নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপদের সময় পত্রিকাগুলো ফাজলামি করতেছে

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২১

পত্রিকাগুলো ফাজলামি করতেছে
মহিলা আগেই অসুস্থ ছিল। কানাডা থাকাকালিনই।
পরে ঢাকায় এসে বড় একটি বেসরকারি হাসপাতেলে ভর্তি ছিল। (পত্রিকাটি বেসরকারি হাসপাতালের নামটিও বলেনি চালাকি করে)
সেখানে ট্রিটমেন্টে ভাল না হওয়ায় আবার হাসপাতেল চেইঞ্জ করে। পরে বারবার হাসপাতাল চেইঞ্জ করতে চাইলে আর কোন হাসপাতালই রোগী ভর্তি করতে রাজি হয় নি। কারন তার অবস্থা আগেই গুরুতর।
শেষ ভরসা ঢামেকের ওয়ার্ড। কেবিন পায় নি সেখানেও তবে পত্রিকার কথা মতে
সেখানে ট্রিটমেন্টে অবস্থা কিছুটা ভাল হয়, কিন্তু একদিন স্বজনরা করনা টেষ্ট করার জন্য চাপাচাপি শুরু করে।
করনা টেষ্ট করার অথরিটি একমাত্র আইইডিসিআর।
করনা রুগি হলে সাধারন হাসপাতালে ভর্তি করা কঠিন ভাবে নিষেধ। পর্যাপ্ত পিপিই ছাড়া রোগির কাছে যাওয়াও নিষেধ
এধরনের রুগিদের একমাত্র আইইডিসিআরের এর তত্তাবধানে পৃথক হাসপাতালে থাকার কথা, কতৃপক্ষ আইইডিসিআর এ খবর দেয়া হয়।

নিয়মমাফিক আইইডিসিআর না আসা পর্যন্ত কেউ সেখানে কারো যাওয়ার কথা না, আইইডিসিআর টেষ্টে করনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। এরপরও দুদিন হাসপাতালে ওয়ার্ডে থেকে মৃত্যু।

আরেকটা ফাজলামি "কথিত করনা রোগির পলায়ন
বাহরাইনে প্রথম করোনা রুগী পাওয়া যায় ২৪ ফেব্রুয়ারী। এই লোক ১৮ জানুয়ারী দেশে আসলে সে করোনা রুগী হয় কিভাবে?
এরপরও সে করনা বাহক হয়ে থাকলে ৭ থেকে ১৪ দিনে করনা রোগ হওয়ার কথা, দুমাস পর করনা হয় কেমনে?

অতচ রোগিটি এসেছিল ভিন্ন রোগ নিয়ে সরওয়ার্দি হাসপাতালে, সেখানেও রোগির স্বজনরা করনা টেষ্ট করতে চাপাচাপি করে ।
করনা রুগি হলে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা না। কঠিন ভাবে নিষেধ।
এধরনের রুগিদের একমাত্র আইইডিসিআরের এর তত্তাবধানে থাকার কথা, কতৃপক্ষ আইইডিসিআর এ খবর দিলে টিম আসার আগেই রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করে।
অতচ সংবাদ শিরনাম হয় - "হাসপাতাল থেকে করনা রুগির পলায়ন"

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হাসপাতাল রোগী ভর্তি করতে রাজি না হওয়া, সম্ভাবনাময় করোনা রোগীর কেবিন না পাওয়া, হাসপাতালে মাস্ক না থাকা, সম্ভাবনাময় করোনা রোগীর পালিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক মনে হয় আপনার????

১ মাস ধরে কি করছেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিগন? হাসপাতালে মাস্ক বা প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকবে না কেন? করোনা হোক না না হোক- ডাক্তার নার্স রোগীর দ্বারেকাছে আসতে চাইবে না কেন? এসব কি ফাজলামো মনে হয় না?

আপনার এই পোস্ট'টা আমার কাছে ফাজলামি মনে হচ্ছে!

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রোগির কাছে আসার কিছু নেই।
করনার কোন অসুধ নেই ৭-৮ দিনে এমনিতেই ভাল হয়। স্বাসকষ্ট হলে অক্সিজেন। ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল। সার পৃথিবিতে এই নিয়ম।
মাস্ক থাকলেও করনা টেষ্ট ও ব্যাবস্থাপনার অথরিটি একমাত্র আইইডিসিআর। এর অধিনে দুই হাসপাতাল। ঢামেক এই সব রুগির চিকিৎসা করবে না। করার কথাও না।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৬

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তারদের ভেতরে গাফলতি আছে সেটা অস্বীকার করার কিছু নাই।

কিন্তু সংবাদপত্র বা সোসাল মিডিয়াও রসিয়ে রসিয়ে খবর গুলি প্রচার করে।

সভ্য হইতে অনেক বাকি আমাদের।

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্কোয়ার হাসপালের অবহেলায় ঢামেকের ওয়ার্ডে এসে নার্সদের কাছে ৫ স্টার সেবা আশা করে।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৫৭

নতুন বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে বাংলাদেশের হাসপাতলে কখনোই গিয়ে দেখেন নাই।

কোন পরিকল্পনা নিয়ে হাসপাতাল চলে না। রোগির প্রতি অবহেলা এখানে খুবই সাভাবিক বিষয়।

অতিরন্জিত করেছে সেটাও সাভাবিক। সোসাল মিডিয়াতে জনগন গুজব ছড়াতে পছন্দ করে। ডাক্তাররা অবশ্যই কাউকে মেরে ফেলতে চায় না। কিন্তু দেশের হাসপাতালে আন্তরিক চিকিতসা কেউই পায় না যদিনা প্রভাবশালী লিংক না থাকে।

ডাক্তার নাস` বেশির ভাগই পেটের দায়ে কাজ করে, তাদের পযাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয় না হাসপাতাল চালাতে....

