নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবনীতার ডায়েরি - ৩

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

আগের লিঙ্ক

আজকে অফিস থেকে বের হয়ে অনন্যায় গিয়েছিলাম ঘরের টুকিটাকি জিনিস কিনতে। এইসব ওয়ান স্টপ মলের দোকানগুলোতে সমস্যা একটাই যে যা কেনা দরকার তার সাথে পড়ে কিনলেও চলবে এরকম আরও পাঁচ/ সাতটা আইটেম কিনে বাড়ি ফেরা। আমার আরও বড় সমস্যা, যা দেখি পছন্দ হলে সবই কিনতে ইচ্ছে করে। কেনাকাটা শেষ করে অনন্যা থেকে বের হয়ে রিকশা খুঁজছিলাম, হঠাৎ করে টের পেলাম পিঠের মাঝে কিল মেরেছে কেউ। তাকিয়ে দেখি আমার খুব কাছের এক ফ্রেন্ড ( যার সাথে বছরে দুই একবার দেখা হয় !) বিপাশা। দাঁত বের করে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করে -

কি রে কিলটা মনে হয় জোরে হয়ে গেছে, না ?

আমার এত্তো মেজাজটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো কি বলবো। মেজাজ খারাপের চেয়েও বড় কথা হলো আচমকা এমন হওয়াতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ওকে বলি -

তোরে থাপড়াইতে ইচ্ছা করতাছে। কোনো কাজ কি তুই স্বাভাবিকভাবে করতে পারিস না ?

আরে দোস্তো কতদিন পর দেখা হইলো! তাই একটু সেলিব্রেট করলাম। তা এদিকে কি মনে কইরা?

হইছে আর আল্লাদ দেখান লাগবো না। সারাবছর খোঁজ রাখস না, ফোন দিলে ধরস না আর দেখা হইলে প্রেম ভালোবাসা উথলাইয়া পড়ে। তুই এইখানে কি করস - ওকে জিজ্ঞেস করি।

আমার অফিস এইখানে। এই বায়িং অফিসে জয়েন করছি সাত মাস হইলো। খিদা লাগছিলো তাই একটু খাইতে আসছিলাম।

এখন বাজে সন্ধ্যা ছয়টা। অফিস ছুটির টাইম আর তুই আইছস খাইতে! আর এতবার চাকরি বদলাস ক্যান! বারবার সিভিতে জব চেঞ্জ দেখাচ্ছিস তোর প্রব্লেম হয় না? ইমেজ তো খারাপ হইয়া যাওয়ার কথা ইন্টারভিউ বোর্ডে!

আরে বাদ দে ব্যাটাগুলি যে শয়তান! কোনো জায়গায় কাম কইরা জুইত পাই না। আজকে ইউকের এক বায়ার আসার কথা। অফিস থেকে বের হইতে দেরি হইব। আয় পাঁচ নাম্বার রোডে যাই হাঁটতে হাঁটতে সিএসডির সামনে। পুকুর পাড়ে বইসা কথা বলি চল। তোর সাথে জরুরী কথা আছে, আয়।

আমি বলি -

ইস,। ঢঙের চোটে বাঁচস না। দেখা হইয়া গেছে ঝড়ে বকে, এখন আইছস কেরামতি দেখাইতে। তুই আমার বাসায় আয় শুক্রবারে। এখন আমার যাইতে হইব, গুলশানে শ্রাবণ অপেক্ষাইতাছে।

ধুর এত জামাই জামাই করিস না তো। তোর জামাইরে বল বারিধারা আইয়া তোরে নিয়া যাইতে। তোর লগে আমার কথা আছে, আয়। বলে বিপাশা আমার হাত ধরে রাখে শক্ত করে।

ওর এই দস্যিপনা, জবরদস্তি আমার সবসময়ই ভালো লাগে। ওকে দেখলে আমার ভেতরে অনেক সাহসের জন্ম হয়। ও অনেকটা ঝড়ের মতো, হুরমুড়িয়ে এসে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যায়। ওকে বলি, অনেকদিন পর তোর সাথে দেখা, তাই না রে ! তোর ছেলেটা কেমন আছে? খালাম্মা ? খালু ?

