নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন মেলা

জীবন মেলা

আমি খুব বুদ্ধিমান। আসলে কি তাই ?

জীবন মেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈশাখী পোস্ট

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

চলছে বৈশাখ, বাঙ্গালীর প্রানের উতসব!!! আমার কাছে বরাবরই এই বৈশাখ উদযাপনকে ন্যকামী বলে মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে ও তাই বিবেচিত হবে। বছর জুড়ে খবর নেই, পান্তা ইলিশ খেয়ে, এসো হে বৈশাখ বলে চিৎকার করে, রাতভর কন্সার্টে মেলায় যাইরে গান শুনে-একদিনেই পুরা বাঙ্গালী!! গর্বিত বাঙ্গালী!!! ন্যাকামীর আর জায়গা নেই।
গর্বিত বাঙ্গালীর কথা বলায় মীঠুন চক্রবর্তী অভিনীত আমি সুভাষ বলছি ছবির কথা মনে পড়ে গেল। ছবিতে একটি পর্যায়ে দেখা যায়, মীঠুন চক্রবর্তী বার বার বুক চেপে নিজেকে গর্বীত বাঙ্গালী বলে পরিচ দিচ্ছে। আর গর্বিত বাঙ্গালীর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করা বারখার সেইরকম ড্রেস আপ(টাইট ফি্টিং টি শার্ট আর জিন্স) আমাকে সেই ন্যাকামীর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
কোত্থেকে এল এই বৈশাখ, কোন ধর্মের সংস্কৃতি এই বৈশাখ,এঈটা জানার জন্য এখন আর পি। এইচ। ডি করা লাগে না। নিজের সচেতন মনকে একবার প্রশ্ন করুন- কি করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কোন সংস্কৃতিকে আলিঙ্গন করছেন, উত্তর পেয়ে যাবেন।
হিন্দুরা প্রথমত হিন্দু তারপরে বাঙ্গালী। হিন্দুদের ধর্মের সাথে, সংস্কৃতির সাথে বৈশাখী উতসবের বেশ মিল আছে, তারা নিজেদের ধর্মের সাথে উতসবটাকে সেইভাবে মানান সই করে নিয়েছে এবং সেইভাবে তা উদযাপ করছে। এতে দোষের কিছু নেই।বরং স্বাধীন এই দেশে তারা তা করছে বলে আমার কাছে আনন্দই লাগে। আপনি মুসলমান হয়ে কেন সেই রীতিতে গা ভাসাবেন।আপনি প্রথমত মুসলিম, তারপরে বাঙ্গালী। তাই আপনার উতসব পালনেও সেই ছোঁয়া থাকতে হবে।
ইদানীং আবার রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রচার করা হয় ধর্ম যার যার উতসব সবার। ফেসবুকে সেদিন একটা মজার ক্যাপশান দেখলাম এইরকরম-“ ধর্ম যার যার উতসব সবার, হিন্দু বন্ধুদের সাথে হলি খেললেন খুবই ভাল কথা, দেখি সামনের ঈদের নামাজে কোন হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে আসতে পারেন কিনা।”
এই লেখা পড়ার পর কেউ কেউ আমাকে ধর্মান্ধ-গোড়া বলে গালি দিতে শুরু করেছেন, দিতেই পারেন স্বাধীন দেশের বাক-স্বাধীনওয়ালা নাগরিক বলে কথা।
হায় হায় আমি এসব কি বলছি, কি লিখছি, আমার বিরদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার মামলা হয়ে যেতে পারে, হে আল্লাহ আমাকে রক্ষা কর, ও স্যরি ভগবান আমাকে রক্ষা কর।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

গোপাল বলেছেন: ভাই জান,উতসবের কোনো জাত নাই। সমরাট আকবর এর আমল থেকে এর সুরু। এর মাঝে হিনদু / মুসলিম আনেন কেনো.। বাংগালি তো হিনদু মুসলিম মিলয়ে তাই না? একটা সারবোজনিন উতসবকে ধারমিয় লেবাস না পারানই সমোচিত। আসুন সাবাই মিলে উতসাবটা পালন কারি।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

জীবন মেলা বলেছেন: বৈশাখ সর্বজনীন, পূজা সর্বজনীন...।আমরা মুসলমানেরা বৈশাখে যাই, পূজাতে যাই, মাথায় সিঁধুর পরি, ডাক বাজাই-ডোল বাজাই। শুধু ঈদই সর্বজনীন হতে পারলোনা, আপনারা টুপি পরলেন না, ঈদের নামাজ পড়লে না। আর স্মপ্রদায়ীক বলে গালী দেন আমাদের। আবার সেই ন্যাকামীর কথা মনে পড়ে যায়

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

গোপাল বলেছেন: apni jene khushi haben kina jani na tabe, tabe sudhu muslim'ra tupi pare na hindu, amonki ihudeera tupi pare, ame EID'r anusthane jai, sudhhu jai na Masjid'a karon namaj ki bhabe parte hay janin na, Abak haoyar kichhu nai janle জেতাম।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ঈদ সর্বজনিন উৎসব হইব কেমনে? তোমাদের মত গোঁড়া মুসলিম গুলা ইসলাম না বুইঝা সারাদিন ব্লগে এটা জায়েজ না ওটা জায়েজ না কইআ ল্যদাইলে কখনই সার্বজনিন ভাত্রিত্ব সম্ভব নয়।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৮

জীবন মেলা বলেছেন: জায়েয নাজায়েয প্রশ্নে আপনাদের এত গা জ্বালা করে কেন, আমার মাথায় আসেনা। যে কোন কিছুই য়াপনাদের বিপক্ষে গেলেই আমরা গোঁড়া, আমরা ল্যদাইলাই ইত্যাদি বলে চেঁচান। আসলে এইটা হল পরাজিতদের ভাষা, কিছু না পেরে একটা কিছু বলে নিজের দেহ ও মনে যে ক্ষত স্রষ্টি হয়েছে তাতে মলম লাগানোর হীন চেষ্টা
বৈ আর কিছু নই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.