নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭৫ নম্বর ওয়ার্ড। ইভিএম-এ এতো ভোট পড়ল কিভাবে?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮

এবারের দুই সিটির ভোটের গড় যেখানে ২৭%
সেখানে ইভিএম-এ এতো বেশি ভোট পড়ল কিভাবে? এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনে।

খিলগাঁও থানা এলাকার বিলের ভেতর একটি ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে প্রায় ৭৩%
কারচুপি নাকি?
মানবজমিন পত্রিকার দুই সাংবাদিক গেছিল সেই গ্রামে।
পত্রিকায় যা লিখেছে।


ছবি পাইনি, তবে 'গুগল স্ট্রিট ভিউ' থেকে এলাকার একটি ছবি।


এই ওয়ার্ডের নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৭৬ ভাগ,
ত্রিমোহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৩ ভাগ
ত্রিমোহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬২ শতাংশ
বালুরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছে ৭৫
ফকিরখালী নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়েছে ৭৪ ভাগ

ইভিএম-এ এতো বেশি ভোট পড়ল কিভাবে এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনে। মানবজমিন এর অনুসন্ধানে উঠে আসে এই এলাকার ভোট উৎসবের নেপথ্যের তথ্য।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডটি ত্রিমোহনী, নাসিরাবাদ, দাশেরকান্দি, গজারিয়া, কায়েতপারা, বাবুর জায়গা, বালুর পার, উত্তর দুর্গাপুর, নাগদারপাড়া, ইদারকান্দি, শেখের জায়গা ও ভাইদিয়াসহ মোট ১২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এক সময় এই গ্রামগুলো নাসিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ছিল। আয়তনের দিক থেকে ওয়ার্ডটি ৯ বর্গমাইলের কাছাকাছি। জনসংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষ এবং এটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের খিলগাঁও থানার আওতাধীন। থানা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে।
ওয়ার্ডের মধ্যে বয়ে গেছে নড়াই, বালু ও দোলাই নদী। এছাড়াও এলাকাটি দিয়ে গজারিয়া ও নন্দীপাড়া খালও বয়ে গেছে। খিলগাঁও থানা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ওয়ার্ডটির অবস্থান। কয়েক বছর আগেও এলাকাটি নির্জন দ্বীপের মত ছিল। রাস্তাঘাট, স্কুল, যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা ছিল না। বর্তমানে ও সিটির আওতায় আসার পর কিছু রাস্তাঘাট হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই কৃষি নির্ভর বালু ব্যাবসা নির্ভর। অবহেলিত এলাকাটির অনেক সড়ক এখনো খানাখন্দে ভরপুর।



মতিঝিল জোনের খিলগাঁও থানার আওতাধীন। ওয়ার্ড ৭৫


এত ভোট পড়লো, কে জিতলো এই ৭৫ নং ওয়ার্ডে ?

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন 'ঠেলা গাড়ি' প্রতীক মোট ভোট পেয়েছেন ৪,৭৫০টি।
বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আকবর হোসেন 'ঘুড়ি' প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪,৯৫৭ ভোট।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনিয়া হোসেন 'ঝুড়ি' প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১,৩৫০
আতাবর রহমান 'ট্র্যাক্টর' প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭১ ভোট।

এদের মধ্যে ২০৭ ভোট বেশি পেয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
তবে সবকটি কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপস বিপুল ব্যাবধানে জয়ী হন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাজনৈতিক রেষারেষি ও সংঘাত না থাকায় এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে বেশি ভোট পড়ে।

ত্রিমোহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দোকানদার সামির আলী বলেন,
আমাদের এলাকার লোকজন চাইছে ত্রিমোহনী এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হোক। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যে লোককে তিনি অন্য এলাকার। আমারা এলাকার ছেলেকে নির্বাচিত করেছি। তিনি আরো জানান, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নেতা তোফাজ্জল হোসেন তাতী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বারের থেকে এবার মানুষ কম ভোট দিয়েছে। আর অনেকে ইভিএম-এ ভোট হবার কারণে যায় নাই।

