নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেঙ্গু হলেই প্লাটিলেট প্লাটিলেট বলে হাসপাতাল টু হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২৯




ডেঙ্গু হলেই মরে যাবেন, এমনটা ভাবা ঠিক না।
ভাইরাস জনিত রোগ ডেঙ্গু, বার্ডফ্লু, সোয়াইনফ্লু , চিকনগুনিয়া, ম্যাডকাউ, প্লেগ ইত্যাদির কোন ঔসধ নেই। তবে টিকা উদ্ভাবন করে রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়।
ডেঙ্গু ৪ ধরনের ডেঙ্গু, ২য় ডেঙ্গুর কিছু টিকা বের হয়েছে ( TV003 ও TV005 ) ফিল্ড টায়ালও হয়েছে। তবে পদ্ধতি জটিল ও বাজারজাত হয়নি।


জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০টিরও বেশি দেশে ডেংগি বা ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়েছে।
প্রতি বছরই বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফিলিপিনসে এবার ডেঙ্গুতে ৬২২ জন মারা গেছেন। মেক্সিকো ও আমেরিকাতে দেখা গেছে ডেঙ্গু।
মালয়েশীয়াতে গত বছর ৩৩৬ জন মারা গেছে
বাংলাদেশে এজাবৎ ২৪+ জন মার গেছে, মৃতের সংখা দিন দিন বাড়ছে।




ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমড়, পিঠসহ অস্থি সন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়। এছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পিছনে ব্যথা হয়। অনেক সময় ব্যথা এত তীব্র হয় যে মনে হয় বুঝি হাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই এই জ্বরের আরেক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’।
তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাথা কম বা নাও হতে পারে।
জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন র‍্যাশ, অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে। রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে এবং রুচি কমে যায়। সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায় এবং কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে এর ২ বা ৩ দিন পর আবার জ্বর আসে। একে “বাই ফেজিক ফিভার”বলে।






যেকোনো ধরনের জ্বর হোক না কেনো জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উনিই সঠিক পরামর্শ দিবেন।
এখনি হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই, যে কোন ডাক্তার দেখান পাড়ার গলির সাধারন এমবিবিএস ডাক্তারকে দেখান. তার পরামর্শমত চলুন। উনি কিছু টেষ্ট করতে দিলে ভিড়ের কারনে বড় হাসপাতালে/ডায়াগনিষ্টিকে চান্স পেতে ভোগান্তি হতে পারে।
সবচেয়ে ভাল হয় আইসিডিডিআরবি ল্যাবে চলে যান ২৪ ঘন্টা খোলা। রাত ১২টার পরে যান ভিড় কম থাকবে। কিউ থেকে সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে চেয়ারে বসুন। মেশিনেই ডাকবে। সরকারি নির্দেশে সরকারি রেট। কোন ঝামেলা নেই।
ডেঙ্গুতে আইসিইউ কো ন দরকার নেই। ফাইভ স্টার হাসপাতালও দরকার নেই।






ডেঙ্গু জ্বরের সময় ভীষণ ব্যথা হয় বলে অনেকে বিভিন্ন রকমের ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন।
নিয়ম হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। জর বা ব্যাথায় শুধু প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। সেটাও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু করা যাবে না। না হলে পরিস্থিতি বিপদজনক হতে পারে।

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর ৭ দিন থাকে মাঝের ৩ দিন ক্রিটিকেল পিরিয়ড সঠিক পরিচর্যা পেলে ৭ দিনে ভালহয়ে যায়
ডেঙ্গুতে মূলত দুইটা সমস্যা হয়।
প্রথম বিপদ - আক্রান্তের ৩-৪ দিন পর রক্তশীরা গুলো থেকে প্লাজমা লিকেজ ( রক্ত রস লিক হয়ে রক্তের জলিয় অংশ পরিমান কমে যায়)
এতে ব্লাড কমে প্রেসারও কমে যেতে পারে।

দ্বিতীয় বিপদ - একই সময় প্লাটিলেট কাউন্ট কমা শুরু করে। প্লাটিলেট হচ্ছে রক্তের একধরনের কনিকা বাংলায় অনুচক্রিকা। যা রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে। প্লাটিলেট কমলেই ইন্টারনাল ব্লিডিং হবে এমনটা না। রুগি হাটা চলা শিড়ি ভাংগা হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ইত্যাদি কায়িক পরিশ্রম করলে দেহের অভ্যন্তরে ব্লিডিং হতে পারে। এছাড়া প্লাটিলেট কাউন্ট কমা শুরু হলে অনেকের কোন কারন ছাড়াই এমনিতেই ব্লিডিং হতে পারে।
অনেকের কম বা নাও হতে পারে।

