নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক : মাটির মানুষ মিজান

মাটির মানুষ মিজান

আমি একজন ওনলাইন কবি

মাটির মানুষ মিজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছেলেদের কি অবস্থা না পড়লে মিস করবেন

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২




একটাই ভাল শার্ট আমার।ইস্ত্রি করে পড়লে খুব একটা খারাপ দেখায় না।মুখে কিছু না দিয়েই চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে চললাম।পকেটে খুচরা খাচড়া মিলে আছে ৫০ টাকা।কাল ফোন দিয়েছিলাম বন্ধু রিয়াদ কে।১০০ টা টাকা ধার চেয়েছিলাম।কিন্তু বলল তার কাছে নেই।যাক বন্ধু মানুষ মিথ্যা হয়ত বলে নি।
এই বাস, টেম্পুতে ধাক্কাধাক্কি মারামারি করে শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ হলে পৌছালাম।আজকাল কোন জায়গায় লবিং ছাড়া চাকুরী হয় না।কিন্তু গ্রাম থেকে আসা ছেলেদের সে যতই মেধাবী আর ভাল ডিগ্রীধারি হোক না কেন তাদের কোন লবিংকারী চাচা,মামা থাকে না।তাই চাকুরীটা হলো না।ইন্টারভিউ বোর্ডের ম্যানেজার ৮ লক্ষ টাকা চাইল।এত টাকা আমার মত ৮ টা মাহফুজকে বেঁচলেও হয়ত পাওয়া যাবে না।তাই বের হয়ে আসলাম সেইখান থেকে। বাসায় পৌছাতে না পৌছাতেই রিফার ফোন।রিসিভ করতেই শুনতে পেলাম রিফার কান্নাকাটি।
---কি হয়েছে রিফা কাঁদছ কেন?
---বাবা আমার বিয়ের পাত্র দেখছেন।
---কি বলছ তুমি?
---তুমি আমাকে বিয়ে করতে পারবা?
---এভাবে বলছ কেন? আমি আজই তোমার বাবার সাথে কথা বলব।
---হাঃ হাঃ বাবা যখন শুনবে তুমি বেকার তখনি তোমাকে বাতিল করে দিবেন।তার কাছে বেকার মানেই বাতিল।
---তাহলে আমি কি করব? বলে দাও।
---আমি জানি না।কিচ্ছু জানি না।কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।কিছু একটা করো।
---তুমি কিছু চিন্তা করো না।আমি দেখছি কি করতে পারি।
এই কথা বলেই ফোন কেটে দিলাম।ভাবছি কি করা যায়।কিন্তু কিছু মাথায় আসছে না।প্রচন্ড ভালবাসি আমি রিফাকে।অন্য কারো সাথে দেখতেই পারব না।আমার এত সংগ্রাম,এত যুদ্ধ সব তো ওরি জন্য।নাহ কিছু একটা করতেই হবে।দরকার হলে আজকেই বিয়ে করে ফেলব রিফাকে।কিন্তু বিয়ে করতেও তো টাকার দরকার।হঠাৎ ভাবলাম আরেহ আমি এত চিন্তা করছি কেন?আমার পিচ্চি বেলার বন্ধু টিংকু তো আছেই।
টিংকু আর আমি দুইজনেই একসাথে ঢাকা এসেছি।একসাথেই লেখাপড়া শেষ করেছি।দূর সম্পর্কের এক মামার লবিং থাকায় ভাগ্যের ফেরে আজ একটা ভাল চাকুরি করে সে।বিয়ে শাদী করবে কিছুদিন পর।টিংকুর কাছে হাজার দশেক টাকা কিছুই না।সাঁত পাঁচ ভেবে ফোন দিলাম তাকে।অনেকক্ষন পর রিসিভ হলো ফোনটা।
---দোস্ত কি অবস্থা?
---ভাল নারে দোস্ত।রিফার বাপে তার বিয়ের জন্য পাত্র দেখতাছে।
---আহারে।তুই তাইলে এখন কি করবি?
---আর কি করমু।রাস্তা একটাই।ওরে বিয়ে করমু।আজ কালের মধ্যে।কিন্তু হাত খালি।১০ হাজার টাকা দেনা দোস্ত।তোর কাছে তো এইটা হাতের ময়লা।
