নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শিল্পী গুছিয়ে বলতে পারেন নি

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫




অজথা ফাজলামি, একজন শিল্পী গুছিয়ে বলতে পারেন নি।

অঞ্জনা। বয়স ৬০ এরপরও তরুনী। ৭০-৮০ দশকের বিটিভি ও বাংলা সিনেমার নৃত্যশিল্পী + নাচের শিক্ষক।
উনি যা বলতে চেয়েছিলেন, টকশোতে তা বুঝাতে পারেনি।
কিন্তু আপনার বোঝা উচিত।

মানুষের আর্থিক অবস্থার সার্বিক উন্নতি হইছে এটাই সে বুঝাতে চেয়েছে।
সে ব্লাউজের যায়গায় যদি প্যান্ট শার্ট বলতো, কোন ট্রল হত না।

পরিবর্তন শুরু ২০০৯ না। ২০১৪ও না। মুলত ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই দেশ ও দেশবাসির ধিরে ধিরে উন্নতি হয়েছে।
ফেবুতে বিকারগ্রস্ত কিছু বাংগালী এখনো ব্লাউজ নিয়ে পড়ে আছে। এটা মেয়েদের পোষাক বলে স্যাডিষ্ট মর্ষকামী বাংগালী আরো উৎসাহ পাইছে।





আগে তো অনেক কিছুই ছিলনা।
এক সময়ে এই বাংলায় নারীদের পোশাক ছিল শুধু একটা কাচুলি। মানে মাত্র একপিস কাপড়, গামছা বা চাদোরের মত কিছু। সেটাই কোন মতে সারা গায়ে পেচাতো
পুরুষদেরও একপিস কাপড়, ধুতির মত নিম্নাঙ্গে পেচাতো, গা খালিই থাকতো
পাকিস্তান আমলেও অভিজাত বাদে গ্রামের সাধারন নারীরা ব্লাউজ ছাড়া কাপড় পরতে্ন না সত্য। কিন্তু কোন দাওয়াতে বা আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে গেলে নিজের ব্লাউজটা কিংবা অন্যের একটা ব্লাউজ ধার করে পরে যেতেন।অর্থাৎ এনাদের হয়তো একটা ব্লাউজ ছিল অথবা ছিলোই না।







আগে অভাবের কারনে শুধু ব্লাউজই না, অনেক কিছুই ছিল না। এখন সেই অভাবটা নাই বলেই ব্লাউজ পরে থাকতে পারেন।
সম্প্রতি টক শোতে একজন অভিনয় শিল্পী ব্লাউজের উদাহরণ টেনে বলেছেন 'আগে গ্রামের অনেকে ব্লাউজ পরতে পারতো না।

আমার বাপ-চাচাদের কাছে শুনতাম, তাদের সময়ে হোস্টেলে ছাত্রদের একটাই শার্ট ছিল, শার্টটা ধুয়ে শুকানো না পর্যন্ত গেঞ্জি পরেই থাকতাম। ফুল্প্যান্ট ১টাও অনেকের থাকতোনা। থাকতো একটা পাজামা, লুঙ্গি। খুব কম ছাত্রের জুতা ছিল, বেশির ভাগ খালি পা।

আর মা বোন দের কথা কি বলবো, রিকশার সিট তোমাদের মায়েদের বোনেদের সেই ব্লাডে ভিজে যেত। পুরাতন ছিরা কাপড় বার বার ধুয়ে ধুয়ে ব্যাবহার, কি কষ্টের যে দিন ছিল।
এখন সেই দিন নাই। গরিব ধনী সবাই উন্নত জিনিষ ব্যাবহার করছে।
এখন লুংগি পরে রাস্তায় হাঁটা লোক ও পাওয়া যায়না। বস্তি বাড়িতেও কালার টিভি, রেফ্রিজারেটর, স্যাটেলাইট চ্যানেল, নেট সহ স্মার্ট ফোন।

মানুষের পরিধেয় বস্ত্র জামা জুতা কালার টিভি রেফ্রিজারেটর স্মার্ট ফোন কি হাসিনা দিয়েছে?

