নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুচক্রিদের অপচেষ্টা ভেস্তে গেল।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৩

কুচক্রিদের অপচেষ্টা ভেস্তে গেল।
বড় বড় রথী মহারথীদের লাগানো হয়েছিল জঘন্য ভাবে সাম্প্রদায়ীক বক্তব্য মন্ত্যব্য করে উষ্কানি দিয়ে দেশে একটা দাংগা বাধানোর জন্য। আর একই সাথে চলছিল স্কুলে কলেজে ক্লাসরুমে সংখালঘু শিক্ষককে অপমান করা মারধর করা।
আর অন্যদিকে ছাগুদের সর্বশেষ সম্বল জাফরুল্লা কে দিয়ে মামুনুল সহ আলেমদের মুক্তির দাবিতে নুরাদের নিয়ে ঈদগাহ দখল করে কাউকে নামাজ পড়তে না দেয়ার হুমকি? যদিও মাওলানা জাফরউল্লাহকে কেউ কখনো মসজিদে, ঈদের জামাতে এমনকি জানাজা নামাজেও দেখেছে কিনা সন্দেহ। বন্দিদের নিয়ে সেতুতে পুর্নিমার চাঁদ দেখতে চায়।
মাওলানা জাফরউল্লাহ ও নুরা গংরা পুর্নিমার চাঁদে কাকে দেখতে চায় সেটা অবস্য উল্লেখ করে নি।

ইতিমধ্যে বিএনপি জামাতের বেতনভুক্ত গুজবীরা সংগবদ্ধ ভাবে প্রচারণা চালিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৭ জন সচিব উপ-সচিব অতিরিক্ত সচিব পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়্যারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দের বানোয়াট নাম বানিয়ে হিন্দু হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছিল। আর শিবিরের ভাড়াটে গুন্ডা মন্তান দিয়ে হিন্দু বাড়িঘরে হামলাও শুরু হয়েছিল।
আশা করেছিল আগের মত মাদ্রাসা থেকে সবাই লাঠি নিয়ে বের হবে, কিন্তু হয়নি, হাদিয়া বাদে আর কত মার খাবে ওস্তাদদের জন্য।

বাস্তবতা হচ্ছে পাঠ্যসুচি থেকে ইসলাম বাদ দেয়া হয় নি, বইয়ের কোন অংশও বাদ দেয়া হয়নি। বোর্ডের ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উল্লেখিত উচ্চপদে একজনও হিন্দু ব্যক্তি নেই। উল্লেখ করা নামগুলোও ভুয়া।
সপথ গ্রহণ করা একজন নির্বাচিত সাংসদ কত টাকা খেলে এতটা নীচে নামতে পারে। উলংগ মিথ্যাচার করতে পারে, অসীম কাণ্ডজ্ঞানহীন হতে পারে?

পরে অবস্য জনগন ও মাদ্রাসা থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ৪-৫ দিন পর মিথ্যা বলার জন্য দায়সারা একটি ক্ষমা প্রার্থনা করে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন এই সাংসদ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৩

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: সংখ্যলঘু শিক্ষকদের যে জামাত শিবির ছাগুরাই অপমান করে মারধর করেছে তার প্রমান সহ লিঙ্ক পোস্টে যুক্ত থাকলে ভালো হতো।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কারো কপালে তো জামাত শিবির লেখা থাকে না।
দেশে ধর্মান্ধ রাজনীতি তো এরাই নিয়ন্ত্রন করে

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৩

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: দেশে ধর্মান্ধ রাজনীতি তো এরাই নিয়ন্ত্রন করে

এটা ঠিক


কিন্তু প্রমাণ ছাড়া বক্তব্য দেয়া ঠিক না।

০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবকিছু প্রমান দেয়া সম্ভব হয় না। পারিপার্শিক ঘটনা অবজার্ভ করে বুঝে নিতে হয়।

বিএনপি, লীগ, জাপা, জাসদ কমুনিষ্ট হেফাজত গণফোরাম সবাই গর্বিত ভাবে নিজেদের পরিচয় দেয়,
একমাত্র জামাত-শিবির নিজেদের পরিচয় দেয় না। কখনোই দেয় না। পরিচয় দিতে লজ্জা পায়।
নামটা এতই ঘৃনিত যে সোশাল মিডিয়াতে নিজ নামে এমনকি ছদ্মনামেও সমর্থকরা নিজ দলীয় পছন্দটি সরাসরি প্রকাশ করতে পারে না।
আর জামাত শিবির ফালতু কিছু না, দেশের ৬৫% শিল্প অর্থনীতি এদের দখলে।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৪

