নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুধা

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

বেশ কিছুদিন ধরে শামীমের মন-মেজাজ ভালো যাচ্ছে না। চার পাঁচদিন পরেই কোরবানির ঈদ। বাড়ি যাওয়া দরকার ওর। শামীমের স্যার যে ওকে ছুটি দেয়নি তা না। স্যারের বাচ্চাদের স্কুল ঈদ উপলক্ষ্যে বন্ধ দেয়ার পরপর ই ওর স্যার বলেছে ওকে বাড়ি চলে যেতে। কিন্তু ছুটি দিলেই কি যাওয়া যায়! ঈদের জন্য স্যারের কোরবানির গরু কেনা, কোরবানি দেয়া, মাংস কাটাকুটি, ভাগাভাগি, আত্মীয়দের বাড়ি পৌঁছে দেয়া এসব কাজ স্যার না বললেও ও নিজ থেকে করে দেয়। বাড়ি যাওয়ার সময় স্যারসহ তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে সব মাংস মিলিয়ে তেরো চৌদ্দ কেজির মত ও মাংস পায় বলেই আগে আগে বাড়ি যেতে না চাইলেও মন পড়ে থাকে বাড়ির দিকেই আর স্যারদের বোঝাতে হয় ও কত নিবেদিতপ্রাণ! নিবেদিতপ্রাণ না কচু! কদিন আগেই ওর বাবা ফোন দিয়ে বলেছে এবার বাড়ি আসার আগে হাজার পঞ্চাশেক টাকা স্যারের কাছ থেকে ধার নিতে। পচু শেখদের ষোল শতাংশ জমি নাকি তারা পানির দরে ছেড়ে দিচ্ছে!

ও বেতনের একটা টাকাও বাজে কাজে খরচ করে না। পুরো টাকা জমিয়ে স্যারের বা স্যারের বউ, তার বাবার কাছ থেকে যখন যাকে পায় খুচরা বিশ পঞ্চাশ টাকা চেয়ে নিয়ে ও মাস চালায়। মাঝে মাঝে স্যার লাঞ্চ বিল দিলেও ও সেটা না খেয়ে জমিয়ে রাখে।আর এমনিতে তো খাওয়া-দাওয়া সব স্যারের বাসাতেই করে। সেই হিসেবে মাসের বেতন পুরোটাই নেট সলিড হিসাবে রয়ে যায়। কিন্তু খিদে লাগলে সে সময় ওর খিদের চোটে মাথায় রক্ত উঠে যায়। ও খিদে একেবারেই সহ্য করতে পারে না। দোষটা ওরই যে ও না খেয়ে টাকা জমায়। স্যার বা অন্য যে কেউ গাড়ি নিয়ে বের হলে শামীমকে খেতে ঠিকই টাকা দেয়। কিন্তু সে টাকা থেকে খরচ করতে ওর বুকে খচখচ করে বিঁধে। ক্যান স্যাররা যে হোটেলে খেতে ঢোকে সেখানে কোণার দিক দেখে একটা টেবিলে ওকেও যদি খেতে ডাকে কি এমন অসুবিধা হয়ে যাবে তাদের।! এক্সট্রা টাকাটাও জমলো আবার খাবারো খাওয়া হলো।

স্যার আজকে তার বউ কে নিয়ে বের হয়েছে। তার বউ এত বেশি কথা বলে শামীমের মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়। আর এই মহিলা গাড়িতে উঠলে প্রথমে বলে "এই এসি ছাড়ো।টেম্পারেচার ঠিক করে দাও।গরম লাগে ক্যান! " এমন ভাবে কথা বলে যেন মন্ত্রী মিনিস্টার!

