নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ কথা

এম এম ইসলাম

এম এম ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেবিল ম্যানার ( সচিত্র টিউটরিয়াল) – ১ম পর্ব

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪

আজকের পর্বঃ খাবার টেবিলে কাঁটা চামচ ও ছুরির ব্যবহার – ১



প্রথমেই বলে নিচ্ছি বাঙ্গালির সরাসরি হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার মতো মজা আর কিছুতেই নেই। তবে অনেক সময় আমাদের অনেককেই এমন পরিবেশ কিংবা পরিস্থিতিতে পরতে হয় যেখানে চামচ-ছুরি ব্যবহার করে খাবার খেতে হয়। যারা চামচ-ছুরি ব্যবহার করে খেতে অভ্যস্ত নন এসময় তাদেরকে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয়। আবার খেতে বসে অসংখ্য ফরমাল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় যা আমাদের অনেকেরই অজানা। বাংলাদেশ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারে চার মাসব্যাপি ফাউন্ডেশন কোর্সে আমাদেরকে খাবারের সময় বাধ্যতামূলকভাবে চামচ-ছুরি ব্যবহার করতে হয়েছিল। অবশ্য আমাদেরকে টেবিল ম্যানারের ট্রেনিং (প্রশিক্ষন ক্লাস) দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক অনুষ্ঠানেই উক্ত ট্রেনিং ও অভ্যাস ব্যপক কাজে লেগেছে। বিষয়টি আপনাদেরও কাজে লাগতে পারে।

আজকের পর্বে আমরা দেখব কাঁটা চামচ ও ছুরি ব্যবহার করে কিভাবে পিঠা, কেক, আপেল এবং এ ধরনের খাবার খেতে হয়।



প্রথমে নিচের ছবিটি দেখুন। ছবির মতো খাবার প্লেটের বাম পাশে কাঁটা চামচ এবং ডান পাশে ছুরি রাখুন।





কাঁটা চামচ ধরার পদ্ধতিটি লক্ষ করুন। চামচটি উল্টো করে এর গোড়াটি চার আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরুন এবং তর্জনী চামচের হাতলের প্রায় শেষ প্রান্তে সেট করুন।





প্রায় একই পদ্ধতিতে ছুরি ধরার নিয়মটি রপ্ত করুন। এক্ষেত্রে তর্জনীটি ছুরির হাতলের শেষ প্রান্তের এক-দেড় ইঞ্চি উপরে ধরুন।





এবার কাঁটা চামচ দিয়ে খাবারটি চেপে ধরে ছুরি দিয়ে কেটে নিন।





এবার কাঁটা চামচ দিয়ে খাবারটি গেঁথে নিন।



চামচের সামনের অংশ (অবতল) আপনার দিকে মুখ করে খাবারটি মুখে চালান করুন।





খাওয়া শেষ হলে কাঁটা চামচ ও ছুরি ছবির মতো করে প্লেটে সাজিয়ে রাখুন।





কয়েকদিন চর্চা করুন। দেখবেন আপনি স্বাচ্ছন্দে কাঁটা চামচ ও ছুরি ব্যবহার করে খাবার খেতে পারছেন।

আর একটি ব্যপার। ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই কাঁটা চামচ ও ছুরি ব্যবহার করবেন। অন্যভাবে কাঁটা চামচ ও ছুরি ব্যবহার করে আপনি হয়ত খাবার খেতে পারবেন। কিন্তু বিষয়টি অভদ্র আচরন হিসেবে গন্য হবে।



মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২

এম আর ইকবাল বলেছেন: চলতে থাকুক । + + +

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

এম এম ইসলাম বলেছেন: আশা করছি চালিয়ে যাব। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩২

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: পোষ্টের বিষয়বস্তু মজার।তবে পিএটিসির এসব ট্রেনিং বহু জনের কাজে আসেনি বলেও দেখেছি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৬