না। সেভাবে সরাসরি দেন নি।
তার দল ও দলের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের হটিয়ে একটি উদিয়মান স্বাধীন দেশ ছিনিয়ে এনেছে।
২০০৯ এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়, কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত, কয়েকটি বড় পদক্ষেপ। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নি।


বিএনপি যখন ২০০৬ এ ক্ষমতা ছাড়ে তখন সম্ভবত মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট ছিল দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। পরের দু বছর তত্তাবধায়ক সময়ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয় নি।
উদিয়মান দেশটিতে এত সামান্য বিদ্যুৎ। ৫+২ = ৭ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হল না। ভাব যায়।

খালেদাও বিএনপি নেতারা টাকা বাচাতে কৃপন .. ভিতু স্বভাবের,
সাইফুর রহমান বলতো সব লষ্ট প্রজেক্ট। আদমজি বেচে দাও।
অর্থনীতিবিদরা বলেছিল বন্ধ না করলেও চলে, খরচ কমিয়ে লাভলস সমান সমান রাখেন, কিছু লস হলেও সমস্যা নেই।
পরে আর্থিক সক্ষমতা হলে রিনোভেশন করে এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্বম আধুনিক জুটমিল করা যায়।
এছাড়া বন্ধ করলে অনেক সমস্যা, এই কারখানা প্রডাক্ট, অন্যান্য সরকারি বেসরকারি মিল কানেক্টেড। বন্ধ করলে টোটাল সেক্টর বিপুল ক্ষতি হবে।
ভেতরে হাজার হাজার শ্রমিক, পরবার সহ লাখখানেক। ৩টি হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, ছাত্ররা কোথায় যাবে? সমাজে এত বড় চাপ।
কিন্তু সাইফুরের নির্বিকার উক্তি - "আমি কিছু বুঝিনা, লষ্ট প্রজেক্ট। বন্ধ হবে"।

বিম্পি আমলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ ছিল বিদ্যুতের সুবিধা বঞ্চিত একেবারে অন্ধকারে।
নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে বিশ্বব্যাঙ্কের শর্ত পিডিবি কে ভেংগে কম্পানী করা আর ভর্তুকি সম্পুর্ন বন্ধ করা। তারপর ফান্ডিং।
সাইফুর রহমান বলতো সব লষ্ট প্রজেক্ট, এত ভ্যাজাল দরকার নেই, সবতো চলছেই, এত দামদিয়া ালের বিদ্যুতের দরকারটা কি।
আমি কি লস দিমু নাকি।
তখন ঘরে ঘরে মোমবাতি, হারিকেন, কুপি; তখন জেনারেটর ব্যাবসা আস্তে আস্তে শুরু।

আর এখন সেটা ২০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এটা সরলরৈখিক গতির উন্নয়ন নয়। আওয়ামী লীগ সরকার বুঝেছিলো জাতীর মাথাতুলে দাঁড়ানোর জন্য সবচেয়ে বড়ো নিয়ন্ত্রক হচ্ছে বিদ্যুৎ। এনার্জি পেলে বাকি ইন্ডাষ্ট্রিয়ালাইজেশন, ইনভেষ্ট এমনিতেই আসবে।

১৯৯২ সালে বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হতে পারতো বাংলাদেশ অথচ বিএনপি সরকার বললো,
ফালতু ঝামেলা।
দেশে এত কম্পিউটার আছে নাকি?
দেশের নাকি তথ্য পাচার হয়ে যাবে! তথ্যপ্রযুক্তিতে এভাবেই দেশ ১৫ বছর পিছিয়ে যায়। যখন অন্যান্য দেশ এগিয়ে গেছে আমরা তখন ১৫ বছর নেট বিহীন বা শেষ দিকে খুব অল্প কিছু ডায়ালআপ এ ছিলাম। অথচ ১২ বছর পর সেই সংযোগ নিতে বাংলাদেশকে পরে শত শত কোটি টাকা খরচ করতে হয়।