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আপনি আরেকটি ভুল তথ্য দিলেন। একদিকে বললেন, একমাত্র জামাত-শিবির নিজেদের পরিচয় দেয় না। কখনোই দেয় না। পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। তার মানে তাদের বের করা সম্ভব না, আবার বললেন দেশের ৬৫% শিল্প অর্থনীতি এদের দখলে।

আপনার কোন বক্তব্যটি গ্রহণ করব?


জামাত শিবির নিজ গুণে ঘৃণিত।

০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশের ৬৫% শিল্প অর্থনীতি এদের দখলে থাকলেও এরা শ্বীকার করে না।
জিজ্ঞেস করলে বলবে 'আমার পিতা মুক্তিযুদ্ধ করতো, আমার চাচা আওয়ামীলীগ নেতা'।
আর এখন তো অনেকেই টাকা দিয়ে লীগের কোন না কোন পদ কিনে নিয়েছে।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৮

কামাল৮০ বলেছেন: জেগে ঘুমালে তার ঘুম ভাঙানো যায় না।

০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজ্যাক্টলি।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৭

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার কথাবার্তা জংগি জংগি কেন?

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

নতুন বলেছেন: শিবিরের জুজু দেখাচ্ছেন কেন?

যদি এরা দেশের ৬৫% শিল্প অর্থনীতি এদের দখলে তবে আয়ামীলীগ একটা ব্যর্থ দল, সেটা মেনে নিয়ে অফ যান। B-)

আপনাদের দলের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যর উপরে দোষ চাপাচ্ছেন কেন? আয়ামীলীগের দলের মানুষের দূনিতি যে কোথায় পৌছেছে সেটা আপনি আমেরিকা থেকে বসে টের পাবেন না।

যদি জনগন শিবির/বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে চায় সেটা আয়ামীলীগের ব্যর্থতা মাত্র।

মোদি ভারতে হিদ্দুত্ববাদের কার্ড খেছলে আপনি এখানে শিবির শিবির কার্ড খেছছেন??? =p~

দেশে ওয়াজবাজ হুজুরদের কেন নিয়ন্ত্রন করা হলো না? কেন আয়ামীলীগ এদের সাথে আপষ করে চলছে? কারন এদের ভোটও তো আয়ামীলীগের দরকার!!!

০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শিবির জুজু হয় কিভাবে?
সব কি ভুয়া? আপনি কখনো জামাত শিবির দেখেন নি?

০৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দলের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যর উপরে দোষ চাপাচ্ছেন কেন?

প্রথম কথা, আমি কারো ঘাড়ে দোষ চাপাই নি।
যারা আকাম করছে তারা প্রকাশ্যে সাংবাদিক ডেকে ঘোষনা দিয়ে করছে, পার্লামেন্টের মাইক লাইভ ব্রডকাষ্টের ব্যাবহার করে উলংগ মিথ্যাচার করেছে। পরিকল্পিত ভাবে সাম্প্রদায়ীক দাংগা বাধানোর জন্যই। একই সাথে হিন্দু শিক্ষকদের উপর হামলা, হিন্দু সরকারি কর্মকর্তার বাড়ীঘরে হামলা, এবং সমন্নিত ভাবে আরেকদল বন্দি মামুনুলদের নিয়ে চাঁদ দেখার খায়েশ, মান বাচাতে খালেদাকেও দলে রাখা।
এসব কি আওয়ামীলীগ করছে? কথিত ব্যার্থতা ঢাকার জন্য?