এম এম ইসলাম বলেছেন: আমার পূর্বের স্টেশনে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি(তৎকালীন বিডিআর) এর ডিনারে মাঝে মাঝে দাওয়াত পেতাম। সেখানে খাবারে চামচ-ছুরি ব্যবহারের প্রচলন। আবার বর্তমান স্টেশনে ইউএনডিপি, এফএও, ড্যানিডাসহ আরো কিছু সংস্থার ডিনারে আমিন্ত্রন পাই। সেখানেও একই কালচার। আমি এখনো ছোট অফিসার। যতো বড় হব এসব ডিনারের আমন্ত্রনও বাড়তে থাকবে।তাছাড়া ভবিসষ্যতে নিশ্চয় বিদেশ সফর থাকবে। তখনো কিন্তু চামচ-ছুরির ব্যবহার প্রয়োজন হবে।
পিএটিসির এসব ট্রেনিং যাদের কাজে আসেনি আগামীতে কোন না কোন সময় অবশ্যয় কাজে আসবে।
আর হা সাধারভাবে চিন্তা করুন। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলেও কিন্তু আমাদের চামচ-ছুরির ব্যবহার প্রয়োজন হয়। সেখানে খেয়াল করলেই দেখবেন অনেকে হাস্যকরভাবে ছুরি-চামচ ব্যবহার করছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

রবিনহুড বলেছেন:
আরো কয়েকটি নিয়ম রয়ে গেছে,

যেমনঃ খাবার কাটার সময় খাবারের টুকরো গুলো যথা সম্ভব মাঝারী সাইজের করে কাটতে হবে। যাতে আপনার মুখে খুব সহজেই দেয়া যায়। খাবার ভেদে টুকরা গুলো (যেমন একটি মুরগীর মাংশের টুকরা) একটা চকলেটের সমান পিস করা উচিৎ।

আর খাবার মুখে দেবার সময় মুখ বড় করে হা করবেন না, যথা সম্ভব ছোট করে হা করে খাবারটি মুখে দিন।

রাইস মুখে দেবার সময়ও একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

আর খাবার চিবানোর সময় যাতে মুখে শব্দ না হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন।

খাবার চিবানের সময় মুখ যাতে হা হয়ে ভেতরের খাবার দেখা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

পানি বা কোল্ড ড্রিংক্সস খাবারের সময় যথা সম্ভব ছোট ছোট করে পান করুন। বড় করে মুখ হা করে বেশী পানিও মুখে ঢালবেন না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

এম এম ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি একটি ধারাবাহিক পর্ব লেখছি। বিষয়গুলো কোন না কোন পর্বে চলে আসবে। আশা করি সাথে থাকবেন।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

নিঃসঙ্গ পথিক.. বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট শুরু করেছেন। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব ব্যস্ত থাকি। সপ্তাহে অন্তঃত একটি পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি ভেবেছি আপনি সাইদীর কথা বলছেন =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

এম এম ইসলাম বলেছেন: স্বর্ণা আপা এসব কি বলেন?
যা বলছেন তো বলছেন।ভালো আছেন তো? অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম। আমার ব্লগ জীবনে আপনিই ছিলেন প্রথম মন্তব্য প্রদানকারী।
ভাল থাকবেন।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

শান্তা273 বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

বিডি আইডল বলেছেন: আর এইসব কিছুতেই রপ্ত না হলে সোজা হাতে চালান করে দিন


বহু ধরণের খাবারই আছে যেগুলো ছুরি-ফর্ক ব্যবহার করে খেতে পারবেন না (যেমন কাটাওয়ালাঁ মাছ, মুরগির হাড়ওয়ালা মাংস ইত্যাদি)।

মোটামুটি ভব্যতা বজায় রেখে খেলে কেউ তেমন কিছুই মনে করে না

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩০

এম এম ইসলাম বলেছেন: প্রথমেই বলেছিলাম বাঙ্গালির সরাসরি হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার মতো মজা আর কিছুতেই নেই।
তবে মনে রাখবেন যে পরিবেশে আপনাকে ছুরি-ফর্ক ব্যবহার করতে হবে সেখানে ছুরি-ফর্কের উপযোগী মাছ, মাংশ দেওয়া হবে।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১

জিললুর রহমান বলেছেন: বাম হাতে তো খায় শয়তানে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩২

এম এম ইসলাম বলেছেন: শয়তান আবার খায় নাকি? কি খায়?