আরে সবাই ভালো আছে। আমিও ভালো আছি। বলে ও হে হে হে করে হাসতে থাকে।

ওকে জিজ্ঞেস করি - আর তোর ফাজিল জামাই তুর্যের কি খবর ?

আছে ভালোই। একটা মিনমিনা শয়তান হারামজাদাটা। দিছি বাড়ির থিক্যা বাইর কইরা। কিন্তু এই বদেরে শিক্ষা দিতে যাইয়া আমি তো নিজেই কট হইয়া যাইতে নিছিলাম। শোন, কি হইছে। হেভি ইন্টারেস্টিং ঘটনা।

আমার বাপ-মা তো তুর্যের লিগ্যা পারলে জান দিয়া ফালায়। হেগো ভাবখানা এমন যে তুর্য হেগো আপন পেটের পোলা আর আমি হইলাম পোলার বউ। বিয়ার পর থিক্যা বাপের বাড়ি ভাড়া থাইক্যা আসলে বিপদে পড়ছি। আর হারামিটা বাসায় মাইয়া আইন্যা ফুর্তি করছে এইটা হাতে নাতে ধরণের পরেও আমার বাপ-মায়ের এক কথা ব্যাটা মানুষ, একটু আধটু এমন করতেই পারে।

ধুর পুরান প্যাঁচাল বাদ দে। ইন্টারেস্টিং ঘটনা কি এইটা বল।

আরে নতুন কাহিনী কইতে গেলে তো পুরান ইতিহাস একটু রিভিউ কইরা বলন লাগে। যাই হোক, হামারিটারে বাড়ি থিক্যা বাইর কইরা দিছি। সেপারেশনে আছি। আগের অফিসের ম্যানেজারের আলুর দোষ তো আছিলই আর তুর্য যাইয়া আমার কয়েক কলিগের কাছে কাইন্দা কাইট্যা পড়ছে। আমার ইজ্জতের ফালুদা বানাইছে। আর ঘরের কাহিনী যেইখানে অফিসের মানুষ জাইন্যা গেছে সেইখানে তো আর চাকরি করন যায় না, কি কস তুই ? এই লিগ্যাই আগের অফিসের চাকরি ছাইড়া দিছি।

আমি বলি - হুমম। ঠিকই তো। তারপর ?

কয়দিন আগে অফিস থেইক্যা বের হইয়া সোহেল ভাই আর ফয়সালের লগে বনানী আর গুলশানের যে ব্রিজটা আছে না, ওইদিকে গেছিলাম ঘুরতে। লগে এক প্যাকেট পিজ্জা। তখন রাইত প্রায় নয়টা বাজে।

সোহেল ভাইটা আবার কে ?

কে আবার! তোরে কই নাই? আমার দোস্তো ফয়সালের কথা মনে আছে তো তোর? সোহেল ভাই হইলো ফয়সালের বন্ধু, আমার ধর্ম ভাই বানাইছি তারে । ওইদিন তাগো লগে দেখা কইরা পরামর্শ নিতাছিলাম। সময়টাও আমার খারাপ যাইতাছিল। সোহেল ভাই তো ব্র্যাকে কাজ করে, তার লগে কথা কইতাছিলাম যদি তাদের অইখানে কোনো কাজ পাওন যায়। ফয়সালরেও বলছি ওর পরিচিত কোনো বায়িং অফিসে যদি আমার কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। যাই হোক, আমরা পিজ্জা পুজ্জা খাইয়া প্যাকেট লেকের কাছে ফালাইয়া দিছি। আমি আর ফয়সাল গাড়িতে হেলান দিয়া খাড়াইয়া কথা কইতাছিলাম আর সোহেল ভাই একটু দূরে খাড়াইয়া বিড়ি খাইতাছিল। অমন সময় আইছে পুলিশ। আইয়া তো নানান ধরণের প্যাঁচাল। আমাগো একে অপরের লগে সম্পর্ক কি, এইখানে কি করি, এত রাইতে বাইরে ক্যান!

রাত নয়টা আবার এত রাত হইলো ক্যাম্নে ?

আরে আমিও তো তাই কই। কিন্তু কপালডাই খারাপ। হেইদিন রাস্তায় কোনো মানুষজন নাই। গাড়িটাড়িও তেমন চলতাছিল না।

তারপর ?

