নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে চক্রটি এই অস্ত্র স্ম্যাগলিং ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিল

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

সরকারি অবকাঠামো ব্যাবহার করে হাওয়া ভবন ভিত্তিক চক্রটি দীর্ঘদিন জাবতই এই অস্ত্র স্ম্যাগলিং ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিল, পাকিস্তানি ISI, আলকায়দা উইং এর সহায়তায় দুবাই কেন্দ্রিক আর্মস স্মাগলার দাউদইব্রাহিম চক্র এদেরকে এই লোভনীয় ব্যাবসায় উদ্ভুদ্ধ করে। এদের সাথে যুক্ত হয় একদল কট্টর ডানপন্থি উচ্চপদস্থ সামরিক 'অব'। হাওয়া ভবনের সমন্নয়ে এরা অস্ত্রব্যাবসা ছাড়াও বড় বড় অপকর্ম করে গেছে বেপরোয়া ভাবে। সম্ভবত এরা বিম্পির হাইকমান্ড ও তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অন্ধকারে রেখেই ব্যাবসা চালাত।



এরা অস্ত্রসস্ত্র ৩গুন বেশী দামে ভারতের পুর্বাঞ্চলের গেরিলাদের কাছে সাপ্লাই দিত। দেশী জঙ্গিদেরও দিত। এর প্রমান ২১ সে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা। এই চোরাচালান প্রথম জানা যায় ১৯৯৪ তে। কক্সবাজারে হরতালকারিদের হাতে অস্ত্রবোঝাই ট্রাকের বহর ধরা পরে, বিপুল অস্ত্র দেখে পিকেটাররা নিকটস্থ সেনাবাহিনীকে ডেকে আনে। কিন্তু সেনাবাহিনী ট্রাকগুলো আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়, কোন মামলা হয়নি। তখন বিটিভি ছাড়া কোন মিডিয়া ছিলনা, দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছিল, সাপ্তাহিক বিচিত্রায়ও এ নিয়ে একটি রিপোর্ট ছিল।



১৯৯৫ তে বহুল আলোচিত বাংলাদেশের কাছে পুরুলিয়ায় গভীর রাতে বিমান থেকে অস্ত্র ফেলার ঘটনা। অস্ত্র ভুল যাগায় ফেলেছিল। কারন একাধিক স্থানে পরে থাকা বাক্স বোঝাই অস্ত্র নিতে কেউ আসেনি। দেশ-বিদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারনা করেছিল এই কনসাইনমেন্ট বাংলাদেশ বা আসামে ফেলার কথা ছিল, কিন্তু ভুল্ক্রমে পুরুলিয়াতে ফেলা হয়।

ভারতীয় গোয়েন্দা ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তদন্ত করে বুলগেরিয়ান মুল আর্মস ডিলার ভায়া চীনা নির্মাতা নরিনকোর ইনভয়েসে এন্ড ইউজার হিসাবে বাংলাদেশি জেনারেল সুবিদ আলি ভুইয়া, গোডাউন ঠিকানা ‘রাজেন্দ্রপুর’ নাম খুজে পায়। তবে পরে ভারত এ নিয়ে আর বাড়িবাড়ি করেনি, কারন স্মাগলাররা সাধারনত সঠিক নাম ঠিকানা দেয় না।



২০০১ এ আরো একটি চালান ধরা পরে, কিন্তু দ্রুত ধামাচাপা দেয়া হয়। ২০০৩ এর দিকে বগুড়াতে ট্রাকবহরের মাত্র একটি এমুনেশান বোঝাই ট্রাক ধরা পরে। সেটি ছিল সুধু একেফরটিসেভেনের গুলি, ট্রাক বোঝাই গুলিভর্তি বাক্স! একে প্রথমে রাজনৈতিক মামলা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, পত্রিকাগুলো বিস্মিত হচ্ছিল সাধারন গুন্ডাপান্ডারা অস্ত্রবিহীন কোটি কোটি গুলি দিয়ে কি করবে? কিন্তু অনুধাবন করেনি যে এটি কন্সাইন্মেন্টের একটি অংশ মাত্র! কিন্তু পরে মামলাটি থেমে যায় বা থামিয়ে দেয়া হয়, তদন্তও থেমে যায়।

আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র ঘটনাটিও পার পেয়ে গিয়েছিল ..

