নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুণ সম্প্রদায় ভিশনারি নেতা পছন্দ করে - দা ইকোনমিষ্ট

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১




ইকোনমিস্টের মতে আওয়ামী লীগ নিশ্চিত ক্ষমতায় আসছে।
ইকোনমিস্ট মুলত বংলাদেশকে নিয়ে লেখালেখি করত জামাত-বিম্পির লবিষ্টদের মাধ্যমে টাকা খেয়ে বাংলাদেশ বিরোধী রিপোর্ট লিখত।
এখনো লেখে।
কিন্তু এই রিপোর্টটি করেছে মুলত মাল্টিন্যাশানাল কর্পোরেট জায়েন্টদের জন্য, আন্তর্জাতিক উৎপন্ন পণ্য বাজারের বাংলাদেশে যারা বিশাল বিশাল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্রেতা বা বিনিয়োগকারি। উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারিদের আসস্থ করার জন্যই মুলত এই রিপোর্ট।
এছাড়াও নাজুক বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের মত বিশাল একটি বাজার হোচট খেলে বা থেমে গেলে ওয়াল স্ট্রিটে কিছু না কিছু ক্ষত রেখে যাবেই। খুবই সংবেদনশীল বিশ্ব শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারিদের আগাম সঠিক তথ্য দিতে একরকম অংগিকারবদ্ধ এইসব ফাইনানশিয়াল পত্রিকাগুলো।
সম্প্রতি ইউরোপ ও এশিয়ায় বেশ কয়েকটি নির্বাচন হয়ে গেছে। ল্যাটিন আমেরিকার ভেনিজুয়েলার মত কয়েকটি তেলসমৃদ্ধ ধনীদেশের অর্থনীতি কলাপ্স করে দেউলিয়া হয়ে গেছে। নাইজেরিয়ার অধপতন সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। আবার পৃথিবীর বৃহত্তম পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেটিক দেশ ইন্ডিয়ার নির্বাচন সামনে। সেখানেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মতামত একটি আকার নিচ্ছে। এছাড়া এশিয়ার আরও একটি বড় দেশ ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন সামনে। নির্বাচন সামনে থাইল্যান্ডেরও। এসব দেশের অর্থনৈতিক উপাত্ত ও মানুষের মনোভাব বিবেচনা করে নানান লেখা আসছে ইকোনমিস্টের বিভিন্ন সংখ্যায়। সেখানেও নানান বিচারে বার বার উঠে আসছে নব উদীয়মান বাংলাদেশের নাম।

আর যে নির্বাচনগুলো হয়ে গেছে আর যেগুলো হবে সবক্ষেত্রেই একটা বিষয় কমন পাওয়া যাচ্ছে।
এ মুহূর্তের তরুণ সম্প্রদায় ভিশনারি নেতা পছন্দ করে। কারণ, বর্তমান বিশ্ব প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার। এখানে তরুণ সম্প্রদায় সবখানে তাদের সেই নেতাকে পছন্দ করছে যিনি দেশকে, দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারবেন ও দেখাচ্ছেন। পত্রিকাটি আরো বলছে এই মুহূর্তের পৃথিবীর অন্যতম চিন্তানায়ক যুবাল নোহা হারিরিও দ্য ইকোনমিস্টের এই সংখ্যায় ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকেই ভোট দিতে বলেছেন, যারা ভিশনারি অর্থাৎ স্বপ্ন দেখেন ও দেখাতে পারেন।


