নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগ, বাবরি মসজিদ। এই রায়ে সন্তুষ্ট নই

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৫




আদালত তথা বিচারক নিজস্ব বিবেক বিবেচনা থেকে কোন রায় দিতে পারে না।
আদালত রায় দেয় বাদি বিবাদি পক্ষের উকিলদের উত্থাপিত যুক্তি, প্রমান, দাবি ইত্যাদি শুনে বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী রায় দেয়া হয়।
কোন একটি পক্ষ ঢিলেমি করলে, বা অনুপস্থিত থাকলে একতরফা রায় হয়।
তবে এখানে সব পক্ষই কঠিনভাবে যুক্তি তুলে ধরেছে।

বিচারকদের রায়ে ১০৪৫ পৃষ্ঠার রায়ে যা বলা হয়েছে।

যে জমিতে বাবরি মসজিদ, ২ দশমিক ৭৭ একর বিরোধপূর্ণ জমিতে মন্দিরের জন্য হিন্দুত্তবাদিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষনে বলা হল “যেহেতু বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়, তাই আইনের ভিত্তিতেই জমির মালিকানা ঠিক করা উচিৎ।" তারপর রায় দিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টকে কেন্দ্র করে যার মূলকথা ছিল মসজিদ যেখানে নির্মিত হয়েছে সেখানে কিছু স্থাপনা ছিল, কিন্তু তা যে কোনো উপসনালয় ছিল তার কোনো প্রমান মিলেনি;
বাবরি মসজিদ ভাঙাকে নিন্দনিয় ও বেআইনি বলেছে।
বাবর কোন পয়গম্বর বা নবী ছিলেন না। উনি ফাঁকা জমির ওপর মসজিদ বানায় নি। সেখানে আগেও কিছু ছিল এবং সেটা মুসলিম স্থাপত্য নয়।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের আগেও (মুসলিম শাসন কালে) সেখানে হিন্দুরা উপাসনা করত এই প্রমান পাওয়া গেছে।
ওই জমির ওপর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড তাদের অধিকার প্রমান করতে পারেনি।
হিন্দুদের বিশ্বাস যে ওখানে রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছেন। আদালত এখানে বিশ্বাসটাকে সত্যি বলেন নি বলেছেন বিশ্বাসটা হিন্দুদের মধ্যে আছে
এর আগে বিচারকেরা বলেছেন বাবরি মসজিদের জায়গাতেই নামাজ পড়তে হবে এই ধরণের কোন দাবি ইসলাম ধর্মে সমর্থন পাওয়া যায় নি। মুসলিমরা যেহেতু হিন্দুদের মত পৌত্বলিক নন, ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর অদৃশ্য। এই ধর্মে স্থাপনা ভিত্তিক পুজা হয় না। তাই বাবরি মসজিদ অন্য জায়গাতে গড়ে দিলে তাদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত লাগার কথা না।
কিন্তু হিন্দুদের ক্ষেত্রে যেহেতু পৌত্তলিকতা স্থাপনা পুজা আছে সেখানে স্থানের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই রায়ে সন্তুষ্ট নই।

মসজিদ যেখানে নির্মিত হয়েছে সেখানে কিছু স্থাপনা ছিল, কিন্তু তা যে কোনো উপসনালয়/মন্দির ছিল তার কোনো প্রমান মিলেনি; রামমন্দিরের তো দুরের কথা।
ষোড়শ শতাব্দীর মসজিদ ওটা নামাজের জন্য বিখ্যাত ছিল না। বিতর্কের কারনে প্রায় ২০০ বছর কোন নামাজ পড়া হয় নি। এখন আংশিক ভেংগে ফেললেও এটিকে একটি প্রাচীন পুরাকীর্তি একটি স্থাপত্য হিসেবে বিবেচনা করি।
রায়ে হিন্দুত্ববাদিদের ও মুসলমানদের কাউকেই না দিয়ে না দিয়ে প্রাচীন পুরাকীর্তি হিসেবে পর্যটন স্পট হিসেবে রাখা হলে খুসি হতাম।

আর ধার্মিক হিন্দু বা মোসলমানদের উপাসনার জন্য জনগনের করের টাকায় রাষ্ট্র জমি দেবে কেন?
ধার্মিকরা যার যার ব্যাবস্থায় চাঁদা তুলে কিনে বানিয়ে নিবে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৭