---দোস্ত বিশ্বাস কর এই মুহুর্তে আমার কাছে বিষ খাওয়ার ও পয়সা নাই।১০ হাজার টাকা কোথায় পাবো?চাকুরীটা শুরু করেছি মাত্র।
---দোস্ত দেখ না ম্যানেজ করতে পারিস কিনা?
---দোস্ত ম্যানেজ করতে পারলে কি আর তোকে না করতাম।তুই আমার অনেক কাছের বন্ধু।তোর সাহায্যে আসতে পারলে বরং খুশি হতাম।
---ঠিক আছে দোস্ত।দেখি কি করতে পারি।
এই কথা বলেই ফোনটা রেখে দিলাম।খুব খারাপ লাগছিল।কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।রিফাও ফোন দিচ্ছিল বারবার।কিন্তু কি বলব মেয়েটাকে জানি না।তাই ফোন রিসিভ করলাম না।অনেক ভেবে চিন্তে ভাবলাম টিংকুর বাসায় যাই ও টাকা দিতে না পারুক বুদ্ধি তো দিতে পারে।যেই ভাবা সেই কাজ।
তবে টিংকুর বাসায় গিয়ে যেয়ে যা দেখলাম তা হয়ত কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।টিংকুর বাসায় বিশাল পার্টি।মদ আর ভদকার বোতল খুলে বসে আছে টিংকুর বন্ধুরা।এদের মধ্যে সবাইকেই আমি চিনি।সবাই বন্ধু ছিলাম একসময়।ভাগ্যের পরিহাসে আজ এরা সবাই পোষ্টে আর পার্টে আমার থেকে অনেক উচুঁতে।দরজা খোলাই ছিল।পুরোটা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকতে জেতেই শুনলাম আমাকে নিয়েই ওখানে কথা হচ্ছে।টিংকুকে কে যেন বলল,
---কিরে টিংকা তোর প্রিয় বেস্ট ফ্রেন্ড মাহফুজ রে পার্টিতে দাওয়াত দিছ নাই?
---হু ইজ মাহফুজ? দেখ ভাই আমি মাহফুজ টাহফুজদের চিনি না।এইসব বেকার বাতিল ফকিরদের সাথে আমি টিংকা চলি না।
---হেঃ হেঃ আগে তো তোদের গলায় গলায় ভাব ছিল এখন কি হলো?
---দেখ আগের কথা বাদ দে।সময় আর জীবনের প্রয়োজনে কত জনের সাথে মিশতে হয় তাই বলে সবাইকে কি বন্ধু ভাবতে হয়?
---হুম ঠিক।ওইসব ফকিরের ছেলের সাথে তোকে মানায় না।
---ঠিক বলছস।আর এইসব ফকিরের পোলাদের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত না।খালি ২ দিন পর পর টাকা ধার চায়।আজকেই এই মাহফুজ আমার কাছে টাকা চাইল ১০ হাজার।বিয়া নাকি করব।খাইতেই পায় না বিয়ার শখ।
---তুই দিলি?
---আরেহ ধূর তোর মাথা খারাপ? এইসব ফকিরদের বাতিল মালদের একবার টাকা দিলে তা আর ফেরত পাওয়া যায় নাকি।আমি কি এতই বোকা যে টাকা দিমু? হাঃ হাঃ।
ঘরে না ঢুকে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম আমি।দম বন্ধ হয়ে আসছে কেন যেন।যে টিংকু মেসে অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের হাতে ভাত খাইয়েছি, কস্টের টিউশনির টাকা দেশে না পাঠায় পরীক্ষার ফরম ফিল আপের জন্য তার হাতে তুলে দিয়েছি আজ সে টিংকুর কাছে
একটাই ভাল শার্ট আমার।ইস্ত্রি করে পড়লে খুব একটা খারাপ দেখায় না।মুখে কিছু না দিয়েই চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে চললাম।পকেটে খুচরা খাচড়া মিলে আছে ৫০ টাকা।কাল ফোন দিয়েছিলাম বন্ধু রিয়াদ কে।১০০ টা টাকা ধার চেয়েছিলাম।কিন্তু বলল তার কাছে নেই।যাক বন্ধু মানুষ মিথ্যা হয়ত বলে নি।