অবকাঠামো খাতে বড় বড় দুঃসাহসি বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক উৎপন্ন পণ্য বাজারের ধারাবাহিকতায় সচল রেখেছে। ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ দেশটির ক্ষমতায় আছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ দেশটির উৎপাদনশিলতার একটানা উত্থান, ২০১৩ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি, ২০১৩-১৪ দুবছর বিরামহীন নাসকতা, আমেরিকান হুমকি কোন কিছুই তাকে থামাতে পারেনি।
দ্য ইকোনমিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বন্ধু কোনও পত্রিকা নয়। বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় তারা আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক সমালোচক ছিল। লন্ডনে আন্তর্জাতিক ধনাঢ্য জামাতিদের হেডকোয়াটার, তাদের ফরমায়েশে অনেক রিপোর্ট করে গেছে। এটা সত্য টার্গেট ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকার জন্য তাদের মতামত ও তথ্যভিত্তিক বক্তব্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। মতামতের ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় ফার রাইট অর্থাৎ উগ্র ডানপন্থা না হোক সেন্টার রাইট বা মধ্য-ডানকে সমর্থন করে। আওয়ামী লীগের মতো উদার গণতান্ত্রিক দল বা ব্রিটেনের লেবার পার্টির মতো উদার গণতান্ত্রিক দল তাদের মতামত কলামে সমর্থন পায় কম। তবে সাংবাদিকতার যে কঠোর নীতি ব্রিটেনের প্রেস্টিজিয়াস পত্রিকাগুলো মেইনটেইন করে অর্থাৎ তথ্য পবিত্র এবং মতামত ফ্রি, দ্য ইকোনমিস্টও তার বাইরে নয়।
দ্য ইকোনমিস্টের আলোচিত এই রিপোর্টটি মনেহয় রাজনৈতিক পাঠকদের জন্য নয়। এটি মুলত উদ্বিগ্ন মাল্টিন্যাশানাল স্টক বিনিয়োগকারিদের জন্য। সকল তথ্য-উপাত্ত যখন তাদের কাছে প্রমাণ করেছে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসছে, তখন তারা সেটা লিখতে দ্বিধা করেনি। তাই এমন একটি উদীয়মান দেশের আসন্ন নির্বাচনের ফলাফলের জন্যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি সিদ্ধান্তে যেতে তাদের কোনও সমস্যা হয়নি।

দ্য ইকোনমিস্টের এই সংখ্যায় টপ টেন গ্রোয়ার্সের লিস্ট দিয়েছে। অর্থাৎ কোন দশটি দেশ এ মুহূর্তে জিডিপিতে শীর্ষ দশে রয়েছে। বাংলাদেশ তার ভেতর দ্বিতীয় অবস্থানে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের হিসাব দিয়েছে ১ হাজার ৮শ ১০ ডলার, মুদ্রাস্ফীতি সন্তোষজনক ৪.৮। অর্থাৎ দ্য ইকোনমিস্ট দেখতে পাচ্ছে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় এখন অর্থনীতিতে ভালো করছে না, পৃথিবীর সেরা দশ জিডিপি অর্জনকারী দেশের ভেতর বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। তাই এমন একটি দেশের পরবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের জন্যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি সিদ্ধান্তে যেতে তাদের কোনও কষ্ট হয়নি।


আজ দ্য ইকোনমিস্ট যেটা বলছে, শেখ হাসিনা অবকাঠামো খাতে বড় বড় বিনিয়োগ করে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা ঠিক রেখেছেন। এর মূলে কিন্তু বিদ্যুতে বিনিয়োগ। খালেদা জিয়ার দুই টার্মেই দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি তো দূরে থাকুক কমে গিয়েছিল। এমনকি দশ বছর বিরোধী দলে থেকেও তিনি জাতিকে বা তরুণ সম্প্রদায়কে স্বপ্ন দেখানোর মতো কোনও কর্মসূচি সামনে নিয়ে আসতে পারেননি।
বরং তার সময় কেটেছে পাকিস্তানি ফরমায়েশে পুর্ব ভারত কে অস্থিতিশিল করতে। উলফার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে অর্থউপার্জনে।

