নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা লিট ফেস্ট, সামান্য নাচ। নাচে কি সমস্যা?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১১



হায় হায় .. বাঙালি সামান্য কোমর দুলোনিতে চিত হয়ে পড়ে গেলে?
একটা গন্ডির ভেতর কজন দেশী বিদেশী নারী সামান্য কোমর দুলাইছে। পাছাও না বক্ষও না তাতেই সারা দেশে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প?

মানুষ নেচে গেয়ে আনন্দ করে নিজেদের সুস্থ রাখলে, মন সতেজ সবুজ রাখলে কিছু বাঙালী জাত গেল জাত গেল বলে ডায়রিয়া শুরু হয়ে যায়। সামান্য নাচ, এতই নাজায়েজ? নাচকে অশ্লীল মনে করা হয়?
নাচে কি সমস্যা? নাচ সমস্যা না বিদেশী নাচে?

ঢাকা লিটের‌্যারি ফেস্টিভ্যাল, সংক্ষেপে ঢাকা লিট ফেস্ট, একটি সাহিত্য উৎসব যা প্রতিবছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এটি বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ নাগরিক আহসান আকবর, কাজী আনিস আহমেদ,ও সাদাফ সায্ পরিচালিত এই উৎসবের আয়োজক সংস্থা যাত্রিক।
এই সাহিত্য উৎসব প্রথম আয়োজন করা হয় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। একটি ব্রিটিশ সাহিত্য উৎসবের অনুসরণে তখন এর নাম ছিলহে লিটের‌্যারি ফেস্টিভ্যাল। সমালোচনার মুখে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে এর নাম পরিবর্তন করে নির্ধারণ করা হয় ঢাকা লিটের‌্যারি ফেস্টিভ্যাল, সংক্ষেপে ঢাকা লিট ফেস্ট। এই উৎসবের প্রধান তিনজন পরিচালক হলেন কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায্ ও আহসান আকবর।
২০১১ সাল থেকেই ঢাকা লিট ফেস্টের প্রতি বছর সমালোচনা হচ্ছে। তাদের মতে, এটি একটি নব্য-উপনিবেশবাদী প্রচেষ্টা।[৩] ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করতে জাতীয়স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশের বুকে তারা উত্তর-ঔপনিবেশিক প্রভাব বইয়ে দিতে চায়।[২][৪] এই উৎসব আয়োজন বিভিন্ন কারণে বাংলা একাডেমির আদর্শ-নীতি-উদেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক।[৫] বর্তমানে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিছু উচ্চবিত্ত-বিশেষ শ্রেণি ও দেশি-বিদেশি সংস্থা দ্বারা অবহেলিত- অপমানিত


৯ নভেম্বর বিকেলে বাংলা একাডেমির ভাস্কর নভেরা হলে অনুষ্ঠিত ওই সেশনের শিরোনাম ছিলো
‘Ageing: The Secret of Life’।

পুরো সেশন জুড়ে কথা হয়েছে বয়স বেড়ে যাওয়াকে কীভাবে উদযাপন করা যায়। সেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নরওয়েজিয়ান লেখক অ্যানি ওস্টবি—যার বই পনেরটির বেশি দেশে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়, ফিনিশ লেখক মিন্না লিন্ডগ্রেন—যার ট্রিলজি দ্য সানসেট গ্রোভ শুধু ফিনল্যান্ডে নয়, বিশ্বব্যাপী বেস্টসেলার হয়েছিলো, ওই ট্রিলজির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল সিনেমাও। উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ-ব্রাজিলিয়ান ঔপন্যাসিক ইয়ারা রডরিগেজ ফাউলার এবং বিখ্যাত সাংস্কৃতিক প্রযোজক তেরেসা আলবর।

পুরো সেশন জুড়ে তারা বিভিন্নভাবে বয়স বেড়ে যাওয়ার এবং লেখকসত্তার ওপর তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। ৬২ বছর বয়সী তেরেসা আলবারের আকর্ষণীয় পারফরম্যান্স দিয়ে সেশন শুরু হয়। আয়োজনে তেরেসা বলেন, ‘তরুণ বয়স থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষকে বার্ধক্যে পা রাখতে হয়। বার্ধক্যে সমাজে নানা মানুষের অবহেলা, কটুকথার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। বার্ধক্য মানে জীবনের সব রঙ ফুরিয়ে যাওয়া নয়। বার্ধক্য হতে পারে রোমাঞ্চকর, হতে পারে উপভোগ্য।’