এসিটা নষ্ট ছিল, সেটাই ভাল ছিল। এত ঠান্ডা করে এসি চালাতে হয়, শামীমের শীত লাগে। শামীমের দিকে তাকিয়ে তার বউ হাসতে হাসতে স্যারকে বলেছে শামীমকে বলতে পারো না , গাড়িতে পাতলা দেখে সোয়েটার রাখতে! আমি গাড়িতে ওঠার আগে গাড়ি ঠান্ডা করে রাখবা শামীম।পরের কথাটা শামীমের দিকে তাকিয়েই বলে। শামীমের বলতে ইচ্ছা করে আমি আপনার চাকর নাকি। কিন্তু বলা সম্ভব না। শামীম তো এখানে চাকরি করতেই এসেছে।

টাকার চিন্তায় শামীমের কদিন ধরে রাতে ভালো ঘুমও হচ্ছে না। প্রত্যেকদিন ওর বাপ ফোন করে একই কথা জানতে চায় -

টেকা টুকা যোগাইসস নি। পঁচু শেখ কিন্তু জমিডি ছাইড়া দিব।

ওর মেজাজ টা খারাপ হয় ওর বাপের কথা শুনে। এমন ভাবে বলে যেন টেকা টুকা বলদের গোয়া দিয়া বাইর হয়।
হ হ, স্যারেরে কইছি হাওলাত দিতে। পরে মাসে মাসে বেতন থন কাইট্যা রাখবো।

শামীম কিপ্টামি করে যে কয়টা টাকা জমিয়েছিল, গত পাঁচ মাসে ডাক্তারের পিছনে ছয় সাত হাজার টাকা হড় হড় করে বেরিয়ে গেছে। যত গন্ডোগলের মূল এই স্মার্ট ফোনটা। ওর এই নতুন ফোন দিয়ে ইন্টারনেট চালানো যায়।ওর বন্ধুর কাছ থেকে শিখেছে কোন জায়গায় উল্টা পাল্টা বিদেশি আর দেশি মেয়েদের ছবিও দেখা যায়। ফোনের জন্য সাড়ে চার হাজার আর ইন্টারনেট এর প্যাকেজ কিনতে গিয়েও ওর টাকা খরচ হয়েছে। শামীমের বাপ কেন যে বোঝে না ওর বিয়ের বয়স হয়েছে! ঐসব উল্টা পাল্টা জিনিস দেখে দেখে ওর একটা নেশার মত হয়ে গেছে। বিদেশি মেয়েদের চেয়ে দেশি জিনিসই ওর বেশি ভাল লাগে।

এরপর থেকেই শুরু হলো সমস্যা। উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখে দেখে ওর শরীর খারাপ হওয়া শুরু করলো। জ্বর জ্বর ভাব, হাত পা ছেড়ে দিচ্ছে এমন লাগতো। ওর স্যারটা ভালোই। অনেকদিন ও ডিউটি করতে পারেনি। স্যার নিজেই গাড়ি চালিয়ে অফিসে যেতো, বাচ্চাদের স্কুল ডিউটিও করতো। কিন্তু এক নাগাড়ে এতদিনের অসুস্থতা দেখে যখন ওর স্যার চেপে ধরলো কি সমস্যা, ভালো ডাক্তার দেখানো লাগবে কিনা এসব জিজ্ঞেস করলো, তখন বলতেই হলো স্বপ্ন দোষের কথা। কি যে লজ্জায় পড়েছিলো। না বলেই বা উপায় কি, টাকা তো স্যারের কাছ থেকেও নিতে হয়েছে।

আজকে গাড়ি চালিয়ে শামীম জুত পাচ্ছে না তেমন। খুব খিদে লেগেছে। স্যার আর তার বউ যে হারে গল্প গুজব করছে, খিদের নামগন্ধও তাদের মুখে নেই। সেই থেকে ওর মেজাজ খারাপ হতে শুরু করেছে। আজকে স্যার সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়েছে বলে নাস্তাটাও বাইরে করতে হয়েছে। দুইটা পরোটারর দামই বারো টাকা, ভাজির প্লেট দশ টাকা, চায়ের কাপ আট টাকা। সকাল সকাল ত্রিশ টাকা নাই। দুইটা পরোটায়য় কি পেট ভরে! স্যার ওকে পঞ্চাশ টাকাই দিয়েছিল কিন্তু পুরো টাকা খরচ করতে ওর বাঁধছিল বলে পেট ভরে ও খায়নি। দুপুর তিনটা বাজতে চললো। কখন যে তাদের খিদে লাগবে!