বাংলাদেশে এ মুহূর্তে বাস্তব সত্য হলো যে ক’জন নেতা নির্বাচনের মাঠের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, এরমধ্যে শেখ হাসিনাই শুধু সহজাত নেতা নন, তিনিই একমাত্র ভিশনারি নেতা। তিনি স্বপ্ন দেখাতে পারেন, স্বপ্ন দেখেন। এবং গত দশ বছরে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে দেশকে গোটা পৃথিবীর জিডিপি উন্নয়নের সেরা দশের তালিকায় দুই নম্বরে নিয়ে এসেছেন। তার বিপরীতে খালেদা জিয়া শুধু অশিক্ষিত ও দুর্বল নেতা নন, তিনি স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে জানেন না। তিনি দশ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন কিন্তু দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। তার অর্থমন্ত্রী সাইফুরহমান বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মানের বিপুল ব্যয় দেখে ভীত ছিলেন, বার বার পিছিয়ে গেছেন।
খালেদা ও তারেক যখন সর্বোচ্চ বিপাকে তখন তাদের রক্ষার জন্যে লাঠি ভর দিয়ে একজন রাস্তায় নেমেছেন। তিনি নির্বাচনেও দাঁড়াবেন না। জোটের মুল নেতা কে কেউ জানে না। পথশ্রান্ত এই পথিকেরও সত্যিকার অর্থে কোনও স্বপ্ন দেখার বা দেখাবার ক্ষমতা নেই।

লেখার সুত্র - view this link

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দ্য ইকোনোমিস্টরা পিঠ বাঁচানোর জন্য অনেক সময় বাধ্য হয়ে জোয়ারে গা ভাসায়।

এবার তারা ভোটারদের জোয়ার বুঝতে পেরেছে।

শুভেচ্ছা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দ্য ইকোনোমিস্টরা পিঠ বাঁচানোর কিছু নেই।
এই রিপোর্ট বাংলাদেশী পাঠকদের জন্য করেনি।
ইকোনমিষ্ট মুলত একটি অর্থনিতিক পত্রিকা, রাজনৈতিক পাতা কম।
যদিও এরা এর আগে গত ৭-৮ বছরজাবত ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ বিরোধী শত শত ফরমায়েসি রিপোর্ট করে গেছে।

এই রিপোর্ট করা হয়েছে মুলত সিলেক্টেড আন্তর্জাতিক কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপদের জন্য, যা তাদের শেয়ার ইনভেষ্টিং, ক্রয় পলিসি ও বার্ষিক মার্কেটিং পলিসি তৈরিতে সহায়তা করবে।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ হাসান - জনাব, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ না টির্জাভ থেকে ডলার-মলার নাকি চুরি হয়েছিল ?

অপপ্রচার নিশ্চয় ?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি এত সরলিকরন করার মত নয়।
রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি সারা বিশ্বেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
তবে একটি ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ জরিত ছিলনা, কারন গভীর রাতে ব্যাঙ্কে কেউ থাকার কথা না।
এফবিআই তদন্তে ঊঃ কোরিয়ার কিছু হ্যাকারের নাম এসেছে, বাংলাদেশের কেউ লাভবানও হয় নি।

'ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক' এর সেই ভুমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি।
ওই অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি নিয়ে নিউ ইয়র্ক ফেড কিভাবে কাজ করেছিল তা খতিয়ে দেখে প্রতিনিধি পরিষদের সায়েন্স কমিটি। সিএনবিসির খবরে বলা হয়, নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডাডলির কাছে একটি চিঠি পাঠান হাউজ সায়েন্স কমিটির চেয়ারমেন লামার স্মিথ। এতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ লোপাট সংক্রান্ত ‘সকল নথিপত্র ও বার্তা আদান-প্রদানের দলিল’ চেয়ে পাঠিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক ফেড সুইফট সিস্টেমের ওপর কি ধরনের পর্যবেক্ষণ করেছে সেটাও জানতে চেয়েছে কমিটি।

