নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এ দেলোয়ার হোসেন সায়েদির বয়স কত

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

১৯৭১ এ দেলোয়ার সায়েদির বয়স কত ছিল? ১৩?
কিন্তু সায়েদির জন্মদিনে তার পোলা তার ভেরিফাইড পেইজ থেকে জন্মদিনের উইশ করতে জন্মতারিখ উল্লেখ করাতে দেখা গেল ৭১এ তার বয়েস ৩১

যুদ্ধাপরাধী মামলায় বিচারের সময় সাইদি’র পক্ষের উকিল আদালতে খুব শক্তভাবে উত্থাপন করছিল ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১৩ বছর।সে নাকি যুদ্ধের সময় নাবালক শিশু ছিল। ছাগুরাও সামুতে পোষ্ট দিয়ে পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছিল
যুদ্ধাপরাধ দায় এড়াতে হাতে আর কোন তথ্যপ্রমান না পেয়ে বয়স লুকানো বাদে আর কিছু করার ছিল না।
কিন্তু সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।



যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বচ্চ দন্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাইদি গতকাল পিতার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেবুতে একটি পোস্ট দিলো,
সেখানে স্বীকার করলো সাইদি’র জন্মদিন ০২.০২.১৯৪০, মামলার এজাহারে যেভাবে ছিল দিন তারিখ সহ হুবুহু সেভাবেই।

Masood Sayedee - মাসুদ সাঈদী (ভেরিফাইড ফেবু একাউন্ট)
2 ফেব্রুয়ারি, 1:13 AM-
আজ ২ ফেব্রুয়ারী।
১৯৪০ সালের আজকের এই দিনে আল্লাহর গোলাম, পবিত্র কোরআনের খাদেম আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন।
অন্যান্য দিনের মতো আজকের এই দিনেও আমার মালিক, আমার রব এর শাহী দরবারে ফরিয়াদ করছি, মাবুদ .. !
তুমি আমার শ্রদ্ধেয় পিতা আল্লামা সাঈদীকে নেক হায়াত দাও। তাকে সুস্থ রাখো। জালিমদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র চক্রান্ত থেকে তাকে হেফাজত করো।
তোমার গোলামকে তুমি কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দাও। দুনিয়াব্যপি শত কোটি জনতার চোখের পানি তুমি কবুল করো


১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন,ধর্ষন নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ৮ টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল পরে আপিলে অপরাধ প্রমানিত হলেও শাস্তি একটু কম দেয়া হয়েছিল। আমৃত্যু কারাদন্ড। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশে জাবৎজীবন জেল দেশের সর্বচ্চ শাস্তি।

তাহলে এবার বলেন ১৯৭১ সালে রাজকার সাইদির বয়স কত ছিল? ৩১ বছরের নাবালক।




সাইদি পরিচিতি
কুখ্যাত দেলু সাঈদীর চরমপন্থী মতবাদের জন্য ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেরোরিস্ট স্ক্রিনিং সেন্টার (টিএসসি) সাঈদীকে তাদের নো ফ্লাই তালিকায় যুক্ত করে অর্থাৎ এই তালিকার নাগরিকেরা কোন দেশ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমনকি অন্যদেশেও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্ল্যাগধারি কোন এয়ারলাইনসে টিকেট থাকলেও বিমানে উঠতে পারবেন না।

বিদেশভ্রমণ বিতর্ক
২০০৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ক্ষমতাসিন বিম্পি-জামাত সরকারের সহযোগিতায় ব্রিটিষ ইমিগ্রেশনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর সাঈদী যুক্তরাজ্যে যান লন্ডন ও লুটনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখার জন্য। অনেক ব্রিটিশ সংসদ সদস্য তার এই ভ্রমণকে বিতর্কিত হিসেবে গণ্য করে। কিছু ফাঁস হওয়া ইমেইল নিয়ে দি টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখান থেকে জানা যায় যে একজন উপদেষ্টা, এরিক টেইলর বলেছেন, "যুক্তরাজ্যে সাঈদীর পূর্ববর্তী ভ্রমণেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তার অনুসারীদের আক্রমণাত্নক আচরণের জন্য।" এরপরেও এক পাকি বংশের মুসলিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুল বারী তার এই আমন্ত্রন সমর্থন করেন। এরপরেও সমাবেশে প্রচুর হট্টগোল হয়েছিল


