নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাই বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করুন

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:২১


সবাই বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করুন

পৃথিবীর কোন জাতি পৃথিবীর কোন দেশ তার ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করে না।

প্রত্যেক বাঙালীর উচিত বাঙলা নববর্ষের উৎসবে আনন্দে অংশগ্রহন করা।
এটি পার্বন প্রিয় বাঙালীর নিজস্ব সংস্কৃতি।
প্রতিটি জাতীরই একটা নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার থাকে! এটা তাদের জাতীয়তার প্রতিক! আর আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিজয় এই ভিত্তিতেই হয়েছিলো! বাঙ্গালি জাতীয়তা বাদের ভিত্তিতে!
সুতরাং পহেলা বৈশাখ আমাদের বাঙালীয়ানার প্রতিক, বাঙালিয়ানার ঐতিহ্য ধারণ করে!

মালয়, ইন্দো, চীন, জাপানিজ, কোরিয়ান, ল্যাটিন আমেরিকা, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ! প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বিপপুঞ্জ
এই ধরণীর কোথাও কেউ দেখাতে পারবে না ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করতে!
ইরানীরাও খ্রীষ্টপূর্ব ১২০০ শতাব্দীর প্রাচীন জরথুস্ত্র পৌত্তলিক আমলের নিজস্য নববর্ষ 'নওরোজ' খোমেনি রাজ আসার পরও বাতিল করে নি। ইরানে এখনো রাষ্ট্রিয় ভাবে পালিত হয়। প্রাচীন পারস্যের জাতীয় ধর্ম জরথুস্ত্র, যা মূলত বর্তমানে আধুনিক ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের জরথুস্ত্রীয় সম্প্রদায় কর্তৃক নওরোজ পালিত হয়। ইরাক, তুর্কির কুর্দি জনবহুল অঞ্চল, লেবানন, সিরিয়া সহ বিস্তীর্ণ আরব এলাকায় নওরোজ কিছুটা ভিন্নভাবে হলেও যেভাবেই হোক পালিত হয়।

ভারতের পশ্চিমবাংলা ছাড়া অন্যান্ন এলাকায়ও বাংলা মাসের মত এপ্রিলের মাঝামাঝি ফসলি নববর্ষ পালিত হয়।
আমাদের পাশের দেশ বার্মা (মায়ানমার) ওদের নববর্ষ থিংগিয়ান (Thingyan) আমাদের মতই ১৩ থেকে ১৭ই এপ্রিল যে কোন একটি দিনে বা ৫ দিন ব্যাপি হয়।
পাকিস্তানের শিন্ধু ও পাঞ্জাবেও এপ্রিলের মাঝামাঝি তারিখে নববর্ষ তথা ফসল কাটা নিয়ে সাংস্কৃতিক উৎসব পালিত হয়।

কারণ টা স্পষ্ট, সেখানে ধর্মের সাথে জাতি, জাতীয়তা সংস্কৃতির কোনোও বিরোধ নেই!
নিজ জন্মভূমি, নিজ দেশ, নিজ জাতি সত্তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতকরা পরিপূর্ণ মানুষ না।
মানুষ না হলে ধার্মিক হওয়ার সুযোগ নেই।
নৃ-তাত্বিক, জাতীয়তার সাথে ধর্মের বিশ্বাস নিয়ে অশিক্ষিত মোল্লাদের কথায় যারা গুবলেট পাকায় তাদের কাঠ বলদ ছাড়া কি বলা যায়।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:১৮

আমি নই বলেছেন: ভাই, ছোট বেলায় নববর্ষ নিয়ে কোনো ক্যাচাল দেখি নাই এইটা সত্য, যেহেতু নওরোজ এর কথা বললেন তাই জাষ্ট জানতে মন চায় এখন থেকে ১০০০-১৫০০ বছর পুর্বে আমাদের পুর্বপুরুষ কি নববর্ষ পালন করতেন? করলে তারা কেমন ভাবে করতেন?

