নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইস্কাটনে জোড়া খুন, যেভাবে ধরা পড়েছিল রনি

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭



২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে নিউ ইস্কাটন রোডে একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে রাস্তার জ্যামে থেমে থাকা রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলী নিহত হয়।
দেশের কোন পত্রিকায় বা মিডিয়ায় খবরটি আসে নি, ই প্রথম আলো, ই ইতেফাক, ই যুগান্তর এখনো আছে। চেক করে দেখুন দেড় মাসেও কোন পত্রিকা এটি নিয়ে কোন খবর ছাপে নি, টিভিতেও আসে নি।
নিহতদের দরিদ্র স্বজনরা এমন কোন বিশেষ ব্যক্তি না যে হই চৈ করবে, মামলা করবে, টাকা খরচ করবে।
তখন ছিল জংগি হামলার বছর, মাত্র দুমাস আগে অভিজিত হত্যা, বিদেশী হত্যা, তাবেলা হত্যা, ব্লগার হত্যার তান্ডোবের বছর। পুলিশ প্রথমে ভেবেছিল জংগি হামলা। পরে বোঝা গেল অন্যরকম।

কোন তাগাদা ছাড়াই পুলিশ নিজেই ইউডি মামলা করলো, (পরে অবস্য নিহত হাকিমের মাতা মনোয়ারা বেগম কে দিয়ে রমনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করানো হয়েছিল) তদন্তে কোন কুলকিনারা নেই। এলাকার মানুষজনের ফুটপাতের হকার, এটিএম গার্ড কারো কাছেই জিজ্ঞেস করেও কিছু জানা যায় না, জানলেও পরে পুলিশি ভ্যাজালের ভয়ে, সাক্ষী হওয়ার ভয়ে কেউ বলে না। বলতে চায় না।

কিন্তু কিছু তো জানতে হবে, হত্যার একজ্যাক্ট টাইমটা জানতে হবে, সঠিক টাইমটা জানতে পারলে ভিন্ন ব্যাবস্থা বা ডিজিটাল মাধ্যম থেকে কিছু না কিছু পাওয়া যেতে পারে। আর ডাক্তারি ময়না তদন্ত তো দায়সারা কথা রাত দশটা থেকে রাত দুটার ভেতর কোন এক সময়ে গুলিবিদ্ধ হতে পারে।
টাকা ছাড়া, টাকা প্রাপ্তির আশ্বাস ছাড়া, পরিবারের তাগাদা ছাড়া মিডিয়ার চাপ ছাড়া পুলিশি তদন্ত কি আগায়?

একজন তদন্তকারি অফিসার, এসব ঘটনায় সাধারনত দায়সারা তদন্ত হয়ে থাকে, কোন পক্ষের কাছথেকেই অর্থয়াদায়ের সম্ভাবনা নেই, কার ঠেকা বিনে পয়শায় কাজ করা।
এরপরেও কেমনে কেমনে জানি তদন্ত হতে থাকলো,
ঐ এলাকার বিটিএস এর সব ফোনকল কথপকথন তন্ন তন্ন করে পাবলিকের বিভিন্ন কথা খোজা খুজি করে সেসব থেকেই হত্যার সঠিক টাইম বের করা হল।
যেমন কেউ ফোনে বউকে বলছে " শুনছো এই মাত্র গুলিতে এক রিক্সাওয়ালা মারা গেল ... পোলাটা বাসায় ফিরেছে কি না .. এই রাস্তায় যাতে না আসে" সাবধান করে দেয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কথাবার্তা থেকে খুজে হত্যার টাইম বের করা হয়।
এবার সেই টাইম অনুযায়ি এলাকার আসে পাসের বিল্ডিঙ্গের ব্যক্তিগত ভিডিও ফুটেজ খুজে গাড়িটির নম্বর বের করা হল, জনকন্ঠ ভবনে লাগানো সিসি ক্যামেরায় স্পষ্ট গাড়ীটির নাম্বার পাওয়া গেছিল। রেজিষ্ট্রশন দেখে গাড়ীর মালিকের নাম জানা গেল।

ওরেব বাবা! গাড়ীর মালিক তো ভিআইপি!
সরকারি দলের এম্পি পুত। ধরলে চাকরিটাই হারানোর সম্ভাবনা, আর জিজ্ঞেস করলে সেতো অস্বীকার করবে? প্রমান লুকাবে।
তা হলে কি করা যায়। বেচারা ড্রাইভারকেই ধর।
এক রাতে ড্রাইভারকে গোপনে উঠিয়ে এনে পিটিয়ে সব খবর বের করা হয়। গাড়ীতে আরো দুজন আরোহি ছিল তাদেরকেও ধরে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সব জানা যায়। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ড্রাইভার ও দুই আরোহীকে সাক্ষী হতে বাধ্য করা হয়।

