নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধিক্কার জানাই এই ধরনের মুক্তিযোদ্ধাদের

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

তুচ্ছ একটি ব্যক্তিগত কারন, ছেলের চাকুরি সমস্যা। এটা নিয়েও রাজনীতি!
একজন ডেইলি বেসিস ড্রাইভারের চাকুরি চলে যাওয়া, এটা বড় কোন সমস্যা?
অপেক্ষা করতে পারতেন, বা তার ছেলে অন্য কোথাও চাকুরি খুজতো। উবার চালাতে পারে, সিএঞ্জি এমনকি রিক্সা চালিয়েও বাচা যায়।
উনি নিজে তো আর পথে বসে যান নি ১৫ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, এরপর আছে বয়ষ্ক ভাতা। উনি নাখেয়েও মরে যাচ্ছিলেন না। তাই বলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিউজ তৈরি?
এই মামুলি তুচ্ছ ব্যক্তিগত একটি কারনে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকে অপমান! রাষ্ট্রের মর্যাদাকে অপমান!
ধিক্কার জানাই এই ধরনের মুক্তিযোদ্ধাদের।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: তাই জানান.....
দেশের ভিতর আজ অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে তারা ভিক্ষাবৃত্তি, বৃদ্ধবয়সে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে জীবন চালাচ্ছে শুধু তাদের একটা সার্টিফিকেট নেই। অনেক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা দেশের নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যারা বেচেঁ আছে তাদের পাশে না ‍দাঁড়িয়ে মরে যাওয়ার পর বছরে বছরে মুঠো মুঠো ফুল দিয়ে তাদের সন্মান দিয়ে লাভ কি??? ধিক্কার জানাই এসকল খুড়া মার্কা সিস্টেমের।
অন্ধ জনে দেহ আলো,
মৃত জনে দেহ প্রাণ !!!!

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কিছু লেখার আগে একটু ভেবেচিন্তে লিখিয়েন। আপনার লেখা পোষ্টগুলো বরাবরই দুর্বল থাকে, উহা থেকে পাঠোদ্ধার করা কঠিন হয়, আদুভাইয়ের পরীক্ষার খাতার মতো অবস্হা।

কোন মুক্তিযোদ্ধা কি কোন বিষয়ে প্রতিবাদ জানায়েছেন? প্রতিবাদ জানালে, উহাকে নিয়ে পরিস্কার করে পোষ্ট দেন, আপনি যেভাবে লিখেছেন উহা সঠিক হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের সমালোচনা করার আগে ভাবিয়েন, আপনার সেই অবস্হান আছে কিনা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঘটনা হচ্ছে -
দিনাজপুর সদর উপজেলার যোগীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের মনে ক্ষোভ, অভিমান ছিল তাঁর এক ছেলের চাকরিচ্যুতি নিয়ে।
জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে নূর হোসেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ড্রাইভার পদে 'দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে' চাকরি করতেন। স্থানীয় সাংসদ ও হুইপ ইকবালুর রহিমের সুপারিশে ২০১৭ সালে তাঁর চাকরি হয়। নূর হোসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলামের গাড়ি চালাতেন।
সম্প্রতি ছেলেকে চাকরিচ্যুত হলে ইসমাইল হোসেন মানসিকভাবে ব্যথিত হন। ৮০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। ২১ অক্টোবর দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

মৃত্যুর আগে তিনি লিখে গেছেন, ‘...যারা আমার ছেলেকে চাকরিচ্যুত করেছে, পেটে লাথি মেরেছে, শেষযাত্রার কফিনে তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা রাষ্ট্রীয় সালাম, স্যালুট আমি চাই না।’

ম্যাজিস্ট্রেট মহসীন উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করতে যান। কিন্তু তাঁর ছেলেরা বাবার মৃত্যুর আগের অছিয়তের কথা বলে তাঁদের ফিরিয়ে দেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ইসমাইল হোসেনকে যোগীবাড়ি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এখানে ডিটেইল। - view this link

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: রাষ্ট্র যখন রাষ্ট্র দানবের রূপ গ্রহণ করে তখনই মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা হয়ে যায়। উনি সিক্সটিন ডিভিসনের মুক্তিযোদ্ধা নন; বিধায় রাষ্ট্রীয় সম্মান ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা আপনি কি লিখলেন!!

