নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজব অবশেষে সত্য।

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩১



যা জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেত্রকোণায় শহরের বারহাট্রা রোড এলাকার হরিজন পল্লীতে (মেথর পল্লি) যায় ঘাতক এক মাদকাসক্ত টোকাই যুবক। এসময় তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল। তবে, সেখানে মদ না পেয়ে বাকবিতন্ডার সময় রবিনের ব্যাগ থেকে রক্ত পড়তে দেখেন হরিজন পল্লীর লোকজন। এসময় ব্যাগে কি আছে তা রবিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রবিনের ব্যাগ খুলে শিশুর কাটা মাথা পাওয়া গেলে, তাকে গণপিটুনি দেয়া হয় এবং মারা যায়।

পরে পুলিশ নিহত শিশু সজিবের বাকি দেহ কাটলি এলাকার একটি তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলা থেকে উদ্ধার করে। শিশুর ছিন্ন মস্তক, দেহ ও যুবকের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"

প্রথম আলো যথারিতি হেডলাইন - শিশুর মাথা নিয়ে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কাটা মাথা নিয়ে পালাতে নয় ধরা পরতেই চেষ্টা ছিল। এর জন্য ব্যাবহৃত হল এক হিরোইঞ্চি।
এইভাবে কাটামাথা নিয়ে শহরের আশপাশ এলেমেলো ঘুরাফেরা, কাটা মাথার অস্তিত্ব বুঝা যায় এমন রক্তে ভেজা বাজারের ব্যাগ নিয়ে চলাফেরা জনতার সামনে মদ খেতে চাওয়া, সন্দেহ জাগায় সে কি আদৌ খুনটা করেছে, নাকি তাকে গিনিপিগ বানিয়ে ইউজ করা হয়েছে?

খুনের যে অস্ত্র, সে অস্ত্রও পাওয়া যায় নি। অস্ত্রটা লুকোনো সম্ভব হল। মাথাটাও লুকোনো চেষ্টা হলনা।

খুন করতে মানুষের মাথা কাটা এত সহজ কাজ না।
একটা বাচ্চাকে ধরতে হয়েছে। চিৎকার থামানো, জনমানব শূণ্য স্থানে পরিত্যাক্ত বিল্ডিং নিয়ে যাওয়া লোকচক্ষুর অন্তরালে খুন করতে হয়েছে। এই কাজ একা করা অসম্ভব। বাকিরা কোথায়?

সংগবদ্ধ রটনাকারিদের প্রফেশনাল কিলার টিমওয়ার্ক,

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪১

জুন বলেছেন: কি বিভৎস ঘটনা,কেমন সমাজে আমাদের অবস্থান ? কি ভয়ংকর , কি অমানুষ আমরা ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হত্যার কোন মোটিভ নেই।
নেত্রকোনার হতদরিদ্র এক রিক্সাচলকের শিশু পুত্রকে বেছে নেয়া হল নিজেদের নোংড়া এজেন্ডা বাস্তবায়নে!
কি অবস্থা দেশে?

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজ দিন দিনকে দিন অন্ধকারে যাচ্ছে।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

রাকু হাসান বলেছেন:

গুজব বলেই ধরে আসছিলাম হাসান ভাই । কিন্তু ভিডিও দেখার পর তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে । কিছু ঘটলেই কিছু রটে । :(

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কল্লা কাটা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। গুজবওয়ালারা তাদের দাবির যথার্ততা প্রমান করতে রিয়েল খুন করলো।

এর আগে অনেক বড় বড় মিডিয়া হাউস, বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক খুব সুপরিকল্পিত ভাবে 'ফেক নিউজ' বা টেম্পারিং করা নিউজ ছড়িয়ে এরপরও সিনাজুড়ি করে বহাল তবিয়তে নিরাপদে আছে।
কয়েক বছর আগে একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকা চতুরতার সাথে হেডলাইন করেছিল - "রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্র জরিত" -এফবিআই
অথচ এফবিআই এর প্রকৃত খবরটি ছিল রিজার্ভ চুরিতে একটি ভিন্ন রাষ্ট্র (উঃ কোরিয়া) জরিত।
আজ লিখেছে "শিশুর কাটা মাথা নিয়ে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত"
রটনাকারি খুনিরাও কাছেই ছিল, কাটা মাথাটি রাস্তায় সাজিয়ে ফটোসেশন। নিউজ তৈরি করতে হবে না?

