![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ, তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে।" ---ডাব্লিউ এস ল্যান্ডস।
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন
উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং সরকারী অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-টেণ্ডারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। তারই ধারাবাহিকতায়, গত ০২ জুন ২০১১ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ইলেকট্রনিক গভর্ণমেণ্ট প্রকিউরমেণ্ট (ই-জিপি) পোর্টালটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
ই-জিপি সিস্টেম কী?
ই-জিপি সিস্টেম একটি জাতীয় পোর্টাল (http://www.eprocure.gov.bd) যার মাধ্যমে ক্রয়কারী সংস্থা এবং ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহ নিরাপদ ওয়েব ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে যাবতীয় ক্রয়কার্য সম্পাদন করতে পারবে। যেমনঃ বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা তৈরি করা; দরপত্র আহ্বান করা; প্রস্তাবের জন্য অনুরোধ করা; কোটেশনের জন্য অনুরোধ করা; দরপত্র/আবেদন/প্রস্তাব তৈরি, জমা, উন্মুক্তকরণ ও মূল্যায়ন করা; চুক্তি সম্পাদন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; চুক্তি ব্যবস্থাপনা, আর্থিক লেনদেন এবং ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রধান প্রধান নির্দেশিকার মাধ্যমে সম্পাদিত কার্যাবলী পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন এবং সংশোধন করা।
কিভাবে ই-টেন্ডারিং-এ অংশগ্রহণ করা যাবে?
নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশিত ই-টেন্ডারিং এ অংশগ্রহণ করা যাবে। দরপত্রদাতা/পরামর্শক প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি পরামর্শক/সরকারি মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজসমূহ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পূর্ণ করার পরই একজন দরদাতা হিসেবে ই-জিপি সিস্টেমের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহার করে ই-টেন্ডারিং এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধনের জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
ই-জিপি সিস্টেমের মূল পাতা থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিবন্ধনের জন্য দরপত্রদাতা/পরামর্শক কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যাবলী এবং ডকুমেন্ট সিপিটিইউ থেকে প্রাথমিক যাচাইয়ের পর নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ই-জিপি সিস্টেমের সম্ভাব্য ব্যবহারকারীগণকে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত পেমেন্ট স্লিপসহ সকল প্রয়োজনীয় দলিলাদি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
নিবন্ধনের জন্য কি কোনো ফি দিতে হয়?
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিপিটিইউ/আইএমই বিভাগ ব্যবহারকারীর নিবন্ধন ফি সহ যে কোনো ধরনের ফি আরোপ বা মওকুফ করতে পারবে। বর্তমানে দেশীয় দরপত্রদাতা/পরামর্শকদের জন্য নিবন্ধন ফি হিসেবে বার্ষিক ৫,০০০ টাকা এবং নিবন্ধন নবায়নের জন্য ২,০০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীদের নিবন্ধনের জন্য ১০০ মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক নবায়ন ফি হিসেবে ৩০ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। ই-জিপি সিস্টেমে লেনদেন, নির্দিষ্ট সময়ান্তে নবায়ন, অতিরিক্ত ধারণ ক্ষমতা সৃষ্টি, ই-জিপি সিস্টেমের নির্দিষ্ট ফিচার/মডিউল ব্যবহার, চালু রাখা, সংশোধন কিংবা পরিচালনার জন্য সিপিটিইউ/আইএমই বিভাগ অতিরিক্ত ফি ধার্য করতে পারবে।
ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধন বা নবায়ন ফি কিভাবে জমা দেয়া যাবে?
নগদ/পে-অর্ডার/একাউন্ট থেকে একাউন্টের মাধ্যমে কিংবা, দরদাতা ব্যাংকে গিয়ে ফি প্রদান করতে পারবেন। ব্যাংকসমূহ তাদের নিয়মানুযায়ী দরপত্রদাতাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করতে পারবে।
ই-জিপি সিস্টেমে আর্থিক লেনদেন কিভাবে সম্পাদিত হবে?
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ই-জিপি সিস্টেমের ফি গ্রহণের জন্য অনুমতি পাবে এবং ই-জিপি সিস্টেমে আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ করতে পারবে। ব্যাংকসমূহ তাদের নিজস্ব সার্বক্ষণিক ও নিরাপদ ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে।
ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে প্রেরিত দরপত্র কী নিরাপদ?
ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে দরদাতাদের প্রেরিত দরপত্র নিরাপদ। কারণ দরপত্র জমাদানের শেষ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরই কেবল দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি ডাটাবেইজে নিরাপদে রক্ষিত অবস্থায় থাকা দরপত্রে প্রবেশ করতে পারবে এবং দরপত্রদাতাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির সদ্য/ক্রয়কারী সংস্থা/ই-জিপি প্রশাসক বা দরদাতা নিজে বা অন্যান্য ব্যবহারকারী/অংশগ্রহণকারীগণ দরদাতার পরিচয় বা জমাকৃত দরপত্রের ভিতরে কি আছে তা কোনোভাবেই তা জানতে পারবে না।
কিভাবে দরপত্র জামানত ও কার্য সম্পাদন জামানত প্রদান করতে হবে?
ই-জিপি পেমেন্ট নেটওয়ার্কের ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ/ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডার/ব্যাংক এডভাইস বা ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে দরদাতার দরপত্র জামানত এবং কার্য সম্পাদন জামানত প্রদান করবে। পরবর্তীতে ব্যাংক ই-জিপি সিস্টেমে আর্থিক লেনদেন হালনাগাদ করবে।
দরপত্র দলিল ক্রয়ের জন্য ফি প্রদানের পদ্ধতি কী?
ই-জিপি সিস্টেমে আপলোডকৃত দরপত্র দলিল (টেন্ডার ডকুমেন্ট) ডাউনলোড করার আগে দরদাতাকে অবশ্যই ক্রয়কারী সংস্থা কর্তৃক ধার্যকৃত ফি ই-জিপি সদস্য ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। দরদাতার প্রদানকৃত ফি ব্যাংক কর্তৃক ই-জিপি সিস্টেমে হালনাগাদ করার পরই কেবল দরপত্রদাতা কর্তৃক দরপত্র দলিল ডাউনলোড করার জন্য সংশ্লিষ্ট লিংক সক্রিয় হবে। অর্থাৎ দরপত্র দলিল ডাউনলোড করা যাবে।
ই-জিপি সিস্টেমে অন-লাইনে জমাকৃত দরপত্র কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে?
ক্রয়কারী কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া সময়ের মধ্যেই কেবল মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগণ ই-জিপি সিস্টেম ও দরপত্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ই-জিপি সিস্টেম দরদাতাদের উদ্ধৃত মূল্য ও মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত নির্ণায়কের উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তুলনামূলক ছক তৈরি করে দিবে। মূল্যায়ন কমিটি সকল তথ্য, তূলনামূলক ছকসহ তাদের মতামত ও সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করে মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করবে এবং অন-লাইনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করবে।
ই-জিপি কার্যক্রমের সুবিধা কী?
পুরো সরকারী ক্রয় কার্যক্রমের একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ প্রতিষ্ঠিত হবে; দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ ও আইন/বিধি’র পরিচালন পরিবীক্ষণে একটি জাতীয় প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠিত হবে; ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালুর ফলে ক্রয় কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরনের বিদ্যমান জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হবে; অধিক সংখ্যক দরদাতা অবাধে ক্রয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে তথা অধিকতর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হবে; প্রচলিত পদ্ধতিতে দরপত্র জমাদানের বিদ্যমান সমস্যা দূর হবে; সরকারি ক্রয়ের গুণগত মান অধিকতর বৃদ্ধি পাবে; ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
[ লেখকঃ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রোগ্রামার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা। ই-মেইলঃ [email protected] ]
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু) বলেছেন: Facebook: http://facebook.com/moyazzem24
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
আমি হনুমান বলেছেন: আপনেরে কে কইছে "সরকারী অর্থ ব্যয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টেণ্ডারিং /ই-টেণ্ডারিং ব্যবস্থা" এটা ১টা ডাহা মিথ্যা কথা
সরকারী অর্থ ব্যয়ে অধিকতর অস্বচ্ছতার জন্য টেণ্ডার করা হয় যার অসংখ্য প্রমান রইছে.....
আমি অন্তত আমার ৬ বছরের টেন্ডার লাইফে কখনো আপনার বানির সত্যতা পাইনাই
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
রাজীব বলেছেন: ধন্যবাদ। কাজে লাগবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু) বলেছেন: You Can Read My Today's Article/Column
From: "The Daily Arthoniti Protidin (দৈনিক অর্থনীতি প্রতিদিন)"
Date: 24_01_2013.
Subject: ই-জিপি সম্পর্কে ধারণা।