নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রুটিপুর্ন মুসলিম উত্তরাধিকার আইন, তিউনিসিয়ার সাহসি পদক্ষেপ

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১



আরব দেশ তিউনিসিয়া আরো একটি সাহসি পদক্ষেপ নিল।
ত্রুটিপুর্ন মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাশ হয়েছে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষেরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সমানাধিকার পাবেন।

গত ২৩ নভেম্বর দেশটির মন্ত্রীসভা পরিষদ নতুন এই বিল পাস করে। বিলটি পাস করার আগে দেশটির মন্ত্রীসভায় ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট বেজি ক্যাড এসেবসি ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রথমবারের মত এই বিল তৈরি করার জন্য পরামর্শ দেন।

তিউনিসিয়ার কট্টরপন্থি মুসলিমরা এই বিলের প্রবল বিরোধিতা করে আসছিলন। তাদের অভিযোগ নতুন এই আইন ইসলাম বিরোধী। তবে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিউনিসিয়ার সংবিধান দেশটির নাগরিকদের মতামতের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। নাগরিকদের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। কেউ চাইলে উইল/অসিয়ত/হেবা ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পত্তির ভাগ ইসলাম মোতাবেক বা যেকোন ভাবে করতে পারবেন।

২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এসেবসি দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য স্বতন্ত্র স্বাধীনতা ও সমানাধিকার কমিটি গঠন করেন।

আরব বিশ্বে ও মুসলিম প্রধন দেশগুলোতে পুরুষদের সমান উত্তরাধিকারের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে প্রায়ই একটি নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
সেই তুলনায় ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে উত্তর আফ্রিকার এই মুসলিম দেশটিতে নারীদের অধিকার ব্যাপারে বেশী সোচ্চার।
যদিও কুরআনের উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে কিছু ভুল দেখা যায় (কুরআন ৪:১১-১২)
স্ত্রীঃ ১/৮=৩/২৪ ; কন্যাঃ ২/৩ = ১৬/২৪ ; পিতাঃ ১/৬ = ৪/২৪; মাতাঃ ১/৬ = ৪/২৪
মোট=২৭/২৪ = ১.১২৫ (যা ১ হওয়ার কথা)

অন্যান্ন আরব দেশের মত তিউনিসিয়ায় মুসলিম নারী ভিন্নধর্মে বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল গত বছর থেকে দেশটির মুসলিম নারীদের যে কোন ধর্মে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী পিতার সম্পত্তির পুত্রের চেয়ে কন্যা বঞ্চিত হয়ে অর্ধেক কম পেত

গত অগাস্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট, যিনি একজন উদার সেক্যুলার রাজনীতিক, নারীদের অধিকার এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে খসড়া প্রস্তাব পেশ করতে একটি কমিটি গঠন করেন।

তিউনিসিয়াই একমাত্র দেশ যেখানে ‘আরব বসন্ত’ সফল হয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত রাজনৈতিক আন্দোলনে দেশটির একনায়ক জিনে এল আবিদিন বেন আলী ক্ষমতাচ্যুত হন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

জাহিদ হাসান বলেছেন: আরব দেশগুলোর মধ্যে তিউনিসিয়া অনেক বেশিই অন্যরকম।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আরব দেশগুলোর ভেতর তিউনিসিয়া অনেকটা সভ্য।
এছাড়া লেবানন, জর্ডন, গাজা ব্যাতিত স্বাধীন ফিলিস্তিনও অনেকটা উদার ও সভ্য।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

পলাশবাবা বলেছেন: ইসলামী আইনের ভিত্তি কুরআন শরীফ। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, ইসলামী আইন ভঙ্গ করে সাময়িক বাহবা পাওয়া গেলেও, পরবর্তীতে স্থায়ী শান্তি পাওয়া যায়নি। সমাজে অনাচার , অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামী আইনের ভিত্তি কুরআন। মুসলিম হিসেবে এটা আমরা সবাই মানি।

কোরান ভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্র মদিনা (পূর্বে ইয়াস্রিব) গ্রামটিতে চালুকরা সম্ভব হলেও পরে অন্যান্ন দখল করা এলাকায় ইসলামী আইন সম্পুর্ন ভাবে চালু করা সম্ভব হয় নি। মক্কা দখলের পরও রসুলের (স) হুকুমে অনেক ছাড় দেয়া হয়েছিল।
পৃথিবীর অনেক মুসলিম প্রধান ইসলামি দেশ থাকলেও কোন দেশেই এজাবৎ পরিপুর্নভাবে সার্বজনিন সরিয়া আইন চালু করা সম্ভব হয় নি।
এমন কোন ইসলাম দেশ গঠিত হয় নি যাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা যায়।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলা মানে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা।এদের আল্লাহই দেখে নেবেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হয়নি, এই আইন অপসনাল।