এরপর পুলিশের উর্ধতন মহলের নির্দেশে থানা পুলিশ সকল তথ্যপ্রমান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)র হাতে তুলে দেয়া হলে ২৪শে মে ২০১৫ মামলার দায়িত্ব গ্রহন করে ডিবি।

এরপর সবকিছু কনফার্ম হয়ে ৩০ মে ২০১৫ রনিকে যখন গ্রেফতার করা হয়, এরপর ৩১ মে প্রথমআলোর প্রথম পৃষ্ঠায় এই প্রথম খবরটি সবাই জানতে পারে। সব প্রমান রেডি ছিল, চার্জশিট দিতে দেরি হয় নি। যতেষ্ঠ প্রমানাদি থাকায় সরকারি মহল কোন বাধা দেয়নি (আওয়ামীলীগে কি নেতার অভাব পরেছে? একটা গেলে হাজারটা আছে) এই ৪ বছরেও বহু চেষ্টা বহু নেতা ধরে বহু তদ্বির করেও বের হতে পারেনি রনি।

আদালত মামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনার দিন সাংসদ পিনু খানের পুত্র মদ্যপান করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল লাইসেন্স করা পিস্তল। তবে তিনি স্বাভাবিক ছিলেন না। তাঁর শিশু সন্তান হাসপাতালে ভর্তি ছিল। রাতে রনির গাড়িটি মগবাজারের দিকে যায়, এর দশ মিনিটের মাথায় উল্টো পথ দিয়ে আবার ইস্কাটনের দিকে আসে।

আসামি বখতিয়ার আলম রনির গাড়ির চালক ইমরান ফকির ওই দিন তাঁর সঙ্গে থাকা আরোহি কামাল মাহমুদ (টাইগার কামাল) এবং জাহাঙ্গীর আলম আদালতে ১৬৪ ধারায় সেদিনের ঘটনার জবানবন্দি দেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বখতিয়ার আলম রনি তার পিস্তল দিয়েই গুলি ছোড়েন। এই গুলিতেই রিকশাচালক হাকিম ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ইয়াকুব গুলিবিদ্ধ হয়েই হাসপাতালে মারা যান। রায়ে বলা হয়, রনি যে পিস্তল ব্যবহার করেছেন তার লাইসেন্স ছিল কিনা সেই মূল কপি আদালতের কাছে উপস্থাপন করতে পারেনি। কতটি গুলি আসামি ব্যবহার করতে পারবেন সেই হিসাবের বিবরণও আদালতের কাছে দিতে পারে নি। তবে পুলিশ পিস্তল সহ ২১টি গুলি আসামির কাছ থেকে উদ্ধার করেছিল।

গত ১৫ই জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম রায় ঘোষণার জন্য ৩০শে জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ২১শে জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই দীপক কুমার দাস। ২০১৬ সালের ৬ই মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার।

মামলার রায় ঘোষণা ৩ বার পিছিয়ে গেছিল। বোঝা যায় আদালত বিভিন্ন চাপে ছিল।
জজ সাহেবও ছাড়ে নাই। গত ৪ঠা অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রয়োজন মনে করেন আদালত। ওইদিন রায় না দিয়ে ১৭ই অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় সাক্ষ্য-জেরার জন্য দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম।
এ ছাড়া গত বছরের ৮ই মে এ মামলায় রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আদালত মনে করছেন মামলাটির বিষয়ে অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে। ফলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার বিষয়ে অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের করা প্রয়জন মনে করেন। এ্র পর আদালত সকল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ৩০শে জানুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য করেন।
আর সরকার পক্ষও চায় নি নির্বাচনের আগে মামলাটির রায়। কোন কারনে আসামী এম্পি পুত্র খালাস পেয়ে গেলে নির্বাচিনের আগে মিডিয়ার হাতে নাস্তানাবুদ হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা, নির্বাচনে খারাপ প্রভাব পড়তোই।

৩০২ ধারা (নরহত্যা) সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা অর্খদন্ডে দন্ডিত যে কোন একটি হতে পারে,
৩০৪ ধারা ( হত্যা উইত মোটিভ, পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা) - সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।

আদালত এ ঘটনায় ৩০২ ধারায় অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় সংসদ সদস্য পিনু খানের পুত্র বখতিয়ার আলম রনিকে শাস্তি দেয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

