নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের প্রশ্নটি যথার্থ ছিল

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯




শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ড. কামালের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিয়মমাফিক সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে কিছু জানতে চান,

‘জামাত দল হিসেবে আদালতে প্রমানীত যুদ্ধাপরাধী দল, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে, আপনারা বার বার বলেছিলেন জামাতকে নেয়া হবে না এখন ২২ জন জামাতি আপনাদের সাথে আপনাদের মার্কায় নির্বাচন করছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি জামাত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?’

এই দিনটিতে স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের প্রশ্নটি যথার্থ ছিল।
জামাত দলটি যুদ্ধাপরাধ ও নৃসংস বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে আদালতে প্রমানীত যুদ্ধাপরাধী দল। জামাতের ২২ জন ঐক্যফ্রন্টের মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছে।
সঙ্গত কারণেই ২২ জন জামাতিদের নেতা হিসেবে ড. কামালের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকের মনে অনেক অনেক প্রশ্ন।

এ প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘কত টাকা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? শহীদ মিনারে এসেছ, শহীদদের কথা চিন্তা করা উচিত। কোন চ্যানেল থেকে এসেছ? চিনে রাখব। চুপ করো, খামোশ!’

এর আগে এদের আরেক নেতার কাছে একই প্রশ্ন করায় চরিত্রহীন গালি উপহার পাওয়া গেছিল।
লাইভ টক সোতে আ স ম রব সেও একইরকম রূড় ব্যাবহার করেছে ?
কেউ কোন উত্তর দিচ্ছেন না কেন?

যারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, তারা সাংবাদিকের সঙ্গে এমন রূঢ় আচরণ করতে পারেন না। এমন ব্যবহার মোটেও সমীচীন নয়।সাংবাদিকের যেমন প্রশ্ন করার অধিকার আছে, তেমননি রাজনীতিবীদেরও প্রশ্নের জবাব দেয়া বা না দেওয়ারও অধিকার আছে।
গালাগালি বা মন্দ কথা বলতে পারেন না।

এছাড়াও আমাদের মনে অনেক অনেক প্রশ্ন, কোন জবাব নেই।

১। ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?
২। শুরুতে নেয়া হবে না বললেও এখন আপনারা জেনে-শুনে-বুঝে যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন কেন?
৩। ঐক্যফ্রন্টে খালেদা-তারেকের অবস্থান কি?
৪। একদল চিহ্নিত দুর্নিতিবাজদের নিয়ে কিভাবে সুশাসন আনবেন?
৫। ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান থাকবে কি না?
৫। ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে চিহ্নিত দুর্নিতিবাজদের বিচার চলমান থাকবে কি না?
৬। রাজাকার যুদ্ধাপরাধী দলের ২২ জন সাথে নিয়ে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবেন?

ওপেন রাজনীতি করতে হলে প্রশ্নগুলোর যথার্থ উত্তর জানার অধিকার আমার আপনার সবার অবশ্যই আছে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩২

রাফা বলেছেন: চোর ,ডাকাত,গুন্ডা ,বদমাইশ ও সাথে রাজাকার নিয়ে প্রশ্ন করা যাবেনা ।এতে নাকি সমাজ , রাষ্ট্র বিভাজিত হয়।এই ভাবেই পার পেয়ে এসেছে আজ পর্যন্ত ।এরা এখনও মনে প্রাণে পাকিস্তানি রয়ে গেছে।

ধন্যবাদ,হা.কালবৈশাখী।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজনের কাছে প্রশ্ন করলে জবাব আসে ' চরিত্রহীন মানে খানিকি।'
আর একজনের কাছে প্রশ্ন করলে জবাব আসে, তোমরা এই দিনে বুদ্ধিজীবিদের অসম্মান করছ ' খামোশ।'
হাসবো?

