![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সহজ মানুষ, ভজে দ্যাখ না রে মন দিব্যজ্ঞ্যানে,পাবি রে অমুল্যনিধি, বর্তমানে, পাবি বর্তমানে।
“যে তরুণ আজ ভোট দিতে যায় না, সে কাল নেতৃত্বের দাবি করতে পারে না।”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন বারবার উঠে আসে। একদিকে রয়েছে আশাবাদের আলো, অন্যদিকে উদাসীনতার ছায়া। এই দ্বন্দ্ব শুধু ভোটকেন্দ্রের উপস্থিতি নয়, বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রশ্ন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তরুণ প্রজন্ম সবসময়ই পরিবর্তনের পথিকৃৎ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উত্তাল রাজপথ থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন, এমনকি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তরুণরা তাদের সাহস, দৃঢ়তা এবং দূরদৃষ্টি দিয়ে জাতির দিক পরিবর্তন করেছে। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’ তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও সম্পৃক্ততার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে, জাতীয় নির্বাচনের মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাদের ভূমিকা কি আশাবাদের প্রতীক, নাকি উদাসীনতার ছায়ায় ঢাকা পড়ছে? এই লেখায় আমরা বাংলাদেশে নির্বাচনে তরুণদের অংশগ্রহণের গতিপ্রকৃতি, এর পেছনের কারণ, সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করব। পাশাপাশি, তরুণদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কার্যকর সমাধানের পথও খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।
তরুণদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তরুণরা সবসময়ই একটি গতিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রকাশ। ছাত্ররা রাজপথে নেমে বাংলা ভাষার মর্যাদার জন্য লড়াই করেছিলেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তরুণ ও ছাত্ররা স্বৈরশাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পতন ঘটিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে, ২০১৮ সালের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ এবং ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’ তরুণদের রাজনৈতিক শক্তির আরেকটি প্রমাণ। এই ঘটনাগুলো দেখায় যে, তরুণরা প্রয়োজনের মুহূর্তে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হতে পারে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ কেন প্রশ্নের মুখে পড়ে?
নির্বাচনে তরুণদের অংশগ্রহণ: বর্তমান চিত্র
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি। প্রতি পাঁচ বছরে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, যারা সংসদে দেশের নীতি-নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। তবে, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে, বিশেষ করে ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে, ভোটার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ছিল মাত্র ৪১.৮%, যা বিতর্কিতভাবে ভোটের শেষ ঘণ্টায় ২৭.১৫% থেকে বেড়ে গিয়েছিল। এই ধরনের তথ্য নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তরুণ ভোটারদের মধ্যে অংশগ্রহণের হারও তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা তাদের উদাসীনতার ইঙ্গিত দেয়। তরুণদের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রবণতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অনেকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করে। প্রথমত, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে সন্দেহ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩টি কেন্দ্রে ভোটের হার শতভাগ ছিল এবং মৃত ব্যক্তিদের নামে ভোট পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ‘ডামি প্রার্থী’ এবং নির্বাচন বর্জনের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সীমিত। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থার অভাব। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। তৃতীয়ত, তরুণদের জন্য রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের অভাব। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল পুরনো নেতাদের উপর নির্ভর করে, যার ফলে তরুণরা মনে করেন তাদের কণ্ঠস্বর রাজনীতিতে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
উদাসীনতার কারণ: কেন তরুণরা পিছিয়ে?