তারপর আর কি, পুলিশ আমার দিকে তাকাইয়া জিগায় - কি ম্যাডাম কি করতাছিলেন সত্যি কথা বলেন। আমি কইলাম - পিজ্জা খাইতাছিলাম। তারা কয় - প্যাকেট কই ? এইটুকু বলে বিপাশার বিখ্যাত ননস্টপ হাসি শুরু হলো। হাসতে হাসতে ও আর কথাই বলতে পারে না। বারবার একই কথার রিপিট করে আর হাসে - সোহেল ভাই কইতাছিল , ফয়সাল ... এইটুকু বলে ওর আবার হাসি শুরু।

ধুর এরপরের কথা বল ।

সোহেল ভাই কইতাছিল, ফয়সাল পিজ্জার প্যাকেটটা ফালাইস না। প্যাকেটটা সুন্দর। ফয়সাল বলছে - বালের প্যাঁচাল পারস , পিজ্জার প্যাকেট ধুইয়া কি পানি খামু ? বইলা ফয়সাল প্যাকেটটা ছুইড়া লেকের পানিতে ফালায় দিছে। পুলিশ টর্চ জ্বালাইয়া তো এদিক সেদিক পিজ্জার প্যাকেট খুঁজে আর কয় - কই আপনাদের প্যাকেট? ফয়সালরে জিগায় - এই ভদ্রমহিলা আপনার কে হয় ? তারপর তার সেন্ট্রিদের দিয়া গাড়ি চেক করাইছে। গাড়ির মধ্যে আমার দুই ব্যাগ কাপড় চোপড় পাইয়া কয় - কি ভাগতাছেন নাকি ? ফয়সালও ধাপকি মাইরা কয় - আমারে দেখলে কি কলেজের পোলাপাইন মনে হয় ? দুই বাচ্চার বাপ। আমার দিকে আঙুল তুইল্যা কয় - ও আমার বউ। আর সোহেল ভাইরে দেখাইয়া কয় - এইটা আমার বন্ধু। ফয়সালের বাপ আর্মি অফিসার ,পরিচয় পাইয়াও পুলিশ তো ধানাপানাই করতাছিল।

তারপর ?

আমারে আলাদা কইরা ডাইক্যা নিয়া জিগায় ঐ লোক কি সত্যিই আপনার হাসব্যান্ড? আমিও কইলাম - দেইখ্যা কি মনে হইতাছে না ?

তারপর ?

তারপরের কাহিনী আরও মজার। সোহেল ভাই আইসা ঐ এসআইরে হ্যান্ডশেক করার ভঙ্গীতে কয় - তাহলে ভাই ঠিক আছে। আমরা এখন যাই ? সে পারলে গাড়ি স্টার্ট দেওনের ভঙ্গী করবো এমন ভাব লইয়া কইতাছিল। তারপর পুলিশ ছাইড়া দিলো। আমার খালি ভয় লাগতাছিল যদি আমার বাসায় ফোনে কারো লগে কথা কইতে চাইতো, তাইলেই গেছিলাম। আমার বাপ-মা আর তুর্য মিল্যা কইত আমিই খারাপ, বন্ধুবান্ধব লইয়া ঘুরি রাইত কইরা, চরিত্র খারাপ! জানসইতো দোস্তো, মাইয়াগো চরিত্রের অনেক দাম! বলে ও আবার হে হে হে করে হাসে। সোহেল ভাই তো সারা রাস্তা ফয়সালরে গালি দিতে দিতে ফিরসে। এখন পিজ্জার দোকান দেখলেই আমার হাসি পায়।

আমি ওকে বলি - তোর অনেক সাহস। কপাল ভালো যে তোরা কেউ নার্ভাস হস নাই পুলিশের সামনে আর স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে পারছস । তোর জায়গায় আমি হইলে কাইন্দা কাইট্যা একাকার হইয়া যাইতাম। আর তুই দাঁত কেলাইয়া হাসতাছস !

আর ডরাইলেই ডর। যদি ডরাইয়া ডরাইয়া থাকতাম তাইলে তুর্যের মাইর খাইতাম ঘরে বইসা আর আমার বেড রুমে থাকতো বাইরের মাইয়া। শিক্ষিত হইলেই মানুষের ভিত্রে শিক্ষার আলো ছড়ায় না, এইটা মানস তো!