বিএনপির মোর্শেদ খানের মালিকানাধীন সিটিসেলের একটা মোবাইল সংযোগ নিতে প্রথম দিকে খরচ হতো তৎকালীন টাকায় এক থেকে দেড় লাখের উপরে। আইন করে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হীন একচেটিয়া ব্যাবসা করার সুযোগ দিয়েছিল মন্ত্রী মোর্শেদ খানকে। ফলাফল মাত্র গুটিকয়েক অতি বিত্তবান ছাড়া বাদবাকি বৃহত্তর জনসাধারণের কাছে মুঠোফোন ছিল ধরাছোয়ার বাইরে স্রেফ স্বপ্ন। ল্যান্ডফোনও স্থায়ী ঠিকানা ভাল স্টাটাস ছাড়া ৩০ হাজার টাকা বেশী দিলেও পাওয়া যেত না। ১৯৮৯ সাল থেকেই সেবা টেলিকম টেলিফোন সার্ভিস কার্যক্রম চালাতে টেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস দেবার জন্য আবেদন করেছিল ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের কাছে। কিন্তু যেহেতু আইন করে একচেটিয়া টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি পুরোপুরি মোর্শেদ খানের দখলে ছিল, সুতরাং তারা অনুমতি পায়নি।

তারপর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এলো আওয়ামীলীগ। সিটিসেলকে বন্ধ করেনি। বরং PSTN থেকে CDMA আপগ্রেড করতে উৎসাহ দিয়েছে।
১৯৯৭ সালে উচ্চ প্রযুক্তির GSM প্রযুক্তির অনুমোদন পেল ইউনুসের গ্রামীণ ফোন এবং বিএনপি এক এমপি একে খানের একটেল।
সেবা টেলিকম আগেই চাচ্ছিল টেলুলার সার্ভিস। সেটা দেয়া হল। তৈরী হলো ব্যাবসায়িক প্রতিযোগীতা। এর মধ্যে আজকে যে রবি আর গ্রামীণফোন লক্ষ কোটি টাকার বিজনেস করছে, তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল একদমই ফ্রি'তে, শুধুমাত্র টেলিযোগাযোগ খাতটা যেন দ্রুত বাড়ে সেজন্য! এক সময়ে নাগালের বাইরের জিনিষ, তখন মানুষের হাতে্র কাছে ৫ ধরনের অপসন।

টি এন্ড টি ল্যান্ড ফোন
সিটিসেল
গ্রামীণ ফোন
একটেল
সেবা টেলুলার


কোন দলীয় বিবেচনা কাজ করেনি। যে যোগ্য তাকেই দেয়া হয়েছে। সব মালিকই তো বিম্পি মন্ত্রি বা এম্পি বা সমর্থক। ইউনুস নিজে এক বকৃতায় বলেছিলেন গ্রামীণ ফোন লাইসেন্স পেতে কাউকে এককাপ চাও খাওয়াতে হয় নি।
এরপর থেকেই অধিক গ্রাহক টানার প্রতিযোগীতায় হু হু করে কমতে শুরু করেছে কলরেট। সরকার ও জনগণের চাহিদার অনুপাতে প্রচুর আমদানী হতে থাকা মোবাইল ফোন। দ্রুত বাড়তে থাকলো মোবাইল ইউজারের সংখ্যা। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে চলে এলো মোবাইল ফোন ও কানেকশান।

১৯৯৬-৯৭ তে আরো বড় দুটি দুঃসাহিসি পদক্ষেপ নিয়েছিল হাসিনা।

তখনো কম্পিউটার সহজলভ্য ছিল না, উন্নত দেশে উইন্ডোজ ৯৫ এসে কম্পিউটার অনেকটা ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে গেছে। দেশে কম্পিউটার দরকার। যা খালেদা-সাইফুর লষ্ট প্রজেক্ট বলতেন, হাসিনা সেটাকে সম্পুর্ন শুল্কমুক্ত করে দিলেন।
প্রবীন অর্থনীতিবিদরা হা হা করে উঠলেন বিশাল ক্ষতি হবে!
হাসিনা, তোফায়েল বললেন কয়েকশো কোটি যা ক্ষতি যা হবে অর্থনীতি বড় হলে এরাই হাজার কোটি পরক্ষ ট্যাক্স ভ্যাট দিয়ে পুশিয়ে দিবে।
আইডিবির চারটি বিশাল ফ্লোর হয়ে গেল বিশাল বিপনন হাট।