কেউ বর্তমান উত্তারাধীকার আইন মানতে না চাইলে সমস্যা নেই। একটা উইল করে সহযেই নিজ মেয়ে কে অর্ধেক বঞ্চিত করে ইসলামি আইন মেনে চলতে পারেন।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: তিউনিসিয়া অন্যান্য আরব দেশগুলোর থেকে কিছুটা ব্যাতিক্রম। ইতোপূর্বেও তারা তার প্রমান রেখেছে। তবে বাংলাদেশে এইসব আইন বাস্তবায়ন করা মনে হয় না সম্ভব হবে। বাঙালি দিন রাত ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও এইসব ব্যাপারে আবার খুব সেনসিটিভ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে এইসব আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে।
তত্তাবধায়ক আমলে একবার চেষ্টা করা হয়েছিল নারীর প্রতি এই বৈষম্যমুলক উত্তারাধীকার আইন পরিবর্তনের। কিন্তু আমেনিদের মত কট্টরপন্থিদের চাপে পারেনি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুসলমান আইন।
স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রী দুই আনা(১/৮)পায়
আর স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামী পায় চার আনা(১/৪)। এটাও বৈষম্য।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটা আন্তর্জাতিক বিষয় নয়। এই দেশেও আংশিক ভাবে ইসলামী আইন আছে।

ধরেন আপনি আজ মারা গেলেন।
আপনার গ্রামের জমি, পরিশ্রমের টাকার বাড়ী গাড়ী, ব্যাঙ্ক একাউন্ট সঞ্চয়পত্র আপনার ছেলে পাবে।
যেহেতু আপনার ছেলে নেই। এক মেয়ে পরী, তাই সে পাবে মাত্র অর্ধেক।
বাকি অংশ পাবে পরীর চাচা মামা ফুফু ও অন্যান্নরা।
এদের কেউ বাটোয়ারা মামলা করলে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনার সব একাউন্ট ফ্রীজ করা সম্ভব।

তিউনিসিয়া এই আইন সংশোধন করেছে। আপনার সন্তান ছেলে হোক মেয়ে হোক বাপের সম্পত্তি থেকে অর্ধেক বঞ্চিত হবে না।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তিউনিসিয়ার কট্টরপন্থি মুসলিমরা এই বিলের প্রবল বিরোধিতা করে আসলেও
২৩ নভেম্বর ২০১৮তে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষেরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সমানাধিকার পাচ্ছেন।
কিন্তু বাংলাদেশ পারলো না।
নারী-পুরুষ সমতা বাস্তবায়নে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইনত অঙ্গীকারাবদ্ধ।
নারী নীতির ‘৪.১ নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ’, জাতিসংঘের ‘সিডও’, জেন্ডার ইকুইটি ‘মিলেনিয়াম সামিট’ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমঝোতা দলিলে বাংলাদেশ অন্যতম স্বাক্ষরকারি দেশ। এগুলির সর্বত্রই ‘নারীর সমানাধিকার’ বাস্তবায়নের বিষয়টি এগিয়ে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু মোল্লাদের ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

দূর পাহাড়ে বলেছেন: ইসলামী আইন যেটা সরাসরি কুরআন এবং হাদিস থেকে এসেছে তাতে কোনো ভুল নেই। ইজমা কিয়াসে ভুল থাকলেও থাকতে পারে। আসল কথায় আসি-
ইসলাম সুষ্ঠু পারিবারিক ব্যবস্থায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে স্বামী-স্ত্রীর অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট।। পরিবারের সদস্যদের অধিকার ও পিতামাতার অধিকারকেও গুরুত্ব দেয় ইসলাম। ইসলামে যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্কা নারীদের বিবাহ বহির্ভুত লাইফ হারাম, সেহেতু তাকে স্বামীর ঘরে যেতেই হবে। আর স্বামীর ঘরে গিয়ে মেয়েটি অধিকার বা সম্পত্তি পাবে। তাহলে নিজ পরিবারে সমান অধিকার পেলে মূলত ভাই বঞ্চিত হয়ে যান। কারণ স্বামীর সব সম্পত্তি কিন্তু শেষ মেশ মেয়েটি ও তার সন্তানরা পাবে। সুতরাং আল্লাহর বিচার অবশ্যই ইনসাফের। এখানে বরং নারীদের অধিকার বেশি দিয়েছেন আল্লাহ। নিজ পরিবার ও স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার। এরচেয়ে ন্যায়বিচার আর কি হতে পারে। সুতরাং তিউনিসিয়া যা করেছে, তাতে নারীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেহেতু তাকে স্বামীর ঘরে যেতেই হবে। আর স্বামীর ঘরে গিয়ে মেয়েটি অধিকার বা সম্পত্তি পাবে। বা মোহরনা দাবি করবে
ব্যাপার টি এত সহজ না।


