নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লৌকিক লোকলীলা (উপন্যাস: পর্ব-সতেরো)

০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫১

চৌদ্দ

অমল আর আশালতার সম্পর্ক মেনে না নিয়ে জগদীশ দাস আশালতার জন্য অন্যত্র পাত্র খুঁজতে শুরু করলে উভয় সংকটে পড়ে আশালতা। জগদীশ গোঁয়ার ধরনের মানুষ, পরিবারের কারো কথাই তিনি তোয়াক্কা করেন না, নিজে যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। তার সিদ্ধান্তে যদি পারিবারের কোনো ক্ষতিও হয়, অথবা তিনি যদি বুঝতেও পারেন যে তার ভুল হয়েছে, তবুও তিনি কখনো দুঃখ প্রকাশ বা ভুল স্বীকার করেন না, বরং তার সিদ্ধান্ত নেবার পক্ষে অহেতুক অযৌক্তিক যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেন এজন্য যে তিনি মনে করেন দুঃখ প্রকাশ করলে বা ভুল স্বীকার করলে তার পরাজয় বা মর্যাদাহানি হবে! অন্যরা পাল্টা যুক্তি দেখালে তিনি রেগে যান, কেননা তিনি মনে করেন- তিনি পরিবারের কর্তা, তিনি রোজগার করে সবাইকে খাওয়ান-পরান, পরিবারে তার কথাই শেষ কথা! ফলে অশান্তি হবে ভেবে পরিবারের কেউ তার সঙ্গে কোনো তর্কে যায় না। গ্রামে যে ক’জনের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ ভালো, তাদের মধ্যে জগদীশ একজন, ফলে গ্রামের লোকজন তাকে মান্য করে, মানুষের ওপর তার প্রভাব আছে। যে কারণে তিনি সব সময় সতর্ক থাকেন যাতে গ্রামের মানুষ তাকে বা তার পরিবারের দিকে কখনো আঙুল তুলে কথা বলার বা কোনো বাজে কথা বলার সুযোগ না পায়। অমলের সঙ্গে আশালতার সম্পর্কের কথা গ্রামে জানাজানি হলে তিনি আশালতাকে মেরেছিলেন এই কারণে যে তার মনে হয়েছিল অমলের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করে আশালতা গ্রামের মানুষের কাছে তার সম্মানহানি করেছে! এরপর থেকেই তিনি মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে শুরু করেন, দুই জায়গা থেকে পাত্রপক্ষ এসে দেখেও যায় আশালতাকে। আশালতার সামনে তখন দুটি পথ খোলা থাকে- হয় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে অমলকে বিয়ে করা, নয়ত বাবার পছন্দমতো অজানা-অচেনা কোনো ছেলের গলায় মালা পরানো। কিন্তু বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে অমলকে বিয়ে করলে বাবা এবং পরিবারের সম্মানহানি হবে, তার জেদি বাবা কখনোই তাদের বিয়ে মেনে নেবেন না, তার সঙ্গে সম্পর্ক বিসর্জন দেবেন এবং বাকি জীবনে তার মুখ পর্যন্ত দেখবেন না, সারাজীবনের জন্য তাকে বাবা-মা আর ভাই-বোনকে হারাতে হবে, এই ছবিটা স্পষ্ট দেখতে পায় আশালতা। তাছাড়া অমলের পিসির মতো লোকে তাকেও কলঙ্কিনী বলবে, গ্রামের লোকের মাঝে বহুকাল ধরে চর্চা হবে তার পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি, যেমনটা এখনো হয় অমলের পিসির ক্ষেত্রে। সাত-পাঁচ ভেবে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও অমলকে ভুলে থাকতে পারে না আশালতা, ভীষণ ভালোবাসে সে অমলকে, ফলে অজানা-অচেনা কোনো ছেলেকে বিয়ে করে সংসার করার কথা সে ভাবতেও পারে না। তাছাড়া অজানা-অচেনা ছেলেকে বিয়ে করতে সে ভয়ও পায়, যদি বরের সঙ্গে তার বনিবনা না হয়, যদি তার বিয়ের আগের সম্পর্ক নিয়ে বাজে কথা বলে, যদি শ্বশুরবাড়ির মানুষ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে! অজানা-অচেনা কাউকে বিয়ে করার কথা মনে হলেই বান্ধবী শীলার কথা মনে পড়ে তার, ঘটকের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে মহা ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শীলার, কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের সাত মাসের মাথায় বরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় ওর, এর কয়েক মাস পর একরাতে শীলার শোবার ঘরের জানালা দিয়ে কেউ একজন অ্যাসিড নিক্ষেপ করে, শীলার ভাগ্য ভালো যে ও সেদিন বাড়িতে ছিল না আর ওদের বাড়িতে বেড়াতে এসে ওর বিছানায় সেদিন ঘুমাচ্ছিল ওর দিদিমা। অ্যাসিড নিক্ষেপকারী অন্ধকারে দিদিমাকে শীলা ভেবে তার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে আর শীলার দিদিমা অ্যাসিডে পোড়ার যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন। দিদিমার চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসে, তারা চিৎকার করে আর খুঁজতে শুরু করে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীকে। তাদের চিৎকার শুনে চোর ভেবে সারা গ্রামের লোকজন টর্চ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে, অন্য পাড়ার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা পলায়নরত লোকটি, সবাই লোকটিকে চোর ভেবে মুখের কালো কাপড় সরিয়ে দেখতে পায় যে লোকটি তাদেরই গ্রামের মেয়ে শীলার প্রাক্তন স্বামী সুজন! সুজনকে দেখে সকলেই কিছুটা অবাক হয় আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাসিড নিক্ষেপের খবর জেনে যায় সকলে। সুজনকে মারধর করে সেই রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শীলার দিদিমা বেচারি চিকিৎসার ফলে প্রাণে বেঁচে গেলেও তাকে আর চেনা যায় না, পোড়া মুখ আর পোড়া শরীর নিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় বেঁচে আছেন!