যদি সত্যি নৃ-তাত্বিক জাতীসত্বার কথাই বলি তাহলে আমার মনে হয় আমাদের পুর্বপুরুষরা (১০০০-১৫০০ বছর পুর্বে বা আরো পুর্বে) যা করতেন সেটাই করা উচিত এবং নিজেরা নিজেদের মত করে কোনো কিছু এ্যড করে হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে চালানো কেও নিজ জন্মভূমি, নিজ দেশ, নিজ জাতি সত্তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতকা বলেই বিবেচনা করি।

আমার মনে হয় নববর্ষের সাথে ধর্মকে মিশিয়ে ফেলার জন্য অশিক্ষিত মোল্লাদের চাইতে হিন্দুদের অবদান বেশি, কারন তারা পহেলা বৈশাখকে আমাদের মত আনন্দ ভাগাভাগীর চাইতে মুলত পুজা-পার্বনই বেশি করে। পহেলা বৈশাখে প্রতিটা হিন্দু বাড়ীতেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় আর এটাই আপনার ভাষায় অশিক্ষিত মোল্লারা তুলে ধরার চেষ্টা করে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি কি বলছেন? বুঝে বলছেন তো।
নিজেরা নিজেদের মত করে কোনো কিছু এ্যড করলে আপনার সমস্যা কি?

মানবকুল প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে নিজেরা নিজেদের প্রয়জনে করে এ্যড করে চলেছে।
নবীর আমলে মানুষ খেজুর পাতায় ঘুমাতো, এখন এড করে তোষক পেতে ঘুমায়। এখন আপনি বলবেন তোষকে ঘুমানো যাবে না, খাজুর পাতায় ঘুমানো সুন্নত।

আল্লাহ আদম ও হাওয়া বিবিকে দিগম্বর অবস্থায় পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল। ইতিহাসে মানবকুল বেশিরিভাগ সময় দিগম্বর অবস্থায় কাটিয়েছে। মানুষ কাপড় বোনা শিখছে মাত্র ৯ হাজার বছর আগে। নবী (স) প্রথম যুগে মানুষ যে পোষাক পরতো ইসলাম প্রতিষ্ঠার পরও একই পোশাক পরিধান করে গেছে। মক্কা বিজয়ের পরও পরাজিত মক্কাবাসিকে পোশাক পরিবর্তন করতে বলা হয় নি। ইসলাম কখনো পোশাক নির্ভর ছিলনা।
এখন শুনি টুপি পাঞ্জাবী নাকি সুন্নতি পোশাক! অতচ পাঞ্জাবী আদী ভারত উপমহাদেশীয় একটি পোশাক।

১০০০-১৫০০ বছর পুর্বে আমাদের পুর্বপুরুষ কি নববর্ষ পালন করতেন?
অবস্যই করতেন। ফসল তোলা উৎসব থেকেই তো নববর্ষের সুচনা, আবহাওয়া প্রকৃতি অনুযায়ী মাস ও ঋতুর নাম আসলো।
মানবকুল প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে নিজেরা নিজেদের মত করে এ্যড করে চলেছে। এখনো চলছে। চলবেই।

সনাতনিরা পহেলা বৈশাখকে পুজা-পার্বন করলে আপনার সমস্যা কি। আপনাকে কেউ করতে বলছে না, বাধ্য করছে না। আপনার সমস্যা কি?

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@আমি নই,

১ লা বৈশাখ আমাদের নববর্ষ; যদি কোন হিন্দু পুজা করে, করুক; কোন মুসমান এই উপলক্ষ্যে মিলাদ করলে করুক; বউ যদি স্বামীর সাথে জিং জিং করতে চায় করুক; আপনি নফল নামাজ পড়েন, কেহ মানা করবে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সালাম ... বস। গুড জব।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল মান্যবরেষু,

ছোট্ট পোষ্টের মাধ্যমে সুন্দর একটি বার্তা দিয়েছেন। ঠিকইতো আমরা বাঙালি, নববর্ষে এটাই আমাদের প্রধান পরিচয়। আমরা যে যার মতো সুন্দর ভাবে নতুন বছরকে অভ্যর্থনা জানাই। বাঙালি মেতে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনাবিল আনন্দে।
আপনি ও আপনার গোটা পরিবারের জন্য রইল নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

কিছু কবি নামধারি সুশীল পন্ডিত আছে যারা সবসময় আত্মপ্রকাশ করে না!
বিশেষ বিশেষ দিনে এদের ল্যাঞ্জা বেরিয়ে পড়ে!
যেমন আজকে পহেলা বৈশাখ নিয়ে বলবে -

"একদিনের জন্য বাঙ্গালি হয়ে লাভ কি? আমি একদিনের জন্য বাঙ্গালি সাজতে পারবো না!"
"হাজার টাকার পান্তা ইলিশ না খেয়ে গরীব কে টাকাটা দিলে কত না উপকার হতো! এইসব না করলে হয় না"?
যুক্তি সুন্দর, এতে সবারই সম্মতি থাকার কথা!
কিন্তু এদের মুল বক্তব্য একটাই -- "পহেলা বৈশাখ কে না বলুন!" ডাইরেক্ট না তো বলা যায় না।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




