নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখানেও কি কেমিক্যাল গোডাউন ছিল?

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৬

২০ তলা ফারুক-রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এই বহুতল অফিস ভবনে আগুন ছড়ালো কি করে? এখানেও কি কেমিক্যাল গোডাউন ছিল?
এবার ভদ্রলোকদের অভিজাত এলাকায় আগুন লাগলো।
জানালা দরজা সব বন্ধ, এরপর পর্দার উপর পর্দা। নইলে তো প্রেষ্টিজ থাকে না। দিনদুপুরেও বদ্ধ রুমে টিউবলাইট, বাহারি এসি। বাহিরে সুর্যের আলো না বৃষ্টি কিছুই বোঝার উপায় নেই। আগুন দেখা আগুন বোঝা তো আরো দুরের ব্যাপার।


ফাইল ছবি


অনেকেই আগুন লাগার পর একঘন্টার পরও বুঝতে পারেনি আগুন লেগেছে কি না। যখন টের পেল ততক্ষনে শিড়িতে আগুন-ধোঁয়ায় ভর্তি।
মামুলি একটা ফায়ারএলার্ম সবাইকে বাচিয়ে দিতে পারতো।
আমেরিকায় ও উন্নত দেশসমুহে ভবনের প্রতি ইউনিটে ফায়ার এলার্ম থাকে। সব এলার্ম একসাথে বাজে না, একটা একটা করে বাজে, যাতে শিড়িতে ঠেলাঠেলি হুড়াহুরি না হয়।
আগুন নেভানোর চেয়ে মানুষ বাচানো জরুরি।
দশ-বার জন মারা গেছে বলছে মিডিয়া গুলো। আমার ধারনা একশত ছাড়িয়ে যাবে।

* আপডেট ২৯সে মার্চ

আমাদের 'ফায়ার ব্রিগেড' যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
আগুন যে পর্যায়ে ছিল পুরো বিল্ডিঙ্গই পুড়ে আসেপাশের ভবনগুলোও পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
কিন্তু পানির সংকট থাকার পরও পানিবাহি গাড়ির সাহায্যে মাত্র ৪-৫ ঘন্টার ভেতর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে,
১৪-১৫ তলায় থেকে পানি ছেটানোর ল্যাডার মারফত চরম ঝুকি নিয়ে অনেক মানুষ উদ্ধার করেছে।
৬টি ফ্লোর পুড়ে গেলেও স্বল্পসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে বাকি ১৮ টি ফ্লোর রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
২৫ জন মারা গেলেও ভবনে অবস্থানরত হাজার মানুষ বেচে যায়।
পাবলিকও অনেককে বাচিয়েছে।
পাশের বিল্ডিঙ্গের কাচের জানালা ভেঙ্গে তক্তা ফেলে অনেককেই নিরাপদ যাগায় নিয়ে যায়।

অতচ কিছুদিন আগে একই মাত্রার আগুন লন্ডনে ২৪ তলা আবাসিক ভবন গ্রিনফিল টাওয়ারের আগুন।
লন্ডনের অভিজ্ঞ ফায়ার সার্ভিস সর্বশক্তি দিয়েও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, ২ দিন জাবত জলছিল গ্রিনফিল টাওয়ার। নিজস্য নির্বাপন ব্যাবস্থা, পর্যাপ্ত ফায়ার একজিট, বিকল্প শিড়ি থাকার পরও গ্রিনফিল টাওয়ারের আগুনে একশতর মত মানুষ মারা যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: মিডিয়া বলেছেন ১৯ জন। আমার ধারণা ১০০ এর মত। ৫-৬ ঘন্টা সময় পেয়েও ফায়ার সার্ভিস মাত্র ৫৮ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে....

আল্লাহ মৃত সবাইকে জান্নাত দান করুন। আর তাঁদের পরিবারকে ধৈর্য দান করুন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাদে উঠতে পারলেও অনেকে বেচে যেত।
বেশির ভাগ ছাদের দরজায় থাকে ইয়া বড় তালা।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ছোটখাটো বিষয়ে আলসেমি করাটা বাঙ্গালীর স্বভাব।

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন টিভিতে হাংবাদিকরা বড় বড় কথা বলে, অতচ ঐ ভবনেই তো একটি বেসরকারি টিভির কেন্দ্র ছিল। ২০০ স্টাফ।
তার কি দেখেনি সংকির্ন শিড়ি, নো ফায়ার এক্সিট।

বিবিসি বাংলার শাকিল আনোয়ারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন ,
"যে ভবনটিতে আগুন লাগে, সেটির ফাইল আমি যতটুকু দেখেছি, ১৯৯৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর এটিকে একটি ১৮ তলা ভবন হিসেবে করার জন্য নকশা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু ২০০৫ এ এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। শুধু তাই নয়, রাউজকের অনুমোদিত নকশা থেকে এই ভবনের নকশায় আরও অনেক বিচ্যূতি রয়েছে।"

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৯

আরোগ্য বলেছেন: আমদের পুরান ঢাকায় আগুন লাগলে আমাদের দোষ, সভ্য এলাকায় আগুন লেগেছে এখন কার দোষ?

