নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী। শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার এবং নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার জন্য কাজ করি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে কৌতূহলী।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশী সাংবাদিকের ঢাকা ভ্রমণ ও যানজট বৃত্তান্ত: তৃতীয় নয়নে প্রাণের শহর ঢাকা!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭



বিদেশীদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানার কৌতূহল সবারই থাকে। তাদের অভিমতকে একটু অন্যদৃষ্টিতে দেখতে হয়, কারণ তাদের কোন রক্তচক্ষুর ভয় নেই এবং তাই নিরপেক্ষ থাকতেও বাধা নেই। তৃতীয় নয়নে বাংলাদেশকে দেখতে তাই বরাবরই আমাদেরকে বিদেশীদের মতামতকে বিবেচনায় নিতে হয়। ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে লেখার জন্য নিউইয়র্ক টাইমস এর এক সাংবাদিক ঢাকায় এসেছেন, থেকেছেন এবং ঢাকার যানবাহনে ভ্রমণ করেছেন। একটি উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকার যানজট কী মাত্রায় পৌঁছুলে সেটি বিদেশীদের গবেষণার বিষয় হয়, সেটি বুঝার জন্যই আমি আর্টিকেলটি আদ্যোপান্ত পড়ি। এমন পড়েছি অনেক, কিন্তু এবারই লেখার ইচ্ছে হলো। কেন হলো পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। শুরু।

-------
সেসব অব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহৎ শহরগুলোতে বিপর্যয় ঘটায়, হয়তো এর মধ্যে কোনটিই ট্রাফিক জ্যামের মতো ক্ষতিকর না। এখনও ঢাকায় বসে আছি যেখানে অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা মহাকাব্যিক পরিণতিতে পৌঁছেছে।

আমি ঢাকায় ছিলাম, বলা যায়, ঢাকার ট্রাফিক জ্যামে আটকে ছিলাম। কথাটি হয়তো অন্যভাবে বললে আরও সঠিক হবে: আমি যানজটে আটকে ছিলাম, তাই ঢাকায় ছিলাম। আপনি যদি বাংলাদেশের রাজধানীতে কিছু সময় কাটান, তবে ‘যান চলাচল’ ধারণাটিকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করবেন, এবং আপনার সংজ্ঞাটি উল্টে যাবে। অন্যান্য শহরের রাস্তাগুলোতে যানবাহন এবং পথচারি থাকে; মাঝেমাঝে রাস্তাগুলো ব্যস্ত হয়ে যায় এবং যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হয়। ঢাকার পরিস্থিতি আলাদা। ঢাকার যানজট হলো যান চলাচলের চরম পর্যায়; বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এত ব্যাপক এবং দীর্ঘস্থায়ী যে, এটি শহরের সাংগঠনিক নীতিতে রূপ নিয়েছে। এটি যেন শহরের আবহাওয়া, এমন এক ঝড় যা কখনও থামে না।

ঢাকার লোকেরা আপনাকে বলবে, পৃথিবীর বাকি মানুষগুলো যান চলাচল বুঝে না, কারণ মুম্বাই অথবা কায়রো অথবা লসএন্জেলেসের যানজট ঢাকার ড্রাইভারের কাছে সৌভাগ্যের মতো। বিশেষজ্ঞরা তাতে একমত। ২০১৬ সালের বিশ্বের বাসযোগ্যতা জরিপে, অর্থাৎ ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক প্রকাশিত জীবনের মান বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৪০ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭, শুধু নাইজেরিয়ার লাগোস, লিবিয়ার ত্রিপলি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক শহরের ওপরে অবস্থান করছে। জরিপে ঢাকার অবকাঠামোর মান যেকোন শহরের চেয়ে নিম্ন স্তরে দেখানো হয়েছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মেগাসিটির মতো ঢাকা একটি ব্যস্ত শহর এবং সমাধিস্থান, যেখানে আছে বলিষ্ঠ আবাসন বাজার, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ। অভাব, দূষণ, রোগ, রাজনৈতিক দুর্নীতি, চরমপন্থীদের নাশকতা ্এবং সন্ত্রাসী হামলার কারণে জীবন এখানে নিয়ন্ত্রণহীন দুষ্পাপ্যতায় বাধাগ্রস্ত। কিন্তু পণ্ডিত এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের কাছে যানজটই ঢাকার খ্যাতিকে চিহ্নিত করেছে একবিংশ শতাব্দির পৌর অব্যবস্থানার ভয়ংকর প্রতীক, বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বস্ত শহর হিসেবে। এটি ঢাকাকে এক পরাবাস্তব শহরে পরিণত করেছে যা একই সাথে কর্মচঞ্চল এবং অচল; এবং এটি এক কোটি পঁচাত্তর লাখের অধিক বসবাসকারীর জীবনের ছন্দকে বদলে দিয়েছে। বেশিদিন আগে নয়, ঢাকার ডেইলিস্টার ‘যানজটে পড়লে ৫টি করণীয়’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে যেসব সুপারিশ এসেছে তা হলো “বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ”, পড়া এবং ডায়েরি লেখা।



যেভাবে ঢাকায় প্রবেশ এবং যেমন ছিল প্রথম অভিজ্ঞতা

আমার ঢাকার রোজনামচার প্রথম পর্বটি শুরু হয় গতবছরের মার্চে একটি রাজপথে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শহরের মধ্যস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে। আপনি যদি এই রাস্তাটি নিয়ে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান চালান, তাহলে একটি ফেইসবুক পেইজ ওঠে আসবে যার শিরোনাম “রাজপথ থেকে নরকে, এয়ারপোর্ট রোড”। অনলাইনে দেওয়া ফটোগুলো থেকে নরকের চিত্র ফুটে ওঠে: ওপর থেকে তোলা রাস্তার আটটি লেইন জুড়ে বিপুল সংখ্যক মটরযানের এলোপাথাড়ি চলাফেরার ছবি। মনে হয়, সদ্য হাঁটতে শিখেছে এরকম কোন ক্ষুব্ধ শিশু একটি দিয়াশলাইয়ের বাক্সকে ছড়িয়ে দিয়েছে: সকালের অফিসযাত্রা শুরু হয় মহাজাগতিক এক ক্রুদ্ধ মেজাজ নিয়ে।

ছবিগুলো আমাকে চরম খারাপের জন্য মানসিক প্রস্তুতি দেয়। তারপরও ঢাকা যাবার সময় আমাকে জানানো হলো যে, শহরের যানচলাচল হবে অস্বাভাবিকভাবে হালকা। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ বন্দি ছিল হরতালে, দেশব্যাপী সাধারণ হরতাল এবং “পরিবহন অবরোধ”। এই হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল বিরোধীদল বিএনপি’র পক্ষ থেকে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নতুন নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে চেষ্টা করছে। হরতাল, রাস্তার মিছিল এবং বিচ্ছিন্ন সহিংসতা রাজধানীর দৈনন্দিন জীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছে এবং শহরের লোকদের স্বাভাবিক জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছে। এতে দৃশ্যত অসাধ্য সাধন হয়েছে, ঢাকার রাস্তাগুলো থেকে দীর্ঘ গাড়ির লাইন বিচ্ছিন্ন। আমার বিমান পথে একজন বাংলাদেশি এই পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছিলেন “ঢাকায় হয়তো আপনি ভয়ানক যানজট পাবেন, নয়তো সত্যিই ভয়ানক যানজট পাবেন। কিন্তু হরতাল থাকলে সেখানে প্রায় কোন যানজট থাকবে না। যান চলাচল থাকবে স্বাভাবিক।”