শহিদুল আলমের মত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকও রঙ দিয়ে রক্তাক্ত বানানো ধর্ষিতা-নিহত ছাত্রীর বানোয়াট ছবি দিয়ে দেশে পরিকল্পিত দাঙ্গা বাধানোর ফরমায়েসি এসাইনমেন্ট নিয়েছিলেন। এটা ধরা খাবে জানলে রিয়েল ছাত্রী হত্যা করতো
পৃথিবীর অন্য কোন দেশে (ইরান, টার্কি , চীন ইত্যাদি) এরকম হলে শহিদুল আলমের নিশ্চিত মৃত্যুদন্ড হত। বাংলাদেশ বলে বিদেশী চাপে উনি বেচে গেলেন।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: ওদের নোংরা রাজনীতির জন্য আর কত জীবন যাবে?

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন: ক্রমশ আধাঁর আরো ঘন হয়ে আসছে ।কবে আসবে মুক্তি।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হায় আল্লাহ একি শুরু হল :(

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না এত ভয়ের কিছু নেই।
বছরে প্রচুর হত্যা হলেও এদেশের হোমিসাইড রেট এখনো অন্যান্ন দেশের তুলনায় সহনশীল মাত্রায়।

সাধারন হত্যাকান্ড (হোমিসাইড)

সবচেয়ে বেশী ব্রাজিল বছরে ৬০ হাজার।
ভারত ৪৩ হাজার
মেক্সিকো - ৩২ হাজার
দক্ষীন আফ্রিকা - ২২ হাজার। কমে এসেছে, আগে দ্বীগুনেরও বেশী ছিল
মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র - ১৭ হাজার
পাকিস্তান - ৮ হাজার
বাংলাদেশ ৩ হাজার ৫শত।
শৃলংকা বেশ ভাল অবস্থানে - ৪৮৬
জাপান - মাত্র ৩০৬

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

আরোগ্য বলেছেন: আমাদের ধোলাইখালে একটি শিশু জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু বদমায়েশটা পালিয়েছে।। শিশুটা এখন স্থানীয়দের কাছে আছে। ছেলেটা বলেছে ওর বাসা রংপুর। থানায় জানানো হয়েছে, ফেসবুকেও ছাড়া হয়েছে।

তবুও এসবের কোনো তদন্ত হয় না কারন এগুলো তো কেবল গুজব।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার পরিবেশ মানুষ থেকে অমানুষের জন্ম দেয় বেশী

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে গুজব রটিয়ে এখন পরিকল্পিতভাবে তা বাস্তবায়ন করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ্সব গুজবে কান দিবেন না। এগুলো জামাত-শিবিরের চক্রান্ত। তারাই এই গুজব রটায়। তারাই তা বাস্তবে রুপ দিতে ষড়যন্ত্র করে। তবে বাংলার জনগন এসব বুঝে। তারা সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। জয় বাংলা।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নৃশংস তম ঘটনা। দোষী ব্যক্তি জনসম্মুখে পুড়িয়ে হত্যা করা উচিৎ। যে চক্র এস সঙ্গে জড়িত তাদের সবা্কে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা উচিৎ কবর না দিয়ে । X((

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নৃশংসতম ঘটনা। নিঃসন্দেহে
দোষী ব্যক্তিদের আইনের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দেয়া উচিৎ।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নতুন বলেছেন: কাটা মাথা কোন কাজে লাগেনা। তাই এই ভাবে মাথা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কোন কারন থাকতে পারেনা।