কিন্তু দেশের হাসপাতালে কোন নিয়মনেই। সেটার পক্ষে সাফাই গাইলে কারুরই ভালো লাগবেনা।

যতক্ষন পযন্ত্ সরকার সমস্যা স্বিকার না করবে ততদিন পযন্ত সমস্যা ঠিক করতে কাজ করবেনা কেই।

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন হাসপাতালের সাফাই গাওয়া হচ্ছে না।
পত্রিকাগুলোর ফাজলামির কথা বলতে চেয়েছি।
বেসরকারি ৫ স্টার হাসপাতালগুলো সংকটাপুর্ন রোগিটিকে তাড়িয়ে দিল। কোন হাসপাতালই স্থান দেয় নি। এই অবহেলার কোন বিচার চাওয়া হল না, কিন্তু ঢামেকের গণওয়ার্ডের বদনাম করা হল।

ঢামেকের ওয়ার্ডে কখনো গেছিলেন কি না জানি না, গেলে দেখবেন হাজার হাজার রোগি, ফ্লোরেও রোগি। অল্প সংখক ডাক্তার নার্স যতটুকু করে। উন্নত দেশে এরচেয়ে অনেক কম রুগি নিয়ে হিমসিম খায়।
ইতালিতে এখনো হাজার হাজার রোগি হাসপাতালে সিট পায় নি, বেছে বেছে হাসপাতালে ভর্তি করছে।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো যে ধরনের অবাধ স্বাধীনতা আর উশৃঙ্খল জীবন ভোগ করছে পৃথিবীর আর কোনো দেশে এই ধরনের অবাধ স্বাধীনতা সম্ভব বলে মনে হয় না। বাংলাদেশের রিপোর্টার’রা চীনে গিয়ে রিপোর্টারের কাজ করলে রাম নাম সত্য হয়ে যাবে
মাত্র তিন দিনে। হিংসাপ্রবন জাতির হিংসাপ্রবন সাংবাদিকতা !

১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পত্রিকাগুলো বলছে -
এত লাখ আক্রান্ত
এত হাজার মৃত
এত হাজার নতুন আক্রান্ত

কিন্তু প্রতি সপ্তাহে কত রোগি ভাল হয়ে বাসায় ফিরে গেছে যাচ্ছে এই খবরটা কোথাও খুজে পাবেন না।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পীড়াদায়ক ।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আশঙ্কার দিক হলো অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও চিকিৎসা না পাওয়ার বিড়ম্বনা। পুরো দেশটাতেই চলছে হ য ব র ল অবস্থা।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও চিকিৎসা না পাওয়ার বিড়ম্বনা (USA)র মোট উন্নত দেশেও হচ্ছে।
এসব দেশে বাংলাদেশের মত যখন ইছে তখন ডাক্তার দেখাতে পারবেন না।
ইমার্জেন্সি বাদে অন্যান্ন অসুখে ডাক্তার দেখাতে ২ মাস আগে এপয়েন্টমেন্ট দিতে হয়।
আগামি বৃহস্পতিবার আমার ডাক্তার এপয়েনমেন্ট ছিল, ডাক্তার সাহেব নিজেই আজ সকালে ফোন দিয়ে বললো আসার দরকার নেই।
আপনার সাথে ঐ দিন ফোনে অডিও কনফারেন্স হবে, অসুখ গুরুতর না হলে ফোনেই ব্যাবস্থাপত্র দেয়া হবে।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে মিডিয়া বেশি হয়ে গেছে। ছট দেশ এত মিডিয়ার দরকার নাই।
যার টাকা আছে সেইই পত্রিকা বের করছে, টিভি চ্যানেল বের করছে।
অযোগ্য আর অদক্ষ লোকরা যা মন চায় তাই করছে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - হ্যা সেটাই

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মিডিয়াগুলো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে না বরং এটি যাতে মহামারী আকারে সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য জনমত গড়ে তুলছে | কিছু স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে এই ভাইরাসের প্রকোপ ও মৃত্যুসংখ্যা লুকানো হচ্ছে বা জনগণকে জানতে দেয়া হচ্ছে না | এক্ষেত্রে প্রকৃত অবস্থা বিশ্ববাসীকে জানানোর দায়িত্ব হচ্ছে মিডিয়ার এবং সেই কাজটিই মিডিয়া করে যাচ্ছে | মিডিয়া ও ওয়ার্ল্ডহেলথ অর্গানাইজেশনের কারণেই এই পরিমান জনসচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে - অনেক রাষ্ট্র ও সরকার জনগণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্যও হয়েছে |

নিজের আবেগ বা ইমোশন আর প্রকৃত সত্যের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে | এই মহামারীকে রুখতে হলে আবেগ নয় বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে যা বিভিন্ন দেশের সরকাররা করছে এবং মিডিয়াগুলো প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে সময় সময় সরকারকে কোনো ধরণের বিচ্যুতি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে |

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মিডিয়াগুলো শুধু আতঙ্ক ছড়িয়ে খান্ত হচ্ছে না, ইচ্ছাকৃত মিথ্যাও ছড়াচ্ছে।

যেমন সরওয়ার্দি হাসপাতালে রুগিটি মোটেও করনা রুগি ছিল না।
কিন্তু বলা হল করনা রুগি পালিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের রোগিনির ক্ষেত্রেও সত্য লুকিয়ে ফেব্রিকেটেড আতংক নিউজ করেছে।
প্রতি সপ্তাহে কত রোগি ভাল হয়ে বাসায় ফিরে গেছে যাচ্ছে এই খবরটা কখনো ছাপে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.