শামীম গুলশান ১ এর কাছে এসে বাঁ দিকে মোড় নিও তো। আমরা হেঁটে পার হচ্ছি। এই জ্যামে বসে থাকলে কপালে খাবার জুটবে না। তুমি গাড়ি পার্ক করে ফখরুদ্দিনে এসে ঢোকো।

স্যারের কথা শুনে মনে হলো শামীমের খিদেটা চাগাড় দিয়ে উঠলো।

শালার জ্যাম আর ছুটে না জানি। শামীমের ইচ্ছে করছে লাত্থি মেরে গাড়ি থেকে নেমে আগে দুই প্লেট তেহারি মেরে দেয়। শামীম যেই বাঁয়ে মোড় ঘুরবে আবার স্যারের ফোন।

শোনো শামীম ফখরুদ্দিন বন্ধ। তুমি সোজা সামনে আগাও। এইচ এসবিসি ব্যাংকের এখানে রাখো। একটা কাজ সেরে আসছি আমরা।

শামীম মনে মনে গালি দেয়, হালার খাচ্চর।নামনের আগে কয়ডা টেকা দিলে কি হইতো! নিজেরা তো ঠিকই অন্য জায়গায় গিয়া খাইবো।

শামীম ঠিকই তক্কে তক্কে থাকে স্যার আর ম্যাডাম কই যায় দেখার জন্য। ও যা ভেবেছে তাই। ইমাম বাড়ি রেস্টুরেন্ট থেকে তারা বের হয়ে দোকান থেকে কি যেন কিনল। আইল্যান্ডে উঠে ম্যাডাম এদিক সেদিক গাড়ির খোঁজে তাকায়।গাড়িতে উঠে ওর স্যার খুব হায় আফসোস করে, ইশ দুপুর তিনটা বেজে গেছে।কখন বাসায় যাবো আর খাবো।

ইসশ কি মিথ্যুক। ও ব্যাক মিরর দিয়ে ঠিকই দেখছে একটু পর পর স্যার টুথ পিক দিয়ে দাঁত খোচাচ্ছে। ও আগেও খেয়াল করেছে খাওয়ার পর স্যার দাঁত খোঁচায়। স্যার আবার জিজ্ঞেস করে, শামীম কোন দিক দিয়ে যাবা? ফার্মগেট না হাতিরঝিল? ফার্মগেট দিয়ে গেলে মনে হয় জ্যাম কম পড়বে। শামীমের স্যারের কথার উত্তর দিতে ইচ্ছা করে না।মনে মনে বলে যেখান দিয়া জ্যাম বেশি অইদিক দিয়া যামু। আমারে বলদ পাইছস?
ওর মেজাজ খারাপ হলে তার ছাপ চেহারায় পড়ে। শামীম কপাল কুঁচকে আছে

হঠাৎ শোনে স্যার ম্যাডাম কে বলছে, হি হ্যাজ সাম ইস্যুজ এবাউট ফুড! ডিড ইউ নোটিশ?

শামীম ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়েছে।স্যার ভাবছে ও কিছুই বুঝে না! রাগে ওর গা জ্বলছে। শামীম একটু একটু ইংরেজি বোঝে, টুকটাক দুই তিনটা ইংরেজি অ নিজেও বলতে পারে। ম্যাডামও বললো -

হোয়াই ডু হি লাইক দিজ বিহেভিওর! স্ট্রেঞ্জ! বিসাইডস হিজ স্যালারি, হি অলওয়েজ টেকিং ফিফটি অর হান্ডড়্রেড ফর মোবাইল ফ্লেক্সি পারপোজ অর আদার ইস্যু। সারভেন্ট, ড্রাইভার অল আর সেইম ক্যাটাগরির, হোয়াটেভার ডু ফর দেম,দে নেভার স্যাটিস্ফায়েড! বুল শিট!

এদিকে শামীমের খিদেয় পেট জ্বলছে আর তারা আসছে ইংরেজি মারাইতে। শামীমের মুখ খারাপ করে গালি দিতে ইচ্ছে করে। আরও ইচ্ছে করে নতুন কাজ করে আনা গাড়িটা কোনো রিকশা বা অন্য গাড়ির সাথে ঘষা লাগিয়ে স্পট ফেলে দিতে। তারপর রিকাশাওয়ালা বা অন্য ড্রাইভারকে কয়েক ঘা লাগাতে। শামীম ওর রাগটা কমাতে পারছে না। আমারে কয় বুল শিট! বুল শিটের মায়রে বাপ!

