নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'করোনা ভাইরাস\' আমাদের জন্য কতটুকু বিপদজনক?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৪১

'করোনা ভাইরাস' আমাদের জন্য কতটুকু বিপদজনক?




করোনা ভাইরাস কি খুব মারত্নক? সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে? ৬ কোটি মারা যাবে?
মনে হয় না। ইতিহাস সেরকম বলে না।
নিকট অতীতে করোনা ভাইরাসের মত একই জাতের বেশী প্রাণঘাতি SARS, MERS, বা এরকম যতগুলো ভাইরাসের সংক্রমণের কথা শুনেছি, তার কয়টা সারা পৃথিবীতে বা বাংলাদেশে খুব ব্যাপকভাবে সংক্রমন করেছে?
অল্পই। SARS, MERS বা ইবোলা বাংলাদেশের দুয়ারে পাও ফেলেনি।



পুর্ব এশিয়াতে (২০০৩) করোনার চেয়ে অনেক বেশি প্রানঘাতি ভাইরাস SARS- এ আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে আট হাজার আর মৃতের সংখা ৩৭ টি দেশে ৭৭৪ জন (ডেথ রেট 9.6%)

২০১২ তে কম ঘনবসতির দেশ সৌদিআরবে ছড়ানো প্রাণঘাতি মার্স ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৪৯৪
আর মৃতের সংখা ২৪ টি দেশ মিলে ৮৫৮ জন।
শুধু সৌদি আরবে আক্রান্ত - 1030 মৃত 453 (ডেথ রেট 34.4% সৌদিআরবে 44%)

২০০৭-১০ সময়টাতে বার্ডফ্লু মোটামুটি ভয়াবহ ছিল। ডেঙ্গুর গ্লোবাল ডেথ রেট ৬০% বাংলাদেশে ছিল ৬৩%

ডেঙ্গু আক্রান্ত-মৃত গ্লোবাল ডেথ রেট মাত্র ১%
দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে বাংলাদেশে ডেঙ্গু ডেথ রেট একটু বেশি ২%

বর্তমান আতঙ্ক 'করোনা ভাইরাস' আক্রান্ত-মৃত এজাবপ্ত প্রাপ্ত ডেথ রেট ২%





করোনা ভাইরাস (nCoV 2019) ভাইরাস বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে সংক্রমনের সম্ভাবনা কতটুকু?
এর উত্তর পাওয়ার জন্য একটু চিন্তা করুন।

চীনে বা চীনের যে কোন একটি প্রদেশে বা জেলায় একটা ভাইরাস ছড়ালেই সেটা সব জায়গায় সমানভাবে ছড়াবে?
সেরকম কখনোই হয় না, সেই যুগ আর নেই যে প্লেগে বসন্তে গ্রামের পর গ্রাম, প্রদেশের পর প্রদেশ উজাড় হয়ে যাবে।
মানুষ অনেক সচেতন, প্রতিটি দেশেই রাষ্ট্রিয় অবকাঠামো ও সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে। বিজ্ঞানের অর্জিত জ্ঞান গ্লোবাল বিনিময়, জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থাও ব্রিজ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সকল রাষ্ট্রই সার্বক্ষনিক তথ্যবিনিময় করে যাচ্ছে। যোগাযোগ, জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রিয় সংস্থাগুলো যে কোন কঠিন ব্যাবস্থা নিতে পারে।

এছাড়া কোন কারনে জনগন বা রাষ্ট্র অব্যাবস্থার কারনে অবহেলায় বা আদিমকালের মত ভাইরাস সব যাগায় ছড়িয়ে সব মে্রে ফেলবে এমনটাও ভাবা ঠিক না।
আদিমকাল থেকে ভাইরাস আক্রমন হয়ে আসছে, কোন জাতীই সম্পুর্ন বিলুপ্ত হয় নি
ক্ষতিকর জীবানু সব মানুষের মধ্যে ব্যাপক ছড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় আবহাওয়া, ভিন্ন এলাকার মানবকুলের genetic, জিবানু প্রতিরোধ ক্ষমতা, এবং অন্যান্য environmental factor সব জায়গায় সব মহাদেশে সমান থাকেনা।
শীতপ্রধান দেশের জার্মস ট্রপিক্যাল উষ্ণ অঞ্চলে আসলে এমনিতেই দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা। ভিন্ন রেসের মানুষের ইমিউন সিষ্টেমও একটা ফ্যাক্টর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম বা বেশী জীবানু প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে, পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে ফেলে। আবার উল্টাটাও হতে পারে।
একসময় কলেরা-ডায়েরিয়াতে গ্রামের পর গ্রাম গঞ্জের পর গঞ্জ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। এখন শুধু স্যালাইন খেয়ে বা শিরাতে দিয়ে বেঁচে যাচ্ছে। প্রাচিন আমলের ক্লাসিকেল প্লেগ মানব দেহে ইতিমধেই রেজিষ্টান্স হয়ে গেছে। ক্লাসিকেল প্লেগও বিলুপ্ত।