সিগন্যাস বলেছেন: বড় পোস্ট। পড়তে টাইম লাগবে। কোচিং নিয়ে একটা পোস্টে সোহানী আপু আপনাকে বেশ ভাল একটা প্রশ্ন করেছেন। উত্তর দেন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোচিং বন্ধ নিয়ে এত সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।
অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া উন্নত দেশ সমুহে কোন কোচিং ব্যাবস্থা নেই।
ক্লাস ১২ পর্যন্ত বিনা মুল্যে লেখাপড়া। কম জনসংখার কারনে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরিক্ষাও অনেকসময় লাগে না, স্কোর দেখেই ভর্তি হওয়া যায়। তবে স্কলারশীপ না পেলে উচ্চশিক্ষা সবক্ষেত্রেই ব্যায়বহুল।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সে গুলি কেন চালালো? কার উপর চালালো?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গাড়ির ড্রাইভার ও অন্য আরোহিরা বলেছেন - রনি ঘটনার সময় মানসিকভাবে অসুস্থ ও বিপর্যস্ত ছিল। নেশাগ্রস্ত ছিল।
রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামে আটকে মেজাজ খারাপ হয়ে পিস্তল দিয়ে জ্যামের দিকে এলোপাথারি গুলি করে।

করবে না? শাসক দলের এম্পির পুত্রধন, গাড়ী আছে, পিস্তল আছে, হাসিনা আছে! কোন শালা কি বলবে?

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
ঘটনার আদ্যোপান্ত পড়তে পেরে ভালো লাগলো। এসব বড়লোক মাতালদের জন্য অনেকের প্রাণ যায়

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ জাহিদ ভাই

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০২

বাংলার মেলা বলেছেন: ফাঁসি না হয়ে যে যাবজ্জীবন হয়েছে - এর পেছনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকতে পারে। এরকম হয়নি তো যে রনিকে তার মায়ের কোন শত্রু ফাঁসিয়ে দিয়েছে - আসলে সে নির্দোষ!

তবে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হল দয়ার সাগর। তাহের পুত্রের মত কুখ্যাত খুনিকে যদি খালাস দিতে পারে, এ আর এমন কি!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফাসির মত অপরাধ সে করেনি। আদালতই বলেছে।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকলে সে অনেক আগেই বেচে যেত। গ্রেফতারের আগেই সব প্রমান গায়েব করে ফেলা হত।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হাসান ভাই,
আপনার পোস্ট পেয়ে খুশি হলাম। সকালেবেলা এক কানাবগীর পোস্ট পেয়ে মেজাজটাই বিগড়ে গিয়েছিল।

আমি কেসটা নিয়ে একটু স্টাডি করলাম। ঘটনার রাতে রনি মদ্যপ অবস্থায় অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পাবলিক প্লেসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। এতে দুটো অপরাধ আছে। হত্যা করা তার পূর্ব উদ্দেশ্য ছিল না। তাই এই মামলা ৩০৪ধারায় পড়ে না। তবে দুজন নিরীহ লোক যেহেতু নিহত হয়েছে এর দায় তাকে নিতে হবে।

এখন আসি রায় প্রসঙ্গে, আমার মতে মামলায় অর্থদন্ডটা আরেকটু বেশী করে গরীব পরিবার দুটোকে দেয়া যেত। আর যাবজ্জীবন? এটা বাংলাদেশ, অনেক কিছুই ঘটতে পারে...;)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মামলাটি মোটামুটি জটিল ছিল।
আগে এর চেয়ে বড় বড় খুনের আসামি ছাড়া পেয়ে যায়। পুলিশের ইচ্ছাকৃত দুর্বল চার্জশিটের কারনে।
কিন্তু পুলিশ এই মামলাটা মিডিয়ার চাপ, সরকারি চাপ, ঘুষ ছাড়া খুব সন্তর্পনে তদন্ত চালিয়ে প্রমান হাজির করার পর সরকারি মহল আর বাধা দেয় নি। তবে সরকারের আরেকটি শক্তিশালি মহল মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল।
যে কারনে ৩ বার রায়ের তারিখ পরিবর্তন হয়।

গরীব পরিবার দুটোকে রাষ্ট্রই সরাসরি সাহায্য করতে পারে। সরকারের হাতে ৩০হাজার কোটি থেকে বেড়ে ৫ লাখ কোটি নগদ ফান্ড, প্রতি বছর রেডি। সরকার কি না পারে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর অনেক দেশেই যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেশের সর্বচ্চ শাস্তি।
কিন্তু এটা বাংলাদেশ।
হ্যা ঠিকই বলেছেন।

এই উচ্চ শাস্তি 'যাবজ্জীবন কারাদন্ড' পেয়েও খুসিতে কাদের মোল্লা ভি সাইন দেখিয়েছেল।
তার অপরাধের তুলনায় শাস্তির পরিমান এতই কম ছিল যে খুসিতে ভি!