ত্রিমোহনী এলাকার আরেক বাসিন্দা অলী হোসেন বলেন,
৭৫ নম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, আকবর আলীর হয়ে কাজ করেছেন। সেইসঙ্গে সবাই আওয়ামী লীগের হয়েও কাজ করেছেন। দলের প্রভাব খাটিয়ে অনেক কাজ করা যায়। কিন্তু তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলেও বিপক্ষ দল সেই প্রভাব খাটিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো জয়ের পর বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একসঙ্গে আনন্দ মিছিল করেছেন। তিনি বলেন, এলাকার ভোটাররা অধিকাংশই এলাকায় থাকেন। ফলে ভোট বেশি পড়েছে পাশাপাশি ভোট এখানে সুষ্ঠু হওয়ায় সবাই ভোট দিতে এসেছেন।

ত্রিমোহনীর আরেক বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন,
ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো ছিল। কোন ঝামেলা হয় নাই। লাইনে দাঁড়িয়ে সুন্দর মতো আমরা ভোট দিয়েছি।
ত্রিমোহনী এলাকার বাসিন্দারা খুশি হলেও নাসিরাবাদসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা তোফাজ্জল হোসেনের পরাজয়ে মর্মাহত।

নাসিরাবাদ এলাকার শিক্ষার্থী রাইয়ান মাহমুদ বলেন,
আমরা ১৫/২০ বছরে যা পাইনি। তা তোফাজ্জল হোসেন ৯ মাসে করে দিয়েছেন। বিদ্যুতের খুঁটি, পিচ ঢালা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এসব কল্পনাই করা যেত না। সব করে দিয়েছেন তিনি। আসলে ত্রিমোহনী এলাকার ওপর দিয়ে যেতে হয় আমাদের। তাদের ওপর দিয়ে আমরা কথাও বলতে পারি না। তারা আমাদের শাসন করে আসছেন। সেই শাসন তারা ধরে রাখতে চায়। এজন্যই ত্রিমোহনী এলাকা থেকে অন্য এলাকার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় বিরোধীতা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা যৌথভাবে কাজ করে শুধুমাত্র এলাকার প্রভাব ধরে রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষকে হারিয়ে দিয়েছেন।

নাসিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন বলেন,
আমাদের এই ওয়ার্ডে ত্রিমোহনী এলাকার ভোট বেশি। অন্যসব এলাকার লোক একসঙ্গে হয়েও ওই এক এলাকার লোকেদের হারাতে পারিনি। তোফাজ্জল অনেক ভালো মানুষ। এমনও হইছে খেটে খাওয়া মানুষ সারাদিন কাজ করে এসে ৫শ’ টাকা আয় করে ১শ’ টাকা নির্বাচনের খরচের জন্য দিয়েছেন এমন উদাহরণও আছে।

নাসিরাবাদ মসজিদের সভাপতি হাজী আবুল হাশেম সরকার বলেন,
এলাকার ভোট খুবই ভালো। কোন ধরণের সমস্যা হয়নি। নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তাসনিম বলেন, এখানে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে। এখানে কোন রকমের ঝামেলা হয়নি। সবাই শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিয়েছে। কোন ধরণের ঝামালে বা হুমকি আমরা মোকাবিলা করিনি।


মানবজমিনের লেখাটা ভাল লেগেছে। যেহেতু রিপোর্টার দুজন কষ্ট করে এলাকায় যেয়ে খবরটি সংগ্রহ করে এনেছেন।
লেখার সুত্র - view this link

