নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এতদিন NRC বিরোধিতা। এখন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারিদের জন্য দরদ উথলে পরেছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮



একটি ভারতীয় পত্রিকার খবর - "ভারত সরকারের নির্দেশনাতেই কাশ্মিরি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না"

মৌলবাদিরা এতদিন ভারতীয় NRC বিরোধিতা করে কথিত ভারতীয় অনুপ্রবেশ বিরোধী পোষ্ট দিচ্ছিল।
ইদানিং আবার অনুপ্রবেশকারিদের জন্য দরদ উথলে পরেছে।

গোহাটিতে বাংলাদেশে মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী পাঠানোর কাছে নিয়োজিত একটি এডুকেশনাল কনসাল্টেন্সি ম্যানেজার (আসলে আদম পাচার দালাল) বলেন, ছেলেমেয়েরা মধ্য ডিসেম্বর থেকে দিল্লিতে কড়াকরি দেখে, কলকাতা, গৌহাটি ও এমনকি আগরতলার হোটেলগুলোতে বসে আছে। বাংলাদেশে ঢুকার জন্য।
সাধারণত কাশ্মিরি শিক্ষার্থীরা দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করে। কিন্তু NRC প্রেক্ষিতে আসাম উত্তাল হওয়ায় গোহাটি আগরতলা বাংলাদেশ কনসাল বলা হয়েছে যে মেডিকেলে ভর্তি হতে জিপিএ ৫ সমমানের ভারতীয় সনদপত্র দেখালে কেবল ভিসা দেয়া হবে। এমনিতেই ডিসেম্বর থেকে তামাবিল দিয়ে বাংলাদেশী পর্যটকদের যেতে দেয়া হচ্ছে না।
তাদের কাছে সনদ পত্র নেই বলেই দিল্লি বাংলাদেশ এম্বেসিতে না যেয়ে সহজে বেয়াইনি প্রবেশ করতে দালালদের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত দুর্বল পয়েন্ট কলকাতা, গৌহাটি ও এমনকি আগরতলায় ভিড় করছে।
আর ঢুকতে ব্যার্থ হয়ে আদম পাচারকারি দালালরা হাংবাদিকদের বলছে "ভারত সরকারের নির্দেশনাতেই কাশ্মিরি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না"

মমতার সমর্থনে জাসির ঘাটি পশ্চিমবঙ্গের একটি পত্রিকা South Asian Monitor এর খবরটি সরাসরি দিলাম।

বাংলাদেশে প্রবেশ করার ভিসা পেতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় ৩৫০ কাশ্মিরি মেডিক্যাল শিক্ষার্থী প্রায় এক মাস ধরে দিল্লি , কোলকাতা , গৌহাটি ও আগরতলায় আটকা পড়ে আছে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ভিসা পাচ্ছে।

বাংলাদেশে মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য ছাত্রদের পাঠানোর কাজে জড়িতরা বলছে, ভিসা পেতে দীর্ঘ বিলম্বের কারণে তারা সমস্যায় পড়েছে। কারণ ওই কোর্সের জন্য অর্থ পরিশোধকারী অভিভাবকেরা এখন পরিশোধিত অর্থ ফেরত চাইছেন।

বাংলাদেশ, চীন ও অন্যান্য দেশে মেডিক্যাল শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী পাঠানোর কাছে নিয়োজিত একটি এডুকেশনাল কনসাল্টেন্সি ম্যানেজার বলেন, ছেলেমেয়েরা মধ্য ডিসেম্বর থেকে দিল্লি, কলকাতা, গৌহাটি ও এমনকি আগরতলার হোটেলগুলোতে বসে আছে। সাধারণত কাশ্মিরি শিক্ষার্থীরা দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করে। কিন্তু চলতি বছর আমাদেরকে বলা হয়েছে যে সমমানের সনদপত্র দিলেই কেবল ভিসা দেয়া হবে।

নিজের ও তার প্রতিষ্ঠানের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তিনি কথা বলেন। তিনি ‘খারাপ পরিণতির’ আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। কলকাতার হোটেল রকস্টারে এই লেখককে ওই ম্যানেজার বলেন , কিন্তু তবুও লিখুন , কারণ আমাদের শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কূটনীতিকরা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রদের ভিসা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে তারা বলছেন যে কাশ্মিরি শিক্ষার্থী নিয়ে কিছু সমস্যা আছে।

