নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা

০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

গত সোমবার ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে আবারো একটি সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

নির্বাচনের আগে আলোচনা হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেছেন, কাদের সঙ্গে আলোচনা করব? একে তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তারপর আবার আমার বাবা-মা, ভাই-বোনদের খুনি। তারপরও দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য কিন্তু আমি অনেক উদারতা দেখিয়েছি। তবে এখন আর তাদের (বিএনপি) সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই।


যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সোমবার সম্প্রচারিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু বারবার বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি, ২০১৮- এর নির্বাচনেও। আসলে বিএনপি এমন একটা রাজনৈতিক দল, এই দলটা সৃষ্টি করেছে একজন মিলিটারি ডিক্টেটর, যে ১৯৭৫ সালে আমার বাবা-মা, ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে কিন্তু আমার বাবাকে হত্যা করা হলো, তারপর যিনি ক্ষমতায়- তাকে সরাল, তারপরে আরেকজন চিফ জাস্টিস সায়েম তাকে সরিয়ে অস্ত্র হাতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসে। তারপর সে একটা রাজনৈতিক দল করে। একজন সেনাপ্রধান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে চেয়ারে বসল, তারপর হ্যাঁ-না ভোটের নামে নাটক করা হলো। একথা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, অস্ত্র হাতে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতায় বসে থেকে যে রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করেছে, সেটাই হচ্ছে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে কিন্তু কারও কোনো অভিযোগ নেই। তখন আমাদের ছিল ১৪ দলীয় জোট, আর বিএনপি নেতৃত্বে ছিল ২০ দলীয় জোট। তাদের জোট ৩০০ সিটের মধ্যে পেয়েছিল ২৯টা, বাকি সিটগুলো কিন্তু আমরা পেলাম। সেটা থেকেই তো জনগণের কাছে বিএনপির অবস্থানটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

যার ফলে তারা ২০১৪ সালে আর ইলেকশন করবে না, ইলেকশন ঠেকাবে। ইলেকশন ঠেকাতে গিয়ে শুরু করল অগ্নিসন্ত্রাস। এটা মনে হয় কোনো মানুষ ভাবতে পারবে না যে- জীবন্ত মানুষগুলো বাসে করে যাচ্ছে, সেখানে তারা আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে, ট্রাকে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে, লঞ্চে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে, গাড়ি, সিএনজি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৩৮০০ গাড়িতে তারা আগুন দিয়েছে। ২৯টা ট্রেনে তারা আগুন দিয়েছে। সিএনজি, প্রাইভেট কার- যাকে যেখানে পেত, গায়ে পেট্রোল ঢেলে মানুষ আগুনে পুড়িয়ে মারাই নাকি তাদের আন্দোলন।

তিনি বলেন, ৫০০ স্কুল তারা জ্বালিয়ে দিয়েছিল আগুন দিয়ে এবং ৭০টা সরকারি অফিস, ৬টা ভূমি অফিস তারা আগুন দিয়ে জ্বালাল, এভাবে তারা ইলেকশন বন্ধ করার চেষ্টা করল। কিন্তু আসলে জনমতের শক্তিটাই সবচেয়ে বড়। কাজেই ইলেকশন বন্ধ করতে পারেনি, আমরা ক্ষমতায় ফিরে আসলাম।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল, যখন লাশ এসেছে মানবিক কারণে আমি প্রাইম মিনিস্টার, তারপরও সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাব বলে আমি গেলাম। আমি যখন রওনা হলাম, প্রথমে বলা হলো আমার গাড়িকে ওই বাড়ির ভেতর ঢুকতে দেবে না। মেইন গেট বন্ধ, যেখানে আমি চলে আসছি কেচি গেটে।

তারপরে খবর এলো যে ওই গেট দিয়ে ঢুকতে দেবে না। তখন আমি বললাম যে, যেহেতু এসেই গেছি, মেইন গেট না খুললেও পকেট গেট দিয়েই যাব। আমার গাড়িটা দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমার যে অন ডিউটি এসএসএফ ভেতরে ছিল, সে জাস্ট গেট থেকে একটু বের হয়ে এসেছে আমাকে নেওয়ার জন্য, পেছনে চট করে দরজাটা বন্ধ করে দিল। আমাকে ঢুকতে দিল না। আমি তাও গাড়ি থেকে নামলাম। নেমে দেখি, তাদের লোকজন ভেতরে। আমাকে ঢুকতে না দিয়ে অপমান করা হলো। এখন আপনারা বলেন- এরপর কার সঙ্গে ডায়লগ করব আমি?

