নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে পাকড়াও হল বাংলাদেশী ৩ আদমপাচার গডফাদার

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪



দির্ঘ বছরব্যাপি নজরদারির পর আর এক বাংলাদেশী মানব পাচারকারি অবশেষে পাকড়াও হলো ব্রাজিলে
এ নিয়ে ৩ বাংলাদেশী আদমপাচার গডফাদার গ্রেফতার হলো।

বাংলাদেশি মানবপাচারকারী গডফাদার সাইফুল্লাহ আল-মামুন ধরা পরেছে ব্রাজিলে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকুরিটির সহায়তায় ব্রাজিল পুলিশের হাতে ।
তাকে বিশ্বের সব থেকে ভয়াবহ মানবপাচারকারীদের মধ্যে একজন হিসেবে বলা হচ্ছে। বৃহসপতিবার মার্কিন ও ব্রাজিল নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত একটি পাচারকারী দাললচক্র গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় তারা।

আল-মামুন ব্রাজিলের শহর সাও পাউলোতে বাস করতেন। সেখানে তাকে লক্ষ্য করেই ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। একইদিনে আরো তিনটি শহরেও বড় ধরনের অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান পরপর ৪২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব অ্যাকাউন্ট দিয়ে অর্থ আদান-প্রদান করতো পাচারকারী দলগুলো।

আল-মামুন শরণার্থী হিসেবে ব্রাজিলে আসেন ৬ বছর আগে। সাওপোলোর পাশে ব্রাস অঞ্চলে বাস করতেন তিনি। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর সাওপোলোর কাছেই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে (নেপাল আফগানিস্তান বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম) থেকে অনেক আদম আমদানী করে সাওপোলোতে রাখা হতো। তাদেরকেই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পাচার করতেন আল-মামুন। এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে মামলা ও হুলিয়া ছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উনি পেরু, ইকুয়েডর, কলোম্বিয়া, পানামা, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর মাফিয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচার করছেন।


এর আগে মেক্সিকোর একটি চক্র, এ চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে মোকতার হোসেন (৩০) নামক এক বাংলাদেশিকে ২৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর পুলিশ যৌথ এক অভিযানে। ৩০ নভেম্বর তাকে হিউস্টনে এনে কোর্টে সোপর্দ করা হয়। এই যুবক মেক্সিকোর মনটেরি সিটিতে হোটেল খুলে মানবপাচারকৃত দের কিছুদিন রেখে মেক্সিকো সীমান্তে পাচার করতো ।

সেই হোটেলটিই মূলত বিভিন্ন দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে বিশ্রামকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশিদের কাছে। দালাল চক্রের সস্য হিসেবে মোকতার হোসেন এসব যুবক-যুবতীকে ট্রাক অথবা ভ্যানে ভরে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়। ইউএস বিচার বিভাগের ক্রিমিনাল ডিভিশনের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান এ বেঞ্চজয়োস্কি, টেক্সাস সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিক এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তদন্ত সংস্থার স্পেশাল এজেন্ট শ্যান এম ফল্ডেন সম্মিলিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী নেটওয়ার্কের সদস্য হিসেবে মোকতার হোসেনের গ্রেফতারের ঘটনাবলি উপস্থাপন করেন।

মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের সদস্যরা মোকতারের হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনেক তথ্য উদ্ধার করেছে। এই হোটেলকে অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে মেক্সিকো পুলিশ। এ অভিযানে বিস্তারিত সহায়তা দেয় ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এজেন্টরা। মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ এ সংবাদদাতাকে নিশ্চিত করেছে যে, মোকতার হোসেন বেআইনিভাবে বাস করছিলেন মন্টেরিতে। মেক্সিকোর পাবলিক সিকিউরিটি সেক্রেটারি আল্ডো ফাসি আরও জানান, মোকতারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দেশেই আদম পাচারের মামলা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিচার শেষ হলে মেক্সিকোতে আনা হবে। এরপর তাকে অন্য দেশের বিচারালয়ে সোপর্দ করা হবে। কমপক্ষে এক হাজার নারী-পুরুষ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন দেশে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়েছে।