করোনা ভাইরাস এখনো বাংলাদেশে আসে নি। এর আগে সার্স, মার্স, ইবোলাও আসেনি।
বার্ডফ্লু এসেছিল। ডেঙ্গু আসার দরকার হয় নি। আগেও ছিল এখনো আছে।





করোনা ভাইরাস এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসেনি। আসলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
কারো শরিরে এই ভাইরাস আছর করলেও বড় কোন ভয় নেই।
এই ভাইরাস মার্স বা বার্ডফ্লুর মত অতটা প্রানঘাতি না। চীনের বাহিরে যারা আক্রান্ত এরা কেউ মরেনি।
চিকিৎসকরা বলেছেন সঠিক তত্তাবধানে সুস্থ ব্যক্তির এই রোগে কোন ক্ষতি করতে পারে না। ৭ দিন ভুগবে। এই যা।
যাদের হাপানি বা ডায়াবেটিস আছে। বা বেশি বয়ষ্ক দুর্বল এরাই মৃত্যু ঝুকিতে।
চীনা কতৃপক্ষও বলেছে মৃতেরা সবাই বেশি বয়ষ্ক দুর্বল বা পুর্ব-রোগগ্রস্থ ।


* করোনা নিয়ে আবার পোষ্ট দিতে হল।
সামুতে একটি পোষ্ট "উইঘুরদের উপর নৃশংস নির্যাতনের কারণেই চীনাদের এই শাস্তি"
এই পোষ্টে দেখাগেল অনেক শিক্ষিত কবি সাহিত্যিক একমত হয়ে গজব সমর্থন করলেন। কষ্ট পেলাম।

রোগের প্রাদুর্ভাব গজব হয় কি করে?
তাহলে কদিন আগে রসুলের দেশ সৌদি আরবে মার্স ভাইরাসে এত উট ও মানুষ মারা গেল কিভাবে?
সৌদি আরবে উটের দুধ ও মুত্রপান থেকে এই রোগের সূত্রপাত।
সৌদি আরব সহ ২৪ টি দেশে মোট ৮৫৮ জন মারা যায়।
সৌদি আরবেই বেশী আক্রান্ত বেশী মৃত। রোগী 1030 মৃত 453 (ডেথ রেট 34.4% সৌদিতে বেশি 44%)






রোগব্যাধির জন্য গজব দায়ি না। উটও দায়ি না, সাপও দায়ি না।
শুধু জিবানু আক্রান্ত সেই উট ও সাপ বা শুধু জীবানুকে দায়ি বলা যেতে পারে।
সৃষ্টির আদি থেকেই মানবকুল ও অন্যান্য প্রাণীকুল পরস্পরের পাশাপাশি থেকেই দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েছে। একে অন্যের খাদ্য চেইন রোগ শেয়ার করেছে। এটা নতুন কিছু নয়।
অহেতুক ধর্মান্ধতা রেসিজম আর ঘৃণা ছড়ানো ঠিক না।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মূল্যবান ও সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ |

ডেথ রেইট ২% হলে সমস্যা ছিল না | কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বা স্প্রেড রেইট অনেক বেশি | এরই মধ্যে শুধু চিনেই প্রায় ৪৫০০ জন আক্রান্ত হয়ে পড়েছে | চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মা জিয়াওইএর মতে "এই ভাইরাস রোগীর দেহে প্রকাশের (সিম্পটমের) আগেই অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে" | এটাই অতি দ্রুত সংক্রমণের একটি অন্যতম এবং চরম উদ্বেগের কারণ | আর বাংলাদেশে জনগণ যেভাবে রাস্তাঘাটে কফ, থুতু ও নাক ঝাড়েন তাতে এই রোগ এক্সপোনেন্সিয়ালভাবে বিস্তার ঘটবে |