২০১৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উলে­খ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার করার পর প্রত্যেকটা পরিবার যে কষ্ট পাচ্ছে, আর যারা পুড়ে একটু বেঁচে আছে, তাদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। যে অবস্থায় তারা আছে সেই অবস্থা যদি কেউ চোখে দেখে, তখন আর ওদের (বিএনপি) সঙ্গে আর বসতে ইচ্ছা হয় না। মনে হয় ওদের সঙ্গে বসলে যেন ওই পোড়া মানুষগুলোর পোড়া গন্ধ পাই।

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিরা উৎসাহিত হবে: র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার পরামর্শেই কিন্তু এ র‌্যাবের সৃষ্টি এবং তাদের ট্রেনিং, তাদের অস্ত্র সবকিছুই কিন্তু আমেরিকার করা। তিনি বলেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকার এলো এবং একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রাখলাম, তখন হঠাৎ করে র‌্যাবের ওপর এই স্যাংশনটা তারা কেন যে জারি করল, সেটা ঠিক আমার কাছে বোধগম্য না।

আওয়ামী লীগ যেখানে ক্ষমতায় আসার পর র‌্যাবের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে তাদের ভূমিকাগুলো খুবই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসার পরে র‌্যাবের কোনো অফিসার যদি কোনোরকম কোনো অপরাধ করে, তাদের কিন্তু বিচার হয়- এটা কিন্তু অন্য দেশে নেই। এমনকি আমি বলব, আমেরিকায়ও নেই।

তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের দেশে তো এই আইনের শাসনটা বলবৎ আছে এবং যারা যখনই কোনো রকম অপরাধমূলক কাজ করেছে, আমরাই কিন্তু তাদের শাস্তি দিয়েছি।
র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ দিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় প্রতিমন্ত্রীর জামাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লে­খ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কিন্তু গ্রেফতার করা হয়েছে, জেলে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সে শাস্তি পেয়েছে। সন্ত্রাস এবং জঙ্গি দমনে র‌্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এভাবে হঠাৎ স্যাংশন দেওয়ার ফলে যেটা হলো, এতে জঙ্গিরা একটু বোধহয় উৎসাহিত হয়ে পড়ল- এটা হলো বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন বলবৎ রয়েছে। আমরা সবকিছু আইনের দৃষ্টিতে দেখি। আবার বিনা অপরাধে কেউ যাতে শাস্তি না পায় সেটাও আমরা দেখি।
ডিজিটাল আইনের ‘অপপ্রয়োগ হয় না’: বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এমন আইন আছে, যা বাংলাদেশেও করা হয়েছে। নাগরিকদের ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিচরণ সুরক্ষিত করতে এই আইন করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের হয়রানি করা এই আইনের লক্ষ্য নয় উল্লে­খ করে তিনি বলেন, এখানে যদি কেউ অসামাজিক কার্যক্রম, উসকানিমূলক কার্যক্রম, জঙ্গিবাদী কার্যক্রম প্রচার করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি এখন আমার একটি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ফাইল চুরির চেষ্টা করে, তাকে কি পুরস্কৃত করতে হবে? কোনো সভ্য দেশে এটা করলে কী ব্যবস্থা হয় তার বিরুদ্ধে? দেখলাম তাকে হিরো বানানো হলো, তাকে আবার পুরস্কার দেওয়া হলো!

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হয় না বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। এ আইন সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আইনটা কিন্তু অন্যান্য দেশের থেকে অনেক সহজ। তারপরও আমরা বলছি, অন্যান্য সভ্য দেশে আইনটা কীভাবে প্রয়োগ হচ্ছে, তা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখছি, আমেরিকায় ডিজিটাল আইনে কী আছে, ইংল্যান্ডে কী আছে, ইউরোপের দেশগুলোতে কী আছে। সেখানে যদি আমরা দেখি, আমাদের আইনের চেয়ে কঠিন কোনো শাস্তির ব্যবস্থা আছে, তাহলে আমরা সংস্কার করে দেব।


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:০০

কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপি একটি দল।তাদের কাজ হলো কোন্দল করা রাজনীতি করা না।আওয়ামী বিরোধী একটা প্লাটফর্ম।দেশের মঙ্গল করা তাদের উদ্দেশ্য না,তাদের প্রধান কাজ হলো আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চাওয়া।