ভয়ানক যানজট, সত্যিই ভয়ানক যানজট, কোন যানজট থাকবে না, যান চলাচল স্বাভাবিক – ঢাকায় থাকলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই বুঝতে পারা যায় যে, ওগুলো কোন তাত্ত্বিক পরিভাষা নয়। বিমান থেকে অবতরণের পর আমি একটি ট্যাক্সি নিলাম। ট্যাক্সিটি বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই একটি গোলচক্করে পড়লো; তারপর কুখ্যাত সেই রাজপথে। সেখানে নির্ভুলভাবে যানজট ছিল: যতদূর চোখ যায় গাড়ি আর ট্রাক, এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যে, রাস্তার কালোরঙের ওপর লেইন মার্কিঙয়ের কোন সম্পর্কই উদ্ধার করা গেলো না। আমার গাড়িটি সারিবদ্ধ গাড়ির ফাঁকে নাক ঢুকিয়ে রাখলো। শুরু হলো হামাগুড়ি।

বিশ সেকেন্ডের মতো গাড়িগুলো দক্ষিণ দিকে চললো। তারপর থেমে গেলো। আমার গাড়ি কয়েক মিনিট একদম নড়াচড়া করলো না। তারপর অজানা কারণে গাড়িটি আবার সামনের দিকে হামাগুড়ি দিলো। মাঝেমাঝে গাড়িগুলো বাধাহীনভাবে কয়েকমিনিট চলে, ঘণ্টায় সম্ভবত ১৫ মাইল গতিতে। কিন্তু শিঘ্রই আমরা আবার থেমে গেলাম। আমেরিকার ইন্টারস্টেইট ভ্রমণের ‘থামো-এবং-চলো’র অভিজ্ঞতা পাচ্ছিলাম, রেডিওতে ট্রাফিক প্রতিবেদকরা যেমন হেলিকপ্টারের পাখার আওয়াজের সাথে দীর্ঘ ট্রাক্টর ট্রলির কথা চিৎকার করে ‘বাম্পার-থেকে-বাম্পার’ পরিস্থিতির কথা বলে, অনেকটা সেরকম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিটি কোন দুর্ঘটনার কারণে নয়। কারণ হলো, এটি ঢাকা শহর।

অনেক গরম পড়েছিল আর আমি ছিলাম জেটল্যাগগস্ত। ঘুমিয়ে পড়লাম। যখন হঠাৎ ওঠলাম, প্রায় এক ঘণ্টা হয়ে গেলো। গাড়ির গাদাগাদি আরও ঘণিভূত হলো এবং এক প্রকার উন্মাদনায় রূপ নিলো। ততক্ষণে আমরা শহরের কেন্দ্রস্থলে। প্রশস্ত রাস্তাটিতে পথচারি আর শত শত গাড়ি নিজেদের জায়গার জন্য প্রতিযোগিতা করছে। রাস্তার নাম কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ। বাসগুলো এমন আঁটসাটভাবে যাত্রী দিয়ে ঠাসা যে, অনেক যাত্রী বাইরের দিকে ঝুলে আছে। কেউ কেউ বাসের ছাদের সিঁড়িতে ঝুলে আছে। সেখানে ছিল মালবাহী ত্রিচক্রযান, স্থানীয়ভাবে ভ্যান নামে পরিচিত। বাঁশ, তরমুজ, ধাতব পাইপ, ডিম, জীবন্ত পশুপাখি নিয়ে সেগুলো বাজারের দিকে যাচ্ছে। এবং অবশ্যই সেখানে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যাত্রীবাহী পরিবহন রিকশা-সাইকেল ছিল। কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউর মতো বড় রাস্তায় রিকশা চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হলেও, নিজ নিজ উদ্দেশ্য নিয়ে রিকশাগুলো সেখানে ছিল। রিকশার বেল ট্রাফিকজ্যামের গর্জনকে বাড়িয়ে দিলো।

ঘটনাক্রমে আরেকটি গোলচক্করে পৌঁছালাম আমরা। এবার বাঁ দিকে মোড় নিয়ে পেলাম আরেকটি সংযোগ সড়ক, পান্থপথ তেজগাঁও লিংকরোড। এখানে আমার ট্যাক্সিচালক ইউটার্ন নিলেন এবং কিছু কৌশলী হস্তচালনার মাধ্যমে আমার নির্ধারিত হোটেলের প্রবেশপথে ঢুকার সুযোগ নিলেন। একশ’ গজের প্রবেশপথটি খালি এবং প্রথমবারের মতো একটু উন্মুক্ত স্থান দেখতে পেলাম। বিমানবন্দর থেকে হোটেলের দূরত্ব সাড়ে আট কিলোমিটার। আড়াই ঘণ্টা লাগলো এটি অতিক্রম করতে। হোটেলের প্রবেশপথটি শেষ করে আমার টাক্সিচালক তার অনুভূতি প্রকাশ করলেন। “সামান্য একটু যানজট ছিল” তিনি বললেন, “ততটা খারাপ ছিল না।”

“বাংলাদেশের পরিস্থিতি দুর্যোগে আক্রান্ত জাতির মতো নয়” ২০০০ সালে লেখেছিলেন সাংবাদিক উইলিয়াম ল্যাংগউইশে। কথাটি অতিরঞ্জিত মনে হয়, কিন্তু পরিবহনে-ঠাসা ঢাকার রাস্তাকে দেখার মানে হলো দুর্যোগকে সচল অবস্থায় দেখা, অথবা বলা যায় অচল। রাজধানী শহরের আটকে-পড়া পরিবহনগুলো এই জাতির জন্য মহাদুর্যোগের প্রতীক হয়ে আছে। বিশেষ করে বলা যায়, জনসংখ্যার বৃদ্ধি। উন্নয়নশীল দেশের মাপকাঠিতে এটি মানানসই, কিন্তু বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় এটি বিপর্যয়কর।



ঢাকার যানজট অন্যান্য শহরের চেয়েও খারাপ হবার কারণ কী?

মূলত যানজট একটি ঘনবসতির বিষয়। এমনটা হয়, যখন অতিরিক্ত সংখ্যক মানুষ অতি সংকীর্ণ কোন স্থানে জায়গা নিতে চায়। বাংলাদেশ হলো পৃথিবীর চরম ঘনবসতিপূর্ণ জাতির মধ্যে দ্বাদশ। কিন্তু ষোল কোটি জনসংখ্যার কারণে সেটি সবচেয়ে জনাকীর্ণ এবং তালিকার মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। বিষয়টি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছি: বাংলাদেশের স্থলভূমি রাশিয়ার ১১৮ ভাগের এক ভাগ, কিন্তু এর জনসংখ্যা রাশিয়া থেকে আড়াই কোটি বেশি।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যাটি ঢাকা শহরেই প্রতিফলিত হয়েছে, কারণ বলতে গেলে ঢাকাই বাংলাদেশ। দেশের প্রায় সকল সরকারি, ব্যবসায়িক, স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং শ্রমবাজারের বিরাট একটি অংশ ঢাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। প্রতি বছর ৪ লাখ নতুন অধিবাসী রাজধানীতে যুক্ত হয়। এই গণ অভিবাসন ঢাকাকে করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ মেগাসিটি এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীলও।