মানুষ না হলে ধার্মিক হওয়ার সুযোগ নেই।
পৃথিবীর কোন জাতি পৃথিবীর কোন দেশ তার ধর্মের কারণে নিজ জাতি সত্তা, জাতীয়তাকে অস্বীকার করে না।

সবার জন্যে চাঁদগাজী র মন্তব্যটিই মোক্ষম।
শুভ নববর্ষ.........................

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ জিএস ভাই। মোক্ষম জবাব!

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২৬

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

নাহিদ০৯ বলেছেন: আমার বাড়ির সামনে বৈশাখ উপলক্ষে সরকারী অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল হয়েছে। সকালে ডিজে রিমিক্স বৈশাখী বাংলা গান দিয়ে শুরু হয়েছে, এর পরে বাংলা ছায়াছবি গান, টলিউড বাংলা গান হয়ে এখন বিচ্ছিরি শব্দ করে তামিল রিমিক্স গান হচ্ছে৷ গানের লিরিক্স বোঝা যাচ্ছেনা আলাদা করে, তবে অশ্লীল আওয়াজ হচ্ছে মিউজিক এর মধ্যে মধ্যে।

নেতারা সব পিকনিকে গেছে। বক্তব্য দেওয়ার কেউ নাই দেখে আপাতত শুধু গান বাজিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ নববর্ষ। বছরটা সিম্পল এর মধ্যে গর্জিয়াস কাটুক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - গুড।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নতুন বছরের প্রতিটি দিন হোক সুখময়।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা... আমি কোন উৎসবে অংশগ্রহণ করিনি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২০০১ এ রমনা বটমূলে বোমা হামলা, এর আগে উদিচি অনুষ্ঠানে ও কমুনিষ্ট পার্টির জনসভায়। এইসব একের পর এক ভয়াবহ বোমাহামলা করে ভেবেছিলো ভয়ে আর কেউ পহেলা বৈশাখে ঘর থেকে বের হবে না ।

কিন্তু সাহসি বাঙালি মৌলবাদিদের বোমাহামলার পরও পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ বা তার আদী সংস্কৃতি ছাড়েনি।
এমনকি বোমা হামলার পর সেইদিনেও রাজপথ ত্যাগ করেনি। হামলাকারিদের বুড়ো আংগুল দেখিয়ে সব পালন করেছে। ভয়ে পিছিয়ে যায় নি।
এরপরের বছর থেকে শুরু হল ভিড়ের ভেতর নির্বিচারে যৌন হামলা চালানো। কিন্তু কাজ হচ্ছে না
২০১৫ থেকে শুরু হলো যৌন হামলা + ভিডিও ধারন। এরপর আপলোড, ভাইরাল, হলুদআলো সহ মিডিয়াগুলোকে উষ্কে দেয়া হলো। এবার যাবি কই?
এরপরও বেহায়া বাঙালি থামে না, থামছে না

তাই এ বছর থেকে হুজুরেরা গাঝাড়া দিয়ে সরাসরি ঈমানযুদ্ধে নামলেন।
ওয়াজে .. ওয়াজে .. জুম্মার খোদবায় ...
কিতাবে লেখা না থাকলেও ফতোয়া দিলেন, ফতোয়া বানাতে তো পয়শা লাগে না।
ঘোষনা দেয়া হল। পহেলা বৈশাখ হারাম।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৩

আমি নই বলেছেন: ভাই আমি যা বলেছি তা মোটামুটি বুঝেই বলেছি।

নিজেরা নিজেদের মত করে কোনো কিছু এ্যড করলে আপনার সমস্যা কি?
ভাই আমি আমার মন্তব্যর কোথাও কিন্তু নতুন কিছু এ্যড করার বিরোধীতা করিনি, নতুন নতুন বিষয় যেকোনো জাতিকে সমৃদ্ধ করবে এটাই স্বাভাবিক। আমি বলতে চেয়েছি আমরা যদি কোনো একটা বিষয় গতকালকেই এ্যড করে ঘোসনা দেই এটাই আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সেটা কি স্বাভাবিক? আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় নি, তাই বলেছি। নির্দিশ্টভাবে বললে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বা মংগল শোভাযাত্রার মত কর্মকান্ডের মাঝে আমি আমার নৃ-তাত্বিক ঐতিহ্য খুজে পাইনি আবার বাংগালী হিসেবে ঐ সকল কর্মকান্ডের মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশের বিরোধিতাও করিনা। আনন্দ প্রকাশ এবং নৃ-তাত্বিক ঐতিহ্যর মাঝে নিশ্চয় তফাত আছে, এই একটা সিম্পল বিষয়ে প্রতিউত্তর করতে আপনি ধান ভানতে শীবের গীত গাইলেন।