০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বিএনপি মূলত একটি পাকিস্তানপন্থী একটি দল।
বিএনপির মূল আদর্শ ভারত বিরোধিতা। তথা পাকিস্তানের বন্ধু হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ বিরোধিতা।
ক্ষমতায় থাকাকালে এই দলটি দলের সকল মেধা শ্রম দেশের অর্থ সব কিছু ব্যয় করে ভারতের ক্ষতি করতে। পাকিস্তানের পরামর্শে উলফাকে অস্ত্র কিনে দিতে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া ইত্যাদিতে দেশের সকল অর্থ মেধা ব্যয় করে এই দলটি।
নইলে রেমিটেন্স প্রবাহ এক্সপোর্ট আর্নিং ভাল থাকার পরেও কেন ডেভেলপমেন্ট বাজেট থাকে না? রিজার্ভ বৃদ্ধি হয় না কেন।

২| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপি এখন হাউকাউ পার্টি ।দেশে শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব প্রকট ।

০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশে যতবার একটি শক্তিশালী বিরোধীদল গঠন করার চেষ্টা হয়েছে ততবার তারা জামাতি অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।

একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হয় গোড়া থেকে মূল থেকে। এরপর ডালপালা গজায় ফুল ফল হয়।
এদের আগেই ফল তৈরি হয়েছে। তারপর হ্যান্ডমেড মূল ও পাতা।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ক্যান্টনমেন্টে তৈরি। হ্যান্ড মেইড। এদের কে কোন অবস্থাতেই একটি রাজনৈতিক দল বলা যায় না।

বাংলাদেশের বাম দলগুলো ও কমিউনিস্ট পার্টি এক সময় খুব ভালোভাবে সংগঠিত ছিল। ছাত্র ইউনিয়ন ছিল খুবই জনপ্রিয় দল।
যদিও এদের বেতন আসতো মস্কো থেকে। ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাসিনা অবশ্য মানবিক কারণে এদেরকে কিছু ভাতা দিয়ে সংসার চালানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ভালো বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। কারণ কিছু পরেই এরা জামাতে অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে যায়।

৩| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এমন এক্যুরেট ডাটাসহ বলেছে?

০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

উনি একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে সামান্য বাদে ডাটা খুব একটা ব্যবহৃত হয়নি। তিনি যা বলতে চেয়েছেন ২০০৮ এ বাংলার শতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হয়েছিল। দেড় কোটি ভুয়া ভোটার বাদ দিয়ে ছবি সহ ভোটার তালিকা করা হয়েছিল। সাথে বায়োমেট্রিক ভোটার আইডি। ভোটের দিনে উৎসব মুখর বিশাল লাইন। পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার আগে কারো কোন অভিযোগ ছিল না।
সেই ভোটে বিএনপি জামাত মাত্র ২৯ টা আসন পায়, ৩০০ আসনের বিপরীতে।
২০১৮ ২৫টি আসন জামাত কে ছেড়ে দিয়ে তে প্রচারণা পোষ্টার বাদে নামমাত্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তার চেয়ে কিছু কম আসন পায়।

৪| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১১:০২

অর্ক বলেছেন: বাচ্চাদের কোনও ব্লগে এসব বস্তাপচা পুরাতন প্যাঁচাল ছাড়েন, ভাই। ওদের এসব আওয়ামী বাঁচাল চর্বিত চর্বনে আগ্রহ থাকলেও থাকতে পারে। সবাই আমরা এসব জানি। বস্তাপঁচা বাতিল প্যাঁচাল। অনেক তো *** *** করলেন। এবার একটু ম্যাচিউর ব্লগিং করার চেস্টা করে দেখতে পারেন। মৃতপ্রায় এ ব্লগের অন্তত কিছু হলেও কল্যাণ হবে। দুই কাঁধের ওপর হ্যান্ডবল আকৃতির যে গোলাকার বস্তুটা আছে ওটাকে হ্যান্ডবল বানিয়েই শুধু ঝুলিয়ে না রেখে, যথাযথ ব্যবহার করে নতুনত্ব আনেন চিন্তাভাবনায়, লেখায়। ব্লগে এরকম ছ্যাচড়া স্তরের বৌদ্ধিক **** আর কতো?