এর প্রতিষেধক বা নিরাময় উদ্ভাবন এবং তা জনগণের কাছে আসতে আরো ২/৩ মাস লেগে যাবে | সুতরাং বিমান ও অন্যান্য মাধ্যমে যাত্রীপরিবহনে স্ক্রিনিং সহ যতরকম উপায়ে এর অন্য দেশে সংক্রমণকে যত বিলম্বিত করা যায় ততই মঙ্গোল |

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ গুরু।

স্প্রেডিং রেট বেশি হওয়ার কারন চীনা কতৃপক্ষ রোগটি চিনে উঠতে দেরি করে ফেলেছিল।
ততদিনে জনবহুল উহান শহরে ২০০০ ছড়িয়ে যায়। এরপর ৪০০০ হয়ে যায়। তবে কঠিন ব্যাবস্থা নেয়ায় ও নববর্ষের ছুটি থাকায় আর বেশি মাত্রায় ছড়ায় নি। এবং ভাইরাস সংক্রমণ যাতে আর বেশি না ছড়ায় সেজন্য চীন সরকার নববর্ষের ছুটি আরো তিনদিন বাড়িয়েছে।

আর ডেথ রেট কম হওয়ার কারন চিকিৎসা ব্যাবস্থার উন্নতি। আর চীনারা আমেরিকার তৈরি এইডসের ঔসধ (যা মুলত এন্টি ভাইরাল ড্রাগ) ব্যাবহার করে রোগের তীব্রতা কমিয়ে ফেলছে।
তবে ভাইরাসটি বাংলাদেশে আসলে সামাল দেয়া কঠিন হবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশে এত সিরিয়াস না হয়ে বরং যার যার কাজে মন দেয়া উচিত।

বিশিষ্ট বিজ্ঞান পত্রিকা Nature ম্যাগাজিন American Academy of Microbiology র বরাত দিয়ে বলেছে
Corona Virus become inactive within 20-40c degree temperatures.
It become active if the temperature is constantly below 10c.

বাংলাদেশে এখন ফেব্রুয়ারি মাস। তাপমাত্র আর 10c নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। ভাইরাস ছড়ানোরও উপায় নেই।
যার যার কাজে মন দেয়া উচিত। কাজকাম না থাকলে ডেঙ্গু নিয়ে ভাবা উচিত। বাসাবাড়ীর আসেপাসে জমা পানি পরিষ্কারে মন দেয়া উচিত।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেখা যাক।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেখা শেষ।
চীন হইলো হারামির হারামি। যে খানে ভাইরাস পাইছে পুরা শহর ২৪ ঘন্টা কার্ফু দিয়ে আটকায় ফেলছে।
সাড়ে ৪ হাজার মানুষ হাসপাতালে আইসোলেটেড। ব্যাপক হারে আর ছড়াচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
আর বিদেশে (সিঙ্গাপুর জার্মানি) যে কয়টা পাইছে সবগুলা আইসোলেটেড। সবাই সতর্ক।
সকল ভাইরাস রোগে জীবানু রোগিকে খতম করতে না পারলে ৭-৮ দিনে রোগ এমনিতেই ভাল হয়ে যায়।

আর বাংলাদেশে ফিরে আসা চীনা ও অন্যান্নদের ১০ দিন বাসার বাইরে যেতে মানা করা হয়েছে।
আর এইসব জার্মস মানবদেহ বাদে বাতাসে বেশিক্ষন বাচে না। তাই ভয়ের কিছু নেই।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
করোনা নিয়ে আমি চিন্তিত হলেও বেশী উদবিগ্ন ছিলাম না।
যারা ফেবু-ব্লগে ওভাররিয়েক্ট করছিলেন ৬ কোটি মারা যাবে বলে ক্রমাগত পোষ্ট দিচ্ছিলেন, তাদেরকেও বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অসাধারণ এবং সময়উপযোগী পোস্ট, আমাদের দেশের মানুষের স্বভাব একটাই যেকোনো বিষয়ের সাথেই ধর্মকে জড়াতে চায়, যারা এই পোস্ট পড়বে আশাকরি কিছুটা হলেও তাদের ভুল ভাঙাবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
করোনা ভাইরাস যদি চীনাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত গজব হয়, তাহলে মুমিনদের এত বিচলিত হওয়ার কিছু নেই ।
তারা আক্রান্ত হবেনা ! কথাটা ঠিক না বেঠিক? চিল্লাইয়া কন ....