যেসব মৌলিক অবকাঠামো এবং আইনের শাসন বড় শহরগুলোকে বাসযোগ্য করে, এই শহরের কোটি অধিবাসী সেসব একদমই পাচ্ছে না। ঢাকায় মাত্র ৬০টি ট্রাফিক লাইট আছে, যা কেবলই আলংকারিক; খুব কম গাড়িচালক সেগুলোকে গুরুত্ব দেয়। ঢাকার রাস্তায় অরাজকতার বড় কারণ হলো, রাস্তার অপর্যাপ্ততা। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন মতে, ঢাকা শহরের মাত্র ৭ শতাংশের জন্য রাস্তা আছে। (উনিশ শতাব্দির পৌর পরিকল্পনায় নির্মিত প্যারিস এবং বার্সেলোনা শহরে এই অনুপাত ৩০ শতাংশ।) ফুটপাথগুলোতেও সমস্যা। কিছু রাস্তায় ফুটপাথ আছে এবং যা আছে তা প্রায় চলাচলে অযোগ্য – দোকানদার এবং গৃহহীন মানুষের আবাস।

ঢাকার মতো শহরগুলোর যানজটের জন্য সাধারণ সমাধান হলো, রাস্তার ওপরে চলাচলের পরিবর্তে রাস্তার নিচে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। কিন্তু ঢাকায় কোন ভূগর্ভস্থ রাস্তা নেই এবং নির্মাণেরও কোন বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নেই। এ সমস্যাটি আরও তীব্র হয়েছে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে প্রদর্শিত ব্যক্তিগত গাড়িগুলোর কারণে, যা শহরের মধ্যবিত্তদের প্রচলিত মাধ্যম। এতে প্রতি বছর হাজার হাজার গাড়ি ঢাকার রাস্তায় যুক্ত হচ্ছে।

সরকারের নিজস্ব হিসেব মতে, ঢাকার যানজটের কারণে প্রতি দিন ৩২ লাখ শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক আয় থেকে কোটি কোটি টাকা লোকসান যাচ্ছে। এই যানজট আরেক প্রকার ক্ষতি নিয়ে আসছে ঢাকাবাসীর জীবনে ও মননে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নগর এবং অঞ্চল পরিকল্পনা’ বিষয়ক অধ্যাপক সারওয়ার জাহান বলেন, “শহরটি জটিল হয়ে যাচ্ছে। যাতায়াতের সমস্যার কারণে মানুষ কারও সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে না। শুধু প্রয়োজন হলেই বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া হয়। তাতে অনেক সময় চলে যায়।”

ঢাকার যানজটকে ‘অসুবিধা’ বলা এক প্রকার ভুল; এমনকি ‘দুর্যোগ’ বললেও সহজ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থাপত্য ও পরিকল্পনা’ বিষয়ক অধ্যাপক আদনান মোরশেদের মতে, ঢাকার যানজট হলো ‘একটি বিশাল পৌর ব্যাধি’ যা ‘মৃত্যু ঘটিয়েই চলেছে’। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন এই বলে যে, রাজধানী যানজট এবং অবকাঠামো সমস্যার সমাধান না হলে ওসব অর্জন হারিয়ে যাবে – সেই অগ্রগতি নিজে থেকেই স্তবির হয়ে যাবে। যানবাহনে ঠাসা রাস্তাগুলো ঢাকা শহরের দুঃখের এক অমানবিক চিত্র। বলা যায়, দুঃখের একমাত্র কারণ।



যে কারণে ঢাকার গাড়িচালকদেরকে শ্রেষ্ঠ ড্রাইভার বলতে হয়…

ঢাকার অত্যধিক পরিবহণ সর্বগ্রাসী অনুভূতি। আপনি এর গন্ধ পাবেন, স্বাদ পাবেন। গাড়ির ধোঁয়া আপনার নাসারন্ধ্রে আপনার জামায় আপনার মুখে আঘাত করবে। আপনার জিহ্বায় তীব্র স্বাদ রেখে যাবে। পাশের গাড়ি অথবা পথচারিদের মধ্যে নিজের হাতকে নিরাপত্তার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আপনি হয়তো, হয়তো নয় অবশ্যই, যানজটকে ধরতে পারবেন, ছুঁতেও পারবেন।

কিন্তু যানজট আপনার শ্রবনেন্দ্রিয়কে সবচে’ বেশি আক্রান্ত করে। ইতিহাসবিদদের মতো, শহরের নামকরণ হয়েছে ঢাক থেকে, অর্থাৎ ঠনঠন-শব্দ-করা এক বড় ঢোল। ঐতিহাসিক সত্য যা-ই হোক, শহরের ভয়ানক শোরগোল আপনার শ্রবনেন্দ্রিয়কে যে আচ্ছন্ন করে, তাতে কোন ভুল নেই। ঢাকার গাড়ির বধির-করা একক সঙ্গিত, চালকদের চিৎকার, এন্জিনের গর্জন, অন্তহীন হুইসেল থেকে আসা কণ্ঠ, তাল এবং তালহীন করতাল এবং সবমিলে এক বেসুরো থিম সং।

সেই একটানা উচ্চশব্দ চরম আগ্রাসী। ঢাকার চালকেরা হয়তো ‍পৃথিবীর সবচেয়ে পাশবিক আর নির্দয়। আপনি যদি ঢাকার মতো শহরে আইন লঙ্ঘন এবং দুঃসাহসকে চালকের দক্ষতা বলে মনে করেন, তবে তাদেরকে শ্রেষ্ঠ চালক বলতে হয়।



সিএনজি: “তিন চাকার ওপর চলা ছোট টিনের বক্সটি দু’টি কক্ষে বিভক্ত”

এক বিকালে শের-এ-বাংলা ক্রিকেট স্ট্যাডিয়াম থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে ঢাকার সবচেয়ে যানজট প্রবণ রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের ব্যবস্থা করলাম। ঢাকার লোকেরা অটোরিকশাকে ‘সিএনজি’ বলে, কারণ সেটি সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। তিন চাকার ওপর চলা ছোট টিনের বক্সটি দু’টি কক্ষে বিভক্ত, একটি চালকের জন্য, অন্যটি যাত্রীর জন্য। যাত্রীর কক্ষটি একটু বড় হলেও বেশ চিপা। এটি আপনি এশিয়ান শহরগুলোতে দেখতে পাবেন। ঢাকায় এগুলো সবুজ রঙে আচ্ছাদিত এবং প্রায় সবগুলোই নোংরা এবং জির্ণশির্ণ। এগুলো অনেক শব্দ করে অসহ্য ধ্বনিতে রাস্তাকে মাতিয়ে রাখে। যত্নহীন নিম্নমানের ছোট্ট যন্ত্রটিকে গোল্ফকার্টের দস্যু চাচাতো ভাই বলা যায়।

আমার সিএনজির পাইলট হলেন একজন হাসিহীন মানুষ যার বয়স হয়তো ত্রিশের নিচে। রাস্তায় তিনি বেধড়ক। রাস্তার ভিড় ঠেলে প্রতিটি সেন্টিমিটারের জন্য তিনি যুদ্ধ করেছেন এবং একটু ফাঁক পেলেই সর্বোচ্চ গতিতে গাড়ি চালিয়েছেন। এবার আমরা নগরের ব্যস্ততম রাস্তায়, বীরউত্তম রফিকুল ইসলাম এভিনিউ। রাস্তার দু’পাশে বড় বড় শপিং মল এবং ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর। একটি শপিং মল প্রায় রাস্তার ওপরেই গজিয়ে ওঠেছে। ঢাকার রাস্তায় যানজট অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক: গাড়ির চারপাশ ঘিরে পানির বোতল, খোসা ছাড়ানো শশা, বই বিক্রি করছে ফেরিওয়ালারা। অবশ্য অপরাধেরও সম্ভাবনা আছে। একসময় সিএনজিতে দরজা ছিল না, কিন্তু এখন গ্রিল দিয়ে ঢাকা। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ওঁত পেতে থাকা ছিনতাইকারীদের হাত থেকে এটি সুরক্ষা দেয়। কথিত আছে যে, দুঃসাহসী চোরেরা সিএনজির ছাদ কেটে যাত্রীর ওপর চড়াও হয়। তাদের পছন্দের অস্ত্র হলো ‘টাইগার বাম’, ঝাঁঝালো এক প্রকার মলম, যা তারা নিরস্ত্র করার জন্য শিকারের চোখে মেখে দেয়।

