নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চালু হল বাংলাদেশে এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৭




এনবি-আইওটি নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ায় এনবি-আইওটি (NB-IOT) নেটওয়ার্ক সুবিধা চালু করা শীর্ষ অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোনকে স্বীকৃতি দিলো মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন-জিএসএমএ।
অপারেটর গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জিএসএমএর এই স্বীকৃতি একইসাথে বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোনকে আইওটির বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছে।

বিশ্বের মাত্র ৪৫টি উন্নত দেশ এই টেকনোলজি (এনবি-আইওটি বা এলটি নেটওয়ার্ক) ব্যাবহার করছে, ভারত পাকিস্তান বা এশীয়া আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ এখনো শুরু করতে পারে নি। দক্ষীন আমেরিকায় ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ছাড়া কোন দেশ শুরু করেনি।
মধ্যপ্রাচ্যে শুধু সৌদিআরব আর আমিরাতের আছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।

এনবি-আইওটি কি?

ধরেন আমেরিকায় একটি বাসা ভাড়া নিলেন, খালি বাসায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। ভাড়াটের নামেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হয়।
বিদ্যুৎ কম্পানী কয়েকটি। যে কোন একটাতে ফোন দেন, নাম ঠিকানা সোশাল সিকুরিটি ভেরিফিকেশন ফর্মালিটি শেষ করে ক্রেডিট কার্ডে টাকা জমা দিলেই কয়েকমিনিটের ভেতর বিদ্যুৎ চালু হয়ে যাবে।
কোন লোক এলো না, মই নিয়ে, কেমনে চালু হল?
কারন বিদ্যুৎ মিটারটি এনবি বা এল্টি-আইওটি কেপেবল। ধরেন নিউজার্সিতে মিটার, মিটারের ভেতর থেকেই লাইন অন করে দেয়া হয়েছে হাজার মাইল দূরে লসএঞ্জেলসের হেড অফিস থেকে। বিলও দেখছে তারা।

ন্যারো ব্যান্ড ইন্টারনেট অব থিংস (এনবি-আইওটি) এক ধরনের অত্যাধুনিক রিমোট যোগাযোগ প্রযুক্তি;
অফিসে বসেই তার বিহীন রাস্তার বাতি নেভানো/জালানো থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ গ্যাস, পানি মিটার।
দুরবর্তি বন্যা নিয়ন্ত্রন গেইটের সাটার বন্ধ করা, দুর্গম এলাকার পাওয়ার গ্রিড লাইনের সার্কিট ব্রেকার নিয়ন্ত্রন, জরুরি অবস্থায় গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইনের ভাল্ব বন্ধ করা। হাইওয়ে টোল নিয়ন্ত্রন, কত কি।
বেসরকারি ব্যাবহার এমনকি ব্যাক্তিগত ব্যাবহারও সম্ভব, কৃষকের ইরিগেশন পাম্প চালু/বন্ধ, বাসার দরজা লক, সিকুরিটি ক্যামেরা চালু করা, বাগানের পানি চালু/বন্ধ। ইত্যাদির মতো সারাদেশে কোটি মানুষের জন্য যোগাযোগে সংযোগ নিশ্চিত করবে।

আইনশৃক্ষলা বাহিনী অতি জরুরি অবস্থায় এলাকা ভিত্তিক ইন্টারনেট বা এলাকা ভিত্তিক মোবাইল নেটওয়ার্ক , মোবাইল কম্পানীগুলো গরিমসি করে বন্ধ করতে দেরি করলে নিজেরাই তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দিতে পারবে।

বাংলাদেশে সাধারন আইওটি ব্যাবহার আগেও ছিল, তবে ব্যায়বহুল নিজস্য তারের নেটওয়ার্ক তৈরি করে এটিএম মেশিন নিয়ন্ত্রন, রেলওয়ের সিগনেল ও রিমোট রেল সান্টিং ইত্যাদি নিজস্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এখনো চলছে।

আরো কিছু ইন্টার্নেট ভিত্তিক আইওটি বিচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিচ্ছিল। ফ্লোরা আইওটি নেটওয়ার্ক ব্যাবহার ছিল। তবে আই ট্রিপল ই মনোনীত নয় বলে সেটা খুব চলেনি।