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: আমার হাতই ভাল, ঝামেলা কম ;) ;)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

এম এম ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। খেয়েও আরাম পাওয়া যায়। তাছাড়া চামচ দিয়ে ডাল-ভাত -তরকারী ঠিক মতো মেখে খাওয়া যায় না।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪

অতিক্ষুদ্র বলেছেন: আপনি যে পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন তা ব্রিটিশ পদ্ধতি । আমেরিকানটি এর উল্টো ।

আপনি যদি এরকম পরিবেশে কাটাচামচ ছুরি ব্যবহার না করে হাত ব্যবহার করেন, তাতে এটিকেটের /প্রোটকল-এর কোন ব্যতিক্রম হবে না – শুধু হাতও ব্যবহার করতে পারেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বাপ্রে, নিয়ম কানুন দেইখা ডরাইসি! :-*

তয় নিয়ম জানানোর জন্যে আপ্নেরে ধইন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

এম এম ইসলাম বলেছেন: নিয়ম কানুনের আর দেখলেন কি? অপেক্ষা করুন দেখবেন নিয়ম কানুন কারে কয়?

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫

কালবেলার অকাল ভাবনা বলেছেন: ভাই বিডি আইডল, কাটাওয়ালা মাছ হাড় ওয়ালা মুরগীর মাংস সবই কাটা চামচ ছুরি দিয়ে খাওয়া শুধু সম্ভবই না আরামও বটে।
একবার চর্চা করে দেখেন

ভব্যতা কি? যেখানে যে রীতি সেই রীতি মোতাবেক চলা হলো ভব্যতা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অথবা উচ্চমানের কোন সভা-সেমিনার এ সবাই চামচ-ছুরি ব্যবহার করছে, সেখানে আপনি কি করবেন???

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

এম এম ইসলাম বলেছেন: বিডি আইডল সম্ভবত মলা, ঢেলা, ফলি, ফাইস্যা জাতীয় মাছের কথা বলছে।যে পরিবেশে ছুরি-ফর্ক ব্যবহার করতে হয় সেখানে ছুরি-ফর্কের উপযোগী মাছ, মাংশ দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অথবা উচ্চমানের কোন সভা-সেমিনার এ সবাই চামচ-ছুরি ব্যবহার করছে, সেখানে আপনি কি করবেন???
আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত।
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০

বিডি আইডল বলেছেন: ভাই আপ্নে কয়টা আর্ন্তজাতিক সভা-সেমিনারে খানাপিনা করছেন অধমরে একটু জানাইতে পারবেন?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

এম এম ইসলাম বলেছেন: ভাই আমি খুব ছোট মাপের মানুষ।আপনার কথায় একটু হোচট খেলাম।আর্ন্তজাতিক সভা-সেমিনারে খানাপিনার প্রশ্ন আসছে কেন? আমি কি এমন কথা বলেছি?

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

নতুন বলেছেন: ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবেই কাঁটা চামচ ও ছুরি ব্যবহার করবেন। অন্যভাবে কাঁটা চামচ ও ছুরি ব্যবহার করে আপনি হয়ত খাবার খেতে পারবেন। কিন্তু বিষয়টি অভদ্র আচরন হিসেবে গন্য হবে।

কাটা চামচ দিয়া না খাইলে অভদ্রতা হয় না... যে লোক প্রথম প্রথম চামচদিয়া খাবে তার একটু অসুবিধা হবে... সেটা কে অভদ্রতা বলা কি ঠিক?

আবার খেতে বসে অসংখ্য ফরমাল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় যা আমাদের অনেকেরই অজানা।

আর উপরের ছবিতে যেই ভাবে চামচ ধরেছে সেই ভাবেই ধরতে সুবিধা...