একজন মুক্তিযোদ্ধা কতোটা বীতশ্রদ্ধ হলে রাষ্ট্রের দেয়া শেষ সন্মান প্রত্যাখ্যান করতে পারেন সেটা একবারও ভাবলেন না? অন্যায়ের প্রতিবাদের তো কোন ফর্মুলা নাই। উনার এভাবেই ঠিক মনে হয়েছে.....সেটাই ঠিক। উনার কষ্টটা তো আমাদেরকে অনুধাবন করতে হবে, নাকি?

এতো অল্পেই একজন সন্মানীত মুক্তিযোদ্ধার অবদানকে খাটো করা ঠিক না, মনে হয়! :(

বুকভরা অভিমান নিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার চিরবিদায়

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বীতশ্রদ্ধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই লোভি ছিল না।

১৯৭১ এ সেই তরুন কৃষকদের দিনমজুরদের কেউ যুদ্ধে যেতে বলেনি,
এরপরও মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গেছিলো এক কাপড়ে।
বাপ কে না বলে, মা কে ঘুমে রেখে। পায়ে হেটে সীমান্ত পাড়ি। বিনা বেতনে।
যুদ্ধকালিন সময়ে ওরা কখনোই কোন বেতন-ভাতা দাবী করে নাই, চিড়ামুড়ি খেয়ে থেকেছে।
(যুদ্ধশেষের দিকে অল্পকিছু হাতখরচ দেয়া হচ্ছিল)।
যুদ্ধে যাওয়ার অপরাধে আলবদর রাজাকাররা ওদের ঘরবাড়ী জালিয়ে দিয়েছিল। পরিবারের উপর মারপিট অত্যাচার হয়েছিল।

৯ মাস দির্ঘ যুদ্ধ শেষে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন একটি দেশ উপহার দেয়ার পরও ওরা কোন পুরষ্কার, চাকুরী বা বকেয়া বেতন দাবি করেনি। পরে ভিক্কা করে রিকশা চালিয়ে জীবনপার করেগেছে। কোন ভাতা কোন সুবিধা কখনোই দাবী করেনি।

৩০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধপক্ষ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রতিদান দেয়ার ইচ্ছে থাকার পরও কিছু দিতে পারেনি।
শুধু মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি, রাষ্ট্রিয় মর্যাদা ও মাত্র ৫০ টাকা ভাতা দেয়া শুরু হয়।
এই ৩০ বছর রাজাকার সমর্থক সরকার থাকায় বন্ধুকের নলের মুখে টিভি ও পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধা বা বঙ্গবন্ধু শব্দটি কেউ উচ্চারন করতে পারেনি।

মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই কাংগালীপনা করেনি।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা কখনোই ভাতা বা কোটার জন্য দাবি করেনি
কোটা ভাতার দাবিতে হাঙ্গামা করেনি রাস্তা দখল করে অনশনে বসেনি।

রাষ্ট্র তার ঋন সোধ করতে স্বতপ্রনদিত হয়ে কোটা সুবিধা ও ভাতা বরাদ্দ করেছে।
পরে আরো ৭ বছর পরে রাষ্ট্র আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করলে ভাতা বৃদ্ধি করে ২০০০, পরে ১৫০০০ এ বৃদ্ধি করা হয়। সম্মান, বৃদ্ধি পায়। আর সরকারী চাকুরিতে অগ্রাধিকার দেয়া কোটা ব্যাবস্থা শুরু করে। সন্তানদেরও কোটা ব্যাবস্থায় অন্তভুক্ত করে।

পরে এই ধরনের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারি দাবিতে কোটা আপাত বাতিল/ স্থুগিত আছে।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্ট ধরে এবার 'পোড়া আলু' খাবার দলও উহু আহ করার শুরু করবে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অলরেডি শুরু হয়ে গেছে।
কোটাবাজ যারা মুক্তিযুদ্ধ কোটার সন্তানদের কোটার প্রবল বিরোধিতা করেছিল।

এরাই এখন এই লোকের রাজাকারি উক্তির কারনে ওনার সন্তানের জন্য দরদ উথলে উঠেছে।
হিপোক্রেসি আর কত দেখবো?