অতচ শুরু থেকেই বার বার বলা হয়েছিল জামাতকে নেয়া হবে না, বিএনপিতে জামাত থাকলে বিএনপিকেও নেয়া হবে না।
এখন ২২ জন জামাতি আপনাদের সাথে। প্রশ্ন আসবেই।
আসলে শুরু থেকেই ওরা জামাতিদের জুতা পালিশ ও গু ছাপ করতে বদ্ধ পরিকর।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি জামাত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?’
..............................................................................................................................
সকলকে এই প্রশ্নটা করা উচিৎ এবং কারমন কতটা পরিস্কার সে বোঝা পড়ার সময় এখন ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই দিনে যথার্থ প্রশ্ন

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাস্তায় এক লোচনকে যদি জিজ্ঞেস করেন, "ভাই, মাগীপাড়ায় কেন গিয়েছিলেন?"
যত লুচোই হোক জনসমক্ষে ইজ্জতের উপর আঘাত! মেজাজটা বিগড়ে গালি খাওয়া স্বাভাবিক।

এক্ষেত্রে সেই মাগীখোরকে রাস্তার একপাশে নিয়ে গিয়ে কানে কানে পতিতালয়ে গমনের কথা জিজ্ঞেস করা ভদ্রতা।

জামাত বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নিষিদ্ধ পতিতালয়।
সেই সাংবাদিক ভাই এভাবে খুল্লাম খুল্লা প্রশ্ন করলে কামাল সাহেবের রাগ তো উঠবেই। বরং সাংবাদিক সাহেবেদের উচিৎ ছিল, কামাল সাহেবকে একপাশে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করা।
"কামাল ভাই, এতে জিতসেন না ঠকছেন?"

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শেখ হাছিনার দলেও যুদ্ধাপরাধি আছে আছে বি চৌধুরী গং। এখন স্বাধীনতা বিরুধী ইস্যু নিয়ে যুক্তফ্রন্টকে পেছনে ফেলা যাবেনা। যেখানে একপেশে প্রচারনায় সরকারি দল মন্ত্রী প্রধান মন্ত্রী পদ নিয়ে শখানেক টিভি চ্যানেলে প্রচারণা চালিয়ে বেড়াচ্ছে সেখানে এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ভাবার অবকাশ কোথায়। স্বাধীনতা বিরুধীদের চেয়ে এখন সরকারী দলের কর্মকান্ড খারাপ। তারা পাকিস্তনীচেয়ে বেশি স্বৈরাচার বৈষম্য নিপীড়ন গণগ্রেফতার হয়রানি মূলক মামলা ইত্যাদি করে বেড়াচ্ছে। এরা এখন পাপিষ্ঠ।মানুষদের মানুষ মনে করেনা। যে সমস্ত কথা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বাংলার মানুষদের নিয়ে গত দশ বছরে তারা করেছে তাদের প্রত্যাখান করাই শ্রেয়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্বাধীনতা বিরোধীদের চেয়ে এখন সরকারী দলের কর্মকান্ড খারাপ?

সরকারি দল কি হাজার হাজার বুদ্ধিজীবি হত্যা করেছে?
৯ মাসে ৩০ লক্ষ হত্যা করেছে?

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জামায়াতের কোন নেতা (এই ২২ জনের মধ্যে) বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন বা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিল একটু বলতে হবে। তাদের কৃতকর্মের জন্য দেশের আইনে বিচার হয়েছে এবং আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন। তাহলে কেন এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে? আর যদি বলেন জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ দল তবুও কেন ঐক্যফ্রন্ট তাদের নিল - তাহলে বলতে হয় ঐ নেতাদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যপারে কোন আইন কেন করল না আওয়ামী লীগ? পিতার শাস্তি পুত্র পেতে পারে না - এটাও ভুলে গেলে চলবে না...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ২২ জন কি বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন বা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিল?


আচ্ছা নারিকেল চোর কি শুধু নারিকেল গাছে যে চড়েছিল, একমাত্র সে ই চোর?
না কি নীচে যারা ছিল, যারা নারিকেল ক্যাচ ধরেছিল, ঝোলায় ভরেছিল, তারা কি চোর না?
বা তাদের বড়ভাই যে তাদের পাঠিয়েছিল নারিকেল চুরি করতে?


