নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাকসু নির্বাচনে

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

ডাকসু নির্বাচনের কিছু

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯

নুরু ১৯৩৩ টি ভোট বেশী পেয়ে (১১ হাজার ৬২টি) জয়লাভ করলো।
নুরু নির্বাচনে জেতার কথা ছিলনা। ছাত্রলীগে নেতাদের দলিয় কোন্দলের কারনে নুরু জিতে যায়।

যে ছাত্র/ছাত্রীটি নুর কে ভোট দিলো সে কি করে তাদের প্যানেলের রাশেদ কে ভোট না দিয়ে রব্বানী কে ভোট দিলো ??

ডাল মে বহুত কালা হ্যায়
অনুপ্রবেশকারি মোস্তাকরা আজ দেখিয়ে দিয়েছে তারা কতোটা শক্তিশালী।


নুরু শিবির ছিলনা,
তাদের জিএস প্রার্থি রাসেদ শিবির করতো। (প্রমান - সে পুরোনো শিবির সমর্থক পোষ্ট মুছে ফেলে)

নুরু পরে শিবির সমর্থক হয়েছে। সে দির্ঘদিন ছাত্রলীগেই ছিল, পদস্থ ছাত্রলীগ নেতা।
নুরু নির্বাচনে জেতার কথা ছিলনা। ছাত্রলীগে নেতাদের দলিয় কোন্দলের কারনে নুরু জিতে যায়।

ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটঃ

কোটা সংস্কার নুরুঃ ১১,০৬৫ ভোট

ছাত্রলীগ শোভনঃ ৯,১২৫ ভোট

স্বতন্ত্র সেমন্তি ২,৬৭৬ ভোট

বাম জোট লিটন নন্দি ১,২১৬ ভোট

ছাত্রদল? ছাত্রদলের মোস্তাফিজুর ২৪৬ ভোট!

প্রথমআলো সহ মিডিয়াগুলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এহেন ভরাডুবির কথা চেপে যাচ্ছে।


পূর্ণাঙ্গ ফলাফল

ডাকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।

সভাপতি (ভিপি)

ভিপি পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক নূর।

তার চেয়ে ১ হাজার ৯৩৩ ভোট কম পেয়ে হেরেছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

ভোটের হিসাবে ভিপি পদে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র জোট প্যানেলের প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান। ২ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়েছেন তিনি।

বাম জোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী ১ হাজার ২১৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন তিনি।

২১ জন ভিপি প্রার্থী তিনি হলেন
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের এস এম আতায়ে রাব্বী ১১২ ভোট।
ছাত্র মৈত্রীর রাসেল সেখ পেয়েছেন ২২ ভোট,
জাসদ ছাত্রলীগের রাকিবুল ইসলাম তুষার ২৪ ভোট,
বাংলাদেশ জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ-বিসিএলের নাইম হাসান ৩৯ ভোট পেয়েছেন।
সবচেয়ে কম ৭ ভোট পেয়েছেন জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রার্থী নকিবুল হাসান।

সাধারন সম্পাদক - জিএস

জিএস পদে বিজয়ী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ৪২১ ভোট।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের রাশেদ খান ৬ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের প্রার্থী সাংবাদিক সমিতির নেতা আসিফুর রহমান ত্বাসীন ৪ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়েছেন। তাদের প্যানেলে ভিপি প্রার্থী ছিল না।

অরণি সেমন্তি নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র জোটের শাফী আবদুল্লাহ ১ হাজার ৫১২ ভোট পেয়ে জিএস প্রার্থীদের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।

ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজির পেয়েছেন ৬০৬ ভোট। বেনজিরের পরিবর্তে বাম জোট যাকে জিএস প্রার্থী করেছিল, সেই ফয়সাল মাহমুদ সুমন পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।

জিএস পদে ছাত্রদলের আনিসুর রহমান রহমান অনিক পেয়েছেন ৪৬২ ভোট।

ছাত্র মৈত্রীর সনম সিদ্দিকী শিতি ৪৬ ভোট,
জাসদ ছাত্রলীগের শাফিকা রহমান শৈলী ৯৫ ভোট,
বাংলাদেশ জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশে ছাত্রলীগ-বিসিএলের শাহরিয়ার রহমান বিজয় ৪৪ ভোট পেয়েছেন।