লেখক মিননা লিন্ডগ্রেন সম্মতি রেখেই বলেন, ‘বয়স কেবল একটি সংখ্যা, বার্ধক্য নারীকে তাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত রাখতে পারে না; বরং তা পূরণ করার মধ্যেই রয়েছে এ সময়ের সুখ ও শান্তি। বার্ধক্য কোনও লজ্জা নয়।

অ্যানি ওস্টবি তার প্রকাশিত ‘হাভসং’ বই থেকে কিছু লাইন আবৃত্তি করে শোনান। তরুণ থেকে বৃদ্ধ হওয়া এই বাস্তব পর্যায়টিকে মেনে নিয়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম। এটিকে সুন্দরভাবে মেনে নেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন অ্যানি।

এবং একেবারে শেষে বেড়ে যাওয়া বয়সকে আনন্দে উদযাপন করার একটি উদাহরণ স্বরূপ সবাই বাংলা মমতাজের ‘লোকাল বাস’ গানের সঙ্গে দেশি-বিদেশী কিছু কবি-লেখক নেচেছেন, নাচের পোশাকে নয় যে যেই পোশাকে এসেছিলেন আর তাকে নাকি বাংলা সংস্কৃতির বারোটা বেজে গেছে,



অর্থাৎ সকল বিবেচনায়, নাচটি সেশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো। অনেকদিন আগে (৮০ দশকে) বিটিভিতে রুনা লায়লার হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে গান করার প্রতিবাদে বাংলা সংস্কৃতির তখনকার তথাকথিত ধারক-বাহকরা খুব সরব হয়েছিলেন। ‘জাত গেল’ ‘জাত গেল’ বলে মাতম করেছিলেন।

লিট ফেস্টের যে সেশনটির মূল বক্তব্যই ছিল, ‘জীবনটা বৃদ্ধ হলেই শেষ হয়ে যায় না’। সেখানে তো বরং যেমন খুশি তেমন করে এমন নির্মল আনন্দ উদযাপন করাই যুক্তিযুক্ত। তাই তো তারা নেচে গেয়ে উক্ত বার্তাটিই দিতে চেয়েছেন।

যে সমাজ বয়সী নারীদেরকে হেয় করার জন্য ‘বিগতযৌবনা’ বলে তাচ্ছিল্য করে, অবহেলা করে। সেই সমাজের চোখ তো টাটাবেই, জ্বালা করবেই। এই নাচটি সেই সমাজের বিরুদ্ধেই একটি প্রতীকি প্রতিবাদ।

এর আগেও ২০১০ এ ইসলামি ফাউন্ডেশনে শিক্ষা সফরে আমেরিকা থেকে আগত একদল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রী নেচেছিল।
দু দেশের সুংস্কৃতির অংশ হিসেবে এরা সারাদিন ইসলামি ফাউন্ডেশনে কাটায়। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা হামদ-নাত-ক্বেরাত ইত্যাদি আরবি-বাংলা-ইংরেজিতে পরিবেশন করে। অনুষ্ঠান শেষের দিকে বিদেশী অতিথিদের মঞ্চে আহবান করা হয় কিছু একটা পারফর্ম করার জন্য, বিদেশী ছেলে-মেয়েরা কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই অল্প কিছুক্ষনের জন্য হাতে তালি দিয়ে এবং পায়ের স্টেপ দিয়ে নৃত্য পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠান শেষে ২-৩ মিনিটের নাচ খুবই প্রানবন্ত ও দর্শক মোল্লারা সবাই করতালি দেয়াতে উপস্থিত দুএকজন মানুষের ভাল লাগে নি, মানবজমিন ও আমার দেশ পত্রিকায় জানিয়ে দেয়।
পরদিন পত্রিকায় শিরনাম হয় ইসলামী ফাউন্ডেশনে ডিস্কো নৃত্যের আসর।
view this link

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

নতুন বলেছেন: যারা এইটুতু নড়াচড়া দেখেই সমালোচনায় মেতে উঠে তাদের পাত্তা দিতে নাই।

এটা খুবই সাভাবিক একটা বিষয় এটা দেখে যাদের এতো খারাপ লাগে তাদের চোখ বন্ধ করে থাকতে বলুন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঠিক বলেছেন।
কেউ নড়াচড়া দেখেই জাত গেল কুল গেল বলে সমালোচনায় মেতে উঠে।
বেশ কয়েক বছর আগে জনপ্রীয় লেখক শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালকে এখটি ঘরোয়া ভিডিওতে ছাত্রছাত্রীদের সাথে নাচতে দেখা যায়। তখনো মামুলি এই ব্যাপারটি নিয়ে অনেকে এটি নিয়ে সমালোচনায় মেতে উঠে।