অমল এবং ওর পরিবার সম্পর্কে জগদীশ গ্রামের মানুষের কাছে অনেক আজেবাজে কথা বলায়, আর আশালতা পালিয়ে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় অমল আর আশালতার মান-অভিমান, অবস্থা এমন হয় যে এক পর্যায়ে দুজন দুজনের সঙ্গে দেখা করাই বন্ধ করে দেয়! দুজনের সম্পর্কের সরোবরে ক্রমশ মাথা তোলে অভিমানের শীতল বরফের বিশাল চাঙড়! এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জগদীশ তার অনুসারী লোক দিয়ে আশালতার নাম করে অমল আর ওর পরিবারের উদ্দেশে এবং অমলের নাম করে আশালতা আর ওর পরিবারের উদ্দেশে এমন সব কথা গ্রামে ছড়ান যা অমল এবং আশালতা একে অন্যকে বা একে অন্যের পরিবার সম্পর্কে কখনোই বলে নি, কিন্তু অপরের মুখে এসব কথা শুনে ওদের অভিমান আরো বেড়ে যায়।

এই সময়ে একদিন পরিমলের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হলে আশালতা তার সংকটের বিষয়ে ওর সঙ্গে আলোচনা করে আর অমলের বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ উগড়ে দেয়। সেই কৈশোরের শেষ লগ্নে আশালতা পরিমলের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেও ওদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয় নি কখনো। পরিমল আশালতাকে পরামর্শ দেয় ধৈর্য্য ধরার আর দায়িত্ব নেয় অমলকে বোঝানোর যাতে অমল অভিমান করে দূরে না থাকে।
অমল আর আশালতার মান-অভিমানের এই সময়টাতেই হঠাৎ একদিন পরিমলের বাবা প্রশান্ত রায় জগদীশ দাসের কাছে আশালতার সঙ্গে পরিমলের বিয়ের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাব শুনে জগদীশ সঙ্গে সঙ্গে প্রশান্তকে হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই বলেন না, তিনি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলে সময় নেন। মূলত পরিবারের সঙ্গে আলোচনা নয়, তিনি সময় নেন প্রস্তাবটি নিজেই ভাবার জন্য। পরিমল তখন বিএ পাস করে পুরোপুরি বাবার ব্যবসায়ের হাল ধরেছে, আর আশালতা অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে তখন কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করছে। আশালতার অবশ্য ইচ্ছে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার, অনার্স শেষ করার পরই সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে শুরু করে। প্রথমবার লিখিত পরীক্ষায় টিকেও মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়ে যায় সে। তার চেয়ে খারাপ রেজাল্ট করেও তাদের এলাকার কয়েকজনের চাকরি হয়, এতে সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষাও সে দিতে থাকে, কিন্তু বারবার লিখিত পরীক্ষায় টিকলেও মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মেয়ের চাকরির জন্য জগদীশ দাস স্মরণাপন্ন হয় বিদ্যুৎ মাস্টারের, আড়ালে লোকে যাকে বলে- টাউট বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ রাজবাড়ী জেলা স্কুলের শিক্ষক, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে তার ভালো যোগাযোগ থাকার কারণে সে শিক্ষকতার পাশাপাশি সরকারি চাকরির দালালিও করে, গ্রামের চাকরিপ্রার্থী এবং প্রার্থীর পরিবারকে চাকরির প্রলোভন দেখায় সে। শতভাগ নয়, চাকরি দেবার আশি শতাংশ সম্ভাবনার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কোনো চাকরির জন্য আট লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি হলে বিদ্যুৎ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অগ্রিম নেয় পাঁচ লাখ টাকা, বাকি তিন লাখ টাকা নেয় চাকরি হবার পর। আর যদি চাকরি না হয় তাহলে পাঁচ লাখ টাকা থেকে দশ হাজার টাকা কেটে রেখে বাকি চার লাখ নব্বই হাজার টাকা ফেরত দেয় ছয় মাস থেকে এক বছর পরে। এই দশ হাজার টাকা কেটে রাখে চাকরি দেবার চেষ্টা করতে গিয়ে তার যে খরচ হয়েছে সেই বাবদ। এইভাবে সে হয়ত দশ জনের কাছ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা নেয়, কিন্তু চাকরি দেয় দুই জনের। এই পঞ্চাশ লাখ টাকা সে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করে সুদ পায়, আর দশজনের কাছ থেকে খরচ বাদ দশ হাজার টাকা করে কেটে রাখলে আয় হয় এক লাখ। যে দুইজনের চাকরি সে দেয়, সেখান থেকেও প্রায় অর্ধেক টাকা তার লাভ থাকে। বিদ্যুৎ মাস্টারের এই চতুরতার কথা অনেকেই জানে, তারপরও তারা টাকা দেয় এজন্য যে চাকরিপ্রাপ্ত সেই ভাগ্যবান দুজনের একজন যদি হতে পারে এই আশায়। তাছাড়া বিদ্যুৎ মাস্টার টাকা তো ফেরত দেয়, কেবল খরচ বাবদ ওই দশ হাজার টাকা লোকসান হয়। এজন্যই বিদ্যুৎ মাস্টারের স্মরণাপন্ন হয় অনেকেই, আশালতার চাকরির জন্য জগদীশও হয়েছিল। প্রথবার পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার পরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয় নি আশালতার, দ্বিতীয়বার পাঁচ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তিতে তিন লাখ টাকা দেবার পর কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি হয় আশালতার, চাকরি হবার পর দিতে হয় আরো দুই লাখ টাকা।