এই বাস, টেম্পুতে ধাক্কাধাক্কি মারামারি করে শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ হলে পৌছালাম।আজকাল কোন জায়গায় লবিং ছাড়া চাকুরী হয় না।কিন্তু গ্রাম থেকে আসা ছেলেদের সে যতই মেধাবী আর ভাল ডিগ্রীধারি হোক না কেন তাদের কোন লবিংকারী চাচা,মামা থাকে না।তাই চাকুরীটা হলো না।ইন্টারভিউ বোর্ডের ম্যানেজার ৮ লক্ষ টাকা চাইল।এত টাকা আমার মত ৮ টা মাহফুজকে বেঁচলেও হয়ত পাওয়া যাবে না।তাই বের হয়ে আসলাম সেইখান থেকে। বাসায় পৌছাতে না পৌছাতেই রিফার ফোন।রিসিভ করতেই শুনতে পেলাম রিফার কান্নাকাটি।
---কি হয়েছে রিফা কাঁদছ কেন?
---বাবা আমার বিয়ের পাত্র দেখছেন।
---কি বলছ তুমি?
---তুমি আমাকে বিয়ে করতে পারবা?
---এভাবে বলছ কেন? আমি আজই তোমার বাবার সাথে কথা বলব।
---হাঃ হাঃ বাবা যখন শুনবে তুমি বেকার তখনি তোমাকে বাতিল করে দিবেন।তার কাছে বেকার মানেই বাতিল।
---তাহলে আমি কি করব? বলে দাও।
---আমি জানি না।কিচ্ছু জানি না।কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।কিছু একটা করো।
---তুমি কিছু চিন্তা করো না।আমি দেখছি কি করতে পারি।
এই কথা বলেই ফোন কেটে দিলাম।ভাবছি কি করা যায়।কিন্তু কিছু মাথায় আসছে না।প্রচন্ড ভালবাসি আমি রিফাকে।অন্য কারো সাথে দেখতেই পারব না।আমার এত সংগ্রাম,এত যুদ্ধ সব তো ওরি জন্য।নাহ কিছু একটা করতেই হবে।দরকার হলে আজকেই বিয়ে করে ফেলব রিফাকে।কিন্তু বিয়ে করতেও তো টাকার দরকার।হঠাৎ ভাবলাম আরেহ আমি এত চিন্তা করছি কেন?আমার পিচ্চি বেলার বন্ধু টিংকু তো আছেই।
টিংকু আর আমি দুইজনেই একসাথে ঢাকা এসেছি।একসাথেই লেখাপড়া শেষ করেছি।দূর সম্পর্কের এক মামার লবিং থাকায় ভাগ্যের ফেরে আজ একটা ভাল চাকুরি করে সে।বিয়ে শাদী করবে কিছুদিন পর।টিংকুর কাছে হাজার দশেক টাকা কিছুই না।সাঁত পাঁচ ভেবে ফোন দিলাম তাকে।অনেকক্ষন পর রিসিভ হলো ফোনটা।
---দোস্ত কি অবস্থা?
---ভাল নারে দোস্ত।রিফার বাপে তার বিয়ের জন্য পাত্র দেখতাছে।
---আহারে।তুই তাইলে এখন কি করবি?
---আর কি করমু।রাস্তা একটাই।ওরে বিয়ে করমু।আজ কালের মধ্যে।কিন্তু হাত খালি।১০ হাজার টাকা দেনা দোস্ত।তোর কাছে তো এইটা হাতের ময়লা।
---দোস্ত বিশ্বাস কর এই মুহুর্তে আমার কাছে বিষ খাওয়ার ও পয়সা নাই।১০ হাজার টাকা কোথায় পাবো?চাকুরীটা শুরু করেছি মাত্র।
---দোস্ত দেখ না ম্যানেজ করতে পারিস কিনা?
---দোস্ত ম্যানেজ করতে পারলে কি আর তোকে না করতাম।তুই আমার অনেক কাছের বন্ধু।তোর সাহায্যে আসতে পারলে বরং খুশি হতাম।
---ঠিক আছে দোস্ত।দেখি কি করতে পারি।