অতচ পিকনিকে বা বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই প্রস্তুতি ছাড়া নাচে। এটা একটা সাভাবিক সাধারন ব্যাপার।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: হা, হা, হা! এইটা তো কয়েকজন সিনিয়র সিটিজিনের নির্দোষ কিছু আনন্দ! 'ছি, ছি' বলবে কেন!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কয়েকজন সিনিয়র সিটিজিনের নির্দোষ কিছু আনন্দ!
কিন্তু এই সামান্য ব্যাপারটি নিয়ে এই কিছু দিন সামাজিক মাধ্যমে কুৎসিত ট্রল আর ব্যাপক নিন্দার ঝড় দেখে ভাবলাম কিছু একটা লিখি।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




নাচে কোনও সমস্যা নেই, সমস্যা শিক্ষা আর মানসিকতার।

সুন্দর পোস্ট। ঢাকা লিট ফেস্ট যে এরকম উচ্ছল হয়, জানা ছিলোনা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ আহমেদ জিএস ভাই।
লিট ফেস্ট ২ বছর আগেও এরকম জনজমাট উচ্ছল ছিল না।
বর্তমানে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ায় ভিজিটর বাড়ায় এরপর বিদেশি অতিথি আনাতে মোটামুটি ভাল অবস্থানে।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার মত জানলাম

আরেকটা মত পেলাম এমন-
ঢাকা লিট ফেস্ট কী ও কেন?

২০০৮ সালে তাহমিমা এনাম কর্তৃক 'Commonwealth Overall Best First Book for A Golden Age' অ্যাওয়ার্ড জয়ের পর ঢাকা শহরের তরুণ ও প্রৌঢ় লেখকদের মধ্যে আন্তর্জাতিক হবার দুর্মর বাসনা জেগে ওঠে।

ডেইলি স্টার গ্রুপ থেকে সেই বাসনা রপ্তানি হয় কাজি গ্রুপে। এই দুই গ্রুপের কুঞ্জছায়ায় বেড়ে ওঠা অধিকাংশ লেখক অমেধাবী হলেও, বাই ডিফল্ট এলিট সোসাইটি আপহোল্ড করার কারণে ফেস্টিভ অ্যাবিলিটি বা ফ্যাসিলিটি তাদের ভালোভাবেই ছিল।

তারা বুঝতে পেরেছিল, অচিরেই তাদের রপ্ত করতে হবে দুইটি জিনিশ—কলোনির ভাষা ও কলোনির স্নেহ।

তো, দেখা গেল, বাংলা ভাষা ঠিকঠাক মতো কব্জা না করতেই ইংরেজি ভাষার কোশেশ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সেই ইংরেজি পৃথিবীর প্রবল ইংরাজদের বিপুল প্রস্রাবের ফেনায় ভেসে যাওয়া ইংরেজি।

এই ইংরেজি দিয়ে কলোনির রাজ-দরবারে নকিবের হাঁক দেয়াও সম্ভব নয়। তাই বিদেশি প্রভুদের ঘরে এনে পা-ধোবার জল এগিয়ে দেয়া ছাড়া গত্যন্তর রইল না।

এই হলো ঢাকা লিট ফেস্টের মূল স্পিরিট।

যাদের আমরা লিট ফেস্টের বিরোধী বলে দেখতে পাচ্ছি, তারা মূলত বঞ্চনার শিকার। এদের মাথায় হাত বুলিয়ে আলতো করে ডাক পাঠালেই সবার আগে গিয়ে এরা অনুষ্ঠানে হাজির হবে। তারপর ফেসবুকে সেলফি পোস্ট করতে করতে বটগাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবে।

আমি কিন্তু লিট ফেস্টের বিরোধী কেউ নই। আমি চাই এমন ফেস্ট আরও হোক।

আমি জানি, বিপুল অর্থ ব্যয় করে কিছু আবর্জনা ইংরেজিতে অনুবাদ হবে, হতচকিত বৈদেশিক পুরস্কারের আকুল আশায়। ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ইংরেজি-মাস্টাররা কামলার খাটুনি খেটে আমলার বই অনুবাদ করে যাবে সারানিশি। তারপর একদিন নিশিভোরে সেইসব পাওয়া যাবে নীলক্ষেতের মোড়ে।

[ Post copied from সোহেল হাসান গালিব ]

আপনার মতামত কি?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি লিটফেস্ট মুলত অপছন্দই করতাম।
কিছু নাক উঁচু কথায় কথায় ইংরেজি বলা এলিট শ্রেণীর একটা ক্লাব। তবে বর্তমানে কর্পোরেট স্পন্সার পেয়ে বিদেশি লিনক সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে মেধাহীন।
বাংলা সাহিত্য কবিতা গান পৃথিবীর যে কোন ভাষা বা অঞ্চলের চেয়ে প্রাণবন্ত সমৃদ্ধ।

