নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডলারে বিদেশী পেয়াজ এনে উদরপুর্তি কিসের?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৪



প্রবাসি শ্রমিকদের কষ্টার্জিত ডলারে বিদেশী পেয়াজ এনে উদরপুর্তি করা বিলাসিতা ছাড়া কিছু না।
আর বিমান ভাড়া করে পিয়াজ আনা স্টুপিড আইডিয়া।

পেয়াজ কোন জীবনরক্ষাকারি কোন খাদ্য নয়। পেয়াজ আমদানি শুল্ক ২০০% করা উচিত।
আর এই বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের অর্থ দিয়ে দেশী পেয়াজ চাষিদের ঋন সার ও ভর্তুকি দিয়ে, হীমাগার তৈরি করে পিয়াজ চাষিদের উৎসাহি করতে হবে।
ভারত বাংলাদেশিকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে গরু রপ্তানি বন্ধ করার পর আমদের দেশ কয়েক বছরের ভেতর গরুতে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। ছাগলেও, পেয়াজেও হবে।
জোড় পুর্বক ডলার খরচ করে পেয়াজেরমুল্য কমানোর কোন মানে হয় না। পেয়াজ তো চাল-ডালের মত জরুরি না। এখন রমজান মাসও না।
দেশী পেয়াজ চাষিদের বাঁচাতে হবে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১১

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: সহমত । লেখটা ছোট হলেও কথাগুলো খুবই গুরুতপর্ণ ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ।

পেয়াজ চাষিদের উৎসাহি করতে হবে। সেটাই বলতে চেয়েছি

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০২

এমজেডএফ বলেছেন: পেঁয়াজ চাল-ডালের মতো জরুরি না হলে কি হবে, এই কয়েক দিন পত্র-পত্রিকা, টিভি, ফেসবুক, ব্লগ সব জায়গায় পেঁয়াজ নিয়ে যে হৈচৈ দেখলাম মনে হলো পেঁয়াজের অভাবে পুরো জাতির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে! আর বিএনপির রিজবী সাহেব তো পেঁয়াজের অস্থিরতাকে ‘ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কাল’ হিসাবে গণ্য করে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পিয়াজ তো মদ ডাইল কোকেন হিরোইনের মত নেশাদ্রব্য না যে যত দামই হোক আনলিমিটেড মুল্যবৃদ্ধি হলেও খেতেই হবে।

পেঁয়াজ নিয়ে যে রকম হৈচৈ মনে হলো পেঁয়াজের অভাবে পুরো জাতির অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে, জাতীয় দুর্যোগ, এখুনি জরুরি অবস্থা ঘোষনা করতে হবে।
আর বিএনপির সমর্থকরা পেঁয়াজের অস্থিরতাকে ‘ফরাসি বিপ্লবের প্রাক্কাল’ হিসাবে গণ্য করে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পেঁয়াজের অভাবে - আমাদের নৈতিক চরিত্রের পরীক্ষা চলছে ।
...........................................................................................
যে সব আমদানী কারক দ্রুত পেঁয়াজের এলসি খুলে ব্যবসা শুরু করেছে
তাদের উপর কেন নজরদারী নেই ???
অথচ গতকালই দেখলাম , চাষীর পেঁয়াজ বাজারে উঠা মাত্র দর প্রতিমনে ২০০০.০০
কমে গেছে !!!
তাহলে আমদানীকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসা মাত্র দাম কমলনা কেন ???

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কৃষক ধানচেষেও মারা খায়, আলু চাষে মারা খায়। পেয়াজেও খাবে।
ক্রেতা, পাইকার, সাধারন, সরকার কেউই তাদের পক্ষে নেই।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্লেনে করে পেঁয়াজ আনাটা আমাদের মতো দরিদ্র দেশে মানায় না।
এই আইডিয়া যার সে বোকা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাবতে অবাক লাগে পেঁয়াজ কি জীবনরক্ষাকারি কোন ঔষধ না চাল?
নাকি লবন চিনির মত অপরিহার্য্য কোন রন্ধন পণ্য যে তা না হলেই না। ২৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিছুদিন না কিনলে কি এমন হাতি ঘোড়া ক্ষতি হয়?
লোকে পাগলের মত কিনছে বলেই মুনাফাখোরগুলো এর সুযোগ নিচ্ছে।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: পেঁয়াজ উড়োজাহাজে করে আনার মত জরুরী নয় । এটা না খেলে মানুষ মারা যাবেনা ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিমানে করে পিঁয়াজ , তাও ৭ হাজার মাইল দূরে মিশর থেকে।