এই কথা বলেই ফোনটা রেখে দিলাম।খুব খারাপ লাগছিল।কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।রিফাও ফোন দিচ্ছিল বারবার।কিন্তু কি বলব মেয়েটাকে জানি না।তাই ফোন রিসিভ করলাম না।অনেক ভেবে চিন্তে ভাবলাম টিংকুর বাসায় যাই ও টাকা দিতে না পারুক বুদ্ধি তো দিতে পারে।যেই ভাবা সেই কাজ।
তবে টিংকুর বাসায় গিয়ে যেয়ে যা দেখলাম তা হয়ত কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।টিংকুর বাসায় বিশাল পার্টি।মদ আর ভদকার বোতল খুলে বসে আছে টিংকুর বন্ধুরা।এদের মধ্যে সবাইকেই আমি চিনি।সবাই বন্ধু ছিলাম একসময়।ভাগ্যের পরিহাসে আজ এরা সবাই পোষ্টে আর পার্টে আমার থেকে অনেক উচুঁতে।দরজা খোলাই ছিল।পুরোটা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকতে জেতেই শুনলাম আমাকে নিয়েই ওখানে কথা হচ্ছে।টিংকুকে কে যেন বলল,
---কিরে টিংকা তোর প্রিয় বেস্ট ফ্রেন্ড মাহফুজ রে পার্টিতে দাওয়াত দিছ নাই?
---হু ইজ মাহফুজ? দেখ ভাই আমি মাহফুজ টাহফুজদের চিনি না।এইসব বেকার বাতিল ফকিরদের সাথে আমি টিংকা চলি না।
---হেঃ হেঃ আগে তো তোদের গলায় গলায় ভাব ছিল এখন কি হলো?
---দেখ আগের কথা বাদ দে।সময় আর জীবনের প্রয়োজনে কত জনের সাথে মিশতে হয় তাই বলে সবাইকে কি বন্ধু ভাবতে হয়?
---হুম ঠিক।ওইসব ফকিরের ছেলের সাথে তোকে মানায় না।
---ঠিক বলছস।আর এইসব ফকিরের পোলাদের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত না।খালি ২ দিন পর পর টাকা ধার চায়।আজকেই এই মাহফুজ আমার কাছে টাকা চাইল ১০ হাজার।বিয়া নাকি করব।খাইতেই পায় না বিয়ার শখ।
---তুই দিলি?
---আরেহ ধূর তোর মাথা খারাপ? এইসব ফকিরদের বাতিল মালদের একবার টাকা দিলে তা আর ফেরত পাওয়া যায় নাকি।আমি কি এতই বোকা যে টাকা দিমু? হাঃ হাঃ।
ঘরে না ঢুকে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম আমি।দম বন্ধ হয়ে আসছে কেন যেন।যে টিংকু মেসে অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের হাতে ভাত খাইয়েছি, কস্টের টিউশনির টাকা দেশে না পাঠায় পরীক্ষার ফরম ফিল আপের জন্য তার হাতে তুলে দিয়েছি আজ সে টিংকুর কাছে আমি একটা বাতিল মাল।হাহ জীবন টা আসলেই চরম এক বাস্তবতার মুখোমুখি করল আমাকে।এইসব ভাবতে ভাবতে হাঁটছি হঠাৎ পাশ দিয়ে একটা বাইক তীব্র গতিতে বেড়িয়ে গেল আর একরাশ নোংরা কাঁদা আমার একটাই জোড়া তালি দেওয়া ভাল শার্ট টাকে নোংরা করে দিল।বাইক ওয়ালে দেখলাম।চালকের আসনে বসে আছে রিয়াদ।আমার সেই বন্ধু যার কাছে গতকাল ১০০ টাকা চেয়েছিলাম কিন্তু নাই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল অথচ আজ সে মজা করে গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে বাইকে ঘুরছে।এই সেই রিয়াদ যাকে একসময় নিজের টাকা দিয়ে বেনসন সিগারেট খাওয়াতাম।কারন তার পকেটে সিগারেট খাওয়ার মত পয়সা থাকত না।রিয়াদের গার্লফ্রেন্ড কে দেখে নিজের ভালবাসার মানুষটির কথা মনে পড়ে গেল।মোবাইল বের করে দেখলাম ২৫ টা মিসকল আহারে কত ভালবাসে আমাকে মেয়েটা।সারা জীবন আমাকে কাছে পাওয়ার জন্য পুরাই পাগল হয়ে আছে।কিন্তু মেয়েটা আমার কাছে ভাল থাকবে না।চীরজীবন কস্ট আর সংগ্রামি করতে হবে তাকে।সহসা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম।ফোন দিলাম রিফাকে।বললাম,