এই জণ্যই আমি যারা রাজনিতি করেতাদের বিশ্বাস করিনা।

এরা সবই করতে পারে, ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মনে হয় না রাজনিতিকরা এই জঘন্য নোংড়া কাজটি করেছে।
মির্যা ফকরুল, বিএনপি নেতারা বা জামাতের মাওলানারা যত খারাপই হোক এত নোংড়া কাজে হাত দিবে না। করার প্রশ্নই আসেনা।

কাজটা করেছে ফেবু ভিত্তিক কিছু কট্টর ছেচ্চোর সমর্থকরা। নিউজ তৈরি করতে।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪০

সেতুর বন্ধন বলেছেন: কি হচ্ছে দেশে এসব!!!
হতাস না হয়ে কি আর হবো?
এইসব হত্যার তদন্ত হওয়া চাই তবেই সত্যটি বেরিয়ে আসবে।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০২

বলেছেন: ভয়াবহ !!!!!

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই গুজব মেনুফেকচারিং এর গুড়ার স্বরূপটা উদঘাটন হওয়াটা বেশি জরুরী ।
মনে হয় এক সুতায় বাধা অনেকগুলি কুশিলব , কেও গুজব তৈরী করে আর
কেও কেও বিবিধ পরিচয়ে বিবিধ কলাকৌশলে তা রটনা করে এক বিশেষ
উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে প্রয়াস চালায় । সকলের সচেতনতা প্রয়োজন ।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাঘা বাঘা লোকজন খুব কৌশলে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের মুরিদানদের মাধ্যমে।
বাঘা বাঘা লোকদের অন্ধ সমর্থক, আমিন আমিন বলা সমর্থক সংখাও কম নয়। লাখ লাখ।

সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।
কিন্তু শিক্ষিত ভদ্র হওয়া সত্তেও আমিন আমিন বলা অন্ধ সমর্থকদের হাজার বোঝালেও কখনোই চেইঞ্জ হবে না।

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। এর কোনো আলামত আর পাওয়া যাবেনা।
অমীমাংসিত সিরিজ, চলতে থাকবে - চলতেই থাকবে - - - - -- - - - - --

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বিভৎস । ভয়াবহ।অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছি দিনে দিনে।

১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

আমি নই বলেছেন: গুজব রটনায় আপনিই বা কম কিসে, আপনার এই পোস্টটাও তো গুজব।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এর ভাষ্য অনুযায়ী বাচ্চাটাকে বলাতকার করে হত্যা করা হয়েছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে সুরহতাল এবং ময়নাতদন্তে। আমার মনে হয় অলরেডি সবাই জানেন এই খবর।

কোনো কিছু না জেনে, নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে গল্প বানিয়ে প্রচার করাটাকে মনে হয় গুজবই বলে তাইনা?

সকল গুজব রটনাকারীদের রাতে ডিম থেরাফি দিয়ে ভোর বেলায় অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়া উচিত। :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি সম্ভবত আমার পোষ্ট ভালভাবে পড়েননি। ঘটনা অনেকগুলো।

মাদ্রাসা শিক্ষকের শিশু বলৎকার। এরপর ধরা পড়ার ভয়ে হত্যা। এরপর লাশ লুকাতে না পেরে তদন্তকারিদের বিভ্রান্ত করতে মস্তক বিচ্ছিন্ন করা। কারন তখন বাজারে ব্যাপক গুজব! সেতুর জন্য মানব মুন্ডু সংগ্রহ চলছে। মুন্ডুবিহিন লাশ পেয়ে উল্লোসিত গুজবকারিরা।

