নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুশীল বুদ্ধিজীবিরা, কুজন, সিপিডি ও হলুদ আলো নির্বাচনের আগে লাফালাফি করছে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৫

কুশীল বুদ্ধিজীবিরা সিপিডি বা হলুদ আলো নির্বাচনের আগে লাফালাফি করছে।

ঋন/সুদ ভিত্তিক ব্যাংকিং অর্থনীতিতে আমেরিকা সহ সমগ্র বিশ্বে খেলাপি ঋন একটি বিষফোড়া।

২০০৮ সালে আমেরিকায় লেহম্যান ইনভেস্টমেণ্ট ব্যাংক ৬০০ বিলিয়ন ডলার খেলাপির কারনে দেউলিয়া হলে সমগ্র আমেরিকার অর্থনীতিতে ধাক্কা খায়, এরপরের ধাক্কাট বার্নার্ড ম্যাডফের ইনভেস্টোমেণ্ট কোম্পানী। গ্রাহকদের নিঃস্ব করে হাতিয়ে নিল প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
শুধু আমেরিকা না, সমগ্র বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসলো তার ধারাবাহিকতায়। ৩ বছরে শতাধিক ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায়, বাকি বেচে থাকা ব্যাঙ্কগুলো ৫ ছয় মাস কর্মিদের কোন বেতন দিতে পারেনি।
আমেরিকাতে সেই বছরগুলো ছিল কারবালার মাতমের মতন। কয়েক মিলিয়ন মধ্যবিত্তের ঘর বাড়ি, চাকুরি হারায়ে স্রেফ পথে বসে যেতে হইছিল। (তথ্য সুত্রঃ ফোর্বস)

২০০৮-১০ আমেরিকা সহ সার বিশ্বে বিশ্বমন্দা নেমে আসার পরে অনেকেই এই সমস্যাটাকে পুঁজিবাদের সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেন। নোয়াম চমস্কি এই জায়গায় গ্লোবাল এই সমস্যার কারন দেখান পুঁজিবাদী নিওলিবারেলিজম।
ব্যাঙ্কগুলোর চলেই সেধে ঋন দেয়া, এরপর সুদ। প্রয়জনে দালাল লাগিয়ে ঋন গছিয়ে দেয়া

খেলাপি ঋন কোথায় নেই?
গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাব মতে ব্যাংক খাতে দুর্নীতি এবং খেলাফি লোনের পরিমান ৩০০০০ কোটি রুপির উপরে,

ভারতীয় ' রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার' হিসাব মতে শেষ পাঁচ বছরে ব্যাংক প্রতারনা বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে মোট ২৩ হাজারের মতন। তাতে খোয়া গেছে এক লক্ষ কোটি রুপির উপরে। (সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)

২০১০-১১ গ্রিসের সবগুলো ব্যাঙ্কের বেহাল অবস্থা সবাই দেখেছে। নিজের একাউন্টের টাকাও তুলতে পারতোনা, এটিএম মেশিনে সপ্তাহে মাত্র ১০ ইউরো লিমিট।

উদিয়মান অর্থনীতির বাংলাদেশ এসবের ব্যাতিক্রম হবে, এমনটা আসা করা যায় না।
কুশীল বুদ্ধিজীবিরা সিপিডি বা হলুদ আলো নির্বাচনের কদিন আগে এসব নিয়ে লাফালাফি করছে।

বাংলাদেশের ১০ বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঘটনা কুশীল বুদ্ধিজীবিরা সিপিডি বা হলুদ আলো খুজে বের করে নি।
বর্তমান সরকারই উদ্ঘাটন করেছে, মামলা করেছে, আসামীদের জেলে রেখেছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

রাফা বলেছেন: কারন লাফালাফি না করলে তাদের ফান্ড আসা বন্ধ হয়ে যাবে।দালালদের কাজই এটা ।আপনি নিশ্চই জানেন ব্রোকারি উন্নত বিশ্বের বৈধ ব্যাবসা।
আমরা শুধু চাই চিহ্নিত লুটেরারা যেনো চৌদ্দ শিকের পেছনে থাকে তাদের কৃতকর্মের জন্য।ক্ষমতার আশেপাশে নিষিদ্ধ করতে হবে চাটুকার ও দালালদের।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চিহ্নিত লুটেরারা চৌদ্দ শিকের ভেতরেই আছে।
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু জামিনে বের হলেও হাজিরা দিয়ে যাচ্ছে