---হ্যালো কি সমস্যা রিফা? বার বার ফোন দিচ্ছ কেন?
---এইভাবে কেন কথা বলছ? কি ব্যাবস্থা করলে জানার জন্য ফোন দিচ্ছি।আমি সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছি শুধু তুমি বলবে আর সব কিছু ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসব।
---সব কিছু ছেড়ে আমার কাছে আসবে কেন? আমি তোমাকে রাখব কোথায়? এই সব নাটক ছাড়।বাবা যেইখানে চায় বিয়ে করে নাও।
---এইসব কি ধরনের কথা? তুমি আমাকে বিয়ে করবে না?যদি বিয়েই না করো তাহলে প্রেম করেছিলে কেন?
---ইচ্ছে হয়েছে করেছি।এখন আর তোমাকে ভাল লাগে না।আর দয়া করে আমাকে ডিসটার্ব করবে না।বাই।ভালো থেকো।
এই কথা বলেই ফোন টা বন্ধ করে দিলাম।যতই মানা করি তারপরো একবার না বারবার ডিস্টার্ব করবে আমায় রিফা কিন্তু মোবাইল বন্ধ পেলে আর কয়বার করবে?থাক কয়েকদিন কাঁদবে। তারপর এম্নি ঠিক হয়ে যাবে।বাবার চাপাচাপিতে এক সময় বিয়ে করবে তারপর স্বামী সন্তান নিয়ে নিজেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে।তারপর ও অনেক ভাল থাকবে,সুখে থাকবে।
এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে রেল লাইনের কাছে চলে এসেছি খেয়াল নেই।আচ্ছা এইখানে লাইনের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লে কেমন হয়?সব যন্ত্রনা,সব কস্টের পরিসমাপ্তি।বাস্তবতার নির্মম কষাঘাত আর সহ্য হচ্ছে না।কিন্তু না তাও পারলাম না।বৃদ্ধ বাবা মায়ের করুন মুখচ্ছবি ভেসে উঠছে বার বার।চাতক পাখির মত চেয়ে রয়েছেন তারা আমার দিকে।
আবার বাসায় ফিরে আসলাম।শার্ট টা ধুলাম।কাল আরেকটা ইন্টারভিউ আছে।চাকুরিটা হবে না জানি তারপর ও আশা।আমার মত বেকার বাতিলদের যে আশাই সবকিছু।
আমার এক বন্ধুর লেখা আমার খুব ভাল লাগল!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ট্রলারে করে মালয়েশিয়া এসেছি, এখানে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় নেই, আছে রাবার বাগান; আপনাদের সমস্যা আজব, বিশ্ব বিদ্যালয়ে কেন? পারলে ইয়াবা মিয়াবার কারবার করেন, না হলে চিটাগং গিয়ে ট্রলারে উঠেন।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মাটির মানুষ মিজান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই আপনি যদি আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনার কথায় টিক আমি ট্রলারে উঠব আর যদি আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারেন তাহলে আপনি ট্রলারে উঠবেন !!! সবাই দেখবে কে ইয়াবা কারবার করে .........