তাজরিন ও রানাপ্লাজা বিপর্যয়, এরপর আরএমজি সেক্টরে পরবর্তি মন্দা সামাল দিতে ২০১৭ সালে রবি অবস্য একটি তারবিহীন মানসম্পন্ন আইওটি নেটওয়ার্ক চালু করেছিল, (এনবি-আইওটি না) শুধু পোশাক শিল্পে বিদেশী বায়ার/ম্যানুফ্যাকচারার দের জন্য। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক স্টার্ট-আপ কোম্পানি ‘এনসিংগা’র সাথে যৌথ রবি। এর ফলে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত তৈরি পোশাক শিল্পে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ (আইওটি)-ভিত্তিক স্মার্ট-ফ্যাক্টরি সল্যুশন চালু হয়েছিলো।
এনসিংগা’র নেক্সট জেনারেশন স্মার্ট-ফ্যাক্টরি শপ-ফ্লোর সল্যুশন’র (এনফ্যাক্টরি) মাধ্যমে পণ্যের গুণগত দিক বিশ্বমানের হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য সাথে সাথে পেয়ে যান বিদেশী বায়ার/উৎপাদনকারীরা।
'এনফ্যাক্টরি' হচ্ছে শিল্প খাতের জন্য আইওটি-ভিত্তিক সল্যুশন যা পণ্যের মানোন্নয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মিদের কার্যকর তথ্যাবলী প্রদান করে। পাশাপাশি এটি ফ্যাক্টরি প্রডাক্সন ফ্লোরের তাৎক্ষণিত তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডিজিটাল ভার্চুয়াল বেল্ট সৃষ্টি করে পণ্যের ত্রুটিগুলো সারিয়ে তুলতে সহায়ক হয়। এভাবে উৎপাদনের সকল পর্যায়ে সঠিকভাবে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে এই সল্যুশনটি। তবে রবি এই সার্ভিস অন্য সেক্টরে নিতে মাকেটিং চেষ্টা করতে দেখা যায় নি। কাউকে উৎসাহিত করেনি।

তবে এনবি-আইওটি আরো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিশ্বমানের ও সার্বজনিন।
এছাড়া এনবি-আইওটি অনেক বেশি সহজ ও বিদ্যুত সাশ্রয়ী। নিয়মিত ফোরজি যোগাযোগে যে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হয় এনবি-আইওটি প্রযুক্তিতে এনার্জি লাগে অনেক কম। অর্থাৎ, ইউটিলিটি ব্রেকার সেন্সর ও মিটারে আছে এমন সব রিমোট এলাকায় যেখানে ফোন কল করতেও নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, সেখানেও এনবি-আইওটি খুব সহজেই নিখুত সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করবে।
এর মাধ্যমে ভুগর্ভস্ত সুয়ারেজ নালায় স্থাপিত ওয়াটার মিটার কিংবা ৫ তলা নীচে বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিং সেন্সর যেখানে মোবাইলে কল পর্যন্ত করা যায় না এখন থেকে সেসব কঠিন এলাকার সুইচেও এনবি-আইওটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে।
এছাড়া সিটি কর্পোরেশন বা ফায়ার সার্ভিস আইওটি ক্যাপাবল ডিভাইস বাধ্যতা মুলক করে দিয়ে বহুতল ভবনের অগ্নি নির্বাপন ত্রুটি, অনিরাপদ লিফট চিহ্নিত করতে পারবে, অফিসে বসেই।

এখন প্রশ্ন গ্রামিনফোন কি মুল্যে এই সার্ভিস দিবে।
গলাকাটা দাম রাখলে অন্য প্রভাইডাররা এই সার্ভিস দেয়া শুরু করলে দাম কমে আসবে হয়তো।

সুত্র - উইকিপিডিয়া, বিডিনিউজ২৪ ও বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সাইট থেকে। বাকিটা আমার নিজের লেখা।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! খুব সুন্দর একটি বিষয় আলোচনা করেছে। রিমোট কন্ট্রোলে বহুমুখী সমাধান!!! অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবে সেটি মানুষের নাগালে।+++ তবে এই টেকনোলজিটা আমেরিকা মুলুকে যতটা সাফল্য আনতে পেরেছে। উপমহাদেশের ক্ষেত্রে অপারেটরদের ভূমিকার উপরে বা তাদের পারদর্শিতার উপরে টেকনিকটির সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল বলে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই।
বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হলে সার্বজনিন মেকানাইজেশনের কোন বিকল্প নেই।