আরেকটি এডুকেশনাল কনসালটেন্সির ম্যানেজার বলেন, প্রায় ২০ জনের মতো কিছু কাশ্মিরি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয়া হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে যোগ দিযেছে। ফলে আমরা ভাবছি যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এমন কিছু ঘটে থাকতে পারে। হয়তো ভারত সরকারের নির্দেশনাতেই কাশ্মিরি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার দীর্ঘ দিনের ছুটিতে রয়েছেন। ফলে গত দুদিন ধরে আগরতলা মিশনের সহকারী হাই কমিশনার কিরিটি চাকমা রয়েছেন গৌহাটিতে।

পরিচয় প্রকাশ না করার ব্যাপারে আবারো শর্ত দিয়ে ওই ম্যানেজার বলেন, তিনি অন্যান্য শিক্ষার্থীর ভিসা পেয়েছেন। কিন্তু ১৫ জন কাশ্মিরি ছাত্রের ভিসা আবেদন আটকে আছে। এসব শিক্ষার্থী গৌহাটি থেকে আবেদন করেছিল। তাদেরকে বলা হয়েছে, দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ভিসা দিচ্ছে না। চাকমা বলেন, এসব ভিসা ইস্যু করার এখতিয়ার তার নেই।

ওই ম্যানেজার বলেন, আমাদের অর্থ ফুরিয়ে যাচ্ছে। এসব ছেলেমেয়ে মধ্য ডিসেম্বর থেকে হোটেলে আছে। তাদের সাথে অনেক অভিভাবকও আছেন। আমরা সবাই বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছি।

ভারতে বাংলাদেশের মিশন সাধারণত শিক্ষা ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সমমানের সনদপত্র চেয়ে থাকে। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশের সমমানের সনদপত্র তাদের দিতে হবে।

আরেকটি এডুকেশনাল কনসালটেন্সির মালিক বলেন, কিন্তু সাধারণ কাশ্মির থেকে অন্তত ৬০০ ছাত্র ও অন্যান্য রাজ্য থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশে যায় মেডিক্যাল পড়াশোনা করতে। ভারতীয় সনদপত্রের মান সম্পর্কে মিশন জানে। এ কারণে তারা সমমানের সনদপত্রের ওপর জোর দেয়া থেকে বিরত থাকছে।

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস সেক্রেটারি ফারিক হোসাইন সিনিয়র কাশ্মিরি সাংবাদিক আলতাফ হোসাইনকে (সাবেক বিবিসির) বলেন, কাশ্মিরি শিক্ষার্থীদের ভিসা না দেয়ার কোনো নীতি নেই। তিনি এই লেখককে বলেন, কারিগরি কারণে ভিসা পেতে বিলম্ব হতে পারে। তবে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।

কলকাতার এক বাংলাদেশী কূটনীতিক (তিনি তার পরিচয় প্রকাশ করেননি) এই লেখককে বলেন, ধরে নেয়া হয় যে কাশ্মিরি শিক্ষার্থীরা দিল্লিতে হাই কমিশনে আবেদন করবে। আমাদের মিশনের এলাকাগত কড়াকড়ি রয়েছে। ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছ।

ভুটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পেশাগতভাবে চিকিৎসক। তিনি ২০০১ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হন। পরে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিগ্রি নেন সার্জারিতে।

স্মাইল কনসালটেন্সির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে ভারতের কঠিন ভর্তি পরীক্ষা থাকায় কিংবা ভারতের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ফি অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি ভারতীয়দের জন্য ক্রমবর্ধমান হারে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠছে।

এতে আরো বলা হয় , বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষার মান ভারতের সমমানের। উভয় দেশেই এমবিবিএস প্রগ্রাম চলে ইংরেজিতে। পাঠ্য বইগুলোও একই। নিজ রাজ্যে কাশ্মিরি ছাত্রদের চিকিৎসা শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ সীমিত। এর ফলে তাদের কাছে ভারতের অন্যান্য রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশ হয়ে ওঠছে আকর্ষণীয় স্থান।
South Asian Monitor