প্রশ্ন : ................................?

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখা চালিয়ে যান, সবকিছু সামনে

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

ঢাকাবাসী বলেছেন: কি আছে জীবনে< চালায়া যান।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

মাটির মানুষ মিজান বলেছেন: শুনেন চাঁদগাজী ভাই আমার ব্লগটা নতুন তাই আমি এমন কিছু লিখি মানুষ দেখে যেন আমাকে কমেন্স করে এবং আমার ব্লগটার যেন ভিউআর বাড়ে । আর শুনেন আপনার প্রতি আমার কোন ধরনের রাগ নেই ভুল হলে কমা করবেন । আমার প্রশ্নের উত্তরটা হল যে

প্রশ্ন : ............................?
উত্তর : ..........................!

আর আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে আমর পোস্ট গুলো মানুষ দেখে যেন !!!!!! হয় ।

দোয়া চায় চাঁদগাজী ভাই

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: জীবনটা থেমে থাকে না। প্রেমনির্ভর জীবন আরো বেশি যন্ত্রনাময়। আমাদের দেশের শিক্ষিত যুবকদের মাঝে একটি ধারণা পড়াশুনা শেষ করে চাকরিটাই একটা বাধ্যতামূলক কাজ। কিন্তু , আমাদের এই সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলের দেশ বাংলাদেশ এর মাটি , জমিন কতটা উর্বর এবং প্রাণ ফুঁড়ে আপনাকে দিতে সক্ষম সেটা যদি ধারণায় থাকতো তবে , এই জাতির ভবিষ্যৎ অন্য রকম হতো। মাছ চাষ , খামারি দের আয় ঐসব চাকরিজীবীদের থেকে কয়েক গুন বেশি হয়। বিভিন্ন মাঠকর্মী , ঋণের সহায়তা নিয়ে ওই যুবকের উচিত , এইসব কাজের পাশাপাশি চাকরি অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া , যেহেতু তার পড়াশোনা আছে।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

Asaduzzaman Rakib বলেছেন: বেকারদের পৃথিবী দিন দিন ছোট হতে থাকে, কেও তাকে সঙ্গ দিতে চায় না, না প্রেমিকা, না বন্ধু,,, বাস্তবতা,,,
,
ব্লগে এটাই আমার প্রথম কমেন্ট। আজ ১৭ ডিসেম্বর জীবনে প্রথম ব্লগ লিখলাম। বেকারত্ব নিয়ে আমার ব্লগে আমারও একটা লেখা আছে, দেখে আসতে পারেন মিজান ভাই,,,

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

আহা রুবন বলেছেন: দেশে বেকার আছে সত্য। কিন্তু বেকারত্বের জন্য সেও অনেকটা দায়ী। আমাদের একটা ধারণা আছে, একটা ডিগ্রি হলে পরেই কেউ চাকরি দিয়ে দেবে। যে কোনও চাকরিকে টার্গেট করে নিজেকে তৈরি করে না, প্রশিক্ষিত করে না। যারা চাকরি দেবে তারা উপযুক্ত কর্মি খুঁজে পায় না। কয়দিন আগে সাবেক কলিগ তিনজন কর্মি চাইল। আমার কথায় আস্থা রেখে তিনজনকেই নিয়ে নেয়। এক সপ্তাহ ট্রেনিং শেষে একজন বাগড়া বাধালো তাকে নিজ জেলায় পোষ্টিং দিতে হবে। আমার কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকে, আমার বন্ধুকে বলে রাজি করাতে। শেষে বন্ধুকে বললাম বাদ দিয়ে দিতে। শুরুতেই ১৭০০০ টাকা বেতন ছিল। ছেলেটা এখন ভাদাইমার মত ঘোরে। বলুন এই বেকারত্বের জন্য দায়ী কে?

৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

আহা রুবন বলেছেন: দেশে বেকার আছে সত্য। কিন্তু বেকারত্বের জন্য সেও অনেকটা দায়ী। আমাদের একটা ধারণা আছে, একটা ডিগ্রি হলে পরেই কেউ চাকরি দিয়ে দেবে। যে কোনও চাকরিকে টার্গেট করে নিজেকে তৈরি করে না, প্রশিক্ষিত করে না। যারা চাকরি দেবে তারা উপযুক্ত কর্মি খুঁজে পায় না। কয়দিন আগে সাবেক কলিগ তিনজন কর্মি চাইল। আমার কথায় আস্থা রেখে তিনজনকেই নিয়ে নেয়। এক সপ্তাহ ট্রেনিং শেষে একজন বাগড়া বাধালো তাকে নিজ জেলায় পোষ্টিং দিতে হবে। আমার কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকে, আমার বন্ধুকে বলে রাজি করাতে। বললাম তুমি ওখানেই জয়েন করো, কয়দিন পরেই দেখি বলে নিয়ে আসব। তার কথা মা যেতে দেবে না। শেষে বন্ধুকে বললাম বাদ দিয়ে দিতে। শুরুতেই ১৭০০০ টাকা বেতন ছিল। ছেলেটা এখন ভাদাইমার মত ঘোরে। বলুন এই বেকারত্বের জন্য দায়ী কে?

১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

কালীদাস বলেছেন: এটা কি সত্য ঘটনা? গল্প হলে বলব ভাল হয়নি, পুরান জিনিষ, নতুন কিছু নেই।

১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার মানুষ এি ধরণের পল্প লিখছে ১০০ বছর ধরে, মানুষ কিছু শিখতে পারছে না, মরাল মনে রাখতে পারছে না।

১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: স র কা রে র ন্যাশ্নাল সাভিস আজও চলমান। সেখানে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা থাকলে যোগ দেওয়াটা পোলাপাইনের ফ র জ।
আর তাতে যদি না পোষায় এবং মন খারাপ থাকে তাহলে বিটিভি দেখুন, আশা করি কিছুটা হলেও সমাধান পাবেন।

১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পোস্টে মাইনাস। তথাকথিত প্লট দিয়ে মানুষের আবেগ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা। আজাইরা একটা শিরোনাম। গাধা একটা ছেলে যে বন্ধু চিনে না আবার প্রেমও করে! ফালতু...

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

মাটির মানুষ মিজান বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া লেখা পাশ করা ছাত্র নিয়ে লেখছি! এখন আর ভাললাগেনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামটা আমার কাছে আতঙ্ক মনে হয়! জীবনের ৭টা বছর। বেহুদাই নষ্ট!! ভালো কোন চাকরি তো পাওয়াই যায় না, এই সার্টিফিকেট বহন করাটাও কষ্টের। রেপুউটেড ইউনিভার্সিটি ছাড়া আজাকাল চাকরি পাওয়া দূর্লোভ,,,

১৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫০

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: অন্যকে ছোট করার জন্য এ পোষ্টের অপচেষ্টা।অার যাই হোক প্রচুর বিনোদন পেলেন.......

১৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫০

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: অন্যকে ছোট করার জন্য এ পোষ্টের অপচেষ্টা।অার যাই হোক প্রচুর বিনোদন পেলেন.......

১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

মাটির মানুষ মিজান বলেছেন: আব্দুল্লাহ আল কাফি ভাই জীবনটা এই অবস্থাই আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.