কবি নজরুল তরুণ অবস্থায় রুটির দোকানে রুটি বেলতে বেলতে যে কবিতা গান রচনা করেগেছেন, ইউরোপীয়ানরা চৌদ্দ পুরুষ তপস্যা করেও সেরকম পারবেনা। জীবনান্দের কথা বাদই দিলাম, আমাদের রাস্তার কবি রুদ্র মহম্মদ শহিদুল্লাহ মোহন রায়হানদের নখের যোগ্যতা রাখে না লিটফেষ্টে আগত কেউ। আমাদের ব্লগের কবিরাও সৃজনশীলতায় মেধায় কোন অংশে কম না। শুধু পৃষ্ঠপোষকতা স্পনসর অভাবে।
আর এমনিতেই বাংলার সুজলা সুফলা কাচা মাটিতে যে পরিমান সাহিত্য কাব্য গল্প ছড়া কবিতা গান কবিগান লালনগীতি ভাওয়াইয়া পল্লিগীতি মুর্সিদি গজল পুথি-পত্র খনার বচন ইত্যাদি যা রচিত হয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন।

আরবি হিন্দি পাঞ্জাবী চাইনিজ ভাষায় হয়েছে তবে সংখায় কম, বাংলার মত প্রানবন্ত হবে না গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। আর মালয়ইরা ও তুর্কিরা বোকার মত টাইপিং সুবিধা কারনে তাদের সমৃদ্ধ এল্ফাবেট চেইঞ্জ করে ফেলেছে। বাংলিশের মত লেখে, নিজস্য বর্নমালা হারিয়ে কি *লের কবিতা বের হবে ওদের?

যাই হোক অনেকদিন পর নতুনভাবে 'লোকাল বাস' গানটি শুনে খুব ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকা লিট ফেস্ট এর এমন উচ্ছ্বল উৎসবের কথা আমি আগে জানতাম না। আপনার এ পোস্ট পড়েই এ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত হ'লাম।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

ঢাকা লিটের‌্যারি ফেস্টিভ্যাল, সংক্ষেপে ঢাকা লিট ফেস্ট, ইংরেজি সাহিত্য উৎসব ২ বছর আগেও এরকম জনজমাট উচ্ছল ছিল না।
বর্তমানে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ায় ভিজিটর বাড়ায় এরপর বিদেশি অতিথি আনাতে মোটামুটি ভাল অবস্থানে।
আগে একটি হলরুমে হোত, একন বইমেলার আদলে বাংলাএকাডেমি চত্তর ভাড়াকরে আয়োজন করে।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

রাশিয়া বলেছেন: ইসলামী ফাউন্ডেশনের ব্যাপারে যা লিখেছেন, তা এতটা সরল নয়। ইসলামী ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইমাম সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ভাষণ দেবার পর আরও অতিথিরা তাদের বক্তব্য পেশ করে। এরপর শুরু হয় মনোজ্ঞ (!) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে গায়ে গায়ে লেপ্টে থেকে বল ড্যান্স পরিবেশন করে। এই ড্যান্স শুরু হবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সভাস্থল অর্ধেক খালি হয়ে গিয়েছিল। যাদের চোখের সাথে ঈমানের পাওয়ার খুব শক্ত ছিল, তারা রয়ে গিয়ে 'আন্তঃ সংস্ক্রিতিক বিনিময় কার্যক্রম' উপভোগ করেছিল। এটা সম্ভবত ২০১১ সালের কথা।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটা ২০১১ নয়, ২০১০ ২৬ নভেম্বর। আমার স্পষ্ট মনে আছে।
আমি তখন সামুতে নতুন বাংলা অতিকষ্টে লিখতাম, মানবজমিনে খবরটি দেখে একটা পোষ্টও দিয়েছিলাম।

যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনজন শিক্ষকের নেতৃত্বে ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর একটি টিম বাংলাদেশে এসেছিল, তারা একদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশনেও আসেন। ডিজি প্রথমে তাদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

এরপর তিনি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পঞ্চম ও সপ্তম তলায় সব কিছু ঘুরে দেখানো হয়। পঞ্চম তলায় তখন শ’খানেক ইমামের প্রশিক্ষণ চলছিল। সেখান থেকে ইমামদের ক্লাসে বসে প্রশিক্ষন দেখে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সেখানে বেশ প্রানবন্ত পরিবেশ ছিল। পরে সবাই প্রধান হলরুমে বসে। সেখানে প্রথমে কোরান তেলয়াত হামদ-নাত ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ইত্যাদি করা হচ্ছিল।