আওয়ামী লীগের অনেক অনেক ব্যর্থতা আছে।
তাই বলে আওয়ামী লীগকে একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল বলা যায় না কোনমতেই।
মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হওয়ার পর আওয়ামী লীগ যে ধারায় রাজনীতি করেছে, যতটুক সম্ভব ধর্ম নিরপেক্ষতা গণতন্ত্র ধরে রেখেছে, ছয় দফা ইত্যাদির মাধ্যমে রক্তপাতহীন পৃথকিকরণ চেষ্টা। এরপর মুক্তিযুদ্ধ কে নেতৃত্ব দেওয়া একটি স্বাধীন দেশ তৈরি করা একটি সংবিধান তৈরি করা একটি সফল দেশ তৈরি করা সকল কাজ আওয়ামী লীগই করেছে।

বর্তমান আওয়ামী লীগ ও ব্যর্থ নয়।
একটা হতদরিদ্র ভিকিরি দেশকে একটা উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সফলতা একমাত্র আওয়ামী লীগেরই।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

বাংলার এয়ানা বলেছেন: অনেক দেশ প্রেমিক ইউরোপ আমেরিকায় বসে অনেক দেশ প্রেমের কথা বলছেন, এত দেশ প্রেম নিয়ে কি ভাবে বিদেশের বিছানায় ঘুমায়। গাছেরও খাবেন আবার তলারও কুড়াবেন।

ঠাকুরমার ঝুলির গল্প অনেকদিন পর সুনলাম ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যতটা আওয়ামী পাগল। স্বয়ং শেখ হাসিনাও এতটা আওয়ামী পাগল নন।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
শিবির জুজু হয় কিভাবে?
সব কি ভুয়া? আপনি কখনো জামাত শিবির দেখেন নি?


দেখেছি, মোজাহিদের বাড়ি খুব কাছেই আমরা অনেক দিন ছিলাম।

শিবির ষড়যন্ত করছে সেটা ১০০০% সহি। ( আমি ওদের কিছু নেতাকে কাছ থেকে দেখেছি, তাদের মতন মেধামী পোলাপাইন আয়ামীলীগে নাই্। এবং তারা কিন্তু লাভের আসায় শিবির করেনা যেমনটা আয়ামীলীগের পোলাপাইন করে। কিন্তু খারাপ লাগে যে এদের যে জামাতী রাজাকারের ছাওরা ব্রেনওয়াস করছে সেটা তারা বোঝে না)

কিন্তু আয়ামীলীগ জনগনকে জামাত শিবিরের জুজু দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে সেটাও ২০০০% সহী =p~

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৩

নতুন বলেছেন: আওয়ামী লীগের অনেক অনেক ব্যর্থতা আছে।
তাই বলে আওয়ামী লীগকে একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল বলা যায় না কোনমতেই।


আয়ামীলীগ এখন ফ্রাংকেস্টাইনে পরিনত হচ্ছে। এতো দূনিতি করলে একটা দল কখনোই জনপ্রিয় থাকবেনা জনগনের কাছে। গত নিবাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনাই। ( আমার পরিচিত বড় ভাইই নেতা বলছে যে কিভাবে তারা কি করছে তাদের এলাকাতে)

শেখ হাসিনা তার পরের নেতা তৌরি করছেন না। শেখ রাহানা কে বা জয় কে ক্ষমতায় আনা সম্ভবত রাজতন্ত্রের মতন এটা আপনিও বোঝেন।

আয়ামীলীগ একটা গনত্রান্তিন রাজনিতিক দল। এতে গনতন্ত্রের প্রয়োগ কই? দেশের সত্যিকারের ভালো চাইলে আয়ামীলীগ ভালো। কিন্তু্ বর্তমানে আয়ামীলীগেই গনতন্ত্র নেই, দূনিতির বাসা, নেতারা কোটিপতি, ( আমার আত্নীয়, বন্ধুই আছে যাদের আমি চিনি)

জামাত/শীবির কে ক্ষমতায় দেখতে চাইনা বলেই কস্ট লাগে, যে আয়ামীলীগ দূনিতি আর ক্ষমতার লোভে কতটা খারাপ এবং ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে দেশের জন্য।


০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

নির্বাচনে মানুষ ভো দিতে পারে না, গত সাধারন নিবাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনাই। সব ফালতু কথা। রিসেন্ট কুমিল্লার নির্বাচন দেখলেই বুঝতে পারবেন।

২০১৪ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করে নি, তাই বিএনপি বাদেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারচুপির প্রশ্নই আসেনি। একতরফা নির্বাচনে কারচুপির দরকারও হয় নি। যদিও ২০১৪ নির্বাচনকে বিএনপি কারচুপিমুলক বলে থাকে।