আমার চালকের একটিমাত্র কৌশল হলো, সব অবস্থায় গাড়ির গতি ধরে রাখা, পরিস্থিতি যা-ই হোক, এমনকি চিপা গলিতেও। সোজা যেতে না পারলে ডানেবামে, গাড়ির নাক দিয়ে অন্যের লেইন অতিক্রম করে, গাড়ির ফাঁক দিয়ে, অন্য চালকদেরকে রাস্তা ছাড়তে বাধ্য করে, এমন কি দু’এক ইঞ্চি সংঘর্ষকে এড়িয়ে। একটি কথা দিয়ে তিনি অন্য গাড়ি গুলোকে হুংকার দিয়ে যাচ্ছিলেন। ‘আস্তে’। চিৎকারে করে বলে যাচ্ছিলেন, ‘আস্তে! আস্তে! আস্তে!’। পরে আমার এক ইংরেজি-জানা বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম ‘আস্তে’ মানে কি। জানা গেলো, ‘আস্তে’ মানে হলো ‘ধিরে, সাবধানে’।



রিকশা: চলন্ত যাদুঘর

ঢাকার একটি যানবাহনকে নিরীহ মনে করা যেতে পারে, অন্তত শহরের নিম্নতম মানদণ্ডে। সেটি হলো, সাইকেল রিকশা। ঢাকার রাস্তার প্রাচীন এবং সর্বত্র বিরাজমান যানবাহন। রিকশার সঠিক সংখ্যা কেউ জানে না। (এগুলোর মধ্যে মাত্র একটি অংশ আনু্ষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত।) অনেকে মনে করেন, ঢাকার রিকশার সংখ্যা ২ লাখ হবে; অন্যরা ধারণা করছেন এই সংখ্যা কমপক্ষে কয়েক গুণ বেশি।

ঢাকার রাস্তায় রিকশা ভাড়া নিয়ে দরদাম করা গাড়িতে চড়ার মতোই এক সেরা বিনোদন। এসব ত্রিচক্রযানকে নিষিদ্ধ করার জন্য অনেক প্রস্তাব এসেছে, কিন্তু প্রতিবারই সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, ঢাকার যানজটে রিকশাই উপযুক্ত বাহন এবং সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব। কিন্তু অন্যরা বলেন, ওগুলো কোন কাজের না কারণ মাত্র আটজন যাত্রী নিয়ে চারটি রিকশা একসাথে চললে একটি বাসের জায়গা দখল করে ফেলে।

একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, ঢাকার রিকশা দেখতে বেশ সুন্দর। এদেরকে বলা হয় ‘চলন্ত যাদুঘর’। এগুলো রঙ-বেরঙের উপাদানে সজ্জিত; ফ্রেমগুলোতে আঁকা থাকে ফুল; পেছনে সিনেমার তারকা এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের ছবি অথবা গ্রামের বা শহরের দৃশ্য আঁকা থাকে। রিকশার পেছনে শহরের পেইন্টিংগুলো পর্যালোচনা করলে পরিস্থিতির নিগূঢ় তত্ব খুঁজে পাবেন। কোন বৈচিত্র ছাড়া সেসব ছবিতে এক শান্ত শহরের স্বপ্ন আঁকা থাকে, যেখানে আছে উড়ন্ত পাখি এবং উচু মিনারের পেছনে অস্তায়মান সূর্য। পেইন্টিংগুলোতে রাস্তাকে দেখতে পাবেন পরিচ্ছন্ন, শান্ত এবং সুস্থির যানজটমুক্ত।



ঢাকার নগর বিশেষজ্ঞরা কি সমস্যাকে আরও জট পাকাচ্ছে?

ঢাকার ভেতরে আমরা যে রিকশা পেইন্টিংগুলো দেখতে পাই, সেগুলো সুশৃঙ্খল রাস্তার চিত্র যা অনুমানযোগ্য ভবিষ্যতকে তুলে ধরে। শহরের সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চাওয়া হলে তারা কিছু পরিচিত ছড়া আবৃত্তি করেন। ট্রাফিক লাইট, সুনির্দিষ্ট রিকশা লেইন, বাধাহীন রাস্তা, সড়ক রেল ইত্যাদির সুপারিশ করেন তারা। তারা বলেন বিকেন্দ্রীকরণের কথা; চট্টগ্রাম এবং খুলনাকে দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ১২মাইল দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে, যা ২০১৫ সালের অগাস্টে শুরু হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় এধরণের প্রকল্প সম্পর্কে গভীর অবিশ্বাস রয়েছে, কারণ সরকারের অদক্ষতা এবং দুর্নীতির কারণে নির্মাণের অগ্রগতি প্রায়ই বাধাগ্রস্ত হয়।

ইতোমধ্যে রাজধানীর রাস্তাগুলোতে ভিড় উপচে পড়ছে। ঢাকার জলবায়ুর সাথে অভ্যস্ত হতে এবং এর দুর্ভেদ্য রাস্তাগুলোর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে মাত্র কিছুদিন লাগে। একজন নবীনের কাছে বিদেশি শহরের যানবাহন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। জমাটবাধা যানবাহনগুলো যেভাবে সবদিক থেকে দৃষ্টিসীমানাকে বদলে দিয়েছিল; শূন্যতা এবং দৃষ্টিকোণকে বিধ্বস্ত করে দিয়ে ঢাকার দৃশ্যকে রঙের ছটায় কিউবিস্ট মৃৎশিল্পে পরিণত করেছে, তা দেখে আমি মুগ্ধ হতে শুরু করেছিলাম। দেয়ালে রঙের ছটা; ট্রাকের রিয়ারভিউতে দাড়িওয়ালা চালকের ক্ষণিক প্রতিবিম্ব; ঢেউটিনের বেড়া অতিপ্রাকৃতিকভাবে কয়েক ফিট ওপরে হাওয়ায় ওড়েছিল; আর দেখেছিলাম একটি অদেখা মালবাহী রিকশাভ্যানকে।

অবশ্য আমি উপলব্ধি করেছি যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শহর থেকে যাওয়া একজন অতিথির পক্ষে দরিদ্রতম একটি দেশের অব্যবস্থাপনা আর ‍বিশৃঙ্খলা নিয়ে সৌন্দর্য আলোচনা করা মানানসই না। ঢাকার যানজটকে বিড়ম্বনা বললে ভুল হবে। একে বলতে হয় দারিদ্রতা, বলতে হয় এটি অবিচার, এটি দুর্ভোগ।



“এই শহর আপনার মনকে দার্শনিক বানিয়ে দেয়”

আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের প্রায় সবাই যানজটকে অগ্নি পরীক্ষা, সাহসের পরীক্ষা এবং ভয়ের বিষয় হিসেবে দেখে। সেটি আবার বিকৃত অহংকারেরও উৎস। একজন ভদ্র মহিলা যিনি সারাজীবন ধরে ঢাকায় বাস করছেন, তিনি আমাকে বললেন যে, বিদেশে থাকার সময় তিনি নাকি ঢাকার যানজটকে মিস করেছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকার শহরগুলোতে যানজটের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতে সেটি তার উৎসাহকে কমিয়ে দিয়েছে। দিনের বেলায় ঢাকায় বের হয়ে যদি জটপাকানো রাস্তার মোড়গুলোকে আপনি অতিক্রম করতে পারেন, তখন বলা যায় সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আপনি জয় করেছেন এবং জয় করেছেন দেবতার মন। এই শহর আপনার মনকে দার্শনিক বানিয়ে দেয়। ঢাকা আপনাকে জানিয়ে দেবে যে, ভ্রমণ মানে নরক, কিন্তু এটি ভ্রমণের প্রাচীন বিস্ময়কেও মনে করিয়ে দেয়। দৈনন্দিন যাতায়াত, সেটি যত নৈমিত্তিকই হোক না কেন, সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে মিরপুর রোডের মতো ভয়ানক যানজটকে অতিক্রম করার মানে হলো মহাশূন্য জয় করা।



ঢাকার রাস্তায় চলতে হলে যে নিয়মটি মনে রাখতে হবে

নিউইয়র্কে ফেরার সময় হলো। ঢাকায় থেকে আমি যাতায়াতের গোল্ডেন রুলটি শিখে নিয়েছি, তা হলো: আগে বের হও। তাই হোটেলকে আমি ভোর ৪:৪৫টায় ডেকে দিতে বললাম। বিমানে ওঠার পাঁচ ঘণ্টারও বেশি আগে আমার জন্য অপেক্ষমান ট্যাক্সিটিতে নিজেকে গলিয়ে দিলাম। ট্যাক্সিচালক আমাকে অভয় দিয়ে বললেন যে, এ সময়ে রাস্তার অবস্থা তত খারাপ হবে না।

দেখলাম যে, চালকের কথা ঠিক। সূর্য তখনও ওঠে নি। আমাদের ট্যাক্সি ঢাকা শহরের মাঝে কালো রাস্তা বেধ করে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। কোন যানজট ছিল না – একদমই না। আমরা এয়ারপোর্ট রোডের দখল পেলাম এবং একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। গতিপরিমাপক যন্ত্রের দিকে আমি তাকাচ্ছিলাম আর গাড়ির জানালা নামাচ্ছিলাম। ট্যাক্সি ঘণ্টায় ৫০ মাইল বেগে চলছিল – মনে হচ্ছিল যেন আমরা ওড়ছি।

তারপর, আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাবার আনুমানিক এক মাইল আগে কিছু গাড়ি, ট্রাক এবং সিএনজি’র সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিপক্ষ আমাদের পথ আগলে ধরলো। আমাদের ট্যাক্সির গতি থেমে গেলো এবং হঠাৎ আবার ঢাকা বাংলাদেশের যানজটপূর্ণ রাস্তায় আমরা আটকে গেলাম। আমরা থেমে গেলাম, আবার স্টার্ট দিলাম, আবারও থেমে গেলাম। এই ভিড়ের কারণ অস্পষ্ট, কিন্তু এটি স্পষ্ট যে, বিমান ধরতে আর তত সমস্যা হবে না। অতএব, আমি স্বস্তিতে থাকলাম: শেষবারের মতো ঢাকার উন্মাদনাকে উপভোগ করছিলাম। একসময় আমাদের গতিপরিমাপকে ঘণ্টায় পাঁচ মাইল দেখাচ্ছিল এবং আমরা আবারও সামনের দিকে হামাগুড়ি শুরু করলাম। একটি চিন্তা আমার মাথায় আসলো: ঢাকা শেষ পর্যন্ত আমার কাছে তার পরিচয় ধরে রেখেছে। এটাকে আপনারা যানজট বলবেন? থামুন। এটি যানজট নয়। [১ সেপটেম্বর ২০১৭]



-----------------
ছবিসূত্র: ১-২) নিউ ইয়র্ক টাইমস; ৩) চ্যানেল আই অনলাইন; ৪) গুগল সার্চ।

নিউইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের নিবন্ধ অবলম্বনে। মূল লেখা “ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম, যা কখনও শেষ হয় না” জডি রোসেন/ ২৩ সেপটেম্বর ২০১৬।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

শায়মা বলেছেন: বিদেশী সাংবাদিকের এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা দেখে আমার তো এখন আরও ভয় লাগছে ভাইয়া!

স্কুল আর বাসা ছাড়া ওয়ার্কিং ডেজে আর দরকার না পড়লে বের হই না । ছুটির দিনগুলো শপিং বা অন্যান্য কাজে রাখি জ্যাম একটু কমের আশায়! :(

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আরেহ!!! শায়মামণি যে!
খুশি হলাম, দুঃখের পোস্টে কাছে পেয়ে B-)

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: নির্মম সত্য কথা এই ভাবে বলতে হয় না বিদেশী সাংবাদিক ভাইয়া।
আমাদের দেশী সাংবাদিকরা তো কখনো বলেন না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বিদেশীরাদের মধ্যেও একটু বাড়িয়ে বলার প্রবণতা আছে - কারণ তাদের কোন ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য থাকে না। তারপরও তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা বিবেচনার দাবি রাখে।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ এখন জরুরী হয়ে পড়েছে.... নাহলে আরো খারাপ অবস্থা হবে....

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আমাদের দেশে সমাধান শুরু হয় তখনই যখন এরজন্য আরেকটি বড় সমস্যা পাইপলাইনে আসে।

কবি ভ্রমরের ডানাকে অনেক শুভেচ্ছা :)

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

সুমন কর বলেছেন: আর কিছু দিন পর, হেঁটে বাড়ি ফিরতে হবে !!!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাঁটবেন কোথায়, ফুটপাথও কি দখলমুক্ত আছে? কাজেই হাঁটাও নিষেধ। অনলাইন হোম অফিস, ব্যস! :)

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকার সাথে পৃথিবীর কোন শহরের তুলনা হতে পারে না।
বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘণবসতির দেশ। বাংলাদেশের বসতি ঘণত্ব কত?

আপনার সেই সাদাচামড়া সাংবাদিককে বইলেন -
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর তাবৎ মানুষদের ঠেলে আপনার যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দিলেও বাংলাদেশের মত ঘণত্ব হবেনা।
সেই বাংলাদেশের এক শহর হচ্ছে এই ঢাকা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাহাহা... এই মন্তব্যের ভাষা আর মন্তব্য বর্তমান পলিটিসাইসড আর পোলারাইজড সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

‘আমাদের সমস্যা ঘনবসতি’ এটি একটি শেখানো বুলি। সমস্যা জনসংখ্যা নয়, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন - রাজনীতির অপপ্রয়োগ। দেশের মানুষ সবাই রাজনীতিবিদ। নেতা নেই। যারা নেতা, তারা আবার রাজনীতিবিদ নন। দু’য়ের কম্বিনেশন দরকার।

এমন নেতা নেই যিনি অন্তত আগামি বিশটি বছরকে মনের চোখে দেখতে পাবে। সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা নেই। যা আছে, সেগুলোর সমন্বয় নেই।

জনসংখ্যা প্রাকৃতিক - কিন্তু আমাদের সমস্যা মানবসৃষ্ট। প্রকৃত সমস্যা আমাদের সিস্টেমে। আমাদের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রে। দল এখানে শুধুই সুযোগ নিচ্ছে। অথবা সুযোগ করে নিচ্ছে, অথবা করে দিচ্ছে।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটুখানি সময় দেন আল্লার রহমতে সব ঠিক হয়ে যাবে ।

রাস্তা হতে সব ট্রাফিক সার্জেন্ট উঠায়ে নিলে এমনিতেই ট্রাফিক জাম বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে হয় । অনেক সময় দেখা যায় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় তারাই ট্রাফিক জামকে প্রলস্বিত করে বিবিধ কারনে ।