উল্লে­খ্য, স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পাড়ি জমানোর জন্য বহু আদম ১০-১২ লাখ টাকা পাচারকারদের হাতে দিয়ে দক্ষীন আমেরিকার বিভিন্ন শহরে এনে রাখা হত। এরপর টেক্সাস সীমান্তে পৌঁছে দেয়া হত নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে। মন্টেরিতে নিজের হোটেলে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন সবার জন্য। এরপর পরিচিত ড্রাইভারকে ভাড়া নিয়ে ওদের পাঠিয়ে দেয়া হোত সীমান্তে। এর পর ধরা পরে দীর্ঘদিন ধরে যারা অভিবাসনের ডিটেনশন সেন্টারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, মুক্তির কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদেরই কেউ কেউ ক্ষুব্ধচিত্তে মোকতার হোসেনসহ পাচারকারী চক্রের অনেকের তথ্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন। এ চক্রের সদস্যরা নিউইয়র্ক, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, পানামায় আস্তানা। অনেক পাকিস্তানিও আছে। তবে বাংলাদেশিদের আশ্রয় এবং দুর্গম পথে চলতে সহায়তাকারীদের অধিকাংশই মেক্সিকো সীমান্তে অস্থায়ী বসবাসরত বাংলাদেশি বলেও জানা গেছে।

মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশি সহ অনেক আদম টেক্সাস সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার অভিযোগ।





ব্রাজিল পুলিশের তথ্যমতে, আল-মামুন ও তার গ্যাং আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান, ভিয়েতনাম থেকে মানুষদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমে তাদের থেকে প্রায় ১৩ হাজার মার্কিন ডলার করে নেয়া হতো। তারপর তাদেরকে প্রথমে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় এচর প্রদেশে পাঠিয়ে দেয়া হতো। সেখান থেকে দীর্ঘ ও ভয়াবহ এক যাত্রার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্দেস্যে মেক্সিকো সীমান্তে পাঠানো হতো। এর জন্য অভিবাসীদের পাড়ি দিতে হতো আমাজন বন মধ্য আমেরিকার ওপর দিয়ে বিপদসংকুল নানা পরিবেশ। শেষ পর্যায়ে তারা মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তে হাজার হাজার অপেক্ষমান ল্যাটিনো আশ্রয়প্রার্থীদের সাথে মিসিয়ে দেয়া হত।
পরে এরা সাতরে নদী পার হয়ে হেঁটে টেক্সাস বা ক্যালিফোর্নিয়া ঢুকার চেষ্টা করতো, অনেকেই ডুবে মরতো।




এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯,মানবপাচারের অভিযোগে মিলন মিয়া নামে এক বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থের বিনিময়ে তিনি টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে কমপক্ষে ১৫ জন বাংলাদেশীকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এ অভিযোগে গত ৩১ শে আগস্ট টেক্সাসের হিউসটনে অবস্থিত জর্জ বুশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছামাত্র তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বসবাস করেন মেক্সিকোর টাপাচুলায়। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিলান মিয়াকে ৩রা সেপ্টেম্বর টেক্সাসের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জাজ ডেনা এইচ পালমেরো’র আদালতে তোলা হয় মামলার প্রাথমিক শুনানির জন্য। এতে মিলন মিয়াকে আরো ফৌজদারি অপরাধের শুনানির জন্য জেলে আটক রাখতে নির্দেশ দেন বিচারক।

ওই বিবৃতি অনুযায়ী, মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে- তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশীদের পাচার করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে অর্থের বিনিময়ে অনেক নাগরিককে মেক্সিকো নিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি ১৫ জন বাংলাদেশীকে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আরও অভিযোগ আছে যে, তিনি মেক্সিকোর টাপাচুলায় একটি হোটেল ব্যবসা করেন। বিভিন্ন মানুষকে সেখানে নিয়ে রাখেন তিনি। তাদেরকে খাবার দেন। আশ্রয় দেন। তারপর তাদেরকে বিমানের টিকেট দেন মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার। সেখানে পাচারকারীদের সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দেয়া হয় ওইসব মানুষকে। পাচারকারীরাই ওইসব ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যায়। গত সপ্তাহে এমন অভিযোগ স্বীকার করেন মিলন মিয়ার এক সহযোগী মোকতার হোসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের ক্রিমিনাল ডিভিশনের সহকারী এটর্নি জেনারেল ব্রায়ান এ বেনজোওস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে মানব পাচারকারী চক্রগুলো। মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে একটি শক্ত বার্তা দেয়া হয়েছে যে, যেসব ব্যক্তি ব্যক্তিগত লাভের জন্য আমাদের জাতীয় অভিবাসন আইনের প্রতি ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর আইন মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে টেক্সাসের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট-এ যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি রায়ান কে প্যাট্রিক বলেছেন, আমাদের সীমান্তকে নিরাপদ করা জাতীয় নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারীদের অগ্রাধিকার।
মাঝে মধ্যে আমাদের সীমান্তকে অপকর্মে ব্যবহার করতে কিছু বেপরোয়া সংগঠন সহযোগিতা করে। এসব নিয়ে অনুসন্ধানী কাজ করে বহু এজেন্সি। এসব কারণে বেপরোয়া পাচারকারি এসব গ্রুপকে থামানো হয়েছে এবং বিদেশী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়েছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