তবে ২০১৮-১৯ নির্বাচনে বিএনপি জোটের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল।
মুল নেতা ড কামাল হোসেন, ও ড জাফরুল্লা রব মান্না ও ড বদরুদদোজা দের নিয়ে বিপুল শক্তিশালি মনে হচ্ছিল।
কিন্তু বিধি বাম। সম্মেলনের আগের দিন হটাত অজ্ঞাত কারনে (জামাতের নির্দেশে) ড বদরুদদোজাকে বাদ দেয়া হয়, জোটের মনবল সেই দিনেই অর্ধেক কমে যায়।
এর পর জোটের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে বার বার জামাতে ইসলাম জোটে নেই বলে মিথ্যাচার আর লুকোচুরি করতে থাকেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ মাস জামাতের সংস্লিষ্টতার ব্যাপারে মিথ্যাচার করে গেছেন অকারনে।
ড কামাল শহিদ মিনারে মেজাজ হারিয়েও সত্য লুকিয়েছেন। ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন ও মেজাজ হারিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে এক মহিলা সাংবাদিককে জঘন্য গালি দেন। এরপরেও জোটের নেতারা জামাতে ইসলাম নিয়ে লুকোচুরি মিথ্যাচার চালা্তে থাকেন, নির্লজ্জ ভাবে।
অতচ প্রথম থেকেই যদি বলা হোত - "কিছু কারনে এখুনি আমাদের পলিসি চেইঞ্জ করতে পারছিনা, গতবারের মত এবারও জামাতে ইসলাম আমাদের জোটে আছে, থাকবে"। ব্যাস কাহিনী শেষ। এত মিথ্যা বলতে হয় না, এত প্রশ্নের জবাবও দিতে হয় না।

নির্বাচনের দুদিন আগে জামাতকে ২৫ সিট ছেড়ে দেয়ায় অনেকে হতবাক হয়ে যায়।
জোটের মনবল অর্ধেকই শেষ।

অজ্ঞাত কারনে মুল নেতা ড কামাল, জাফরুল্লা নির্বাচনে দাড়ান নি, এখানেইতো বিএনপি সমর্থকরা মনস্তাত্তিক ভাবে আরো পিছিয়ে পড়ে।

উলংগভাবে মননয়ন বানিজ্জ্য বিএনপির সমর্থক মনোবল হারানো।
জনপ্রীয় প্রাক্তন মন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, এলাকায় জনপ্রীয় সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ ডজন খানেক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পর্যায়ের সিনিয়র নেতা নির্বাচনে দাড়ান নি, তাদের ব্যাপারটা ছিল "আমাদের মত জনপ্রীয় নেতাদের ১০ কোটি টাকা দিয়ে সিট কিনতে হলে সেই নির্বাচন আমরা করবো না"।
ফকরুলের মত টপ বিএনপি নেতার কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছিল, টাকা দিতে সম্মতিও ছিল, কিন্তু জেতার পর টাকা দিতে না পেরে নির্বাচনে জিতেও সিট ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মির্জা ফকরুল, পরে উপনির্বাচনে ফকরুলের সিট আরো উচ্চমুল্যে বিক্রি হয়েছিল। বিএনপি প্রকৃত সমর্থকদের সব মিলেই হতাসাজনক পরিস্থিতি, সবদিকেই বিধ্বস্ত ভগ্ন মনবল।

বিএনপি পন্থিদের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগের গত দশ বছরে বিরক্ত হয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষেই আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়ে গেছে। তাই বিএনপিকে ভোট দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ''নীরব'' ভোটার! বিএনপির আশা ছিল এই ভোটাররা ''নীরব বিপ্লব'' ঘটাবে।

বাস্তবতা হলো সেটি কখনোই ঘটবে না। ঘটা সম্ভবও নয়।
কারন আওয়ামী বিরোধীদের ভোট পেতে হলে বিএনপিকে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হলেই হবে না, পেশাধারি দক্ষ প্রচার পরিকল্পনায় দক্ষতায় জনবলে আওয়ামী লীগের সমান সমকক্ষ হতে হবে।