১৪ জন জিএস প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম ৩০০ ভোট পেয়েছেন জালাল আহমেদ। তিনি এক সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে থাকলেও নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন।

এজিএস

এজিএস পদে জয়ী ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ডাকসুতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ৩০১টি।

এই পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৯ হাজার ৪০৫।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ফারুক হোসেন ৫ হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

স্বতন্ত্র জোটের অমিত প্রামানিক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ ভোট। তিনি আছেন তৃতীয় অবস্থানে।
স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের আবু রায়হান খান ৬২৯ ভোট পেয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে।

তার পরে রয়েছেন ছাত্রদলের খোরশেদ আলম সোহেল ২৯৪ ভোট পেয়ে।
বাম জোটের প্রার্থী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাদেকুল ইসলাম সাদিক পেয়েছেন ২৮৪ ভোট।
মুক্তিজোটের অনুপ রায় পেয়েছেন ২৫১ ভোট।
ছাত্র মৈত্রীর রহমত উল্লাহ ৪৩ ভোট,
জাসদ ছাত্রলীগের জহুরুল ইসলাম ৬২ ভোট,
ছাত্রলীগ-বিসিএলের আশরাফুল আলম ফাহিম ৯৬ ভোট।
এজিএস পদে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন শাহিদুল ইসলাম, তার ভোট সংখ্যা ২৩।

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের প্রার্থী সাদ বিন কাদের (১২১৮৭ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (৩৯৯১ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের শ্রবণা শফিক দীপ্তি (৩৯৪২ ভোট)।

চতুর্থ- বাম জোটের রাজীব কান্তি রায় (৭৬১ ভোট)

ছাত্রদলের জাফরুল হাসান নাদিম পেয়েছেন ৩০০ ভোট।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের আরিফ ইবনে আলী (৯১৫৪ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের মশিউর রহমান (৬৩২৩ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের চয়ন বড়ুয়া (৪০১৫ ভোট)।

চতুর্থ- মাহমুদুল হাসান (৭৪৮ ভোট)।

বাম জোটের উলুল আমর তালুকদার পেয়েছেন ৫২৪ ভোট।

কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের বিএম লিপি আক্তার (৮৫২৪ ভোট।

নিকটতম- ছাত্রদলের কানেতা ইয়া লাম-লাম (৭১১৯ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের ওমর ফারুক (৩২৬৩ ভোট)।

আন্তর্জাতিক সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের শাহরিমা তানজিনা অর্নি (১০৬০৪ ভোট)

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের হাবীবুল্লাহ বেলালী (৪৩৬৭ ভোট)।

তৃতীয়- বাম জোটের মীম আরাফাত মানব (১৯৫৫ ভোট)।

সাহিত্য সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের মাজহারুল কবির শয়ন (১০৭০০ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আকরাম হুসাইন (৫০১৮ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের আবু আবু রায়হান খান সানন (৩০৩৫ ভোট)।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের আসিফ তালুকদার (১০৭৯৯ ভোট)।

নিকটতম- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের নাহিদ ইসলাম (৩৫৮৪ ভোট)

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের ফরহাদ হোসেন (২২৪২ ভোট)।

ক্রীড়া সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের শাকিল আহমেদ তানভীর (৯০৪৭ ভোট)।

দ্বিতীয়- স্বতন্ত্র জোটের খালেদ মাহমুদ আকাশ (৩৮৩৪ ভোট)।

তৃতীয়- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের মামুনুর রশীদ (৩১৭১ ভোট)।

ছাত্র পরিবহন সম্পাদক

বিজয়ী- ছাত্রলীগের শামস ই নোমান (১২১৬৩ ভোট)।

নিকটতম- স্বতন্ত্র জোটের তাওহিদ তানজিম (২৮৪৫ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরকৃষ্ণ চাকমা (২৬২৬ ভোট)।

সমাজসেবা সম্পাদক

বিজয়ী- সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আখতার হোসেন (৯১৯০ ভোট)।