এই বিমান ভাড়া তো ক্রেতাকেই গুনতে হবে। এতে কি দাম কমবে?
সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকাতে মুনাফাখোর ব্যাবসায়ীদের ভর্তুকি দিয়ে দৃশ্যমান ভাবে কথিত কম দামে বিক্রি করে গদি রক্ষা করবে বিমানের পিঁয়াজ।

কি আর বলবো - অদ্ভুত উঁটের পিঠে চলছে স্বদেশ!

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আজব ব্যপার হল, মাছ, মুরগী, চাল, সবজীতে আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ অথচ এতগুলো বছর চলে গেল আমরা পেঁয়াজে স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার কোন প্ল্যান করলাম না। গরুর মত(!) পেঁয়াজের বেলাতেও স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ দেয়ার সময় এসেছে...

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এতগুলো বছর চলে গেল আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কোন প্ল্যান করলাম না।
হ্যা সেটাই।

চাল গম ও আলুর জন্য অনেক গবেষনা হয়েছে। অনেক হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন হয়েছে। কিন্তু পেঁয়াজের জন্য কিছু নজরে পরেনি।
এত বেশি প্রতিবেশীর উপর নির্ভর করা কখনই ভাল কোন কাজ না।
১২ মাস উৎপাদন করা যায় এমন বিভিন্ন ১০-১২ জাতের অর্গানিক ও হাইব্রিড পেঁয়াজ মার্কিন কৃষি ব্যাবসায়ীদের ফাইনান্সিং এ মেক্সিকোতে চাষ হয়। পানির দামে এ পেঁয়াজ দিয়ে আমেরিকা ও কানাডার চাহিদা মিটে।

১২ মাসি পেয়াজ বিজ যোগার করে কেনো বাংলাদেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয় নি এতো বছরেও, কেন?
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ না কি এই ধরণের উচ্চফলনশীল পেঁয়াজ উদ্ভাবন করে বসে আছে, কিন্তু প্রচার নেই। তাহলে বাঁধা কোথায় বুঝি না?

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

আল ইফরান বলেছেন: বছরের কোন কোন সময়ে এই পেয়াজের মূল্য থাকে ২৫/৩০ টাকা প্রতি কেজিতে। চাষীরা মণ প্রতি দাম পায় ৫০০ টাকার মত। মার্কেট মনিটরিং এর অভাব আর ডিরেগুলেশনের প্রভাব ঘাটতিতে থাকা সকল ক্ষেত্রে পড়তে বাধ্য। আর ভারতের সাথে দ্বৈত-বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে, ঠিক যেমনভাবে নেপাল একসময় করেছে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পেঁয়াজের এ ধরনের সংকট দূর করতে হলে আগে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
আপাতত ফসল ওঠার সময়ে, অর্থাৎ মার্চ থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ আমদানি সম্পুর্ন বন্ধ করতে হবে।
তাঁদের জন্য শূন্য সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো দাম পেয়ে কৃষক আগামী বছর উৎপাদন ঠিকই বাড়াবে।
কিন্তু ফসল ওঠার সময়ে যদি আমদানি পেঁয়াজ এসে বাজার সয়লাব করে ফেলে, তাহলে তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে পেঁয়াজ চাষই বন্ধ করে দিবে। আর ব্যবসায়ীরা মুনাফাখোররা আবার ডাকাতি চালাবে।।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রথম থেকেই খুচরো ব্যবসায়ীরা অভিযোগ আসছিল যে কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে কৃ্ত্রিমভাবে পেয়াজ্র দাম বাড়িয়েছে। দেশে পেঁয়াজ এর চাহিদা ৬০% মেটানো হয় দেশীয় উৎপদন হতে এবং ৪০% আমদানী করা হয়। ভারত পেয়াজ পাঠানো বন্ধ করার পর পেয়াজ ব্যবসায়ীরা মিশর, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করে। কিন্ত মজুত করে কৃ্ত্রিম্ভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়। পেয়াজ নিয়ে বহু জল ঘোলা হবার পর এখন ভ্রাম্যমান আদালত বসানো হয়েছে ।গতকাল এ পর্যন্ত আড়াই হাজার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।। প্রশ্ন উঠছে এই মনিটরিং আগে কেন করা হয়নি?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেশির ভাগ সময় সিন্ডিকেট করে কৃ্ত্রিমভাবে জিনিসের দাম বাড়ানো হলেও এবার পেয়াজের দাম ভিন্ন ভিন্ন কারনে বেড়েছে।