বুদ্ধিজীবী হত্যা কোনোও দখলদার দের যুদ্ধকালিন আইনশৃঙ্খলার বিষয় ছিল না।
রাজনৈতিক আদর্শ থেকে পরিকল্পিত ভাবে দীর্ঘমেয়াদি সদুরপ্রসারী প্রভাবের লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নকশা করেছিল
ফ্যাসিষ্ট জামাত।
১৯৭১ সালেও জামাতের যে রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছিল, এখনও হুবুহু সেটিই আছে।
জামাতের সে সময়ের নেতা কর্মীরা হাইকমান্ডের সাংগঠনিক নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছিল মাত্র। তারা তাদের হত্যা, ধর্ষণকে অপরাধ মনে করত না, এখনও করে না। মূলত, এই কারণেই জামাত আজও ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। সেকেন্ড জেনারেশন জামাতিদের মধ্যে দলের ৭১ এর অপরাধের জন্য কোনোও অপরাধ বোধ নেই। অনুতপ্ত হওয়া তো অনেক দুরের ব্যাপার।
এদের সদস্য বা সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায় এই রকম মনভাবই ..

গোলামআজম সাংবাদিকদের জিজ্ঞেসায় জানিয়েছিল ৭১ এ সময়টায় পাকিস্তানের পক্ষে তাদের অবস্থান সঠিক ছিল।
প্রশ্ন - এখন স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে এখন কি মনে হচ্ছে তখন ভুল করেছিলেন?
গোলামআজমের নির্বিকার জবাব - না ভুল করিনি। ৭১ এ আমাদের অবস্থান সঠিক ছিল। এখনো সঠিক আছে।
এই খবর ৯০ এর দিকে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় দেখেছিলাম।

বর্তমান জামাত নেতা কর্মীদের ও সেকেন্ড থার্ড জেনারেশন নেতা কর্মিদের রাজনীতি করতে একটা ডিসক্লেইমার দরকার আছে। তারা গঠনতন্ত্র সংসোধন করে তাদের পিতাদের অপকর্মে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে এদেশে রাজনীতি করতে সমস্যা নেই ।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: রাজাকার যারা তারা রাজাকার
এই বিষ বৃক্ষ তুলে ফেলতে হবে ।
তারা এখনও বলে সুযোগ পেলে আবার পাকিস্তান এর সাথে
কনফেডারেশন করবে ।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ হাসান - জেনারেল এরশাদ, মেজর মান্নান, মহিউদ্দিন খান আলমগীররা কোন সেক্টরে যেন মুক্তিযুদ্ধ করে ছিল ?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জেনারেল এরশাদ, মেজর মান্নান, এরা কেউ আওয়ামীলীগের না। কোন কালেই আওয়ামীলীগে ছিলনা। এখনো নেই।

২০০৮ এ আওয়ামীলীগ জাতিয় পার্টিকে দলে না জোটে নিয়েছিল।
নিলেও আওয়ামী লীগ কখনোই এরশাদিও আদর্শ ধারন করে নি, করেও না।
এরশাদ কখনোই হাসিনার পাসে বসার সুযোগ পায় নি, নাম কা ওয়াস্তে একটি পদ দিলেও বছরের পর বছর লাত্থি উষ্ঠার উপর ছিল।
দেশের নষ্ট রাজনীতিতে এদের কে খরচ করে নেয়া হয়েছিল দল ভারি করতে নয়,
এদেরকে নিউট্রাল বা বিকল করে রাখতে, যাতে অন্য কেউ নিয়ে বা অন্য কোথাও যেয়ে বিপদ ঘটাতে না পারে।

১৯৭১ এ মহিউদ্দিন খান আলমগীর ছিল চাঁদপুরে এসডিও।
২৫ সে মার্চ সামরিক আইন জারি দেশব্যাপি গনহত্যা সুরু হলে, মখা কে ঢাকায় নেয়া হয়। সামরিক আইনে এসডিওর ক্ষমতা সামরিক আইন প্রসাসক। মখার কোন ক্ষমতাই ছিল না। পাঞ্জাবীরা বাংগালীদের বিশ্বাস করত না।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রাজনীতি জটিল জিনিস, এখানে কেউ স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু নাই। আদর্শ তো শুধু ভাষণেই সীমাবদ্ধ। এখনকার আমাদের রাজনীতিকদের চরিত্রই এমন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কামাল ভাই - এখানে জটিলতার কিছু নেই, খুবই সিম্পল প্রশ্ন।

জোট গঠনের শুরু থেকেই কেউ জিজ্ঞেস না করলেও সাংবাদিক-ক্যামেরা ডেকে বার বার বলা হয়েছিল জামাতকে নেয়া হবে না, বিএনপিতে জামাত থাকলে বিএনপিকেও নেয়া হবে না। জামাত-ঝামাতের কেউ থাকতে পারবে না।

অতচ জামাতকে সবচেয়ে বেশী, ২২টা আসন দেয়া হল আর নিজ দল গনফোরামকে মাত্র ৪টা, উনি নাকি জোটের প্রধান নেতা , নিজে না দাড়িয়ে নিজের সিটটাও পর্যন্ত জামাতকে ছেড়ে দিয়েছেন। নির্লজ্জ বেহায়া!
আমরা কি কিছুই বুঝি না?