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বহু ভারতীয় ছেলে মেয়েরা আমাদের দেশে লেখা পড়া করছে। বিশেষ করে ডাক্তারী পড়ছে অনেক ছেলে মেয়ে। নেপাল বা ভুটান এর চেয়ে ভারতীয় ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি।
রেড ক্রিসেন্ট হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে প্রচুর ভারতীয় ছেলে মেয়ে ডাক্তারী পড়ছে।


পোষ্টে যা লিখেছেন তা আজই প্রথম জানলাম। দেখি একটু খোজ খবর করে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১৫% মত কোটা থাকাতে প্রতিবেশী বিদেশী স্টুডেন্টদের কাছে বাংলাদেশ আকর্ষণীয়।
বহু ভারতীয় ছেলে মেয়েরা আমাদের দেশে লেখা পড়া করছে।
বিশেষ করে ডাক্তারী পড়ছে অনেক ছেলে মেয়ে। নেপাল বা ভুটান এর চেয়ে ভারতীয় ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি। কাউলা আফ্রিকানও প্রচুর।
ভারতীয় মেডিকেলে সিট পাওয়া কঠিন, ফি বেশী। আর বাংলাদেশ সহজেই ভিসা দেয়।
বাংলাদেশী মেডিকেল ডাক্তারি সনদ আমেরিকায় না চললেও ভারতে চলে এশিয়ান দেশে চলে, আরব দেশেও চলে।

কিন্তু সমস্য অন্য যাগায়।
কিছু ভারতীয় তথা কাশ্মিরি পর্যাপ্ত জিপিএ ছাড়াই দুর্নিতীর মাধ্যমে হিজাব দেখিয়ে সহানুভুতির মাধ্যমে বা বাংলাদেশী জামাতিদের রেটিনা প্রভৃতির দুর্নিতীর মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছে, বা অপেক্ষমান।
কিন্তু এদিকে সম্প্রতি আসাম ও ভারতে এনআরসি নিয়ে গ্যাঞ্জাম দাঙ্গা চলাতে, পুশব্যাক অনুপ্রবেশ নিয়ে একটা ভীতি চলছে।
তাই কনসুলেটগুলো ভিসা দিতে একটু সাবধানী হয়েছে সঙ্গত কারনেই।
তাই শিক্ষা ভিসা দিতে পর্যাপ্ত জিপিএ সহ সনদ ছাড়া ভিসা দিচ্ছে না।

কিন্তু জাশি ছাগুরা ফেবুতে ব্যাপক গুজব ছড়াচ্ছে যে বাংলাদেশ ভারতের নির্দেশে ভিসা দিচ্ছে না কাশ্মিরিদের।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার কি ধারণা, কি আসলে ঘটছে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোথায় কাশ্মির, কোথায় দিল্লি!
এনআরসি জ্যাঞ্জামের ভেতর পাঁচশো কাশ্মিরি স্টুডেন্ট পাহার পর্বত টপকিয়ে গোহাটি আর আগরতলায় বাংলাদেশে ঢুকতে অপেক্ষমান।
মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর্যাপ্ত জিপিএ সমমানের সার্টিফিকেট নেই। তাই ভিসা দিচ্ছে না বাংলাদেশ।
ডিসেম্বরে মাত্র ২০টা দিছে।
আগে সহজেই দিয়ে দিত। আর তামাবিল/ডাউকি দিয়ে মানুষ ঢুকা বন্ধ হওয়াতে গোহাটির বাংলাদেশী কনসাল ছুটিতে।
এতেই জাসি ছাগুরা পাগল হয়ে গেছে।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এটা ভারতের আভ্যন্তরীন সমস্যা।এতে আমাদের কিছু বলার নাই। তবে এত ভারতীয় আমাদের দেশে পড়তে আসে শুনে অবাক হলাম!! এত দেশ ফেলে বাংলাদেশ কেন? পড়া শেষ করে ফিরে যায়তো? নাকি এই দেশেই চাকুরি পেয়ে যায়?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতীয় আমাদের দেশে পড়তে আসে শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
প্রাকৃতিক ডাইভারশান।
মেডিকেলে ভারতে সিট পাওয়া কঠিন। বাংলাদেশে সহজ, ভারতে বাংলাদেশী এমবিবিএস ডিগ্রি সমমান বলে ধরা হয়।
এরপর আসছে রেটিনার সাপোর্ট ব্যাকিং
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১৫% মত কোটা থাকাতে প্রতিবেশী স্টুডেন্টদের কাছে বাংলাদেশ আকর্ষণীয়।
বহু ভারতীয় নেপালি ভুটানি মালদ্বিপের ছেলে মেয়েরা আমাদের দেশে লেখা পড়া করছে।
বিশেষ করে ডাক্তারী পড়ছে অনেক ছেলে মেয়ে। নেপাল বা ভুটান এর চেয়ে ভারতীয় ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি। ব্ল্যাক আফ্রিকানও প্রচুর। ডাক্তারি বাদেও ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ে অগনিত বিদেশী বিদেশী ভর্তি করছে
আর বাংলাদেশ সহজেই ভিসা দেয়। থাকা খাওয়ার খরচ কম ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে।
বাংলাদেশী মেডিকেল ডাক্তারি সনদ আমেরিকায় না চললেও ভারতে চলে এশিয়ান দেশে চলে, আরব দেশেও চলে।