০৯ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নির্বাচনের মাত্র ৩ দিন আগে অপ্রস্তুত নির্বাচন প্রচার শুরু করে,
যেখানে ২৫ সিটে জামাত একমাস আগেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।
বিএনপি পোষ্টার লাগানো দূরে থাক পোষ্টার ছাপায় নি,
অযুহাত পোষ্টার ছাপাতে দেয়নি, গুমএর ভয়ে বাসায় বসে ছিল।
ভোটের আগে জোট গণসংযোগে সম্পুর্ন অনুপস্থিত ছিল। ভোটের সকালে নেতারা প্রার্থিরা ভোট দেয়া তোদুরের কথা ঘর থেকে বেরই হয় নি।
এদেশের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। বিম্পি প্রার্থিরা ভোট প্রচারনায় ১০টি টাকাও খরচ করেনি, এক কাপ চা ও না।
এজেন্ট দেয় নি, এজেন্ট দেয়ার মত অবস্থাতেই তারা ছিল না। এজেন্ট দিতে খরচ লাগে, বিনা পারিশ্রমিকে কার ঠ্যাকা পড়েছে এজেন্টগিরি করে মার খেতে?

আদতে তাদের কি পরিকল্পনা ছিল বোঝাই মুসকিল।
প্রচারের খরচ না করে হয়তো নির্বাচনে কারচুপি দেখিয়ে গন্ডগোল পাকানোই তাদের বেশি পছন্দের ছিল।

এছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য কিংবা দ্বন্দ্ব, মতপার্থক্য এত প্রকট ছিল যে বাইরে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছিল।
বিভ্রান্ত নেতাদের একের পর এক ফোনালাপ ফাঁস। পাকিস্তানি ফান্ড, পাকি গোয়েন্দাদের সাথে কথাবার্তা ফাস।
নিজদলের কর্মিদের যোগার করতে না পেরে শিবিরের কাছে হাত পাতার কথাবার্তা ফাঁশ।

বাংলাদেশে নির্বাচন করতে খরচ লাগে।
প্রতিটি দলের/প্রার্থির দলের প্রতি রুমে ১জন ও গেটে ৩ এজেন্ট থাকার কথা,
সে হিসেবে প্রতি স্কুল কেন্দ্রে কমপক্ষে ১০-১২ জন বিরোধী এজেন্ট থাকার কথা। ভোট গোনার সময়ও সব এজেন্ট থাকতে হয়, রেজাল্ট শিটে শাক্ষর দিতে হয়। ইভিএম এর ভোটের পৃন্টেড স্লিপে এজেন্টের স্বাক্ষর লাগার কথা। অতচ সকাল থেকে ১ টা এজেন্টও দেখা যায় নি। নেই। এমনকি ভোটের রেজাল্ট জানতেও কাউকে পাওয়া যায় নি।
বিএনপি অবস্য দাবী করে এজেন্টে ছিল কিন্তু মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
যদিও বিএনপির কোন এজেন্ট কেউ দেখেনি, কথিত তাড়িয়ে দেয়া এজেন্টের নাম, কোন বক্তব্যের ভিডিও বা ছবি কিছুই পাওয়া যায় নি। সামাজিক মাধ্যমেও দেখা যাই নি।

বর্তমান ভোটের বাজারে হুমকি গনপিটুনি, মামলা মোকাবেলা করার সাহস সহ একজন এজেন্টের মজুরি ৫ হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত। বিএনপি এজেন্ট দেয় নি, এজেন্ট দেয়ার মত অবস্থাতেই তারা ছিল না। এজেন্ট দিতে খরচ লাগে, বিনা পারিশ্রমিকে কার ঠ্যাকা পড়েছে এজেন্টগিরি করে মার খেতে?
আওয়ামীলীগ এই অবস্থায় থাকলে এলাকার সবচে প্রভাবশালি যুবকদের এজেন্ট করে ২০হাজার খরচ করে হলেও রাখতো। প্রতি রুমে ব্যাকআপ আরো ৩ জন রাখতো।

নির্বাচন সময়টায় ভোট প্রচারনায় বিএনপি একদমই ছিলো না,
পোষ্টার লাগায় নি, লাগানোর চেষ্টাও করেনি। আসলে একটি পোষ্টারও ছাপায় নি, কথিত গুমের ভয় অযুহাতে (শুধু জোটের জামাতের পোষ্টার দেখা গেছে)
ভোটার স্লিপ বিতরনেও বিএনপি ছিলো না,
এদেশের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। বিম্পি প্রার্থিরা প্রচারে ১০ টি টাকাও খরচ করেছে কিনা সন্দেহ ।
আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে খোজ নিয়ে দেখেছি বিএনপি প্রচার ও গণসংযোগে সম্পুর্ন অনুপস্থিত ছিল।

