নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক আমার ভাবনা........

"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে।"

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু)

"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ, তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে।" ---ডাব্লিউ এস ল্যান্ডস।

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত রাখতে করনীয়

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন



কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে, সেই সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং সাইবার জগতে যোগ হচ্ছে নতুন-নতুন ওয়েব সাইট। প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন আমরা কতনা ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়াই, কত চেনা, কত অচেনা, এভাবে প্রায় সব কম্পিউটার ব্যবহারকারীই কোন না কোন ভাবে ভাইরাসের (ভাইরাস, ট্রোজান, ওয়ার্ম, স্পাইওয়্যার) দ্বারা কম বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তথ্যের সমুদ্রে ভেসে বেড়াব আর কম্পিউটারে কোনপ্রকার আঁচড় লাগবে না এটা ভাবাই যায় না। সেজন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে, অপ্রয়োজনীয় কোন মেইল ও লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়। ভাইরাসের প্রথম ভয়ংকর দিকটি হচ্ছে এরা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অগোচরে নিজেরা নিজেদের কপি তৈরি করতে পারে। সচেতন থাকলে ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে প্রতিকার করা থেকে প্রতিরোধ করাই উত্তম। কম্পিউটারে বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে। নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ দ্বারা কম্পিউটার ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব নয়। কারণ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০০টি নতূন ভাইরাস যুক্ত হচ্ছে সাইবারজগতে। লক্ষণসমূহ ভাইরাস প্রোগ্রাম ডিজাইনার যেভাবে চেয়েথাকেন সেভাবেই প্রকাশ পায়। অনেক ভাইরাস কোন লক্ষণ প্রকাশ করা ছাড়াই ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে কম্পিউটারের ক্ষতি সাধন করে। তবে কম্পিউটার অস্বাভাবিক আচরণ করলেই ভাইরাস আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা যায়। তবে মনেরাখতে হবে, প্রতিটি ভাইরাসের আক্রমণ কৌশল এক ও অভিন্ন নয়। সাধারনতঃ কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া তথা কোন প্রোগ্রাম লোড/রান হতে অস্বাভাবিক সময় নেয়া, স্টোরেজ ডিক্সের ভলিউমের নাম পরিবর্তন হওয়া, হার্ডডিক্সে ব্যাড সেক্টর দেখা দেয়া, বার বার পিসি রিস্টার্ট হওয়া, হঠাৎ করেই কোন প্রোগ্রাম চালু বা বন্ধ হওয়া, উইন্ডোজ এর ওয়েলকাম স্ক্রিন আসার পর পুনরায় পিসি চালু হওয়া, ফাইল ফোল্ডার এমন কি ড্রাইভ গায়েব হয়ে যাওয়া, এরর ম্যাসেজ দেখানো, পিসি ধীর গতির হয়ে যাওয়া, কোন-কোন প্রোগ্রাম চালু না হওয়া, বার বার পিসি হ্যাং করা কিংবা হার্ডডিস্ক ফুল দেখানো ইত্যাদি লক্ষণ ভাইরাসের করণেই পরিলক্ষিত হতে পারে।



ভাইরাসের ভয়ে জালের মত সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেটকেও বয়কট করা সম্ভব নয়। বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগবিহীন সময় ভাবাটাও কঠিন। কারণ, ই-মেইল চেক করা, ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট কিংবা বন্ধুদের পোস্টকরা কোন মেসেজ চেক, পত্রিকা পড়া, ব্যবসাইক কিংবা অফিসিয়াল যোগাযোগ রক্ষার্থে এখন আমাদের দৈনন্দিন কাজের সাথে মিশে গেছে অনেকাংশেই। তাই সকলেরই প্রত্যাসা ভাইরাসমুক্তভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করার।



ভাইরাস প্রতিরোধ ও ধ্বংস করার জন্য কোম্পানিগুলোও বসে নেই। তারা বের করে চলছে একের পর এক অ্যান্টিভাইরাস ও ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার, সেগুলির আবার আপডেটেড ভার্সন। বর্তমানে বেশিরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারহারকারীই তাদের কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্টিভাইরাস কিংবা অ্যান্টিভাইরাস তৈরিকারী কোম্পানিগুলো যেহেতু সর্বশক্তিমান নয়, স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে ভাইরাসকে সনাক্ত করতে কিছু কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করতে হয়। তবে এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সকল ক্ষেত্রে সফলকাম নাও হতে পারে। সাধারণতঃ অ্যাণ্টিভাইরাস সফটওয়্যার তৈরীর ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাস তৈরিকারী কোম্পানিগুলো দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। প্রথম ও সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতিটি হল ভাইরাস সিগনেচার। এই সনাক্তকরণ পদ্ধতির প্রধান সমস্যা হল ব্যবহারকারীরা কেবল সেসব ভাইরাস থেকেই রক্ষা পান যেগুলো পুর্বোক্ত ভাইরাস সঙ্গার আপডেটে (ডাটাবেইসে) উল্লিখিত থাকে। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হল হিউরিস্টিক এলগরিদম যা ভাইরাসের সাধারণ সঙ্গা থেকে সনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে অ্যাণ্টিভাইরাস সিগনেচার ফার্ম কর্তৃক সঙ্গায়িত ভাইরাস না হলেও তা সনাক্ত করতে পারে। আপনার কম্পিউটারে যদি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে উচিত হবে ভাল মানের একটি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা, সেটা বিনামূল্যের হোক বা ট্রায়াল। সবসময় অ্যান্টিভাইরাসটি আপ-টু-ডেট রাখা, মাঝেমাঝে ফুল স্ক্যান করা এবং অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইনস্টল না করা। সেইসাথে পিসির গতি ঠিক রাখতে কম প্রোগ্রাম ইনস্টল করা ও ডিস্ক ডিফ্রেগমেন্টিং করা। অনেকেই মনে করেন কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করলেই তা প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ঠ, কিন্তু বাস্তবতা তা নয়।