কিন্তু একটা ফালতু কারনে এরা ধরা পরে যায়।

সারাদিন ১লা এপ্রিলের ট্রাম্পকার্ডের জেরে সারাদিন দেশব্যাপি গণগ্রেফতার চলার পর শান্ত সন্ধ্যা।

দুই আনসার সদস্যরা এই বন্ধ সার কারখানায় ডিউটিতে ছিল, এই দুই আনসার মাত্র ২০০টাকা বকসিশ চেয়েছিল কিন্তু স্মাগলাররা দেয় নি উলটা ধমক দিয়েছিল।

পরে এই দুই আনসার নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন দিয়ে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও সার্জেন্ট হেলাল দের ডেকে আনে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা থানায় ফোন করলে ওসির রুমে একজন স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক বসা ছিল। মুলত তার মাধ্যমেই চট্টগ্রামে খবরটি ছড়িয়ে পরে ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হতে থাকে। ইতিমধ্যেই নবগঠিত কোষ্টগার্ড এর একটি ইউনিট উপস্থিত হয়ে যায়। বিডিআরও খবর পেয়ে চলে আসে। বড় চোরাচালান ধরা পরেছে, কিছুটা ভুমিকা রাখতেই হবে। উপস্থিত পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, হাফিজ ও তাঁর সঙ্গী বাদানুবাদের একপর্যায়ে পুলিশের দলকে একটি বড় অঙ্কের টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব করেন। কিন্তু ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ টাকা নিতে রাজি হয়নি।

পুলিশ মামলা দায়ের করলে বিম্পির হাইকমাড থেকে এটাকে ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হয়নি সংগত কারনেই।

ফাসি দেয়াতে অনেকে অবাক হয়েছেন। এটা মামুলি চোরাচালান মামলা না। যে কোন দেশেই অস্ত্র ও মাদক রাখা একটি বড় ধরণের অপরাধ, অস্ত্র আনা ও এসব স্মাগলিং একটি বড় ক্রাইম। বিপুল সংখক যুদ্ধাস্ত্র এনে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা আরো ভয়াবহ অপরাধ। সব দেশেই এর জন্য জন্য কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা রয়েছে।



যে পরিমান অস্ত্র ছিল

ওই রাতে এমভি খাজার দান এবং এফবি আমানত’ নামে এই দুটি ট্রলারে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের অপরপ্রান্তে সিইউএফএল জেটিঘাট থেকে ১০টি ট্রাকে লোড করা অবস্থায় মোট ১,৪৬৩ টি বাক্স উদ্ধার করা হয়। যার মোট ওজন প্রায় ১০০ টন।

উদ্ধার করা অস্ত্রের পরিমাণ: ১০টি ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল ১,৭৯০টি। এর মধ্যে গুলি ১১,৪৩, ৫২০, গ্রেনেড ২৭ হাজার ২০, এক্সট্রা ম্যাগাজিন ৬ হাজার ৩৯২ ও রকেট চালিত গ্রেনেড লাঞ্চার ১৫০টি। বেশির ভাগ অস্ত্রই চীনা নরিনকোর তৈরি বা সর্বরাহকৃত।





উদ্ধারকৃত দেড় হাজার বাক্সে যে ধরনের অস্ত্র ছিল:



৭.৬২ এমএম টি ৫৬-১ এসএমজি, (Ak 47 চাইনিজ ভার্শান) - ৬৯০টি

৭.৬২ এমএম টি ৫৬-২ এসএমজি (Ak 47 চাইনিজ ভার্শান) - ৬০০টি

৯ এমএম সেমি অটোমেটিক স্পোর্টিং স্নাইপার রাইফেল - ৪০০টি

ইসরাইলি উজি সাবমেশিনগান ( যদিও বাক্সে লেখা টমি গান) – ১০০ টি

৪০ এমএম টি৬৯ রকেট চালিত গ্রেনেড লাঞ্চার (RPG) - ১৫০টি

বিভিন্ন অস্ত্রের এক্সট্রা ম্যাগাজিন – ৬,৩৯২টি

৭.৬২ এমএম এসএমজি গুলির সংখ্যা ৭,৩৯,৬৮০ টি,

৭.৬২ এম এম উজি সাবমেশিনগানের গুলি - ৪,০০,০০০ টি

Ak 47 এসএমজির কার্টিজ (গুলি) - ১১,৪৩, ৫২০

টি-৮২-২ মডেল হ্যান্ড গ্রেনেড – ২৫,০২০ টি

আর পি জির গ্রেনেড - - ২,০০০ টি

জাপানের তৈরি একটি টুওয়ে রেডিও ট্রান্সিভার (সেট নম্বর টি ০০৬৩৮৫)

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

আশমএরশাদ বলেছেন: তথ্য গুলার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখাটি পড়ে দেখার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন:
জামাতী, হেফাজতী, জাতীয়তাবাদী, অতি জাতীয়তাবাদীরা ভারতের উপর এত ক্ষ্যাপা ক্যান?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এদের আন্দলোন নাসকতা সব ব্যার্থ হয়ে যাবার পর মাথা খারাপ হয়ে এখন আবার সেই পুরোনো 'বারত যুযু' তে ফিরে আসে।

আর কিছু করার মত কিছু তো নেই!

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

হতাশ নািবক বলেছেন: পাপ বাপ কেও ছাড়ে না। এত ঘৃন্য অপরাধ করে আবার শাস্তি হলে বলে চক্রান্ত। র্নিলজ্জ্বতার একটা সীমা থাকা উচিৎ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন।
র্নিলজ্জ্বতার একটা সীমা থাকা উচিৎ।

এদের ভোতা 'ব্লেম গেইম' অনেক আগে থেকেই চলে আসছে।
বিম্পি-জাশি চক্রের ককটেল আগুনে বোমা, আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানানো সহ সকল প্রানঘাতি হামলাকেই এই চুপা শুশিলরা সাজানো বলে সরকারকে দায়ী করে চিপা মন্তব্য করেগেছে, কোন প্রাথমিক তথ্য প্রমান ছাড়াই!
বলে "কাছেই পুলিশ থাকার পরও 'কেমনে' হইল" .. নিশ্চই ..? বাসটির মালিক আম্লিগ ছিল .. তাই আম্লিগই দায়ী ...!!

এরা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে 'অভিযুক্তদের পাপ' হালকা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছিল বিরামহীন ভাবে ৩ টি মাস।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

ক্ষুদ্র মস্তিস্ক বলেছেন: অনেক তথ্য সমৃদ্ধ। ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: খালেদা ও তারেকের ব্যবসাগুলোর মাঝে অস্ত্র ব্যবসা বেশ জমেছিল! তে, হাসিনা কোন ষড়যন্ত্র করে তারেক ও খালেদাকে শাস্তি দেয় নাই, তা বুঝার দরকার হবে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তাদের ব্যবসাগুলোর মাঝে অস্ত্র ব্যবসা বেশ ভালই জমেছিল!