০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কাম ডাউন। এত সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই।
আমি কোন ব্লগ লেখিনি। এই পোস্টে কোন লেখাই আমার না। কোন বক্তব্যই আমার না।
উনি সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে ভয়েস অফ আমেরিকা বেতার কেন্দ্রে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
দেশের কোন প্রিন্ট মিডিয়া এই সাক্ষাৎকার ছাপাইনি। একটি বাদে। টিভি মিডিয়াতেও এই সাক্ষাৎকার চোখে পড়েনি।
তাই ভাবলাম এটা সবাই কে জানানো উচিত।

৫| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১১:১২

শাওন আহমাদ বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস....

৬| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

অক্পটে বলেছেন: আ.লীগ নামক সিন্দাবাদের ভুতটা দেশের ঘাড়ে চেপে বসেছে সবাই টের পাচ্ছে কিন্তু সরাতে পারছেনা। ইতিহাসের সকল অপকর্মের সেরা দলটি চুরির সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এখনও ওদের বাচালতা থেকে মুক্ত হতে পারেনি জনগণ। প্রশাসনের প্রত্যেকটা স্তরে চোর বসিয়ে মহালুট হচ্ছে সে খবর বাচালরা মুখেও আনেনা।

০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এত রেকর্ড সংখ্যক চুরি লুটের পাচারের কথা বলা হচ্ছে।
এসব কথাবার্তার ভিত্তি কি?

এইমাত্রায় চুরি হলে তো দেশের সম্পদ অর্থ শূন্য হয়ে যাওয়ার কথা অনেক আগেই। চুরি হলে দেশে সম্পদ বাড়ে না কমে?
পদ্মা সেতু তৈরির আগে দেশের রিজার্ভ ছিল ১০ বিলিয়ন মাত্র। তখন বলা হয়েছিল। এই ব্যায় বহূল ুু সেতুতে এত কম রিজার্ভে সেতুর কাজ সমাপ্ত হবে না তার আগেই সবটাকা শেষ হয়ে যাবে।

কিন্তু সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর দেখা গেল দেশের রিজার্ভ হয়ে গেল ৪৮ বিলিয়ন। (যদিও পরে যুদ্ধে ডলার সংকটে কিছু কমেছে) এর আগেই সমাপ্ত হয়েছে ২৫ মেগাপ্রজেক্ট। শতভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ ্যু্ পৌঁছে যায়।

০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেতুতে অতিরিক্ত ব্যায়, ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।
যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

অর্থনীতিবিদের মতে যে সেতু ৩০ বছরে ভাড়া দিয়ে নির্মাণ মূল্য উঠে যায় সে সেটা একটা গুড ইনভেসমেন্ট এবং অতিরিক্ত ব্যয় হয়নি ধরে নেওয়া হয়।
অথচ সেতু সমাপ্ত হয়ে চালু হয়ে যাওয়ার পর দেখা গেল শুধু টোলের মাধ্যমে সেতুর সম্পূর্ণ মূল্য ১৪-১৫ বছরে উঠে আসছে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে পদ্মা সেতু গুড ইনভেস্টমেন্ট নয় বেষ্ট ইনভেস্টমেন্ট। নির্মাণ ব্যয় মোটেই অতিরিক্ত নয়।

৭| ০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপির লোকজন ভালো নেই। তাদের কোনো ইনকাম নেই। বড় করুণ দশা হয়েছে তাদের। পাতি নেতারা না খেয়ে মরছে। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ দারুন আছে। ছাত্রলীগের ছোট পদে থাকা পোলাপান গুলশানে ফ্লাট কিনছে তিন কোটি টাকা দিয়ে। এবং সেই ফ্লাটের জন্য ফার্নিচার কিনছে নগদ ৮৫ লাখ টাকা দিয়ে।

চোর ছিনতাইকারী ধরার চেয়ে সবচেয়ে সহজ দূর্নীতিবাজ ধরা। অথচ শেখ হাসিনা দূর্নীতিবাজদের ধরবেন না। তার লোক দেখানো শুদ্ধি অভিযান এর কোনো খোঁজ খবর নেই।