তবে কাশ্মিরি ছাত্র-ছাত্রিরা এদেশে একটু বেশী সুবিধা পায় বলে আমার ধারনা।
আপনার মনে আছে কিনা জানিনা। বছর দুয়েক আগে রাজশাহীর নওদাপাড়ার ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রি ছিল রাউধা আতিফ। মালদ্বিপের। সুন্দর 'বিলাই চক্ষু্র' অধিকারি হওয়ায় পড়াশোনার পাসাপাসি মডেলিংও করতো।
মফস্বলের জামাতি মেডিকেলে থেকে মুসলিম ছাত্রি হয়ে পশ্চিমা পোশাক ও মডেলিং! এতবড় সাহস!
ক্রমাগত বুলিং চলছিলই, শিক্ষকরাও সাপোর্ট দেয় নি। ইত্যাদি কারনে তাকে একঘরে হয়ে যাওয়া বা করে রাখা,
একপর্যায়ে বাকবিতন্ডার পর তাকে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যা করে ঝুলিয়ে আত্নহত্যা বলে চালায় কাশ্মিরি ও কাশ্মিরি সমর্থক মেয়েরা।
এ হত্যা মামলায় রাউধার সহপাঠী ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মেয়ে সিরাত পারভীন মাহমুদকে তাৎক্ষনিক আসামি করা হয়েছিল।
কিন্তু সিরাত পারভিনের পক্ষে বাঘা বাঘা জামাতি আইনজীবি দাঁড়িয়ে যায়। যার কারনে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেটাও বেশীদিন রাখা সম্ভব হয় নি।
অবৈধভাবে অর্থ ছড়িয়ে ভুয়া পুলিশ রিপোর্ট বের করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আদেশের উপর অস্থায়ি ইনজ্যাংশান জারি করে অভিযুক্ত সিরাত পারভীনকে গোপনে মামলা শুরু হওয়ার আগেই শিবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে পার করে দেয়া হয়েছিল। পরে মালদ্বিপ থেকে হতভাগ্য রাউধার দরিদ্র বাবা এসেও মামলায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি, আত্নহত্যা বলে মামলা শেষ হয়।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০২

ইমরান আশফাক বলেছেন: এত ঘটনা চলছে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অংগনে! জানতাম না তো। :|