যাই হোক, তুই যে ঘরে না বইসা থাইকা কাজ করতাছস, আশা করি তোর সময় ভালো কাটতাছে।

নাহ্‌ রে দোস্তো, আমার ভিতরের সুরটা কাইট্যা গেছে। সারাদিন ব্যস্ততায় ভালোই থাকি কিন্তু যখন বিছানায় শুইতে যাই খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তুর্যের লিগ্যা না । নিজের লিগ্যা। আমার জীবনে প্রাপ্তি বলতে কিছুই নাই ঝুলি হাতড়াইয়া দেখলাম। হে হে হে

আবার হাসতাছস ক্যান?

তাইলে কি কান্দুম? নতুন একটা গান মোবাইলে নিলাম। শুনবি ? তোর ব্লু টুথ নাইলে শেয়ার ইট অন কর, তোরে দিয়া দেই -

এই বরফপাত, এই কঠিন রাত,
তোমার পুরনো অজুহাত,
এই আলোর নিচে কাঁপতে থাকা
ছায়ার শিকড় ছিঁড়তে চাই ।
এই উল্কাপাত, এই বিশ্রী রাত,
আচমকা এই গোপন আঁতাত,
সব ধ্বংস হওয়ার আগেই আমি
তোমার চোখে ভিজতে চাই ।


শ্রাবণের ফোন আসে। বিপাশাকে বলি - চল আমার জামাইয়ের সাথে দেখা করবি। ও পার্কিং লটে অপেক্ষা করতেছে।

ও বলে - নাহ্‌ যামু না। আরেকদিন। তোগো সংসারি মানুষগো দেখলে আমার অনেক রাগ ওঠে। যা আমার সামনে থেইক্যা।

আমি ওর হাত ধরে কিছুক্ষণ বসে থাকি। আমারও বিপাশার সাথে সাথে চোখ ভেজাতে ইচ্ছে করে বিপাশার জন্য।

চলবে

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: সম্পর্ক গুলো আজকাল বড়ই ভঙ্গুর হয়ে পোরছে। ভালো থাকুক আপনার বান্ধুবী সেই সাথে আপনিও।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ। নিছক গল্পই জীবন থেকে নেয়া বা সামহাউ কারো কারো সাথে ঘটনাগুলো মিলে যায়।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

মুহিব বলেছেন: হুলুস্তুল গল্প।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুলুস্থুল নাকি !!!

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এই অভ্যাস আমারও আছে যা দরকার নেই তাও কিনে নিয়ে আসি। এজন্য আগে শপিং এ যেতাম সপ্তাহে একবার এখন যাই ১৫ দিনে একবার যাতে কিছু টাকা বাঁচে।

মা বাবার বুঝা উচিত সন্তানকে। ঘরে মেয়ে এনে ফুর্তি করে তারপরও সেই জামাইকে এত আদর কেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একজন সন্তানের জন্য তার মা-বাবার সাপোর্ট অনেক বড় নেয়ামত। দুই পক্ষকেই সহনশীল হতে হয়। নারীরা বেশিরভাগই নিয়ম আর অন্যায় ভাবে নির্যাতিত হয় সময়ে সময়ে নিজ পরিবারেও।
শপিং এ গেলে আমারও মাথা ঠিক থাকে না। এজন্য এখন মেপে টাকা নিয়ে যাই যাতে ইচ্ছে হলেও কিনতে না পারি।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল্লাগছে.....। পিলাচ+৩

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পিলাচ নিলাম

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

শায়মা বলেছেন: আপুনি বিপাশা মহা সাহসী। B:-)


নবনীতার ডায়েরীতে অনেক ভালো লাগা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপুনি

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//ওর এই দস্যিপনা, জবরদস্তি আমার সবসময়ই ভালো লাগে। ওকে দেখলে আমার ভেতরে অনেক সাহসের জন্ম হয়। ও অনেকটা ঝড়ের মতো, হুরমুড়িয়ে এসে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যায়।//
-এমন কিছু বন্ধু আছে, যাদের সঙ্গ পেলে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়। সাহস/আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

এবারের পর্বটি বেশ মজার হয়েছে।

অবশ্য ভাষার ব্যবহারে পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করেছেন, বিপাশার মতো ;)

বান্ধবীটা কিন্তু সত্যিই মজার একটি চরিত্র। মজার মধ্যেও কিছু বিষাদ মিশিয়েছেন রুটিতে জেলির মতো...