প্লাজমা লিকেজ বা ইন্টারনাল ব্লিডিং এটাই সক। রক্তের জলিয় অংশ লিক সাথে আভ্যন্তরিন রক্ত লিক এই সকে সঠিক প্রয়জনিয় ব্যাবস্থা না নেয়া হলে মানুষ মারা যায়।
তবে সঠিক পদ্ধতিতে ট্রিটমেন্ট দিলে সহযেই রোগিকে বাচানো যায়।





যাই হোক ডেংগিতে তাহলে মানুষ মারা যায় কেন?

বাংলাদেশ পাবলিক হেলত বিভাগের ডেঙ্গু অভিজ্ঞতা ৩ দশকের। ডেঙ্গু মোকাবেলায় ন্যাশানাল গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, প্রতি বছরই আপডেট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ডেঙ্গু অভিজ্ঞতা মার্কিন যুক্তরাষ্টের মহামারি রোগ নিয়ন্ত্রন বিভাগ CDC ও জাতিসংঘের WHO কে পাঠানো হচ্ছে। চলমান সারাবছরই তথ্য বিনিময় হচ্ছে। CDCর একটি ইউনিট বহু বছর আগে থেকেই আইসিডিডিয়ারবিতে আছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ অধিদপ্তরের সাথে সমন্নিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ডেংগিতে প্লেইটলেট কমে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী মারা যায় ব্যপারটা এমন না।
রোগী মারা যায় ডেংগি শক সিন্ড্রোমে। এর ম্যানেজমেন্ট ভিন্ন
ডেংগিতে ভাইরাসের কারণে রক্তনালীগুলো আক্রান্ত হয়। রক্তনালীর গায়ে যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে সেগুলো বড় হয়ে যায়। তা দিয়ে রক্তের জলীয় উপাদান বা রক্তরস বের হয়ে আসে। তখন ব্লাড প্রেসার কমতে থাকে।

Blood pressure কম কিন্তু Heamatocrit (HCT) বেশি = Plasma leakage হচ্ছে।
Blood pressure কম, Heamatocrit (HCT) ও কম = কোথাও Bleeding হচ্ছে।


এটা ঠেকাতে রোগীকে ফ্লুইড বা তরল খাবার দিতে হবে প্রচুর। মুখে খাওয়ান, শিরাতে দিন। ফ্লুইড, ফ্লুইড এন্ড ফ্লুইড।
মুখে খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। মুখে খেতে না পারলে শিরাতে নরমাল সেলাইন
ঘন ঘন প্লেইটলেট না দেখে ব্লাড প্রেসার কমছে কিনা দেখুন, ডিহাইড্রেশন আছে কিনা দেখুন, রক্তের পিসিভি, সিবিসি বা হেমাটোক্রিট দেখুন। Plasma leakage, শুরুর পর সাধারণত ৪৮ ঘন্টা স্থায়ী হয়। এরপর Recovery শুরু হয়ে যায়। আইভি ফ্লুইড নরমাল সেলাইন দিতে হবে Plasma leakage শুরু হবার পর ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত। ৪৮ ঘন্টার পর মুখে খেলে ভাল, শিরায় ফ্লুইড দিলে Volume overload হয়ে রোগীর শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে।সুতরাং সাবধান।


হাসপাতালে কখন যাবেন।

রোগির অবস্থা জটিল ও মুখে খেতে না পারলে
রোগীর পুর্বে ডায়াবেটিজ, বা লিভারের রোগ থাকলে।
রোগী খুব দুর্বল হয়ে গেলে, জর নেমে যাওয়ার পর রুগির অবস্থার অবনতি হলে




হতাশার কথা - দেখা যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের বড় বড় ডাক্তাররা ডেংগুর ন্যাশনাল গাইডলাইনকে গুরুত্ত দেন না। ত্রিশ হাজার প্লেইটলেট দেখে ভয়ে আতংকে ছয় ঘন্টা পর পর প্লেইটলেট চেক করে রোগীকে আরো আতংকগ্রস্ত করেন, রুগিরাও বার বার প্লেইটলেট চেক করতে চান। ডোনার খুজতে থাকেন।