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
বাংলাদেশীরা এমনিতেই অতিথিপরায়ন। বিদেশীরা সবসময়ে ওয়লকাম।
কিন্তু এর ভেতরেই বিদেশীরা বিভিন্ন অপরাধে জরিয়ে পড়ছে। বিশেষ করে আফ্রিকা থেকে আগত স্টুডেন্টগুলো।
বিদেশি ডাক্তার নার্সরা দেশের বড় হাসপাতালে চাকুরির বাজার দখল করছে। এসব বেয়াইনি।
এখন একটু সতর্ক হওয়া উচিত।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি অনেক দিন থেকেই জানি বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে অনেকেই পড়তে আসে। এমন কি এখানে এক ইথিওপিয়া/ইরিত্রিয়ার ড্রাইভার বললো তার ভাই বাংলাদেশে পড়ছে। আরেক নেপালীর ভাই-ও আইআইইউসি থেকে গ্র্যাজুয়েট। মিলিটারিতেও বিদেশীরা আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। আমাদের কাছ থেকে ভারতও এখন জাহাজ নেয়। চট্টগ্রামের ইউএসটিসিতে ভারতীয়, শ্রীলংকান ছাত্র/ছাত্রী ভূরি ভূরি। এসব জেনে ভালই লাগে...
মালদ্বীপের ছাত্রীর বিষয়টাকে নিয়ে যা লিখলেন তা 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' বলেই মনে হয়। এই সরকারের আমলে জামাতীরা ভিন দেশী এক স্টুডেন্ট-কে বাঁচিয়ে দিবে এগুলো বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না...
পোস্টের বিষয়টা জানলাম। তবে কার বক্তব্য যে সঠিক কে জানে। একজনের পক্ষে সব পত্রিকা, পোর্টাল পড়া সম্ভব নয়...

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ বিচার মানি তালগাছ আমার।
অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম
ভারতীয় পত্রিকার রিপোর্টটিতেি বলছে দেখলাম " কাশ্মির থেকে অন্তত ৬০০ ছাত্র ও অন্যান্য রাজ্য থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশে যায় মেডিক্যাল পড়াশোনা করতে।"
এছাড়াও সব বিদেশি মিলে আরো হাজার ২০ এর মত বিদেশী ছাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।

মালদ্বীপের ছাত্রীর বিষয়টা তখন ব্যাপক আলোড়ন শৃষ্টি হয়েছিল।
পুলিশ টাকা খেয়ে আত্নহত্যা বলে চালালেও পৃন্ট মিডিয়াতে ব্যাপক সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।


১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই সরকারের আমলে জামাতীরা ভিন দেশী এক স্টুডেন্ট-কে বাঁচিয়ে দিবে এগুলো বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না...

এলাকাটা রাজশাহীর সাহ মাখদুম থানা, নওদাপাড়া। জাশির আস্তনা। মেডিক্যাল কলেজের নাম- ইসলামি ব্যাঙ্ক মেডিকেল কলেজ। মালিক জামাতি নিশ্চিত। জামাতিদের প্রভাব প্রতিপত্তি খাটানোর জন্য সব ব্যাবস্থাই বিদ্যমান।
বিশ্বাসযোগ্য মনে হওয়ার যথেষ্ঠ কারন বিদ্যমান।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


শেষ পর্যন্ত ওদের ভিসা দেয়া হল।
যে ভাবে পুজার ভেতর নির্বাচন, বয়াতি গ্রেফতার, নবজাতকের মিল্ক ব্যাঙ্ক বন্ধ করা ইত্যাদি অনেক কিছুর মত ...
কাগজ বাদেই ভিসা দেয়া হল।
দেশটা কারা চালাচ্ছে বোঝা মুসকিল।
শেষ পর্যন্ত ওদের ভিসা দেয়া হল।
যে ভাবে পুজার ভেতর নির্বাচন, বয়াতি গ্রেফতার, নবজাতকের মিল্ক ব্যাঙ্ক বন্ধ করা ইত্যাদি অনেক কিছুর মত ...
কাগজ বাদেই ভিসা দেয়া হল।
দেশটা কারা চালাচ্ছে বোঝা মুসকিল।



মানবজমিনে প্রকাশিত খবরটি সরাসরি দিলাম

অবশেষে কাশ্মীরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জরুরিভিত্তিতে ভিসা ইস্যুর নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ‘কাশ্মীরিরা বাংলাদেশের ভিসা পাচ্ছে না’ মর্মে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোতে জরুরি ওই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, ঢাকার গ্রীণ সিগন্যাল গেছে। শুক্রবার থেকে ভিসা ইস্যু শুরু হবে। তবে কর্মকর্তারা গতকালও বলেছেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ভিসা দিচ্ছে না মর্মে যে সংবাদ চাউর হয়েছে তা সর্বাংশে সত্য নয়। ১২ই জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ সংক্রান্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে প্রত্যাখান করেছিলেন। কিন্তু কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, ভর্তি প্রক্রিয়ার কিছু কাজ বাকী থাকার কারণে ভিসা ইস্যুতে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।

