নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব চলে গেছে নষ্টদের দখলে , আমিও একদিন নষ্ট হব....

দেহঘড়ির মিস্তিরি

তীব্র কোলাহলের মাঝে একচিলতে নিরবতা , অনেক রঙের মাঝে একটু খানি বিবর্ণতা , অনেক ভিড়ের মাঝে স্বেচ্ছায় হারিয়ে যাওয়া , চিন্তার ঘূর্ণিপাকের মাঝে বেঁচে থাকা।

দেহঘড়ির মিস্তিরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন ঘাতক-দালাল, রাজাকার , আল শামস , আল বদরদের সংজ্ঞা জানি

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩

আমরা সকলেই ঘাতক -দালাল , রাজাকার , আলবদর , আল শামস শব্দগুলোর সাথে পরিচিত , কিন্তু ঐতিহাসিক গুরুত্ব তথা এদের পার্থক্য সম্পরকে অবগত নই , আমরা অনেকেই অবগত নেই কাদের ভুমিকা কতটূকু ছিল আর কারা স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন , কারা অনিচ্ছায়, আজকে মুলত ঘাতক-দালাল এবং অনন্য বাহিনীগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতা দেখানর চেষ্টা করা হবে......

১৯৭২ সালে ২৪ জানুয়ারি দালাল অধ্যাদেশ "বাংলাদেশ কোলাবরেটরস স্পেশাল ট্রাইবুনালস অর্ডার ১৯৭২" অনুসারে দালাল হচ্ছে সেই সকল নরপিশাচ যারা

#১. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনিকে বাংলাদেশে বেআইনি দখল টিকিয়ে রাখার জন্য সাহায্য করা, সহযোগিতা করা



#২. প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী বস্তুগত সহযোগিতা প্রদান বা কোন কথা , চুক্তি , ও কারযবলির মাধ্যমে হানাদার বাহিনিকে সাহায্য করা



#৩ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে যুধ করা বা যুদ্ধের চেষ্টা করা



#৪ মুক্তিবাহিনির বিরুদ্ধে বা মুক্তিকামি জনগনের করমকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তলা



#৫ পাকবাহিনির অনুকুলে কোন প্রচারনা কিংবা বিবৃতি প্রাদান , কোন প্রতিনিধি , দল , কিংবা কমিটির সদস্য হওয়া ,হানাদারদের আয়জিত উপনির্বাচন এ অংশ নেয়া



রাজাকারঃ এই শব্দের অনেক ভুল ব্যখ্যা দিয়ে থাকে আমাদের অনেক গুরুজনই । শব্দটির উতপত্তি ফারসি শব্দ "রেজাকার" হতে যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক , সর্বপ্রথম ব্যাবহার করেন জামাত নেতা এ,কে এম ইউসুফ,

এটা বললে একটু ভুল থেকে যায় সর্বপ্রথম ব্যাবহৃত হওয় ১৯৪৭ সালে হায়দ্রাবাদের নিজাম কর্তৃক । ৯৬ জন লোকবল নিয়ে এর কাজ শুরু হলেও এটার পরিধি ক্রমশ বাড়তে থাকে

এরাই সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতির কারন ছিল মুক্তিযুদ্ধে ।

এই বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হত জামায়াতে ইসালাম কর্তৃক।১৯৭১ সালের জুন মাসে জেনারেল টিক্কাখান রাজাকার অধ্যাদেশ জারি করে এদের সাংবিধানিক বৈধতা দেন।



আলবদর এবং আলশামসঃ এই দুটি গ্রুপ ছিল মুলত প্যারামিলিটারি ধাচের। মুলত ডেথস্কোয়াড টাইপের , ছাত্র সঙ্ঘের প্রধান নাজিম-ই-আলা মতিউর রহমান নিজামি ঢাকা ইউনিভারসিটি হতে এদের কার্যক্রম শুরু করে। রাজাকার এদের মধ্যে মূল পার্থক্য ছিল লক্ষ্যনীয় , অনেকে অবস্থার স্বীকার হয়ে রাজাকার হয়েছেন , কিন্তু প্যারামিলিটারি দুই গ্রুপের সবাই ছিলেন ট্রেনিং প্রাপ্ত এবং স্বেচ্ছাসেবক। আল বদরদের মূল টার্গেট ছিল বাংলার বুদ্ধিজিবি সমাজ যারা বাংলার স্বাধীন অস্তিত্তের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন ।আলবদর বাহিনির সুত্রপাত ঘটে জামালপুর থেকে। এদের রাজাকারের মত সাংবিধানিক বৈধতা ছিলনা অধিকিন্ত এরা পাকি বাহিনির প্যারালাল বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে



শান্তি কমিটিঃ এর সদস্য ছিল মুলত এলীট গোষ্ঠী , রাজনিতিবিদ , সুবিধাবাদি বুর্জুয়া গণ , এরা অপেক্ষাকৃত নরম মানসিকতা ধারন করতেন , যারা ইসলামকে নিজেদের কায়েমি স্বার্থের হাতিয়ার ভেবেছিলেন .......



(ভাই পোস্ট ভালো লাগলে , হাল্কা করে লাইক এ গুতা দিয়ে যাইয়েন :P:P:P)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মিলন মো রাকিব বলেছেন: valoi likhesen > thanks

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩২

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.