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারা সারা বছরই এসব করে থাকে। সব সরকারের আমলেই এসব তথ্য উপস্থাপন করে। বিএনপি আমলেও সাইফুর রহমান দেবপ্রিয়কে দেখতে পারত না, এখন আবুল মালও বলেছেন, রাবিশ...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তা করতো। তবে এবার এরা প্রথমআলোকে নিয়ে খুব সংগবদ্ধ ভাবে করছে

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সিপিডি ও সুজন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করে আমেরিকা, কানাডা ও ইুরোপ থেকে; ওদের একটা ছোটখাট ম্যাঁওপ্যাঁও কথা ওদের জন্য কোটী কোটী টাকা নিয়ে আসে; ম্যাঁওপ্যাওও করে ওরা আলাদীনের চেরাগ যোগাড় করেছে

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বাংলার ইতিহাসে গত ৫ বছর ছিল শান্তি ও সমৃদ্ধি।
এমনকি পাকিস্তান আমল থেকে গত ৬৫ বছরেও এমনটা দেখা যায় নি।
রাস্তাঘাটে কোন হাংগামা হরতাল ছিল না। শক্ত হাতে দমনের পর গত ৩ বছর জঙ্গিহামলাও ছিল না। একটানা দির্ঘ শান্তি।

কিন্তু মৃত উগ্রবাদি জঙ্গি রাজনীতি জীবিত করতে একদল ভদ্র শুশিল মাঠে নেমেছে।
সিপিডি, সুজন, মইনু্‌ল, জাফউল্লা , কামাল এরা অনেক আগে থেকেই সিআইএর পে রোলে ছিল।

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনের আগে কিছুটা লাফালাফি করতে দেন।
সারা বছর তো সুওগ পায় না।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট কোড হ্যাক করে ডলার চুরি করল উত্তর কোরিয়া থেকে, আর হলুদ আলো আর দেশের কিছু জনগন (ব্লগার) এমন ভাবে কথা বলে যেন তাদের কাছে হাসিনার ব্যাংক একাউন্টে ঐ সব ডলার জমা হওয়ার রিসিট আছে......

আর এরাই শুধু বিদ্যুত ছাড়া খাম্বা কোন দোষের কিছু দেখে না...উইকি লিকস যেটা অনলাইনে পাওয়া যায় যেখানে আমেরিকান এম্ব্যাসির কেবল এ লিস্ট ধরে তারেকর ঘুষের বর্ননা দেওয়া আছে..তাতে ও কোন দোষ দেখে না...প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলে কথা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রথমআলো চতুরতার সাথে হেডলাইন করেছিল - "রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্র জরিত" -এফবিআই
অথচ খবরটি ছিল রিজার্ভ চুরিতে একটি ভিন্ন রাষ্ট্র উঃ কোরিয়া জরিত

রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি সারা বিশ্বেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
তবে একটি ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ জরিত ছিলনা, কারন গভীর রাতে ব্যাঙ্কে কেউ থাকার কথা না।
এফবিআই তদন্তে ঊঃ কোরিয়ার কিছু হ্যাকারের নাম এসেছে, বাংলাদেশের কেউ লাভবানও হয় নি।

'ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক' এর সেই ভুমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি।
তদন্তে জানা গেছিল ফেব্রুয়ারির যে তারিখে (৪ ফেব্রুয়ারী) টাকা চুরির ঘটনা যখন ঘটে তখন বাংলাদেশে গভীর রাত। কম্পিউটার রুমে কেউ থাকার কথা না। সে সময়টিতেই নিউ ইয়র্ক ফেড বাংলাদেশ থেকে দেড় শতাধিক সুইফট কোডে ট্রাঞ্জেকশান অনুরোধ পেয়েছিল। সব রিকওয়েষ্ট কার্যকর হলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যেত।
প্রাথমিকভাবে এ ধরনের প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হয়েছিল, কারন ভেরিফিকেশন তথ্যে অমিল পাওয়ায়।
পরে ৫ টি রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়াতে টাকা ছাড় হয়েছিল। কেন দিল?