এরপর একই বছরে আরো কিছু
সরকারি বিটিভির সাথে আরো ৩টি বেসরকারি টেলিভিশন লাইসেন্স দেয়া হয়।

১। ইটিভি (টেরিস্টেরিয়াল)
২। চ্যানেল আই (স্যাটেলাইট)
৩। এটিএন বাংলা (স্যাটেলাইট)

আর ক্রিকেট টিম মাত্র কোয়ালিফাই হয়েছে বিশ্বকাপে। টেষ্ট স্ট্যাটাস দরকার।
সবাই বললো কি পাগল নাকি!
আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় নিয়মমাফিক ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ওয়ান্ডে স্ট্যাটাসও পেয়ে যায়।
তারপর ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলছে। প্রথম খেলাতেই তৎকালিন অনেকের সাধের পাকিস্তানকে ধরাসায়ী করে বিশ্বকাপে নবাগত শক্তি বাংলাদেশ। উৎফুল্ল বাংলাদেশ। তখনো কিছু নৈরাজ্যবাদি এদেশী পাকি সমর্থক এই বিজয় মেনে নিতে পারেনি। মেনে নেয় নি। ভারতীয় একটি ফান পত্রীকার অনুমান ভিত্তিক খবরেরসুত্র ধরে তারা এই গৌরবময় বিজয়টিকে পাতানো বলেছিল। যদিও আইসিসি পরে তদন্ত করে ‘কথিত ম্যাচ পাতানো দাবি’ সম্পুর্ন নাকোচ করে দিয়েছিল। কেউ জেনেশুনে নিজ দেশের গৌরব সম্মান অস্বীকার করে? এই মীরজাফরের দেশে এসবও দেখতে হয়েছিল।
(এরাই এখনো মাশরাফি-সাকিবের কারনে সেদিন বাংলাদেশের পরাজয় কামনা করেছিল, ধিক্কার এদের কে)

বাংলাদেশ টেষ্টমর্যাদা পাওয়ায় দেশের একটা বড় উপকার হয়েছে। এদেশে পাকিপ্রেমী কুলাঙ্গারদের দৌরাত্ত্ব প্রায় সম্পুর্ন বন্ধ হয়েছে। এইসব পাকি কুলাঙ্গারদের কুৎসিত উল্লাশে খেলার সময় টিভিরুমে বসে থাকার উপায় ছিলনা।
এই নৈরাজ্যবাদি কুলাঙ্গাররা দেশের টেষ্ট স্ট্যটাস আনাতেও অসন্তুষ্ট ছিল। বলছিল - কি দরকার ছিল, এত তারাতাড়ি? .. .. “খেলা বুঝেনা আবার টেষ্ট ষ্টেটাস নিচ্ছে। .. বিশ্বকাপে লোক হাসাইতে যাবে ..!!

অতচ ব্যপক রাজনিতিক লবিং ও তৎকালিন ICC প্রেসিডেন্ট ডালমিয়াকে ম্যানেজ করে Test status নেওয়া না হলে তালিকায় এক নম্বর প্রাপ্য কেনিয়া তা পেয়ে যেত। আমরা ক্রিকেটে ২০-২৫ বছর পিছিয়ে পরতাম। কেনিয়ার মত পথে পথে ঘুরতাম। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট ক্ষেত্র বিসিবির অবকাঠামো কত শক্ত, ক্রিকেট অর্থনীতি এখন কত বিশাল ...!! কত নতুন ক্লাব, তরুন ক্রিকেটার বেরিয়ে আসছে!