শিক্ষায় পরিমল কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ব্যবসায়ী হিসেবে যেহেতু সে পাকা আর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো, তাই সবদিক ভেবে-চিন্তে দু-দিন পর জগদীশ তার সম্মতির কথা জানান প্রশান্তকে। বাড়িতেও জানান, আশালতার মা-ও আপত্তি করেন না। কিন্তু বেঁকে বসে আশালতা, বাবাকে সে জানায়, ‘আমি এখন বিয়ে করব না।’

জগদীশ হুকুমের স্বরে বলেন, ‘বিয়ে করব না কইলে তো চলবি নে, দিন দিন বয়স তো কমতেচে না!’
‘বিয়ে যদি করতি অয় অমলকেই করব।’

‘তা তো করবাই! জন্ম দিছি, খাওয়ায়ে-পরাইয়ে মানুষ করছি। পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি দিছি, এহন তো বাবার নাক কাটপাই!’
‘অমলের তো কোনো দোষ করে নাই!’

‘বাইর হওয়া গুষ্ঠির ছাওয়াল, তার ওপর দুই পয়সার হোমেপতি ডাক্তার! যা বোঝো না, তা নিয়ে তর্ক করবা না। সমাজ বলে একটা জিনিস আছে, আমারে সমাজ নিয়ে চলতি অয়। পরিমল তোমার চেয়ে পড়াশোনায় এট্টু কম, কিন্তু ছাওয়াল ভালো, ব্যবসা বুদ্ধি আচে, টাহা-পয়সা আচে। দুইডা ভাই, কোনো ঝই-ঝামেলা নাই। তোমারই তো বন্ধু, আমার চাইতেও তুমি তারে ভালো চেন। পরিমলের সাথেই তোমার বিয়ে, আমার কথা ফাইনাল!’

আশালতার ভেতরে ঝড় বয়ে যায়! কী সিদ্ধান্ত নেবে সে? পালিয়ে গিয়ে অমলকে বিয়ে করবে, নাকি বাবার সিদ্ধান্তে পরিমলকে? নাকি দুজনকেই বাতিল করে অন্য কাউকে? পরিমলকে বিয়ে না করে অন্য কোনো পাত্রকে বিয়ে করতে চাইলে বাবা হয়ত মেনে নেবেন, কিন্তু শীলার পরিণতির কথা ভেবে ভয় হয়, চোখে ভাসে শীলার দিদিমার পোড়া শরীর আর মুখ। শীলার দিদিমার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে ওর গা শিউরে ওঠে!

ওদিকে অভিমানী অমল তখনো অপেক্ষা করতে থাকে আশালতার জন্য, ওর অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় সেই রাতে, যে-রাতে অন্ধকারে ডুবে আশ্চর্য নীরবতা বিরাজ করে ওদের বাড়িতে, কেবল বাড়ির আনাচ-কানাচে জোনাকি জ্বলে আর ঝিঁঝি ডাকে; অন্যদিকে বন্ধু পরিমলের বাড়ি থেকে নানা বর্ণের আলোর রোশনাই ছড়িয়ে পড়ে, মুহুর্মুহু বাজতে থাকে ঢাকের বাদ্য আর সানাইয়ের সুর!


(চলবে.....)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়ছি।
সাথে আছি।

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩১

মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.