নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখে তা হল তার কল্পনা, আর জেগে জেগে যে স্বপ্ন দেখে তা হল তার সংকল্প ।

Mmh Mahamud

রাজ্যহীন রাজপূত্র

Mmh Mahamud › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গীবাদ ও ইসলাম বিষয়ক শিক্ষা

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

কোথাও একটা ভূল হচ্ছে । কোথাও খুব বড় একটা ভূল হচ্ছে ! ২০-২৫ বছর বয়স , এটা মানুষের জীবনের একটা সময় যখন তার ব্যাস্ত থাকার কথা নিজের জীবন গড়ার কাজে । সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হওয়ার কথা তাদের প্রতিটি ভোরের । কিন্তু এই তরুন প্রানগুলোই কেন নিজেদের জীবনের সে সোনালী সকালগুলোকে দূরে ঠেলে সমাজের জন্য টেনে আনছে অমোঘ অমাবস্যার আধার ?
কেন তারা অরক্ষিত মনে করছে তাদের ধর্মকে ? কে তাদের শেখালো ধর্মকে রক্ষা করতে হলে আত্মঘাতী হতে হবে । বিষয়গুলো আসলেই ভেবে দেখতে হবে ।
ধর্ম এবং বিশ্বাস একটা মানুষের মাঝে দানা বাঁধতে শুরু তার শৈশব থেকে । শৈশবেই সে শেখে তার ধর্ম সম্পর্কে , ধর্মের বিশ্বাস সম্পর্কে । আর এ শিক্ষায় অন্যতম প্রধান উপকরন হিসেবে কাজ করে তার পাঠ্য বই ।
একথা নিসন্দেহে সত্যি যে , যারা জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত তারা আসলে জানেই না ইসলাম কি । কারন ইসলাম কী জানলে তারা কখনো এই সংহিংসতার পথ বেঁছে নিতো না । মনে পড়ে ছোটবেলায় আমার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভূক্ত ইসলামিক কিছু গল্পের কথা । যেখানে মহানবী (স.) শত পাথরের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হওয়া সত্বেও স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেন, "আল্লাহ তুমি এদের ঈমান দাও , সৎ পথ প্রদর্শন কর" । কিংবা সেই বুড়িটির কথা যে রোজ মহানবী (স.) এর পথে কাঁটা বিছিয়ে দেওয়া সত্বেও তার অসুস্থ অবস্থায় সেবা যত্ন করে সুস্থ করে তোলেন স্বয়ং রাসূল (স.) ।
ইসলামের আসল রুপের পরিচয় এভাবেই পেয়েছিলাম আমরা । এভাই গড়ে উঠেছিল আমাদের ধর্ম বিশ্বাসের ভীত । যার কারনে আমি জানি ইসলাম সংহিংসতা নয় শান্তির কথা বলে । কিন্তু নতুন প্রজন্মের জন্য কী এ ভীত গড়ে তোলার সুযোগটা এখন আছে ?
উত্তর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই না । নির্দিষ্ট একটা রাজনৈতিক দলকে দমন করতে সরকার পাঠ্যবই থেকে উঠিয়ে দিয়েছে সে নীতি গল্পগুলো । যার ফলে তরুন প্রজন্মের বেশীর ভাগই ইসলামের নীতি সম্পর্কে রয়ে যাচ্ছে অজ্ঞতার অন্ধকারে । আর ধর্ম নিয়ে অজ্ঞতার অন্ধকার যেখানে প্রকট , জঙ্গীবাদ সেখানে ডালপালা বিস্তার করবে এটাই স্বাভাবিক ।
তরুন প্রজন্মের এই অজ্ঞতার সুযোগে ধর্মের নামে মিথ্যার বিষ তাদের অন্তরে ঢেলে দিয়ে হিংস্র পশুতে রুপান্তরিত করা হচ্ছে নিশ্পাপ প্রানগুলোকে । আর এর সুযোগ করে দেয়ার দায় নিতেই হবে সরকারকে ।
একটা গাছের ডালপালা কেঁটে ফেললেই গাছটা মরে যায় না । গাছ বেঁচে থাকে তার শেকড়কে কেন্দ্র করে । শেকড় যতদিন থাকবে গাছ নতুন ডালপালা তৈরী করে বেঁচে থাকবে । ঠিক তেমনি বিক্ষিপ্ত ভাবে জঙ্গী নিধন করেও জঙ্গীবাদ নির্মূল সম্ভব না । জঙ্গীবাদ নির্মূলের জন্য একে উপড়ে ফেলতে হবে শেকড় থেকে ।
একথা সত্যি যে এ কাজ সরকারের একার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয় । কাজটি করতে হবে সবাই মিলে । আর এজন্য সাধারন জনগন , বিশেষ করে তরুন প্রজন্মকে জানাতে হবে ইসলামের আসল রুপ সম্পর্কে । একবার যদি তাদের ইসলামের আসল রুপ বোঝানো যায় তবে বাঙ্গলার মাটিতে জঙ্গী নামক বস্তুর অস্তিত্ব থাকবে না এ কথা শতভাগ নিশ্চিত । আর এ শিক্ষা তাদের দিতে হবে সেই শৈশব থেকেই । আর যদি তা না দেওয়া যায় তবে বলতেই হবে , "কোথাও একটা ভূল হচ্ছে , কোথাও খুব বড় একটা ভূল হচ্ছে "।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

পথিক সাকিব বলেছেন: Arif R Hossain ?

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

Mmh Mahamud বলেছেন: জ্বী না , দাদা

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: দেশের নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেনীর সন্তানদের পক্ষেই কেবল যাওয়া সম্ভব এই ইউনিভার্সিটিতে। এমন জায়গার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জান্নাতের লোভে পড়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? তারা যে পথে পা বাড়িয়েছে তার নিশ্চিত পরিনাম মৃত্যৃ। তারপরও জেনেশুনে তারা কেন এ পথ বেছে নিয়েছে? ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.