যেমন, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করা থাকলেও ফোল্ডার অপশন, টাস্ক ম্যানেজার, রান, রেজিষ্ট্রি এডিটর (regedit) এবং সার্চ অপশন এর মত গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন গুলো ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অকেজো হয়ে যায়। সচরাচর ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করেও তা সক্রিয় করা যায় না। ছোট আকারের RegainPower (http://sourceforge.net ওয়েবে পাওয়া যাবে) নামক একটি ফ্রি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার দিয়ে এগুলো পুনরায় সক্রিয় করা সম্ভব। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ওপেন করুন এবং টিক চিহ্ন মার্ক করে ওকে দিয়ে পিসি রিস্টার্ট করলেই অপশনগুলো সক্রিয় হয়ে যাবে।



অর্থৎ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের পরও অনেক সময় কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। কোনো অ্যান্টিভাইরাসই সব ভাইরাস চিহ্নিত করতে সক্ষম নয়, তা যত ভাল অ্যান্টিভাইরাস হোক না কেন। তাই বলে একটা কম্পিউটারে একাধীক অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করাটাও বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারেনা। একাধিক অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারে ইনস্টল করলে কম্পিউটারের পারফর্মেন্স কমে যাবে, কারন এক অ্যান্টিভাইরাস অপর অ্যান্টিভাইরাসকে ভাইরাস মনে করে তা ধ্বংস করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে থাকবে ফলে কম্পিউটারটি ধীরগতি হয়ে যেতে পারে। যা কম্পিউটারের স্বাভাবিক কর্যিক্রমকে ব্যহত করবে। এজন্য বিকল্প একটা ব্যবস্থা হতে পারে পোর্টেবল অ্যান্টিভাইরাস যা ইউএসবি ড্রাইভ থেকে রান হবে। এধরনের কিছু অ্যান্টিভাইরাস হল ক্লেম উইন পোর্টেবল (ClamWin Portable), আইআর ক্লিন (IRClean), মাল্টি ভাইরাস ক্লিনার (Multi Virus Cleaner), রোটকিট রিভেলার (Rootkit Revealer)। অন্যদিকে, আপনার কম্পিউটারে সন্দেহজনক কোন ফাইল চোখে পড়লে তা সাথে-সাথে ভাইরাসটোটাল ডট কম (http://www.virustotal.com) সাইটে গিয়ে চেক করে নিতে পারেন। এই সাইটে বর্তমানে জনপ্রিয় প্রায় ৪৫টা অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে আপনার দেওয়া ফাইলটি চেক করে চেককৃত প্রতিটি অ্যান্টিভাইরাসের নাম, ভার্সান, শেষ আপডেট ও রেজাল্ট অপসনে কোন অ্যান্টিভাইরাস আপনার দেওয়া ফাইলটিকে কিভাবে দেখছে তা দেখাবে। লিস্ট দেখে আপনি বুঝতে পারবেন ফাইলটি ভাইরাস কিনা এবং ভাইরাস হলে কোন-কোন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে তা প্রতিহত করতে পারবেন। তবে প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম দ্বারা ভাইরাস মুক্ত করা না গেলে ফাইল ডিলিট করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। অনেক সময় ডিক্স ফরমেট ও নতূন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে কম্পিউটার থেকে মুছে যেতে পারে অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অনলাইনে আমাদের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপলোড করে রাখতে পারি। বিনামূল্যে কেবলমাত্র রেজিষ্ট্রেশন করে অনলাইনে ৫ গিগাবাইটের যায়গা পাওয়া যাবে মিডিয়ামেক্স (http://www.mediamax.com) কিংবা এক্স ড্রাইভ ডট কম (http://www.xdrive.com) ওয়েব সাইটে। এছড়াও আরো অনেক সাইট আছে যারা বিনামূল্যে অনলাইনে বিভিন্ন আকারের ডাটা ব্যাকআপ রাখার সুবিধা দিয়ে থাকে প্রয়োজনে সেগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে।



তবে যারা উন্মুক্ত সফ্টওয়ার, বিশেষ করে উন্মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তারা এখনো পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই ভাইরাসের মতো অনাকাঙ্খিত সমস্যা হতে নিরাপদ দূরত্বে রয়েছেন। সুতরাং ভাইরাসমুক্ত কম্পিউটার ব্যবহার করতে চাইলে উন্মুক্ত সফ্টওয়ার ব্যবহারের বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া উচিত। এতে করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াসহ কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাইরাসমুক্ত থাকা সম্ভব অনেকক্ষেত্রেই।



[লেখকঃ প্রোগ্রামার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।

ই-মেইলঃ [email protected]]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু) বলেছেন: You Can Read My Today's Article/Column
From: "The Daily Inqilab"
Date: 02_10_2012.
Subject: কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত রাখতে করনীয়।
For Online Version Pls. Click The Link: http://www.dailyinqilab.com

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন(মিঠু) বলেছেন: Facebook: http://facebook.com/moyazzem24

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.