ক্ষুদ্রতিক্রমে ভেঙে যাই

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

মাঝে মাঝে লিখতে মন চায় কিন্তু নিজের সীমাবদ্ধতা জানি বলে ওদিকে বেশি পা বাড়াই না। যা হোক এ লেখার বিষয়টা আগের লেখা গুলোর মতই অদ্ভুতুরে।দুর্বোধ্যতা আর মাথামুণ্ডহীন মনে হলে ক্ষমা চাই।
বড়ো হয়ে ওঠবার জন্যে মানুষের আকাঙক্ষার সীমা নেই একথা জানা কথা।শুনেছি, আলেকজাণ্ডার এমনি ভাবে একথা টা বলেছিলেন যে, একটা পৃথিবী জয় করে তাঁর সুখ হচ্ছে না, আর একটা পৃথিবী যদি থাকত তবে তিনি জয়যাত্রায় বেরোতেন। দুবেলা যার অন্ন জোটে না সেও কুবেরের ভাণ্ডারের স্বপ্ন দেখে। মানুষের আকাঙক্ষা যে কোনো কল্পানাকেই অসম্ভব বলে মানে না এমন প্রমাণ অনেক আছে। দুর্ভাগ্য আমি শুধু উদাহরণ হতে পারি না। এই লীলা খেলা অন্যের জন্য।
তাই বাধ্যতায় আমার আকাঙক্ষার সীমা ক্ষুদ্র,তবু মন কেন জানি সাড়া দেয়না । রবিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "বিশ্বভুবন বলতে কতখানি বোঝায় এবং তার তুলনায় একজন মানুষ যে কত ক্ষুদ্র সে কথা মনে করলে যে মুখ দিয়ে কথা সরে না।" আসলেই তো তাই ! সমস্ত মানুষের মধ্যে আমি ক্ষুদ্র, আমার সুখ-দুঃখ কতই অকিঞ্চিৎকর! সৌরজগতের মধ্যে আমি সেই মানুষ,যে এক মুষ্টি বালুকার মতো যৎসামান্য ।
এভাবেই খুদ্রাতিক্রমে ভেঙে যাই, ডুবে যাই আর ভুলে যাই।তবুও শুনতে হয় আগের মতো নেই । আছা ,'আগের মতো নেই' এ কথার মানে আসলে কি?আর কে বা কারা জগতে আগের মত রয়েছে বা থাকতে পারে?
হ্যাঁ, কথাটা ঠিক যে, কিছুই আর যেন আগের মতো নেই। কিন্তু যা আছে সেটা যে আগের চেয়ে কোনও অংশে খারাপ সেটাও নয়।তারপরেও আগের মতো না জেনে না বুঝে ভুল করি। সেই আমি-র সাথে এই আমি-র এতো পার্থক্য দেখে নিজেই বার বার খুজে ফিরি সেই আমিকে, সেই আমি-র স্বপ্ন গুলোকে।দোষ বলব? না থাক,কি বলব ! সময়ের সাথে পাল্টে যাওয়ার নামই যে জীবন।

০ টি +০/-০