তৎকালিন সম্পত্তি হচ্ছে, বাড়ী বা তাবু, ভ্যাড়ার পাল, দাস-দাসী, ঘোড়া ও উট। নারীদের কর্মসংস্থান বা সম্পদ থাকতো না। সুতরাং, এ রকম সমাজব্যবস্থায় মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে বাবার পুরো সম্পত্তি প্রদান না করে তুলনামূলকভাবে দূরবর্তী আত্মীয় চাচা-ফুফুদের কাছে সেই সম্পত্তি হস্তান্তর সেই আমলে স্বাভাবিক ছিল।

কিন্তু বর্তমান যুগে দেশে মুসলিম নাগরিক সমাজ আর আরব মরুভুমির অসভ্য বেদুইনদের মত বা পশুপালনকারি গোত্রভিত্তিক নেই,
হিন্দুরাও প্রাচীন ভারতের মত যৌথ পরিবার ভিত্তিক নেই বরং দিন দিন একক পরিবারকেন্দ্রিক। প্রতিটি পরিবার অন্য আত্নিয় পরিবার থেকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বতন্ত্র। মানুষের প্রডাক্টিভিটি ও আয় অনেকগুন বেড়েছে, বাড়ছে
বর্তমানে পরিবারগুলোর এই স্বতন্ত্রতা এবং এককেন্দ্রিকতা এখন একটি কঠিন বাস্তবতা। উচ্চপদে মহিলাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে সিংগেল পেরেন্ট, সিংগেল বাচ্চা ফ্যামেলীর সংখাও দিন দিন বাড়ছে। সম্পত্তির সঙ্গাও বদলেছে।
এখন সম্পদের ভলিয়ুম অনেক বেশী, মানুষের সম্পদ দিন দিন বাড়ছে , কোটি টাকার বাড়ী, ফ্ল্যাট, কম্পানীর শেয়ার, ডিপিএস, এফডিয়ার।

পরিবার প্রধান মারা গেলে তার রেখে যাওয়া অর্থ সম্পদই বেচে থাকা পরিবারের বাকি সদস্যেদের মুল নিরাপত্তা।

বর্তমানে কর্পোরেট নাগরিক সমাজে প্রতিটি পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে স্বতন্ত্র। বেদুইনদের মত গোত্রভিত্তিক নয় বলে সম্পত্তি অর্জন কিংবা কন্যাদের দেখভালের জন্য পরিবারের বাইরের দূরবর্তি আত্নিয়স্বজনরারা আর্থিক বা তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখে না।

এখন কেউ মারা গেলে ও তার সন্তান কন্যা সন্তান হলে বিপদ।
পরিবার ও কন্যা সন্তান একমাত্র উপার্যনক্ষম পিতা হারিয়ে পরিবার এমনিতেই চরম অসহায় অবস্থায় পতিত হয়। তার উপর পৈত্রিক সম্পত্তির (ব্যাঙ্কব্যালেন্স, সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বাড়ী/ফ্ল্যাট) একটি বড় অংশ থেকেও যদি বঞ্চিত হয় তবে দুর্দশার অন্ত থাকে না।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: মেয়েরা বিয়ের সময় মোহরানা পায়, ছেলেরা পায় না। তিউনিসিয়া কি আল্লাহর এই বিধানটা ও বাতিল করছে?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মেয়েরা বিয়ের সময় মোহরানা পায়?
সৌদিআরবে পায়, এদেশে পেলেও দেয়া হয় না। বিচ্ছেদের পর কাবিনের টাকাও পাওয়া যায় না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের ৯০% মুসলিম পরিবারে মেয়েদের প্রাপ্য সম্পদ ভাইয়েরা মেরে দেয়।
পরিচিত যত মেয়েকে দেখেছি যাদের বাবা মারা গেছেন, মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তারা ভাইয়ের অর্ধেক পরিমাণ সম্পদ বা কিছুটা পাওয়ার কথা, কিন্তু তারা কেউই পায় না।

তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে একটাই উত্তর দেয়- সম্পদ চাইতে গেলে ভাইদের সাথে সম্পর্ক নস্ট হবে। এখন গেলে আমার ছেলে মেয়েরা নানা বাড়ীর আদর পায়, যেহেতু বাবা নেই তাই সম্পদ চাইতে গেলে বাচ্চাদের আর নানাবাড়ি যাওয়া হবে না।
কথাগুলো শুনতাম আমার মায়ের কাছ থেকে, পাশের বাসার আন্টি থেকে, সিনিয়র আপুদের মুখ থেকে .... সবার কথা হুবুহু এক!
ফেবুর ফখরুল ইসলামের কথা।

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইসলাম ও কোরআন মানলে এক হিসাব, আর না মানলে আরেক হিসাব। তুরস্কের কামাল আতাতুর্কও নামাজের আজান 'তুর্কী' ভাষায় চালু করে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন মুসলিম দেশই হুবুহু কোরানের আইন মেনে চলছে না।
সবাই নিজস্য আইনেই চলছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ‘নারী নীতি’র ‘৪.১ নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ’ ধারায় জাতিসংঘের ‘সিডও’, ‘মিলেনিয়াম সামিট’ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমঝোতা দলিলে বাংলাদেশ অন্যতম স্বাক্ষরকারি দেশ। এগুলির সর্বত্রই উত্তরাধিকারে ‘নারীর সমানাধিকার’ বাস্তবায়নের বিষয়টি এগিয়ে নিচ্ছিল। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নারী নীতি’র ‘৪.১ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বাংলাদেশে এই অসম বন্টন ব্যাবস্থার সমতা আনার জন্য ১৯৯৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা নারীবাদী সংস্থাগুলোর চাপে তৎকালিন সরকার ২০০০ প্রথমদিকে উত্তরাধিকার মুসলিম আইন একটি আইনসংসধনী খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর্যায়ে ছিল। ‘নারী নীতি’র ‘৪.১ বাস্তবায়নে অনেক সদিচ্ছা ছিল।
কিন্তু পরবর্তি বিএনপি-জামাত সরকার এই সংসধনী নিয়ে অগ্রসর হয়নি সংগত কারনেই।
২০০৮ এ তত্তাবধয়ক সরকার ব্যাপক সদিচ্ছা নিয়ে অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু কাঠমোল্লাদের আন্দলনের কারনে কিছু করতে পারেনাই। কারন তত্তাবধয়ক সরকার ও সেনাবাহিনী তখন ঢাবিতে প্যাদানি খেয়ে বেশ দুর্বল, আবার হকারদের আন্দলনে বেহাল দশা। আবার মোল্লাদের উটকো ঝামেলার ভয়ে এই অদ্ধাদেশ জারি করতে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
একই কারনে আওয়ামী সরকারও ...

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




এ বিষয়ে আমার ধারনা কম । তবে মুসলিম আইন রেখেও এটা করা যেতো ।

আমার বাবা উকিল তাই এটা আমি জানি । তবে করার প্রসেস টা একটু জটীল তবে অসম্ভব নয় ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুসলিম আইন রেখেই এটা করা হয়েছে। অপসনাল।
কেউ বর্তমান উত্তারাধীকার আইন মানতে না চাইলে সমস্যা নেই। একটা উইল/হেবা করে সহযেই নিজ মেয়ে কে অর্ধেক বঞ্চিত করে ইসলামি আইন মেনে চলতে পারেন।

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা উইল করে সহযেই নিজ মেয়ে কে অর্ধেক বঞ্চিত করে ইসলামি আইন মেনে চলতে পারেন।
ইসলাম কারো সাথে অবিচার করে করে না।একটু ভালোভাবে রিসার্চ করে দেখবেন ইসলাম নারীদেরকে পুরুষের চাইতেও দিয়েছে অধিক সম্মান আর মর্যাদা।আর তাই বলে পুরুষরা আফসোস করে না। কারন আল্লাহর দেয়া সকল বিধি বিধানের মধ্যে মানুষের কল্যান নিহিত।
ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম আইন অনেক সুসম। কারো সাথে অবিচার করে নি করেও না।