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৮

পয়গম্বর বলেছেন: এই ডাবল মার্ডার কেসটার ব্যাপারে আমার বেশ আগ্রহ ছিল যে, আসলে কী ঘটে? আসলেই কী দরিদ্র পরিবারগুলো ন্যায় বিচার পাবে? নাকি ক্ষমতা আর টাকার কাছে ন্যায়বিচার মাথানত করবে? এই কেসটা অনেকট হিন্দী ফিল্মের মতো। সাধারণত অপরাধীর ফ্যামিলি কম চেষ্টা করেনা ছেলেকে বাঁচাতে। টাকার বাণ্ডিলের ঢল নামে। উচ্চ পর্যায়ে ফোন আর ক্ষমতার পুশ চলতেই থাকে যেন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায় কিংবা সাজা কমে যায়। আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য বদলিয়ে ফেলে টাকা খেয়ে কিংবা জীবনের ভয়ে। জেলহাজতেও আসামীরা বহাল তবিয়তে থাকে। এরপর একসময় আসামী ছাড়া পেয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়।

আমার ধারণা, হাইকোর্টে টাকার খেলায় শেষপর্যন্ত ন্যায়বিচার মাথানত করতে বাধ্য। আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হোক, কায়মনোবাক্যে সেই প্রার্থনা করি।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/97092/রায়ের-আগে-গুরুত্বপূর্ণ-আলামত-গায়েব

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
- ধন্যবাদ ভাই।

আমাদের দেশের ত্রুটিপুর্ন সিস্টেম বিচারব্যাবস্থার দুর্বলতার কারনে ৯০ ভাগ আসামী ছাড়া পেয়ে যায়।
মামলা ব্যায়বহুল হওয়াতে দরিদ্র পরিবারগুলো ন্যায় বিচার পায়না।
ঠিক বলেছেন। এই কেসটা অনেকটাই হিন্দী ফিল্মের মতোই ছিল।

সাধারণত অপরাধীর ফ্যামিলি সর্বশক্তি ব্যয় করে ছেলেকে বাঁচাতে। টাকার বাণ্ডিলের ঢল নামে। উচ্চ পর্যায়ে ফোন আর ক্ষমতার পুশ চলতেই থাকে যেন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায় কিংবা সাজা কমে যায়।
টাকার চাপে আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য বদলিয়ে ফেলে বৈরি হয়ে যায়। টাকা খেয়ে কিংবা জীবনের ভয়ে।
জেলহাজতেও আসামীরা রাজার হালে বহাল তবিয়তে থাকে। এরপর একসময় আসামী ছাড়া পেয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়।

কিন্তু আলোচিত মামলাটি বাধা পেলেও কুলাতে পারেনি, পুলিশকে, আদালতকে থামাতে পারেনি।

২০১৭ তে আরো একটি হত্যা-ধর্ষন ঘটনায় পুলিশ বেশ দক্ষতার সাথেই আসামী চিহ্নিত করে কঠিন চার্জশিট দিতে সক্ষম হয়েছিল। পড়ুন।
রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবরটি ৫ দিনেও কোন পত্রিকা ছাপেনি

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২১

রাফা বলেছেন: আপছোছ আরো অনেক শক্ত প্রমাণ থাকার পরও অনেক হত্যা ও ধর্ষণের মত অপরাধের বিচার হয়না। এই বিচারও পুরোপুরি শতভাগ সঠিক হয় নাই। আর বাংলাদেশে জাবজ্জিবন কাটার নজির নেই।তবে অপরাধ না করে অনেকের জিবন শেষ হয়ে যা্য।

তাই এই বিচারটাকে শুধু ব্যাতিক্রম এটুকুই সান্তনা।এটা কখনই উদাহারণ হবেনা।কারন এখনও বাংলাদেশে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত হয়নি।

ধন্যবাদ,হা.কা.বৈশাখী।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ রাফা

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
অপরাধীর শাস্তি হয়েছে শুনে ভালো লাগল।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

শিবলী আখঞ্জী বলেছেন: যাাবজ্জীবন শব্দটি খালাস শব্দের সমার্থক,আপীলটাপিল রিভিউ ছিভিউ তো আছেই

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যাাবজ্জীবন শব্দটি খালাস?
পৃথিবীর আমেরিকা বাদে পৃথিবীর সকল উন্নত দেশে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেশের সর্বচ্চ শাস্তি।