গাড়ির সীটে হেলান দিয়ে ম্যাডাম বলে,

শামীম তোমার মেজো ভাইয়ার কিন্তু চারটায় কোচিং আছে। আমাদের বাসায় নামিয়ে দিয়েই ওকে নিয়ে তুমি কিন্তু কোচিং দিয়ে আসবে।

এই হইলো আরেক মুশকিল, সারাটা দিন কুত্তার মতো স্কুল আর কোচিং এ দিয়ে আসা, নিয়ে আসা নিয়েই আছে। সারাদিন কাকরাইল আর বেইলি রোডের জ্যামে থাইক্যাই আমার জীবনডা গেলো। শামীমের ইচ্ছা হলেও এসব নিয়ে কিছু বলার থাকে না দীর্ঘশ্বাস ছাড়া। স্যারের বাসার কাছাকাছি চলে এসেছে প্রায়। গাড়ি থেকে নেমে ম্যাডাম শামীমের দিকে একশো টাকা বাড়িয়ে দেয়।

টাকাটা রাখো শামীম, ফাযানকে কোচিং এ নামিয়ে দিয়ে তুমি দুপুরে খেয়ে নিও।

টাকাটার দিকে তাকিয়ে শামীমের খপ করে নিয়ে নিতে ইচ্ছে করে আবার পাশাপাশি রাগও ওঠে। ইচ্ছে করে টাকাটা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে বাতাসে উড়িয়ে দিতে। কিন্তু টাকার এতো ক্ষমতা শামীমের সেই শক্তি নেই টাকা ছিঁড়ে ফেলে দিবে। পরক্ষণে শামীমের ভেতর পৈচাশিক ইচ্ছে কাজ করে। ম্যাডাম গাড়ি থেকে নেমে শামীমের দরজাটা খুলে টাকাটা বাড়িয়ে আছে ওর দিকে। নেইলপলিশ লাগানো ম্যাডামের চিকন চিকন আঙুলগুলোর দিকে তাকিয়ে ওর মনে হয় দরজাটা আটকে দিয়ে তার আঙুলগুলো থ্যাতলে দিতে। যদি জোরে একটা বাতাস আসতো আর দরজাটা ক্যাঁচ করে এসে আপনাআপনি লেগে যেতো, বেশ হতো। শামীমের জ্বলজ্বলে চোখের অভিব্যক্তি দেখে বোঝা যায় না ও টাকা নাকি দরজাটা লেগে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।

সমাপ্ত

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমিতো ভাবলাম, একসিডেন্ট করাবে| করালে খারাপ হত না|
ভাল লেগেছে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখকদের তো স্বাধীনতার সীমা নাই। এক্সিডেন্টের ব্যাপারে ভয় পাই টাই অল্পের উপর দিয়েই চালালাম কলম।
ধন্যবাদ

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া গল্প ভাল লাগা রইল ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুগ্ধ ভালোলাগার গল্প- অনবদ্য...
শুভকামনা প্রিয়দিদি অপর্ণা মম্ময় ...

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কয়েকটা জিনিস বুঝলাম না।

শামীমকে বড় বানাতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তার মালিককে ভিলেন বানাতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু মালিককে খুব একটা ভিলেন মনে হয়নি। কিছুটা দাম্ভিক অবশ্যই ছিল - কিন্তু শামীমের খিদেটা তারা ঠিকই বুঝেছে। কাজের পর কাজ দিলেও খাওয়ার জন্য কিন্তু টাকাও দিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে শামীমকে ভাগ্যবানই বলতে হবে। তার মালিককে খুব একটা খারাপ মনে হল না। শামীম নিজের অ্যাটিটিউড ঠিক রাখলে তার মালিকও তার দিকে ভালই খেয়াল রাখবে। সে সব সময় টাকার চিন্তায় থাকলে তো কোন মালিকের কাছেই সে শান্তিতে থাকতে পারবে না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাউকে বড় ছোট বানাবার অভিপ্রায় ছিল না। তবে শামীমের মতো ড্রাইভারদের খাসিলতটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

আলোরিকা বলেছেন: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় -
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি !

প্রাণী জগতে মানুষই সম্ভবত একমাত্র প্রাণী যে অপ্রয়োজনেও খায় ! আবার এক শ্রেণী প্রয়োজনের খাবার টুকুও যোগার করতে পারেনা - বড়ই বিচিত্র ।

একটি সাধারণ বিষয় বর্ণনা গুণে অনবদ্য হয়ে উঠেছে । অনেক শুভ কামনা আপু :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর করে কমেন্ট করেন।
ভালো লাগলো আপনার মতামত

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগল

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: অসাধারন লাগলো গল্পটা, আর অনেক বাস্তব।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি বাস্তব থেকেই নেয়া । শুভকামনা আপনার জন্য

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

বৃতি বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে গল্পটি, অপর্ণা আপু।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থ্যাংকু বৃতি

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন ভাবে কথা বলে যেন মন্ত্রী মিনিস্টার! - কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদে, এ ধরণের কথাবার্তা বহু গাড়ীওয়ালার বউরাই বলে থাকেন।

চেনা ঘটনা, চেনা চরিত্র,
নিত্যদিনের খন্ডচিত্র!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি ,চেনা ঘটনাই। অহরহ হচ্ছে এমন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালো কিন্তু বর্ণনা মোটামুটি লাগল।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাব্যিক বর্ণনা আনতে পারি না সবসময়। আর লেখালেখির অভ্যাসটা আগের মতো নেই

১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

Kazi Tuhin বলেছেন:
অসম্ভব সত্য বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন,
অসম্ভব লেগেছে গল্পটি।

আরো সুন্দর সুন্দর গল্প আপনার থেকে চাই,
শুভ কামনা রইলো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো তুহিন

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পেটে খাওন না থাকলে ক্ষুধাতো লাগবোই।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ক্ষুধা লাগলে মেজাজও খারাপ থাকে।

১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বর্ণনা বেশ সাবলীল । পড়তে মজাই লাগছিল কিন্তু কাহিনীটা আরেকটু দীর্ঘায়িত করে অন্য রকম সমাপ্তি হলে ভাল লাগতো আরেকটু বেশি । শেষ হওয়ার পরে মনে হলো শুরুর আগেই শেষ !! একটা আবেসে ছিলাম তো তাই !!!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অন্যরকম সমাপ্তি বলতে কি রকম হলে ভালো হতো?
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আর মেজাজ খারাপ থাকলে কি ক্ষুধা নষ্ট হয় ?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মেজাজ খারাপ থাকলে ক্ষুধা বাড়ে।

আপনার ক্ষুধা লাগছে নি ?

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: এই যেমন কোন একটা টুইস্ট দিয়ে, গল্পের নায়কের আকস্মিক মৃত্যু অথবা গল্পের নায়কের হাতে তার কর্তা বা কর্তি খুন অথবা তার দারিদ্র জীবনের পারিবারিক কোন দীর্ঘশ্বাস !



১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নেক্সট লেখার সময় মনে রাখবো ব্যাপারটা
ধন্যবাদ

১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,



বাস্তব ঘনিষ্ট । এরকমটাই হয় ।
মন্তব্যে অনেকেই টুইষ্ট আশা করেছিলেন । টুইষ্ট না দিয়ে ভালো করেছেন । জীবন যেমন , তেমনই রেখেছেন । সুন্দর ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য

১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মোটামুটি লেগেছে, লেখার স্টাইল দারুন, গতিশীল কিন্তু কাহিনী একটু বেশি সাদামাটা হয়ে গেছে। যাই হোক, অনেক দিন পর এপনার লেখা পেয়ে ভালো লাগল। আশা করি আবার নিয়মিত হবেন। শুভেচ্ছা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যস্ততা এখন কমেছে।আশা করছি ব্লগে এবার সময় দিতে পারবো কিছুটা। শান্তির দেবদূত, আপনার কিছু লেখা দিয়েছেন।পড়া হয়নি। আশা করছি সেসব ও পড়ে নেবো
ভালো থাকবেন।