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবাই মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যাস্ত
আগুন ধোঁয়া থেকে থেকে বিপন্ন মানুষ লাফিয়ে পড়ার দৃশ্য এত মানুষ যার যার মোবাইল ফোন সেটে ভিডিও করছে।
এত মানুষ এত স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে ! কিন্তু এরা যদি নীচে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করত তাহলে এই মানুষগুলো পড়ে অন্তত মাথাটা থেতলে মরে যেতোনা।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৯

হাবিব বলেছেন: সবাই ভাইরাল হতে ব্যস্থ থাকে। কেউ কাউকে বাঁচাতে আসে না। সবাই হা করে ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত!!!

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তবুও পাবলিক অনেককেই বাচিয়েছে।
পাশের বিল্ডিঙ্গের কাচের জানালা ভেঙ্গে তক্তা ফেলে অনেককেই নিরাপদ যাগায় নিয়ে বাচায়

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল সারারাত একফোটা ঘুম হয়নি। সারারাত ছটফট করেছি। বনানীর ঘটনা আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার সাথে প্রধানমন্ত্রীর মিল আছে।
প্রধানমন্ত্রী ম্যাডামও আপনার মত সারারাত ঘুমাননি।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা । ফায়ার এলার্ম নিশ্চয়ই থাকে, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় বোধহয় সবই অকেজো হয়ে যায় । প্রতি মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর এম্পেথেটিক্যালি ঘটনায় বেদনাহত। যে প্রাণীগুলো গেছে সেগুলো তো আর ফেরার নয় । হতভাগা পরিবারগুলি আশা করি সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবে। নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং অসুস্থদেরকে দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করি। ঘটনাটা টিভিতে দেখেছিলাম তবে ভিডিও ক্লিপিংএ কয়েকজনকে জানালা দিয়ে লাফ দেওয়া দেখে শিঁউরে উঠেছিলাম ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আফটার অল আমি এতটা নেতিবাচক ভাবছিনা।
আমার দৃষ্টিতে সরকার তথা সরকারি সংস্থা 'ফায়ার ব্রিগেড' যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
আগুন যে পর্যায়ে ছিল, নেভানোর পড়েও বার বার জ্বলে উঠছিল। পানির অভাবে। একপর্যায়ে মনে হয়েছিল পুরো বিল্ডিঙ্গই পুড়ে আসেপাশের ভবনগুলোও পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু পানির সংকট ছিল, দেড় কিলোমিটার দূরে হাতির ঝিল থেকে পানি এনে, পানিতে চাপ ছিলনা, পাইপ ছিদ্র হয়ে যাচ্ছিল। এরপর ভিড় ঠেলে দফায় দফায় পানিবাহি গাড়ির সাহায্যে মাত্র ৪-৫ ঘন্টার ভেতর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। দমকল বাহিনীর কর্মিরা আহত হলেও একমিনিটও কাজ বন্ধ করে নি।
১৪-১৫ তলায় থেকে পানি ছেটানোর ল্যাডার মারফত চরম ঝুকি নিয়ে অনেক মানুষ উদ্ধার করেছে। ৩টি ফ্লোর পুড়ে গেলেও (২ টি আংশিক) মোট ৫ টি ফ্লোরে স্বল্পসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে বাকি ১৯ টি ফ্লোর রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
২৫ জন মারা গেলেও ভবনে অবস্থানরত হাজার মানুষ বাঁচানো সম্ভব হয়।

অতচ কিছুদিন আগে একই মাত্রার আগুন লন্ডনে ২৪ তলা ভবন গ্রিনফিল টাওয়ারের আগুন।
লন্ডনের ওয়েল ইকুইপড অভিজ্ঞ ফায়ার সার্ভিস সর্বশক্তি দিয়েও সেই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, ২ দিন জাবত জলছিল গ্রিনফিল টাওয়ার। নিজস্য নির্বাপন ব্যাবস্থা, পর্যাপ্ত ফায়ার একজিট, বিকল্প শিড়ি থাকার পরও একশতর মত মানুষ মারা গেছিল সেইদিন।
কোরিয়ান নাইট ক্লাব, চীনে হোটেল, ব্রাজিলের বহুতল, পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা থাকার পরও বহু মানুষ মারা যায়। দুবাইয়ের রিসেন্ট নির্মিত সর্বচ্চ ব্রুজখলিফায় দুবার লেগেছিল আগুন।
আধুনিক পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা থাকার পরও ২৪ ঘন্টায়ও নেভানো সম্ভব হয়নি সেসব আগুন।
অতচ অপর্যাপ্ত ব্যাবস্থা, জানজট, লোকের ভিড়ে বাধা, পানির সংকট, এরপরও আমাদের দমকল বাহিনী মাত্র ৪-৫ ঘন্টার ভেতর আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে ৬ ঘন্টার ভেতর নেভাতে সক্ষম হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.