তবে আমার ধারনা খালেদা এসবের কিছুই জানত না।
পাকিস্তানি ISI, আলকায়দা উইং এর সহায়তায় দুবাই কেন্দ্রিক আর্মস স্মাগলার দাউদইব্রাহিম চক্র এদেরকে এই লোভনীয় ব্যাবসায় উদ্ভুদ্ধ করে। এদের সাথে যুক্ত হয় একদল কট্টর ডানপন্থি উচ্চপদস্থ সামরিক 'অব'। অস্ত্রব্যাবসা ছাড়াও বড় বড় অপকর্ম করে গেছে বেপরোয়া ভাবে।

জামাত নেতা নিজামি এসবের সাথে তেমন ভাবে জরিত ছিল বলে মনে হয় না।
শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ঘটনাস্থল কারখানাটিতে পদাধিকার বলে কিছুটা দায় তার উপর বর্তায়, যেভাবে কারখানাটির জিএম কনভিক্টেড। তবে নিজামির মুল অপরাধ ছিল অভিযুক্ত হোতা দের বাঁচানো ও মামলা ভিন্নখাতে নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা। আদালত এসব বিবেচনা করে তাকে মুল অপরাধীদের সাথেই রেখেছে।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

হতাশ নািবক বলেছেন: @পাঠক৭১ :- দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যে বিম্পির মন্ত্রি , আমলারা জড়িত ছিল তা বোঝার জন্য র্শালক হোমস হওয়ার দরকার নাই, আমগো পাড়ার অগা ছৈমুদ্দির বাপই তা জানত। সেই মামলার রায়ের পর যে অবস্থা আর যদি গোপন কোন ঘটনা যা জনগন জানেনা সেই ঘটনার রায় হইলে তো হাসিনা উপড় ২১আগষ্টX১০= ২১০আগষ্ট গ্রেনেড+রকেট+মিসাইল+ র্টপেডো+.......+ এটমবোম হামলা হইত (?)।

তাই হাসিনা ষড়যন্ত্র করে তারেক ও খালেদাকে শাস্তি দেয় নাই

এবার মনে হয় ব্যাপারটা সেরাম ক্লিয়ার।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩২

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
৭১টিভিতে গতরাতে জেনারেল ইব্রাহিম বললেন -

"তৎকালিন সরকারের গোপন ফরেনপলিসির অংশ হিসেবে গোয়েন্দা প্রধানরা উর্ধতন কতৃপক্ষের হুকুম পালন করেছিলেন মাত্র, তাই এই নাজুক মামলাটির কার্যক্রম গোপন রেখে তাদেরকে লঘু দন্ড বা ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল"।

জেনারেল ইব্রাহিম একটা ছাগল নাকি? সেকি জানে না, তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই মিডিয়া ডেকে এনে বলেছিলেন - "এই অস্ত্র আওয়ামীলীগ এনেছে ৩০সে এপ্রিলের ট্রাম্পকার্ড (সরকারপতন) বাস্তবায়নের জন্য"!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই চোরাচালান কোন ভাবেই "তৎকালিন সরকারের গোপন ফরেনপলিসির অংশ" ছিলনা।
যদি তাই হত তাহলে এভাবে ছেচড়া চোরের মত ধরা পরত না।
যদি তাই হত তাহলে এই মাল কন্টেইনার খুলে মাঝদরিয়ায় সাম্পানে আনলোড হতো না। কন্টেনার দুটি মুখ বন্ধ অবস্থায়ই ভদ্র ভাবে বন্দরের জেটিতে আনলোড হয়ে বিশেষ পাহারায় গন্তব্যে পৌছে যেত।

ইব্রাহিম প্রকৃতই একটা ছাগল।
সরকারি অবকাঠামো ব্যাবহার করে সরকারি দলের কয়েকজন সহ হাওয়া ভবন ভিত্তিক চক্রটি এই অপরাধ কর্ম করতো। আদালতের রায়েও 'হাওয়া ভবন' শব্দটি বার বার এসেছে।
এটি সরকারি এজেন্ডা ছিল না, নিশ্চিত। এটি ছিল কিছু ডাকাতদের একটি অপরাধ কর্ম।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

রায়হান চৌঃ বলেছেন: আমার কিন্চিৎ হাসি পাইল স্যার.......
কিছুটা রাস্তার কেম্পসার বা সংসদের চোর গুলোর মতো বক্তব্য হয়ে গেলো...!!
এই ইন্টারনেট যুগে ও আপনাদের অস্ত্র করতে হয়... :( হাজার হাজার ডকুমেন্ট আছে.......!! শুধু গুগোল এ লিখেন হাউ টু মেক এ "এ কে ৪৭"

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাসির কি পাইলেন?
সব কিছুই গুগুল মাইরা সিক্কা ফেলতে চান?