ট্রাফিক সার্জেন্টদের নিয়োগ হতে শুরু করে তাদের লাইফ স্টাইল সম্পর্কে সরকার একটু খুঁজ খবর নিলেই বুঝতে পারবে মুল সমস্যাটি কোথায় , এছাড়া আরো বহুবিধ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারন তো আছেই ।

ট্রাফিক জামে শ্রম ঘন্টা নষ্টের সরকারী হিসাবের সাথে আমি একমত নই । যদিও বলা হয়ে থাকে ঢাকার লোক বসতির সংখ্যা ৮৫ লক্ষ কিন্তু গ্রেটার ঢাকার লোক সংখ্যা প্রায় ১কোটি ৮০ লক্ষ । দিনের বেলায় সারা দেশ হতে কার্যপোলক্ষে আরো প্রায় ২০ হতে ৩০ লক্ষ লোক দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ঢাকায় আসে । তাই মোট লোক সংখ্যার শত করা ২৫ ভাগ মানুষকেও যদি কর্মের জন্য যাতায়াত করতে হয় তাহলে দৈনিক কমপক্ষে ৫০ লক্ষ লোক যাতায়াত করে । আর তাদের যাতায়াতের আসাযাওয়ার পথে যদি দৈনিক এক ঘন্টা করেও ট্রাফিক জামে আটকা থাকতে হয় তাহলে শ্রম ঘন্টা নষ্টের পরিমান হবে ৫০ লক্ষ ঘন্টা এর সাথে যুক্ত হবে প্রায় ২০ লক্ষ গাড়ী চালকদের শ্রম ঘন্টা ( রিক্সা+ ভেন+ প্রাইভেট কার + বাস + ট্রাক + ঠেলাগারী সহ ) । ধারণা করা হয় গাড়ী চালকদেরই দৈনিক প্রায় ৪ ঘন্টার মত শ্রম ঘন্টা নষ্ট হয় ট্রাফিক জামের জন্য । এখন হিসাব করে দেখেন প্রকৃত পক্ষে দৈনিক কত শ্রম ঘন্টা নষ্ট হয় । আমার ধারণা মতে এই নষ্ট শ্রম ঘন্টার পরিমান দৈনিক এক কোটি অতিক্রম করবে , কোন মতেই ৩২ লাখ শ্রম ঘন্টা হবেনা ।

ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্যটি আমার লেখার সাথে একটি চমৎকার সংযোজন হয়ে থাকবে। অনেক ধন্যবাদ, ড: আলী :)

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

তানুন ইসলাম বলেছেন: ঢাকার সৌন্দর্য তো জ্যামে ,জ্যাম না থাকলে ঢাকার আসল রূপ প্রকাশ পায়না ,

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আসল রূপ এটি ছিল না। আমি সচেতনভাবে ঢাকাকে দেখে আসছি ১৯৯০ সাল থেকে। এটি কখনও সৌন্দর্যের অংশ হতে পারে না।

তবে আপনার মন্তব্যের অর্থ বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,



সবারই নয়নে প্রাণের শহর ঢাকা , এমনকি আপনারও ।

এই যে ঈদের পরে সব ফাঁকা ফাঁকা , দেখে চেনা যায়না যেন ঢাকাকে ; একথা তো আমরা মুখ ফুঁটে বলেই ফেলি । হয়তো আজ সকালে কাজে যেতে যেতে আপনিও এমনটা বলেছেন সাথে থাকা সহকর্মী বা বন্ধুকে । তার মানে কি ? নিজের অজান্তেই আপনি এবং আমরা ঢাকাবাসীরা সেই চিরচেনা দঙ্গলের শহর, যানজটের শহর ঢাকাকে "মিস" করছি । সেই হতশ্রী ঢাকাকেই খুঁজে পেতে চাইছি , চেনা ঢাকাকে দেখতে চাইছি । এইতো ?


এবার মনের উল্টো দিকে খানিকটা হাটি ।
ঈদের পরে সব ফাঁকা ফাঁকা দেখে আমরা বলেই ফেলি, " ঈশশশশশশশ .... ঢাকা যদি এমনটা থাকতো !"

এটা আক্ষেপটা পূর্ণ হবেনা কোনও দিনই । যতোদিন পর্য্যন্ত না সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয় ।
এরশাদকে আমরা যতোই গালাগালি দিইনা কেন , তিনি কিন্তু এই বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন । হয়নি কেন ? ব্যুরোক্রাটিক মারপ্যাচে । সব ব্যুরোক্রাটরা ধানাই পানাই করে এই বিকেন্দ্রীকরণের বারোটা বাজিয়েছে ।

আর কোনও দেশী বা বিদেশী সাংবাদিকই ঢাকাকে নিয়ে এরকম লেখার সুযোগ পাবেন না , যদি ঢাকার সব কিছু বিকেন্দ্রীকরণ করা যায় । পথ এই একটাই । ইনফ্রাষ্ট্রাকচারের জন্যে টাকার অভাব ? অন্য হিসাব বাদ দিয়ে শুধু ৩০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ( কোট - ডঃ এম এ আলী ) কর্মঘন্টাকে টাকায় রুপান্তরিত করুন , যানবাহনে লক্ষ ঘন্টা ধরে পোড়া গ্যাসও তেলকে টাকায় পরিনত করুন । মনে হয় সে টাকা দিয়ে দিনে একটি করে পদ্মাসেতুও বানানো সম্ভব ।

পথ এই একটাই - বিকেন্দ্রীকরণ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

জী এস ভাই আপনাদের মন্তব্যগুলো দেখে আশাবাদি হই, কারণ দেশের চিন্তা করার মানুষ এখনও আছে। এখনও কিছু মানুষ রাজনৈতিক মাইক্রোস্কোপে সবকিছুকে দেখে না।

//এটা আক্ষেপটা পূর্ণ হবেনা কোনও দিনই। যতোদিন পর্য্যন্ত না সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়। //

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার মতো তুখোড় নেতা দরকার - অন্তত সিংগাপোর অথবা মালেইশিয়া টাইপের।


আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন, জনাব :)

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: শুধু অদক্ষ ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট না আরো অনেক ইনডেক্স মিলিয়ে পৃথিবীর নিকৃস্টতম জঘন্যতম অসভ্যতম চরম অদক্ষ করাপটেড ম্যানেজারদের শহর হল ঢাকা শহর। ভাল কথা পদ্মা সেতুর সমান বা একটু বেশী লম্বা সেতু ভারতে আমাদের পদ্মা সেতুর খরচের ৬ ভাগের একভাগ টাকায় বানাইসে!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


একদম দেয়ালে পিঠ থেকে গেছে। সমস্যা চরমে গেলে নাকি প্রাকৃতিক নিয়মেই সমাধান আসে। এদেশের মানুষ সবকিছুতে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।

ঢাকাবাসীকে অনেক দিন পর পেয়ে ভালো লাগলো।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের প্রায় সবাই যানজটকে অগ্নি পরীক্ষা, সাহসের পরীক্ষা এবং ভয়ের বিষয় হিসেবে দেখে। সেটি আবার বিকৃত অহংকারেরও উৎস। একজন ভদ্র মহিলা যিনি সারাজীবন ধরে ঢাকায় বাস করছেন, তিনি আমাকে বললেন যে, বিদেশে থাকার সময় তিনি নাকি ঢাকার যানজটকে মিস করেছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকার শহরগুলোতে যানজটের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতে সেটি তার উৎসাহকে কমিয়ে দিয়েছে। দিনের বেলায় ঢাকায় বের হয়ে যদি জটপাকানো রাস্তার মোড়গুলোকে আপনি অতিক্রম করতে পারেন, তখন বলা যায় সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আপনি জয় করেছেন এবং জয় করেছেন দেবতার মন। এই শহর আপনার মনকে দার্শনিক বানিয়ে দেয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


কথা সত্য। এদেশের দার্শনিক আর কবির সংখ্যা অহংকার করার মতো।

কৃতজ্ঞতা জানবেন, মনিরা সুলতানা :)

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয়নার মতও তুলে ধরেছেন সত্যকে।

এই সত্য কি আমাদের নীতি নর্ধিারকদের ঘূম ভাঙাবে! তাদের চেতনা কি জাগ্রত হবে!