নিকটতম- ছাত্রলীগের আজিজুল হক (৮০৮১ ভোট)।

তৃতীয়- স্বতন্ত্র জোটের রহিসউজ্জামান (১৪০৩ ভোট)।

সদস্য

চিবল সাংমা (১২৮৬৮),
নজরুল ইসলাম (৮৫০৯),
রাকিবুল হাসান (৮৬৭৩),
রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য (১১২৩২),
তানভীর হাসান সৈকত (১০৮০৫),
রাইসা নাসের (৯৭৬৮),
সাবরিনা ইতি (৯৪৫০),
রফিকুল ইসলাম সবুজ (৬৫১৭),
ফরিদা পারভীন (৮৪৬৯),
নিপু ইসলাম তন্বী (১০৩৯৩),
সাইফুল ইসলাম রাসেল (৭৮১২),
তিলোত্তমা শিকদার (১০৪৬৬)
মাহমুদুল হাসান (৭৯৭৮)।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ব্যাখায় কারণের অভাব নেই, যেটার অভাব আছে, সেটা হলো আওয়ামী অন্যায় আপনার মাথায় ঢোকে না; আপনার মাথায় ঢোকে না যে, আওয়ামী লীগের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতি থেকে দুরে রাখা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না করে উপায় ছিল না। আদালতের নির্দেশ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাসন আপিল করে ডিলে করতে পারত অবস্য, তবে একটা টেষ্ট করলো, ছাত্রদলে দৌর কতটিকু, সেটা জানার জন্য।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ছাত্রদলের তো ভরাডুবি হবেই। তারা তো ক্যাম্পাসে নির্বাসিত দল।

তার মানে এই নয় যে ছাত্রলীগের খুব সমর্থন রয়েছে। তাহলে কেন পেছনের দরজা দিয়ে তাদের জয়ী হতে হয়?

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাত্রদল নির্বাসিত হতে যাবে কেন?
ছাত্রদল কারো কপালে লেখা থাকে নাকি? নাকি ভর্তি হতে বাধা?

একটানা ৯ বছর সকল দলের স্টুডেন্টরা ঢাবি বুয়েট সহ পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে সেশন জট নেই, হল দখল নেই বন্দুকবাজি নেই, পিস্তল হাতে দৌরাদৌরি নেই, গুলির শব্দ নেই ধাওয়া পালটা ধাওয়া নেই। টাইমমত সবাই পাস করে বের হয়ে যাচ্ছে
প্রতি বছর নিয়মিত বিসিএস পরিক্ষা নিয়মিত হচ্ছে, নিয়োগ হচ্ছে।

আপনাদের বিম্পি-জামাত আমলে কি হয়েছিল?
৪ বছরে যাগায় ৭ বছরেও শেষ হয় না বিশ্ববিদ্যলয় পাট
দুর্নিতি আর তারেক বনাম শিবির চাপাচাপিতে ৫ বছরে মাত্র ১বার বিসিএস নিয়গ হয়েছে, যা চরম বিতর্কিত।
৯০% নিয়গ পেয়েছিল বগুড়ার। শিবির কোটায়। শিবিরের বড় আস্তানা বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে।
এত বড় বেহায়াপনা, কিন্তু শুশিল মিডিয়া নিশ্চুপ।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থির ২৪৬ ভোট! এদের ও গুরুদের জনসমর্থন যে শুন্যের কোঠায় এতেই প্রমান হয়।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ছাত্রলীগ শুধু ঢাকায় নয়, পুরু দেশের কলেজ ক্যাম্পাসে এখন দল হিসেবে পরিচিত। ১০-১২ বছর পূর্বের শিবির -ছাত্রদল আর বর্তমান ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। বরং বর্তমান ছাত্রলীগ অপকর্মে এগিয়ে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১০-১২ বছর পূর্বের শিবির -ছাত্রদল আর বর্তমান ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই?