হাউ টু মেক এ "এ কে ৪৭"? =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
আজ পুর্নাঙ্গ রায় বেরল।

চোরাচালান মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি ও ২৫ ডি ধারায় তাদের সবার ফাঁসির আদেশ দেয়ার পাশাপাশি ‘হাই কোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে’ ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।আর অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারায় ১৪ জনকেই দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলার ১৯ এফ ধারায় তাদের দেয়া হয়েছে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৩৮ জনকে খালাস দেয় আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলে, আসামিদের অনেকেই সরকার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, অথচ সবকিছু জেনে-শুনেও তারা অপরাধ ঠেকানোর চেষ্টা করেননি।
রায়ের দিন বিচারক বলেন, এ মামলার আসামি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জবানবন্দিতে একে অন্যকে জড়িয়ে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে তাদের ‘গভীর সম্পর্ক’ ছিল।
বিষয়টি জানানো হলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘নিরবতা ও নির্লিপ্ততার’ কথাও উঠে এসেছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

রায়হান চৌঃ বলেছেন: জি স্যার.........
দালাল সংসদ এ যা শিখার আছে তা তো বাংগালি ৪৩ বছর যাবৎ ঠোটস্থ করে ফালাইছে, এবং চারিত্রে ও তা ধারণ পোশন করেছে....... দেখতেছেন না আপনাদের, আমাদের নেতা দের মুখের ভাষা, চরিত্রের ভাষা...... :), আর গুগোল সমন্ধে বলছেন...? মনে হয় এখনো গুগোল কি ভাবে ব্যবহার করতে হয় এখনো শিখতে পারেন নাই।
স্যার আমার প্রথম কম্পিউটার হাতে খড়ি শুরু হয় Intel 486SX Processor দিয়ে.......
ভালো থাকবেন....।

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৪

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: ৭.৬২ এমএম টি ৫৬-১ এসএমজি, (Ak 47 চাইনিজ ভার্শান) - ৬৯০টি
৭.৬২ এমএম টি ৫৬-২ এসএমজি (Ak 47 চাইনিজ ভার্শান) - ৬০০টি
৯ এমএম সেমি অটোমেটিক স্পোর্টিং স্নাইপার রাইফেল - ৪০০টি
ইসরাইলি উজি সাবমেশিনগান ( যদিও বাক্সে লেখা টমি গান) – ১০০ টি
৪০ এমএম টি৬৯ রকেট চালিত গ্রেনেড লাঞ্চার (RPG) - ১৫০টি
বিভিন্ন অস্ত্রের এক্সট্রা ম্যাগাজিন – ৬,৩৯২টি
৭.৬২ এমএম এসএমজি গুলির সংখ্যা ৭,৩৯,৬৮০ টি,
৭.৬২ এম এম উজি সাবমেশিনগানের গুলি - ৪,০০,০০০ টি
Ak 47 এসএমজির কার্টিজ (গুলি) - ১১,৪৩, ৫২০
টি-৮২-২ মডেল হ্যান্ড গ্রেনেড – ২৫,০২০ টি
আর পি জির গ্রেনেড - - ২,০০০ টি
জাপানের তৈরি একটি টুওয়ে রেডিও ট্রান্সিভার (সেট নম্বর টি ০০৬৩৮৫

এসব দিয়ে তো একটা ব্যাটেলিয়ান এমনিতেই চলতে পারবে!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আর পি জি।
এসব দিয়ে সুধুএকটা ব্যাটেলিয়ান না একটা মিনি ক্যান্টনমেন্ট বানানো যেত!

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

লোপা এসহক বলেছেন:

অনেক অস্ত্র! একটা মিনি ক্যান্টনমেন্ট হয়ে গেছিল!

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
Thanks Lopa apu.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.