তদন্তে জানা গেছিল ফেব্রুয়ারির যে তারিখে (৪ ফেব্রুয়ারী) টাকা চুরির ঘটনা যখন ঘটে তখন বাংলাদেশে গভীর রাত। কম্পিউটার রুমে কেউ থাকার কথা না। সে সময়টিতেই নিউ ইয়র্ক ফেড বাংলাদেশ থেকে দেড় শতাধিক সুইফট কোডে ট্রাঞ্জেকশান অনুরোধ পেয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে এ ধরনের প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হয়েছিল, কারন ভেরিফিকেশন তথ্যে অমিল পাওয়ায়।
পরে ৫ টি রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়াতে টাকা ছাড় হয়েছিল। কেন দিল?
প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরইতো একাউন্ট ট্রাঞ্জাকশান বন্ধ করে দেয়ার কথা।
এরপর বাকি আরো শতাধিক রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়ার পরও টাকা দেয় নি, অতচ মাঝের ৫টিতে দিল।
কেন দিল জবাব নেই সুইফটটের!


এটা খুবই আশ্চর্য যে আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক গভীর রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?
কোথায় কোন ক্যাসিনো না চিঙ্কুদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । এমনকি ম্যানিলাতে অবৈধ লন্ডারিং ফাঁস, এরপর বিতর্ক শৃষ্টি হলেও সেই ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো ২টি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া এ্যাকাউন্টেও ইতিহাসের বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছিল।
এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?
শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।

এই সব তথ্য নিউ ইয়র্ক ফেডের একজন সদস্য রয়টার্সের কাছে স্বীকার করেছিলেন।
কিন্তু এত ভ্যাজালের পরেও ফেড কেন এই ধরনের অনুরোধের মাঝের ৫ টিতে সাড়া দিয়েছিল, কোন সন্তোষজনক জবাব এখনো কংগ্রেস কমিটিকে দেয় নি।

পরে এফবিআই কিছু তদন্তে জানা যায় চুরি যাওয়া টাকার ফাইনাল ডেষ্টিনেশন ম্যানিলার জুয়ার ক্যাসিনো হয়ে উ.কোরিয়া।
এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ জরিত ছিলনা, কারন গভীর রাতে ব্যাঙ্কে কেউ থাকার কথা না।
বাংলাদেশের কেউ লাভবান হয় নি।
এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারাও নিজেরা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি।
বাংলাদেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশকে পথের ভিকিরি বানিয়ে ফেলাই তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল।


আসলে তৎকালিন মার্কিন প্রশাসনে সাম্রাজ্যবাদি কোন শক্তিশালি মহল স্টেবল সরকারকে আনস্টেবল করতে বিরুদ্ধে জেনেশুনেই এ ধরনের ফরমায়েসি কান্ড করিয়েছে কিনা তা আমাদের বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। নাকি তারা ভেনিজুয়েলার মত আমাদের দেশকে তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করেছিল ?

আমার ধারনা এসবের পিছনে কালোহাত ছিল তৎকালিন ক্ষমতাসিন দলের একজন প্রাক্তন। একজন সেক্রেটারি অব স্টেট।


নাম বললে চাকরি তো দুরের কথা গ্রিন কার্ডটাও সিজ হবে।

এফবিআই তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব তদন্ত শেষ হলে, বাংলাদেশ মার্কিন আদালতে একটি মামলা করলে বাকি টাকা ফেরত না পাওয়ার কোন কারন নেই।

বিস্তারিত জানতে - view this link

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: তরুন সম্প্রদায় নিজেদের ইচ্ছায় কিছুই করতে পারে না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি বসে বসে ভাবতে থাকেন।

তরুন সম্প্রদায় নিজেদের ইচ্ছায় অনেক বড় হতে পারে।
দেশে বেকারত্ব কমছে এটা বুঝতে কিছু পরিসংখান দেখলে কিছু আচ করা যায়।