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

এপোলো বলেছেন: জনাব, আপনার চিন্তা ভাবনায় সমস্যা রয়েছে।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

মেটালক্সাইড বলেছেন: ধিক্কার আপনাকেই!!!!
এই ধরনের অবমাননার জন্য একজন মুক্তিযোক্তাকে। ৭১ এর সময় যদি জানতেন, স্বাধীনতার এতবছর পর আপনার মত কেউ অপমান করবে তাহলে হয়ত মুক্তিযোদ্ধারা শরণার্থী হিসেবে অন্যদেশে চলে যেতেন। আপনার চোখের সামনেই আছে জলজ্যান্ত উপমা "রোহিংগারা"। তাদের নিজ ভূমির অধিকারের জন্য একফোটা রক্ত দিতে প্রস্তুত নয়, কিন্তু অন্য দেশের ঘাড়ের উপর বসে আরামআয়েশে দিব্য টালাবাহানা করে সময় পার করছে আর সে দেশকেও শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

নতুন বলেছেন: পুরাই দলকানার মতন কথা বললেন আপনি।

এটা অভিমান, কেন এই অভিমান সেটা দেখার চেস্টা করলেন না।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

আল ইফরান বলেছেন: আপনার কাছে তুচ্ছ ব্যক্তিগত কারন হতে পারে, কিন্তু এই ব্যক্তি অথবা ব্যক্তির পরিবারের জন্য হয়তো এটাই বেচে থাকার সম্বল ছিলো। আমার বাবার সাথে যুদ্ধ করা অনেকেই গ্রামের বাজারে দিনমজুরি/ রিকশা-ভ্যান/ চায়ের দোকানে কাজ করতে দেখেছি। তাদের সন্তানরা এই অনতিক্রান্ত বৃত্তকে আর ভাংতে পারে নি, কপাল গুণে আর মুক্তিযোদ্ধা কেরানি বাবার চাকুরির সুবাদে সেই বৃত্তে আমাদের আটকে যেতে হয় নি।
এই ঘটনার মধ্যে আপনি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের অপমান দেখলেন? অপমান নয়, রাস্ট্র অনেক আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চনার ব্যবস্থা করে রেখেছে।
দলীয় আনুগত্য দেখাবেন তা ভালো, কিন্তু নিজের বিবেককে বিক্রি করে দিয়েন না দলের কাছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি তো এক পোষ্টে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করেছিলেন। সেই পোষ্টে বলেছিলেন

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবেও আমি এই কোটা চাই না।
এই ভিক্ষের চালের জন্য আমাদের পুর্ববর্তী প্রজন্ম যুদ্ধ করেন নাই, যুদ্ধ করেছিলেন উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার জন্য। যা রাস্ট্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এখন বললেন রাস্ট্র অনেক আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চনার ব্যবস্থা করে রেখেছে।

এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চনার ব্যবস্থা করে রেখেছে?
তাহলে যারা মুক্তিযুদ্ধের মুল স্লোগান জয়বাংলা কখনোই উচ্চারন করে না। বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারন করলে যাদের অজু নষ্ঠ হয়ে যায়। জাতীয় পতাকা জাতীয় সংগিত ভাল লাগে না, বদলাতে চায়, কোটা সুবিধা বাতিল চায়।
সেই যুদ্ধাপরাধি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের ব্যবস্থা করে?

বুকে "আমি রাজাকার" লিখে আপনারা কোটা ব্যাবস্থা বাতিল চেয়ে যাচ্ছেতাই ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত অপমানিত করেছিলেন।
সেই লাই পেয়েই দুর্নিতিবাজ কর্তারা বিনা দ্বিধায় মুক্তিযুদ্ধার সন্তানকে নির্বিচারে বর্খাস্ত করতে পেরেছে।

কোটা ব্যাবস্থা বিতর্কিত করা না হলে এই ছেলের গায়ে হাত দেয়ার সাহস পেত না, দুর্নিতিবাজ কর্তারা।
ইতিমধ্যেই সরকার উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশে সেই ছেলের চাকুরি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এভাবে কি বলা ঠিক?