৮| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

অক্পটে বলেছেন: ভাল লাগল আপনি রেগে জাননি আমার মন্তব্যে;
এনআইডি সংশোধন/গ্যাসবিল প্রদান/কর প্রদান এই তিন বিষয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা তা আপনার নাই। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। আপনার মতো আমার পথঘাট খোলা নাই জানা নেই কোন লিঙ্ক, নেই সরকারী কর্মচারীদের সাথে রাজনৈতিক পরিচয়। তাদের দেয়া পেরেশানিতে আমার মনে হয়েছে এই পৃথিবীতে আমার জন্মগ্রহণ করাই পাপ হয়েছে। হার্টএটাকে আমার মরণ শুধু হয়নাই। আমার জীবনের সমস্ত আয় স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ। আয়কর কর্মকর্তারা আমাকে চোর বানিয়ে ঘুষ খেতে চাওয়ায় আমি মহা রেগে যাই। তখন তারা বলে আপনি এই ভাবে রাজি না হলে আপনার সম্পদের ২৬% কর ফাঁকির দায়ে সরকার আপনাকে জরিমানা করবে এবং আপনি তা দিতে বাধ্য থাকবেন আপনি কি এটা চান?। সরকার নভেম্বরে সবাইকে বিনা হেরেজম্যেন্টে কর প্রদান করার সুযোগ দিয়েছে অথচ কর্মকর্তারা ঘুষ চাইছে আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।
বকেয়া গ্যাসবিল দিতে গিয়ে হয়রানি আর হয়রানি। আমাদের গ্যাসবিলে কাউন্টার পার্ট জমা দিয়ে তাদের ভুল ধরিয়ে দেয়ার পরও কোন কাজ হলনা। আমাদের ৫ বছরের কোন রেকর্ড নেই সরকারি অফিসে টাকা জমা হয়নাই। এই দোষ কি আমাদের???
কাউন্টার পার্টে ব্যাংকের সিল ছাপ্পর কি আমরা মেরেছি? কে শোনে কার কথা!!
এনআইডির একই অবস্থা। সরকারী নিয়োগপ্রাপ্তরা আমাদের নাম বাবা মার নাম ভুল উঠিয়ে নিয়েছে সেটা সংশোধনের জন্য আমার অধিকার আছে!!! সরকার পথ বলে দিয়েছে সংশোধনের কিন্তু সরকার যেসব চোরদের বেতনভাতা দেয় ঘুষ না দিলে কাজই করেনা পেন্ডিং! নামক এক যন্ত্রণার প্যারা দিয়ে রাখে আমাদের। টাকা দাও নইলে আমার কপালে পেন্ডিং এর প্যারা। জীবনেও আমার এনআইডি ঠিক হবেনা। একটা রাস্তা খোলা আছে সরকারী প্রসেসিংয়ের আওতায় না গিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় সার্ভার থেকে সব নাম মুছে আমাদের শুদ্ধ নামে সব কাজ করে দেবে।

সরকার কর ভালো কর পায়না কেন জানেন। মানুষ অকারণ হয়রানিকে ভয়পায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও কর দিতে চায়না, এই পথে নাম লেখােতে চায়না। কর দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। হয়রানি বন্ধ করতে হবে। টাকার আদান প্রদান বন্ধ করতে হবে। আমি ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব কিছু পে করবো। এবং এটা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই ঘুষখোর কান্ট্রিতে কোন শালার কাছে যেতে হবেনা। তবেই শুধু রুখে যেয়া যাবে ঘুষের কালো হাত। নোটের আদান প্রদান এমন পর্যায়ে নিতে হবে শুধু রিক্সা এবং নৌকায় পারাপারের সময় শুধু নোটের ব্যবহার করা যেতে পারে আর বাকি সব যায়গায় এমন কি মোদি দোকানেও কার্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৯| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা

১০| ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


শেখ হাসিনা পশ্চিমের মিডিয়াতে যদি বলতো "সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা হবে"। আপনি কিভাবে বিশ্লেষণ করতেন?

১১| ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: @ অকপটে ভাল কথা বলেছে।

১২| ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:১৭

তানভির জুমার বলেছেন: চাটুকরদের সাথে ইন্টারভিউ দেওয়া খুব সহজ। এরা সব রম্য টাইপ প্রশ্ন করে। এরা কি প্রশ্ন করতে পারবে জনগণের ভোট চুরি করে, পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসছেন কেন? বিরোধী নেতা- কর্মীদের বুক বাবর গুলি করে হত্যা করেন কন? আপনার শাসনে আমলে কতগুলো লোক গুমখুনের শিকার হইছে? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কেন? নামমাত্র মূল্যে ভারত কে কেন পোর্ট- রাস্তা ব্যবহার করতে দিয়েছেন? কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন প্রজেক্টে দলীয় লোকদের দিয়ে লোটপাট কেন চলে? বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার ঋণ করে ঘি খাওয়া কি ঠিক?