কিন্তু সমাজ বদলেছে। মানুষ বেড়েছে কোটি কোটি।

প্রতিটি পরিবার অন্য আত্নিয় পরিবার থেকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বতন্ত্র। মানুষের প্রডাক্টিভিটি ও আয় অনেকগুন বেড়েছে, বাড়ছে
গার্মেন্টসে প্রতি বছর ২০ লাখ মহিলা কর্মজীবি যোগ হচ্ছে, উচ্চপদে মহিলাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে সিংগেল পেরেন্ট, সিংগেল বাচ্চা ফ্যামেলীর সংখাও দিন দিন বাড়ছে। সম্পত্তির সঙ্গাও বদলেছে।
মদিনা গ্রাম মক্কার পশুপালক, দাশ-দাশী সমাজ তো এখন দেখা যায় না।
সময়ের প্রয়োজনে আইন চেইঞ্জ হয়েছে। হচ্ছে।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

শামিম অমি বলেছেন: ভালো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

সনেট কবি বলেছেন: সূরা নেসার ১১-১২ আয়াতে যে প্রাপ্য অংশ বলা হয়েছে তা’ প্রদানে সমস্যা। সূরা বাকারার ২৮৬ আয়াতে বলা হয়েছে সাধ্যের বাইরে কিছু করতে হবে না। সূরা নেসার ১১-১২ আয়াতে অংশ প্রদান সাধ্যের বাইরে হওয়ায় সূরা বাকারার ২৮৬ আয়াত অনুযায়ী এটাকে সাধ্যমত করে নিতে হবে। সাধ্যমত করতে হলে হর তিন বাড়িয়ে ২৭ করতে হবে। ফলে স্ত্রী ৩/২৪ এর বদলে ৩/২৭ পাবে। অন্যদের অংশও এভাবে কিছুটা কমবে। এখন আল্লাহ প্রদত্ত নির্ধারিত অংশ ক্ষেত্র বিশেষ কমল আল্লাহর বিধানে। সূরা নেসার সমস্যার সমাধান দেওয়া আছে তার আগের সূরা বাকারায়। স্ত্রী না থাকলে সূরা নেসার প্রদত্ত অংশে সমস্যা থাকেনা। এখন সমস্যা তৈরী হলে সমাধান আগেই দেওয়া আছে। আর সূরা বাকারার প্রথমেই বলা আছে কোরআনে ভুল নেই। এখন আপনি হিসেব করে বলুন ভুলটা কি কোরআনের? নাকি এখানে ভুল ধরায় ভুল হয়েছে? আরবের লোকেরাও এটা ভুল বলেনি যদিও তারা ইসলামের ভুল ধরতে কখনো ছেড়ে দিত না। যারা ভুল ধরতে ভুল করে তাদের বোধ যে আর কবে হবে!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্ত্রী না থাকলে ?
বাটোয়ারা অংক মিলাতে ব্যার্থ হয়ে এরকম অদ্ভুত অযুহাত!
সূরা বাকারার প্রথমেই বলা আছে কোরআনে কোন ভুল নেই। কিন্তু সূরা নেসার একটি অংশে ভুল তো পাওয়া গেল।

আরবের লোকেরাও এটা ভুল বলেনি, এটাও অসত্য।
কিতাবেই লেখা আছে হজরত আলীর আমলেই বাটোয়ারা আইনটি 'খারায়েজি নামে' সংসোধন করা হয়েছে।

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকে মনে করে তিউনিসিয়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তিউনিসিয়া আফ্রিকার ভেতরে পরলেও ভুমধ্যসাগরের তীরে একটি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশ।

নারী-পুরুষ সমতা বাস্তবায়নে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইনত অঙ্গীকারাবদ্ধ।
নারী নীতির ‘৪.১ নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ’, জাতিসংঘের ‘সিডও’, জেন্ডার ইকুইটি ‘মিলেনিয়াম সামিট’ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমঝোতা দলিলে বাংলাদেশ অন্যতম স্বাক্ষরকারি দেশ। এগুলির সর্বত্রই ‘নারীর সমানাধিকার’ বাস্তবায়নের বিষয়টি এগিয়ে নেয়া হচ্ছিল।
পাগল-ছাগলের কথায় পিছিয়ে যাওয়া অনুচিত, অনৈতিক।
আদিবাসি/খুদে নৃগোষ্ঠি, পঙ্গু, এজিবিটি, ও মহিলা কোটা থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.