রিমোট কন্ট্রোলে বহুমুখী সমাধান অবস্য আগেও ছিল, নিজস্য লাইন নিজস্য অবকাঠামো দিয়ে। যা ঝামেলা পুর্ন ব্যায়বহুল।
NB-IOT নেটওয়ার্ক করা সম্ভব হয়েছে বিদ্যমান মোবাইল টাওয়ার অবকাঠামো ব্যাবহার করেই।
উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কিন্তু সহজ ও টেকসই প্রযুক্তি।
শুধু দেশের বিদ্যুৎ মিটারগুলো আইওটি কেপেবল করা হলে কোটি টাকা বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ হবে।
৫জি পুরোপুরি চালু হলে এটাকে অপগ্রেড করা যাবে এল্টিই-আওটিতে।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: IOT...... insecure passwords..... Mirai....

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ওরে ব বাবা.! ভাইরাস নাকি?

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩০

মা.হাসান বলেছেন: আশেপাশের অনেক না বোধক খবরের মধ্যে একটি ভালো খবর দিলেন, অনেক ধন্যবাদ। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের টেলিযোগাযোগ খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। খরচের ব্যাপারে বলব একটা ডিভাইসে সার্ভিস দিতে যা খরচ ১0000 ডিভাইসে সার্ভিস দিতেও একই খরচ । কাজেই ডিভাইস ব্যবহারকারীর সংখ্যা না বাড়লে খরচ কমানো কঠিন হবে। সরকার যদি প্রাথমিকভাবে ডিভাইস আমদানিতে কিছু শুল্ক ছাড় দেয় তবে তা শিল্পটির জন্য উপকারী হবে।। আমদানি শুল্ক একবারই নেওয়া হয়, কিন্তু ভ্যাট বারেবারে নেয়া হয় । কাজেই দীর্ঘমেয়াদে সরকারের এতে লাভই হবে। ডিভাইসগুলো জনপ্রিয় করতে বাংলায় কিছু এপ্লিকেশন সফটওয়্যার লাগবে। এতে দেশে কিছু কর্মসংস্থান হবে। আমি এটিকে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবেই দেখছি।

আগুন এর ব্যাপারে বলবো, আগুন লাগার ঘটনা গুলো আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব এর কারনে হয় নি। । একটি ফায়ার এলার্ম এর দাম খুব বেশি না। মানুষ সচেতন না হলে সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

ভারতে আমার জানামতে জিও /রিলায়েন্স মোবাইল মুম্বাইতে এই সুবিধা দিচ্ছে। এয়ারটেল ইন্ডিয়া ও LTE-M ব্যবহার করে একই সুবিধা দিচ্ছে।

কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতাই আমাদের দুঃখের কারণ। অন্যান্য দেশের ১০-১২টা স্যাটেলাইট যা করতে পারে আমাদের একটা স্যাটেলাইটই নাকি তার চেয়ে বেশি কাজ করতে পারে । এ কারণেই নাকি ইউএসএ, জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, ভারত আমাদের স্যাটেলাইটটির সব সক্ষমতা ২০৪১ সাল পর্যন্ত বুক করে রেখেছে। না হলে আমরা কিন্ত স্যাটেলাইট দিয়েই ঐ সমস্ত সুবিধা দিতে পারতাম। খুব জরুরী হয়ে পড়েছেদ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ।

পুনশ্চঃ হাবিব স্যার পান্তা ভাত নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। আপনাকে পোস্টটিতে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
লাইকটি কিন্তু আন্তরিক ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন।
একটা ডিভাইসে সার্ভিস দিতে যা খরচ, হাজার ডিভাইসে সার্ভিস দিতেও একই খরচ ।
কাজেই ডিভাইস ব্যবহারকারীর সংখ্যা না বাড়লে খরচ কমানো কঠিন হবে।
ব্যাবহারকারি বাড়বে, আমি আশাবাদি।

আইওটি ভিত্তিক ডিভাইস আমদানিতে অবস্যই শুল্ক ছাড় দেয়া উচিত।
শুধু শুল্ক ছাড় কেন, পুরো ডিভাইস (আইওটি কেপেবল বিদ্যুৎ মিটার) ফ্রীতে দিলেও প্রতি মাসে সরকারের বিদ্যুৎ খাতে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

