নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিনারেল ওয়াটার, জারের পানি, বোতলের পানি সবটাই ওয়াসার পানি

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৭

কিছু মানুষ বেশী লাফায়।

টিআইবি বলেছে ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এতে ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয়।
হ্যা। সেটা বাসায়। যাদের গ্যাস সংযোগ আছে তারা করছেন। কিন্তু বাসার বাহিরে কি খাচ্ছেন?

ওয়াসার পানি ঢাকাবাসিরা না ফুটিয়েও পান করছে। আমি আপনিও খাচ্ছি।
কি অবাক হচ্ছেন?
মিনারেল ওয়াটার নামে বোতলের পানি আসে কোথা থেকে? বা জারের পানি?
মিনারেল ওয়াটার ও জারের পানি সবটাই ওয়াসার পানি। এই পানি মোটেই সিদ্ধ করা পানি নয়।
শুধু বড় একটি ট্যাঙ্কে পানি একদিন রেখে থিতানো হয়। এরপর বোতলে ভরা হয়, কোন ফিল্টারও করা হয় না। দ্রুত থিতানো প্রয়োজন পরলে ট্যাঙ্কে ফিটকারি ব্যাবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফিটকারি লাগে না। কারন পানির কারখানাগুলো ওয়াসার মডস জোনের কাছাকাছি হয় ও ভাল পাইপ দিয়ে সংযোগ নেয়া।

ওয়াসার পানি ১০০% বিশুদ্ধ। কারন ঢাকার পানির স্তর নামতে নামতে এত নীচে গেছে যে সেখানে জীবানু প্রবেশ অসম্ভব।
আধা মাইল পাতালে পাইপ ঢুকিয়ে আনতে হচ্ছে পানি।



দোকানের সরবত লাচ্ছি সবই ওয়াসার পানি, বরফও ১০০% ওয়াসার পানি। লাচ্ছি বা লেবুর সরবতের বরফ সবটাই ওয়াসার পানি। বরফ কলে সরাসরি ওয়াসার পানি, সেখানে থিতানোও হয় না। মাছের বরফ আর সরবতের বরফ কোন তফাত নেই। একই ডাইসে বানানো সব বরফ।
কিন্তু সবাই খাচ্ছে, আমিও ঢাকা গেলে নিউমার্কেটে লাচ্ছি খাই। টিএসসিতে লেবুর সরবত। সবাই খাচ্ছে। ওয়াসার না ফোটানো পানি।
১ টাকায় একগ্লাস জারের পানির নামে সরাসরি ওয়াসার পানিই তো খাচ্ছে।




তবে ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এটা সত্য।
যাদের গ্যাস সংযোগ আছে তারা করেন।
নামমাত্র মুল্যে আনলিমিটেড গ্যাস সুবিধা আছে বলেই করেন।
মুলত ভুগর্ভস্থ রিজারভয়ার ও ওভারহেড ট্যাঙ্ক অপরিচ্ছন্ন থাকায় পানিকে সিদ্ধ করে খেতে হয়।

যাদের গ্যাস সংযোগ নেই, সিলিন্ডার গ্যাস, তারা ফিল্টার ব্যাবহার করেন, বা ফিটকিরি দিয়ে সোধন করেন।
নইলে বোতলের মিনারেল পানি কিনে পান করেন। মিনারেল পানির নামে ওয়াসার পানিই খাচ্ছেন।

যাদের আছে সারা দিন-রাত পানির হাড়ি চুলায়। হাড়ির তলা ফুটা না হওয়া পর্যন্ত! ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয় তো হবেই।
৩৩২ কোটি টাকা অপচয়, ক্ষতিটা কার?
৩৩২ কোটি টাকা গ্রাহক আলাদা করে দিচ্ছে না। মিটার বিহীন সংযোগ হওয়াতে অফুরন্ত অবিরাম চুলা জ্বলাতে এটা রাষ্ট্রের ক্ষতি।



মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এটাতো ওপেন সিক্রেট।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবই ওপেন সিক্রেট।
মিনারেল ওয়াটার ও জারের পানি ফুটানো বিহীন ওয়াসার পানি।
দোকানের সরবত লাচ্ছি সবই ওয়াসার পানি,
বরফও ১০০% ওয়াসার পানি। লাচ্ছি বা লেবুর সরবতের বরফ সবটাই ওয়াসার পানি।
মাছের বরফ আর সরবতের বরফ কোন তফাত নেই। সব ওয়াসার পানি।

সবাই প্রতিদিন খাচ্ছে। এরপরও সবাই বলে যাচ্ছে 'ওয়াসার পানি খাওয়ার অযোগ্য'

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৫

বলেছেন: ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনে করেন, ওয়াসার পানির বিশুদ্ধতা আপেক্ষিক বিষয়।
এই পানি সাধারণ ঢাকাবাসীর জন্য ‘শতভাগ নিরাপদ’,তবে তাঁর মতো‘অসাধারণ লোক’দের জন্য ‘ওয়াক থু!’

--- এটা কেমন কথা ???