আপিলে পুনর্বিচার হয়না। সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করা হয় না।
আপিলে মুলত রায়ের খুটিনাটি ভুল আছে কি না সেসবই দেখা হয়।
আর রিভিউ? সেটা মৃত্যুদন্ডের ক্ষেত্রে হয়, রায়ের বাক্যেভুল বানান ভুল ইত্যাদি দেখা হয়।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী ভাই, রনির সাজা শুধুই যাবজ্জীবন !!! মদ্যপ অবস্থায় একজন ভ্যান রিক্সাওয়ালা ‍যদি দুই সাংসদ পুত্রকে মাল বোঝাই ভ্যানের নিচে ফেলে পিষ্ট করে দিতো তাহলে কি একই বিচার হতো !!! - যাবজ্জীবন ???

কে এই রনি আর কে সাংসদ পিনু ? চিনলাম নাতো !!! - তাদের তেজগাঁ / কল্যানপুর রিক্সা শ্রমিক দলের সামনে দিয়ে দিন, রিক্সাচালক সামছু মিয়া একা রনি পিনু’কে কেটে বুটি বুটি করে গোস্ত বাসায় নিয়ে বেশী করে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কে সাংসদ পিনু ? পিনুকে এবার নমিনেসন দেয়া হয় নি।
আদালত এই অপরাধে নিয়মমাফিক শাস্তি দিয়েছে।

ব্লগার পাঠকের প্রতিক্রিয়া যথার্থ বলেছেন।
রনি মদ্যপ অবস্থায় অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পাবলিক প্লেসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। এতে দুটো অপরাধ আছে। তবে হত্যা করা তার পূর্ব উদ্দেশ্য ছিল না। তাই এই মামলা ৩০৪ ধারায় না হয়ে ৩০২। তবে দুজন নিরীহ লোক যেহেতু নিহত হয়েছে যাবজ্জীবন শাস্তি যথার্থ।

আর আমার দৃষ্টিতে দেশের টাকাওয়ালা হোমরা চোমড়াদের কখনোই শাস্তি তো দুরে কথা, বিচারই শুরু করা যেত না।
এবার অবস্য একটি ব্যাতিক্রম হয়ে দৃষ্টান্তমুলক উদাহরন হয়েছে। অন্তত সে দোষি সাব্যস্ত হয়েছে।
আমি পোষ্টে সেটাই বলতে চেয়েছি। ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: তথ্যমূলক লেখাটি ভালো লাগলো | বিচারে যাবজ্জীবন ঠিক আছে তবে এর সাথে অনেক বেশি অর্থদণ্ড যুক্ত করলে ভালো হবে | ভবিষ্যতে এধরণের প্রতিটি মামলায় অধিক অর্থদণ্ড প্রদান করতে থাকলে অপরাধীর টাকা কিছু দুর্নীতিবাজ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী ও আদালত কর্মচারীর হাতে না গিয়ে ভিকটিমের দরিদ্র পরিবার সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম সহায় হিসাবে কাজ করবে |

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তাদের তেজগাঁ / কল্যানপুর রিক্সা শ্রমিক দলের সামনে দিয়ে দিন, রিক্সাচালক সামছু মিয়া একা রনি পিনু’কে কেটে বুটি বুটি করে গোস্ত বাসায় নিয়ে বেশী করে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলবে। ...

আইডিয়াটা মন্দ নয় |

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ স্বামী বিশুদ্ধানন্দ।

আপনি ঠিকই বলেছেন, সাজার সাথে অনেক উচ্চ অর্থদণ্ড যুক্ত হলে ভালো হত।
আমেরিকাতেও সাধারন সাজা মানেই উচ্চহারে অর্থদন্ড।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রনি অকারণে হত্য করবে এই দেশের মনুষ তো পশু পাখির চেয়েও খারাপ অবস্থা, এটি পুলিশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছে কিন্তু আদালত রনি’কে অর্থদন্ড বড় আকারের করতে পারতো। রনি’র কারণে দুই দুইটি পরিবার অতল গহ্বরে পরে গেলো ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তবে একটা ব্যাপার বিস্ময়কর।
ঢাকা শহরের একটা বড় পত্রিকা অফিসের সামনে ব্যাস্ত রাস্তায় একটা লোক গুলি করছে দুজন মানুষ লুটিয়ে পড়লো, মারা গেল।
আশ্চর্য, ঢাকার কোন পত্রিকায় বা টিভিতে খবরটা আসলো না। ৩ মাসেও আসলো না।
রনিকে পুলিশ গ্রেফতার করে মিডিয়াকে জানানো না পর্যন্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.