১৯৯৬-৯৭ মাত্র কয়েকটি সিদ্ধান্ত, কিন্তু ইম্প্যাক্ট কি বিশাল!

১। মোবাইল ফোন ব্যাবসা উম্মুক্ত করে লাইসেন্স।
২। কম্পিউটার ও কম্পিউটার এক্সেসরিজ সম্পুর্ন শুল্কমুক্ত করা।
৩। ৩ টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল পারমিশন।
৪। ক্রিকেটে আগাম টেষ্ট স্ট্যাটাস।


নতুন নতুন ইন্ডাষ্ট্রি, বিদেশী ইনভেষ্ট, নতুন ক্রিকেট স্পনসর, বিজ্ঞাপনি সংস্থা, সাবকন্ট্রাকটার, শিল্পি, বিজ্ঞাপন মডেল, কম্পিউটার বিক্রেতা, এক্সেসরিজ বিক্রেতা, মেকানিক, ট্রেনিং সেন্টার, ডাটা এন্ট্রি, দেশী বিদেশী সফটওয়ার নির্মাতা, কলসেন্টার, ফ্রীল্যানসার, রিচার্জ কার্ড বিক্রেতা, সিডি, ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ .. ফুটপাতে চার্জার, মোবাইলের খাপ বিক্রেতা ... ১ কোটি বা আরো বেশী আকাইম্মাদের রুটিরুজি কর্মসংস্থান!
সাধারন চাকুরির কথা বাদই দিলাম।

সাইফুর খালেদা যেসব টাকার ভয়ে বা বিদেশী সাহায্য না পেয়ে যা করতে পারেনি। বলত এসবে লাভ নেই। সব লষ্ট প্রজেক্ট।
শুধু তাই না পরের টার্মে ২০০১ এ এসে গ্যাসসংকট দেখিয়ে পাইপলাইনে নির্মানাধীন বিদ্যুতকেন্ত্র গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, তুচ্ছ কারন দেখিয়ে নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে বিশাল কম্পিউটার প্রশিক্ষন ফার্ম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এজন্য জরিমানাও গুনতে হয়েছিল। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ETV

এরাই এবার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে (নেপত্থের শয়তানরা) খুদে বাচ্চাদের হাতে প্লাকার্ড তুলে দিয়েছিল -
"ডিজিটাল বাংলাদেশ চাইনা, গণতন্ত্র চাই"

গণতন্ত্র চাই বুঝলাম। কিন্তু দেশের সার্বজনিন মেকানাইজেশন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বাতিল চাওয়া কোন ধরনের ফাজলামি?

এই শয়তানদের কারনেই ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, ৫ বছরে দেশ ১৫ বছর পিছিয়ে গিয়েছিল।



ওহে ফেসবুক কাটপিস প্রজন্ম, শুধু কাটপিস না পড়ে/শুনে পুরোটা পড়ার/শুনার অভ্যাস করো।

তোমাদের হাতে হাতে স্মার্ট মোবাইল, দামী পোশাক, ফেসবুক; চাকুরি, কর্মসংস্থান ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ কে দিয়েছে?
হাসিনা দেয় নি। হাসিনার সরকারও দেয় নি,
হাসিনার সাহসি রাষ্ট্রিয় সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত ইন্ডাষ্ট্রিয়ালাইজেশন হয়েছে, দেশজ উৎপাদন একটানা বেড়েছে, কর্মক্ষেত্র, কর্মসংস্থান চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে, রিক্সাওয়ালা দিনমজুরের হাতেও মোবাইল এসেছে। কেউ হাতে তুলে দিতে হয় নি।

এই মামুলি জিনিষটা আপনি না বুঝলে আপনার অনলাইনে রাজনীতি বিশ্লেষক হওয়ার দরকার নাই।


আগে শ্রমিকদের দেখতাম লুঙ্গি পড়ে খালি পায়ে কাজ করতো, এখন দেখা যায় প্যান্ট-শার্ট পড়া


