নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মমার

আসুন আমরা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুেলর েদখােনা রাস তায় চলী।

মমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় কবির মর্যাদা ও মূল্যায়ন

২৪ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:০৯

মিন্টু রহমান



Click This Link





১৯৭২ সালের ২৪ মে (১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ) ৭২তম কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনের মাত্র একদিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে কবিকে চিরদিনের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকা ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডে ৩৩০বি নম্বর বাড়িতে কেন এনেছিলেন বাংলাদেশের মানুষ আজ পর্যন্ত এ সম্পর্কে সঠিক কোনো কিছুই জানতে পারেনি, এমনকি সরকারিভাবে এর সপক্ষে কোনো ব্যাখ্যা-বিবৃতি দেয়া হয়নি। তাই ধরে নিতে হবে—এ বিষয়টি চাপা পড়ে গেছে অথবা রহস্যজনকভাবে এখনও আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ঠিকই বুঝতে পেরেছে এর পেছনে লুকায়িত কারণগুলো। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ নামক দেশটির অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি অবিশ্বাস্যভাবে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে নিশ্চিত ফাঁসির দোরগোড়া থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। আসার পর থেকে বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও বিশাল এক মিত্রবাহিনীর বাংলাদেশে অবস্থান তাকে ভাবিয়ে তোলে। অন্যদিকে সদ্য স্বাধীন দেশে প্রশাসন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র- দেশের খাদ্য পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা, ভঙ্গুর অর্থনীতি অর্থাত্ চারিদিকে সর্বক্ষেত্রে হাহাকার তাকে ভাবিয়ে তোলে। এরই মাঝে এতো সমস্যাকে মাথায় নিয়ে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিনি ১৯৪২ সালে নির্বাক অসুস্থ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে কেন আনতে গেলেন—তা আজও অজানা রয়ে গেছে। তবে নজরুল যে তার প্রিয় কবি ছিলেন—এ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়। কারণ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বঙ্গবন্ধু কাজী নজরুল ইসলামের লেখা থেকে নিয়েছিলেন—যা গত দুই বছর আগে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ওসমানী মিলনায়তনে ১১১তম নজরুল জন্মদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় নির্দ্বিধায় উল্লেখ করেছেন। আর ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি জাতীয় কবির বহু গান ও কবিতায় ব্যবহৃত হয়েছে—এটা সবারই জানা আছে। সম্ভবত ‘বাংলাদেশ’ ও ‘জয় বাংলা’ শব্দ দুটির প্রতি কৃতজ্ঞতা, মর্যাদা ও ঋণ শোধ করার উদ্দেশ্যে কবিকে এদেশে এনে প্রকৃত সম্মান দেয়ার জন্য এ কাজটি করে থাকবেন বলে সবার ধারণা।

বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় কবিকে সম্মান, মর্যাদা দেয়ার জন্য এদেশে এনেছেন—তাকে জাতীয় কবি করা হয়েছে এবং ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির ইন্তেকালের পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ওই সময়ের চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান তার দাফন সম্পন্ন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কবির শেষ ইচ্ছানুযায়ী। কবির জানাজায় উপস্থিত লাখ লাখ জনতার ঢল প্রমাণ করে যে, তিনি সমগ্র মানুষের কতটা হৃদয়ের কবি। কিন্তু সত্যিকথা বলতে কি, এতদিন পরও কি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে সঠিক মর্যাদা বা মূল্যায়ন করা হয়েছে বা এখনও হচ্ছে? ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নিহত হওয়ার দিন পর্যন্ত কবির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে একথা বলার সুযোগ নেই কারও পক্ষে—কারণ নজরুল বিরোধী চক্র বোধকরি ওই সময়ের মধ্যে অন্য কাউকে নিয়ে অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি করার সাহস পায়নি, কথাগুলো কতটুকু সত্য তা ওই সময়ের ইতিহাস বিচার-বিশ্লেষণ করলেই প্রমাণ মিলবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা ও মূল্যায়ন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনেক বেশি করা হলেও নজরুলবিরোধী চক্র এখান থেকেই কয়েক বছর ধরে হারানো শক্তিতে বলীয়ান হয়ে নব উদ্যমে তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে। তাই পরবর্তীকালে কাজী নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যতই জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে নজরুল বিরোধী চক্রটি আরও বলীয়ান হয়ে তৃতীয় শক্তির সহায়তায় সব মিডিয়া ও শিল্প-সংস্কৃতির প্রধান জায়গাগুলোতে অদৃশ্য কালো হাতকে প্রসারিত করেছে সুকৌশলে। একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে, শুধু নজরুলের জন্ম-মৃত্যুদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হয়—অনেকটা দায়সারা গোছের সাধারণ কবি-সাহিত্যিকের মতো—জাতীয় কবির মর্যাদায় নয়। কারণ জাতীয় কবির অধিক মর্যাদা-মূল্যায়নে অবশ্যই কবিকে উপস্থাপন করতে হবে—তার সৃষ্টিকর্ম সামগ্রিকভাবে তুলে ধরতে হবে। অন্য কোনো কবির মতো সমান দৃষ্টিতে জাতীয় কবির মূল্যায়ন যুক্তিযুক্ত নয়। তাহলে তো তিনি জাতীয় সত্তার কবি, জাতীয় মূল্যবোধের কবি হতে পারতেন না। আর সারাবছর স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর পরিসংখ্যান নেয়া হলে দেখা যাবে জাতীয় কবির চেয়ে অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকদের অধিক গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জাতীয় কবির থেকে অনেকাংশে বেশি। অবশ্য এগুলো কিছু দুষ্টু লোকের পরিকল্পিত কাজ বলেই সচেতনদের ধারণা। তেমনিভাবে প্রিন্ট মিডিয়াতেও শুধু জন্মদিন-মৃত্যুদিনে জাতীয় কবিকে একটু হাইলাইট করা হয় মাত্র। সারাবছরের পরিসংখ্যানে জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্মের সিকিভাগও উপস্থাপন করা হয় না— এখানেও দুষ্টুলোকের কালো হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