কিন্তু আমার পোষ্টের ঘটনা হচ্ছে ১৮ জুলাইয়ের। সেইম মোটিভ।
নেত্রকোনার হতদরিদ্র এক রিক্সাচলকের শিশু পুত্রকে বেছে নেয়া হল নিজেদের নোংড়া এজেন্ডা বাস্তবায়নে!
হত্যার কোন মোটিভ নেই।
ঘাতকরা শিশুটির মস্তক বিচ্ছিন্ন করে মুডুটি একটি বাজারের ব্যাগে ভরে এক মাদকাসক্ত টোকাইকে যুবকের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। মদ খাওয়ার টাকা সহ।
মেথর পল্লিতে এসময় তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল। অসংলগ্ন ভাবে সেখানে মদ না পেয়ে বাকবিতন্ডার সময় রবিনের ব্যাগ থেকে রক্ত পড়তে দেখেন হরিজন পল্লীর লোকজন। এসময় ব্যাগে কি আছে তা রবিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রবিনের ব্যাগ খুলে শিশুর কাটা মাথা পাওয়া গেলে, তাকে গণপিটুনি দেয়া হয় এবং মারা যায়।

পরে পুলিশ নিহত শিশু সজিবের বাকি দেহ কাটলি এলাকার একটি তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলা থেকে উদ্ধার করে। শিশুর ছিন্ন মস্তক, দেহ ও যুবকের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"

প্রথম আলো যথারিতি হেডলাইন - শিশুর মাথা নিয়ে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

এখানে রিপোর্টটি পড়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কাটা মাথা নিয়ে পালাতে নয় ধরা পরতেই চেষ্টা ছিল।
গুজব বিশ্বাসযোগ্য করতে হত্যা পর্যন্ত করলো কুচক্রিরা। এর জন্য ব্যাবহৃত হল এক হিরোইঞ্চি ও হলুদ মিডিয়াগুলো।

১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

আমি নই বলেছেন: ভাই, আমি আপনার পোষ্টটি ভালো ভাবেই পড়েছি এবং যা বুঝাতে চেয়েছেন সেটাও বুঝেছি কিন্তু আমি কনফিউজড যে আপনি এত সিওর কিভাবে? আপনি কোথাও "সম্ভবত" "হতেপারে" এই জাতীয় কোনো শব্দই ব্যবহার করেন নাই, এই যেমন আমার মন্তব্যর প্রতিউত্তরেও বলেছেন

ঘাতকরা শিশুটির মস্তক বিচ্ছিন্ন করে মুডুটি একটি বাজারের ব্যাগে ভরে এক মাদকাসক্ত টোকাইকে যুবকের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। মদ খাওয়ার টাকা সহ।

আমার মাথায় এটাই আসতেছেনা কেন আপনি বার বার নিস্চিত হয়ে বলতেছেন যে, গুজব রটনা কারিরাই এই হত্যা করিয়ে তাদের চক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য করার চেস্টা করেছে? আজকে আবার এড করলেন তারা মদ খাওয়ার টাকাও দিয়েছে, এটা আপনার পক্ষে কেমনে জানা সম্ভব? গুজব রটনা কারিরাই যে এই হত্যাকান্ড করিয়েছে তার পক্ষে শক্ত কোনো প্রমান আপনার কাছে থাকলে দয়া করে আইনশৃংখলা বাহিনিকে দিয়ে দিন।

এখানে রিপোর্টটি পড়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কাটা মাথা নিয়ে পালাতে নয় ধরা পরতেই চেষ্টা ছিল।
গুজব বিশ্বাসযোগ্য করতে হত্যা পর্যন্ত করলো কুচক্রিরা। এর জন্য ব্যাবহৃত হল এক হিরোইঞ্চি ও হলুদ মিডিয়াগুলো।


