নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
সেই কবে হাজী শরীয়তুল্লাহ’র ফরায়েজী আন্দোলনে সাড়া দিয়ে
তৃতীয় প্রজন্মের মুসলমান কালিপদ হক ‘কালিপদ’ বর্জন করে হয়েছিল কলিমুল্লাহ হক
মুসলমানের সন্তানের বাংলা নাম রাখা নাকি হারাম!
তারপর হাজী সাহেবের ফতোয়া অনুযায়ী
কলিমুল্লাহ হক বিবিকে বলেছিলেন বোরকা-হিজাব পরতে আর
শীতলা-মনসা-লক্ষ্মীর পূজা ত্যাগ করতে
শুধু তো পূজা নয়, তারা ত্যাগ করেছিলেন ওই সব পূজা উপলক্ষে তৈরি খাদ্য এবং
আরও অনেক বাঙালি সংস্কৃতি
ওসব নাকি শিরক!
হকবাড়ির আজকের প্রজন্ম পহেলা বৈশাখ-নবান্ন উৎসবকে বলে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি
ওসব পালন করা নাকি মুসলমানের জন্য শিরক!
হকবাড়ির প্রজন্ম কি জানে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার আগে কুরাইশরা ছাড়াও
আরও অনেক পৌত্তলিক গোষ্ঠী কাবামন্দিরে যেত হজ ও ওমরা পালন করতে?
হকবাড়িতে নারকেলের নাড়ু কিংবা মুড়ির মোয়া বানানো হয় না
কখনো নলেন গুড়ে খই মাখানো দূরে থাকুক, খই ভাজাই হয় না!
লুচি হয় না, পায়েস হয় না, নিরামিষও নয়
ওরা বলে এসব নাকি হিন্দুয়ানী খাবার!
তরকারীতে পাঁচফোড়ন?
ওয়াক থু, ওসব তো খায় মালাউন!
অথচ এখন শহরের রেস্তোরায় রেস্তোরায়
ইতালিয়ান, ফ্রেন্স, চাইনিজ, দক্ষিণ ভারতের খাবারের ছড়াছড়ি
ভিড়ে ঠাসাঠাসি, কলিমুল্লাহ হকের বংশধর হকবাড়ির ছেলে-মেয়েরাও যায়
‘ওয়াও’ ‘ওয়াও’ বলে চেটেপুটে খায়!
শিরকের ধুয়ো তুলে হকবাড়ির ছেলে-মেয়েরা
বদলাতে চায় বাংলার হাজার বছরের যত সংস্কৃতি
বংশ পরম্পরায় তারা যে বহন করছে হিন্দুর জিন
তার হবে কী?
পহেলা বৈশাখ, ১৪৩০।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০০
মিশু মিলন বলেছেন: হুম তাই দেখছি।..........নতুন দাঁত গজালে বাপের পাছায় কামড় দেয়।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ। নতুন বছর কাটুক আনন্দে, সুন্দরের সঙ্গে।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৩
মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ।
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১১
বিটপি বলেছেন: দেব দেবীকে দেওয়া প্রসাদ অবশ্যই হারাম - এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
কাজেই পূজার নাড়ু কোন অবস্থাতেই খাওয়া যাবেনা।
দেব দেবীর নামে উতসর্গকৃত যে কোন প্রানীর মাংস হারাম।
তাই হিন্দুবাড়িতে খাবার আগে জেনে নিতে হবে মুরগি বা খাসী কে জবাই দিয়েছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মিশু মিলন বলেছেন: পূজার প্রসাদ বা নাড়ু খাওয়া বা না খাওয়া ব্যক্তির নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু বাড়িতে তো নাড়ু-লুচি বানিয়ে খেতে কেউ নিষেধ করেনি। মসুলমানরা বাঙালির খাদ্যসংস্কৃতিই বর্জন করেছে। নাড়ু, খই, লুচি, নিরামিষ, পাঁচফোরন ইত্যদি তারা বাড়িতেও খায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: যারা নিজের ধর্ম ছেড়ে নতুন ধর্ম গ্রহন করে,তারা নতুন গ্রহন করা ধর্মের প্রতি একটু বেশিই আসক্ত থাকে।