ছাত্রলীগের দল এখন ক্ষমতায়, এলাকার সুযোগ সন্ধানী গুন্ডা পান্ডারা টাকার বিনিময়ে নাম লেখাইছে ছাত্রলীগে, শিবিরের চ্যালারাও ঢুকেছে। নিজেদের ভেতর কোন্দল মারামারি লেগেই আছে, নিজেদের ভেতর মারমারি করে মরুক, আমার আপনার কি?
ছাত্রলীগ কর্মিরা তো অন্য কাউকে খুন করছে না।
ছাত্রলীগের মুল নেতৃত্ত সঠিক পথে আছে।

ছাত্রলীগের সাফল্য একটাই।
কোন বন্দুকবাজি ছাড়াই সবগুলো ক্যাম্পাস একটানা ১০ বছর সান্ত রাখতে পেরেছে।
ছাত্রদলের অভির মত এলএমজি কাঁধে নি চলতে হয় নি কখনো।
একটানা ১০ বছর সকল পাবলিক উইনি ঢাবি বুয়েট সহ পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে হল দখল নেই, বন্দুকবাজি নেই, পিস্তল হাতে দৌরাদৌরি নেই, বোমাবাজি, গুলির শব্দ নেই, ধাওয়া পালটা ধাওয়া নেই। মামুলি মিছিল পর্যন্ত নেই।
যে কারনে সেশন জট ছিল না টানা ১০ বছর। সবকিছু একটানা শান্ত রাখতে মেধার দরকার আছে।
ছাত্রদল কি এসব পারতো?


অল্প দুএকটি ঘটনায় হেলমেট ধারিরা মাত্র একবার হাতুড়ি পেটা করতে হয়েছে, আর নুরু একবার গনপিটুনির শিকার হয়েছিল।এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়।
হেলমেট কোনভাবেই একটি অস্ত্র না। ডিফেনসিভ ইকুপমেন্ট।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

মা.হাসান বলেছেন: ছাত্রলীগে কোন কোন্দল নাই, এই বিষয়ে হরিদ্রাভ আলোয় যাহা আসে উহা অপপ্রচার মাত্র।

২) গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফল ঘোষিত হইবার পর আনন্দে উদ্বেলিত হইয়াছিলাম এই ভাবিয়া যে জাতি সুপথে ফিরিয়া আসিয়াছে। ইতোপূর্বে যাহারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করিত তাহাদের অধিকাংশই তওবা করিয়া নুহ নবীর কিস্তির ন্যায় আওয়ামীলীগের নৌকায় উঠিয়াছে। শতকরা ৯৮ ভাগ আসনে স্বাধীনতার পক্ষের লোক বিজয়ী হওয়ায় উৎসবে আনন্দে মাতিয়া উঠিয়াছিলাম।

৩)প্রাচ্যের এমআইটি-হার্ভার্ড-অক্সফোর্ড ... ইত্যাদি তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে মোট ৪৫ হাজার ভোটের মধ্যে ১১ হাজার ভোট মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধের অবমাননাকারি শিবিরের নেতার পক্ষে পড়ায় হতবাক হইয়া পড়িয়াছিলাম। প্রথমে ভাবিয়াছিলাম শিবির ভোট ডাকাতি করিয়া ফল পরিবর্তন করিয়াছে। কেননা ইহাদের গুরু লন্ডনি বাদশাহ লন্ডন হইতে ব্যালট ছাপইয়া বিশেষ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সূক্ষ কারচুপির চেষ্টা করিতেছে সচেতন জনতা তাহা পূর্বেই আন্দাজ করিতে পারিয়াছিল। পরবর্তিতে স্থানীয় চা-সমুচা-সিঙ্গাড়া-চপের ফেরিওয়ালা সহ সকলেই যখন বলিতে লাগিলেন নির্বাচন সহীহ ও শুদ্ধ হইয়াছে তখন বুঝিলাম সামষ্টিক ভাবে শিবির দূর করা গেইলেও আঞ্চলিক ভাবে স্থানে স্থানে ইহার এখনো ঘোট পাকাইতেছে।

৪)অবিলম্বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন দ্বারা ঔ সমস্ত শিবিরের ভোটারদের চিহ্নিত করিয়া কোলাবেরট অ্যাক্টে তাহাদের বিচার করিতে হইবে। এবং তাহাদের পরিবারের সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক করিয়া লব্ধ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা করিতে হইবে। মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের করের টাকায় শিবির পড়াশোনা করিবে ইহা বড়ই অনুচিত হইবে।