১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাবলীল গল্পে উঠে এসেছে একটি শ্রেণির বাস্তবতা। শামিমদের মানসিক উগ্র স্বভাবের পিছনেও কিছু একটা আছে। শ্রেণিবৈষম্য যদি তথাকথিত আমাদের উচ্চশিক্ষিত সমাজই সৃষ্টি করে তবে শামীম'রা এইরকম মনোভাব থেকেও বের হতে পারবে না।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শ্রেণীবৈষম্য নতুন কিছু না। এটা থাকবেই বা হয়ে আসছে। সমতা আনতে গেলে হয়তো আরও বড় প্রব্লেম বেরিয়ে আসবে।

১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শামীমের স্বগোতক্তি ভালো লেগেছে। তবে গল্পটা একদম সাদামাটা। আর একটা কথা, স্বপ্নদোষের কারণে মোটেও শরীর খারাপ হয় না। যদি তাই হইতো, বিবাহিত মানুষেরা সব আধমরা হৈয়া যাইতো সেক্স করতে করতে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একবারে হুবুহু ( শেষাংশ ছাড়া ) গল্পটা লিখে ফেলায় হয়তো সাদামাটা লাগছে। সাম হাউ আমার লেখা থেকে একটা কাব্যিক ভাব যা আগে ছিল সেটা চলে গেছে। আমি অবশ্য ট্রাইও করি না আনতে সেরকম।
বিবাহিতদের সেক্সুয়াল পার্ট একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আধামরা হবার কিছু নাই। অবিবাহিতদের জন্য স্বপ্নদোষ স্বাভাবিক হইলেও ক্রমাগত মাস্টারবেট এবং শারীরিক আরো কিছু সিকনেস স্বাভাবিক পর্যায়ে একটা সময় আর থাকে না, যতদূর আমি জানি।
যাই হোক, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

২০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো

২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

জেন রসি বলেছেন: হুমমমমমমম.......

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়!

গল্প ভালো লেগেছে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি ( নামের অর্থ কি ?) ।

২২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এখনও লাঞ্চ করা হয় নাই। ক্ষুধা লাগছেতো অবশ্যই।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লাঞ্চের সময় বোলোগিং করলে খাওয়ার টাইম তো পাবেনই না !

২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এইডা অবশ্য ঠিক কইছেন। মাথায় আছিলো না যে আমি বোলগে .... :P

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জি অয়, জি অয়

২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

আবু শাকিল বলেছেন: সুন্দর গল্প ।পড়ায় ভাল লেগেছে :)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
দীর্ঘশ্বাসের যাপিত জীবনের ইচ্ছেরা হাওয়ায় নয়ত মরীচিকায় হারিয়ে যায় ৷ তবু বহমান বয়ে চলা অসম্পূর্ণ মুহূর্তকথা ৷ এমনই তো বাঁকহীন নিত্য সহচর জীবন ৷

পাঠক ভাবনায় ঝলক না পড়লেও লিখেছেন লেখক ছড়ি ঘুরিয়ে, আয়েশী ছলে ৷ভাল থাকবেন ৷

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই

২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: ভাল লাগল

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: না খেয়ে (কিংবা কম খেয়ে) টাকা বাঁচালে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি (অসুখে পড়ে বেশি খরচ হয়ে যায়)!
পর্ণোগ্রাফিতে অাসক্তি একটা রোগ । এটা খুবই ভয়াবহ ।

অাপনার গল্প বলার ভঙ্গি খুব ভালো । মনে হয় সবকিছু নিজের অভিজ্ঞতার অালোকেই লেখা । সবকিছু নিজের মধ্যে ধারণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ ।

সবগুলো চরিত্রকে সমান গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি । ভালো লেগেছে ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুধু পর্ণোগ্রাফি কেন যে কোন কিছুর মাত্রাতিরিক্ত আসক্তিই খারাপ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শরীরের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে উৎসাহী কিন্তু ক্লান্ত শামিমের গল্প অদ্ভুত লাগল। বেচারা জীবনের 'আজিব চিড়িয়া' স্টেজ পার করছে। আর বছর খানেক পরেই বাপে বিয়ে দিয়ে দেবে, পচুর জমিটাও কেনা হয়ে যাবে, জীবনে শেকড় গেড়ে বসবে দায়িত্ব। তখন এই শামিম কেমন আচরণ করবে দেখার ইচ্ছে হচ্ছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিবাহ পরবর্তী শামীমের আচরণ নিয়ে পারলে হয়তবা কখনো লিখতে পারি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.