ডিভাইসগুলো জনপ্রিয় করতে বাংলায় কিছু এপ্লিকেশন সফটওয়্যার লাগবে। এতে দেশে কিছু কর্মসংস্থান হবে।
আপনি হয়তো এই লাইনেই আছেন, তাই এটিকে একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবেই দেখছেন জেনে ভাল লাগছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্যাটেলাইট একটা মামুলি জিনিস।
মুলত কাম টিভি ব্রডকাষ্টিং, আগে যেটা উচু টাওয়ারের মাধ্যমে হতো।
ভারতের ৮৩টা থাইল্যান্ডের ১০-১২টা। বাংলাদেশের একটা মাত্র।
এইডার দুক্ষে যারা ভাতখাওয়া বন্ধ করে দিছে এরা বেকুব।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না।
ভালোভাবে জানতে হবে। ভালভাবে বুঝতে হবে।

আগামি দশক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের দশক।
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা, আইডিবি সহ মোটামুটি সকলেই আগামি দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে শুধু ইতিবাচকই না চাঞ্চল্যকর সম্ভাবনার কথা বলছে!
গত ১০ বছর বাংলাদেশ একটানা ৬% এর উপর গ্রোথ দেসজ উৎপাদনে।
ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ও এইচএসবিসি (ব্যাঙ্ক) গ্লোবাল রিসার্চের হালনাগাদ একটি প্রতিবেদনে জানা যায় আগামী দশ বছর এই গতিতেই চলবে বংলাদেশ। আগামী ২০ বছর প্রবৃদ্ধি একটানা ৭ এর উপর থাকার জোরালো সম্ভাবনা। এর ফলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম বড় অর্থনীতির দেশ, এখন যে অবস্থানে আছে ইওরোপের অস্ট্রিয়া।

এই সম্ভবনা জানার জন্য বিদেশি তথ্য, তত্ব, উৎসের দরকার নেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের দিকে একটু নজর দিলেই পরিস্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব।

পদ্মা সেতু, ও তাতে রেল সংযোগ। (৫০% সমাপ্ত)

পায়রা ও মংলা বন্দর রেলওয়ে কানেক্সান (৫০% সমাপ্ত)

ঢাকায় মেট্ররেল। (৫০% সমাপ্ত)

রেলের গতি দ্বীগুন করতে রেলওয়ে লাইন সংস্কার (এখনো শুরু হয় নি)

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর (৪০% সমাপ্ত)

মাতারবাড়ি, বাঁশখালী, রামপাল, ৩ টি বৃহদকার কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। (৫০% সমাপ্ত)

রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। (৩০% সমাপ্ত)

ভারত ও ভুটান থেকে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পিক আওয়ারে গ্রিডে কানেক্টেড। (১০০% সমাপ্ত)

পাওয়ার গ্রীড লিমিটেডের নেশানওয়াইড টেকশই ট্রান্সমিশন লাইন। (১০০% সমাপ্ত)

এলএনজি টার্মিনাল ও এই টার্মিনালের সাথে জাতীয় গ্যাস গ্রীডের সংযোগ। (৯৫% সমাপ্ত)

ভিন্ন পথ দিয়ে এনে ২য় সাবমেরিন কেবল চালু, এছাড়াও স্থলপথে ভায়া ভারত দুই অংশ দিয়ে নেট কানেক্টেড। আকাশে নিজস্য

স্যাটেলাইট নিয়ে সবমিলিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে দারুন টেকশই ভাবে নেট কানেক্টেড। (১০০% সমাপ্ত)

১০০ টি ইপিজেড মানে ১০০টি নতুন বিশেষ ইকোনমিক জোন! (৪৫% সমাপ্ত)

আর আছে ডেমোগ্র্যাফিক ডেভিডেন্ট দক্ষ ও আধাদক্ষ বিশাল ১০০ ভাগ রেডি একটি জনশক্তি + শেখ হাসিনা

দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দিতে আর কি লাগে?