এবার পেয়াজ ও লবনের হঠাৎ মুল্যবৃদ্ধি খুবই নিখুত ভাবে বাড়ানো হয়েছে।
একদল সংগবদ্ধ চক্র এই অপকর্মটি কতিপয় সাংবাদিকের সহায়তায় করেছে।

পেঁয়াজ ১০০ টাকার ভেতরে বিক্রি হচ্ছিল, স্বপ্ন দোকানের বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছিল পেঁয়াজ ৯০ টাকা।
১৪ নভেম্বর এক সকালে হঠাৎ প্রথমালো দেখালো পেঁয়াজ ২০০ টাকা ছুলো। কথিত মফস্বলের কোন এক বাজারের সুত্র উল্লেখ করে লেখা।
(সেই রিপোর্টের ভেতরে স্বপ্ন সুপারশপ বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছিল পেঁয়াজ ৯০ টাকা)
প্রথমআলোর সেই খবরটি দেখে ইত্তেফাক লিখে -২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। বুধবার ঈশ্বরদীর পাইকারি আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে ১৮০ টাকা হয়েছে।
সংগবদ্ধ চক্র এলোমেলো গুজব ছড়িয়ে এক একজন ৫ কেজি ১০ কেজি কিনছে .. আর বলছে - 'পরে আর পাইবেন না ভাই কিনে ফেলেন'।
বৌ ফোন দিছে পেঁয়াজ নাকি ৩০০ হয়েছে, তাড়াতারি বাজারে যাও .. এখুনি যাও। স্বামি বেচারা বাজারে দেখে ১২৫। 'এখনো কিনো নি, ১০ কেজি কিনে ফেলে রাখ"
এরপর বাকিটা ইতিহাস।

পেঁয়াজে সফলতা দেখে লবনে হাত দিল কুচক্রিরা। কিন্তু লাভ হয় নি। বরং সবাই সচেতন হয়েছে।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট। সিন্ডিকেটের কারসাজি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এবার পেঁয়াজের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের কারসাজি তেমমন ছিল না।



বছরে দেশে পেঁয়াজ হয় ২৩ লাখ টনের ওপরে। আর চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের।
এরপরও সংরক্ষন সুবিধা না থাকায় ও শুধু পচে নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে আট থেকে দশ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

পাকিস্তান থেকে বিমানে মাত্র ৮২ টন পেঁয়াজ আনাতে বাংপাকিরা পাকিস্তানকে ধন্যবাদের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে।
যথাযথ ভাবে বাংপাকিরা বলে যাচ্ছে - "আমাদের বাপের পেঁয়াজ খাচ্ছিস! এখন তোদের ৭১এর চেতনা ভস্কায় না"?
মাত্র ৮২ টনে এতকথা! মাত্র ২ কাভার্ড ভ্যান।

অতচ বছর বছর ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ টন পেয়াজ আসলেও ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া দূরে থাক, উল্টো বলে "দেরি হল কেন"

পাকিস্থান থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশ সরকার আনছে না। পাকি সরকারও দিচ্ছে না
পেঁয়াজ আনছে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা, করাচির পাইকারি বাজার থেকে। এরা যেখানে দাম কম পাবে সেখান থেকে আনবে, প্রয়জনে জাহান্নাম থেকে আনবে।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





বাংলাদেশে যে পরিমান টিভি চ্যানেল দেওয়া হয়েছে চাষীরা টিভি দেখে সময় পান না, জমিতে চাষবাস কখন করবেন? পেঁয়াজের দাম ৫০০ টাকা / কিলোগ্রাম হওয়া উচিত।

১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৮

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: মামু তোমার নামে থানায় মামলা দিছি | দেশে আইলে ধরা খাইবা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.