তরুণদের নির্বাচনী উদাসীনতার পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ, যেমন রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলীয় দমননীতি তরুণদের মধ্যে ভয়ের জন্ম দেয়, নেতৃত্বের অভাব ও দুর্নীতির অভিযোগ তরুণদের আস্থা নষ্ট করে, শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনৈতিক সচেতনতার অভাব তরুণদের ভোটের গুরুত্ব বুঝতে দেয় না, সর্বোপরি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ তরুণদের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।
আবার তরুণদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
প্রথমত, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থার ঘাটতি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো সংগঠন একসময় তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও উগ্রবাদের অভিযোগে এর প্রতি আস্থা কমেছে। একইভাবে, ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের মধ্যে সহিংসতা তরুণদের রাজনীতির প্রতি বিরূপ করে তুলেছে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভোট কারচুপি, ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা এবং ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তরুণদের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে।
তৃতীয়ত, তরুণদের জন্য রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের সুযোগ সীমিত। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তরুণদের নেতৃত্বে আনার চেয়ে পুরনো নেতাদের উপর নির্ভর করে। ফলে, তরুণরা মনে করেন তাদের কণ্ঠস্বর রাজনীতিতে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
চতুর্থত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ। বাংলাদেশের তরুণরা কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো বিষয়ে ব্যস্ত থাকেন। ফলে, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ তাদের কাছে প্রায়শই গৌণ হয়ে পড়ে। এছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণায় তরুণদের আগ্রহী করার মতো বিষয় কম থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই পুরনো স্লোগান এবং প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে, যা তরুণদের কাছে আকর্ষণীয় নয়।
তবে, তরুণদের মধ্যে সম্পূর্ণ উদাসীনতার চিত্রটি পুরোপুরি সঠিক নয়। ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’ তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতার একটি শক্তিশালী প্রকাশ। এই আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণরা দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তরুণদের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করছে, জনমত গঠন করছে এবং সরকারের নীতির সমালোচনা করছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, তরুণরা প্রয়োজনের সময় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের ভোট দেওয়ার উৎসাহকে একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন শুধু একটি নিয়মিত ভোট নয়, বরং এটি হবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ। এই বক্তব্য তরুণদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তরুণরা যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন, তবে তাদের স্বপ্ন ও দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় নীতি গঠনে প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তরুণরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, পরিবেশ এবং প্রযুক্তির মতো বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া, তরুণদের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের উত্থানও আশাবাদী চিত্র। ‘জুলাই বিপ্লব’-এর সময় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় এসেছেন। এই নেতৃত্ব যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, তবে তরুণদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে। তরুণদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়তাও একটি ইতিবাচক দিক। ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে তরুণরা রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন, যা তাদের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রমাণ।
আশাবাদের স্ফুরণ: তরুণদের সংখ্যা ও সম্ভাবনা