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪

বলেছেন: বয়োবৃদ্ধ লোকটা কি পেলো আর কি দিলো একটু বিস্তারিত বললে ভালো হতো।।।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বয়োবৃদ্ধ লোকটির প্রাপ্য সুবিধা কেউ বন্ধ করেনি।
বরং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিচয়ে স্থানীয় সাংসদের সুপারিসে ছেলের একটি চাকুরি হয়েছিল, ৩ বছর পর কোন কারনে চাকুরি চলে যায়। উনি ব্যাপারটি আবার সাংসদের গোচরে আনতে পারতেন, বা অন্য কোথাও উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করতে পারতেন।
কিন্তু কিছুই না করে বা হয়তো মসজিদে কোন গ্রুপের পরামর্শে বা অন্য কোন অসুভ মহলের পরামর্শে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ও রাষ্টিয় মর্যাদাকে অসম্মান করে নিউজ তৈরি করেছেন।
এটা আমার কাছে ভাল লাগে নি।

ভুলে যাওয়ার কথা না।
মাত্র কিছুদিন আগেও চিহ্নিত চক্রের মদদে তথাকথিত কোটাআন্দোলনে যারা মুক্তিযুদ্ধ কোটার, সন্তানদের কোটার প্রবল বিরোধিতা করেছিল।
এখন এরাই এখন এই মুক্তিযোদ্ধার রাজাকারি উক্তির কারনে ওনার সন্তানের জন্য দরদ উথলে উঠেছে।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:




প্রিয় হাকা ভাই,
যতটুকু জানি, আপনি নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা সর্বোপরি সম্মানের পাত্র। তাদের নিয়ে আরেকটু ভেবে চিন্তে লেখা উচিত বলে মনে করি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এমন দাবি কখনো করিনি।
মুক্তিযোদ্ধারা সর্বোপরি সম্মানের পাত্র। সঠিক বলেছেন নকিব ভাই।

বাংলাদেশে কত লাখ লাখ লোক বিভিন্ন কারনে বঞ্চিত।
কিন্তু হঠাৎ একটি সামান্য বঞ্চনার কারনে এই মুক্তিযুদ্ধ করা বয়োবৃদ্ধ লোকটি (হয়তো কারো কুপরামর্শে) মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ও রাষ্টিয় মর্যাদাকে অসম্মান করে নিউজ তৈরি করেছেন।
এটা আমার কাছে ভাল লাগে নি। এজন্যই এত কথা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, নকিব ভাই।



১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মাদের দেশে বহু মুক্তিযোদ্ধা যোগ্য সম্মান পায় নি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধের মুল আদর্শ হত্যাকারি সামরিক সরকার ও জামাত-বিম্পি সরকার আমলে মুক্তিযোদ্ধারা যোগ্য সম্মান তো দুরের কথা কোন সম্মানই পায় নি।

আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্তদানকারি দল।
এই মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের সরকার আমলে রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত মাসিক ভাতা ও সন্তানদের কোটা অধিকার দেয়াতে মুল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ব্যক্তিত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুড়ো মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা আগে বলতো "বুড়া মরে না কেন"
গ্রামের চা দোকানদার বিবিসির খবর শুনতে বেশিক্ষণ বসতে দিত না। বলতো "চাচা উঠেন,কাষ্টমার আইবো"

বর্তমানে চাচার পকেটে প্রতি মাসে নগদ ১৫ হাজার,
এখন চাচা রাস্তা দিয়া হাইটা গেলেও চা দোকানদার ডাকে "চাচা একটু বইসা যান, টিভিতে খবর হইতেছে। কি খাইবেন বলেন।"
সন্তান নাতি-পুতি্দের কাছে বুড়ার এখন কত সম্মান!
এখন প্রতি ঈদে সুন্দর পাঞ্জাবি গিফট তো মাষ্ট!

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি অনেক রেগে আছেন। প্রশাসন কিন্তু ঠিকই সদ্য প্রয়াত সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের ছেলেকে চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। অভিনন্দন প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের। আজকের প্রথম আলো দেখুন- অভিমানী সেই মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে চাকরি ফিরিয়ে দিল প্রশাসন

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

আখ্যাত বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখী তার নিজের মতটি প্রকাশ করেছেন
তাকে এভাবে তুলোধুনা করার পক্ষে আমি নই।
অন্যের মতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল হতে পারলাম না আজও।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

রাশিয়া বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধাকে 'ধিক্কার' জানানোর কোন যোগ্যাতা বা অধিকার একজন অমুক্তিযোদ্ধার নেই। তারা কোন পরিস্থতিতে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়েছিল, সেটা অনুধাবন করলে মুক্তিযোদ্ধাকে চিরকাল মাথায় তুলে রাখার কথা। তারা বেফাঁস কোন কথা বলে ফেললেও সেটা উপেক্ষা করা উচিত, তা নিয়ে বিশ্লেষণে যাওয়া নিতান্তই গাধামি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মাত্র ৩৫ মিনিট আগে জন্মগ্রহণ করে কোন পোষ্ট না লিখে এইডা কি কইলেন?

পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ২টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৩৪ মিনিট ১১ সেকেন্ড
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবাই যখন 'বিষয়টা'কে নিয়ে পজিটিভিলি আর নেগেটিভলি ব্যবহার করছে তো উনিও বাদ যাবেন কেন? আমাদের শিল্পীরা গোসসা করে বলেন, মরণোত্তর পুরস্কার চাই না, কেউ বলেন, আমার লাশ যেন এফ ডিসিতে না যায়, তো উনিও সেই সমাজের অংশ হিসেবে গোসসা করে বলে দিয়েছেন আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়া হয়...
আপনি কমেন্টস-এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন। আগের ২ টা পোস্টে মন্তব্যর উত্তর এখনো পাইনি...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সরি ভাই।
উত্তর দিতে প্রায়ই দেরি হয়ে যায়,
আর আমি একটু ভেবেচিন্তে একটু ডিটেইল মন্তব্য করতে পছন্দ করি। তাই আরো দেরি হয়ে পরে তামাদি হয়ে যায়।

আপনার ধারনা অনেকটা সঠিক
অনেকে গোসসা করে অনেককিছু বলে, আসলে এসব কথার কথা, বাস্তবে কিছু করা হয় না।
কিন্তু একটি মহল এটি হাইলাইট করে নিউজ তৈরি করাতে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরা লাফানোর সুযোগ পেয়েছে

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আপনি কি মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান?

মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকলে, আপনার এই কমেন্ট মেনে নেয়া যায়। সহযোদ্ধার প্রতি অভিমান থাকতেই পারে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে থাকলে, পিতৃতূল্য কাউকে দোষারোপ করাটা সীমা-লংঘন।

আর, কেন জানি মনে হচ্ছে, আপনি ঘটনাটায় ব্যথিত হয়ে এমন লেখা দিয়েছেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মুক্তিযুদ্ধ করার কথা না।
আমার পিতাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি, তবে সমর্থন ছিল।

তবে কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের অধপতন মেনে নেয়া যায় না।
বীরউত্তম কাদের সিদ্দিকি সেদিন বলেছিলেন - "জামাত ৭১ সালে যেটা বুঝেছিল, আমাদের সেটা বুঝতে ৪৮ বছর লাগলো"
এটা কোন মুক্তিযোদ্ধার ভাষা হতে পারে?

২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১১

আল ইফরান বলেছেন: লেখক বলেছেন 'কোটা ব্যাবস্থা বিতর্কিত করা না হলে এই ছেলের গায়ে হাত দেয়ার সাহস পেত না, দুর্নিতিবাজ কর্তারা

সিভিল এডমিনের কর্মচারীদের দূর্নীতির দৌরাত্ম্য বোধহয় আপনি জানেন না অথবা জেনেও না জানার ভান করে থাকেন। অযথাই একটা অন্যায্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যৌক্তিক আন্দোলনের বিষোদগার করলেন।

আর কথায় কথায় খালেদার সরকারকে টেনে না এনে আপনার নেত্রীর কন্যাকে স্বনামধন্য রাজাকার-পুত্রের সাথে বিবাহের বিষয়টা খেয়াল রাখবেন।

আর টাকা-কোটা দেয়াতে আমার কাছে আমার বাবার সম্মান বাড়ে নাই অথবা কমেও নাই। কোনটাই আমাদের জন্য প্রয়োজন হয় নাই কারন ততদিনে (১৯৭২-২০১২/১৩) বাবার জীবন সংগ্রাম প্রায় শেষ। আপনারা দলকানা লোকজন এই টাকা আর কোটার পূজা করতে থাকেন, আর অন্যায়কে ন্যায় বলতে থাকেন।
হ্যাপি ব্লগিং।

২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: বীরউত্তম কাদের সিদ্দিকিকে ভুল প্রমাণিত করতে পারলে উনি নিজেই খুব খুশি হবেন, মনে হয়। তবে, উনি সমরের মানুষ। রাজনীতিতে আসা উনার উচিৎ হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.