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হাসান কালবৈশাখী ভাই,
আমরা বাংলাদেশী ব্যথা পেলে মাগো বাবাগো করে চিৎকার করি, (সূত্র: দুর্ঘটনা, থানা ও হাসপাতাল) আর প্রকৃতি ও অদৃশ্য আঘাত হলে ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানের দোহায় দেই বা গজব মনে করি। - এটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানের নাম চলে আসলে মানুষের মাঝে আতঙ্ক কম কাজ করে (এটি ভালো দিক) মানুষের মনে সান্তনা বড় একটি ব্যাপার। যাক সেসব।

ডেঙ্গু আতঙ্ক আপনি হয়তোবা সামনা সামনি দেখেন নি (আমার সঠিক জানা নেই) নেট থেকে আতঙ্ক জানা আর পরিবারে, সমাজে হাসপাতালে দেখা এক নয়। ঠিক তেমনি করোনা ভাইরাস (জাপানের টয়োটা করোনা সেলুন কার ১৯৮৪-২০০১ পর্যন্ত মডেল পরে তা টয়োটা প্রিমিও মডেলে আপডেট ভার্সন করা হয়) - এতো এতো নাম থাকতে কার ব্রান্ড করোনা কেনো ভাইরাসে রুপান্তর নিলো তাও ভাবনার বিষয় হতে পারে (হয়তোবা)। করোনাভাইরাস চীনে যেভাবে ফলাও হয়েছে তা বাংলাদেশে আক্রমণ হলে রোগের ভয়েই মানুষ মারা যাবে! রোগেশোকে কতোজান মারা যাবেন তার হিসাব পরে!

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। লঞ্চ যাতায়াতের জেলাগুলোতে সবাই ভালো সাতার জানেন, তারপর ও লঞ্চডুবি হলে কতোজন মারা যান তার হিসাব সাধারণ মানুষ ও সরকার কখনো জানেন না। আতঙ্ক, ভয় - ভয়ঙ্কর।

ক্যান্সারে মানুষ মারা যায় এটি যতোদিন জানা ছিলোনা আতঙ্ক ছিলো না। যখন জানা হয়েছে প্রচার হয়েছে আতঙ্ক হয়েছে ভয়ঙ্কর। কোটি টাকা খরচ করছেন ক্যান্সার থেকে বাঁচার আশায় মানুষ (লেখক হুমায়ুন আহমেদ) চিকিৎসা না করলে আরো তিন - পাঁচ বছর বাঁচতেন। ভয়ে আতঙ্কে আর মিডিয়ার প্রচারে মারা গেছেন ভদ্রলোক।

***বাদবাকী যা লিখেছেন সবই আমার পক্ষ থেকে সমর্থনযোগ্য। যথার্থ লিখেছেন।


বি: দ্র: আশা করি উক্ত পোষ্টে আমার মন্তব্য আধাআধি পড়ে কেউ ব্যক্তি আক্রমণে ঝাপিয়ে পড়বেন না।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশী ব্যথা পেলে মাগো বাবাগো করে চিৎকার করে, আর প্রকৃতি ও অদৃশ্য আঘাত হলে ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানের দোহায় দেয়। এটা ঠিক আছে।

কিন্তু নিজের ধর্মিয় বিশ্বাসের কাল্পনিক সুপ্রিমেসি কারনে ভিন জাতীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদি মনভাব পোষন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগের আক্রমনে সহানুভুতি সহমর্মিতা না জানিয়ে নিরিহ নিহত আহত আক্রান্তের ব্যাথায় ব্যাথিত না হয়ে গজব ধরে নিয়ে উল্লাস নিজেদের শ্রেষ্ট ভেবে বুলি আওড়ানো। শিক্ষিত ব্লগারদের এসব ব্রাহ্মণসুলভ চিন্তাভাবনা একেবারেই লেইম, অগ্রহনযোগ্য।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ভয়ের কিছু না্ই
আল্লাহ সহায়
নিয়মকানুন
মেনে চলুন
আর
আল্লাহকে
স্মরণ রাখুন

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভয়ের কিছু নাই আল্লাহ সহায়
নিয়মকানুন মেনে চলুন
আর আল্লাহকে স্মরণ রাখুন।