জোবাইর বলেছেন:

আমিও আপনার মতামতের সাথে প্রায় একমত।

বিতর্কিত জমিটি রামমন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া হলো যে যুক্তিতে :


অযোধ্যারই অন্য কোনও অংশে মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইভাবে রামমন্দির তৈরির জন্যও বিকল্প জমির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে এই অভিশপ্ত ভাঙ্গাচোড়া বাবরি মসজিদটি হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার কলঙ্কিত পূরাকীর্তি হিসাবে রক্ষণাবেক্ষনের নির্দেশ দিতে পারতো সুপ্রিম কোর্ট।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মসজিদটি হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার কলঙ্কিত পূরাকীর্তি হিসাবে সুরক্ষা দেয়া উচিত ছিল
আপনার প্রস্তাব খুবই যুক্তিযুক্ত। আমিও সেরকমই ভেবে পোষ্টের শেষে মতামত রেখেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন: তোমার সাথে একমত।

গোবরের প্রভাব দেখলো বিশ্ববাসী। এখন মুসলমানদের নেতাজি মাননীয় বদশা সালমান জির উচিত ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিদেরকে পুরস্কৃত করা।


যত্তসব পাগলামি৷

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইয়োর অনার দ্যা প্রেসিডেন্ট।
মুসলমানদের নেতা প্রিন্স সালমান নিজে বিভিন্ন চাপে ভেজালে তাই নিশ্চুপ।
মুসলমানদের আরেক প্রিন্স, "বাংপাকিদের বুলবুল" ভিক্কার থালা নিয়ে বের হয়েছিল বিভিন্ন দেশে দেশে, উনিও কিছু বলতেছে না বা ওনার মোবাইল চার্জ শেষ।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন স্যার।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

রাশিয়া বলেছেন: এখন কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে বিচারক হয়তোবা আপনাকে সন্তুষ্ট করেই রায় দিত। কিন্তু কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি যেহেতু ক্ষমতায়, তাই বিচারকেরা নিজেদের পিঠের নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করেছে। ভারতে মুসলিম শাসনের হাজার বছরের ইতিহাসে কোথাও হিন্দু মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ বানানো হয়েছে বলে জানা যায়নি।

যদিও নামাজ হোতনা, কিন্তু আগে মসজিদ ছিল - এমন জায়গায় মন্দির বানিয়ে পূজা অর্চনা করা হবে - এরকম ব্যাপার মুসলিমদের পোড়াবে। তা যে কখনও প্রতিশোধ স্পৃহায় পরিণত হবেনা - এ কথা জোর দিয়ে বলা যায়না।

সম্রাট আকবরের সময়ে একবার মসজিদের ইট লুট করে তা দিয়ে মন্দির বানিয়েছিল একদল দুষ্কৃতি - যা নিয়ে ভয়াবহ গোলযোগের আশঙ্কা করা হয়েছিল। সম্রাট খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে তা সামলে নিয়েছিলেন কাউকে বিরাগভাজন না করেই।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এত সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।
২০০ বছর নামাজ হোত না, এমন মসজিদ হারিয়ে মুসলিমদের পোড়াবে বলে মনে হয় না।
মুসলিম পক্ষ মামলার বাদি 'সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড' ইতিমধ্যেই রায় মেনে নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মুসলিম দেশের ভেতর বাংলাদেশের লোকজনই ভারতের চেয়ে বেশী উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানে কেউ রিএক্ট করতে দেখা যায় নি। এশীয় মুসলিম দেশগুলো, মধপ্রাচ্য, তুরষ্ক কোথাও কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

ধ্যত্তেরিকাষতড়এএতধ্যত্তেরিকা বলেছেন: তাজমহল নিয়েও অমন ফিসফাস আছে। দেখা যাক মোদীর দম কত?