প্রতিবছর গড়ে দেড় লাখ তরুণ করদাতা যোগ হচ্ছে। এই অক্টোবর মাস পর্যন্ত হিসেব।
এরা প্রায় সবাই বেসরকারি চাকুরিজীবি। কিছু তরুন উদ্যক্তা।
গত চার বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে (টিআইএন) চেক করে ছয় লাখ নতুন চাকুরিজীবি করদাতা পাওয়া গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল সূত্রগুলো থেকে এই তথ্য। যেসব করদাতার বয়স ৪০ বছরের নিচে, তাঁদের তরুণ করদাতা হিসেবে ধরা হয়েছে।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের ব্লগার, রাজিব নুর বলেছেন যে, শেখ হাসিনা জয়ী হবেন; এটা বালছাল ইকোনোমিষ্ট থেকে বড় কথা।

ইকোনোমিষ্ট বলেছে কিভাবে উনি জয়ী হবে?

আপনি "ভিশনারী" শব্দটার অর্থ বুঝেন না; শেখ হাসিনা ভিশনারী তো দুরের কথা, উনি নেতাও নন; উনি জয়ী হওয়ার কথা; তবে, উনি কাঁপছেন। উনি যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন ইহা কোনভাবে উনার বাবার চাওয়ার সাথেও মিল নেই।

উনি ভিশনারী নন, কিছুই নন, উনি আওয়ামী লীগের মালিক।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সারা পৃথিবী বলছে উনি অন্যতম একজন ভিশনারী
আপনি বলছেন উনি ভিশনারী নন, কিছুই নন,

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ হাসান - জনাব, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ না টির্জাভ থেকে ডলার-মলার নাকি চুরি হয়েছিল ?

এত খুজে মুজে শেষে এমন একটা লেইম কাউন্টার আর্গুমেন্ট নিয়ে এলেন????....আমেরিকার এফবিআই বলছে যে কিভাবে নর্থ কোরিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার পাচার করেছে.......সরকার এখন ফিলিপাইন আর আমেরিকার রিজার্ভ ব্যাংকে এর বিরূদ্ধে মামলা করছে। তাও যদি বলতে খ ম আলমগীর এর কেন এখন ও ফার্মাস ব্যাংক নিয়ে কোন জবাবদিহি দিচ্ছে না, তাহলে ও মানাতো।

আপনারা যারা স্বশিক্ষিত এর দল কে সাপোর্ট করেন তাদের কে বলছি

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল রাজাকারের গাড়ীতে বাংলাদেশের রক্তস্নাত পতাকা দেখার জন্য না, স্বাধীন হয়েছিল মহাকাশে স্যাটেলাইটের গায়ে বাংলাদেশের পতাকা দেখার জন্য।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভিন্নচিন্তা ভিন্নমতদের মত পাঠিকদের দোষ দেই না।

আমাদের দেশের প্রথমআলোর মত বড় বড় পত্রিকা সব সত্য জানার পরও চতুরতা করেছিল।
এফবিআই বলেছিল যে কিভাবে নর্থ কোরিয়ার হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার চুরি করেছিল।

অতচ প্রথম আলো সে সময় চতুরতার সাথে হেডলাইন করেছিল
এফবিআই তদন্তে - রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্র জরিত

ইনিয়ে বিনিয়ে বিশাল ইতিহাস, বিশাল রিপোর্ট! মুল খবরের কোন খবর নেই। একেবারে শেষের দিকে দায়সারা এফবিআই বক্তব্য - এফবিআই তদন্ত, রিজার্ভ চুরিতে একটি ভিন্ন রাষ্ট্র (উত্তর কোরিয়া) জরিত।

ফেবুর পিনাকি সহ অনেকেই এফবিআই ও প্রথম আলোর রেফারেন্স দেখিয়ে শত শত এরুপ স্ট্যাটাস দেখেছিলাম
"এই বার হাসিনা ফাসলো, এফবিআই তদন্ত বলছে - রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র নিজেই"

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ কলাবাগান - জনাব , ..... জ্বলে ?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের রিজার্ভ আজ তেত্রিশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! আহ!!