কারও ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়নি, বরং ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় আবেদনগুলো ঝুলে ছিল।
কিন্তু সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে ‘ভর্তি কার্যক্রম অসম্পূর্ণ রেখেই’ ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। প্রশ্ন ওঠেছে, কী কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ভিসা প্রদানের নির্দেশনা দিলো ঢাকা। জবাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন- আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জমাকৃত কাগজপত্র যাচাই এবং তারা যে সিস্টেমে ‘হাইয়ার সেকেন্ডারি’ পড়েছেন বাংলাদেশের এইচএসসিতে পড়ানো বিষয়গুলোর সঙ্গে তার কোন ভিন্নতা আছে কি-না? সেটির মূল্যায়ন এবং সদন, মার্ক যথাযথ হওয়ার পরই ভিসা ইস্যু হয়।

কিন্তু সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের প্রেক্ষিতে এবার কিছু বিশেষ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।
তাই এবার আগে ভিসা, পরে সনদের যথার্থতা যাচাই’র সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এটি কেবল ভারত নয়, নেপাল, ভূটান, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, পাকিস্তানসহ বাংলাদেশে মেডিকেল পড়তে আসা বিদেশি সব শিক্ষার্থীদের বেলায় প্রযোজ্য হবে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, অন্যরাও ভিসা জটিলতায় ছিলেন, কিন্তু খবর হয়েছে স্পর্শকাতর কাশ্মীরী শিক্ষার্থীদের নিয়ে! সেখানে দিল্লিকেও টেনে আনা হয়েছে, যা অনাকাঙ্খিত। কর্মকর্তাদের দাবি বাংলাদেশে পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। এতেও কিছুটা সময়ক্ষেপন হয়। কর্মকর্তারা আশা করছেন নির্দেশনার ফলে এখন আর মেডিকেল পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের ভিসাপ্রাপ্তিতে কোন ঝামেলা হবে না।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট এবং ঢাকার ভাষ্য: ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নর্থইস্টনাউ-এ নিয়ে সর্ব প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে। অনলাইনে ‘কাশ্মীরী মেডিকেল স্টুডেন্টস রাশিং অল অভার ফর বাংলাদেশ ভিসা’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটির বরাতে অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমেও খবরটি প্রচার হয়।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল - বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ কাশ্মীরী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এক মাস ধরে দিল্লি, কলকাতা, গোয়াহাটি ও আগরতলায় আটকে আছেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ভিসা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রিপোটটির লেখক কলকাতার সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক। বাংলাদেশের মেডিকেলে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠায় এমন প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যবস্থাপকের নাম প্রকাশ না করে উদ্বৃত করে রিপোর্টে বলা হয়- তাদের অভিযোগ ভিসা পেতে দীর্ঘ বিলম্বের কারণে তারাও সমস্যায় পড়েছেন। ওই কোর্সের জন্য অর্থ পরিশোধকারী অভিভাবকরা এখন পরিশোধিত অর্থ ফেরত চাইছেন। এক ব্যবস্থাপক বাংলাদেশের ভিসা প্রদান বিলম্বের পেছনে দিল্লির হাত থাকতে পারে এমন অভিযোগও করেন। বলেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রদের ভিসা দেয়া হলেও কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে না।

এই রিপোর্টেই আরেকটি এডুকেশনাল কনসালটেন্সির ব্যবস্থাপক বলেন- তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০ জনের মতো কাশ্মীরি শিক্ষার্থীও ভিসা পেয়ে গেছে। তারা বাংলাদেশে পৌঁছেও গেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রচারিত তাৎক্ষণিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল- বাংলাদেশে আগমনেচ্ছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত যত্নবান। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়সমূহে অধ্যয়নের জন্য এসে থাকেন তাদের ভর্তি, ভিসা সহজিকরণ এবং নিরাপত্তায় সরকার সর্বোতভাবে সহযোগিতা প্রদান করে । ২০১৯-২০ সালের ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আবেদনপত্র বর্তমানে যাচাই বাছাই ও মার্কস সমতাকরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

খবরের লিঙ্ক -

ভিসা পাচ্ছেন কাশ্মীরের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.