বাংলাদেশের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক কাঠামোয় তরুণদের অবস্থান যেন এক সম্ভাবনার দিগন্ত। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণরা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ, এটি শুধু সংখ্যার দিক থেকে নয়, চিন্তার, উদ্ভাবনের এবং পরিবর্তনের ক্ষমতার দিক থেকেও এক বিশাল শক্তি। অথচ এই গোষ্ঠীর নির্বাচনী সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক জরিপ ও গবেষণায় দেখা গেছে তরুণদের অনেকেই রাজনীতি সম্পর্কে অপ্রীতিকর ধারণা বহন করছেন। তাঁরা বিশ্বাস হারিয়েছেন, কিংবা বিশ্বাস জন্মায়নি। মূলত দেখা যায় ‘ভোটে কিছুই বদলায় না’ এই ধারণা অনেক তরুণের মাঝে প্রোথিত। অনেকেই রাজনীতিকে দূষিত বা দুর্নীতিপরায়ণ ক্ষেত্র হিসেবে দেখেন, যেখানে নীতির চেয়ে স্বার্থ বড়। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পিছনে থাকা অদৃশ্য শক্তিগুলো তরুণদের মনে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে, তরুণদের একটি বড় অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয়। তাঁরা রাজনৈতিক ইস্যুতে মতপ্রকাশ করছেন, আন্দোলন ও প্রতিবাদে ভার্চুয়াল সমর্থন দিচ্ছেন, অনেক সময় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন। কিন্তু সমস্যা হলো এই সক্রিয়তা অনুপস্থিত মাঠে। ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোট দিতে যান না। একজন সোচ্চার ফেসবুক ইউজার হতে পারে নীরব ভোটার, এটাই আজকের বাস্তবতা।
তরুণরা যদি সঠিকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, তবে তারা হতে পারে নৈতিক ও নতুন নেতৃত্বের বাহক, বাংলাদেশে উদ্ভাবনী নীতিনির্ধারণ শুরু হতে পারে, ভোটদানকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তরুণদের মাঝে রয়েছে সমাজবোধ ও ন্যায়বোধ, যা সঠিক নেতৃত্বের ভিত্তি হতে পারে; প্রযুক্তির জ্ঞান ও উদ্যোক্তা মনোভাব, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে পারে; সংস্কৃতি ও পরিচয়ের মূল্যবোধ, যা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।
তরুণদের এই নির্বাচনী অনাগ্রহকে পরিণত করতে হবে আংশিক অংশগ্রহণ থেকে পূর্ণ সক্রিয়তায়। তার জন্য চাই নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ, নাগরিক শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা, এবং তরুণদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা।
আশাবাদের দিক: পরিবর্তনের ইঙ্গিত
তবুও আশার আলো নিভে যায়নি। বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী বিষয়ে অনাগ্রহ বা সংশয় থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের পরিবর্তনগুলো আমাদের আশাবাদী করে তোলে। কারণ এই পরিবর্তনগুলো শুধু উত্থান বা প্রতিবাদ নয়, এগুলি হয়ে উঠছে আত্মনির্মাণের ইঙ্গিত, নেতৃত্বের খোঁজ এবং রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের স্ফুলিঙ্গ।
বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলন (যেমন কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন) প্রমাণ করে যে তরুণরা রাজনৈতিক বিষয়ের প্রতি উদাসীন নয়, বরং তারা সচেতন, চিন্তাশীল এবং সংগঠিত প্রতিবাদের সক্ষমতায় পরিপূর্ণ। এসব আন্দোলনে তরুণদের সক্রিয়তা দেখিয়েছে তারা শুধু নীতির বিরোধিতা করে না, বরং নীতির পুনর্গঠন দাবি করে; তারা রাজনীতির মৌলিক বিষয়, যেমন ন্যায়বিচার, অংশগ্রহণ, এবং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা নিয়ে সরব; এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনগণের সচেতনতা তৈরি করে। এই আন্দোলনগুলো তরুণ সমাজের অন্তর্নিহিত নেতৃত্বের তাগিদকে জাগ্রত করেছে।
গত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু তরুণ প্রথাগত রাজনৈতিক দলের বাইরে নতুন সংগঠনে যুক্ত হচ্ছেন, যেগুলো হয়তো ছোট, কিন্তু বেশি চেতনা-নির্ভর। তরুণরা এখন নিজের মতবাদ, আদর্শ ও স্বপ্নকে প্রতিফলনের জন্য নতুন সংগঠন গড়ে তুলছেন, যেখানে দলীয় আনুগত্যের পরিবর্তে মূল্যবোধ-ভিত্তিক রাজনীতি প্রাধান্য পায়, পুরনো নেতৃত্বের ছায়ায় নয়, বরং আত্মনির্ভর চিন্তায় পথ গড়ে। এটি প্রমাণ করে, তরুণরা এখন সততা, স্বচ্ছতা, এবং মানবিক নেতৃত্বের খোঁজে আছেন, এবং তারা চাইছেন এমন একটি ভবিষ্যৎ যেখানে তারা না শুধু অনুসরণ করবে, বরং নেতৃত্বও দেবে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স, তরুণদের রাজনৈতিক চিন্তার প্রকাশভূমি হয়ে উঠেছে। সেখানে তারা বিভিন্ন নীতি, সিদ্ধান্ত ও ঘটনা নিয়ে মতামত, বিশ্লেষণ ও সমালোচনা করছেন; রাজনৈতিক বিতর্কে যুক্ত হচ্ছেন লাইভ সেশনের মাধ্যমে, পোস্টের মাধ্যমে, এমনকি মিম ও গল্পের আকারে; যেখানে তরুণদের আদর্শগত চিন্তা ও নৈতিক অবস্থানগুলো এখন উন্মুক্তভাবে আলোচিত হচ্ছে। এই ডিজিটাল সংলাপ একটি গণতান্ত্রিক বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যেখানে অনেকে পেশাদার রাজনীতিবিদ না হয়েও চিন্তা ও প্রভাবের জায়গা দখল করছেন।
তরুণরা এখন উদাসীন নয়, তারা নতুন পথের সন্ধানী। এই সব পরিবর্তন একসঙ্গে বলছে, তরুণরা শুধু পরিত্যাগ করছে না, তারা পুনর্নির্মাণ করছে। তারা ভোট দেয় না বলে উদাসীন নয়; বরং তারা নতুন ধরনের অংশগ্রহণ খুঁজছে, যেখানে নীতিহীন রাজনীতির বাইরে থেকে মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও চেতনার জায়গা বানাতে চায়। তরুণরা হয়তো পুরনো কাঠামোয় নিজেদের দেখতে পায় না, কিন্তু তারা এক নতুন কাঠামো নির্মাণে প্রস্তুত।
নির্বাচন: তরুণদের জন্য প্রাসঙ্গিকতা ও ভবিষ্যতের দিশা
নির্বাচন মানে শুধু ভোট নয়, ভোটদান মানে একটি অধিকার, দায়িত্ব ও আত্মনির্মাণ, এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা। তরুণরা যদি ভোট না দেয়, তাহলে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে। আর বাদ পড়া মানেই নিজের ভবিষ্যৎ অন্যের হাতে তুলে দেওয়া।