আর আওয়ামী লীগের প্রিপারেশন ছিল বছরব্যাপি ব্যায়বহুল শক্ত সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা।
ছিল জয়বাংলা থিম সং, সহ শত শিল্পি সেলিব্রেটি, মিডিয়া সোশাল মিডিয়াতে অর্থ খরচ করে ব্যাপক প্রচারনা নিয়ে সবকিছু নিয়ে জোড়দার ভাবে আওয়ামী লীগ।
বিম্পির তুলনায় আওয়ামী লীগ ব্যাপক পেশাধারি প্রচার জনবল অনেক বেশী থাকায়, নির্বাচনটি একচেটিয়া হয়ে গেছে। পঙ্গু সংখ্যালঘুদের যে দশা হয় বিএনপির তাই - হয়েছে।

ভোটের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার কাজে বিএনপি ছিলো না,
অজ্ঞাত কারনে বেশ কিছু সংখক বিম্পি প্রার্থী নিজের ভোট প্রদান করেননি। ভোটকেন্দ্রের কাছেও আসেন নি। বাসায় ছিলেন।
টিভিতে সাত সকালে ঢাকার এক ভিআইপি প্রার্থি মির্জা আব্বাস মিডিয়াতে শুদ্ধ ভাষায় বলে আমি আজ বাসায়ই আছি "আমি ভোট দিচ্ছি না"। (১০ কোটি টাকার সিট কেনার টাকার দেয়ার ভয়ে?)
তুই নিজেই ভোট না দিলে তোদের মার্কায় ভোটটা দিবে কোন শালায়।
আমার মতে শুন্য ভোট পেলেও অবাক হওয়ার কথা ছিল না।

আর সাধারণ মানুষ নিরব ভোটাররা এদের এসব ভ্যাজাল চায় না।
মানুষ গত ৫ বছর শান্তিতে ছিল, চোর খ্যাদাতে ডাকাত ঘরে ঢুকাতে চায় নি। হরতালও চায় না আরো ৫ বছর শান্তি চেয়েছিল।
সেটাই হয়েছে।

অর কারচুপি যে হয় নি তা বলছি না।
সাধারনত নির্বাচনে যেরুপ অনিয়ম বিশৃক্ষলা কারচুপি হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু ভাবে বেশীই হয়েছে।
সেটা বিএনপি জোটের অনুপস্থিতি কারনেই হয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট ভেরিফাই হয়ে ব্যালট কেড়ে সিল মারা হয়েছে, অতি উৎসাহি আওয়ামী এজেন্টের কারনে, যার প্রয়জনই ছিলনা। আরো অনেক অকারন অনিয়ম দেখা গেছে, সেটা বিনপির লোকজন থাকলে হত না। তবে সার্বিক ভাবে ভাল না হলেও একটি সন্তোসজনক ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে।
তবে এইটুকু নিশ্চিত বলা যায় এসব অনিয়ম না হলেও আওয়ামীলীগের বিপুল বিজয় ঠ্যাকাতে পারতো না বিএনপি-জামাত।

১১| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:

নির্বাচনে মানুষ ভো দিতে পারে না, গত সাধারন নিবাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনাই। সব ফালতু কথা। রিসেন্ট কুমিল্লার নির্বাচন দেখলেই বুঝতে পারবেন।


=p~ B-))

ভাই আপনাকে কি কেউ আগামী তথ্য মন্ত্রীর দায়ীত্ব অফার করেছে?