এক ব্যাগ প্লেইটলেট করতে একের পর এক ক্রসম্যাচিং এরপর ৪ জন ডোনার মিলিয়ে ৮ ব্যাগ রক্ত লাগে। বহু খরচ, বহু হয়রানি। এই বড় বড় ডাক্তাররা প্রেসারের খোঁজও নেননা। হিমাটোক্রিট তো না'ই৷ কিছু না হলেও বলে আইসিইউ তে নাও।
ভাবটা এমন যেন প্লেইটলেট কমলে রক্ত ড্রেইন হয়ে কমে গিয়ে রোগীর হঠাৎ করে হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
বারবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে Platelet দিয়ে কোন উপকার প্রমাণিত না।
ডেঙ্গু জ্বরে আইসিইউতে ভর্তি করা/ভর্তি হওয়ার দরকার নেই।

মোদ্দা কথা: ডেংগিতে প্লেইটলেট এর পেছনে অহেতুক সময় নষ্ট না করে রোগীর ফ্লুইড কারেকশন করুন, প্রেসার দেখুন, জর কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়ান। কখনই এন্টিবায়োটিক আর প্লেইটলেট দেবেননা। ব্যাথার অসুধ প্যারাসিটামল বাদে অন্যকিছি দেয়া যাবে না।
প্লেইটলেট কমে গেলে সাধারন রক্ত দিন। নট প্লেইটলেট, প্লাজমা কমলে নরমাল সেলাইন। গুরুতর অবস্থায় প্যাকড আরবিসি।
আর রোগি মুখে খেতে পারলে (ওরসেলাইন/সরবত/তরল খাবার) সবচেয়ে ভাল।

নিজেরা কিছু করবেন না। পাস করা এমবিবিএস ডাক্তারে্র পরামর্শে ও তত্তাবধানে করবেন।
হাসপাতালের ফ্লোরে থাকতে হলেও থাকবেন। এবার বেশী রোগী মারা গেছে বার বার হাসপাতাল বদল করাতে।
অনেক রুগির অবিভাবক বলে বসে "এসব ডাক্তার কিছু জানে না"
সত্য কথা বলতে সরকারি হাসপাতালেই ডেংগুর সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা পাবেন।

ডাক্তার ভাইদের বলছি
সরকারি স্বাস্থ অধিদপ্তরের ডেংগুর ন্যাশনাল গাইডলাইনটি ফলো করুন।

চিকিৎসা এবং মনিটরিং এর ক্ষেত্রে হেমাটোক্রিট ভ্যালু ও রক্তচাপকে গুরুত্ব দিন। শিরায় নরমাল স্যালাইন দিন। প্লাজমা, ক্রাইওপ্রিসিপিটেট বা ব্লাড প্রোডাক্ট, প্লেইটলেট দিয়ে রোগীকে ভারাক্রান্ত করবেন না৷ হিমাটোক্রিট বেড়ে গেলে এবং রোগী শকে গেলে তবেই কলয়েড সলিউশন দেবেন নয়ত নরমাল স্যালাইন। ডেংগুর ন্যাশনাল গাইডলাইনটি ফলো করুন।
বাংলাদেশে ডেংগু রোগেরা বেশির ভাগ মরে যায় অতিচিকিৎসায়।

পরিশিষ্টঃ
ডেংগির ন্যাশনাল গাইডলাইনে শ শ লাইন লেখা আছে। সেখানে প্লেইটলেট নিয়ে লেখা মাত্র একটা লাইনই লেখা আছে -

platelet is rarely given but may be warranted in patients with severe thrombocytopenia

আপডেট ১৬ আগস্ট ২০১৯
এবার ডেঙ্গু ভাইরাস ডেনভি-৩-এর প্রকোপ বেশি


আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা প্রথম আলোকে বলেন, ডেঙ্গু মৃত্যু পর্যালোচনা কমিটি এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। আর ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরে (ইন্টার্নাল রক্তক্ষরনে)।
তুলনামূলকভাবে রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বেশি দেখা যাচ্ছে কেন, তা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। আইইডিসিআর বলছে, এবার ডেঙ্গু ভাইরাস ডেনভি-৩-এর প্রকোপ বেশি।


ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন বা সেরোটাইপ আছে: ডেনভি-১, ডেনভি-২, ডেনভি-৩ ও ডেনভি-৪
উনিও সকল হাসপাতালকে সরকারি স্বাস্থ অধিদপ্তরের ডেংগুর ন্যাশনাল গাইডলাইনটি ফলো করতে বলেছেন
ডেঙ্গু - এবার শক সিনড্রোমে বেশি মৃত্যু হচ্ছে

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সকালে বাইরে নাস্তা খেতে গিয়েছি। মাইকে ঘোষণা দিচ্ছে, রাশেদ খান মেনন মতিঝিল স্কুলের মাঠে বিনা মূল্যে ডেংগু পরীক্ষা করছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আস্তো ছাগল।
সুস্থ মানুষের ডেংগু পরীক্ষা কোন দরকার নেই। অকারনে সরকারি ডেঙ্গু কিট সর্টেজে ফেলছে।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বেসরকারী হাসপাতাল, বেসরকারী মেডিকেল কলেজ, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক এর ব্যাবসা তো জমজমাট।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন -
জ্বর শুরু হওয়ার পর প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত মোটামোটি Shock এ যাবার সম্ভাবনা নেই।
৭ম দিনের পর রোগী আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠে। আইসিইউ দরকার হয় না।

রোগীকে খুব ভালো করে Monitor করতে হবে। যখনই Plasma leakage এর লক্ষণ দেখা দিবে তখনই Isotonic IV fluid (নরমাল স্যালাইন) দিতে হবে যেনো রোগী Shock এ যেতে না পারে। মুখে যতক্ষন পর্যন্ত তরল খাবার খেতে পারে খেতে দিতে হবে

যখনই Bleeding শুরু হবে সাথে সাথে Blood দিতে হবে যেনো রোগী Shock এ যেতে না পারে।
Bleeding হলে Blood দেয়া লাগবে। Platelet দিলে কিন্তু হবে না।
আমি আবার বলছি, ডেঙ্গু জ্বরে Platelet দেয়ার কোন Role প্রমাণিত না।

যদি Bleeding শুরু হয়, Whole blood বা প্রয়জনে Packed RBC দিবেন। কিন্তু Platelet না

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার ঘোষনা দিয়ে বলেছে ডেঙ্গু ৩ টেষ্ট মোট ৫০০টাকার বেশী হতে পারবে না।
বেসরকারি হাসপাতাল বেশী টাকা নিলে সরাসরি ICDDRB ল্যাবে চলে যান সরকারি মুল্যে পাবেন নিশ্চিত। ২৪ ঘন্টা খোলা।

প্রফেসর আবদুল্লাহ (জাতীয় অধ্যাপক) টিভিতে বলেছেন -
ডেঙ্গু জরে ৯৫% রোগির বাসায় থেকেই চিকিৎসা সম্ভব। মারা না গেলে ডেঙ্গু ৭ দিনে ভাল হয়ে যায়। ৪র্থ ও ৫ম দিন ভাইটাল।
প্লাজমা লিকেজ বা ইন্টার্নাল ব্লিডিং ঠেকাতে রোগীকে ফ্লুইড বা তরল খাবার দিতে হবে প্রচুর। মুখে খাওয়ান, শিরাতে দিন। ফ্লুইড, ফ্লুইড এন্ড ফ্লুইড। মুখে খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। ওরসেলাইন ফলের জুস, ফল, তরল খিচুড়ি। নরমাল খাবার খেতে পারলে তো ভালই।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার নাই,
অযথা অর্থের অপচয় হয়।
জ্বরের ৪-৫ দিন পরে সিবিসি , সিবিসি টেষ্টেই Heamatocrit (HCT) আছে।
অযথা বার বার টেষ্টে অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। প্লেইটলেট টেষ্ট দরকার নেই
ডেঙ্গু জ্বরে Platelet দিয়ে কোন উপকার প্রমাণিত না।
ডেঙ্গু জ্বরে আইসিইউতে ভর্তি করা/ভর্তি হওয়ার দরকার নেই।
হাসপাতালের ফ্লোরে থাকতে হলেও থাকবেন। এবার বেশী রোগী মারা গেছে বার বার হাসপাতাল বদল করাতে। বা চিকিৎসা অসমাপ্ত অবস্থায় বাড়ি চলে যেতে।
অনেক রুগির অবিভাবক বলে বসে "এসব ডাক্তার কিছু জানে না" বলে বড় হাসপাতাল খোজে
সত্য কথা বলতে সরকারি হাসপাতালেই ডেংগুর সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা পাবেন।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা কি করতে হবে?
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সঠিক ভাবে মুখে ফ্লুইড খেয়ে সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও। তবে আরো ৩ দিন বিশ্রাম নিতে হয়।
তবে আমি বলি রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গু জনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়।
মুখে খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। মুখে খেতে না পারলে শিরাতে নরমাল সেলাইন। তবে সেলাইন দিলে অযথা হার্টে ও লিভারে চাপ পরে। ডাক্তার নার্স তত্তাবধানে বিপি ও রোগির ওজন বয়স ইত্যাদি জাচাই করে দিতে হয়।
তাই মুখে খেতে না পারলে চামুচে চামুচে বার বার খাওয়াতে হবে।
সবাই ডেঙ্গু চিকিৎসার ন্যাশানাল গাইডলাইনটি ফলো করুন। এই ন্যাশানাল গাইডলাইন, ৯৬ পাতার এই National Guideline for Clinical Management of Dengue Syndrome প্রতিটি সরকারি ডাক্তার ও নার্সদের কাছে দেয়া হয়েছে।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



