নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোধূলিবাড়ি (উপন্যাস: পর্ব- পনেরো)

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

তেরো

একদিন বিকেলবেলা পুকুরপাড়ে ঘুরে ঘুরে গাছের পরিচর্যা করছি, আগাছা-লতাপাতা তুলে ফেলছি নিরানি দিয়ে, গাছের গোড়া খুঁচিয়ে একটু করে সার দিচ্ছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম গোধুলিবাড়ি’তে নতুন আসা আলপনা নামের একজন ভদ্রমহিলা পুকুরপাড়ের বেঞ্চে বসে কাঁটা দিয়ে উলের কিছু একটা বুনছেন আর নিচুস্বরে গাইছেন ডি এল রায়ের গান-
‘আমরা এমনি এসে ভেসে যাই
আমরা এমনি এসে ভেসে যাই।
আলোর মতন, হাসির মতন,
কুসুমগন্ধ রাশির মতন,
হওয়ার মতন, নেশার মতন,
ঢেউয়ের মতন ভেসে যাই
আমরা এমনি এসে ভেসে যাই
আমরা এমনি এসে ভেসে যাই।।’

এই পর্যন্ত গাওয়ার পর কয়েক সেকেন্ডের বিরতি দিয়ে এই লাইনগুলোরই হামিং দিতে লাগলেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগে এসেছেন তিনি, বাঁধন ওকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আমাদের সবার সঙ্গে। হলরুমে টিভি দেখার সময় আমার সঙ্গে একদিন সংক্ষিপ্ত আলাপও হয়েছে। পেশায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বয়স হয়ত ষাটের কিছুটা ওপরে হবে। আলপনা হয়ত খেয়াল করেননি হলুদ রঙের উলের সুতার বলটি বেঞ্চ থেকে পড়ে পিছনদিকে অনেকটা দূরে গড়িয়ে গেছে। তিনি হামিং বন্ধ করতেই আমি এগিয়ে গিয়ে সুতার বলটা মাটি থেকে তুলে নিয়ে একটা শুষ্ক কাশি দিয়ে বেঞ্চের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি চোখ তুলে আমার দিকে তাকালেন, তারপর আমার হাতের সুতার বলটার দিকে।

‘এটা পড়ে গিয়েছিল।’ আমি আরও কয়েক কদম এগিয়ে আলপনার দিকে বাড়িয়ে দিলাম সুতার বলটা।
তিনি সুতার বলটা আমার হাত থেকে নিয়ে বললেন, ‘ধন্যবাদ।’ নিঃশব্দে মৃদু হাসলেন।

ভদ্রমহিলা এখনও দারুণ সুন্দরী! মাঝারি উচ্চতা, একেবারে কৃশকায় নন, আবার স্থুলকায়ও নন। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ গায়ের রং। দুই কানের কাছে কয়েক গোছা চুলে পাক ধরেছে। সিঁথির দু-পাশের বেশ কিছু চুলও সাদা। কিছুটা লম্বা মুখের গড়ন, গ্রীক দেবীদের ভাস্কর্যের মতো লাগে! পরনে ছাইরঙা শাড়ি, কালো পাড়। গায়ে একই রঙের ব্লাউজ। দুই হাতে দুটো করে স্বর্ণের চুড়ি। কপালে লাল টিপ। লক্ষ্য করেছি- তিনি খুব পরিপাটী থাকেন, কথাও বলেন বেশ গুছিয়ে।

‘স্বাগতম’ বলার পরই আমি আবার বললাম, ‘আপনার গানের গলা কিন্তু বেশ মিষ্টি!’

আলপনা আমার মুখের দিকে ক্ষণিকের জন্য তাকিয়ে রইলেন, তারপর হেসে বললেন, ‘না, না, আমি তেমন গাইতে পারি না। ওই একটু গুনগুন করছিলাম আর কী! আপনি বসুন না।’

আমাকে জায়গা করে দিতে তিনি কিছুটা সরে বসলেন। আমি বসতে বসতে বললাম, ‘আমি গান গাইতে পারি না। তবে আমি সঙ্গীতের একজন ভালো শ্রোতা মনে করি নিজেকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, একেবারে আনাড়ী মানুষের পক্ষে এই গানটি এমন সুরে গাওয়া সম্ভব নয়।’