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
যদি আপনার হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা থাকে তবে যুক্তি, ইতিহাস, মানবতা অকেজো । যা আমরা বিশ্বজুড়ে দেখছি ।
এখন আমরা কেবলমাত্র আল্লাহর কাছেই মুসলিমদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করতে পারি ।কেবলমাত্র আল্লাহই সবকিছু পরিবর্তন করতে পারেন ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কেবলমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করাটাই ভাল।
এর চেয়ে বাড়াবাড়ি করলে দেশের পাবলিকের সমস্যা।

তবে টিভি ও মিডিয়াগুলো এবার খুবই দায়িত্বশিলতার পরিচয় দিয়েছে দেখলাম, ৩য় হিসেবে খবরটি সংক্ষিপ্ত, স্ক্রলেও বুলবুলি ঝড়ের খবর অন্যান্ন খবর দেখালেও এই রায়ের খবর দেখাচ্ছে না, প্রথমআলোো অনলাইন সাবধানতার সাথে খবরটি একটু দেরিতে, সাইজেও ছোটকরে দিয়েছিল।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

এই রায়, মুসলিমরা মনে করছেন হিন্দুদের পক্ষে গেছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতের মুসলিম ও মুসলিম নেতারা রায়ে সন্তুষ্ট বলেই মনে হচ্ছে।
তেমন কোন বড় রিএকশান নেই।
মামলার বাদি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ ফারুকি যেমন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, "আমরা বিনম্রতার সঙ্গে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।"
"যদি কেউ এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার কথা বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত মত - ওয়াকফ বোর্ডের নয়।"
"দেশের হিত ও শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে আমরা এই আকারেই রায়টি কবুল করে নিচ্ছি।"
হায়দ্রাবাদের এমপি ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছিলেন, মুসলিমরা দুর্বল হলেও অতটাও গরিব নয় যে নিজেরা চাঁদা তুলে আল্লাহর ঘর বানানোর জন্য পাঁচ একর জমি কিনতে পারবে না।

প্রবিন চিত্রনাট্যকার সেলিম খান কিন্তু মনে করেন ওই জমি মুসলিমদের অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
সুপারস্টার সালমান খানের পিতা বলিউড চিত্রনাট্যকার সেলিম খান বলছেন, "মুসলিমদের প্রতি আমার পরামর্শ হবে জমিটা নিন, কিন্তু ওখানে মসজিদ বানাবেন না।"

"তার বদলে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি বা হাসপাতাল বানান - পাঁচ একর কিন্তু খুব কম জায়গা নয়।" মসজিদ অনেক আছে
"আমাদের মসজিদের আর দরকার নেই, নামাজ তো আমরা ঘরে বসে বা ট্রেনে-বাসে-প্লেনে যেখানে খুশি পড়তে পারি - কিন্তু আমাদের শিশুদের সবার আগে দরকার শিক্ষা।"
সুপ্রিম কোর্টের গতকালের রায়ের পরই মসজিদ-মন্দির নামক এই পিকচারের 'দ্য এন্ড' হয়ে যাওয়া উচিত।

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

মা.হাসান বলেছেন: এই রায়ে ভারতের বাইরের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানরা ক্ষুদ্ধ, ভারতীয় মুসলমানরা ভীত, আরএসএস গ্রুপ আনন্দিত, ভারতীয় বুদ্ধিজীবিরা শংকিত।

নাদির শাহ বা সুলতান মামুদের মতো লোকের লক্ষ্য ছিল লুটপাট। কিন্তু মুঘলরা ভারতে থাকতে এসেছিলো। আজকের ভারত যে অবস্থায় আছে এর কৃতিত্ব মুঘল এবং ইংরেজদের। এর মধ্যে ইংরেজরা এসেছিলো ব্যবসা করতে।

আদালতের রায়ে সব পক্ষকে সন্তোষ্ট করা সম্ভব না, তবে রায় যৌক্তিক হলে ভালো হতো। মুঘল সম্রাটদের মধ্যে আলমগীর ছাড়া আর কেউ তেমন ধার্মিক ছিলেন না। ইতিহাসবিদদের মতো আলমগিরের উপদেষ্টাদের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সংখ্যা আকবরের উপদেষ্টাদের মধ্যের সনাতন ধর্মাবলম্বিদের চেয়ে বেশি ছিলো। আমি বলতে চাই, মুঘলরা ধর্ম প্রচারের জন্য না, রাজত্ব করার জন্য এসেছিলেন, তাদের ইনটেনশন পলিটিকাল ছিলো (একমাত্র আলমগির ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন)। বাবর মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন এমন হবার সম্ভাবনা দেখি না।