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন। তাই বিপাশাও এর বাইরে না। এটা ঠিক হৈ চৈ দস্যিপনা কিছু মুহূর্তের জন্য হলেও জীবনের উদ্বেগ ভুলে দেয়।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: জমাট লেখা। ভাল লাগলো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপান্থ

৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, আপনার 'নবনীতার ডায়েরী' তো দূর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে? অনেক ভাল লাগছে আপনার লেখা গুলো পড়তে!

শুভ কামনা জানবেন!

বিঃদ্রঃ- ডায়েরীর ২ নং পাতাটা কি হারাই ফ্যালাইলাম? খোঁজ দ্যা সার্চ.........!!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ২ নং পাতা হারান নি। কমেন্ট করেছেন তো ! ডায়েরি টাইপের লেখা লিখতে আমি বেশ সচ্ছন্দ্য বোধ করি।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জীবনের অলিগলিতে ভালমত ঝাঁকুনি না খেলে বিপাশার মত হওয়া সম্ভব নয়। এদের এই উচ্ছলতা, কষ্টের উপাখ্যান ভুলে থাকার নিমিত্ত মাত্র। এই পর্ব ভালো হয়েছে, আগামী পর্বের অপেক্ষায়।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঘাত-প্রতিঘাত না পেলে জীবনের রুঢ় বাস্তবতাকে চেনা যায় না সত্যিই!

১০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এ পর্বটায় বেশ গতি ছিলো। আমি যদিও এসব ব্যাপার ঠিকভাবে ধরতে পারিনা। আমি মানুষের সাথে মিশি কম, কথা বলি কম। তাই এইসব ঘটনা আসেপাশে ভুরিভুরি ঘটলেও আমার কাছে একটু অদ্ভুতই লাগে শুনলে।

গল্পটা কই গিয়ে শেষ হবে বুঝতেছিনা। তবে শুরু হিসেবে একই ধরনের ঘটনাই বারবার আসছে মনে হইলো যদি এগুলো পরে সম্পর্কযুক্ত না হয়।

শুভকামনা রইলো। :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি নিজেও জানি না এই সিরিজের শেষ কোথায়। তবে বেশি বড় করার ইচ্ছে নেই। বড় করলেই আমার আগ্রহ হাওয়া হয়ে যায়। এর আগে নুহা নামের একটা সিরিজ করছিলাম সেটা ২৩ টা পার্ট লিখে আমার ইনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় ওইটা আর আলোর মুহ দেখে নাই।

আশেপাশে এসব ঘটনা আসলেই ভুরিভুরি। চোখ কান খোলা না থাকলে কেম্নে কি !

১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার ফ্রেন্ডের তো পুরা বোহেমিয়ান চরিত্র| আমার এই টাইপ ক্যারেকটার হেব্বি লাগে| শক্তির কবিতা পড়ার ফল| আর একটা গানের কথা বলেছেন| সেটাই সত্যি| অসাধারণ একটা গান| প্রায়ই শুনি| চতুষ্কোন না কি যেন ছবিটার নাম| পারলে দেখে নিয়েন| সেই সিনেমা|
আপনার পোস্ট পড়ে মিশ্র অনুভূতি হল

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আরণ্যক, আপনি বাংলা লেখেন কোন ফন্টে ? দাঁড়ি এতো বড় যে!
বোহেমিয়ান চরিত্র কম বেশি আমাদের সবারই পছন্দ, কিন্তু তাদের হয়তো অনেক জ্বলা আছে। ছবি দেখা হয় না বহুদিন। গানের কথা গুলো অদ্ভুত সুন্দর।