৫) মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদেরের জামা-জুতা-হাতঘড়ি-চুলের জেল ---সকল কিছু হইতে টেস্ট ও কালচার চুয়াইয়া পড়ে। সঙ্গত কারনেই মহিলাদের হল গুলিতে ওনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রহিয়াছে। উনি যদি একবার নির্বাচনী প্রচারনায় মেয়েদের হল গুলিতে আসিতে পারিতেন তবে নিশ্চিত ভাবেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা কমপক্ষে ১২০% ভোট পাইতো। নির্বাচনের ঠিক পূর্বে ওনার অসুস্থার পিছনে জামাত-শিবিরের হাত আছে কি না তাহা যাচাই করা দরকার।

৬) জনাব আবুল মনসুর বা মওলানা ভাসানীর পর আপনার ন্যায় রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেখি নাই। পোস্টটিকে স্টিকি করা আমার আয়ত্বের বাইরে, আপাতত লাইক দিয়া গলাম।
জয় ডাকসু।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশাল গরুর রচনা লিখে ফেললেন।

যে যাই বলুক এবারের ডাকসু নির্বাচনটি ছিল সবচেয়ে শান্তিপুর্ন সহাবস্থানমুলক, সুশৃঙ্খল।
যেখানে নির্বাচন সময়কালীন ছিলনা কোন সংঘাত ও চিরাচরিত মারামারি। ভোটারের সন্তষজনক উপস্থিতি সুশৃঙ্খল উপস্থিতি লাইন ভোটের দিনে।

লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই ভোট দিয়েছে। মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছিল লাইন আগাচ্ছে না কেন।
আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে অধর্য হয়ে বলছে ২-৩ ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি, ফাজলামি। যেখানে একজনকে ৩৮টা ভোট দিতে হচ্ছে, ছাত্রসংসদ ও হল সংসদ, অনেক ভোট বেছে বেছে দিতে হয়েছে। দেরি তো হবেই।

তবে ভোট দানে ইচ্ছুক তারা প্রত্যাকেই ভোট দিতে সক্ষম হয়েছে। কেউ বলেনি ভোট দিতে পারিনি।
সুষ্ঠু নির্বাচন খুব সহজ কাজ ছিলনা। দীর্ঘ ২৮ বৎসর ১০ মাস পর যে নির্বাচনটি হতে পেরেছে তার পিছনে ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সদিচ্ছা অক্লান্ত ও আন্তরিক পরিশ্রম। তারপরও এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে

কলংকিত করতে চেস্টার কমতি ছিলনা কোন কোন মহলের। এক্ষেতে মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডায় সরকার বিরোধী ছাত্র শিক্ষক ও মিডিয়ার বড় অবদান ছিল। তারা চেয়ে ছিল এটা থেকে নিজেদের রাজনৈতিক রসদ আহরন - সরবরাহ। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টায় যে যার যার মত সফল হয়েছে।
দিন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে দীর্ঘ প্রতিক্ষার নির্বাচিত ডাকসু।

পরাজিত পক্ষ ফলাফল মানিনা বলে আমাদের দীর্ঘদিনের জাতিগত প্রথা বজায় রেখেছে।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

আমিনভাই বলেছেন: ছাএ রাজনীতি চলবে না। ছাএ রাজনীতি দেশ ধংশ হবে আগাতে পারবে না।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ডাকসু ছাড়া এত বছর চলেছে। আরও কিছু বছর চলুক। সমস্যা কি?

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ডাকসু ছাড়া এত বছর চলেছে। আরও কিছু বছর চলুক। সমস্যা কি?