কি আর বলব ভাই, যেই মিডিয়াকে দেখতেই পারেন না সেই মিডিয়াতে কি রিপোর্ট আসলো তার ভিত্তিতেই আপনি সিওর হলেন যে "কাটা মাথা নিয়ে পালাতে নয় ধরা পরতেই চেষ্টা ছিল"। যতটুকু জানা যায় সে মাদকাসক্ত ছিল পাগল না, কাটা মাথা নিয়ে ধরা পরলে তার কি হতে পারে সে বিষয় তার ধারনা থাকাটাই সাভাবিক। অবস্য আপনি যদি আবার নতুন তথ্য দেন যে ঘাতক গুজব রটনাকারীদের পক্ষে আত্বঘাতী ছিল তাইলে বলার কিছুই নাই।

এই ঘটনা ঘটার পর এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি যেটা প্রমান করে এই ঘটনার সাথে একাধিক ব্যক্তি জরিত (তবে ভবিস্যতে প্রমান পাওয়া গেলে আলাদা ব্যাপার), বরং এলাকা বাসির ভাস্য অনুযায়ি ঘাতক এবং ভিকটিমের বাসা পাশাপাশি হওয়ার কারনে তারা পুর্ব পরিচিত ছিল এবং সম্ভবত একারনেই ঘাতকের সাথে ভিকটিমকে দেখেও কেউ সন্দেহ করেনি।

তবে অনেস্টলি বলতেছি আপনার পোস্ট পড়ে আমি ভেবেছিলাম সম্ভবত আপনি আবেগে একটু আগেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, ঘটনাটির তদন্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি, কারন চক্রান্ত কারিরা দুর্বার গতিতে গুজব ছরিয়ে দেশকে আতংকের মাঝে ফেলেছিল, আর তার ফলে কিছু বুঝে উঠার আগেই কিছু মানুষকে ছেলেধরা বলে গনধোলাই দিয়ে হত্যা করা হল যা ছিল ভয়ংকর। কিন্তু আজকের আপনার দেয়া প্রতিউত্তর পরে আমার ধারনা চেন্জ হয়ে গেল।

আমার দেয়া তথ্যগুলো পত্রিকা থেকে পাওয়া।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি তো প্রথম কমেন্টে উলটো আমাকেই গুজবকারি আখ্যা দিয়ে মৃত্যদন্ড দিয়ে ভোর বেলায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আপনাকে আর কতটা বুঝাতে পারবো?

"সম্ভবত" "হতেপারে" এই জাতীয় কোনো শব্দ ব্যবহার দরকার হয়নি।

কারনটা লিখেছি - রিপোর্টটি পড়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কাটা মাথা নিয়ে পালাতে নয় ধরা পরতেই চেষ্টা ছিল

আপনি রায় দিয়ে দিলেন সে মাদকাসক্ত ছিল পাগল না
কিসের ভিত্তিতে বলছেন?
কোন সুস্থ ব্যক্তি হত্যাকান্ড ঘটানোর পর রক্ত মাখা ব্যাগে কাটা মাথা নিয়ে ঘোরাঘুরি করবে?
মদ কিনতে জনতার সাথে আকারন বাকবিতন্ডায় জড়াবে?

প্রথম আলো যথারিতি হেডলাইন - শিশুর মাথা নিয়ে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

রিপোর্টটি পড়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পালানো তো দুরের কথা হত্যাকান্ড ঘটার পর মুন্ডু বহনকারি জনবহুল এলাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরা খাওয়ার চেষ্টাই ছিল। হত্যার কোন কারন নেই, মোটিভ নেই। বোঝাই যায় নেপত্থে একটা টিম একাজ করেছে। নিউজ তৈরি করতেই।
পরবর্তি ঘটনাগুলো (প্রায় ৩০টি তোল্পাড় করা গণপিটুনির ঘটনা) মিলালে বোঝাই যায় নিউজ তৈরি সফল হয়েছে।

ব্যাগটা ধরিয়ে কিছু টাকা দিয়ে বলা হলো -
"যা। ব্যাগ খুলবি না। চকপাড়া সুইপার কলোনিতে যাইয়া একটা বোতল কিনে খাইতে থাক। আমরা আইতেছি। কাম শেষে আরো ৫০০ পাবি"।

আমি "সম্ভবত" "হতেপারে" এই জাতীয় কোনো শব্দব্যাবহার করিনি কেন বলছেন।
আবার আপনি ব্যাগ বহনকারিকে একক ঘাতক ধরে বসে আছেন। কিসের ভিত্তিতে?