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দিন শেষে মানুষ বড় একা।
জীবনের অলিগলিতে ভালমত ঝাঁকুনি না খেলে বিপাশার মত হওয়া সম্ভব নয়। এদের এই উচ্ছলতা, কষ্টের উপাখ্যান ভুলে থাকার নিমিত্ত মাত্র। বোকা ভাইয়ের কথাও ভাল লাগল
হয়ত তাই সত্যি/।
ভাল থাকবেন আপা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলেই আমরা দিন শেষে একা। আর এই বোধটাই খুব অশনীয় কষ্ট দেয়। আমি সত্যিই এই অনুভূতিতে ভয়ানক কষ্ট পাই এতো এতো কাছের মানুষ থাকার পরেও

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ডাইরীতে বেশ দুঃখ চলছে । লেখা দারুণ ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেখি ডায়েরিতে সুখ আনা যায় কিনা

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: আপুমনি দেখি কাউকে রিপলাই দেয় না!!
B:-)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কে বলেছে আপুমনি রিপ্লাই দেয় না। ল্যাপ্টপ নষ্ট টাই বাসায় নেট ব্যবহার করতে পারি না। অফিসে এলেই একটু ব্লগিং করার সুযোগ পাই

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অভ্র ।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৫

লালপরী বলেছেন: অনেক ভালোলাগছে আপু +++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ লালপরী

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর ! সুন্দর !! চালিয়ে যান , ভাল লাগছে ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গানটা সেইরাম হইছে।

সিরিজটা চলুক আপা। ব্যাপক মজা পাইতেছি। সাথেই আছি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গানটা আমারও সেইরাম লাগে।
দেখি কতদিন সিরিজ চালানো যায়।

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

বৃতি বলেছেন: এই অংশটা আগে কোথাও পড়েছি মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফেসবুকে দিয়েছিলাম বৃতি

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,




গল্প হলেও বিপাশার মুখ দিয়ে এটা ঠিক বলিয়েছেন ----শিক্ষিত হইলেই মানুষের ভিত্রে শিক্ষার আলো ছড়ায় না,
ভাষার ব্যবহারে সহ-ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল এর সাথে একমত । অবশ্য সাহিত্য তো জীবন ঘনিষ্ট, তাই হবে হয়তো ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানি আর না মানি কথা সত্য, শিক্ষিত হলেও ভিতরে শিক্ষার আলো ছড়ায় না।

২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ঝরঝরে লেখা। ভালো লাগলো :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিনুল

২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

জনাব মাহাবুব বলেছেন: গল্প বলার সুন্দর ভঙ্গিমা ভাল লাগছে :)

বিপাশার মত বন্ধু-বান্ধব থাকলে জীবনটাকে কঠিন মনে হয় না। কঠিন কঠিন পরিস্থিতিও তারা সহজ বানিয়ে ফেলে :D

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহাবুব। জীবনে সাহসী বন্ধু থাকা ভাগ্যের ব্যাপার।

২৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিপাশা চরিত্রটি ভাল্লাগলো ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এইমাত্র আপনার 'মায়াবতীর গল্প' পড়ে অভিভূত হয়ে আসলাম। এটা পড়েও খুব ভালো লাগলো।
মায়াবতীকে যেমন ভালো লেগেছে, তেমনি বিপাশাকেও।
আপনার গল্প লেখার হাত ভালো।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: দারুণ ভালো লেগেছে।একদম দৈনন্দিন জীবনে যে ধাঁচে কথা বলা হয় ঠিক তেমনই মনে হলো এই পর্ব।বিপাশার মতো এরকম মানুষকে আমারও ভালো লাগে।কিন্তু বাস্তবিক দিক চিন্তা করলে দেখা যায় মানুষরা উনাদেরকে সেভাবে হৃদয় থেকে সবসময় কাছে রাখে না!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিপাশারা আসলেই অনেক একা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সিরিজের নাম পালটিয়ে সমরেশের 'মেয়েরা যেমন হয়' এর মতন করে নাম দিন - 'পুরান বান্ধবীরা যেমন হয়' :#) :#)

এইখানেও জামাই প্রশংসা। নিশ্চিত কাহিনী আছে। তবে বিপাশা ক্যারেক্টারটা ইন্টারেস্টিং ছিল।

নেক্সট পর্বে যাই...

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এতদিন পর আইসা আপনি ধৈর্য ধইরা দেখি সব গুলি পর্ব পড়ছেন! ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.