আলপনা এবার আমার চোখের দিকে তাকালেন, বুঝিবা আমার ভেতরটা পড়ার চেষ্টা করলেন যে আসলেই আমি গানের সমঝদার কি না। তারপর পুকুরের দিকে কিংবা আরো দূরে অপর পাড়ে দৃষ্টি ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘অনেককাল আগে একটি মেয়ে গান শিখতো প্রমথ মাস্টারের কাছে। প্রমথ মাস্টার ছিলেন সঙ্গীতের সাধক। লম্বা-চওড়া মানুষ। চোখে কালো চশমা পরতেন। গায়ের রঙ কালো ছিল বলে সব সময় সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরতেন। রোদ-বৃষ্টি, ঝড় মাথায় নিয়ে ধুলো-কাদা ভেঙে সেই মেয়েটি আর তার দুই ভাই-বোনকে গান শেখাতে আসতেন তিনি। মাস্টারমশাই মেয়েটিকে বলতেন, “তুই কোনোদিন গান ছাড়িস না মা। তোর গলায় মা সরস্বতী আছে। তোর হবে।”তারপর সেই মেয়েটি বাল্য-কৈশোর পেরিয়ে যুবতী হয়েছে, বিয়ে হয়েছে। তারপর সংসারের সঙ দেখে ভয়ে মেয়েটির কণ্ঠ থেকে মা সরস্বতী পালিয়েছেন! মাস্টার মশাইয়ের ভবিষ্যৎবাণী বিফলে গেছে, মেয়েটির জীবনে কিছুই হয়নি।’

বললাম, ‘আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই এরকম না হওয়ার গল্প আছে, আমার জীবনেও আছে। যা হয়নি, তার জন্য ভেবে সময় নষ্ট করে তো কোনো লাভ নেই, সামনে তাকাতে হবে। আর হওয়াটা যে-কোনো বয়সেই হতে পারে। আপনি আবার রেওয়াজ শুরু করে দিন।’

তিনি মৃদু হাসলেন, ‘মনের খেয়ালে মাঝে মধ্যে একটু-আধটু গেয়ে উঠি, কিন্তু হারমনিয়াম নিয়ে রেওয়াজ করা বা সবার সামনে গাওয়া, এই বয়সে আর হবে না।’
‘আপনি চাইলেই হবে। আপনাকে গান গেয়ে লতা মুঙ্গেশকর হতে হবে এমন তো নয়। এই যে আমরা বুড়োরা মাঝে মাঝে ফুটবল খেলি, ম্যারাডোনা হবো বল তো নয়, নিজের আনন্দের জন্য খেলি। আপনিও নিজের জন্য গাইবেন, গোধূলিবাড়ি’র সদস্যদের জন্য গাইবেন।’

‘না, আমাকে দিয়ে আর হবে না।’
‘আপনি চাইলে নিশ্চয় হবে। আমি বেণুদিকে বলব, যাতে আপনাকে আবার হারমনিয়াম ধরাতে পারেন।’
‘না, না, আপনি এটা করবেন না দয়া করে।’
‘না, না, আমি শুনছি নে আপনার কথা। এটা আমাকে করতেই হবে।’

জীবনে দ্বিতীয়বারের মতো আলাপ যে মানুষটির সঙ্গে, সেই মানুষটির ওপর আমি এভাবে জোর খাটিয়ে কথা বললাম কেন কে জানে! সত্যি সত্যি সেদিন রাতে হলরুমে বেণুদিকে পেয়ে বললাম, ‘জানেন দিদি, আলপনা নামে যে ভদ্রমহিলা এসেছেন, উনি গান গাইতে পারেন। একটা সময় চর্চাও করতেন, বিয়ের পর গান ছেড়ে দিতে হয়, যা নিয়ে উনার মনে দুঃখও আছে। কিন্তু এখন উনি সবার সামনে গাইতে চান না। আমি বলেছি যে বেণুদিকে বলে আপনাকে আবার হারমনিয়াম ধরাবো।’

‘তাই নাকি! তাহলে তো হারমনিয়াম ধরাতেই হয়।’
বেণুদি যখন হারমনিয়াম ধরাতে চেয়েছেন আলপনা আর পালাবেন কোথায়!