একা আরেকজনকে মাথা কেটে ফেলা এতই সহজ?
খুন করতে মানুষের মাথা কেটেফেলা এত সহজ কাজ না।
একটা বাচ্চাকে ধরতে হয়েছে। জান বাচাতে দৌর দিবে, চিৎকার দিবে, কামড় দিবে।
মানুষ কেন? আপনাকে মানুষ বা গরু না, একটা ছাগল ও একটা ছুরি দেয়া হলে আপনি ছাগলটি একা জবাই করতে পারবেন না।
৩ জন মানুষ হিমসিম খায় এক ছাগল জবাই করতে, আমার নিজের অভিজ্ঞতায় বলছি।

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৪৩

আমি নই বলেছেন: ভাই, আপনার দেয়া তথ্য অনুযায়ীই ৩০টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে এবং এর মধ্য কয়েকজনকে নারকিয় ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তো এর পিছনে যে গুজব রটনাকারী কুচক্রী মহল আছে তাদের শাস্তি কামনা তো করতেই পারি, তাই নয় কি? আপনি তো আর ঐ সকল কুচক্রী মহলের মধ্য পরেননা সুতরাং আপনাকে কেন অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে পাঠানোর দাবী করব। ঐ লাইনটি শুধু মাত্র গুজব রটনাকারী কুচক্রী মহলের জন্যই ডেডিকেটেড।

আমার প্রথম মন্তব্যতে আপনার এই পোস্টটিকেও গুজব বলেছিলাম এবং তার সুনির্দিষ্ট কারনও আছে। ঘটনাটি ঘটার পরই কোনো প্রমান ছারা শুধু মাত্র কল্পনা করেই দাবি করলেন যে হত্যাকান্ডটি গুজব রটনা কারিরাই করেছে, আপনি ওভার কন্ফিডেন্ট যে ওরাই করেছে কিন্তু উদ্ভট কিছু যুক্তি ছারা কোনো প্রমান নেই। আপনার কাছে যেহেতু কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান নেই সেহেতু এটাও গুজবের মাঝেই পরে।

আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার দাবীটি সাধারন কোনো বিষয়ে নয়, আপনার এই পোষ্টের মন্তব্য গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন যে আপনিও মানুষকে আতংকিত করে ফেলছেন। আমি নিজেও আতংকিত কারন দেশে ঐ বাচ্চাটির বয়সি আমারো একটা ছেলে আছে । আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আপনার কাছে এ ব্যপারে প্রমান থাকলে বা শক্ত কোন যুক্তি থাকলে আইনশৃংখলা বাহিনিকে জানান, এতে করে আমরা সবাই এমন উপকৃত হব যেটা ব্লগে সম্ভব না।

আপনি রায় দিয়ে দিলেন সে মাদকাসক্ত ছিল পাগল না
কিসের ভিত্তিতে বলছেন?

আমি রায় দেয়ার কেউনা, আমি ভিত্তিটাও বলেছি, মোটামুটি সকল পত্রিকাতেই এসেছে সে মাদকাসক্ত ছিলো। আমার পক্ষে ব্যক্তিগত ভাবে ভেরিফাই করা সম্ভব নয় তাই পত্রিকায় আসা খবরই একমাত্র ভরসা। আর আপনার পোস্টের ২য় লাইনে আপনিও মাদকাসক্তের কথাই লিখেছেন।