খুবই দরকারী ও ভালো তথ্য দিয়েছেন

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন:

ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য । আতঙ্কিত হয়েই platelet পরিক্ষা করার দিকে দৌঁড়াচ্ছে । হাসান ভাই শুভকামনা । ঈদ মোবারক ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার নাই,
অযথা অর্থের অপচয় হয়।
জ্বরের ৪-৫ দিন পরে সিবিসি , সিবিসি টেষ্টেই Heamatocrit (HCT) আছে।
অযথা বার বার টেষ্টে অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা কি করতে হবে?
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, সঠিক ভাবে মুখে ফ্লুইড খেয়ে এমনকি কোনো চিকিৎসা না করালেও।
তবে আমি বলি রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে, যাতে ডেঙ্গু জনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়। ডেঙ্গু জ্বরটা আসলে একটা গোলমেলে রোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। জ্বর কমানোর জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধই যথেষ্ট।
এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ঔষধ হারাম। কোনক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে।
জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৬

বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট অনেক সরকারি স্বাস্থ্যসেবাদানকারি ব্যক্তি জানে কি না সন্দেহ!!!!

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকারি ডাক্তারদের অবস্যই জানার কথা।
ডেঙ্গু চিকিৎসার ন্যাশানাল গাইডলাইন ২০১৮, ৯৬ পাতার এই National Guideline for Clinical Management of Dengue Syndrome প্রতিটি সরকারি ডাক্তার ও নার্সদের কাছে দেয়া হয়েছে।
ডাক্তারদের মিটিঙ্গেও এ নিয়ে আলচিত হচ্ছে।
বেসরকারি হাসপাতালেও এই গাইডলাইনের কপি দেয়া হচ্ছে।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

মাহের ইসলাম বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট।

আমারও মনে হয় যে, শক ইফেক্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ডেঙ্গু হয়েছে শুনেলেই, মন ভয়ে ভরে যায়।
মশা কামড় দিলেই এখন টেনশন লাগে।

নমরুদের কথা মনে পড়ছে, ভাই।
দোয়া করবেন।

১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শকে যাওয়ার আগেই ব্যাবস্থা নিতে হয়।

প্রফেসর আবদুল্লাহ (জাতীয় অধ্যাপক) গতকাল বলেছেন -
ডেঙ্গু জরে ৯৫% রোগির বাসায় থেকেই চিকিৎসা সম্ভব। ঠেকাতে রোগীকে ফ্লুইড বা তরল খাবার দিতে হবে প্রচুর। মুখে খাওয়ান, শিরাতে দিন। ফ্লুইড, ফ্লুইড এন্ড ফ্লুইড। ওরসেলাইন ফলের জুস, ফল, তরল খিচুড়ি। নরমাল খাবার খেতে পারলে তো ভালই।
মুখে খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। মুখে খেতে না পারলে শিরাতে নরমাল সেলাইন। তবে সেলাইন দিলে অযথা হার্টে ও লিভারে চাপ পরে। ডাক্তার নার্স তত্তাবধানে বিপি ও রোগির ওজন বয়স ইত্যাদি জাচাই করে দিতে হয়।
তাই মুখে খেতে না পারলে চামুচে চামুচে বার বার খাওয়াতে হবে।



৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এটা এখন মহামাড়ি।

সচেতনতাই ডেঙ্গু রোধ করতে সহায়ক ভূমিকা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.