আমি বলছি আমার পরিচিত নেতার মুখেই শোনা তারা কি করছে নিবাচনে।

আপনার কি মনে হয় এমপি, মন্ত্রীরা যদি নিষেধ করে তবে অতি উৎসাহি নেতারা ব্যালটে সিল মারবে? ;)

১২| ১০ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নতুন বলেছেন: অর কারচুপি যে হয় নি তা বলছি না।
সাধারনত নির্বাচনে যেরুপ অনিয়ম বিশৃক্ষলা কারচুপি হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু ভাবে বেশীই হয়েছে।
সেটা বিএনপি জোটের অনুপস্থিতি কারনেই হয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট ভেরিফাই হয়ে ব্যালট কেড়ে সিল মারা হয়েছে, অতি উৎসাহি আওয়ামী এজেন্টের কারনে, যার প্রয়জনই ছিলনা। আরো অনেক অকারন অনিয়ম দেখা গেছে, সেটা বিনপির লোকজন থাকলে হত না। তবে সার্বিক ভাবে ভাল না হলেও একটি সন্তোসজনক ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে।
তবে এইটুকু নিশ্চিত বলা যায় এসব অনিয়ম না হলেও আওয়ামীলীগের বিপুল বিজয় ঠ্যাকাতে পারতো না বিএনপি-জামাত।


হুম আপনার ধারনা বিএনপির লোক জন থাকলে তাদের সামনে ব্যালট কেড়ে নেবার সময় তারা বলতো, " আয়ামী ভাই ব্যালট কেড়ে নেবে না প্লিজ আর তারা সরি বলে লজ্জা পেয়ে যেত?"

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

সকল এলাকাতে যে লাঠিয়াল ( অস্র থাকে সাথে) বাহিনি নেতারা পালে তারা নির্বাচনের দিন বসে থাকতো?

আপনার এই আয়ামীজজবা আয়ামীলীগের বর্তমান তথ্যমন্ত্রীকে ছড়িয়ে গেছে।

শেখ হাসিনার সাথে দেখা হলে আপনাকে আগামীর অথ্যমন্ত্রীর পদের জন্য সবাই মিলে সুপারিস করবো। এবং আপনার সামুর পোস্ট, কমেন্ট তাকে দেখালে অবশ্যই তিনি আপনাকে যোগ্য হিসেবে মেনে নেবে।

১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

অবস্যই লজ্জা পেত।

আইনত প্রতিটি দলের/প্রার্থির দলের প্রতি রুমে ১জন ও গেটে ৩ এজেন্ট থাকার কথা, আওয়ামীলীগের ছিল, লাঠি হাতে বা ছুরি হাতে কেউ ছিল না।

হিসেবে প্রতি স্কুল কেন্দ্রের রুমে আওয়ামীলীগের একজন এবং বিনপি সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের ১০-১২ জন এজেন্ট থাকার কথা। ১ জন থাকলেও ব্যালট কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলেই হইচই শুরু হয়ে যেত। বাহিরে বারান্দায় অজস্র সাংবাদিক, নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক হাটাহাটি করছে তখন রুমে ১ আওয়ামী এজেন্ট ১০ জনের সামনে কারো ব্যালট কেড়ে নেয়ার চিন্তাই করতে পারতো না। দুনিয়াটা এত সহজ না।

বিএনপি নির্বাচন করার কোন চেষ্টা দৃশ্বমান ছিলনা।
বিএনপি এজেন্ট দেয় নি, (কথিত গুমের ভয়ে) এজেন্ট দেয়া দুরের কথা নেতা বা প্রার্থিরা নিজেরা কেউ উপস্থিত ছিল না, যে কারনে ত্যাগী সমর্থকরাও ছিল না।
এজেন্ট দিতে খরচ লাগে, এদেশের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। বিম্পি প্রার্থিরা ১ টি টাকাও খরচ করে নি। বিনা পারিশ্রমিকে কার ঠ্যাকা পড়েছে এজেন্টগিরি করে মার খেতে?

বিএনপি নির্বাচন করেনি, করেছে উলংগভাবে মননয়ন বানিজ্জ্য, যার প্রমান ফকরুল মিলন, আলাল।
হাদিয়া পকেটতস্থ করে, নির্বাচনে খরচ না করে কথিত কারচুপি দেখিয়ে গন্ডগোল পাকানোই তাদের বেশি পছন্দের ছিল।

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

নতুন বলেছেন: শেখ হাসিনার সাথে দেখা হলে আপনাকে আগামীর অথ্যমন্ত্রীর পদের জন্য সবাই মিলে সুপারিস করবো। এবং আপনার সামুর পোস্ট, কমেন্ট তাকে দেখালে অবশ্যই তিনি আপনাকে যোগ্য হিসেবে মেনে নেবে। B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.