এই অঞ্চলের সভ্যতা অনেক পুরাতন। বাংলাদেশের পাহাড়পুর (নওগাঁ), বগুড়া, কুমিল্লা, নরসিঙদি- এসব অঞ্চলে মাটির নিচে অনেক প্রাচিন স্থাপনার খোঁজ পাওয়া গেছে, এখনো যাচ্ছে। কেউ যদি দাবি করে ওখানকার কোন মন্দির স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ ভেঙে, এবং যদি মন্দিরের নিচে পুরাতন কোন স্থাপনার অস্তিত্ব পাওয়া যায় তবে এটা নিয়ে ক্যাচাল করা সম্ভব, কিন্তু যৌক্তিক না।

যতদুর মনে পড়ে ভি পি সিং প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে বলেছিলেন- মন্দির বানাতে হবে বানান, মসজিদ ভেঙে বানাতে হবে কেন? ওনার দল পরবর্তি নির্বাচনে ভালো কিছু করতে পারে নি। ভারতে এই মসজিদ রাজনৈতিক কারণে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।

রায়ের নেগেটিভ দিকঃ ভারতীয় সরকার বা বিজেপি-আরএসএস গং যে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার উপরেও কিছুটা নিয়ন্ত্রন স্থাপন করেছে এটা খুব শংকার। পাকিস্তান এবং ভারত উভয় দেশে উগ্রপন্থীদের উত্থানের ফলে যে উত্তাপ সৃষ্টি হচ্ছে , এর থেকে আমরা বাঁচতে পারবো না।

পজিটিভ দিকঃ ১)বহু দিনের অচলাবস্থার অবসান হলো। ঐ এলাকা নামেই মসজিদ, মুসলমানরা স্মরন কালের মধ্যে ওখানে এবাদতের সুযোগ পায় নি। এখন অন্য জায়গায় হলেও নতুন মসজিদ পাবে। আশা করি সেখানে নির্ভয়ে এবাদতের সুযোগ থাকবে। ২) অন্য রকম রায় হলে আরেকটা দাঙা হতো, আরো কয়েক হাজার মানুষ মারা যেত। আমি ব্যক্তিগত ভাবে রায়ে খুশি।

বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রত্যাশা-- ৯০এর দশকে দেখেছি বাবরি মসজিদ ভাঙার পর বাঙলাদেশে উগ্রপন্থিরা মন্দির ভেঙে সওয়াব কামিয়েছে। খারপ আবহাওয়ার কারণে দেশে এখনো ঝামেলা হয় নি। কিন্তু অনেক মসজিদেই জুম্মার নামাজের পর জিহাদের ডাক দেয়া হয়। সরকারের সতর্ক থাকা উচিৎ যেন এবার বাংলাদেশে উগ্রপন্থীরা ঝামেলা বাধাতে না পারে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক সুন্দর স্থাপনাটি ভেংগে মন্দির করাটা খুবই বেদনাদায়ক বিশ্রি জঘন্য কাজ হবে।


ভারতের ও ভারতের বাইরের মুসলিমরা মনে করছেন এই রায়, হিন্দুদের পক্ষে গেছে।
কিন্তু আদালত ইচ্ছে করলেই ইচ্ছামত যে কোন রায় দিতে পারে না।
উকিলদের তুলে ধরা যুক্তি প্রমান ভিত্তি করেই রায় দেয়।
ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রত্নতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে প্রস্তুত করা একটি রিপোর্ট ভিত্তি করেই সুপ্রিম কোর্ট রায়টি দিতে পেরেছে। সেই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ চিফ একজন মুসলিমই ছিলেন।
অযোধ্যার বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে মন্দির বানানোর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট শনিবার যে রায় দিয়েছে, তার পেছনে এই মুসলিম প্রত্নতাত্ত্বিক রিপোর্টটি একটি বড় ভুমিকা রেখেছে।


আর জমি দেয়াটাও আমি সমর্থন করতে পারছি না। ভারতে মসজিদের অভাব নেই। আর নামাজ সবার জন্য ফরজ, মসজিদ নেই তাই নামাজ পড়বো না, আন্দলন করবো। এই অযুহাত চলে না। বাসায় নামাজ পড়লেও ১০০% নামাজ আদায় হয়। যাক যখন জমি দিয়ে ফেলেছে, ভাল।