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: একাত্তরের মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়টি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চরম ও শেষ অধ্যায়।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বর্তমানে রাজনৈতিক মঞ্চে বিএনপি আওয়ামী নট নটীদের যে নাটক চলছে তা হালুয়ারুটির জন্য কামড়াকামড়ি ছাড়া আর কিছুই নয় | আর মুক্তিযুদ্ধকে আমরা এখন পণ্য বানিয়ে ফেলেছি, নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের মায়াকন্যা করে দেশোদ্ধার করে ফেলছে | খুঁজে দেখলে তার চৌদ্দ পুরুষেও একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে না | কেউ যদি দেশকে যদি সত্যি ভালোবাসে তবে সে আর যাই হোক সম্পদ লুটে, দুর্নীতি করে দেশের সাধারণ মানুষের চরম দুঃখের কারণ হতে পারে না |

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েছে বটে কিন্তু এখনো জাতিগতভাবে পাকি মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নাই | পাকিস্তানে এখনো সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা রয়ে গেছে, সেখানে সমাজের এক শ্রেণী সমাজের উচ্চস্থানে থেকে দেশের অধিকাংশকে প্রজার মতো ব্যবহার করে থাকে | বাংলাদেশেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও তার কিছু বেনেফিসিয়ার কর্মীসমর্থক দেশকে তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে | দেশটাকে লুটেপুটে এরা যে পরিমান আখের গুছিয়ে ফেলেছে যে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এরা দুই পক্ষই কুকুরের মতো কামড়াকামড়ি শুরু করেছে |

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

বিলুনী বলেছেন: গতকাল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধের বেদিতে ড. কামাল হোসেনর বলা অনেক কথামালার নহখচ এটাও বলেছিলেন যে আমি সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। এ কথা বলার মাত্র কয়েক মিনিট বাদেই তাঁর তথাকথিত অবস্থান থেকে তিনি নীজকে পাল্টিয়ে ফেললেন । যখন টেলিভিশনের কিছু সাংবাদিক স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন জবাবে ড. কামাল বলেন, শহীদ মিনারে (স্মৃতিসৌধে) এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না। সেখানে গড় গড় করে মিথ্যে কথা বলতে হয়তবা ভিতিবোধ তাকে পেয়ে বসতেই পারে কারণ তিনি ভাল করেই জানেন জামাতীদের বড় ভাইদের কারণেই বুদ্ধীজীবী সমাধিতেই শুয়ে আছেন শহীদ বুদ্ধীজিবীগন । এখানে কথা বলতে গেলে ভয়ে তার আত্মা কেপে উঠতেই পারে । তিনি তার স্বাভাবিক চৈতন্য হারিয়ে ফেলতেই পারেন । আর তেমনটিই দেখা গেল যখন সে সময় অকতোভয় সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় , তাদের প্রশ্ন করার অধিকারের সীমার মধ্যে থেকেই ঐক্যফ্রন্টে জামাতিদের অবস্থান প্রসঙ্গে যখন প্রশ্ন করেন তখন ড. কামাল ধমক দিয়ে বলেন, ‘শহীদদের কথা চিন্তা করো। হে হে হে হে করছ! শহীদদের কথা চিন্তা করো। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ( সুত্র : প্রথম আলো ১৫/১১/২০১৮ অনলাইন সংস্করণ )।

সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় তাদের করা প্রশ্নের উত্তর দানের ক্ষেত্রে এই যদি হয় সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিলের বিষয়ে ড.কামাল হোসেনের লড়াই করার নমুনা তাহলে তার মহাত্মতা নিয়ে অনেকেই বড়াই করলেও ইতিহাস তাদেরকে চিহ্নিত করবে সঠীক রুপেই , নীজেদের প্রকৃত খোলস কেও বেশীদিন ঢেকে রাখতে পারেনা ।