অবস্যই করতেন। ফসল তোলা উৎসব থেকেই তো নববর্ষের সুচনা, আবহাওয়া প্রকৃতি অনুযায়ী মাস ও ঋতুর নাম আসলো।
মানবকুল প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে নিজেরা নিজেদের মত করে এ্যড করে চলেছে। এখনো চলছে। চলবেই।

জী এটাতেও আমার কোনো আপত্তী নেই, আমি জাস্ট বলতে চেয়েছি হাজার বছর আগে যেটা করা হত সেটাকেই হাজার বছরের ঐতিহ্য বলা উচিত, এবং সেটাই করা উচিত, তাহলেই বরং আমাদের নৃ-তাত্বিক ঐতিহ্য বজায় থাকবে। প্রাগৈতিহাসিক যুগকেই তো প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা উচিত নাকি আপনি আপনার ইচ্ছে হল আর ১৮০০ সালকেই প্রাগৈতিহাসিক বানিয়ে দিবেন?

সনাতনিরা পহেলা বৈশাখকে পুজা-পার্বন করলে আপনার সমস্যা কি। আপনাকে কেউ করতে বলছে না, বাধ্য করছে না। আপনার সমস্যা কি?

আমার কথাও তো এটাই, শুধু এঙ্গেলটা আলাদা। যদি হিন্দুরা বা অন্য যে কেউ পহেলা বৈশাখকে তাদের ধর্মীয় উতসব হিসেবে পালন করতে পারে এবং কোনো ইস্যু না হয় তাহলে মোল্লারাও তো সমান সুযোগ পাওয়া উচিত, তাই নয় কি? হিন্দুরা বা অন্যরা তাদের ধর্মের বিধান থেকে যদি পহেলা বৈশাখে পুজা পার্বন করে তাতে কোনোই সমসা নাই (তখন ধর্মের গুবলেটও হয় না) কিন্তু কোনো মুসলিম যদি তাদের ধর্মের বিধান থেকে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বা মংগল শোভাযাত্রার মত কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে তাতেই আপনাদের নৃ-তাত্বিক, জাতীয়তায় সমস্যা শুরু হয়ে যায়? স্ট্রেইট কথা হল হিন্দুরা বা অন্যরা পহেলা বৈশাখের সাথে ধর্ম গুবলেট পাকালে কোনোও সমস্যা নেই কিন্তু মোল্লারা পাকালেই প্রব্লেম স্টার্ট। আপনার সমস্যা কোথায়?

চাঁদগাজী বলেছেন:
@আমি নই,

১ লা বৈশাখ আমাদের নববর্ষ; যদি কোন হিন্দু পুজা করে, করুক; কোন মুসমান এই উপলক্ষ্যে মিলাদ করলে করুক; বউ যদি স্বামীর সাথে জিং জিং করতে চায় করুক; আপনি নফল নামাজ পড়েন, কেহ মানা করবে না।


আরে ভাই আমারো তো সেইম কথা, মোল্লারা নিষেধ করতেছে করুক না মানলে মানেন না মানলে যার সাথে পারেন জিং জিং করেন, আপনাকে কে বাদ্ধ করেছে মানতে? আপনি কেন এত কথা বলবেন ওদের নিয়ে, আর যদি বলতেই হয় তাইলে সবাইকে নিয়ে বলেন, কেন শুধুই মোল্লারা?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোনো মুসলিম যদি তাদের ধর্মের বিধান থেকে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বা মংগল শোভাযাত্রার মত কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে

এত মুসলিম মুসলিম করেন কেন? আপনি কি আমাদেরকে অলরেডি মুসলিম থেকে খারিজ করে দিয়েছেন?
ধর্মের কোন বিধানে লেখা আছে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, পাঞ্জাবী পড়া বা মংগল শোভাযাত্রা করা হারাম?