পরদিনও আলপনা একই জায়গায় বসে সেই একই বস্তুটিই বুনছিলেন উল দিয়ে, আমি পুকুর থেকে জল নিয়ে গাছের গোড়ায় ঢালছিলাম। যখন একটু ক্লান্তবোধ করলাম তখন একটু বিশ্রাম নেবার জন্য বেঞ্চের দিকে এগোলাম, কাছে যেতেই আলপনা মদৃ হেসে বললেন, ‘আপনি আমায় কী বিপদে ফেললেন বলেন তো, পাগল ক্ষেপিয়েছেন! সকালবেলা বেণুদি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে হারমনিয়াম ধরিয়ে দিয়েছেন, যেন তিনি কড়া শিক্ষক আর আমি অনিচ্ছুক ছাত্রী!’
আমি হেসে বললাম, ‘বেণুদি বেশ করেছেন আপনাকে হারমনিয়াম ধরিয়ে।’

সেদিন গল্পে গল্পে গোধূলিবাড়ি’তে গোধূলি নামলো, পাখ-পাখালি নীড়ে ফিরলো, তারপর আমরা ঘরে ফিরলাম। এরপর একই বেঞ্চে বসে গল্পে গল্পে আমাদের আরও অনেক গোধূলিকাল নিঃশ্বেষ হয়েছে সন্ধ্যার অন্ধকারে কিংবা জ্যোৎস্নায়। আমাদের স্মৃতিপাখি চড়ে বেড়িয়েছে দুজনের বিগত জীবনের ফেলে আসা বাঁকে বাঁকে, আর আমরা একে অন্যের কাছে খুলেছি মনের অতলে থাকা অফুরন্ত কথার ঝাঁপি!

আলপনার বাবা ছিলেন গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। এখনকার দিনের মতো শিক্ষাবণিক কিংবা ভিলেজ পলিটিশিয়ান শিক্ষক নয়। সেই আমলের নিবেদিত প্রাণ সত্যিকারের শিক্ষক। জানেন তো, সেই আমলের অধিকাংশ শিক্ষকদের জীবনের একমাত্র ব্রত ছিল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। কোনো কোনো শিক্ষকের নিজের ঘরে চাল বাড়ন্ত থাকলেও গরীব ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষার ফিসের টাকা নিজের পকেট থেকে দিতে দ্বিধা করতেন না। সন্ধ্যার পর বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ছাত্র-ছাত্রীদের খোঁজ-খবর নিতেন, কে কী করছে দেখতেন। কারো অংক বা ইংরেজির সমস্যা থাকলে সমাধান করে দিয়ে রাত করে বাড়িতে ফিরে গিন্নীর বকা খেতেন। আজকাল তেমন শিক্ষক কোথায় পাবেন? পত্রিকার পাতায় প্রায়ই দেখি- গরিব শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফিস দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষক ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে দেননি, অভিমানে শিক্ষার্থীর আত্মহনন। তা বলে আমি বলছি না যে আজকালকার দিনে সব শিক্ষক-ই শিক্ষাবণিক কিংবা ভিলেজ পলিটিশিয়ান। ভালো শিক্ষক নিশ্চয় আছেন। তেমন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকের খোঁজ পেলে আমায় জানাবেন, আমি তাকে ভোর বেলার তাজা ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করবো!
যা বলছিলাম, আলপনার বাবা একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। তাদের বাড়ির পরিবেশও ছিল একটা বিশেষ রুচিতে বাঁধা। বাড়িতে গান-বাজনার চর্চা ছিল, মেয়েদের শিক্ষার পরিবেশ এবং স্বাধীনতা ছিল। আলপনার বেড়ে ওঠাও তেমনি শিক্ষা আর স্বাধীনতার স্বাদ নিতে নিতে। বি,এ পাস করে শিক্ষকতার পেশা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর তিনি পড়েছিলেন উল্টো স্রোতের নদীতে। শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ ছিল অত্যন্ত রক্ষণশীল। বিয়ের আগে অবশ্য পাত্রপক্ষ যথেষ্ট উদার কথাবার্তাই বলেছিল। কিন্তু বিয়ের পর আলপনার স্বামী অ্যাডভোকেট কৃষ্ণপদ একটু একটু করে তার ডানা ছাঁটতে শুরু করেন। প্রথমেই তার গান গাওয়া বন্ধ করেন। আলপনা গান ছাড়তে না চাইলে কৃষ্ণপদ হারমনিয়াম আছড়ে ভেঙে তাকে বলেছিলেন, ‘বউকে বাইজি বানিয়ে টাকা রোজগারের ইচ্ছা আমার নেই যে তোমাকে গান গাইতে হবে!’ তারপর যখন প্রথম সন্তান আলপনার গর্ভে আসে তখন তাকে বাধ্য করা হয় স্কুলের চাকরি ছাড়তে। কৃষ্ণপদ বলেছিলেন, ‘আমার কি টাকার অভাব যে পোয়াতি বউকে দিয়ে চাকরি করাবো? চাইলে তিনটে বউ পুষতে পারি আমি!’