নুরু ভাই।
খুব সুন্দর কথা। ভাল লাগলো।


৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




সুচিন্তিত ও সুলিখিত পোস্ট।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে, সুস্থ থাকবো।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: চায়না কন্ট্রোল করার সব ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও যেভাবে স্প্রেড করছে এই ভাইরাস তাতে উদ্বেগ হওয়াই স্বাভাবিক । চায়নার সরকারী হিসেবেই প্রতিদিন দ্রুততার সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ও সং্ক্রামিত পেশেন্টের সংখ্যা। গতকালও মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৬ , সং্ক্রমনের সংখ্যা চার হাজারের কিছু উপড়ে, আজ সেটা বেড়ে গিয়ে দারিয়েছে মৃতের সংখ্যা ১৩২ , সং্ক্রমনের সংখ্যা ৬০০০। তাছাড়া নিয়ন্ত্রিত চায়না মিডিয়ার ভাষ্যও অন্য দেশগুলো বিশ্বাস করতে পারছে না। উহান থেকে এক নার্স জানিয়েছে প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। তবে সবেচেয় উদেগজনক যেটা এখন সারা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে যে এই ভাইরাস বায়ো উইপেন কিনা। উহানে বায়ো উইপেন এর গোপন ল্যবরেটরি আছে বলে জানিয়েছে কয়েক দেশের বিজ্ঞানী। এ কারনেই উদ্বেগটা খুব বেশি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাইরাস বায়ো উইপেন থেকে এই ভাইরাস?
মনে হয় না। সার্স ও মার্স থেকে এই জার্ম অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালি। এত দুর্বল জিনিষ যুদ্ধে ইউজ হওয়ার কথা না।

কথাটা বলেছে এক ইজরাইলি রিটায়ার্ড স্পাই।
সেভাবেও বলেনি। টকশোতে সাম্ভাব্য অনেক কিছুর সাথে এই ধারনাটি শুধু বলেছে। এটা ধারনা। এর সাপোর্টিং আর কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। এসব কথা বার্তা ভিত্তিহীন।
অস্ত্রতে শক্তিশালি দেশ সাধারনত জিবানুঅস্ত্র ভরসা করে না, ব্যাবহার করে না, আমেরিকা রাশিয়াও করে না। এরা সাম্ভাব্য জীবানু আক্রমন ঠ্যাকানোর গবেষনা করে। জিবানুঅস্ত্র ব্যাবহার করে ইরান, পাকিস্তান, ইসরাইল, তুরষ্ক এইসব দুর্বল দেশ।

আর চীন জীবানুঅস্ত্র বিরোধী কনভেনশনে স্বাক্ষরিত দেশ। চীন কোন যুদ্ধবাজ দেশ না।
তাইওয়ান বা হংকং এ হামলা চালায় নি। ২০১৭ তে ভারত সীমান্তেও প্রমানীত হয়েছে যুদ্ধ লাগাতে চায় না।
যাষ্ট অস্ত্র ব্যাবসা করে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সর্বশেষ মৃত সংখা

Corona virus in China

132 Deaths
5,974 Confirmed cases
9,239 Suspected cases
16 Other countries with confirmed cases

Source: China National Health Commission and WHO

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সোয়াইন ফ্লু-এর সময় আমি দেশে গিয়েছিলাম পুরো পথে মাস্ক লাগিয়ে। তখনও বাংলাদেশে তেমন ভাবে ছড়ায়নি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ডেঙ্গু ছাড়া আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় না বাংলাদেশে। তবুও সতর্ক থাকতে হবে...

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা। সেটাই।
এই ভাইরাস সমন্ধে আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনা ভাইরাস স্প্রেডিং রেট খুব বেশি হলেও সবাইকে সমান হারে আক্রমন করে না।
অনুসন্ধানে দেখা পরিবারের সবাই সমান হারে সংক্রামিত হয় নি। অনেকেই রোগির খুব কাছে থাকার পরও আক্রান্ত হয় নি।
১০০ জন এই ভাইরাসে সংক্রামিত হলে ১০% রোগী উচ্চ জ্বর গুরুতর নিউমেনিয়া স্বাসকষ্ট মৃত্যু মুখে চলে যায়।
৫০% জ্বর হলেও অল্প স্বাসকষ্ট থাকে, নিউমেনিয়া হয় না। ১০ দিনে ভালহয়ে যায়।
৪০% লোকের জ্বরও হয় না। সর্দি কাশিতে ভুগে ৭ দিনে ভাল হয়ে যায়।

সুত্র - অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন
ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসর’

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

নতুন বলেছেন: দুই এক সপ্তাহে সব ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