আপনি ঠিকই বলেছেন - পাকিস্তান এবং ভারত উভয় দেশে উগ্রপন্থীদের উত্থান। টার্কিতে উদারপন্থিদের কবর হয়ে গেছে।
আমেরিকায় ট্রাম্প আবারো নির্বাচিত হতে যাচ্ছে, কানাডায়ও কট্টর উগ্রডান উত্থানে ট্রুডো নিরঙ্কুশতা হারালো। জার্মানি ও ফ্রান্সেও কট্টর উগ্রডান পন্থিদের আগ্রাসন। কাছাকাছি এসে গেছে, নেক্সট ইলেকশানে বিপদ ঘটানোর সমুহ সম্ভাবনা। আগামীতে আরো দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে মানব জাতীর।
যাই হোক।

স্থাপনাটি কোন পক্ষকে না দিয়ে হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার কলঙ্কিত পূরাকীর্তি হিসাবে রেখে একটি যাদুঘর হিসেবে সুরক্ষা দেয়া হলে আমি সবচেয়ে খুশি হতাম।
আদালত দেয় নি কারন কোন পক্ষই এমন দাবি করেনি।


বাংলাদেশে দাংগা এড়াতে টিভি ও মিডিয়াগুলো এবার খুবই দায়িত্বশিলতার পরিচয় দিয়েছে।
রায়টি চরম হট নিউজ হওয়া সত্তেও স্ক্রলে রায়ের খবর দেখায় নি, খবরেও বুলবুল ঝড়ের খবরের পরে সংক্ষিপ্ত ভাবে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বিবিসি বাংলা পরিকল্পিত ভাবে গত ৯ দিন জাবত বাবরি মসজিদ দিয়ে দিনের পর দিন বাংলাদেশ কে টার্গেট করে উষ্কানিমুলক সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ডজনের পর ডজন রিপোর্ট
আর্টিকেলগুলো দেখলে বোঝা যায় বিবিসি বাংলা তত্তকালিন 'ইনকেলাবের' মত মরিয়া হয়ে চাইছে বাংলাদেশে ৯২ এর মত দাংগা লাগুক।

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫

স্পিরিচুয়ালহান্টার বলেছেন: যুগান্তরের ঘুর্ণিপাকে মুসলমানদের যে অবস্থা তাতে হাজার মসজিদ থাকলে ও তাদের ঈমানের হালত পরিবর্তন হবে না। যে জীবনে আমরা অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি তা রাসুল(সঃ) জীবন আদর্শ থেকে অনেক দূরে। মসজিদ দিয়ে কি হবে যদি রাসুলের আদর্শ কে জীবনে ধরে রাখতে না পারলাম। আল্লাহর জমিন মুসলমানের জন্য সিজদার জন্য উন্মুক্ত মসজিদ শর্ত নয়। তবে বাবরী মসজিদ এর রায় একটি টেষ্ট কেইস। এর পর নতুন নতুন আলামত দেখতে পাবো। তাই এখনই সময় এটার সমুচিত জবাব দেয়া। মসজিদের জন্য নয় অস্তিত্বের জন্য।

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: সবকিছূ ভোটে জিতে দুর্নীতি আর লুটপাটের জন্য।
নির্বোধ জনগণ ধর্ম ভালো খায়,এজন্যই তো এটা নিয়ে এতো ধান্ধাবাজি।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নির্বোধ জনগণ ধর্ম ভালো খায়। সত্য।

তবে দিন বদলাইছে।
মামলার মুসলিম পক্ষ 'সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড' এই রায় মেনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
ভারত ও পাকিস্তানে তেমন রিএকশান দেখা যায় নি।
মুসলিম দেশের ভেতর বাংলাদেশের লোকজনই ভারতের চেয়ে বেশী উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে।
ভারত পাকিস্তানে কাউকে উদ্বিগ্ন দেখা যায় নি। এশীয় মুসলিম দেশগুলো, মধ্যপ্রাচ্য, মালয় এলাক্‌ তুরষ্ক কোথাও কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি।

১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





ভারত উপমহাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একটি ডাষ্টবিন! ধর্ম হাড্ডি নিয়ে এখানে কামড়া কামড়ি চলতেই থাকবে !! আর ধর্মের নামে হত্যাযজ্ঞ - রক্ত বইতেই থাকবে !!!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারত উপমহাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একটি ডাষ্টবিন! 'ধর্ম হাড্ডি' নিয়ে এখানে কামড়া কামড়ি ..