কোন সুস্থ ব্যক্তি হত্যাকান্ড ঘটানোর পর রক্ত মাখা ব্যাগে কাটা মাথা নিয়ে ঘোরাঘুরি করবে?
এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বহু খবর আমরা টিভি/পত্রিকায় দেখেছি যে খুনি ভিকটিমকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছে বা পুরো লাশকেই ট্রাভেল ব্যাগ বা কোন বক্স এ করে অনত্র সরিয়ে গুম করার চেস্টা করেছে, পুড়িয়ে ফেলার চেস্টা করেছে, ভিকটিমকে টুকরো করে বহুতল ভবনের জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। সুতারং গুম করা বা প্রমান নস্ট করার উদ্দশ্যে মাথাটি অন্যত্র সরানোর চেষ্টা ঘাতকের জন্য অস্বাভাবিক কোনো বিষয় বলে মনে হয়না। তবে হত্যার মত ঘটনা ঘটানোর পর তারা সুস্থ কিনা এ ব্যপারে আপনার মত আমারো কনফিউসন আছে।

মদ কিনতে জনতার সাথে আকারন বাকবিতন্ডায় জড়াবে?
এই নিউজ আপনি কোন পত্রিকায় দেখেছেন আমি জানিনা, আপনি যেহেতু প্রথম আলোর কথা বলেছেন আমিও প্রথম আলো থেকেই কপি করছি "শিশুটির পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত ওই যুবক আজ বেলা একটার দিকে শিশুটির মাথা একটি ব্যাগে করে নিয়ে শহরের চকপাড়া সুইপার কলোনিতে ঢোকেন। পরে তিনি সেখানে মদপান করতে চান। কলোনির লোকজন মদ বা এ জাতীয় কোনো নেশা নেই বলে জানালে ওই যুবক ক্ষেপে যান। এ সময় যুবকের হাতে থাকা ব্যাগটি রক্তমাখা দেখে লোকজন এর ভেতরে কী আছে তা জানতে চান।" এখানে কোথায় আপনার ভাষায় জনবহুল এলাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরা খাওয়ার চেষ্টার ব্যপারে ইংগিত আছে বা অকারন বাকবিতন্ডার কথা আছে তা আমি বুঝতে পারিনি বরং স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে "কলোনির লোকজন মদ বা এ জাতীয় কোনো নেশা নেই বলে জানালে ওই যুবক ক্ষেপে যান"

হত্যার কোন কারন নেই, মোটিভ নেই
বাচ্চাটির সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ি বাচ্চাটিকে বলাতকার করা হয়েছিল। আপনার কাছে বলাতকার করাটা কোনো কারনের মধ্যই পরে না? আজব!!! এধরনের ঘটনায় আগেও দেখা দেখা গেছে ভিকটিম ঘটনা প্রকাশ করবে এই ভয় থেকেই ঘাতক হত্যা করে। সম্ভবত এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। অন্তত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীতো এটাই বলছে।

আবার আপনি ব্যাগ বহনকারিকে একক ঘাতক ধরে বসে আছেন। কিসের ভিত্তিতে?
ভাই আমি বলেছি "এই ঘটনা ঘটার পর এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি যেটা প্রমান করে এই ঘটনার সাথে একাধিক ব্যক্তি জরিত" এই লাইন থেকে কি এটা বলা হয় যে খুনি একজন ছিল? আমি জাস্ট পুলিশ মিডিয়াতে যা বলেছে তাই বলেছি।

একটা বিষয় বুঝলাম না, আমি লিখি একটা আর আপনি তার অন্য একটা অর্থ বের করেন। সেইম জিনিষ লক্ষ করলাম পত্রিকার ব্যপারেও, ওরা নিউজ করে একটা কিন্তু আপনি তার আলাদা একটা অর্থ বের করেন??? আজব!!! এটা কি ইচ্ছাকৃত?

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ইস্যুর চাপে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে...

এই পোস্টটা পড়েছিলাম বাট কমেন্ট করা হয়ে ওঠেনি। এখন করলাম।

২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ খুব খারাপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.