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পানির বিশুদ্ধতা শুধু আপেক্ষিক বিষয় নয়। নিজস্য চয়েসও বটে।
কেউ সাধারন পানি খাচ্ছে, কেউ নদির পানি কেউ নলকুপের পানি, কেউ সিদ্ধ করে, কেউ ৩৫ সেন্টের বোতলের পানি,
কেউ ১ ডলারের ব্রান্ডের মিনারেল ওয়াটার, কেউ ১৫০ ডলারের আইসবার্গ ব্রান্ডের। যার যেমন চাহিদা।

পানির বিশুদ্ধতার সঙ্গা টা কি?
ডিষ্টিল ওয়াটার ১০০% বিশুদ্ধ। এই বিশুদ্ধতা কি মানব স্বাস্থ ফ্রেন্ডলি? মোটেই না।
মানবকুল সভ্য হওয়া শুরু করেছে মাত্র ১০ হাজার বছর আগে। যান্ত্রিক হয়েছে মাত্র ২০০ বছর।
অতচ মানুষ-বানর ন্যায় প্রজাতি আকৃতি পাওয়া শুরু আড়াই কোটি বছর আগে, হোমোস্যাপিয়েন্সে পরিনত হল মাত্র ২০ লাখ বছর আগে। এই কোটি বছর মানবকুল জীবানু যুক্ত নদীর পানি, খালের পানি, ঝরনার পানি খেয়েছে। মানব দেহ সেভাবেই সেট হয়ে আছে।

বহুভাবে প্রমানীত হয়েছে যে ডিষ্টিল ওয়াটার নয়। পাহাড়ি ঝরনার পানি সামান্য কাদা ও জীবানুযুক্ত হলেও প্রচন্ডভাবে হিউম্যান ফ্রেন্ডলি।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হায় ঢাকাবাসী!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আবুহেনা ভাই

ঢাকাবাসী ভাল আছে।
একটু খবর নিয়ে দেখেন। আপনার বাসার দারোয়ান, কাজের বুয়া, রাস্তার তরকারি ফেরিওয়ালা।
এই শ্রেণীর লোকেরা সাধারনত একাই ঢাকায় থাকতো, ফ্যামেলী থাকতো গ্রামে।
এখন দেখবেন এরা সবাই ফ্যামেলী নিয়ে থাকে বাসায় ফ্রিজ টিভিও আছে।

ঢাকা এখন আর বসবাসের জন্য যোগ্য নয়। একথা একদমই মানতে পারছিনা।
বসবাসের অযোগ্য হলে ঢাকার বাড়ীওয়ালারা সব ভাতে মরতো। ঢাকা আকর্ষনীয় বলেই বাড়ীওয়ালারা বছর বছর ভাড়া বাড়ায়।
ঘানার ফুটবলার সনি নর্দ, কোলকাতায় ভাল অফার পেয়েও কম টাকায় ঢাকা এসেছিলেন।
সাক্ষাতকারে বলেছেন ঢাকা শহর আমার প্রিয়, তাই আসলাম।
ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হলে উনি কি বলতেন 'আই লাভ ঢাকা'?

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকাবাসী ভালো নেই।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৭

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: খারাপ পানিই খাচ্ছে। কারন ভাল পানিত পাচ্ছে না। আমি একবার টিএসসি তে সরবত খেয়ে মরার অবস্থা। আরেকবার খালি টেপের পানি খেয়ে মরার অবন্থা
নিরাপদ পনির অবশ্যই প্রয়োজন অনেক যায়গায়ত পানিতে ক্যাচু,ময়লা,মূল কথা হলো সধারন ভাবে খাওয়ার অযোগ্য।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"আমি একবার টিএসসি তে সরবত খেয়ে মরার অবস্থা"

আপনার এই কথাটি আমার পোষ্টের সত্যতা ও যথার্ততা প্রমানিত হল।
বরফকলের বরফ মুলত ওয়াসারই পানি দিয়ে তৈরি।
এবং মিনারেল ওয়াটার পানিও মুলত ওয়াসারই পানি।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন । বাস্তব ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।
আমার লেখাকে সমর্থন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদেশের নেতারা মানুষের ক্ষতি হলে তাতে কোন মাথা ব্যাথা নেই তাদের কিন্তু তাদের তো লাভ হচ্ছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: নেতা? এখানে নেতা রাজনীতি কেন?

সবকিছুতে রাজনীতি না টানলে হয় না?

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১০

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। কিন্তু আর যাই বলেন, পানিতে ময়লা বা ঘোলা দেখালে সেটা খাওয়া সম্ভব নয়। কেমন কেমন জানি করে......আমি ফুটাই তারপর ফিল্টার করি, তারপর খাই।
+।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা।
হ্যা। আপনি ফুটিয়ে খান, ঢাকা আসলে আমিও খাই। ঢাকায় ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এটা সত্য।
বাসার কলের পানি ঘোলা থাকতে পারে।

মুলত ভুগর্ভস্থ আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্ক / রিজারভয়ার ও ওভারহেড ট্যাঙ্ক অপরিচ্ছন্ন থাকায় পানিকে সিদ্ধ করে খেতে হয়।
মুল ওয়াসা পাইপ থেকে মিটার, এরপর আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্কে পড়ছে পানি। অনেক এপার্টমেন্টে সেখানে একটি কল থাকে।
কল না থাকলে বালতি দিয়ে ড্রপিং পানি সংগ্রহ।
এই পানি খাচ্ছে নীচতালার ভাড়াটিয়ারা, ফ্ল্যাটের স্টুডেন্ট/ সিংগেল বাসিন্দারা। ফ্ল্যাটের দারোয়ানরা।

ঢাকায় আমাদের বাড়িটা যখন দোতালা ছিল সারাটা জীবন আমরা এই ডাইরেক্ট কলের পানি খেয়ে গেছি।
এখন বাড়িটি বহুতল। নীচে নেমে কে আনবে পানি? যেখানে ফ্রীতে আনলিমিটেড গ্যাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.