নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
একজন ঋণখেলাপী ব্যাংক থেকে অন্যের টাকা ঋণ নিয়ে গায়েব করে দিলে সেটা যেমনি অপরাধ, তেমনি একজন শিল্পী অন্যের লেখা বা শিল্পকর্ম নিজের নামে চালিয়ে দিলে, সেটাও অপরাধ। খুন, ধর্ষণ, টাকা লোপাট না করলেও অনেক শিল্পী এই ধরনের অপরাধ করেন; কিংবা তার শিল্প সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সময়ে নানা অপরাধ করেন।
দেবজ্যোতি মিশ্র, তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত সুরকার। সম্প্রতি তিনি ফেইসবুকে একটি চিত্রকর্ম পোস্ট করে নিজের আঁকা বলে উল্লেখ করেন। ছবিটা আসলে ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী জিওভান্নি বলদিনি’র আঁকা- ‘A Path Through Trees in the Bois de Boulogne.’
আমি একটু পিছনে ফিরে ২০২২ সালের আগস্ট মাসের দিকে তাকাই। ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় লেখক সালমান রুশদি’র ওপর হামলা চালায় একজন ইসলামী জঙ্গি। পরদিন ১৩ আগস্ট আমি ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিই- ‘১২০ বছরের বৃদ্ধ কবি আবু আফাককে দিয়ে কোপানো শুরু হয়েছিল, তিনি তখন উঠোনে খাটিয়ায় শুয়ে ছিলেন। সর্বশেষ সালমান রুশদি। এর শেষ কোথায়!!!’
পরদিন ১৪ আগস্ট আমার এই কথাগুলোই দেখতে পাই সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্রের পোস্টে। সেখানে চিন্ময় গুহ নামে এক ভদ্রলোক মন্তব্য করেন- ‘সংগীত ও বিশ্বচরাচর মিশে গেছে তোমার মধ্যে।’
দেবজ্যেতি মিশ্র সেই মন্তব্যের উত্তর দেন- ‘প্রিয় চিন্ময় দা।’ (এরপর নমস্কারের ইমো)
তার মতো একজন সুরকারের এহেন কর্ম দেখে আমি খুব অবাক হই, মনে মনে হাসি সংগীত আর বিশ্বচরাচরের মিশে যাওয়া দেখে!
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি দেবজ্যোতি মিশ্র তখন অব্দি কবি আবু আফাকের নামই শোনেননি, খুনের ইতিহাস জানা তো দূরের কথা। খুনের ইতিহাস আর কে খুন করিয়েছিল আফাককে, তা জানলে তিনি কখনোই আমার পোস্ট কপি করতেন না, বাজার নষ্ট হবার আশঙ্কায়! আবু আফাককে চিনতে হলে যে ধরনের বই পড়তে হয়, সেই ধরনের বইয়ের সঙ্গে তার পরিচয় আছে বলেই আমি বিশ্বাস করি না। ২০১৬-১৭ সালে আমার উপন্যাস সাইমুম (পরবর্তী নাম- জন্মান্তর) এ কবি আবু আফাক, কবি আসমা বিনতে মারোয়ানের খুন হবার কথা তুলে ধরেছি।
দেবজ্যেতি মিশ্রের অন্তত এটুকু স্মরণ রাখা উচিত ছিল যে আমি তার ফেইসবুক বন্ধু তালিকায় আছি।
বিষয়টি আমি চেপে যাই। তিনি আমার পছন্দের সুরকার। তার সংগীতায়জনে নৌকাডুবি সিনেমার রবীন্দ্রসংগীতগুলো যে কতবার শুনেছি তার ঠিক নেই, এখনো মাঝে মাঝে শুনি, ভবিষ্যতেও শুনবো। এনামুল করিম নির্ঝর পরিচালিত ‘আহা’ সিনেমার ‘লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প’ আর ‘দূর ইশারায় আছড়ে পড়ে আকাশ’ গানদুটিও একসময় খুব শুনেছি। পেশাগত কারণে তার সাথে দু-বার কথাও হয়েছে আমার। ওই ঘটনা চেপেই গেছি। কিন্তু এখন দেখছি তিনি একই অপরাধ বারবার করেন। তাকে থামানো দরকার। আর তাকে দেখে অন্যরাও যাতে সচেতন হয়। শিল্পীরা সৎ হলে সমাজে ইতিবাচক বার্তা যায়, সেই সততা মানুষকেও প্রভাবিত করে, মানুষ শিল্পীদের অনুসরণ করে। শিল্পীরা সৎ না হলে তারা কিভাবে ঋণখেলাপী, টাকা পাচারকারী, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজ, মজুদদারদের বিরুদ্ধে কথা বলবে!
প্রিয় শিল্পীরা যখন এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেন, তখন খুব বিব্রত হই, কষ্ট লাগে। আশা করি শিল্পীরা এটা বুঝবেন। শিল্পীদের বোঝা উচিত যে তার যা নেই, সেই জিনিসের বৈভব দেখাতে যাওয়া অনুচিত। এটা সাংস্কৃতিক অপরাধ বা কালচারাল ক্রাইম।
ঢাকা
৬ জুন, ২০২৪
০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৮
মিশু মিলন বলেছেন: আমি তো ধর্মীয় কোনো বক্তব্যের উল্লেখ করিনি। কোন বক্তব্যগুলোর কথা বলছেন?
২| ০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সরাসরি কথা হয়নি তার সাথে এ বিষয়ে?
০৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:০০
মিশু মিলন বলেছেন: না, এ বিষয়ে কথা বলে তাকে বিব্রত করতে চাইনি।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩৫
অগ্নিবেশ বলেছেন: জায়গামত প্রতিবাদ না করে ব্লগে এসে প্যানপ্যানানি। লজ্জাবতী লতা।
০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মিশু মিলন বলেছেন: একটা পোস্টের কপি করা একজন সম্মানিত সুরকারকে লজ্জা দিতে চাইনি। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যখন একই কাজ বারবার করে, তখন প্রতিবাদ করতে হয়। আর ব্লগও প্রতিবাদের জায়গা। আমি কোথায় কিভাবে প্রতিবাদ করব আপনি ঠিক করে দেবেন? সভ্যতা-ভব্যতার বিষয়টা মাথায় রেখেই অন্যের পোস্টে মন্তব্য করতে হয়।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫
এম ডি মুসা বলেছেন: সাংস্কৃতিক অপরাধ নয়।
০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মিশু মিলন বলেছেন: তাই! তবে কী?
৫| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: নবীর বিরুদ্ধে কিছু বললে তাকে হত্যা করতে হবে।ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে গেলেও তাকে হত্যা করতে হবে।এই সব বক্তব্য থাকা উচিত না।এটা অমানবিক।
০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
মিশু মিলন বলেছেন: একমত। এই অমানবিক বিষয়গুলোর জন্যই ইসলাম টিকে আছে। নইলে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ ইসলাম ত্যাগ করত। এখন তো মাদ্রাসায় পাস করা হাফেজরাও ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের এই বক্তব্যগুলিরস পরিবর্তন দরকার।কোন কিছু পরিবর্তন করা যাবে না,এই ধারনা থেকে মুসলমানদের বের হয়ে আসতে হবে।