কিন্তু টেবিল ম্যান্যার বইলা যদি নিয়ম বানাইয়া ফেলে তাইলে তো সমস্যা...
খাবার টেবিলে আপনার মতন কইরাই খাবেন... এতো নিয়ম মাইনতে গেলে খাবার মজা থাকে না... সেটা সুধুই ফরমালিটি... হয়..

আমার ৫তারা হুটেলের কামলায় এতো নিয়ম কাউকে মাইনা খাইতে দেখি নাই... ( খাওয়াটা উপভোগ করার জন্যই ... নিয়ম মাইনা... চকলেটের আকারের টুকরা...আমি কতবড় হা করলাম এই গুলান নিয়া চিন্তা করলে খাবার উপভোগ কখন করবেন.. )

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭

এম এম ইসলাম বলেছেন: খাবার টেবিলে আপনার মতন কইরাই খাবেন... এতো নিয়ম মাইনতে গেলে খাবার মজা থাকে না... সেটা সুধুই ফরমালিটি... হয়..
আমি আপনার সাথে একমত।
তবে কি করবেন? যেখানে যে নিয়ম এডজাস্ট করতে না পারলে আপনারই সমস্যা। আর একটি ব্যপার। কষ্ট করে বিষয়গুলো একবার রপ্ত করে ফেললে তখন কিন্তু এসব ফরমালিটি মানা তেমন কষ্টকর নয়।

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

নেংটি ইদুর বলেছেন: এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি ভেবেছি আপনি সাইদীর কথা বলছেন =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

ইয়া মাবুদ!! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

এম এম ইসলাম বলেছেন: ইয়া মাবুদ!

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭

জিললুর রহমান বলেছেন: “When any one of you eats, let him eat with his right hand, and when he drinks, let him drink with his right hand, because the Shaytaan eats with his left hand and drinks with his left hand.”

Shahih Muslim: Hadith No : 3764

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

এম এম ইসলাম বলেছেন: ভাই আমার পূর্বের জবাবের জন্য দুঃখিত। কোরআন- হাদিস বিষয়ে কোন ঠাট্টা মশকরা চলেনা।
খাবার ছুরি দিয়ে কাটার পর ছুরিটি প্লেটে রাখুন এবং কাঁটা চামচটি ডান হাতে নিন। এবার ডান হাতেই খাবার গ্রহন করুণ। পরের কোন পর্বে বিষয়টি আবার আসবে।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

হেডস্যার বলেছেন: শিখতেছি....চালাইয়া যান। :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

এম এম ইসলাম বলেছেন: বলেন কি? হেডস্যার শিখতেছে !
ধন্যবাদ। আশা করছি সাথে থাকবেন।

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

আনমনে বলেছেন: ভালো লাগলো

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ফর্ক/ছুরি ব্যবহার করতে না জানা টা কেন অভদ্রতা হবে? যে দেশের যে রীতি সেই অনুযায়ী খাওয়াটাই তো স্বাভাবিক হওয়ার কথা। আমার মতে যে যেভাবে খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাকে সেভাবে খেতে দেওয়া উচিত। কেউ যদি ফর্ক/ছুরি দিয়ে খেতে পারছেন না বলে আপনাকে তাচ্ছিল্য করে তাহলে তাকেও আপনি উল্টে বলতে পারেন যে সে কেন আপনার মত হাত দিয়ে খেতে পারছে না।

বিভিন্ন দেশের অনেক বন্ধু যাদের সাথে ফর্মাল সম্পর্ক নয় তাদের সাথে আমি মজা করতাম এই বলে যে তারা হাত দিয়ে খেতে পারে না কারণ তাদের মোটর স্কিল ভাল না......তারাও স্বীকার করেছে যে হাত দিয়ে খাচ্ছি অথছ আঙ্গুলের ফাঁক গলে খাবার পড়ে যাচ্ছে না এইটা বড়ই কঠিন শিল্প। প্রচুর বিদেশী কে আমি কাঁটাযুক্ত মাছ খাবার সময় ছুরি চামচ সরিয়ে রেখে হাত দিয়ে খেতে দেখেছি।

