশ্ন ও সমস্যা নিয়ে ইতিহাসের আদিপর্ব থেকে আলোচনা করে এসেছে, বৈজ্ঞানিক প্রশ্নবলীর ন্যয় তাদের কোন চূড়ান্ত সমাধান নেই। যখননকোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হয়ে যায়, তখনই তা দর্শনের বিষয় না থেকে বিজ্ঞানের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। এ পসঙ্গে বার্ট্টান্ড রাসেলের একটি উক্তি উল্লেখ করা যেতে পারে। রাসেল বলেনঃ"আপনি যদি একজন গণিতবিদ, খনিজবিদন, ঐতিহাসিক, কিংবা অন্য কোন বিষয়ের বিজ্ঞাননীর কাছ থেকে তাঁর বিজ্ঞানে কি কি সঠিক সত্য আবিস্কৃত হয়েছে তা জানতে চানন, তাহলে আপনি যতক্ষন তাঁর কাছে থেকে উত্তর শুনতে চান ততক্ষনই তিনি আপনাকে উত্তর শোনাতে পারবেন। কিন্তু ঠিক একই প্রশ্ন যদি একজন দার্শনিক কে জিজ্ঞাস করেন, তাহলে তিনি বলতে বাধ্য হবেন যে, দর্শন থেকে তিনি বিজ্ঞানীদের ন্যায় তাঁর প্রশ্নবলীর কোন সুনিশ্চিত উত্তর পান নি। কোন একটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান লাভের সঙ্গে সঙ্গেই তা দর্শন থেকে সরে গিয়ে বিজ্ঞানের অঙ্গনে প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত, আজ আমরা জ্যোতিবিদ্যা বলতে যা বুঝি এককালে তাও দর্শনের অন্তভুক্ত ছিল। নিউটনের বিখ্যাত রচনাবলী একসময় প্রকৃতিক দর্শনের গাণিতিক নিয়মাবলী নামে পরিচিত ছিল। মানুষের মন সম্পর্কিত পঠনপাঠন অতীতে দর্শনের অঙ্গীভূত ছিল, কিন্তু আজ তা মনোবিজ্ঞা নামে পরিচিত"।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:১১

মহা সমন্বয় বলেছেন: লেখাটি কোথায় যেন পড়েছিলাম ঠিক মনে করতে পারছি না, তবে ভাল লেগেছে।
আসলে দর্শনের কাজ হচ্ছে যুক্তি তর্ক,চিন্তা,চেতনার মাধ্যমে প্রশ্ন উত্থাপণ করা, প্রয়োজন/অপ্রয়োজন নির্ণয় করা আর বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে দার্শনিকের চিন্তা ধারা ঠিক আছে কি না তা নিয়ে গবেষণা করা।
যদিও দর্শন থেকেই সমস্ত বিজ্ঞানের উৎপত্তি কিন্তু বিজ্ঞান যদি দর্শনের কোন মতবাদ বা বিশ্বাসকে নাকচ করে দেয় তা দার্শনিকের মানতে হবে। দর্শন বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না কিন্তু বিজ্ঞানের আবিষ্কার দার্শনিকের চিন্তাধারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিজ্ঞান দ্বারা যাচাই বাছাই করেই দর্শন শক্তিশালী হয়, যে দর্শন বিজ্ঞান দ্বারা যাচাই বাছাই করা যায় না তাহ হচ্ছে কূদর্শন :-P
আসলে একে অন্যের পরিপূরক .. কি যে লিখলাম তা হয়ত নিজেই বুঝলাম না :-P

২| ১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.