![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্ত বিনোদন মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটি আজ এমন হুমকির মুখে দাড়িয়েছে যা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। আধুনিকতা ও প্রগতির নামে অনেক অগ্রহনযোগ্য জিনিষ ঢুকে গেছে আমাদের সমাজ জীবনে। আমরা যদি এতই রক্ষনশীল আর ধর্মভীরু হতাম তাহলে আমাদের সামাজে অসুস্থ্য ও অশালীন বিনোদনের চর্চ্চা করতে পারত। সমাজের যাবতীয় অন্যায় অসংগতি সবই আমাদের হাতের কামাই। আমরা এর দায় এড়াতে পারিনা সচেতন নই। আমরা মনে করি বিদেশী সংস্কৃতি মানেই আধুনিকতা ও প্রগতি। এটা একটা ভুল ধারনা। আজকালকার তরুন সমাজ বিদেশী সংস্কৃতির এমন আজ্ঞাবহ দাসে পরিনত হয়েছে যে তাদের সুস্থ বিনোদনের কোন ধারনাই নাই। যাই হোক এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরী। এজন্য আমাদের সবাইকে নিজ দায়িত্বে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের বিনোদনের ক্ষেত্রে একটু ছাড় দিতে হবে।
বাংলাদেশের সাধারন সংস্কৃতির সম্পুর্ন বিপরীত চর্চা করা হচ্ছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যম্পাসে ও এর পরিসীমায়। এখানে কেমন যেন পশ্চিমা সংস্কৃতি ছাড়া নিজেকে আধুনিক বা অভিজাত হিসেবে প্রকাশ করা যায় না। এটা বলা যায় যে, এই সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের নামগুলোই যেন পশ্চিমা শিক্ষাঙ্গন থেকে ধারকরা। তাই এই প্রতিষ্ঠান সমুহের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাজার বছরের আতœপরিচয়কে ভুলে গিয়ে চোখ ধাঁধানো মরিচিকার পেছনে ছুটছে। তাদের প্রাত্যহিক ব্যাবহারিক জীবনের একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে হলিউড, বলিউড কিংবা ডালিউডের সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া কোন ছবির নায়ক, নায়িকারা কি ধরনের পোষাক পরলো। এই ছবিগুলোর নামে যে পোষাকটি বাহির হবে তা কোন এক বন্ধু যদি আগে কিনে থাকে তাহলে অন্য বন্ধুদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হল। সমপ্রতি আমরা দেখতে পাই যে, তেরেনাম, রা-ওয়ান, জিলিক, টাপুর-টুপুর, ওয়াকা-ওয়াকা, বিন্ধু, দেবদাস এ দরনের বিভিন্ন ছবি, অভিনেতা- অভিনেত্রীর নামে যে পোষাকগুলো বের হয়েছে তা যুব সমাজের পছন্দ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই পোষাকগুলো কোন প্রকার রুচিশীলতার পরিচয় বহন করে না। অন্যদিকে, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি এইসব ওয়াকা-ওয়াকার উপর ভর করে তার বাস্তব স্বকিয়তা হারিয়ে পেলেছে। তাই, একজন ছাত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে তাকে সঠিক পথে রাখার জন্য কিংবা মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য যদি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন না করা হয়, তাহলে এ দেশের যুবসমাজের কাছে জাতির যে প্রত্যাশা তা ব্যার্থ হতে বাধ্য। একজন যুবকের ছাত্র জীবনে তার সৎ সংঘই কেবল মাত্র তাকে তার সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গঠনে সহযোগী হতে পারে। পরিবারের যথাযথ তত্ত্বাবধানও এক্ষেত্রে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা ভুলে যাই Prevention is better than cure. অবক্ষয়ের এই ধারা প্রতিষেধক ব্যবস্থা ছাড়া প্রতিকার যোগ্য নয়।
আমরা টেলিভিশন, প্রত্রিকা, রাজনৈতিক মঞ্চ এবং সভা সেমিনারে যতই নান্দনিক এবং শ্রুতিমধুর ভুলি বর্ষন করিনা কেন, সুন্দর ও আলোকিত সমাজ, এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের এ প্রজন্মের যুব সমাজের নৈতিক উন্নতির প্রতি। অভক্ষয় থেকে বাঁচতে হলে প্রতিষ্ঠা করতে হবে একটি মাদক মুক্ত, পশ্চিমা সংস্কৃতির নগ্ন ছোবল থেকে মুক্ত একটি আধুনিক সমাজ। যেখানে অপবিত্রতা ও অশ্লিলতার কোন স্থান নেই, বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা ও ছোটদের প্রতি ¯স্নেহ যেখানকার অনন্য বৈশিষ্ট্য।
বর্তমান সময়ে, রাস্তাঘাটে উঠতি বয়সের কিছু ছেলেকে দেখা যায় তাদের মাথার চুল উস্কুখুস্কু, শর্ট শার্ট পরা, জিন্সের প্যান্ট কোমরের নিচের দিকে পরা, হাত একটু উঁচু করলেই নজ্জাস্থানের কিয়দাংশ দেখা যায়। প্যান্টের নিচের অংশ পায়ের পাতার নিচে পরে থাকে অনেকটা ঝাড়–দারের কাজ করে।আর কিছু মেয়েরা ধর্ম, জাত-পাত সব ভুলে পোশাক ছোট করতে করতে এমন পর্যায়ে পেীছেছে যে, তারা ক’দিন পে চিড়িয়াখানার সদস্যদেও মত কিছু দাবি না করে বসে। আরব্য করীর একটি উক্তি মনে পড়ে যায়, তা হলো- ‘ইন্নাকা লা-তাজনি মিনাশ শাওকিল ইনাব’ তুমি কাঁটাযুক্ত বৃক্ষ থেকে কখনো আঙ্গুর ফল পাবে না। সারা দেশ নয়, শুধু ঢাকা শহরেই লাখ লাখ মা-বাবা রয়েছেন যারা তাদেও ছেলে-মেয়েদেও নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
বলা হয়ে থাকে, Education is the backbone of a nation একবার বলুন তো শিক্ষিত পরিচিয় দিচ্ছি অথচ
সত্তি কি প্রকৃত শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে পেরেছি?
:
#কামরুজ্জামান_মিঠু
©somewhere in net ltd.