অলরেডি থেমে না গেলেও চীন ও অন্যত্র করোনাক্রমন স্লোডাউন হয়ে গেছে।
কিন্তু গুজব চলছেই।
বিবিসি বলছে - সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ছড়ানো খবরগুলো ৯৯%ই মিথ্যা। গুজব।
ইসরাইলি গোয়েন্দা নিজেই ভুয়া। বক্ত্যব্যও ভুঁয়া, জীবানুঅস্ত্রের কথাও ভুয়া। এমনকি ওয়াশিংটন টাইমস, ডেইলিস্টার (লন্ডন)র মত জায়েন্ট মিডিয়ার খবরগুলোও গুজবের উপর ভিত্তি করে ছড়ানো। যদিও বিবিসি নিজে গুজব ছড়ানোতে কম যায় না।

এ জাবৎ প্রাপ্ত খবর

চীন
চীনে এই ভাইরাসে ১৩২ জন মারা গেছে। সংক্রমিত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ম্যাকাওয়ে আজ পর্যন্ত ৬ জনের সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া হংকংয়ে এই ভাইরাসে সংক্রমিত ৮ ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।

চীন বাদে ১৬ দেশে অল্প কএকজন সনাক্ত হয়েছিল, কেউ মরেনি, গুরুতর অসুস্থও নেই। অলরেডি অনেককে হাসপাতাল থেকে ছড়ে দেয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁরা সবাই উহান থেকে আসেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করেছে। তাঁর বয়স ৬০ বছর। তিনি উহান থেকে আসেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

জাপান
জাপানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার জানায়, তারা সংক্রমিত চার ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। সবশেষ যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়, তাঁর বয়স ৪০ বছর। তিনি পুরুষ। উহান থেকে জাপান ভ্রমণে আসেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁরাও উহান থেকে জাপানে আসেন।

মালয়েশিয়া
রোববার মালয়েশিয়া জানায়, তারা সংক্রমিত চারজনকে শনাক্ত করেছে। তারা সবাই চীনের নাগরিক। তাঁরা উহান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে মালয়েশিয়া ভ্রমণে আসেন।

নেপাল
নেপাল জানায়, উহান থেকে আসা ৩২ বছর বয়সী এক সংক্রমিত ব্যক্তিকে তারা শনাক্ত করেছে। তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুর এখন পর্যন্ত সংক্রমিত পাঁচজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। তাঁরা সবাই উহান থেকে এসেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয়, সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে সংক্রমিত চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। তাঁরা সবাই উহান থেকে এসেছেন।

শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা সোমবার জানায়, তারা সংক্রমিত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। তাঁর বয়স ৪৩ বছর। তিনি চীনের নাগরিক। হুবেই প্রদেশ থেকে এই নারী পর্যটক হিসেবে গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় আসেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাইওয়ান
তাইওয়ান এখন পর্যন্ত সংক্রমিত পাঁচজনকে শনাক্ত করেছে। সবশেষ তাইওয়ানের এক ৫০ বছর বয়সী নারীকে শনাক্ত করা হয়। তিনি উহানে কাজ করছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি তিনি তাইওয়ান ফেরেন।

থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ড এখন পর্যন্ত সংক্রমিত আটজনকে শনাক্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি পাঁচজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটজনের মধ্যে একজন থাই নাগরিক। বাকিরা চীনা নাগরিক।

ভিয়েতনাম
ভিয়েতনাম এখন পর্যন্ত সংক্রমিত দুজনকে শনাক্ত করেছে। উহান থেকে এক ব্যক্তি চলতি মাসের শুরুর দিকে হো চি মিন সিটিতে আসেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁর ছেলে আক্রান্ত হয়।

কানাডা
সোমবার কানাডা জানায়, তারা সংক্রমিত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। তিনি পুরুষ। তিনি উহান ভ্রমণ করেছেন। তাঁর স্ত্রীও সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত সংক্রমিত পাঁচ ব্যক্তিকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তিরা সম্প্রতি উহান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। টেকসাসে একজন কে ভাইরাস আক্রান্ত নয় বলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ফ্রান্স
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত তিন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সেই প্রথম এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। তিনজনই সম্প্রতি চীন সফর করেছিলেন।

জার্মানি
মঙ্গলবার জার্মানি প্রথম জানায়, তারা সংক্রমিত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২

নতুন বলেছেন: চীনের খবর অবশ্যই আসল তথ্য না। সরকার যদি বলে সংখ্যাটা ১৩২ জন আমার হিসেবে সেটা হাজারের কাছা কাছি হলেও অবাক হবো না। কারন সরকার ঠিক করে বাইরে কোন খবরটা যাবে কোনটা যাবে না।