প্রথম ৩৫টি অনুরোধ অটো ভাবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরইতো সকল একাউন্ট ট্রাঞ্জাকশান বন্ধ করে দেয়ার কথা।
এরপর বাকি আরো শতাধিক রিকোয়েষ্ট ভেরিফাইড হওয়ার পরও টাকা দেয় নি, অতচ মাঝের ৫টিতে দিল।
কেন দিল জবাব নেই সুইফটটের!
এটা খুবই আশ্চর্য যে আমেরিকান ফেডারেল ব্যাংক গভীর রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম ক্রস চেকিং ছাড়াই বিশাল অঙ্কের টাকা রিলিজ করে দিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়?
কোথায় কোন ক্যাসিনো না চিঙ্কুদের এ্যাকাউন্টে যাচ্ছে বা এ নির্দেশ সত্যি দেয়া হয়েছে কিনা তার কোন সাধারন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি । এমনকি ম্যানিলাতে অবৈধ লন্ডারিং ফাঁস, এরপর বিতর্ক শৃষ্টি হলেও সেই ধুম্রজালের ভেতর শ্রীলংকায় আরো ২টি সন্দেহভাজন ট্রাসফার রিকোয়েষ্টে শ্রীলংকার সদ্য তৈরি ভূয়া এ্যাকাউন্টেও ইতিহাসের বৃহত্তম এমাউন্ট পাঠিয়ে দিয়েছিল।
এ কোন ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?
শৃলঙ্কার স্টেট ব্যাঙ্ক "স্টপ পেমেন্ট" না করলে নজিরবিহীন বিপর্যয় ঘটতো।
পরে এফবিআই কিছু তদন্তে জানা যায় চুরি যাওয়া টাকার ফাইনাল ডেষ্টিনেশন ম্যানিলার জুয়ার ক্যাসিনো হয়ে উ.কোরিয়া।
এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে এই চুরিতে বাংলাদেশের কেউ লাভবান হয়নি, উত্তর কোরিয়ার কেউ লাভবান হয় নি। তবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
এই অর্থ যারা তসরুফ করেছে তারাও নিজেরা আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেস্যে করেনি।
বাংলাদেশের রিজার্ভ শুন্য করে দেশকে পথের ভিকিরি বানিয়ে ফেলাই তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল।
আসলে তৎকালিন মার্কিন প্রশাসনে সাম্রাজ্যবাদি কোন শক্তিশালি মহল স্টেবল সরকারকে আনস্টেবল করতে বিরুদ্ধে জেনেশুনেই এ ধরনের ফরমায়েসি কান্ড করিয়েছিল। বা ভেনিজুয়েলার মত তহবিলশুন্য দেউলিয়া করে একটি 'শুশিল ক্যু' তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করেছিল।

আমার ধারনা এসবের পিছনে কালোহাত ছিল তৎকালিন ক্ষমতাসিন দলের একজন প্রাক্তন। একজন সেক্রেটারি অব স্টেট।চ
এফবিআই তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব তদন্ত শেষ হলে, বাংলাদেশ মার্কিন আদালতে একটি মামলা করলে বাকি টাকা ফেরত না পাওয়ার কোন কারন নেই।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





সংখ্যা টা আরো বেশি হবে । কারন আমাদের চোখের সামনে সেটাই আসে যেটা আমারা দেখতে চাই । কিন্তু ভিতরের খবর কয়জন বলতে পারে ।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সিপিডি'র মত একটা প্রতিষ্ঠান করা গেলে কেমন হয়। ইনকাম কি ভাল হবে

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বুদ্ধিজীবীদের আসলেই কখনো এরূপ সমালোচনা করা উচিত নয় যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থাই আরও করুণ, মন্দা মহামন্দা পর্যন্ত
চলে আসে। অনেক বুদ্ধিজীবীর সমস্যা হচ্ছে তাঁরা অবস্থা খারাপ হলেই সমালোচনা শুরু করেন। কিন্তু তাঁদের প্রথমেই দেখা উচিত যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া কি অন্তত পাকিস্তানের কী অবস্থা আলোচ্য ক্ষেত্রে। সেসব দেশেও এসব ঘটনা থাকলে ঘটনাগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.