সাধারন মানুষ ধর্মনিয়ে গ্যাঞ্জাম করে না। তাদেরকে পেছন থেকে পরিকল্পিত ভাবে উষ্কে দেয়া হয়।
সেই প্রাচীন কাল থেকেই।

নোয়াখালীর সাম্প্রদায়ীক দাংগা নৃসংসতা নিয়ে গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ের পোষ্টটি পড়ে আমার ট্রমা এখনো কাটেনি।
এখানেও সেই কল্লা কাটা গুজব!
"এবার পূজার জন্য ছাগবলির বদলে নরবলি হবে!
মুসলমানের কল্লা কেটে রক্ত দিয়ে দেবীকে প্রসন্ন করা হবে।"

কিভাবে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা গুজব বানিয়ে মসজিদে মসজিদে লোকজন উষ্কে দিয়ে গণহত্যার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল।
আর পরিকল্পিত ভাবে বিহারিদের নিয়ে নিয়ে মিলিশিয়া বাহিনী 'মিয়ার ফৌজ' 'কাশেম ফৌজ' বানিয়ে নৃসংসভাবে একতরফা ভাবে হিন্দু হত্যা শুরু করা হয়েছিল। খুনিদের নেতা গান্ধির অনুরোধ প্রত্যাক্ষান করে বলে "কলকাতা ও বিহারে দাঙ্গা না থামলে নোয়াখালীতেও থামবে না।

তবে এবার বাংলাদেশ খুব সতর্ক ছিল যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে হাংগামা শুরু করতে না পারে।
টিভি ও মিডিয়াগুলো এবার খুবই দায়িত্বশিলতার পরিচয় দিয়েছে।
রায়টি চরম হট নিউজ হওয়া সত্তেও স্ক্রলে রায়ের খবর দেখানো হয় নি।



১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



হাসান কালবৈশাখী ভাই,
টিভি ও মিডিয়াগুলো এবার খুবই দায়িত্বশিলতার পরিচয় দিয়েছে। রায়টি চরম হট নিউজ হওয়া সত্তেও স্ক্রলে রায়ের খবর দেখানো হয় নি। - সঠিক বলেছেন। ১৯৪৭ এ দেশ পার্টিশানের নামে সাম্প্রদায়ীক যেই দাংগা হয়েছে তা কল্পনাতীত হত্যাযজ্ঞ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ ভাই।
আপনি অনেক মনোযোগি পাঠক। আমার একটি নগন্য সাধারন পোষ্টে এখনো লক্ষ্য রেখেছেন। আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: এ রায় অবশ্যই হিন্দুদের পক্ষ্যে, মুসলমানদের বিপক্ষে এবং হিন্দুত্ববাদকে উস্কে দিবে......

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৮

ঢাকার লোক বলেছেন: আমার মতে এ রায় ভালই হয়েছে। এখানে আইন সাক্ষ্য প্রমানের চে ভবিষ্যতে চলমান অশান্তি প্রতিরোধে বিশেষ বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। অন্য যে কোন রায় হলে ভবিষ্যতে আবারো দাংগা হাংগামা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যেতো। এ রায়ে সংগত কারনেই মুসলমানগন মনে করতে পারেন তাদেের "লিগাল রাইট" থেকে বন্চিত হয়েছেন, তবে আশান্তি বা হানাহানি থেকে বাঁচার খাতিরে নিজস্ব কিছু রাইট ছাড়া কখনো দরকার হতে পারে। একে পরাজয় মনে করা ঠিক নয়। রসুলুল্লাহ (স) এর জীবনে হুদাইবিয়ার সন্ধি তার এক অনন্য উদাহরন।

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: আরবে নাস্তিক বাড়ছে অঅর ভারতে বাড়ছে মুসলিম হত্যাকারী ধর্ম-উন্মাদ।
কে প্রতিবাদ করবে?
করে কি লাভ হচ্ছে ফিলিস্তিন,কাশ্মীর,চীন,রাশিয়া,বার্মায়?
শক্তিই সত্য,অন্য সবকিছু ভুল।
https://www.ittefaq.com.bd/worldnews/64847/নাস্তিকের-সংখ্যা-বাড়ছে-আরব-দেশগুলোতে-জরিপ

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
আপনাকে অনেক দিন মিস করেছি। অষ্ট্রেলিয়া ঘুরে আসলেন নাকি?
আমার সেটাই মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.