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মানবজমিনের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ তারা কষ্ট করে ঢাকার এমন জায়গায় গেছেন যা বাংলাদেশের বাইরে মনে হবে ! বর্তমান সাংবাদিকগণ অফিসে বসে অনলাইন ও ফেসবুকে মানু মিয়ার পোষ্ট দেখে সংবাদ লিখে কাজটি শেষ করে নেন। একমাত্র আগুন লেগে গেলে দমকল বাহিনীকে কাজে বাধা ও শত শত প্রশ্ন করার জন্য টিভি পত্রিকা ও এফএম হাজিরা দিতে দেখা যায়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই।
রিপোর্টটি পরে একটু ব্যাতিক্রমি মনে হয়েছে। তাই দিলাম। একটু সংক্ষিপ্ত করে।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভোটের কথা পড়লে ভূতের কথা মনে হয়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এবার ভুতের আছর ছিল না।
থাকলে ২৭% হইতো না। হইতো ৭৭।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ৭৫ নং ওয়ার্ডে দুই একদিনের মধ্যেই যাবো। নিজ চোখে সব দেখে আসবো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার এলাকার কাছেই মনে হয়। রিক্সায় গেলে ভাল হবে।
আসার সময় সস্তায় তরকারি নিয়ে আইসেন।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

রাশিয়া বলেছেন: অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগের উচিত আনন্দ মিছিল করা। তাতে জনগণের কাছে নির্বাচন জিনিসটা কিছুটা গ্রহণযোগ্যতা পায়। আওয়ামী লীগের উচিত লেজে বাড়ি দিয়ে হলেও বিএনপিকে খাড়া করা। কুকুর তাড়াতে হলেও তার দৌড়ানোর ক্ষমতা থাকা লাগে। শুয়ে থাকা কুকুর পিটিয়ে মজা নেই।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে নির্বাচন করতে খরচ লাগে।
গত সিটি নির্বাচনে প্রতিটি দলের/প্রার্থির দলের ৩ এজেন্ট থাকার কথা,
সে হিসেবে রুমে কমপক্ষে ১০ জন বিরোধী এজেন্ট থাকার কথা। ভোট গোনার সময়ও সব এজেন্ট থাকতে হয়, ইভিএম এর ভোটের পৃন্টেড স্লিপে এজেন্টের স্বাক্ষর লাগার কথা। অতচ ১ টা এজেন্টও দেখা যায় নি। নেই। এমনকি ভোটের রেজাল্ট জানতেও কাউকে পাওয়া যায় নি।

বিএনপির কোন এজেন্ট কেউ দেখেনি, কথিত তাড়িয়ে দেয়া এজেন্টের নাম, কোন বক্তব্য বা ছবি কিছুই পাওয়া যায় নি। সামাজিক মাধ্যমেও দেখা যাই নি।
বর্তমান বাজারে হুমকি পিটুনি, মামলা মোকাবেলা করার সাহস সহ একজন এজেন্টের মজুরি ৫ হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত।
বিম্পি এই নির্বাচনে ৫টি টাকাও খরচ করে নি। এজেন্ট পাবে কোথায়?

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রিপোর্টটা তো অবশ্যই পরিশ্রমী রিপোর্ট, কাজেই ভালো লাগা স্বাভাবিক। আমার কাছে ভালো লেগেছে নিজ এলাকার প্রার্থীর প্রতি এলাকাবাসীর আন্তরিকতাপূর্ণ অ্যাটিচোড। খুব নির্মল একটা পরিবেশের চিত্র পাওয়া গেলো, যদিও এলাকার নামগুলো শুনে গ্রামবর্তী কোনো অঞ্চলের মতো মনে হচ্ছিল।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
আপনি ঠিক ধরতে পেরেছেন।
সেখানে খুব নির্মল একটা পরিবেশের চিত্র পাওয়া গেলো। আমার ভাল লেগেছে । তাই শেয়ার করলাম।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭

নতুন বলেছেন: আমাদের জাদিদ ভাইকে জিঙ্গাসা করেছিলেন তার ভোটটা কেমন হয়েছে? ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাদিদ ভাই ফেবুতে বলেছেন তার ভোট অন্য একজন দিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু অন্যান্ন ব্লগাররা ভোট দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। তাদের সমস্যা হয় নি।
যেমন ভৃগু ভাই, আইরিন সুলতানা সহ ডজনখানেক আওমী বিরোধী ব্লগার/ফেবুকার স্ট্যাটাস চোখে পরেছে যারা ভোট দিতে পেরেছে।
ভোটের রুমে বিরোধি দলের এজেন্ট ছিল না। তাই ফ্রী পেয়ে তাই ফাঁকা মাঠে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্যের নামে অন্যের ভোট দিতে 'সাহায্য' করেছে। রুমে বিম্পির বরাদ্দ ৩ এজেন্ট থাকার কথা ছিল।
অন্তত একজন এজেন্ট থাকলেও এমনটা পারতো না।