আইওটি প্রভাইডাররা তো এই মোক্ষম বাজারে আসবেই।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আস্লামুআলাইকুম নকিব ভাই। কেমন আছেন ভাই?
ভাল লাগলো আপনার দেখা পেয়ে।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দেশের জন্য একটি সুখবর ।
আমিও এটিকে দেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবেই দেখছি।
তবে এর প্রয়োগে যথেস্ট সচেতন ও যথাযথ টেকনিক্যাল সাপোর্ট বজায় রাখা প্রয়োজন হবে ।
শভেচ্ছা রইল

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই।
সত্যই একটি সম্ভাবনাময় যোগাযোগ কাঠামো। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারি মালিকপক্ষ ফ্যাক্টরিতে না যেয়েও সবকিছু নখদর্পনে থাকবে।
পরক্ষভাবে বিভিন্ন সাপোর্টিং প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে, কর্মসংস্থান হবে।
অলস দুর্নিতিবাজ মিটার রিডারদের পাহাড়প্রমান দুর্নিতি সম্পুর্ন বন্ধ হবে।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভাইরাসই বটে B-))
এটার সোর্সকোড ওপেন হওয়ার পর আইওটি জগতে তোলপাড় হয়ে যায়.......

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! জিপি মনে হচ্ছে মহৎ কিছুই করে ফেলেছে ইন্টারনেট অফ থিংকস এর জগতে। এখন এটাই দেখার অপেক্ষা জিপি কী কী সেবা দিতে পারে।
বিদেশের মিটার থেকে পাশের বাসায় বিদ্যুৎ বেচাও যায়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জিপি মহৎ কিছুই করে নি।
জিপিরা কখনো মহৎ কিছু করে না। এরা আন্তর্জাতিক কর্পোরেট মুনাফাখোর। যা করে লাভের জন্যই করে।

অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘণ বসতির দেশ।
সেটাই জিপির জন্য হয়েছে পোয়াবারো।
উদিয়মান অর্থনীতির দেশে একসাথে একই ভাষাভাসি এত মানুষ মানে বিশাল মার্কেট।
নতুন ব্যাবসা স্থাপনে এত বাধা। জমি পাওয়া, যানজট ট্রান্সপোর্টেশন, ঢিলা বুরোক্রেসি, স্থাপনা তৈরি জটিলতা, ইউটিলিটি কানেক্সন অনেক ডিলে হয়। ডুইং বিজনেস অনেক কঠিন। এরপরেও অর্থনীতি থেমে নেই।

আমরা যতই বলি ভাংগাচোরা দেশ, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান দেশজ উৎপাদনের ভিত্তিতে ২৭৫ দেশের ভেতর বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির ৪২তম বৃহৎ দেশ।
যা একসময় ২০০ নিচে ছিল।
ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ও এইচএসবিসি (ব্যাঙ্ক) গ্লোবাল রিসার্চের হালনাগাদ একটি প্রতিবেদনে জানা যায় এই গতিতেই চলবে বংলাদেশ। আগামী ২০ বছর প্রবৃদ্ধি একটানা ৭ এর উপর থাকার জোরালো সম্ভাবনা। এর ফলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম বড় অর্থনীতির দেশ, এখন যে অবস্থানে আছে ইওরোপের অস্ট্রিয়া। মোটামোটি টেকশই ভাবে টিকে যাবে আরো দশ বছর।
জিপিরা এসব জানে, তাই মুনাফা প্রবাহ ঠিক রাখতে যা যা দরকার তাই করছে।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

পুলক ঢালী বলেছেন: এই সিস্টেম আমি আমেরিকায় দেখলেও বুঝতে পারতাম না। আপনার লেখা থেকে বিষয়টি খোলাসা হলো। NB-IOT সেন্সরযুক্ত ডিভাইসের দাম কেমন হবে তার উপর নির্ভর করবে ব্যাক্তিগত ব্যবহার। আরেকটা বিষয় হল ওদেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমাজের প্রতি যে দায়বদ্ধতা দেখা যায় তা আমাদের দেশে নেই ফলে এর অপব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না (কিছু অপহরন সন্দেহ জনক) উন্নত প্রযুক্তি আসবেই তবে তা গ্রহন করার জন্য আমরা যথেষ্ঠ উন্নত কিনা ভাবা দরকার তাই সীমিত পর্যায়ে তা উন্মুক্ত করে ফলাফল যাচাই করে পরবর্তী ধাপে আগানো দরকার বলে মনে করি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.