ঠেঙ্গানো হবে কি পরিমান তা বিস্তারিত লেখার জন্য অনুরোধ করছি। - গুড জব।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকুরিটি ও এফবিআই দির্ঘদিন তদন্ত করে এদের চিহ্নিত করে ব্রাজিল ও মেক্সিকো পুলিশের সহায়তায় এদের পাকড়াও করে।
মার্কিন পুলিশের হাত অনেক লম্বা। সরাসরি ব্রাজিলে ঢুকে স্থানীয় পুলিশের সাথে মিলে অপারেশন চালায়।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ কেন যে অবৈধ ভাবে বিদেশ যায়!!
আদম বেপারির চেয়ে যারা সব জেনে বুঝে যায় তারা আরো বেশী খারাপ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পায়ে হেটে সাপের কামড়ে, নদী সাতরে পার হতে ডুবে বা নিখোজ হয়ে এজাবত হাজারের উপর বাংগালী মারা গেছে।

এভাবে বাপের ১৫-২০ লাখ টাকা খরচ করে পায়ে হেটে জীবনের ঝুকি নিয়ে আমেরিকা আসার কোন মানে হয় না।
পরে আরো ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে নিজেকে মিথ্যা বিএনপি-জামাত পরিচয় দিয়ে, বাংলাদেশে তার জীবন বিপন্ন ইত্যাদি বলে এটর্নি ভাড়া করে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এত সহজ হয় না।
অবৈধ বলে সহজে কাজ পাওয়া যায় না। এই টাকা ঊঠে আসে তো দুরের কথা, পেটেভাতে কোনমতে বেচে থেকে।
এরচেয়ে বাংলাদেশে রিক্সা চালানো ভাল, নিউইয়র্কে অবস্য এর চেয়ে জঘন্য কঠিন কাজ করতে হয়

অতচ ২০ লাখ দিয়ে বাংলাদেশে অনেককিছু করা যায়।
কিছুই না করলেও ২০ লাখ সঞ্চয়পত্র করলে মাসে ১৭/১৮ হাজার টাকা বসে বসেই পাওয়া যায় বাংলাদেশে

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেই মানব পাচারকারির সামান্যই শাস্তি হল।


টেক্সাসের আদালতে বাংলাদেশির ৪৬ মাসের কারাদণ্ড
কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা
প্রথম আলো। প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ২২

টেক্সাসের আদালতে বাংলাদেশির ৪৬ মাসের কারাদণ্ড
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি নাগরিক মিলন হোসেনের ৪৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আদালত।

আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাঁকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে মানব পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ওই নাগরিকের কারাদণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আদালতে উপস্থাপিত নথি থেকে দেখা যায়, ৪১ বছর বয়সী বাংলাদেশের মোহাম্মদ মিলন হোসেন মেক্সিকোর তাপাছুলাতে বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশ, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোতে বসবাসরত মানব পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজসে বিপুল টাকা নিয়ে লোকজনকে মার্কিন সীমান্তের কাছে নিয়ে আসতেন। পাচারের শিকার হওয়া লোকজনকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর আগে রাখতেন মেক্সিকোর তাপাছুলার একটি হোটেলে। তিনি যেসব লোক যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন, তাঁদের টিকিটসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহায়তা দিয়ে মেক্সিকোর মন্টেরিতে তাঁর সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে পাঠাতেন। এরপর মোক্তার মন্টেরি থেকে ওই লোকজনকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে সহায়তা করতেন।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের অপরাধ বিভাগের সহকারী মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল কেনেথ এ পোলিট বলেন, মানব পাচাকারীরা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশের অভিবাসীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন। হোসেনের মতো মানব পাচারকারীদের আটক করে তাঁদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের মূলোৎপাটনের জন্য মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় দেশে এবং বিদেশে তার অংশীজনদের নিয়ে তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.