কোন একটা পরিবেশ নিজের অনূকুলে নিয়ে আসা নির্ভর করে আপনার পার্সোনালিটির উপর। আশা করব, এই ব্লগের কেউ অন্য কাউকে চামচ/ছুরি ঠিকমত ব্যবহার করতে জানে না বলে তাচ্ছিল্য করবে না। কোন বাঙালী ভাইবোন এখন থেকে হীনমন্যতায় ভুগবে না যদি সে দেখে সবাই চামচ ব্যবহার করে খাচ্ছে কিন্তু সে পারছেনা। যেটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেভাবেই খেতে থাকুন।

নিজে পরিবেশ কে কন্ট্রোল করুন, পরিবেশ যেন আপনাকে কন্ট্রোল করতে না পারে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯

এম এম ইসলাম বলেছেন: ফর্ক/ছুরি ব্যবহার করতে না জানা টা কেন অভদ্রতা হবে? যে দেশের যে রীতি সেই অনুযায়ী খাওয়াটাই তো স্বাভাবিক হওয়ার কথা।
আপনার সাথে আমিও একমত। আমি বলছি বিশেষ পরিবেশ ও পরিস্থিতির কথা। হয়তো আমাদের অনেককেই এমন পরিস্থিতিতে কখনো পরতে হয় না।
বেশকিছুদিন আগে ইউএস এইড অর্থায়নে পরিচালিত আইপেক এর ৩ দিনের এক কর্মশালায় শ্রিমঙ্গলে গিয়েছিলাম। কর্মশালায় পশ্চিমা দেশের কয়েকজন অংশগ্রহনকারী ছিলেন। একদিন দুপুরে লাউয়াছড়ায় লাঞ্চ করলাম। ডাইনিং টেবিল নেই। প্লেট হাতে নিয়ে খাচ্ছিলাম। ওই পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে সবাই খালি হাতে খাচ্ছিলাম। এমনকি বিদেশিরাও। রাতের ডিনারে পরিস্থিতি বদলে গেল। টি রিসর্টের ডাইনিং এ সবাই ছুরি চামচ ব্যবহার করছে। এই বান্দা তখন বাঙ্গালীর কালচার হাতের ব্যবহার করলে কেমন হতো?
বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা, বাস্তবতা ও গুরুত্ব উপলব্দি করে বিসিএস উত্তীর্ন সকল কর্মকর্তার জন্য পিএটিসি তে আয়োজিত চার মাসের ফাউন্ডেশন কোর্সে এ বিষয়ে ক্লাস রাখা হয়েছে ও উক্ত চার মাসে খাবার সময় ছুরি চামচ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আমাদের দেশে বিভিন্ন পেশাজীবির অনেককেই( হয়তো সবার নয়) অনেক সময়ই এমন পরিবেশ ও পরিস্থিতে পরতে হয়। এক্ষেত্রে পরিবেশ কন্ট্রোল করা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়।
মনে রাখবেন সবাই গান্ধিজি নয়। তিনি যে ড্রেস পড়ে ভাইসরয়, বিভিন্ন দেশের রাস্টদূত, রাজা-রানী, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করতেন তা করার সাহস কিংবা মনেরজোর ভারত উপমহাদেশের আর কোন নেতা দেখাননি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই খুবই ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে।

আচ্ছা একটা কথা, ছবিতে কাটা চামচ দিয়ে খেতে দেখা যাচ্ছে। আমি জীবনে বহুজনকে ছবির মতই খেতে দেখেছি। কিন্তু তারা বাম হাত দিয়ে খায়। কাটা চামচ ডান হাতে নিয়ে ছবির মতো করে খেলে কি সেটা টেবিল ম্যানারকে নষ্ট করে নাকি?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