১৩| ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:২০

তানভির জুমার বলেছেন: গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসূচক ২০২৩-এ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় নিকৃষ্ট দেশ হিসাবে কেন গন্য করা হইলো?

১৪| ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৯:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে আপনারা কয়েকজন চিহ্নিত ---- আছেন , যাদের কাজই হচ্ছে জেনেশুনে অগনতান্ত্রিক একটি সরকারকে সমর্থন দেয়া। আপনাদের সমর্থিত দল যদি দেশের এত উন্নতি করেই থাকে, তবে ফেয়ার ইলেকশন দিতে এত ভয় কেন? কেন মধ্যরাতে ইলেকশন করতে হয় ?

০৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কাউকে নাম ধরে চিহ্নিত বলা ইনডিসেন্ট আনফেয়ার।
বলতে গেলে আপনাকেও তো একজন চিহ্নিত পাকিস্তান পন্থী জামাত-বিএনপি পন্থী ব্লগার বলা যায়। আমি কি কখনো আপনাকে নাম ধরে এভাবে বলেছি?
যেখানে আপনি বাংলাদেশে খেয়েদেয়ে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ বিরোধী ইমরান খানকে বন্দনা করে লম্বা একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। এখন আপনার ইমরান খান কোথায়? পাকিস্তান কোথায়?

০৫ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আওয়ামীলীগ কে অগনতান্ত্রিক বলছেন কোন কারনে?
আওয়ামী লীগের সমকক্ষ গণতান্ত্রিক দল কয়টা আছে বাংলাদেশে? নাম বলেন নামটা লিখে রাখি।

বিএনপি কবে কবে গণতন্ত্রিক দল ছিল?
ক্যান্টনমেন্টে বসে রাষ্ট্রের বেতনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অবস্থান করে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করা। ইহা কোন ধরনের গণতান্ত্রিক দল। যে দলের ২৪ বছরেও কোন কাউন্সিল অধিবেশন হয় না। দৃশ্যমান কোন আদর্শ নেই গঠনতন্ত্র নেই। হিডেন আদর্শ একটাই আছে সেটা হচ্ছে জামাতের পরামর্শ মত চলা। এদের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ হচ্ছে ১৫ ই আগস্ট এর মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হত্যা করে বা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সবাইকে ধাওয়া করেন বিদেশে পাঠিয়ে নিরাপদ পরিবেশ।

তথাকথিত নোবেল বিজয়ী ইউনুসও ছিল একই মতাদর্শে ১৫ই আগস্ট তন্ত্রে বিশ্বাসি।
১-১১ কুচক্রের মূল হোতা। ২০০৬ এ হিলারির দল ক্ষমতায়, তার পরামর্শে বাংলাদেশের সামরিক কর্তাদের সাথে ষড়যন্ত্রে মিলিত হয় ইউনুস। সে চেয়েছিল তার নেতৃত্বে ১০ বছর মেয়াদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নতুবা খালেদা ও হাসিনাকে বন্দী করে রেখে ১৫ই আগগ্টের মতো মাঠ ফাঁকা করে নিজেই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে জয় লাভ করা। দীর্ঘমেয়াদি ভাবে আমেরিকান সমর্থক একটি সরকার প্রধান হয়ে ক্ষমতা অসীম সময়ের জন্য কুক্ষিগত করা।

আপনাদের পার্টনার জামাতও কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্যান্য দলের মতো গণতন্ত্র মানে না। মানে তথাকথিত আল্লাহতন্ত্র। তাদের গণতন্ত্রের জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস নয়। ক্ষমতার উৎস আল্লাহ। তথা আল্লাহর নিয়োজিত জামাতের আমির।

১৫| ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ব্লগে রাজনীতি না করাই ভালো,
...........................................................
সাধারন জনগনের প্রত্যাশা সংসদে একটি শক্তিশালী
বিরোধী দল থাকা আবশ্যক, সেটা যে দলই ক্ষমতায় আসুক ।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিএনপির দাবী না মানার সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে তাদের সাথে অহেতুক আলোচনা করে সময় নষ্ট করার দরকার কি? আওয়ামী লীগের অনেক দোষ যারা বলেছে তারা বিএনপির গুণের বিবরণ দিয়ে পোষ্ট প্রদান করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.