নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টে হোম। স্টে হোম ফরটিন ডেইজ।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩৯




করোনা নিয়ে চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, তাইওয়ান সামলে উঠলেও ইয়োরোপ ও আমেরিকা হিমসিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ অপর্যাপ্ত স্বাস্থ অবকাঠামোনিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘণবসতি দেশ।
টেষ্টিং কিট ও পিইপি ব্যাপক সংকট। মুলত সারা বিশ্বেই সংকট।



অযথা করোনা টেষ্ট করতে উতলা হওয়ার কিছু নেই।
করোনা টেষ্টিং কিটের সংকট সারা বিশ্বেই।
টেষ্ট করতে অযথা ছুটোছুটি করে রোগটি আরো বেশী ছড়ানোর কোন মানে হয় না।
সাধারন জ্বর-কাসি হলে করোনা হয়েছে ধরে নিয়েই বাসায়ই থাকতে হবে, পৃথক রুম না থাকলে ৬ ফুট শারিরিক ডিষ্ট্যান্স মেনে সাবধানে চলতে হবে, ফোনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাসায়ই থাকতে হবে। ৮০% ক্ষেত্রে স্বাসকষ্ট হয় না, এরপরও স্বাসকষ্ট হলে, ফোন করে হাসপাতালে সিট কনফার্ম না হলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।

করোনা হলে বা সাধারন জ্বর-কাসি হলে করোনা হয়েছে ধরে নিয়েই বাসায়ই থাকুন ৭ দিন কোনমতে টিকে গেলে বিপদমুক্ত। ১৪ দিনে সম্পুর্ন কিয়োর। উন্নত বিশ্বে টেষ্টিং বাংলাদেশ থেকে বেশী হচ্ছে। তবে সার বিশ্ব এই নিয়মেই চলছে। বাসায় থেকে ট্রিটমেন্ট।
আপনার করোনা হোক বা না হোক, - স্টে হোম। স্টে হোম ফরটিন ডেইজ।

আড়াই কোটি বছর আগে থেকে মানুষ্য আদী প্রজাতি থেক বর্তমান হোমোসেপিয়েন্স পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমনের মুখে মানুষ টিকে আছে।
মহামারি আসে একের পর এক ... প্রথমে কিছু মরেছে, পরে মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে নিয়েছে। এভাবেই লাখ লাখ বছর লড়াই করে টিকে গেছে মানবকুল।
কিছু ভাইরাস মানবদেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাইপাস করতে বিবর্তনের পর বিবর্তনে দু একটি ভাইরাস জেনেটিক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। তখন মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ বুঝে উঠতে পারে না। সংক্রমন একে একে, এরপর শুরুহয় মহামারি।

একসময় মানবকুল যান্ত্রিক সভ্যতায় আসলে বিজ্ঞানীরা কয়েক হাজার ক্ষতিকর ভাইরাসের পরিচয় বের করতে সক্ষম হয়েছে। আবার ৪০ ট্রিলিয়ন বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল আমাদের পাকস্থলি পরিপাকনালী, রক্তসংবহন চক্রে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও অনেক।
মানবকুল আকাশের দিকে চেয়ে বসে থাকেনি। যেসব ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, সে সব ভাইরাসের জন্য তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন।
ব্যাকটেরিয়ার জন্য বিভিন্ন ঔসধ ও এন্টিবায়োটিক। করোনা ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়েছে। ভ্যাকসিন তৈরির সুযোগ দেয় নি।
কয়েক ধরনের প্রোটোটাইপ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। হলেই তো হবে না FDA অনুমোদন পেতে ক্লিনিক্যাল টায়াল এরপর দির্ঘ ফিল্ড ট্রায়াল রেজাল্ট জমা দিলে এরপর FDA সন্তোষজনক মনে করলে পাস করবে। FDA পাস দিলে WHO বিনা প্রশ্নে অনুমোদন দিয়ে দিবে।