এম এম ইসলাম বলেছেন: এ বিষয়ে দুটি নিয়ম রয়েছে। প্রথমত বাম হাতে কাঁটা চামচের সাহায্যে শক্ত খাবার চেপে ধরে ডান হাতে ছুরির সাহায্যে খাবার কাটবেন। তারপর বাম হাতে কাটাঁ চামচ দিয়ে খাবার মুখে দিবেন। দ্বিতীয় নিয়মটি হলো পূর্বের মতো বাম হাতে খাবার চেপে ধরে ডান হাতে খাবারটি ছোট ছোট পিছ করবেন। তারপর ছুরিটি প্লেটে নির্দিষ্ট পজিশনে রেখে রেখে কাটাঁ চামচটি ডান হাতে নিবেন । এবার ডান হাত দিয়ে নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন। পরবর্তী পর্বগুলোতে এ বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আসবে।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২

ডাব্বা বলেছেন: ভদ্র অভদ্রতার ব্যাপার না, যেভাবে সবাই এটাকেই মুখ্য ধরে বসেছেন। এটা একটা সংস্কৃতি। স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করে দেখুন অত সমালোচনার দৃস্টি না ফেলে। অফিসিয়াল পার্টিতে তো এটাই সংস্কৃতি। সেখানেই যান।

জাপানে ছিলাম দিন পনের, চায়নাতে দেড় মাস। সবখানেই দেখলাম চপস্টিক এর পাশাপাশি ফর্ক/কাঁটাচামচ ও দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকায় রেস্টুরেন্ট এ বসে নিজের হাতে খান, কেউ না তো করবে না।

কিন্তু অফিসিয়াল কোন অনুস্ঠানে গিয়ে যদি কব্জী ডুবিয়ে খেতে শুরু করে দেন। গাড়ল ভাব্‌বে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

এম এম ইসলাম বলেছেন: সহমত।

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

আন্ধার রাত বলেছেন: একটুখানি জানতাম, আরো জানলাম। এই একটুখানি দিয়েই অনেক পার্টী সামলেছি।

আপনার লেখা পড়তে পড়তে আরো বেশখানি জানবো সেই আশায় রইলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

এম এম ইসলাম বলেছেন: চেষ্টা করব আপনার প্রত্যাশা পূরনে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

টেকনিসিয়ান বলেছেন: প্রায় দুই যুগ পূর্বে চট্টগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরিতে এ সংক্রান্ত বই খুজেছিলাম এবং পেয়েও গিয়েছিলাম ইংরেজী ভার্সনএ, তখন সদস্য না হওয়ার দরুন বইটির কোন অংশ কপি করতে পারিনি এরপর এ যুগেতো নেটই ভরসা।


যাক্ বাংলা ভার্সনএ এ সংক্রান্ত আবারো বিস্তারিত জানতে পেরে অনেক অনেক ভাল লাগছে।

সবার জন্য কাজের পোস্টে ++++++ এবং ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭

খায়ালামু বলেছেন: +

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭

এম এম ইসলাম বলেছেন: মাত্র একটা?
ওকে ধন্যবাদ।

২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

তন্ময়০১৩ বলেছেন: আমিতো ভাবছি মেশিন ম্যান রে নিয়া পোস্টাইছেন !! :P :P :P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

এম এম ইসলাম বলেছেন: হতাশ হলেন নাকি?

২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: ++++++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২

একা স্বপ্নীল পথিক বলেছেন: অফটপিক, ভাইয়া মনে হয় বিসিএস এডমিন ক্যাডার, তাই না? আচ্ছা, আপনাদের এই ট্রেনিংগুলো কি ফরেন/ইকোনোমইক ইত্যাদি ক্যাডারেও দেয়া হয়?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৮

এম এম ইসলাম বলেছেন: আমি বিসিএস মৎস্য ক্যাডার। শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্যাডার ব্যতিত প্রায় সকল ক্যাডারদেরই পিএটিসিতে এক সাথে ফাউন্ডেশন কোর্স হয়। সেখানে এসোব শেখানো হয়। তবে এতো খুটিনাটি কিন্তু শেখানো হয় না।

২৮| ২৮ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

বাবুই পািখ বলেছেন: কাজের পোস্ট।

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

এম এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.