এখানে প্রসংগত উল্লেখ যে ২১ আগস্ট ২০০৪ তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের জনসভায় যে গ্রেনেড হামলা হয় তার তীব্র নিন্দা জানায় তখনকার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। কমিটিতে পাঁচ জন সদস্যের মধ্যে ড. কামাল হোসেনও ছিলেন ।ড. কামালের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্ট ২৮.০২.২০০৪ তারিখে বাংলাদেশের অনেকগুলো দৈনিকে প্রকাশ পায়। দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গিয়েছিল যে শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল উদ্দেশ্য। আর ২১ শে আগস্টের ঘটনার জঘন্য ও ভয়াবহ যে দিক ছিল তাহল সে সময়কার গোটা সরকারই এই হত্যাকা-ের জন্য হামলা প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিল। সেদিন ড. কামালের নেতৃত্বে পরিচালিত আইনজীবী সমিতির তদন্ত প্রতিবেদনেও সেরকমটাই বলা হয়েছিল।

দেশের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে, আজ যখন বিচারিক আদালতে ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের মূল হোতাসহ অন্যান্যের বিচার হলো। এ সময়ে তাদেরকে রক্ষার জন্য রাজপথে নেমেছেন ড. কামাল হোসেন। কেন ড. কামাল এ অবস্থান নিলেন? কেন তিনি এঞ্জেল থেকে ডেভিল-এর ভূমিকা নিলেন ২০০৪ থেকে ২০১৮-এর মধ্যে? বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি সত্যি একজন সৌভাগ্যের বরপুত্র। কারণ, প্রগতিশীলতার পক্ষে কখনও কোন দায়িত্ব না নিয়ে তিনি প্রগতিশীল থেকে গেলেন। তবে ওই যে বলে ইতিহাস খুবই নির্মম। ইতিহাস ঠিকই একটি সময়ে এসে যার যে প্রকৃত অবস্থান সেখানে নিয়ে যায়। সত্যিই তাঁর ভুমিকা ও কথাবার্তা আজ দু:খজনক প্রমানিত হয়েছে । সৌভাগ্য যে কামাল হোসেন নীজেও আজ দু:খ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছেন জনতার রোশানলে পরে । জানিনা আর কয়দিন পরে ভবিতব্য তার জন্য আরো কি করুন পরিনতিই না নিয়ে আসে । অবশ্যকালে আপদকালে পলায়নে তিনি বেশ কৌশলী ও দারুন উস্তাদ !!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন।
তিনি বার বার বলছিলেন এখানে কথা বলবেন না।
তবুও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে সেই সকালে বিপুল সাংবাদিক দলের সামনে পেয়ে অনেক কথাই বলেন।
বলেন বহুবার আমি সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। এ কথা বলার মাত্র কয়েক মিনিট বাদে জামাত প্রসংগ এলে তাঁর তথাকথিত অবস্থান পাল্টে ফেললেন ।
শেষের দিকে কিছু সাংবাদিক স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি দল জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে -
তখন জবাবে ড. কামাল বলেন, শহীদ মিনারে (স্মৃতিসৌধে) এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না। বারবার প্রশ্ন আসতে থাকলে তখন ড. কামাল ধমক দিয়ে বলেন, চুপ করো ‘শহীদদের কথা চিন্তা করো। শহীদদের কথা চিন্তা করো। চুপ করো।

পবিত্র বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গড় গড় করে মিথ্যে কথা বলতে হয়তবা ভীতিবোধ তাকে পেয়ে বসতে পারে।
কারণ তিনি ভাল করেই জানেন এই জামাত-আলবদররাই নিষ্ঠুর ভাবে বুদ্ধীজীবী হত্যা করে এখানে ফেলে রেখেছিল, এই সমাধিতেই শুয়ে আছেন শহীদ বুদ্ধীজিবীগন । এখানে জামাত বিষয়ে কথা বলতে গেলে ভয়ে তার অন্তররাত্তা কেপে উঠতে পারে। তিনি তার স্বাভাবিক চৈতন্য হারিয়ে সত্য বলে ফেলতে পারেন। বা নির্জলা ডাঁহা মিথ্যা বললে লাশ কবর ফুড়ে বেরিয়ে এসে গলা চিপে ধরবে।