বাংলা সাহিত্যের আরেক দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নানা কায়দাকানুনে উপস্থাপন করে জাতীয় কবি নজরুলকে অবমূল্যায়ন করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে, জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশে যেভাবে রবীন্দ্রনাথকে মূল্যায়ন করা হয় ভারতের মতো বিশাল দেশে সম্ভবত পশ্চিম বাংলা ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যে একটুও করা হয় না। অপ্রিয় সত্য হলেও সবাই জানেন যে, বিশাল ভারতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা অথচ বাংলা সাহিত্যের আরেক দিকপাল কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে সেখানে কিন্তু কোনোরকম অনুষ্ঠানাদি করা হয় না। শুধু পশ্চিমবাংলায় জন্মদিনে লোক দেখানো একটু-আধটু শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মানুষ অথবা সাধারণ মানুষ এতটুকুও শ্রদ্ধা দেখানোর উত্সাহ প্রদর্শন করে না। অথচ নজরুল বাংলাদেশের জাতীয় কবি হওয়া সত্ত্বেও এদেশের রবীন্দ্র-প্রেমীরা প্রকাশ্যভাবে জাতীয় কবিকে নানাভাবে অবমূল্যায়ন করে যাচ্ছে। তাহলে কোন শক্তিবলে আমাদের জাতীয় কবিকে অবমূল্যায়ন করে একদল নজরুলবিরোধী চক্র নানা স্যাটেলাইট চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ার বদৌলতে অসঙ্গত বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করে—এই সাহসটুকু তারা নিশ্চয়ই অদৃশ্য কোনো শক্তির কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা, তার অনুষ্ঠান এদেশে হাজারও কণ্ঠে, লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হোক এতে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়, কিন্তু নজরুলের গানও নিশ্চয়ই জাতীয় কবি হিসেবে কোটি কণ্ঠে গীত হওয়া দরকার। অথচ তা করার পরিকল্পনা-উদ্যোগ কেউ নিয়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা নেই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য স্পন্সর বা এককালীন দান-অনুদান পাওয়া যায় অনেকের কাছ থেকে—কিন্তু জাতীয় কবির অনুষ্ঠানের জন্য কিঞ্চিত্ পরিমাণ সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া যায় না অনেকের কাছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাক ছিটকানো পরিলক্ষিত হয়। অথচ কোনো একটি ভারতীয় চ্যানেলে বাংলা সঙ্গীতের নামে সারাক্ষণ রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠানের পাশে কোনোরকম দায়সারা গোছের সিংহভাগ ভারতীয় শিল্পীর পাশাপাশি কয়েকজন মুখচেনা বাংলাদেশী শিল্পীকে নিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে অধিক মর্যাদা দেয়ার লক্ষ্যে অল্প-বিস্তর নজরুলের গান প্রচার করা হয়। এক্ষেত্রেও বিদেশ থেকে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশী মানুষকে নিজেদের জাতীয় কবির নাম মুছে ফেলার প্রয়াসে এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এখান থেকেই অন্য একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে বলে অনায়াসে প্রমাণিত হয়। আরও লক্ষণীয় যে, পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট করা কিছু বাংলাদেশী দর্শক-শ্রোতাকে ফোন কল করিয়ে জীবন্ত অনুষ্ঠানে সফলতা আনয়নে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, শুদ্ধ সঙ্গীত অনুরাগী ছাড়া সাধারণ মানুষ কোনোক্রমেই এই অনুষ্ঠান দেখেন না ও বোঝেন না। এভাবেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবমূল্যায়ন হচ্ছে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে স্বাধীনতা-উত্তরকালে। অথচ নজরুলবিরোধী শক্তির মতো প্রকাশ্যভাবে নজরুল অনুরাগীরা কথা বলতে ভয় পান। নজরুল-প্রেমী মানুষের সংখ্যা এদেশে সিংহভাগ, কিন্তু তারা অনেকটাই মেরুদণ্ডহীন ভিতু প্রকৃতির। অথচ শুধু নজরুল অনুরাগীদের সমর্থন নিয়ে এসব বুদ্ধিজীবী অনেকে রাজনৈতিক নেতার চেয়েও অনেক বেশী জনপ্রিয় হতে পারতেন। অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে বলতে হয়, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের আন্তরিকতা ছিল গভীর—তারা বেঁচে থাকলে কোনো দিনই এরকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকত না। শুধু অতি উত্সাহী একশ্রেণীর ভক্ত-অনুরাগীর কারণে এবং তৃতীয় শক্তির কালো হস্তের থাবায় এ ধরনের অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই এই ব্যবধান উদ্দেশ্যমূলক ও অসঙ্গতিপূর্ণ।

এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে। আমাদের দেশ ও জাতির স্বার্থে জাতীয় কবিকে নিজেদের প্রয়োজনে সর্বাধিক কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য নতুন নতুন পরিকল্পনা, উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে কয়েকটি উদ্যোগের কথা প্রস্তাব করা যেতে পারে। প্রথমত, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় কবির জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতীয় কবির পরে দ্বিতীয় সারিতে অন্যদের অনুষ্ঠানাদি করার নিয়ম থাকতে হবে। জেলা প্রশাসকদের বাধ্যতামূলক জাতীয় কবির অনুষ্ঠানাদি ও সৃষ্টিকর্মকে প্রচার-প্রসারের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নির্দেশ থাকতে হবে। নজরুলের নামে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোকে অধিক মর্যাদা ও অনুদান প্রদান করার বিধান থাকতে হবে। জাতীয়ভাবে গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে নজরুল অনুরাগী শিল্পী-গবেষক সৃষ্টি করার জোর তাগিদ থাকতে হবে। মিডিয়াগুলোতে সারাবছর ধরে এসব কার্যক্রমের বারবার তাগিদ দিতে হবে, যাতে সবাই জাতীয় কবির মর্যাদা ও মূল্যায়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে সচেষ্ট হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৩১

ড্রীমার বলেছেন: আপনার কথাগুলো একদম সত্যি ভাই। আমাদের জাতীয় কবিকে যেভাবে স্মরণ করা হয় এটা খুবই লজ্জাজনক, হতাশার... যে কবি চরম দু:খ-দৈন্যে বেড়ে ওঠে আজকের নজরুল হয়েছেন তাঁর থেকে আমাদের কত প্রেরণা পাওয়ার কথা। অথচ কবিকে সঠিকভাবে নজরে আনা হয়না বলে সবাই জিনিসটা বুঝতে পারেনা। যে কবি সত্যিকার অসাম্প্রদায়ীক, সত্যিকার দেশপ্রেমিক; জেলে পর্যন্ত গেছেন এবং সেখানে বসেও প্রতিবাদ করেছেন !! তিনি সারাজীবন ভুগে ভুগে তার উপলব্ধি থেকে একেক সময় একেকটা লেখার জন্ম দিয়েছেন। কত কঠিন কঠিন শব্দ তিনি নিজে সৃষ্টি করেছেন, এর জন্য তাঁর বাড়িতে "মাস্টার মশাই" রাখতে হয়নি !
--"হিন্দু না মুসলিম ঐ জিঞ্জাসে কোন জন........!" এই কথাটি যিনি লিখতে পারেন এর চেয়ে অসাম্প্রদায়িক, মানবতার কবি কে হতে পারে ! যিনি দু:সময়ে এ প্রস্ন না করে জাতিকে এক হতে বলেছেন। ওহ্ তোমাকে হাজার সালাম দু:খু মিয়া ! তুমিই আমাদের কবি। দু:খু করনা আমরা কিছু মানুষ এখনও তোমাকে ভুলিনি, ভুলবনা.........

২| ২৪ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৪৫

ভাবসাধক বলেছেন: জেলা প্রশাসকদের বাধ্যতামূলক জাতীয় কবির অনুষ্ঠানাদি ও সৃষ্টিকর্মকে প্রচার-প্রসারের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নির্দেশ থাকতে হবে। নজরুলের নামে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোকে অধিক মর্যাদা ও অনুদান প্রদান করার বিধান থাকতে হবে। জাতীয়ভাবে গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে নজরুল অনুরাগী শিল্পী-গবেষক সৃষ্টি করার জোর তাগিদ থাকতে হবে


ঠিক ঠিক ঠিক !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.