দুনিয়ার ২৭৫ টা দেশের মধ্যে -

বর্তমান দেশজ উৎপাদনের ভিত্তিতে ২৭৫ দেশের ভেতর বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির ৪২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
যা একসময় ২০০ নিচে ছিল।
বাংলাদেশ আজ দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি তালিকায় ২য়
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে আলু উৎপাদনে পঞ্চম!

বাংলাদেশ আজ মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ!

বাংলাদেশ আজ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়!

বাংলাদেশ আজ তৈরি পোষাক রপ্তানীতে বিশ্বে দ্বিতীয়!

লোড শেডিং এখন যাদুঘরে।

সারাজীবন পুরোনো ইউজড বিমান, এখন সব নতুন কেনা অত্যাধুনিক বোয়িং!

বাংলাদেশ আজ মহাকাশে নিজস্য স্যাটেলাইট!

বাংলাদেশ আজ সাগরে সাবমেরিন ভাসিয়েছে ডুবিয়েছে!

প্রযুক্তিতে আমাদের রোখার সাধ্য কার?

বাংলাদেশ আজ নদীর তলে টানেল সড়ক বানাচ্ছে!
সাগর তলে কেবল দিয়ে দ্বিপকে ন্যাসানাল গ্রীডে
নিজ খরচে পদ্মাসেতু বানানোর কথা বাদই দিলাম

এমন আকাশ ছোঁয়ার গল্প বলে শেষ করা যাবে না।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


শেখ হাসিনা ভিশনারী কিনা জানি না তবে হ্যা স্বপ্ন দেখেন এবং দেখান এটা সত্য । তবে আমি চাঁদগাজী স্যারের সাথে একমত তিনি লীগের মালিক ।

তবে উনি যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন তাতে জনতা বিশেষ করে যারা রাজনীতির রাজ আর নীতি নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন তার জন্য তার উপর একটু হলেও নাখোশ । উনি অবোকাঠামো উন্নয়ন করেছেন । তবে আইন শৃংখলা বা গ্রাউন্ড রুলস এ তেমন ভাল কাজ দেখাতে পারেন নি । চুরি ডাকাতি আর ধর্ষন হচ্ছে ক্রমানয়ে । ধর্ষনের মামলা হচ্ছে না । মানুষ গুম হচ্ছে ।

একজন ভিশনারী নেতার বৈশিষ্ট্য এটা হতে পারে না ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ষন হচ্ছে ক্রমানয়ে । সত্য।
তবে ধর্ষন বেড়েছে এটা বলা যায় না।

ধর্ষন বিরুদ্ধে মানুষ অনেক সচেতন ও সোচ্চার হচ্ছে।
আগে বিচারহীনতার যুগে মানুষ লজ্জায় ধর্ষন ঘটনা চেপে যেত। রিপোর্ট হত না।
এখন সামান্য ধর্ষন চেষ্টা ঘটনাও কঠিন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাই ধর্ষনর রিপোর্ট অনেক বেশী বেশী হছে।
এটাকে ধর্ষন বেড়েছে এটা বলা যায় না। বরং সব ক্ষেত্রে অভিযোগ পেলেই কঠিন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিনা প্রমানে মৌখিক অভিযোগেই মামলা হচ্ছে।
সংগত কারনে মানুষ প্রতিকার পাচ্ছে/পাবে বলেই ধর্ষন রিপোর্ট বেশী বেশী হছে। ধর্ষন বাড়ে নি।


৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

রাফা বলেছেন: ইকনোমিস্টের বলার পুর্বেই শেখ হাসিনা এসব বলে দিয়েছেন।আগামি ৩ বছরের মধ্যে আমাদের জিডিপি ডাবল ফিগারে যাবে।মহাজোট আরো বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে সরকারে আসবে।এবং অনেক পরিবর্তণ ঘটবে সাশন ব্যাবস্থায় পজেটিভলি।

ধন্যবাদ,হা.কালবৈশাখী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.