আর তেমনটিই দেখা গেল যখন অকতোভয় সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় , তাদের প্রশ্ন করার অধিকারের সীমার মধ্যে থেকেই ঐক্যফ্রন্টে জামাতিদের অবস্থান প্রসঙ্গে অন্তত কিছু একটা বলার জন্য, তখন ড. কামাল তার স্বাভাবিক মেজাজ হারান।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

প্রোলার্ড বলেছেন: আওয়ামী লীগ ১৯৯৪-৯৬ এ জামায়াতকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল বিএনপির বিরুদ্ধে । সে সময়ে জামায়াতের লোকেরা কি যুদ্ধাপরাধী ছিল না ? ১৯৭১ সাল কি ১৯৯৬ সালের পরে এসেছিল?

সাংবাদিকেরা জামায়াতের ব্যাপারে বিএনপিকে প্রশ্ন করে , আওয়ামী লীগকে করে না কেন? ১৯৯১ এ নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্য জামায়াত আমির গোলাম আজমের দোয়া চাইতে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ প্রধান। সে ব্যাপারে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছে কোন আওয়ামী লীগের বড় নেতাকে?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন তৃনমূল থেকে গড়ে ওঠা দেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দল।
কোন আন্দোলন করতে আওয়ামী লীগের অন্য কোন ছোট দলের দরকার হয় না ।
এমনকি পাঞ্জাবীদের সাথে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করতেও কোন ছোট দল সাথে নেয়ার দরকার হয় নি।
ঘটনা হচ্ছে আওয়ামী লীগ হরতাল ডাকলে একই দিনে জামাতও অন্যান্ন ছোটদলগুলো হরতাল ডাকতো,
একই দিনে আওয়ামী লীগ ও জামাত হরতাল ডাকা হলে এইটাকে কি জোট বলে?

সে সময়টাতে আওয়ামী লীগের সাথে জামাতের সম্পর্ক ভাল থাকার কথা না। কারন তারকয়েক মাস আগেই আওয়ামী লীগ ও ঘাদানীক গোলাম আজমের বিরুদ্ধে তীব্র গনআন্দোলন গড়ে তুলে। গণআদালত গঠন করে গোলাম আজমকে ফাঁসি দেয়।


যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সম্মিলিত বিরোধী দলের হয়ে দোয়া চাইতে গিয়েছিল উনি আওয়ামীলীগের কেউ নন। কোন কালে ছিলেন ও না
বিচারপতি বদরুল হায়দার ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।
গোলাম আজমের কাছে না। নিজামীর কাছে দোয়া চাইছিলেন। আসলে সেভাবে নিজামিও না। উনি সংসদ হলে বসা প্রত্যেকের টেবিলে টেবলে যেয়ে ভোট প্রার্থনা ও দোয়া চেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সাংসদ নিজামী। সবকিছুই হয়েছে সংসদ ভবনে। ভোটাভোটিও হয়েছিল সংসদ ভবনে।
গোলাম আজম সংসদ সদস্য ছিলেন না। তার উপস্থিতির প্রশ্নই আসে না। সংসদ ভবনে ঢুকারই অনুমতি নেই।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগার রাবেয়া রাহিম নিউইয়র্ক এলাকার ব্লগারদের নিয়ে একদিন কোথায়ও সময় কাটাতে চান, আপনি ইচ্ছুক?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
রাবেয়া রাহিমের ও আপনার নিউইয়র্ক এলাকার ব্লগারদের নিয়ে গেট্টুগেদার একটি ভাল উদ্দোগ।
আমি থাকতে পারলে খুব ভাল হত। কিন্তু আমি এখন আর নিউইয়র্কে নেই, বেশ দূরে অর্ল্যান্ডোতে। শীত শেষে আসার ইচ্ছে।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আচ্ছা।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার দেখা ভোট : জনগনের ভাবনা
................................................................................................
কিছুক্ষন আগেই সংবাদ এলো ২/১ জনের প্রান গেল , ব্যালট বক্স ছিনতাই হলো,
পুলিশের ঘুম হারাম হলো । কেন এই সহিংসতা ???
..................................................................................................
আমার ব্লগে আসুন "ভোট দিন "

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.