আমি ফোনে এলাকার খবর নিয়েছি। তারা বললো। হ্যা ঘটনা সত্যি। তবে যারা শিক্ষিত ও ব্যাক্তিত্তসম্পন্ন বা সচেতন এধরনের ভোটারদের কিছু করা হয়নি।

ভিন্ন দলের ১ এজেন্ট থাকলেও এরকমটা পারতো না। প্রতিটি দলের/প্রার্থির দলের ৩ এজেন্ট থাকার কথা, সে হিসেবে রুমে কমপক্ষে ১০ জন বিরোধী এজেন্ট থাকার কথা। ভোট গোনার সময়ও সব এজেন্ট থাকতে হয়, ইভিএম এর ভোটের পৃন্টেড স্লিপে এজেন্টের স্বাক্ষর লাগার কথা। অতচ ১ টা এজেন্টও দেখা যায় নি। নেই। এমনকি ভোটের রেজাল্ট জানতেও কাউ কে পাওয়া যায় নি।

বিএনপির কোন এজেন্ট কেউ দেখেনি, কথিত তাড়িয়ে দেয়া এজেন্টের নাম, কোন বক্তব্য বা ছবি কিছুই পাওয়া যায় নি।
বর্তমান বাজারে পিটুনি, মামলা মোকাবেলা করার সাহস সহ একজন এজেন্টের মজুরি ৫ হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত।
বিম্পি এই নির্বাচনে ৫টি টাকাও খরচ করে নি। এজেন্ট পাবে কোথায়?
আওয়ামীলীগ বিরোধি দলে থাকলে মাগনা খাটা লোক পায় সত্য।

কিন্তু বর্তমানের মত পরিস্থিতিতে বিরোধী দলে থাকলে আওয়ামীলীগও মাগনা পেত না। প্রকৃতই নির্বাচনে জিততে হলে এলাকার শক্তিশালি প্রভাবশালি তরুন কে ২০ হাজার খরচ করে হলেও এজেন্ট রাখতো আওয়ামীলীগ।

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬

আরিফ রুবেল বলেছেন: নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি গণ অনাস্থা প্রকাশের মাঝে নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম ঘটনা।
শুভ কামনা থাকল নতুন যুক্ত হওয়া ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। আশা করি তাদের সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিজেরাই যাচাই করতে পারবে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢালাও ভাবে গণঅনাস্থা বলা যায় না।

৪৬ কেন্দ্রে ভাল ভোট পড়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি
ঢাকা দক্ষিনে মোট ১৪৬ ভোটকেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন
ইশরাকের এলাকায় নিজ ভোটকেন্দ্র গোপীবাগের শহীদ শাহজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এজেন্ট ছিল। তাই জিততে পেরেছে।
এই কেন্দ্রে ভোটার ছিল ১ হাজার ৬০২ জন। ভোট দিয়েছেন ৫৩৫ জন। এর মধ্যে
ধানের শীষ পেয়েছে ২৯৬ ভোট।
নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে ২১৬টি।

view this link

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




হতাশাজনক ভাবে কম ভোটার উপস্থিতির মাঝে এমনটা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী সংবাদ। শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই।
আপনি সঠিক ধরেছেন।


একটা মামুলি স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন। সমর্থক ভোটার সেভাবে না আসার বিভিন্ন কারন আছে।
কিন্তু কিছু 'চুলপাকনা' বুদ্ধিজীবি এটা সার্বিক অনাস্থা, গণ অনাস্থা ভেবে লাফাচ্ছে।