কিন্তু করোনা ভাইরাসে বাইরে এখনো কেউই মারা যায় নাই।

যে কোন নিউমোনিয়াতে বৃদ্ধ,শিশু বা দূব`ল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ওয়ালা রোগীর মারা যাবার সম্ভবনা বেশি। আর যেহেতু এই ভাইরাসে সাধারন চিকিতসায় কাজ হচ্ছেনা তাই এরাই বেশি মারা যাচ্ছে।

সব`পরি বাংলাদেশে ডেঙ্গুর জন্য প্রস্তুুতি শুরু করা দরকার।

এরচেয়ে বেশি মানুষ প্রতিদিন সড়ক দূঘটনায় মারা যাচ্ছে সেটা নিয়ে জনগনের সচেতনা কম.....

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

চীনের খবর হয়তো সবটা সত্য তথ্য না।
তবে চীন খুব সাক্সেস্ফুলি তার দেশকে লক করে দিয়ে প্রতিবেশীদের বড় বিপর্যয় থেকে বাচিয়েছে।


যদিও করোনা ভাইরাসে এই পর্যন্ত ৩০০ বা ৫০০+ মানুষ মারা গেছে এবং ২৫ হাজারের মতো আক্রান্ত হয়েছে।
এরপরও এই করোনা এখন পর্যন্ত মানব জাতির উপর আক্রান্ত করা সবচেয়ে দুর্বলতম এবং কম ক্ষতিকর ভাইরাস!

এর চেয়েও বহু বহু গুণ শক্তিশালী ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করেছে এবং সেগুলো এখনো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। অর্থাৎ বলা যায় এরা আবার ও স্বরূপে আবির্ভূত হতে পারে।

আসুন দেখে নিই এযাবৎ আক্রমণ করা বিভিন্ন ভাইরাসের উৎস, ক্ষতির পরিমাণ এবং ফাটালিটির পার্সেন্টেজ কতঃ

১) MARBURG - ফাটালিটি বা মৃত্যের সংখ্যা অনুপাতে
মারবার্গ নাম্বার ওয়ান। ১৯৬৭ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয় উগান্ডায় যাতে ৫৯০ জন আক্রান্ত হয়ে ৪৭৮ জন মারা যায়। ধারণা করা হয় এটা বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ফাটালিটি পার্সেন্ট ৮১%.

২) H5N1 BIRD Flu - দুইনাম্বার পজিশনে H5 N1 bird flu. ২০০৩ সালে চীনে দেখা দেয়। মুরগির বার্ড ফ্লু ডিজিজ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।। এতে আক্রান্ত হয় ৮৬১ জন এবং মারা গিয়েছিল ৪৫৫ জন।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ৫৩%

৩) NIPHA -- তিন নাম্বার পজিশনে আছে নিপাহ ভাইরাস যা ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম দেখা দেয়! এতে তখন ৪৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ২৬৫ জন মারা গিয়েছিল।
এটাও বাদুড় লালা থেকে ফলের বা রসের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ৫৩%

৪) EBOLA - চার নাম্বারে আছে ইবোলা। ধারণা করা হয় এটাও বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। কোন কোন বিশেষজ্ঞ এটা বানরের থেকে ছড়িয়েছে বলেও অভিমত দেন। কারন বানরে ইবোলার সিম্পটম দেখা গেছে।
সর্বপ্রথম দেখা দেয় মধ্য আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো তে ১৯৭৬ সালে। যাতে ৩৩,৬৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল ১৪,৬৯৩ জন।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ৪৪%.
দ্বিতীয় দফায় ইবোলা আফ্রিকাতে আবার দেখা গেছে ২০১৪/১৫ তে। যাতে লাইবেরিয়ার ক্যামেরুন সহ কিছু দেশ আক্রান্ত হয় এবং কয়েকশো মানুষ মারা যায়।

৫) H7N9 BIRD flu - পাঁচ নাম্বার পজিশনে আছে H7 bird flu যার উৎপত্তিস্থল চীন। এটাও মুরগী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় ২০১৩ সালে। যাতে ১৫৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৬১৬ জন মারা গিয়েছিল।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ৩৯%

৬) MERS -- ৬ নাম্বার পজিশনে আছে মিডলইস্ট রিসপাইরেটরি সিন্ড্রোম বা MERS যার উৎপত্তিস্থল সৌদি আরব। এই ভাইরাস ২০১২ সনে প্রথমে উটে ছড়ায় এবং উট থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায় যাতে ২৪৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৮৫৮ জন মারা গিয়েছিল।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ৩৫%