গণ প্রস্তাব আহবান করুক, নিজেরা ভাবতে না পারলে! বাসযোগ্য ঢাকা বাসযোগ্য দেশ কি কোন বাড়তি চাওয়া?

আজই মনে হয় শেষ আরাম টুকু পেলাম- মিরপুর থেকে মতিঝিল এলাম মাত্র ২১ মিনিটে।

অথচ এটাই প্রতিদিনের মাত্র হওয়া উচিত।

ধণ্যবাদ দারুন তথ্য পূর্ন পোষ্ট শেয়ারে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এমনটা প্রতিদিন হবে না, কারণ বছরের বারো মাস হরতাল অথবা ঈদ থাকতে পারে না। :)

নীতিনির্ধারকেরা কোটি টাকা দিয়ে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার দেশগুলোতে ঘুরে আসে। ফিরে এসে প্রতিবেদনটুকুও করে কিনা সন্দেহ...

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কবি বিদ্রোহী ভৃগু :)

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকান সাংবাদিকের লেখাটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম। আমার কাছে তাঁর প্রতিবেদনের পুরোটাই বস্তুনিষ্ঠ বলে মনে হয়েছে।


সাবলিল অনুবাদকর্মের জন্য ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আবুহেনা ভাই... পুরোটা লেখাই পড়ে মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, জনাব :)

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: সব সমস্যার মূলে আছে জনসংখ্যা। হাঁ বিকেন্দ্রিকরন তার পরবর্তী ধাপ। অলী ভাই ও জী ভাইয়ের সাথে সুর মিলালাম। আগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন মন্ত্রনালয় ছিল, তাদের কাজ ছিল দেখার মতো কিন্তু এখন এ সমস্যা সবচেয়ে গুড়ুত্বহীন।

আমার মতে এছাড়া ও মেজর কিছু পদক্ষেপে যানজট সমস্যার সমাধান কিছুটা করা সম্ভব; যেমন: ১) বিকণ্প রাজধানী তৈরী করে সচিবালয় বাইরে নিয়ে যাওয়া। ২) সকল ইন্ডাস্ট্রি ঢাকার বাইরে নেয়া ৩) প্রাইভেট কার রেস্ট্রিকশান করা ৪) আধুনিক বাস সার্ভিস চালু করা ৪) যত্র তত্র বাস না সুনির্দিস্ট বাস সিস্টেম চালু করা।

আমি জানি এর কিছুই কখনই হবে না কারন আমি যা বলছি তা ৩০ বছর ধরেই মাথাওয়ালারা বলে আসছে কিন্তু কিছুই হয় না। আমরা দেশের সকল সিদ্ধান্ত পলিটিকেলি নেই তাই কখনই এসব কিছু বাস্তবায়ন হবে না এবং যথারীতি জ্যাম বেড়েই চলবে.....

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ভালো প্রস্তাব দিয়েছেন, সোহানী আপু!
এসব বুদ্ধি যে তাদের নেই, সেটি বিশ্বাস হয় না। সমন্বয় এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। অতএব আপনার ভবিষ্যতবাণীই সত্য হবে। এদেশের ভবিষ্যৎ যখন অসম্ভব আশঙ্কাই করুন না কেন, সেটি সত্য হতে বাধ্য। আজ নয়তো কাল!

নিয়মিত মন্তব্য দিয়ে সঙ্গে দেবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন :)

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: লেখাটা বেশ ভাল লাগলো। আমরা যারা নিত্যদিন এই সমস্যার ভুগি, অর্থাৎ যারা ভুক্তভোগী তাদের কাছে এই লেখার আবেদন থাকবে।

ঢাকা কবে একটু কম জ্যামের শহর হবে সেটা বড় চিন্তার বিষয়।


এই শহর আপনার মনকে দার্শনিক বানিয়ে দেয়। ঢাকা আপনাকে জানিয়ে দেবে যে, ভ্রমণ মানে নরক, কিন্তু এটি ভ্রমণের প্রাচীন বিস্ময়কেও মনে করিয়ে দেয়। দৈনন্দিন যাতায়াত, সেটি যত নৈমিত্তিকই হোক না কেন, সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে মিরপুর রোডের মতো ভয়ানক যানজটকে অতিক্রম করার মানে হলো মহাশূন্য জয় করা।

রয়েছে পাবলিক বাসের অপ্রুতুলতা, রয়েছে রাস্তার সীমাবদ্ধতা, রাস্তা কেটে ফেলে রাখা হয়েছে, কমে গেছে রাস্তার চওড়া।
মিরপুর রোডে আমার রোজ আসা-যাওয়া। মাঝেমাঝে মনে মনে বলতে থাকি, " এই যাত্রায় বাসায় ফিরতে পারলে বাঁচি!"

এই শহর আপনার মনকে দার্শনিক বানিয়ে দেয় কথটির গভীরতা ভাবার মত।


ঢাকায় এগুলো সবুজ রঙে আচ্ছাদিত এবং প্রায় সবগুলোই নোংরা এবং জির্ণশির্ণ। এগুলো অনেক শব্দ করে অসহ্য ধ্বনিতে রাস্তাকে মাতিয়ে রাখে। যত্নহীন নিম্নমানের ছোট্ট যন্ত্রটিকে গোল্ফকার্টের দস্যু চাচাতো ভাই বলা যায়। - ভাগ্যিস উনি এই গোল্ফকার্টের দস্যু চাচাতো ভাই এর ভাড়ার কথা উল্লেখ করেন নাই, নাহলে ইজ্জত আর থাকত না।


ঢাকার যানজটকে ‘অসুবিধা’ বলা এক প্রকার ভুল; এমনকি ‘দুর্যোগ’ বললেও সহজ হয়ে যায়।
- সেই ভাল বরং। এটা একটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।

বেশ ভাল লাগলো আপনার পোষ্টটা। প্রিয়তে রেখে দিচ্ছি। মিরপুর রোডে জ্যামে পড়ে গেল মাঝেমধ্যে বের করে পড়ব না হয়!

পোষ্ট ভাল লাগলো, প্রিয়তে রাখলাম, প্লাস দিলাম- সবই তো হল শুধু ঢাকার জ্যামটাই আর গেল না।

ঢাকার জ্যাম নিয়ে আপনার করা পূর্বের পোষ্টটাও বেশ ভাল লেগেছিল।

নগরপতিরা যদি একটু সত্যি সচেষ্ট হতেন এই মরার জ্যাম কিছুটা হলেও কমত !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এমন দীর্ঘ একটি লেখা খুঁজে বের করে (লেখাটি সপ্তাহখানেক পর নির্বাচিত পাতায় স্থান পায়, যখন আর পাঠকের চোখে পড়বে না) খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আপনি পড়েছেন। মন্তব্য দেখে বুঝা গেলো। অনেক কৃতজ্ঞতা, কবি জাহিদ অনিক :)

দুঃখিত, মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেলো।

নাহ এতো কিছুর পরও ঢাকার জ্যাম কমার নয়। জানি না কবে এই হতাশা কাটবে। তবু মিরপুর রোড দিয়ে আপনার যাত্রা শুভ হোক :)

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ঢাকা এখন কোমায় !!