অনুষ্ঠান শেষের দিকে বিদেশী অতিথিদের মঞ্চে আহবান করা হয় কিছু পারফর্ম করার জন্য, মার্কিন ছাত্র এবং ছাত্রী স্টেজে উঠে নৃত্য শুরু করে। ছাত্রীটি সাদা গেঞ্জি এবং জিন্সের প্যান্ট পরিহিত ছিল। আর অন্যান্ন বিদেশীরা হাতে তালি দিয়ে এবং পায়ের স্টেপ দিয়ে নৃত্য পরিবেশন করে। অনেকটা ব্যালে নৃত্যের মত। অনুষ্ঠানটি খুবই প্রানবন্ত হওয়াতে সব মোল্লারা উল্লোসিত হয়ে বিপুলভাবে করতালি দেয়।

কিন্তু মানবজমিনে লেখা হয় - নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইমাম জানান - জীবনে এমন ঘটনার মুখোমুখি হবো তা কল্পনাও করিনি। ইসলামি একটি প্রতিষ্ঠানে ইমামতির প্রশিক্ষণ নিতে এসে উলঙ্গ অশ্লীল নাচ দেখতে হবে তা চিন্তারও অতীত। হাত ধরাধরি করে বুকে বুক মিলিয়ে যে অশ্লীল নৃত্য করেছে তা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমার কাছে কিছু জানতে চাহিবেন না। পাবলিক রিলেশন অফিসার কথা বলবে।
এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পিআরও আনোয়ার কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ জনের একটি টিম শিক্ষা সফরে আসে ইসলামি ফাউন্ডেশনে। তাদের বাংলাদেশের একটি ইসলামি কালচারাল অনুষ্ঠান দেখানো এবং তাদের পক্ষ থেকে আমেরিকান কালচার বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান উপস্খাপনের পুর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী প্রথমে আমাদের হামদ নাত ইত্যাদি সর্বশেষে তাদেরকে মঞ্চে আহবান করা হয়, তাদের নিজস্য কালচারাল কিছু একটা করতে বলা হয়। তারা প্রথমে একটি ইংরেজিতে গান পরিবেশন করে। এরপর দুজনের একটি ব্যালে ড্যান্স হয়। এরপর অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষনার আগেই আজান শুরু হয়। এবং প্রশিক্ষনরত ইমাম সাহেবরা নামাজে চলে যান ও বিদেশী অতিথিদের লাঞ্চের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

পাঁচ মিনিটের মধ্যে সভাস্থল অর্ধেক খালি এভাবেই হয়ে হয়ে গিয়েছিল।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের মতোণ দরিদ্র দেশে লিটফেস্ট মানায় না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দরিদ্র দেশে লিটফেস্ট সমস্যা কি?
ওরা তো ট্যাক্স পেয়ারদের তথা রাষ্ট্রের টাকা খরচ করছে না।
বরং স্পনসর আনছে, পকেটভর্তি ডলার সহ টুরিষ্ট আনছে। বাংলাএকাডেমি চত্তর ভাড়াকরে আয়োজন করে ব্যাপক আয়োজন করে বেশকিছু লোকের কর্মসংস্থান বেচাকেনা হয়ে অর্থনীতিতে গতি এনে কিছুটা হলেও অবদান রাখছে।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

মিরোরডডল বলেছেন: অনুষ্ঠানের কারণ যাই হোক না কেন, প্রোগ্রাম শেষে কিছু মানুষ যদি নিজেদের ভালো লাগার জন্য নাচে, তাতে সমস্যা টা কোথায় !!! কারো কোন প্রবলেমতো করেনি । এটা একটা নির্মল আনন্দ ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কয়েকজন দেশী-বিদেশী কবি লেখক সিনিয়র সিটিজিনের নির্দোষ কিছু আনন্দ!
কিন্তু এই সামান্য নাচের ব্যাপারটি নিয়ে এই কিছু দিন সামাজিক মাধ্যমে কুৎসিত ট্রল আর ব্যাপক গালমন্দ করা হচ্ছিল।
মানুষ নেচে গেয়ে আনন্দ করে নিজেদের সুস্থ রাখলে, মনকে সতেজ সবুজ রাখলে সমস্যাটা কি?
সামান্য নাচ, এতই নাজায়েজ?
কারো কোন প্রবলেম তো করেনি । এটা একটা নির্মল আনন্দ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.