হিন্দুরা বা অন্যরা পহেলা বৈশাখের সাথে ধর্ম গুবলেট পাকালো কোথায়?
কিছু হিন্দু হয়তো পহেলা বৈশাখে এবাদত একটু বেশী করে, মোসলমানরাও করে। যেমন ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে বায়তুল মোকারমে শহিদদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিশেষ দিনে বা যে কোন দিনে যে কেউ যা ইচ্ছা করতে পারে, আপনি না করার কে।
আপনি ঐ দিন নফল নামাজ পড়েন, কে মানা করছে। হিন্দু রাও কিছুই বলবে না।

কোন সাপোর্টিং আয়াত ছাড়া কোনকিছুকে হারাম ঘোষনা করা স্পষ্টতোই ধর্ম অবমাননা।
এদেরকে জুতাপেটা করে আইনের কাছে সোপর্দ করা উচিত।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

আমি নই বলেছেন: আজব তো!!!! আপনি এতো এগ্রেসিভ হচ্ছেন কেন? আমি আপনাকে/আপনাদেরকে মুসলিম থেকে খারিজ করার কে?

কিছু হিন্দু হয়তো পহেলা বৈশাখে এবাদত একটু বেশী করে
জী না.. কিছু সংখক না... বাংলাদেশে এর পরিমান শতকরা ৯০ এর নিচে হবে না। ভারতীয় বাংগালিদের মাঝে ১০০%ও হতে পারে।

বিশেষ দিনে বা যে কোন দিনে যে কেউ যা ইচ্ছা করতে পারে, আপনি না করার কে?
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আপনি আপনার যা ইচ্ছা করতে পারেন না, কিছু বিধিনিষেধ মানতেই হবে।
আমি একজন মুসলমান হিসেবে অন্য একজন মুসলমানকে পরামর্শ দিতেই পারি, সেটা মানা কিংবা না মানার বিষয়টা সম্পুর্ন তার ব্যাক্তিগত বিষয়। আর মোল্লারাতো মুসলমানদেরকেই নিষেধ করতেছেন, তারা তো আর অন্যধর্মের অনুসারীদের নিষেধ করতেছেনা (উগ্রপন্থী/জংগিদের কথা আলাদা, ওরা নরকের কিট)। তাহলে সমস্যা কোথায়? না কি মৌলভীদের মুসলমানদেরকেও পরামর্শ দেয়ার অধিকার নেই?

আপনি ঐ দিন নফল নামাজ পড়েন, কে মানা করছে। হিন্দু রাও কিছুই বলবে না।
হিন্দুরা অলরেডি বলে, এই সামুতেও কোরবানী নিয়ে অনেক সমালোচোনা মুলক পোষ্ট আছে যেখানে হিন্দু বন্ধুরা তাদের ধর্মীয় দৃষ্টি ভংগী থেকে গরু কোরবানি করতে নিষেধ/অনুরোধ করে থাকেন, সেটা কি বিশাল বড় কোনো সমস্যা? তাদের দৃষ্টি ভংগী থেকে তারা মানা করতেই পারে, এখন কি আপনি ওদের সাথে ঝগরা শুরু করবেন যে, তুই মানা করার কে? যেটা করতেছেন মোল্লাদের সাথে।

ধর্ম বিষয়ে আমার নীতি হল "আদা খাবে যে ঝাল বুঝবে সে"।

হিন্দুদের কথাও জাষ্ট উদাহরন হিসেবেই বলেছিলাম (আমি ব্যক্তিগত ভাবে সকল ধর্মকেই সম্মান করি), আপনি নিশ্চই জানেন যে হিন্দুরা আমাদের মত ১৪ এপ্রিলকে ১লা বৈশাখ হিসেবে মানেই না (বাংলাদেশের হিন্দুরা বাদ্ধ হয়ে আনন্দ উত্সব আমাদের সাথে করলেও তাদের নববর্ষ তারা পরের দিনই পালন করে, আর ভারতে ১৫ তারিখেই লক্ষ্মী-গণেশ পুজো দিয়ে নববর্ষ পালন করা হয়) তারা ধর্মীয় কারনে পরেরদিন ১লা বৈশাখ পালন করে। কই এই ব্যাপারে আপনারাতো কোনো কথা বলেন না?

হিন্দুরা বা অন্যরা পহেলা বৈশাখের সাথে ধর্ম গুবলেট পাকালো কোথায়?
বাংগালী এবং খুব কাছাকাছি টাইমজোনের হওয়া সত্তেও শুধুমাত্র ধর্মীয় কারনে একদিন পর ১লা বৈশাখ পালন করলেও ধর্ম গুবলেট পাকায়না?