এই রোগ প্রতিষেধক টিকা হাতে না আসলেও এই জীবানুর আচরনটা মোটামুটি বুঝা গেছে।
এই করনা ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ালেও। মানুষের দেহ বাদে প্রকৃতিতে বেশিক্ষন বাচে না, তাই ১৪ দিন ঘরবন্ধি করা হলে জীবানু আর ছড়াতে না পেরে বিলুপ্ত হবে হংকং তাইওয়ানের এর মত।

আপনার করোনা হোক বা না হোক, - স্টে হোম। স্টে হোম ফরটিন ডেইজ।
মানবকুল সভ্য হওয়ার আগে থেকেই মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সফল হয়েছে।
যান্ত্রিক সভ্যতা আসার পরও বিভিন্ন কঠিন জীবানুর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন যুদ্ধে সফল হয়েছে মানুষ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধের যুদ্ধও সফল হবে। ইনশাআল্লা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সচেতনতা এবং সতর্ক থাকা জরুরী

২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সচেতনতা এবং সতর্কতার মাধ্যমেই ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা সম্ভব।

২২ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বর্তমানে কোভিড নাইন্টিনে সবথেকে বেশি মৃত্যুর হার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে।
দেশটিতে প্রতিদিন প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে মহামারিতে প্রাণ হারাচ্ছেন ৬.০৮ জন করে। এটি বিশ্বের সব দেশের থেকে ভয়াবহ। লকডাউনের কারণে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত কমে এসেছে। তবে সুইডেনে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য লকডাউন দেয়া হয়নি। কিন্তু এখনো সেই কৌশল কার্যকরি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা দেশটিতে।
কোভিড নাইন্টিনে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশগুলোতেও ১০ লাখে প্রতিদিন প্রাণ হারানোর সংখ্যা সুইডেনের থেকে অনেক কম।
ফ্রান্সে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে প্রতি ১০ লাখে ২.২৬ জন।
সুইডেনে ৬.০৮ জন
বৃটেনে ৫.৫৭ জন।
স্পেনে এ হার ২.৬২ জন,
ইতালিতে ২.৯৭ জন,
যুক্তরাষ্ট্রে ৪.১১ জন


এখন পর্যন্ত স্পেনে প্রতি ১০ লাখে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯৪.১২ জন করে। ইতালিতে প্রাণ গেছে ৫২৯.৩৮ জন করে। এদিক দিয়ে এখনো সুইডেন পিছিয়ে আছে। দেশটিতে প্রতি ১০ লাখের মারা গেছেন মোট ৩৬৬.১৭ জন করে।

সুইডেন যেভাবে নিজেদের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করে কোভিড নাইন্টিনকে রুখে দিতে চেয়েছিল তা প্রথম দিকে বড় ধরণের সমালোচনার মুখে পড়ে দেশে বিদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মানুষের জীবন নিয়ে নিষ্ঠুর পরীক্ষা চালানোর সঙ্গে তুলনা করে।
তবে বর্তমানে এক পর্যায়ে এসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুইডেন মডেলকেই করোনা মোকাবেলার কার্যকর ভবিষ্যৎ বলে আখ্যা দিচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই দেশটি এই মহামারির বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারবে।
view this link

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি ব্লগারদের জন্য লিখছেন, নাকি ১৯ কোটী আপামর জনতার জন্য সামুতে লিখছেন? আসলে, করোনার ব্যাপারে বেশীরভাগ ব্লগার আপনার চেয়ে ভালো বুঝেন!

২৮ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি জ্ঞানের জাহাজ এমন দাবি কবে করলাম?
করোনা ও অন্যান্ন সব ব্যাপারে বেশীরভাগ ব্লগার আমার চেয়ে ভালো বুঝেন।
এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগলো । ভালো থাকুন।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বাসায় আছ। ভালো আছি।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০২

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের করোনার চাইতে শক্তিশালী তিনটি ব্লগের নাম বলুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.