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না করে উপায় ছিল না। আদালতের নির্দেশ।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: যদি নুর রাশেদ বর্তমান শিবির সমর্থক হয় তাহলে ঢাবিতে শিবির কত শক্তিশালী সেটা সহজে অনুমান করা যায়। কিন্তু ঢাবি কাম্পাসে শিবির নাম নেওয়া হারাম।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শিবির নেই, শিবির শক্তিশালী নয় এটা ভাবাই বোকামি।

জামাত-শিবির!
দেশের ৬৪% রিয়েলস্টেট ৫০% ব্যাঙ্কিং সেক্টর তাদের হাতে, শত শত বেসরকারি কলেজ বিশ্ববদ্যালয় কোচিং সেন্টার। কি নেই?
প্রতিটি জামাত নেতা কোটিপতি। প্রতিটি জামাত শিবির সদস্য মাসিক বেতনভুক্ত।

এরা স্বাধীনতার আগে ভিক্কা করে, কোরবানির চামড়া বিক্রি করে জিবিকা নির্বাহ করতো।
রাবেতার সাহায্যের টাকা, সৌদি মসজিদ তৈরির টাকা মেরে জামাত নেতা মিরকাশেম সামান্য বোর্ডিং ম্যানেজার থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছিল।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ডাল মে বহুত কালা হ্যায়

২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গত তিন দশক ধরে ক্যামপাসগুলোতে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ছারা অন্যরা ঢুকতেই পারতোনা।
৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নির্বাচনই বন্ধ করে দিয়েছিল। কারো সাহসে কুলায়নি ডাকসু নিরবাচন দিতে।
আগামীতে নির্বাচন না হলে কারো কোন মাথা ব্যথা হতোনা। সাহস করে প্রকৃয়াটা চালু করল হাসিনা সরকার এবং তাতে কিছু বিচ্যুতি হয়েছে বলেই সমালোচনার মুখে।
ডাকসু বাদেতো সবকিছু ভালোই চলছিল। যারা কখনোই নির্বাচন দেয়নি, নির্বাচন চায়ওনি, আগে তারা এখন দূরে বসে মজা নিচ্ছে।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আ‌মে‌রিকার বিশ্ব‌বিদ্যালয়গু‌লোর ছাত্রসংসদ নির্বাচন নি‌য়ে এক‌টি পোস্ট দিন। জীব‌নে হয়‌তো ওই দে‌শে যে‌তে পার‌বো না। আপনার মাধ্য‌মে জানার প্রয়াস ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আ‌মে‌রিকার বিশ্ব‌বিদ্যালয়গু‌লোয়ও ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়।

তবে এত মাতামাতি হয় না। এখানকার স্টুডেন্টরা ভাল বলতে পারবে।
আমি যা শুনেছি - এখানকার ছাত্র প্রতিনীধিদের কাজ রাজনীতি না, এতে ফান্ডিং আছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মামুলি ক্যান্টিন সমস্য, বিভিন্ন উৎসব সেলিব্রেশন ইত্যাদি নিয়ে মিটিং। অনেক বাংলাদেশী নির্বাচিত হয়েছিল বলে শুনেছি।

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাত্র রাজনীতি ডাক্সু ফাকসু এতদিন অবহেলিত ছিল, মানুষ ভুলেই গেছিল।

হঠাত একদিন এক ছাত্র, দাড়ি পাকা আবাল এরপরেও ছাত্র। অনশনে বসলো। এরপর কাহিনী শুরু ....

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, আ‌মে‌রিকার বিশ্ব‌বিদ্যালয়গু‌লোর ছাত্রসংসদ নির্বাচন নি‌য়ে এক‌টি পোস্ট দিন। জীব‌নে হয়‌তো ওই দে‌শে যে‌তে পার‌বো না। আপনার মাধ্য‌মে জানার প্রয়াস ।

১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: @মা.হাসান, এমন ফাটাফাটি মন্তব্যটারে পোস্ট হিসেবে প্রকাশ করা যায় না? এমনিতেই ব্লগের দুর্দিন। তারমধ্যে যেই মার্কা পোস্ট এখন নির্বাচিত পাতায় যায়, তাতে বিকল্প পথে পাঠকদের ঢোকা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে সামনে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফালতু একপেশে মন্তব্য লাফানোর কিছু নেই।

নেক্টস যদি কোন কারনে পুননির্বাচন হলে নুরুল হক জিততে পারবে না। লিখে রাখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.