২০০৬ সালের ১৩ই জুলাই ব্রিটিশ সাংবাদিক একটি ডকুমেন্টরি প্রকাশ করেন সেখানে সাঈদীকেও যুক্ত করা হয় এবং তাকে মিলিট্যান্ট ইসলামিষ্ট চরমপন্থী মতবাদ-দাতা বলে উল্লেখ করা হয়।

যাই হোক অপরাধীর অপরাধ একদি বা একদিন নিরংকুশ ভাবে প্রমানিত হয়ই।
সবকিছু বিবেচনা করে বলা যায় যুদ্ধাপরাধ টাইবুনালে বিচারগুলো সঠিক পথেই ছিল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সাঈদীর বাসা আমার বাসার কাছেই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার বাসার ঠিকানা দেন।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

১৩ উল্টা করে দিন
তা হলে ৩১ হবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নুরু ভাই - আপনার সৃজনশীলতা অসাধারন। কেমনে মিলাইলেন। ১৩ উল্টা ৩১
আদালতে এইটা বলতে পারলে ঐ শালা তাৎক্ষনিক বেকসুর খালাস পাইয়ে যেত।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫২

আমি নই বলেছেন: কথা সত্য, পাপ বাপকেও ছারেনা।

ভাই, আদালতে ওনাকে নাকি দেলোয়ার শিকদার হিসাবে বিচার করা হয়েছে, এটা সত্য নাকি?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাপ বাবকে ছাড়ে না। ভাল বলছেন।
অনেক পুরনো লেখায়ও যানা যায় - সাঈদী ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম ইউসুফ শিকদার। উনি গ্রামের খুব সাধারণ এক গৃহস্থ ছিলেন।
পোলার নাম দেলোয়ার শিকদার। সত্য।
পরে বাহারি নাম লাগাইছেন। দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী বা দেলাওয়ার হোসেন সায়িদি। পরে নামের আগে আল্লামা যোগ করেছেন।
অবস্য টাইবুনালে ওনার উকিলরা অনেক ধানাই পানাই করেছিলেন। বলেছিলেন দেলোয়ার শিকদার ও দেলাওয়ার সায়িদি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাক্তি। এরকমটা কাদের মোল্লার ক্ষেত্রেও করা হয়েছিল। পরে সব ভুয়া প্রমানিত হয়েছে।

পাকিস্তানি সংসদে নিন্দা প্রস্তাব বিল আনার দাবিতে বলা হচ্ছিল -

পাকিস্তান রক্ষায় পুর্বাঞ্চলে যারা লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে, এখন ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে আরো অনেককে ঝুলাচ্ছে। এদের প্রতি পাকিস্তানিদের কি কিছুই করার নাই? অন্তত একটা কঠিন নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'দেলোয়ার শিকদার' সহ সব হিসাবেই বিচার করা হয়েছে

যদিও আদালতে আসামী পক্ষ থেকে জোড়ালো ভাবে 'দেলোয়ার শিকদার' ভিন্ন লোক বলা হচ্ছিল।
কিন্তু ট্রাইবুনালের তদন্তকারিরা সায়িদির ভিটে বাড়ির সিএস দাগ দলিলে পিতার নাম ইউসুফ শিকদার, বাড়ির নাম শিকদার বাড়ি থাকায় আসামী পক্ষের দাবি সহযেই নাকোচ হয়ে যায়। মামলাও সহজ হয়ে যায়।

বাপের দেয়া নাম দেলোয়ার শিকদার।
এরপর নামের মাঝে হোসেন যুক্ত হয়।- দেলোয়ার হোসেন শিকদার
এরপর নামের শেষে সায়েদী যুক্ত হয় - দেলোয়ার হোসেন সায়েদী
এরপরে নামের আগে মাওলানা যোগ করে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সায়েদী
সর্বশেষ মাওলানা বাদ দিয়ে হয়ে যায় আল্লামা।
আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সায়েদী

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নুরু ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে অনেকক্ষণ হাসলাম | উকিল বোধহয় জিপিএ ৫ গ্রূপের | তাই ৩১ উল্টা করে ১৩ হিসাব করে ফেলেছে |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.