ডানাবিহীন আলপনা বন্দী হন রক্ষণশীল পরিবারের নিবিড়-কঠিন খাঁচায়। তিনি কখনও কৃষ্ণপদ’র মনের নাগাল পাননি। আর তার মন বোঝার মতো রুচিবোধ এবং পারিবারিক শিক্ষা কৃষ্ণপদ’র ছিল না। একমাত্র অর্থ ছাড়া পৃথিবীর বাকি সবকিছু ঝাপসা দেখতেন কৃষ্ণপদ! দুজনের রুচির ব্যবধান ছিল বিস্তর। মানসিক নিপীড়নের পাশাপাশি তাকে কৃষ্ণপদ’র হাতে শারীরিক নিগ্রহের শিকারও হতে হয়েছে।

এই উল্টো স্রোতে আটটি বছর জীবনের নৌকা বাইতে হয়েছে আলপনাকে। হয়ত ভুল বললাম, নৌকা তিনি বাইতে পারেননি, বিরুদ্ধ স্রোতের বিপরীতে উজানে যেতে না পেরে হাল ছেড়ে দিয়ে তিনি কেবল ভেসেছেন ভাটির দিকে। বিবাহিত জীবনের নবম বছরে হার্ট অ্যাটাকে কৃষ্ণপদ’র মৃত্যু হয়। কৃষ্ণপদ যেমনি দু-হাত ভরে টাকা রোজগার করতেন, তেমনি খরচও করতেন দেদার। বাজারের সেরা মাছটা, খাসির রানটা তার ব্যাগেই ঢুকত। দেশী হোক কিংবা বিদেশী, মদ ব্যতিত তিনি একটি সন্ধ্যাও অতিবাহিত করতে পারতেন না। বাড়িতে ঘটা করে দূর্গা পূজা এবং রক্ষাকালী পূজা করতেন, বিপুল ছিল তার খরচ। ফলে স্ত্রী-সন্তানদের জন্য খুব বেশি টাকা রেখে যেতে পারেননি তিনি। তাই অর্থনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হবার আগেই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটা মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন আলপনা। রক্ত জল করে ছেলে-মেয়েদেরকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তিনি। একসময় ছেলে-মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। ছেলেদের বিয়ের পরই আলপনা বুঝতে পারেন যে সংসারে তিনি অবাঞ্ছিত অতিথি হয়ে পড়েছেন। এটা তিনি আরও বেশি করে উপলব্ধি করেন চাকরি থেকে অবসর নেবার পর। বুদ্ধিমতি এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আলপনা এক পর্যায়ে ছেলেদের সংসার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেন এবং বৃদ্ধাশ্রম খুঁজতে খুঁজতে গোধূলিবাড়ি’র কথা জানতে পারেন।

গোধূলিবাড়ি’র সকল বাসিন্দাদের জীবনের গল্পের প্লট প্রায় একই, গল্পের মাঝখানে আলাদা কিছু চড়াই-উৎরাই আছে, কিন্তু শেষটা যেন একই শব্দগুচ্ছে গাঁথা একটি বাক্য!

আপনারা হয়ত ভাবছেন- আলপনা আমাকে এত কথা কেন বলেছেন? ঐ যে বললাম, আমাদের স্মৃতিপাখি চড়ে বেড়িয়েছে আমাদের বিগত জীবনের বাঁকে বাঁকে। স্মৃতিপাখি বিরান বালুচর, ধু-ধু মাঠ, বিজন অরণ্য চড়েছে আর আর আমরা একে অন্যের কাছে খুলেছি মনের অতলে থাকা কথার ঝাঁপি!



(চলবে.......)



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: একটা বিষয় আমি বলি, আমাদের দেশে খাঁটি শিক্ষক খুব কম।
প্রাইমারী স্কুলে ভালো শিক্ষক নেই। যারা প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করেন, তাঁরা অযোগ্য অদক্ষ। সরকার এবিষয়ে নিরব।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৪

মিশু মিলন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা খুব ভয়াবহ! ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। ক্লাসের পাঠ্য বইয়ের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ার অভ্যাস শিক্ষকদের নেই। অধিকাংশ শিক্ষকদের বাড়িতে আপনি কোনো বুকশেলফ খুঁজে পাবেন না। এদের হাতে পড়ে দেশে অর্থ রোজগারের যন্ত্র তৈরি হচ্ছে, জ্ঞানী-গুণী নয়। ধন্যবাদ।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

শায়মা বলেছেন: গুড। ওল্ড হোমের সুখের গল্পগুলি।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৭

মিশু মিলন বলেছেন: বৃদ্ধাশ্রমের পরিবেশ সুখের-ই হওয়া উচিত। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.