প্রথমত এটি একটি স্থানীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে কোন 'পট পরিবর্তন' হয় না। দেশ সমাজে বড় কোন প্রভাব পরে না।
একসময় নির্বাচনের আগে বাড়িতে বাড়িতে ভোটার স্লিপ পাঠাতো, এসএমএস করতো ফোন করতো প্রার্থির লোকেরা তোসামদি করে ভোটের দিন রিক্সা ভাড়া করে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতো, চা নাস্তা খাওয়াতো। এখন ভোটারের পেছনে ২টা খরচ করার কেউ নেই। নেই।

এছাড়া একদিন পর এসএসসি পরীক্ষা, সন্তানের চেয়েও মা বাবাদের এটি আরো বড় পরীক্ষা। ভোটারদের ভোটের চেয়ে সন্তানের কেয়ারিং তাদের কাছে বেশী গুরুত্বপুর্ন।

এছাড়াও আরেকটি বড় কারন লম্বা ছুটি।
সরস্বতী পূজা, শুক্র শনিবার মিলিয়ে একটানা ৩ দিনের ছুটি। পরিক্ষার জন্য অনেক স্কুলও ছুটি। অনেকেই দেশে চলে গেছেন।
বাকিরা ছুটি উপভোগ করতে সিলেট কক্সবাজার বান্দরবন। সিটি নির্বাচন এত গুরুত্ব নেই এদের কাছে।
সমর্থক ভোটাররা জানে তাদের প্রার্থি এমনিতেই শক্তিশালী, সহজেই জিতবে। বা যা হওয়ার একটা হবে।
তাই ছুটিটা উপভোগ করাই ভাল।

ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনার এলাকার কাছেই মনে হয়। রিক্সায় গেলে ভাল হবে।
আসার সময় সস্তায় তরকারি নিয়ে আইসেন।

বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানলাম। গ্রাম এলাকা। ধানক্ষেতও আছে। একদম দরিদ্র এলাকা। পুরো এলাকায় বেনসন সিগারেট পাওয়া যায় না।
অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম আমি। পুশকুনি আছে ভয়াবহ নোংরা।
আগামী সপ্তাহে যাবো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
অবস্যই যাইয়েন। আর কয়েকটা ছবি তুলে আইনেন।
তরকারি আনতে ভুইলেন না।

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৪

দয়িতা সরকার বলেছেন: কেমন আছেন?
আমি আপনার কাছে জানতে চাই,
যারা মানুষকে জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবারের মানুষকে জিম্মি করে ৩য়/ ৪থ মানুষে পরিবর্তন করতে চায়, দেশের সরকার তাদের কী বেবস্থা নেবে? যারা করে তাদের কারা সহায়তা করে?

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সামপ্রতিক কালের ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ও ভোট
প্রদানের বিষয়ে একটি সুন্দর তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষনী পোষ্ট ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ এম এ আলী ভাই।

নতুনভভাবে সিটিতে যুক্ত হওয়া একটি কৃষিপ্রধান বিল এলাকায় নির্মল একটা পরিবেশের চিত্র পাওয়া গেলো।
আমার ভাল লেগেছে । তাই শেয়ার করলাম।

আর কয়েকটি কমেন্টের জবাবে ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ও ভোট প্রদানের বিষয়েআমার নিজস্ব মতামত দিয়েছি।
আপনার ভাল লেগেছে। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

ফরহা৫১০ বলেছেন: https://baurahamiruddin2.blogspot.com/

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইহা কি? একটু বিবরন না দিলে বুঝবো কিভাবে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি একটি মাত্র পোষ্ট!

পোস্ট করেছি: ১টি পোষ্টে কোন লেখা নেই। শুধু একটি লিঙ্ক
মন্তব্য করেছি: ৩টি লেগুলোও শুধু একটি লিঙ্ক
মন্তব্য পেয়েছি: ১টি, সেটাও আপনার নিজের। সেখানেও কোন লেখা নেই শুধু একটি লিঙ্ক

ব্লগ লিখেছি: ৩ সপ্তাহ ৬ দিনে কোন লেখা নেই শুধু একটি লিঙ্ক।
আপনি রোবোট না মানুষ?

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার অনুরোধের পোস্ট লিখে ব্লগে দেয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.