সেই দিন অবশ্যই পাল্টেছে। এত বাধা, চক্রান্ত, বছর ব্যাপি বিরামহীন আগুন সন্ত্রাস, জঙ্গি হামলার পর ও দেশ এগিয়ে গেছে। আপনি আওয়ামী বিরোধী হতে পারেন, দল, বা তার নেত্রীকে অবশ্যই অপছন্দ করতে পারেন, কিন্তু মিথ্যা বানোয়াট আজগুবি তথ্যে লাফানো ঠিক হবে না।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: Excellent

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

মাহের ইসলাম বলেছেন: দিন বদলাইছে না ?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - সবাই বুঝেও বুঝে না।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

বাংলার মেলা বলেছেন: এবার বলেন তো, নৌকা পাশ না করলে কি সবার ব্লাউজ খুলে নেয়া হবে, সরকারকে ফেরত দিতে হবে?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নির্বাচনের পরে আইসব আবাল ট্রলকারিদের জামা-লুঙ্গি খুলে জালি ব্যাত দিয়ে পেটানো উচিত।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলার মেলা বলেছেন: এবার বলেন তো, নৌকা পাশ না করলে কি সবার ব্লাউজ খুলে নেয়া হবে, সরকারকে ফেরত দিতে হবে?
=p~ =p~ =p~

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জেনেশুনে স্বাধীনতা বিরোধীদের, বংগবন্ধু হত্যাকারি ও সমর্থকদের ভোট কে দিবে?
কামাল নিজে দাড়ালে নাহয় একটা কথা ছিল।
ভীতু দল নির্বাচনি এজেন্ট দিতে পারে না, ভয়ে পোষ্টার লাগায় না।

ওরা পোষ্টার লাগাতে দিচ্ছে না।

সাংবাদিকের দল ক্যামেরা নিয়ে বলে " ঠিক আছে আমরা দাড়ায়ে আছি - ক্যামেরা লাইভ। দরকার হলে আর্মি ডাকুম,
আপনি নিশ্চিন্তে পোষ্টার লাগান।
ভাই পোষ্টার ছাপানোই হয় নি।
না ছাপায়াই কন লাগাইতে দেয় না? ফাইজলামি করেন?
না ভাই ছাপাইতে গেছিলাম, শুনলাম ছাপা খানায় গেলে ওরা গুম করতে পারে।
সাদা কালো পোষ্টার, ফটোকপি মেশিনে করেন, বাসার প্রিন্টার ইউজ করেন।
সম্ভব না। কোনমতে জানতে পারলেই ওরা গুম করবে।
তাই নাকি, আচ্ছা আপনাদের ছাপানোর টেমপ্লেট বা একটা নমুনা পোষ্টার দেখান।
না ভাই সেটাও তৈরি করা হয় নি।
কেন?
সেটা করলেও গুম করা হইতেছে।
আচ্ছা আপনার মোবাইলে স্যাম্পল পোষ্টারের অন্তত একটা ছবি দেখান।
মোবাইলে স্যাম্পল রাখলেও গুম করা হইতেছে।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাসান ভাই ভালো পোষ্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - রাজীব ভাই ধন্যবাদ

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৪

পুলক ঢালী বলেছেন: ভাল লাগলো। সমস্যা হলো এই তুলনা গুলি জ্ঞান পাপীরা এড়িয়ে যাবে।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২১

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সত্য তেতো হলেও ভালো !

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা, সেটাই।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে (নেপত্থের বড় শয়তানরা) খুদে বাচ্চাদের হাতে প্লাকার্ড তুলে দিয়েছিল -
"ডিজিটাল বাংলাদেশ চাইনা, গণতন্ত্র চাই"

গণতন্ত্র চাই বুঝলাম। কিন্তু দেশের সার্বজনিন মেকানাইজেশন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বাতিল চাওয়া কোন ধরনের ফাজলামি?
এই সব শয়তানদের কারনেই ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, ৫ বছরে দেশটি ১৫ বছর পিছিয়ে গিয়েছিল।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

বলেছেন: ছবিগুলো দারুণ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.