কোন সাপোর্টিং আয়াত ছাড়া কোনকিছুকে হারাম ঘোষনা করা স্পষ্টতোই ধর্ম অবমাননা।
একমত......

আমি মুলত আমাদের, বাংগালীর ঐতিহ্যর বিষয়ে দ্বীমত পোষন করে মন্তব্য করেছিলাম, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আপনি ঠেলে, গুতিয়ে ধর্মীয় বিষয়টাকেই মুল বিষয় বানিয়ে ফেললেন।

যাইহোক, ১লা বৈশাখ যদি দুনিয়ার সকল বাংগালীর সার্বজনিন উতসবই হয়ে থাকে তাহলেতো সবাই একই দিনে, একই ভাবেই পালন করা উচিত, তাই নয় কি? মোল্লাদের উপর আজাইরা চোটপাট না দেখিয়ে ক্ষমতা থাকলে নববর্ষ উতযাপনে বিশ্বের সকল বাংগালিকে একই প্লাটফর্মে আনেন। ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে আমাদের পুর্বপুরুষরা যেভাবে নববর্ষ পালন করতো সেটা গবেষনা করে খুজে বের করেন, তারপর একই দিনে সকল বাংগালী মিলে উতযাপনের উদ্যোগ নেন। তাহলেই আপনার পোস্টের যথার্ততা প্রমান হবে।

ভালো থাকবেন।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।
চৈত্র মাসের শেষে বৈশাখের আগমনে সকল বাঙ্গালির হিয়ায় ঝংকার দিয়ে উঠে নববর্ষের আগমনী বার্তা। বাঙ্গালির প্রাণের স্পন্দন থেকে সৃষ্ট এই উৎসব কালের আবর্তে বাঙ্গালি জাতির গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় স্থান করে নিয়েছে। এক সময় আনেকেই পহেলা বৈশাখ উৎসবকে শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব বলে মনে করত। কিন্তু কালক্রমায় এখন তা তা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলিম সকল বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। ইদানিং দেখা যায় কিছু মানুষ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক পহেলা বৈশাখকে অস্বীকার করে আসছে। আজ এটা অস্বিকার করার উপায় নাই যে কয়টি সর্বজনীন উৎসবের মাঝে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে, এর অন্যতম হলো পহেলা বৈশাখ। এর রূপ-রস-ছন্দে বাঙালি জীবন যেন নব থেকে নবতর হয়ে উঠে। পহেলা বৈশাখ আজ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল পরিচয়কে ছাপিয়ে বাঙালি জীবনের এক অত্যাবশ্যকীয় সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বহুকাল পূর্ব থেকে এই উৎসবে বাঙালিরা প্রত্যেকে তাদের ঘরে ঘরে পান্তাভাত, খই, মোয়া, হরেক রকম পিঠা ও বাঙ্গালি ঐতিহ্যের বিভিন্ন খাবার রন্ধন করে মহা ধুমধাম এবং জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে লোকজ উৎসব হিসাবে সার্থক করত ।

বছরের প্রথম দিনটি ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে প্রায় সকলের কাছে এক মহা উৎসবের দিন। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক দেশই তাদের নিজ নিজ নববর্ষকে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে বরণ করে নেয়। বাংলাদেশের মানুষও বাংলা সালের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখকে ব্যাপক আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে আসছে সেই আবহমান কাল হতে। বেশাখী উদযাপন একটা সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হওয়ার শিক্ষা দেয়। এ প্রেক্ষাপটে বাঙালির যে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে তা ধারণ করে জীর্ণ পুরাতনকে সরিয়ে নতুন সত্তায় জাগ্রত হওয়ার নবজাগরণ ঘটায় ।একটি সুখী সমৃদ্ধ পরিবর্তমান-সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জীর্ণ-পুরাতনকে সরিয়ে নতুন সত্তায় জাগ্রত হওয়ার উৎস সন্ধানের মাধ্যমে সোনালী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় এই পহেলা বৈশাখ।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ এম এ আলী ভাই।
আপনার কমেন্টটা দুবার পড়লাম। দারুন লিখেছেন।

১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: যুক্তিতে হেরে কালবৈশাখীর বায়ু বের হয়ে গেলো

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আশ্চর্য তো! তাহলে আপনিও বিশ্বাস পোষন করেন - "পহেলা বৈশাখ হারাম"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.