যানজটের সাথে নতুন করে এখন যুক্ত হয়েছে জলাবদ্ধতা!!!


পোস্টে ++

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে, বিলিয়ার রহমান!
ভালো থাকা হোক... :)

১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"সরকারের নিজস্ব হিসেব মতে, ঢাকার যানজটের কারণে প্রতি দিন ৩২ লাখ শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক আয় থেকে কোটি কোটি টাকা লোকসান যাচ্ছে। "

-৪ লাখ লোকের কাজের পরিমাণ কাজ প্রতিদিন হচ্ছে না; এটা কি একটা জাতি?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এটা কি একটা জাতি? ভাবতে কষ্ট হয়। এ জাতির ভবিষ্যত কী, চাঁদগাজী ভাই, কেউ কি বলতে পারেন?

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: রাজীব নুর ভাইয়ের মত বলতেই হয়, ট্রাফিক পুলিশের পরিবর্তে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা দরকার। তাদের যদি যানজট নিরসনে রাস্তায় নামানো হয়,তবে ধান্দা বাজি যেমন কমে যাবে ,তেমনি ড্রাইভারগুলার বেপয়ারা কিছু কমবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সমস্যা পুরো সিস্টেমে। তবে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সমাধান একদিন আসবেই।

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিদেশী সাংবাদিকের অভিজ্ঞতার কথাগুলো কষ্ট করে আপনি অনুবাদ করে এখানে পোস্ট করেছেন, এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা মন্তব্যেও উল্লেখ করেছেন, সেগুলোও ভাল লেগেছে। এ ভয়ানক রাহুগ্রাস থেকে নিজের শহরটা কখনো মুক্ত হবে, দুরভাগ্যজনক হলেও এ আশাতাকে সুদূর পরাহত বলে মনে হয়।
কিছু ভয়ঙ্কর কথা ও মন্তব্য, যা সত্য কিন্তু শুনতে চাইনাঃ
এখনও ঢাকায় বসে আছি যেখানে অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা মহাকাব্যিক পরিণতিতে পৌঁছেছে
এটি যেন শহরের আবহাওয়া, এমন এক ঝড় যা কখনও থামে না
ঢাকার ডেইলিস্টার ‘যানজটে পড়লে ৫টি করণীয়’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে যেসব সুপারিশ এসেছে তা হলো “বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ”, পড়া এবং ডায়েরি লেখা - এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমার অনেক কবিতার জন্ম হয়েছে ঢাকার অসহ্য যানজটে আটক থাকা অবস্থায়, এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনের দীর্ঘ লাইনে প্রতীক্ষারত থাকা অবস্থায়। :)। সুতরাং ঢাকার যানজট কবিতা ও সাহিত্যের সূতিকাগারু হতে পারে!! :) :)
সকালের অফিসযাত্রা শুরু হয় মহাজাগতিক এক ক্রুদ্ধ মেজাজ নিয়ে
ঢাকায় মাত্র ৬০টি ট্রাফিক লাইট আছে, যা কেবলই আলংকারিক;
ঢাকার যানজট হলো ‘একটি বিশাল পৌর ব্যাধি’ যা ‘মৃত্যু ঘটিয়েই চলেছে’
শহরের সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চাওয়া হলে তারা কিছু পরিচিত ছড়া আবৃত্তি করেন
ঢাকার যানজটকে বিড়ম্বনা বললে ভুল হবে। একে বলতে হয় দারিদ্রতা, বলতে হয় এটি অবিচার, এটি দুর্ভোগ।
ভাললাগা প্রতিমন্তব্যঃ
জনসংখ্যা প্রাকৃতিক - কিন্তু আমাদের সমস্যা মানবসৃষ্ট। প্রকৃত সমস্যা আমাদের সিস্টেমে। আমাদের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রে। দল এখানে শুধুই সুযোগ নিচ্ছে। অথবা সুযোগ করে নিচ্ছে, অথবা করে দিচ্ছে (৫ নং প্রতিমন্তব্য)
সমস্যা চরমে গেলে নাকি প্রাকৃতিক নিয়মেই সমাধান আসে। এদেশের মানুষ সবকিছুতে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল (৯নং প্রতিমন্তব্য)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনি এত যত্ন নিয়ে পড়েন যে, প্রতিটি লাইনে সেটি প্রতিবিম্বিত হয়। মন্তব্যগুলো যেন গলার মালা হয়ে থাকে।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন :)

১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন গতির যানবাহনের জটলা বাড়িয়ে দিয়েছে অপরিকল্পিত ফ্লাই ওভার বা 'উড়াল সেতু'। তাই আজকাল দেখা যায়, উড়াল সেতুর উপরেও যানবাহনগুলো 'উড়ছে' না, ঠায় দাঁড়িয়ে আছে, কিংবা সেতুর মুখে ভয়ানক দূুর্বিসহ জট। দুর্ভাগ্যজনক যে এখন এ সেতুগুলোকে ভাঙাও আর সম্ভব নয়। অথচ এগুলো দেখার জন্য বড় বড় প্রকৌশলী ছিল, স্থপতি ছিল, পুলিশ ছিল, আমলা ছিল, গোয়েন্দা ছিল।
আমার অল্প কথার গল্পঃ সবুজের শার্ট পোস্টে মন্তব্য রেখে আসার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


উড়াল সেতুগুলো এখনই ভাঙার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এবার বুঝুন তাদের পরিকল্পনায় দূরদর্শীতার নমুনা!

এই ঢাকা কখনও বাসযোগ্যতা পাবে কিনা, জানা নেই। বাধ্য হয়েই বাস করছে কোটি মানুষ।

দ্বিতীয়বার এসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কবি খায়রুল আহসান :)

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ঢাকা নিয়ে কিছু বলে টাকা( মানে মেগাবাইট ) খরচ করতে চাই না । B-)
আপনার শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


হাহাহা.... আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি.... মাহমুদ ভাইয়া!!! :)
আপনার মেগাবাইট সুরক্ষিত থাকুক....

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্লগার মইনুল বলছেন যে, মেগাবাইটগুলো মাঝে মাঝে গল্প লেখায় ব্যবহার করা যায়। 8-|

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের ( সামহোয়্যার ইন ব্লগঃ মুদ্রার অন্য পিঠ ) ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


আবুহেনা ভাইকে ধন্যবাদ :)

২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

ডি মুন বলেছেন: এই পোস্টে মাহমুদ ভাইয়ের কমেন্টটাই সবচেয়ে সেরা কমেন্ট। :)

তাছাড়া যানজট বলে ঢাকাতে কিছু নাই। সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।
ঢাকার মানুষ উন্নয়নের জোয়ারে সাঁতার কাটছে :)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


সবই বুঝলাম.... মাহমুদ কিডা?
নম্বর ছাড়া, নাকি নম্বর সহ? নম্বরসহ হলে কত? B-)

২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা

নাম্বার জেরো জেরো শেভেন :) B-))

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
‘শেষে শেভেন’ তো?

বুঝিয়াছিলাম! তাহাকে আমার সালাম জানাইবেন :)

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২

শামচুল হক বলেছেন: প্রতিবেদনের পুরোটাই বস্তুনিষ্ঠ। ফুটপাথে হাঁটবেন সেটাও হকারদের দখলে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ফুটপাথও পথচারির দখলে নেই। ঠিক বলছেন।

২৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেশন ধর্মি পোস্ট।
দীর্ঘ পোস্ট , পড়তে অনেক সময় লেগেছে, তবে ভাল লেগেছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

দীর্ঘ পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.