৭) SARS -- ৭ নাম্বার পজিশনে আছে SARS যার উৎপত্তিস্থান চীন। ২০০২ সালে প্রথমে SARS ছড়ায় বাদুড় এবং সিভিট জাতীয় এক ধরনের বন্য বিড়াল থেকে।
এতে ৮,৪৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৮১৩ জন মারা গিয়েছিল।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ১০%

৮) এছাড়া A ( H1N1) pdm 09 ভাইরাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো তে ২০০৯ সালে প্রায় এক মিলিয়ন লোক আক্রান্ত হয়েছিল যাতে প্রায় দেড় থেকে দুইলাখ মানুষ মারা গিয়েছিল।
এটা ছড়িয়েছে শূকরের মাংস থেকে।
ফাটালিটি পার্সেন্ট ২.৬% থেকে ৩%

৯) তবে এযাবৎ সবচেয়ে বেশি মানুষ যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল তার নাম ফ্লু বা সিজনাল ফ্লু।
অনেকে কমন ফ্লু ভেবেও ভুল করে।
এতে সারাবিশ্বে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয় প্রতিবছর।
এতে এ যাবৎ সারাবিশ্বে প্রায় ৩ থেকে ৬ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছে।
এটা ও শূকর বা পাখি থেকে ও ছড়ায়।

ফাটালিটি পার্সেন্ট ৯.৯%

ফ্লুর ভ্যাক্সিন ইতিমধ্যে আবিষ্কার হয়েছে এবং অনেকটা কার্যকরী।

১০) দশ নাম্বার পজিশনে আছে রিসেন্ট আবিষ্কার হওয়া করোনা ভাইরাস যার নাম Ncov- 2019
বা নোভেল করোনা ভাইরাস ২০১৯.
এর ও উৎপত্তিস্থল চীন।
এই পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার প্লাস এতে আক্রান্ত হয় ( চলমান)
এবং ৫২৫ জন মারা যায় ( চলমান)
এই ভাইরাস বিশ্বের ২৫ টি দেশে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে যা এখন সারাবিশ্বের জন্যই এক মহা আতংক।

তবে তারপর ও করোনা থেকে ও মারাত্মক ভাইরাস মানবজাতি লক্ষ্য করেছে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফলও হয়েছে। মানে শুধু চীনেই সিমিত রাখতে পেরেছে। চিন ও মার্কিন সিডিসির কাছে Ncov- 2019 জেনম তথ্য বিনিময় করছে।

তবে যেটা বিষয় তা হলো কোন ভাইরাসই পুরোপুরি ধবংস করা যায় না। এটা কোথাও না কোথাও থেকে যায় এবং কয়েক যুগ এমন কি কয়েক শতাব্দী পরেও ফিরে আসতে পারে তার ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়ে।
ইতিপূর্বে ইবোলা, ফ্লু, বার্ড ফ্লু, নিপাহ এবং বর্তমান MERS এবং SARS এর পরিবারের করোনা তার প্রমান।

তবে মানুষও বসে নেই। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই চলছেই।



১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৪

নতুন বলেছেন: আগামী মাসে গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির উপরে থাকবে, দেশে ফ্লুর প্রকোপ বাড়বেনা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা, সেটাই।
তবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার অন্যান্ন মহামারির চেয়ে এখনো কম।

করনা আপডেট ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (forbes)

229 people have contracted the respiratory infection in Italy as of Monday night.
Italy is now the European “epicenter”
6 deaths as of Monday evening. That’s the third highest death toll outside of China.
Iran has reported 12 deaths.
South Korea has reported 8 deaths out of 833 cases.

Italy, roughly 3% of the confirmed number of cases ended in death as of Monday. But the number of new cases jumped early Tuesday to 270, so that has the mortality rate now at 2.6%.
South Korea, it’s 0.9%.
Iran, it’s a whopping 19% though information
Italy’s mortality rate not far from the current rate in China of 3.4% based on mainland China’s confirmed cases of 77,660
and a national death toll of 2,663 as of Tuesday evening.

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

নতুন বলেছেন: কিন্তু এই ভয় পুরো বিশ্বেই অথ`নৈতিক ভাবে প্রভাব ফেলছে....

কয়েক ট্রিলিওন ডলার লস হবে এর প্রভাবে... :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.