নির্বাচনকে যদি শুধু একটি ভোটদানের কর্মসূচি হিসেবে দেখা হয়, তাহলে তার তাৎপর্য সীমিত হয়ে পড়ে। কিন্তু গভীরতর বিশ্লেষণে নির্বাচন আসলে একটি সমাজবদলের সুযোগ, একটি চুক্তিপত্র, যেখানে তরুণদের কণ্ঠ, চিন্তা ও স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটতে পারে। এটি একটি ভবিষ্যৎ-নির্মাণের প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রত্যেকে অংশ নিলে সমাজে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
তরুণদের ভোট না দেওয়াকে অনেক সময় আপাত উদাসীনতা বা ক্ষোভের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এতে তারা রাজনৈতিক পরিকাঠামো থেকে শুধু দূরে নয়, বরং তাদের ভবিষ্যৎ, স্বপ্ন, এবং সমাজে প্রভাব ফেলার অধিকারও অন্য কারও হাতে তুলে দেয়। ভোটের মাধ্যমে তরুণরা নিজেদের নৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে, একটি চেতনায় উদ্বুদ্ধ নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে, সমাজের জন্য দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গির স্বাক্ষর রেখে যায়। এই দায়িত্ব গ্রহণই তরুণদের নাগরিকত্বকে সম্পূর্ণ করে।
নির্বাচনে তরুণদের অংশগ্রহণ মানে শুধু সংখ্যা নয়, এটি নতুন চিন্তা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসের অন্তর্ভুক্তি। তরুণরা যখন সক্রিয় হয় তারা প্রথাগত রাজনীতির বাইরে মানবিক ও মূল্যবোধনির্ভর নেতৃত্ব চায়। তারা নেতার কাছে তাত্ত্বিক প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবিক কার্যক্রম দাবি করে। অনেক তরুণ নিজেই নেতৃত্বের পথে পা বাড়ায়, প্রমাণ করে, অভিজ্ঞতা নয়, স্বচ্ছতা ও সাহস নেতৃত্বের ভিত্তি হতে পারে।
যেকোনো নীতিনির্ধারণে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু প্রয়োজনীয় নয়, এটি সময়ের দাবি। তরুণরা যখন সরকারের সিদ্ধান্ত, শিক্ষা নীতি, প্রযুক্তি ব্যবহার, পরিবেশ বিষয়ক পরিকল্পনায় স্বপ্ন ও চিন্তা প্রকাশ করে, তখন সেসব নীতির গতি ও গভীরতা বৃদ্ধি পায়। তরুণদের কণ্ঠ মানে প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির উন্মেষ, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি শক্তিশালী করা, ভবিষ্যৎমুখী পরিকল্পনায় বাস্তববাদিতা যোগ করা।
নির্বাচন এমন একটি পরিসর, যেখানে বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, এবং সাম্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া যায়। তরুণরা, বিশেষ করে যারা সমাজে নানা বৈষম্যের শিকার, ভোটের মাধ্যমে এই অবিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। তারা চাইতে পারে লিঙ্গ, ধর্ম, শ্রেণিভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণ; প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সমঅধিকারের দাবি, এবং অবহেলিত অঞ্চলে উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। এভাবে নির্বাচন হয়ে ওঠে একটি সামাজিক বিবেকের প্রতিফলন।
বর্তমান বিশ্বের নেতৃত্ব যদি উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে দক্ষ না হয়, তাহলে একটি দেশ পিছিয়ে পড়ে। তরুণরাই সেই উদ্ভাবনী শক্তির উৎস, যাদের কাছে আছে টেকসই উন্নয়নের চিন্তা, নতুন প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা, ডেটা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ন্যায্যতা সংরক্ষণের জ্ঞান। তাদের অংশগ্রহণ মানে একটি ভবিষ্যৎ-বান্ধব নেতৃত্বের সম্ভাবনা, যেখানে জ্ঞান, নৈতিকতা ও আধুনিকতা একত্রিত হয়।
সমাধানের পথ: তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানো
কীভাবে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের যেতে হবে নীতিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরে, যেখানে থাকবে শিক্ষা ব্যবস্থায় নাগরিক সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত করা, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তরুণদের জন্য রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ও নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া।
তরুণদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে কিছু কার্যকর পদক্ষেপও নেওয়া জরুরি।
প্রথমত, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া পুনর্বহাল করা হলে ভোটারদের, বিশেষ করে তরুণদের, আস্থা ফিরে আসতে পারে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।
দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণদের জন্য বেশি সুযোগ তৈরি করতে হবে। তরুণ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া এবং তাদের নীতি-নির্ধারণে সম্পৃক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, তরুণদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা বা আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তৃতীয়ত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তরুণদের ভোটার শিক্ষা ও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে। তরুণদের আগ্রহী করতে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহার, যেমন অনলাইন ভোটার নিবন্ধন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), এবং ডিজিটাল প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চতুর্থত, তরুণদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কর্মশালা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা যেতে পারে। জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তরুণদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে। এছাড়া, স্থানীয় পর্যায়ে তরুণদের জন্য রাজনৈতিক ফোরাম গঠন করা যেতে পারে, যেখানে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।
পঞ্চমত, রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণদের আগ্রহী করার জন্য তাদের প্রচারণায় নতুনত্ব আনতে হবে। তরুণদের আগ্রহের বিষয়, যেমন পরিবেশ, প্রযুক্তি, শিক্ষা, এবং কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা বা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মতো বিষয় তরুণদের আকর্ষণ করতে পারে।
শেষ কথা: আশাবাদী না হলে পরিবর্তন অসম্ভব
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদ এবং উদাসীনতা দুটোই বিদ্যমান। যদিও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থার ঘাটতি এবং তরুণদের জন্য প্রতিনিধিত্বের সুযোগের অভাব তাদের উদাসীন করে তুলেছে, তবুও ‘জুলাই বিপ্লব’-এর মতো ঘটনা তাদের সম্ভাবনার প্রমাণ দেয়। তরুণদের স্বপ্ন ও দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কার, তরুণদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো এবং প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। তরুণরা যদি বিশ্বাস করেন যে তাদের ভোট পরিবর্তন আনতে পারে, তবে তারা নির্বাচনকে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। এই আশাবাদের আলোতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে যেতে পারে। তরুণদের হাতে রয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ, এবং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে বাংলাদেশকে একটি সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
বাংলাদেশের তরুণরা যদি উদাসীন থাকে, তাহলে গণতন্ত্র দুর্বল হবে। কিন্তু যদি তারা আশাবাদী হয়, নেতৃত্ব নেয়, এবং অংশগ্রহণ করে, তাহলে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। তরুণদের কণ্ঠই হতে পারে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুর। এই আলোচনার আলোকে, তরুণদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা হতে পারে: “ভবিষ্যৎের জন্য অপেক্ষা না করে তোমরাই হয়ে ওঠো ভবিষ্যৎ নির্মাতা। ভোট দাও, কণ্ঠ তোলো, নেতৃত্ব গড়ো।”
“ভোটের কাগজে যদি তরুণের স্বপ্ন লেখা থাকে, তবে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।”
৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ডা. মোহাম্মদ মোমিনুজ্জামান খান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। এখনই সময় পরিবর্তনের সূচনা করার।
আর পরিবারতন্ত্রের অভিশাপ পরিবর্তনেরও সেরা সুযোগ এখনই। এ বিষয়ে এই লেখাটাও পড়ে দেখতে পারেন: somewhereinblog.net/blog/mmkm13blog/30378295 (বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র: গণতন্ত্রের গলায় ফাঁস, জনগণের কপালে ভাঁজ)
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তরুণ পলিটিশিয়ান দের পলিটিক্স কে পেশা হিসাবে নেয়া যাবে ।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: না *
৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ডা. মোহাম্মদ মোমিনুজ্জামান খান বলেছেন: সহমত। রাজনীতিকে পেশা নয়, প্যাশন হিসেবে নেয়া উচিত।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তরুণ-বৃদ্ধ সবার মধ্যেই নীতি-নৈতিকতা নেই। তরুণদের অংশগ্রহণ আশার আলো আনবে না।
৩০ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ডা. মোহাম্মদ মোমিনুজ্জামান খান বলেছেন: নীতি-নৈতিকতা তৈরী হয় পরিবার থেকে। সেজন্য পারিবারিক শিক্ষা জরুরী। এখনই সময় পরিবর্তনের সূচনা করার। আর সেটা তরুণদের হাত ধরেই আসতে হবে, পুরনো বস্তাপঁচা মাল দিয়ে হবে না। নইলে বৈরাগ্য সুনিশ্চিত।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের তরুনদের অল্প বয়সেই টাকার প্রতি লোভ হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। তরুন রাজনীতিবিদদের সম্ভাবনা, চ্যলেঞ্জ , রাজনৈ্তিক সততার বিষয়গুলো খুবই ভালভাবে তুলে ধরেছেন। একটা বিষয় পরিষ্কার যে, তরুনদের রাজনীতিতে টিকে থাকতে হবে সম্পুর্ন নিজের দমে। জনগনের মাঝে যে তরুন আস্থা তৈরী করতে সক্ষম হবে , সেই টিকবে নতুবা ঝড়ে যাবে।
এই দেশকে পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত করতে হবে সবচেয়ে আগে। জুলাই বিপ্লব যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে , তা যদি আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজে লাগাতে না পারি, তবে সেটা দেশের জন্য হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।